__._,_.___
প্রকাশক: নিউজ ডেস্ক ১ নভেম্বর, শুক্রবার, ২০১৩ in অন্যান্য, জাতীয়
অবকাশ ডেস্ক: বিডিআর বিদ্রোহের সময় পিলখানা হত্যা মামলায় পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা-আইএসআই জড়িত বলে যুক্তরাষ্ট্রের টেলিভিশন সিএনএনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক খবরে দাবি করা হয়েছে। ভারত সরকারের সচিবালয় সাউথ ব্লকের বরাত দিয়ে এই তথ্য প্রকাশ করেছে সিএনএন।
২৯ অক্টোবর প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বিদ্রোহের মূল পরিকল্পনায় ছিল শেখ হাসিনা এবং সে সময়ের সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদকে হত্যা। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিদ্রোহ হলেও তা করার পরিকল্পনা ছিল আগের দিন। সেদিন শেখ হাসিনা এবং মইন ইউ আহমেদ বিডিআর দরবার হলে গেলেও ষড়যন্ত্রকারীরা অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিতে পারেনি।
আইএসআই শেখ হাসিনার মধ্যপন্থী মতাদর্শিক অবস্থানের কারণে শঙ্কিত হয়েই এই পরিকল্পনার আদেশ দেয় বলেও প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'রক্তক্ষয়ী এই ষড়যন্ত্রের খেসারত ঢাকাকে বেশ ভালোভাবেই দিতে হয়েছে। অন্যদিকে তৎকালীন মাত্র দুই মাস মেয়াদ অতিক্রান্ত শেখ হাসিনার সরকারের স্থিতিশীলতার জন্য যা ছিল এক বিশাল চ্যালেঞ্জ।
পিলখানা হত্যাকাণ্ডে বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) উচ্চপদস্থ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭০ জন নিহত হন । ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআরের একদল সদস্য তাদের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের লাইন করে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডটি এতই বর্বর ছিল যে, শুধু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদেরই নয় তাদের পরিবারের সদস্যদেরও হত্যা করে ম্যানহোলের মধ্যে স্তুপ করে রাখা হয়েছিল। এর বাইরে গণকবরও দেয়া হয়েছিল অনকে লাশ।
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী জড়িত: বিডিআর বিদ্রোহের পরিকল্পনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী জড়িত ছিলেন বলেও সিএনএনের প্রতিবেদনে জানানো হয়। এতে বলা হয়, 'ভারত এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থার কাছে এই ঘটনায় প্রভাবশালী বিএনপি নেতা এবং আইএসআইয়ের চর সালাইদ্দিন কাদের চৌধুরীর জড়িত থাকার প্রমাণ আছে'। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বিএনপি নেতাকে প্রতিবেদনে এই অঞ্চলের অপরাধ জগতের সাথে ওতপ্রতোভাবে জড়িত।
বাংলাদেশে সালাউদ্দিন চৌধুরী একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ সহযোগিদের মধ্যে একজন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। ২০০৪ সালে চট্টগ্রামে দশট্রাক অস্ত্র চোরাচালান ঘটনার সঙ্গেও তিনি জড়িত বলে অভিযোগ আছে। যদিও তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ভারতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র চোরাচালান হচ্ছিল বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিডিআরের সদস্যদের মধ্যে নানা বিষয়ে ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে পিলখানা হত্যা ঘটানো হয়। এর পাশাপাশি সেনাবাহিনীতেও পাকিস্তানপন্থী কর্মকর্তারা অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেছিলেন। এই পরিকল্পনা এতটাই সূচারু ছিল যে, কোনো গোয়েন্দা সংস্থা তা ধরতে পারেননি। এই ঘটনায় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী বিডিআরের সাবেক মহাপরিচালক ফজলুর রহমানকেও ব্যবহার করেন।
ফজলুর রহমানকে সালাইদ্দিন কাদের চৌধুরী ৪০ কোটি টাকা দেন বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। আর ফজলুর রহমান সে সময় বিডিআরের চারজন উপসহকারী পরিচালককে পাঁচ কোটি কারা করে দেন। আর চারশজন সিপাইকে দেয়া হয় পাঁচ লাখ টাকা করে। কেউ কেউ ৫০ লাখ টাকা করে পেয়েছেন বলেও গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনা চলাকালে বাংলাদেশকে নিয়ে ভারত সরকারে উদ্বেগ বাড়তে থাকে। ২৮ ফেব্রুয়ারি ভারত শেখ হাসিনাকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার প্রস্তুতিও নেয়। ভারতের সে সময়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী (বর্তমান রাষ্ট্রপতি) প্রণব মুখার্জি শেখ হাসিনার সাথে যোগাযোগ রেখেছেন।
পাকিস্তানি চরের ফোনে আঁড়ি পেতে তথ্য উদ্ধার: সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকায় পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা সাজ্জাদ রসুলের সাথে টেলিফোন কলে আঁড়ি পেতে তার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছে গোয়েন্দারা। এই কর্মকর্তার সাথে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর যোগাযোগ ছিল।
গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, ওই পাকিস্তানি কর্মকর্তা ঢাকার গুলশান এলাকা থেকে গোটা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং পাকিস্তানকে সব জানিয়েছেন। ২৫ ফেব্রুয়ারি বেলা সাড়ে ১২টায় সাজ্জাদ রসুল আইএসআইয়ের সদরদপ্তরে ফোন করে সে সময় বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদকে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যখন বাংলাদেশ সরকার এবং সেনা কর্মকর্তা কিছুই জানতে পারেননি, তখন পাকিস্তানী প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা কীভাবে ভেতরের সব ঘটনাপ্রবাহ জানলেন, তা একটি বড় প্রশ্ন'। ওই সময় জামায়াতে ইসলামীর বেশ কজন শীর্ষস্থানীয় নেতাও ফোনে দুবাই, লন্ডন এবং ইসলামাবাদে আইএসআইয়ের চরদের সাথে ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলের তুলনায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার মধ্যপন্থী। ধর্মীয় উগ্রবাদ এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার অবস্থান কঠোর। এই সরকার টিকে থাকলে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর এ দেশীয় দোসরদের বিচারের ভয়ও পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের মধ্যে ছিল। গোটা বিদ্রোহে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আসামি জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদও নানা সহযোগিতা করেছেন বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত নীতি এবং অন্যান্য অবস্থানের কারণে শেখ হাসিনা সরকারকে নিয়ে পাকিস্তান উদ্বিগ্ন ছিল। এ জন্যই পথের কাটা দূর করার চেষ্টা করেছে আইএসআই।
সূত্র:বিডি টুয়েন্টিফোর লাইভ ডট কম।
--
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "PFC-Friends" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to pfc-friends+unsubscribe@googlegroups.com.
For more options, visit https://groups.google.com/d/optout.
॥ নিষিদ্ধ করেন সিপিবি, জাসদ ও ডেমোক্রেটিক লীগকে ॥
ডেস্কপাঠ : রাজনীতির মঞ্চে জিয়াউর রহমানের উত্থানে সমসাময়িক রাজনীতিবিদরা তেমন বাধা হয়ে উঠতে পারেননি। বাধা এসেছিল সেনাবাহিনীর ভেতর থেকেই। ১৯৭৭ সালের মে মাসের মাঝামাঝি এক সরকারি আদেশে ১৫ আগস্ট অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত মেজর ডালিম, মেজর শাহরিয়ার, মেজর রাশেদ চৌধুরী ও মেজর নূরকে সেনাবাহিনীর চাকরিতে ফিরিয়ে আনা হয়। বিএনপির সময় অসময় বইয়ে লেখক মহিউদ্দিন আহমদ এ তথ্য দিয়েছেন। তিনি লিখেন, ১৫ আগস্ট অভুত্থানের সঙ্গে জড়িত সেনা কর্মকর্তারা অনেকেই দেশে ফিরে আসতে চেয়েছিলেন। জিয়া তা চাচ্ছিলেন না। তিনি চাননি তারা দেশে এসে আবার ঘোট পাকাক। কিন্তু ফারুক রশিদ একবার রক্তের স্বাদ পেয়েছে। তারা আবার অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা করতে থাকে। ২০ এপ্রিল রশিদ ঢাকায় আসে। ২৫ এপ্রিল ডালিম ঢাকায় আসে। একই বিমানে আসে তোয়াব। ২৭ এপ্রিল বগুড়া ক্যান্টনমেন্টে ট্যাংক রেজিমেন্টে গোলমাল শুরু হয়। রশিদ ও ডালিমকে ঢাকায় আটক করে ব্যাংককে পাঠিয়ে দেয়া হয়। ফারুককে পাঠানো হয় বগুড়ায়। ফারুক সেখানে গিয়ে ঘাঁটি গেড়ে বসে থাকে। এই বিদ্রোহ দমন করার জন্য পনের ও ষষ্ঠ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জিয়া ৩০ এপ্রিল তোয়াবকে বরখাস্ত করেন। ১৯৯৭ সালে ৩ জুন ফারুক আবার ঢাকায় আসে। ঢাকা সেনানিবাসের সিগনাল কোরের সৈনিকরা বিদ্রোহ করে। কুর্মিটোলা বিমানঘাঁটির প্রায় ৭০০ সৈনিক তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। তারা বিমানবাহিনীর ১১ জন কর্মকর্তাকে হত্যা করে। কয়েক ঘণ্টার জন্য তারা ঢাকা বেতার কেন্দ্রও দখল করে। জিয়ার অনুগত সৈন্যরা পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে বিদ্রোহ দমন করে। ১১৪৩ জনকে ফাঁসি দেওয়া হয়। জিয়া বিদ্রোহে জড়িত থাকার সন্দেহে ডেমোক্রেটিক লীগ, জাসদ ও সিপিবি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
http://www.amadershomoys.com/unicode/2016/02/25/73817.htm#.Vs8abX0rJSM
http://www.bangla.se/index.php/the-banglanews/2453-2011-03-14-11-08-54