Banner Advertiser

Monday, January 25, 2016

[mukto-mona] বিএনপির জন্ম যেভাবে সেনানিবাসে: ১ : মার্কিন দূতাবাসকে গোপন বৈঠক সম্পর্কে জানাতেন যাদু মিয়া



  জিয়াউর রহমানের সেনানিবাসের বাড়িতে গভীর রাতে বসত গোপন বৈঠক। বিএনপির জন্ম সেখানেই। সেই জন্মবৃত্তান্ত সম্পর্কে কিছু তথ্য প্রকাশ করেছেন ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের পলিটিক্যাল কাউন্সেলর স্টিফেন আইজেনব্রাউন। একই বিষয়ে প্রথম আলো কথা বলেছে বিএনপির নেতা মওদুদ আহমদের সঙ্গেও।  মিজানুর রহমান খানের তিন কিস্তির অনুসন্ধানী প্রতিবেদন পড়ুন:

বিএনপির জন্ম যেভাবে সেনানিবাসে: ১

মার্কিন দূতাবাসকে গোপন বৈঠক সম্পর্কে জানাতেন যাদু মিয়া

মিজানুর রহমান খান | তারিখ: ১৯-০৯-২০১০



 

বিএনপি গঠনে রাজনীতিকেরা প্রথম বৈঠক করেছিলেন বেগম খালেদা জিয়ার বর্তমান সেনানিবাসের বাড়িতেই। বৈঠকগুলো হতো গভীর রাতে। এসব গোপন বৈঠক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানো হতো ঢাকার মার্কিন দূতাবাসকে। জিয়াউর রহমানের পক্ষে এ কাজ করতেন প্রয়াত মশিউর রহমান যাদু মিয়া। তিনি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ-ভাসানী) করতেন। তাঁকে প্রধানমন্ত্রিত্বের টোপ দেওয়া হলেও কথা রাখেননি জিয়া। এমনকি তাঁর মৃত্যু আজও পরিবারের কাছে রহস্যাবৃত।
ঢাকার তখনকার মার্কিন দূতাবাসের পলিটিক্যাল কাউন্সেলর স্টিফেন আইজেনব্রাউনের কাছে যাদু মিয়া গোপন বৈঠক সম্পর্কে তথ্য দিতেন। আইজেনব্রাউনের পেশাগত কূটনৈতিক-জীবনের শুরু পঁচাত্তরে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বাংলাদেশ ডেস্কে।
আইজেনব্রাউন ২০০৪ সালে মার্কিন পররাষ্ট্রবিষয়ক কথ্য ইতিহাস কর্মসূচির পরিচালক চার্লস স্টুয়ার্ট কেনেডিকে সাক্ষাৎকার দেন। এতে তিনি বিএনপির জন্মের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানান। ১৯৭৬-৭৮ ও ১৯৯৬-৯৮ সালে তিনি ঢাকায় মার্কিন পলিটিক্যাল অফিসার ও পলিটিক্যাল কাউন্সেলর ছিলেন।
যেভাবে আছে সেভাবেই থাক: সম্প্রতি প্রথম আলোর পক্ষ থেকে আইজেনব্রাউন ও চার্লস স্টুয়ার্ট কেনেডির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তবে এ বিষয়ে তাঁদের কোনো বক্তব্য বা ব্যাখ্যা জানা সম্ভব হয়নি। সাবেক পেশাদার মার্কিন কূটনীতিক স্টুয়ার্ট কেনেডি এখন ভার্জিনিয়ায় থাকেন। এই প্রতিবেদকের কাছে গত ৩০ আগস্ট পাঠানো ই-মেইল বার্তায় তিনি উল্লেখ করেন, 'আমি বাংলাদেশ সম্পর্কে অল্পই জানি। আমি কিছু বলে যদি ইতিহাসে ইতিবাচক কিছু যোগ না করতে পারি, তাহলে তা ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ ঘটাবে। তার চেয়ে বরং সাক্ষাৎকারগুলো যেভাবে আছে, সেভাবেই থাকুক।' আইজেনব্রাউন এই প্রতিবেদকের কাছে শুধু তাঁর সংক্ষিপ্ত জীবনী পাঠাতে সম্মত হন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন কর্মকর্তার মাধ্যমে আইজেনব্রাউনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল। আইজেনব্রাউন জানিয়েছেন, তিনি এখন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ও মার্কিন কংগ্রেস অনুমোদিত মানবাধিকারবিষয়ক প্রতিবেদনসংক্রান্ত সমন্বয়ক হিসেবে কর্মরত আছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ সম্প্রতি প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিএনপির জন্ম-প্রক্রিয়ায় তাঁর ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মশিউর রহমান যাদু মিয়া এবং তিনি বিএনপির গঠন-প্রক্রিয়ায় বড় ভূমিকা রাখেন। তবে ১ সেপ্টেম্বর মওদুদ আহমদ এক প্রশ্নের জবাবে আইজেনব্রাউনের সঙ্গে তাঁর পরিচয়ের সুযোগ ঘটেছিল কি না, তা স্মরণ করতে পারেননি।
ঢাকায় নিযুক্ত সাবেক মার্কিন কূটনীতিক আইজেনব্রাউন সেনানিবাসে জেনারেল জিয়াউর রহমান কীভাবে বিএনপির জন্ম দিয়েছিলেন, তার বৃত্তান্ত বর্ণনা করেছেন। ২০০৪ সালে চার্লস স্টুয়ার্ট কেনেডির একটি প্রশ্নের সূত্রে বিএনপি প্রসঙ্গ আসে। আইজেনব্রাউন কথা প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপি নামের একটি রাজনৈতিক সংগঠনকে কেন্দ্র করে তাঁর কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছিল। সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীসহ কয়েকজন রাজনীতিকের সঙ্গে যোগাযোগের কথাও স্মরণ করেছেন তিনি। এর মধ্যে 'অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ পারিবারিক সম্পর্কের' কথা বলেন জাতীয় পার্টির নেতা ও ইত্তেফাক-এর সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর পরিবারের সঙ্গে। আবুল হাসান চৌধুরী তাঁর সঙ্গে জানাশোনার বিষয়টি প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেন।
আইজেনব্রাউন বেশ নাটকীয়ভাবে এবং যতটা সম্ভব রসিয়ে বিএনপির জন্মবৃত্তান্ত তুলে ধরেছেন। তাঁর কথায়, '১৯৭৮ সালে বিএনপির জন্মের সঙ্গে আমার গল্পের মিল খুঁজে পাওয়া যাবে। পুরান ঢাকায় (যাদু মিয়ার বাসা ছিল মগবাজারে) আমাদের গোপন বৈঠকগুলো হতো। এর সঙ্গে আমি সম্পৃক্ত ছিলাম। জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় ছিলেন। তিনি একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করেছিলেন। তিনি ডান ও বামপন্থীদের মধ্যকার প্রবল সক্রিয় অংশকে একত্র করেছিলেন। একদিকে মোল্লা, অন্যদিকে বামপন্থী—উভয়ের কাছ থেকে তিনি পরামর্শ নিতেন। বিএনপি গঠন-প্রক্রিয়ায় সেনানিবাসে যেসব গোপন বৈঠক হয়েছিল, তার বিবরণ আমি পেতাম। সে বিষয়ে যিনি আমাকে অবহিত করতেন, তিনি ছিলেন একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ। যিনি পরবর্তীকালে জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভার সিনিয়র মিনিস্টার হয়েছিলেন।'
আইজেনব্রাউন বলেছেন, বাম ও ডানপন্থীদের নিয়ে দল গঠনের একটি প্রক্রিয়া তখন ছিল। মন্তব্য চাওয়া হলে মওদুদ আহমদ গত ২১ আগস্ট প্রথম আলোকে বলেন, 'সেটা তো একদম ঠিক কথা। সেটাই ঘটেছিল। কারণ, ন্যাপ থেকে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁরা সংখ্যায় অনেক। প্রায় ৭০ জন এমপি ছিলেন ন্যাপ থেকেই। আপনি যদি তখনকার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নেন, তাহলে দেখবেন বামপন্থী দল থেকে বেশি এসেছিল। তখন শহীদ জিয়ার দলে আমরা যাঁদের বামপন্থী বলি, তাঁদের সংখ্যা এতটাই বেশি ছিল যে বিএনপিকে বলা যেত লেফট অব দ্য সেন্টার। যদিও ধর্মভিত্তিক রাজনীতির যে বিধানটা বাহাত্তরের সংবিধানে ছিল, সেটা তিনি তুলে দিয়েছিলেন। '
'এক সপ্তাহ পরে ভ্রু নাচ': আইজেনব্রাউন তাঁর সাক্ষাৎকারে নিশ্চিত করেন যে তিনি বিএনপির গঠন-প্রক্রিয়া সম্পর্কে ওয়াশিংটনকে বিস্তারিত অবহিত রাখতেন। তাঁর কথায়, '৭৮ সালের বসন্তে ঢাকার রাজনৈতিক বিষয় সম্পর্কে ওয়াশিংটনে প্রতিবেদন পাঠাতে পাঠাতে আমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। তখনকার বাংলাদেশের রাজনীতি সম্পর্কে তেমন কোনো গল্প বলার কিছু নেই। কারণ, তখন রাজনীতি উন্মুক্ত ছিল না। তবে বাংলাদেশের অবসরপ্রাপ্ত কিছু ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে একটা সম্পর্ক বজায় রাখতে আমি সচেষ্ট ছিলাম।' আইজেনব্রাউনের এই সাক্ষাৎকারে অবশ্য বিএনপির গঠন-প্রক্রিয়ার প্রশ্নে শুধু যাদু মিয়ার সঙ্গেই ওই সময় তাঁর নিবিড় যোগাযোগের কথা উল্লেখ করেছেন।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে মওলানা ভাসানীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন যাদু মিয়া। দুই প্রবীণ সাংবাদিক ফয়েজ আহমেদ ও এবিএম মূসা অবশ্য নিশ্চিত করেন যে ভাসানী তাঁকে নিয়ে সংশয়গ্রস্ত ছিলেন। সাবেক ন্যাপের (ভাসানী) নেতা রাশেদ খান মেনন এ বিষয়টি সমর্থন করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে তিনি মিশ্র চরিত্রের ব্যক্তিত্ব ছিলেন। গোঁড়া বুর্জোয়া স্বভাবের সঙ্গে তাঁর একটি গণমুখী দিকও ছিল। এর পর থেকে অব্যাহতভাবে পাকিস্তানি সামরিক প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখেন। একাত্তরে কলকাতায় গেলেও তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেননি। লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, 'বাংলাদেশের রাজনীতিতে তিনি নিঃসন্দেহে বড় চরিত্র। সিনিয়র মিনিস্টার থাকাকালে হাসপাতালে আমি তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম। ভাসানী ন্যাপের দক্ষিণপন্থী গ্রুপের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। বাহাত্তরের ১ অক্টোবর রাতে আমি ভাসানীর মুখে পাকিস্তানিদের দালালি করার জন্য জেলহাজতে থাকা যাদু মিয়াকে ভর্ৎসনা করতে শুনেছিলাম।' অপর এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, শুধু যাদু মিয়া নন, সেদিন জেনারেল জিয়ার দল গঠনের সমর্থকদের অনেকেই বর্তমান সরকারের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠভাবে আছেন।
জেনারেল জিয়া যখন সেনানিবাসের বাড়িতে গোপন রাজনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছিলেন, তখন এইচ এম এরশাদ সেনাবাহিনীর উপ-সেনাপ্রধান। এরশাদের শ্যালক মহিউদ্দিন হলেন যাদু মিয়ার জামাতা। এরশাদ মহিউদ্দিনকে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও যাদু মিয়ার ছেলে শফিকুল গনি স্বপনকে প্রতিমন্ত্রী করেন। যাদু মিয়ার মেয়ে মনসুরা মহিউদ্দিন (মহিউদ্দিনের স্ত্রী) সাংসদ নির্বাচিত হন। যাদু মিয়ার মৃত্যুর পর তাঁর মেয়ে রিতা রহমানের বিয়ে হয় মেজর (অব.) খায়রুজ্জামানের সঙ্গে। তিনি জেলহত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পান। পঁচাত্তরে তিনি ফারুক-রশীদদের সঙ্গে লিবিয়া যান। বিএনপি তাঁকে মালয়েশিয়ায় হাইকমিশনার করেছিল। আওয়ামী লীগের বিগত আমলে তাঁকে তলব করা হলে তিনি আর দেশে ফেরেননি।
স্টিফেন আইজেনব্রাউনের বর্ণনায়, 'আমি তৃতীয় যে ব্যক্তির দিকে নজর রাখছিলাম, তিনি পুরান ঢাকায় বাস করতেন। তাঁর নাম মশিউর রহমান। তিনি যাদু মিয়া বা ম্যাজিক ম্যান হিসেবে পরিচিত ছিলেন। পঁচাত্তরে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সঙ্গে বামপন্থী ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি গঠনে তিনি সহায়তা দিয়েছিলেন। এতে প্রতীয়মান হয়েছিল যে যাদু মিয়া সক্রিয় রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছেন। বাস করতেন পুরান ঢাকায়। আর বেলকনিতে বসে হুক্কা টানতেন। আমরা একত্রে বসে বাংলাদেশের রাজনীতি বিষয়ে মতবিনিময় করতাম। এ ঘটনার এক সপ্তাহ কিংবা আরও কিছুটা সময় পরে এক তরুণ মার্কিন দূতাবাসে এলেন। আমার সঙ্গে দেখা করলেন। তরুণটি জানালেন যাদু মিয়া আমার সঙ্গে অনতিবিলম্বে সাক্ষাৎ করতে চান। সুতরাং আমি রিকশায় চেপে পুরান ঢাকার উদ্দেশে বেরিয়ে পড়লাম। তাঁর গায়ে বেশ সৌন্দর্যখচিত জামা-কাপড় লক্ষ করলাম। বেশ ফিটফাট। দাড়ি কামিয়েছেন। তাঁকে এমন কেতাদুরস্ত আমি আগে দেখিনি। এবারে চোখে পড়ল না হুক্কাটিও। আমি তাঁর ভ্রু নাচন (ক্ষমতার ঝিলিক) দেখলাম। একেবারে একজন নতুন মানুষ। ৭০-এর কোঠায় দাঁড়িয়ে কেমন নবীন হয়ে উঠেছেন। তিনি আমাকে বললেন, জেনারেল জিয়া একটি রাজনৈতিক দল গঠন করতে চান।'
উল্লেখ্য, জিয়া কখন রাজনৈতিক দল করতে চান, সেটা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি বিরাট প্রশ্ন। সে কারণে মওদুদ আহমদকে প্রশ্ন করি, আপনার কি এটা স্মরণে আছে যে জেনারেল জিয়া আপনাদের ডেকে দল করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছিলেন, নাকি আপনারাই তাঁকে উৎসাহিত করেছিলেন। মওদুদ বলেন, 'আমরা তাঁকে সহায়তা দিয়েছি। তিনি ছিলেন খুবই তীক্ষ ।' মওদুদ আহমদ ২০০০ সালে প্রকাশিত গণতন্ত্র এবং উন্নয়নে চ্যালেঞ্জ শীর্ষক বইয়ে উল্লেখ করেন, 'রাজধানীর রাজপথে সৈনিক ও জনতার স্বতঃস্ফূর্ত মিছিল রাতারাতি তাঁকে এক জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছিল। এই জনপ্রিয় সমর্থন অবলম্বন করে জিয়া সাফল্যজনকভাবে তাহের ও মোশতাককে দমন করতে সফল হন।
গভীর রাতে প্রথম সভা: '৭৮ সালের বসন্তে মশিউর রহমান আইজেনব্রাউনকে বলেছিলেন, জিয়াউর রহমান দল করতে চান। কিন্তু জিয়ার জানা নেই যে এটা কীভাবে করতে হবে। সুতরাং রাজনীতিতে যাঁরা অবসরে গেছেন, তিনি তাঁদের একটা সভা ডাকলেন। এই সভা ডাকা হয়েছিল গভীর রাতে। জিয়া তাঁদের কাছ থেকে উপদেশ নিলেন। সেই বৈঠকে যাঁরা উপস্থিত ছিলেন, যাদু মিয়া আমার কাছে তাঁদের নাম প্রকাশ করলেন।
আইজেনব্রাউনের সাক্ষাৎকারে সেই নামগুলোর উল্লেখ নেই। তবে সেনানিবাসের বাড়িতে পরবর্তীকালে গভীর রাত কোনো ব্যাপারই ছিল না। গভীর রাতই ছিল আকর্ষণ। মওদুদ আহমদের মতে, 'ক্ষমতায় আসার এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে জিয়া ব্যক্তিগতভাবে ও গোপনে নিজের অফিস ও বাড়িতে রাজনীতিবিদদের সঙ্গে দেখা করে সলাপরামর্শের প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন।' 
এ বিষয়ে মওদদু আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, 'আমরা তো প্রতিদিন রাত তিনটা-চারটা পর্যন্ত ওনার ওখানে আলোচনা করতাম।' তাঁর তথ্য অনুযায়ী, '৭৭ সালের শেষ ডিসেম্বর বা '৭৮ সালের জানুয়ারির এক রাতে জিয়ার সেনানিবাসের বাসভবনে বসে একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার কাঠামো তৈরি করা হয়। '৭৮ সালের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি জাগদল করা হয়।'
সেনানিবাসের বাড়িতে অনুষ্ঠিত ওই প্রথম বৈঠক সম্পর্কে আইজেনব্রাউন বলেন, 'আমি বেশ বুঝতে পারলাম সেই সভায় বামপন্থী ও দক্ষিণপন্থীদের সম্মিলন ঘটেছিল। যাদু মিয়ার মতো লোক ছিলেন বামপন্থা থেকে। আর ডানপন্থীদের মধ্যে মুসলিম লীগ ও অন্যান্য ধর্মভিত্তিক দলের নেতারা। বাস্তবে তাঁরা প্রত্যেকেই ষাটের দশকের শেষভাগে শেখ মুজিবের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এখন সেই সব লোক হয় কারাগারে কিংবা বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন। ঢাকার রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে তখন যাঁরা ছিলেন, তাঁরা হয় অতি বাম না হয় অতি ডান। সুতরাং জিয়া তাঁদের মধ্য থেকে বেছে বেছে কয়েকজনকে গোপনে সেনানিবাসে একত্র করেছিলেন। সেই বৈঠক মধ্য রাতে হয়েছিল।'
উল্লেখ্য, ঢাকায় নিযুক্ত তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিস ইউজিন বোস্টারকে স্টিফেন আইজেনব্রাউন ছয় মাসের জন্য রাষ্ট্রদূত পেয়েছিলেন। বোস্টার '৭৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্র দপ্তরকে পাঠানো এক বার্তায় বাংলাদেশের তৎকালীন রাজনৈতিক দৃশ্যপট সম্পর্কে একটি বিশ্লেষণ পাঠিয়েছিলেন। বোস্টার এতে লিখেছেন, 'বামপন্থী দলগুলোর মধ্যে চরম উপদলীয় কোন্দল বিরাজমান। তাদের সংগঠনের দলীয় কাঠামো এবং সদস্যপদ অস্পষ্ট। মওলানা ভাসানীর নামমাত্র নেতৃত্বে পরিচালিত পিকিংপন্থী বামপন্থীরা পুনর্গঠিত হয়েছেন। এর নেতৃত্ব দিয়েছেন মশিউর রহমান। তিনি দলের মহাসচিব হিসেবে আবির্ভূত হন। '৭৪ সালে ন্যাপ তিক্ত অভ্যন্তরীণ বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। মশিউর রহমান ও ডা. আলীম আল রাজি সংশোধনবাদীদের পক্ষে অবস্থান নেন। ওই সময় ন্যাপে বিতর্ক ছিল, সর্বহারার একনায়কতন্ত্র কায়েমের জন্য খাঁটি আদর্শবাদের নীতিতে অবিচল থাকা নাকি সমন্বয় ও সংশোধনবাদের পথে শ্রেণীহীন সমাজ অর্জনের পথে অগ্রসর হওয়া। কাজী জাফর আহমেদ ও রাশেদ খান মেনন তাঁদের প্রতিপক্ষ ছিলেন। '৭৪ সালে ন্যাপ-ভাসানী বিভক্ত হয়। কাজী জাফর ও মেনন গঠন করেন ইউপিপি। ডা. আলীম আল রাজিও নিজের দল গঠনের কথা ভাবছেন। তাই তিনি যাদু মিয়াকে ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।' 
১৯৭৬ সালে ভাসানীর মৃত্যুর পর যাদু মিয়া ন্যাপের সভাপতি হন। চল্লিশের দশকে তেভাগা আন্দোলন ছিল উত্তাল। তদনারায়ণ বর্মণ নামে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় যাদু মিয়া প্রধান আসামি হন। তিনিই গুলি করেছিলেন বলে মামলা হয়েছিল। সেই খুনের বিচার হয়নি। আলিপুরের আদালতে মামলা প্রত্যাহার হয়। রাশেদ খান মেনন প্রথম আলোকে বলেন, 'যাদু ভাই জিয়ার সঙ্গে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে আমি আর হায়দার আকবর খান রনো তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলাম। তিনি আমাদের বলেছিলেন, "বাঘে ছুঁলে আঠারো ঘা, আর্মি ছুঁলে ছত্রিশ ঘা। তাই বুঝেশুনে চলতে হবে"।'
স্টিফেন আইজেনব্রাউন তাঁর সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করেন, 'যাদু মিয়া আমাকে বললেন, সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত বৈঠকের বিস্তারিত আপনার কাছে প্রকাশ করতে আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সুতরাং যাদু মিয়ার সঙ্গে বৈঠক শেষে আমি দূতাবাসে ফিরলাম। সব কথা খুলে বললাম ক্রেইগ বেক্সটারকে (পলিটিক্যাল কাউন্সেলর)। তিনি তা জানিয়ে দিলেন রাষ্ট্রদূতকে। এ সম্পর্কে তখন পর্যন্ত আমাদের কিছুই জানা ছিল না। সুতরাং আমরা এ কথা দ্রুত জানিয়ে দিলাম ওয়াশিংটনকে। এর কয়েক দিন পর যাদু মিয়া আবার আমাকে ডেকে পাঠালেন। তিনি তখন আমাকে সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত রাত্রিকালীন ধারাবাহিক বৈঠক সম্পর্কে বিস্তারিত বলেছেন। জিয়া কী করতে চান, কার কী চিন্তাভাবনা, কে কী বলেছেন ইত্যাদি। আমি তখন এসব আলাপ-আলোচনার বিষয় সম্পর্কে রিপোর্ট করেছি ওয়াশিংটনকে। সেই ঘটনাবলি সম্পর্কে আজ যাঁরা কৌতূহলী, তাঁরা মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে আর্কাইভে কেব্ল (তারবার্তা) খুঁজে পেতে পারেন। সেখানেই রয়েছে জেনারেল জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক দল গঠনের অনুপুঙ্খ ইতিহাস।'

http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2010-09-19/news/94638

 ঢাকা, শনিবার, ৩১ আগস্ট ২০১৩, ১৬ ভাদ্র ১৪২০, ২৩ শাওয়াল ১৪৩৪

বিএনপির জন্ম যেভাবে সেনানিবাসে: ২

জিয়া রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা পূরণে যাদু মিয়াকে ব্যবহার করেছিলেন

মিজানুর রহমান খান | তারিখ: ২০-০৯-২০১০

http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2010-09-20/news/94920

বিএনপির জন্ম যেভাবে সেনানিবাসে: ৩

সেনাছাউনিতে বিএনপির জন্মকে ষড়যন্ত্রমূলক বলেন আইজেনব্রাউন

মিজানুর রহমান খান | তারিখ: ২১-০৯-২০১০

http://archive.prothom-alo.com/detail/news/95186

জিয়ার যেসব কর্মকাণ্ডের কথা জানে না অনেকেই! || মোঃ আমিনুল হক

http://abdullah-al-rahim-rayhan.info/2015/12/23/jiaur-rahman-bnp/

পুরনো পথেই বিএনপি
বাহাউদ্দীন চৌধুরী
http://oldsite.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=13&dd=2009-12-15&ni=2892


Watch the videos (the tips of the iceberg):

 
YouTube -  

 Killer faruk rashid interview


__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] Please read





__._,_.___

Posted by: Sitangshu Guha <guhasb@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] Please watch





__._,_.___

Posted by: Sitangshu Guha <guhasb@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] অর্ধেকের বেশি শিক্ষক পদ্ধতিই বোঝেন না



অর্ধেকের বেশি শিক্ষক পদ্ধতিই বোঝেন না
প্রাথমিকে সৃজনশীল শিক্ষা বিষয়ে গবেষণা প্রতিবেদন
ইত্তেফাক রিপোর্ট২৫ জানুয়ারী, ২০১৬ ইং ২৩:৩৭ মিঃ


প্রাথমিক বিদ্যা-লয়ে প্রবর্তিত সৃজনশীল শিক্ষা পদ্ধতি বোঝেন না অর্ধেকেরও বেশি শিক্ষক। ২৫ ভাগ শিক্ষার্থী পরীক্ষার হলে প্রশ্নপত্রই বুঝতে পারে না। সৃজনশীল পদ্ধতির কার্যকারিতা নিয়ে পরিচালিত এক গবেষণায় এমন তথ্য পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার ধানমন্ডির দৃক গ্যালারিতে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে গবেষণা প্রতিষ্ঠান 'রিসার্চ ফর অ্যাডভান্সমেন্ট অফ কমপ্লিট এডুকেশন (রেস)'। এটি রেসের প্রথম গবেষণা প্রতিবেদন।
 
প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে গবেষকরা বলেন, সৃজনশীল পদ্ধতি চালুর নামে শিক্ষা ক্ষেত্রে রীতিমত নৈরাজ্য চলছে। সৃজনশীল পদ্ধতি ভাল হলেও এটার সঠিক প্রয়োগ হচ্ছে না। এ পদ্ধতি চালুর পর থেকে শিশুদের ওপর বইয়ের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। কাঁধে দুইটি ব্যাগ নিয়ে তারা নুইয়ে পড়ে। এত বইয়ের অত্যাচারে শিশুদের এক প্রকার নাভিশ্বাস উঠেছে। তাছাড়া সৃজনশীল পদ্ধতিতে ক্লাসে শিক্ষকেরা ছাত্র-ছাত্রীদের ভালভাবে পড়া বুঝিয়ে দেবেন; কিন্তু তার উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা কোনো মতে ক্লাস শেষ করেই কোচিংয়ের জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে। বলা হচ্ছে- তোমরা কোচিং সেন্টারে না গেলে পাস করতে পারবে না। শিক্ষকেরাও এই পদ্ধতি ভালভাবে না বুঝতে পেরে দায়সারা ভাবে ক্লাস নিচ্ছেন। সৃজনশীলের গাইড পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। সেই গাইড বইকে আরো সহজ করার জন্য আরো কিছু সাপোর্টিং বই বের হয়েছে। এরকম ভাবে শিক্ষা ক্ষেত্রে একটি ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু হয়েছে।
 
রেসের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. শরিফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, নৃ-বিজ্ঞানী ড. জহির উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী, সিনিয়র সাংবাদিক মুস্তাফিজ শফি, ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ। এছাড়াও সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার বাসাউরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক প্রসেন কান্তি তালুকদার এবং ঢাকার ধানমন্ডির মনেশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা স্বপ্না পারভীন আলোচনায় অংশ নেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রেসের সদস্য ফৌজিয়া আক্তার রিনি। অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রাথমিক শিক্ষার গবেষণার ওপরে ছয় মিনিটের একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
 
সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, সৃজনশীল শিক্ষাপদ্ধতি সমস্যা নয়, সমস্যা হলো এর প্রয়োগে। শিক্ষার নামে বাণিজ্য একটা মারাত্মক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষা নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য ও নৈরাজ্য চলছে, এটা সবাই জানে। সৃজনশীল পদ্ধতি নিয়ে যদি সরকারের সদিচ্ছা থাকতো তাহলে বেশি বেশি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারতো, এভাবে জরিপ করে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে পারতো।
 
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বইয়ের আধিক্য অস্বাভাবিক। এখনকার শিক্ষার্থীদের যে চাপে রাখা হয় তাতে কেউ-ই সৃজনশীল হতে পারবে না। যদি কোচিংয়েই যেতে হয় তাহলে স্কুলের দরকার কি? সৃজনশীল শিক্ষা পদ্ধতিটি চালু বিষয়ে তিনি বলেন, এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংকের অর্থায়নে কিছু ব্যক্তি কিছু দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা পরিদর্শন করে এসে এটা চালু করেন। কিন্তু যে দেশে ৮০ জন শিক্ষার্থীদের জন্য একজন শিক্ষক, শ্রেণিকক্ষ নেই- সেখানে মাল্টিমিডিয়া দিয়ে খুব একটা লাভ নেই।' সৃজনশীল শিক্ষা পদ্ধতির পেছনে হাজার হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সৃজন পদ্ধতি ভাল না মন্দ সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের সেটা নিয়ে মত দেয়ার পরিবেশ নেই উল্লেখ করে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, 'সরকারগুলো রাজনৈতিক কারণে পাসের হারের পেছনে দৌড়ায়। সেই সাথে চলছে ভয়ঙ্কর রকমের শিক্ষা বাণিজ্য। এই প্রবণতা বন্ধ না হলে ভবিষ্যত্ ভাল হবে না।
 
দেশের গ্রামীণ, শহর, সীমান্ত, হাওর এবং পার্বত্য অঞ্চলের ১৬টি জেলার ২১টি স্কুল নিয়ে জরিপ পরিচালনা করা হয়। গবেষণায় দেখা যায়, শতকরা ১৩ ভাগ শিক্ষক সৃজনশীল পদ্ধতি বোঝেন না, ৪৫ ভাগ শিক্ষক বুঝেন এবং ৪২ শতাংশ শিক্ষক অল্পবিস্তর বুঝতে পারেন। সুতরাং প্রাপ্ত উপাত্ত থেকে দেখা যায় অর্ধেকেরও বেশি শিক্ষক সৃজনশীল পদ্ধতি বিষয়ে বোঝেন না। যদি শিক্ষকদেরই ধারণা না থাকে বা না বুঝতে পারেন তাহলে তারা কিভাবে প্রাথমিক স্তরের শিশুদের শিক্ষা দিবেন। শতকরা ৪৭ ভাগ শিক্ষক বাজারে প্রচলিত গাইড বইয়ের উপর নির্ভর করেন, ৩৫ ভাগ শিক্ষক সহকর্মীদের সাথে আলোচনা করেন এবং ১৮ ভাগ শিক্ষক নিজেদের নিজস্ব ধ্যান ধারণা থেকে পড়ান। প্রায় অর্ধেকের মতো শিক্ষক গাইড বইয়ের সাহায্য নিচ্ছেন। সরকার কর্তৃক কোনো প্রশিক্ষণই দেয়া হয়নি তাদের। শতকরা ২৫ ভাগ শিক্ষক মনে করেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য সৃজনশীল পদ্ধতি উপযুক্ত নয়, ২০ ভাগ মনে করেন প্রচলিত পদ্ধতি আরো উন্নত করতে হবে, কিন্তু ৫৫ ভাগ মনে করেন সৃজনশীল পদ্ধতি কিছুটা কাজ করছে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে এক চতুর্থাংশ শিক্ষক মনে করছেন এটা প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার জন্য উপযুক্ত নয়।
 

গবেষণায় শিক্ষার্থীদের জন্য চারটি প্রশ্ন ছিল। এতে প্রাপ্ত উপাত্তগুলো হলো, ৯২ ভাগ শিক্ষার্থী গাইড বইয়ের সাহায্য নেয়। মাত্র ৮ ভাগ শিক্ষার্থী গাইড বই থেকে দূরে থাকে। সুতরাং শিক্ষার্থীদের গাইড বইয়ের উপর নির্ভরশীলতা প্রধান একটি সমস্যা। তারা নিজেদের সৃজনশীল করার চাইতে গাইড বইয়ে বেশি মত্ত রাখছে। ৬৭ ভাগ শিক্ষার্থী সৃজনশীল পদ্ধতি বুঝবার ক্ষেত্রে গৃহশিক্ষকের সহায়তা নিচ্ছে, যেখানে ৩৩ ভাগ নিচ্ছে না। সুতরাং দুই-তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থী গৃহশিক্ষকের সাহায্য নিচ্ছে। ফলে প্রাথমিক শিক্ষা গৃহশিক্ষক ও কোচিং নির্ভর হয়ে যাচ্ছে। পরীক্ষার কেন্দ্রে ২৫ ভাগ শিক্ষার্থী প্রশ্নপত্র বোঝতে পারে না। ৭৫ ভাগ শিক্ষার্থী বুঝতে পারছে। এক চতুর্থাংশ তাদের প্রশ্নই বুঝতে পারছে না।

ইত্তেফাক রিপোর্ট২৫ জানুয়ারী, ২০১৬ ইং ২৩:৩৭ মিঃ

http://www.ittefaq.com.bd/education/2016/01/25/52698.html



















__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] I know How To Develop !!!!!




"আমার কাছে দাবি করা লাগবে না। আমি সারা বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে ঘুরেছি। সমস্যা কী আমার জানা। আমি এও জানি কী করে উন্নতি হবে।"
- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

Bangladesh Awami League's photo.


__._,_.___

Posted by: Muhammad Ali <man1k195709@yahoo.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] Contested Narratives of Bangladesh: Whose Bangla is it anyway?



[Please make a note of this gang of serious enemies of Bangladesh who are out to destroy a Secular Bangladesh]

The Brethren of Black Lotus are a collective based between London and Dhaka, founded out of sorrow at the Massacre in Dhaka, and a hunger for understanding and justice.

<< Harrowing reports came out of Satkhira following the operation of the 16th to 19th of December 2013, from the indiscriminate hunting of all adult males, to the looting and destruction of homes in front of the children and women folk they left behind. Meanwhile, in Dhaka, there was no hue or cry and the show went on, with the leader of the main opposition placed under virtual house arrest and a constitutional coup d’etat carried out under the guise of a farcical election. >>

             [Completely concocted LIE.  I heard on the cybernews (not msm) in 2013 in the midst of intense campaign of jwalao-poRao that there was a boastful claim made by Hefajotis that Satkhira was an autonomous zone, independent of the rule of Bangladesh Govt.  ~ ~ FM]

https://ceasefiremagazine.co.uk/rage-joy-bangla-kitsch-culture-machine/

ceasefiremagazine.co.uk
Special Report | Rage against the ‘Joy Bangla!’ Kitsch Culture Machine

<<

Such Islamophobia in Bangladesh, as argued by Chintaa magazine’s Farhad Mazhar is the pervasive systematic practice of a culture of hatred and ignorance maintained by Bangladeshi cultural elites, through their portrayals of the characters of religious people and the religious, social and cultural practices of Islam. Such evidence is abundant in Bengali dramas, novels, stories and other media and genres. An evil character is almost invariably signified by an image of an Islamic religious personage with his bears and traditional attire of skullcap, long shirt, sarong and loose fitting pyjama bottoms. This video clip from a ‘Game Show’ on Ekushey TV demonstrates the banality of the culture machine.

This is a constant insult and humiliation, not only to the scholars and students of religious specialisms, but also to the majority of rural people, the urban poor and most self respecting Muslims. This was the basis of Hefazot e Islam’s ninth point of protest last year.

Stop the spread of Islamophobia among the youth through depiction of negative characters on TV plays and movies in religious attire and painting negative stereotypes of the beard, cap and Islamic practices on various media.







__._,_.___

Posted by: Farida Majid <farida_majid@hotmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

Newer Posts Older Posts Home