জনাব সৈয়দ আবুল মকসুদ: গবেষক, প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক-- উনি ২৪/০৯/২০১৩ কের প্রথম (অন্ধকার) আলোতে লিখেছেন -
(১) "জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৬৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে আমাদের যে ১৩২ সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গেল, এটি একটি আধা-তুঘলকি ব্যাপার। অনুমান করি, বাংলাদেশ ডেলিগেশন যদি হয় ১৩২ সদস্যের, তাহলে ভারতের ডেলিগেশন হবে অন্তত সাড়ে বারো শ এবং চীনের প্রতিনিধিদল হবে দেড় হাজার সদস্যবিশিষ্ট। কারণ, ভারত ও চীন বাংলাদেশের চেয়ে অন্তত ৮-১০ গুণ বড় এবং তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা বাংলাদেশের চেয়ে খারাপ নয়।"
মন্তব্য:
এই গবেষক, প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখকের - 'কুযুক্তি' (সেটা কুযুক্তি বলারও যোগ্য না) যে কত নির্বোধদের যুক্তির মত, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আমার মত অতি সাধারণ মানুষই তা সহজেই খন্ডন করতে পারবেন!
উনি কয়েকটি দেশের "বড় এবং তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা" তুলনা করে ও ভিত্তি ধরে - ওই বড় দেশ গুলোর দেড় হাজার সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধিদল হত - বলে বিজ্ঞ মত দিয়েছেন!
উনার 'যুক্তি' অনুসারে, ওই সমস্থ বড় দেশগুলির তো, তাহলে ১০ থেকে ১৫ জন প্রধানমন্ত্রী থাকতে হত!
আর, নিউজিল্যেন্ডের মত ছোট দেশের তো পূর্ণ একজন প্রধানমন্ত্রী পারতনা, ১জন প্রধানমন্ত্রীর ১/৪০ (০।২৫) জন প্রধানমন্ত্রী থাকত!
(২) "এই ডেলিগেশনে যাঁরা গেছেন, তাঁদের অন্যভাবেও প্রমোদভ্রমণে পাঠাতে পারত সরকার। তাতে একটি খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপিত হতো না।"
মন্তব্য:
এই গবেষক, প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখকের তথ্য সত্য না! উনি লিখছেন, "প্রমোদভ্রমণ" এবং "তাতে একটি খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপিত হতো না।"
"প্রমোদভ্রমণ" এবংএই ধরনের ''দৃষ্টান্ত'' জিয়ার আমল থেকে অনেকেই করেছেন এবং অনেক হয়ছে!
এবারই শুধু "দৃষ্টান্ত স্থাপিত" হই নাই আর এটি "প্রমোদভ্রমণ" ও নয়!
এত বড় গবেষক, প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক যদি কোনটা "প্রমোদভ্রমণ" এ গিয়ে আমোদ স্ফুর্তী করা (ঐতিহাসিক "হিজবুল বাহার"), আর কোনটা "জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ" দেওয়ার মাধ্যমে আনুসাঙ্গিক অভিজ্ঞতা অর্জনের - পার্থক্যটা না বোঝেন - তাহলে কি আর বলব!"
(৩) "সরকারকে দোষ দেব না, তার টাকা আছে নিয়ে গেছে। যাঁরা গেছেন, তাঁদের পুরোনো পাসপোর্ট দেখলে জানা যাবে, অনেকে অন্তত ২৫ বার আমেরিকা গিয়েছেন। এই একটিবার সরকারি টাকায় না গেলে কী হতো!"
মন্তব্য:
এই গবেষক, প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখকের তথ্য সত্য না! "যাঁরা গেছেন, তাঁদের পুরোনো পাসপোর্ট দেখলে জানা যাবে, ........ এই একটিবার সরকারি টাকায় না গেলে কী হতো!"
আসলে যাঁরা গেছেন, তাঁদের বেশীর ভাগ নিজের টাকায় গেছেন!
সেলুকাস, কী বিচিত্র আমাদের এই সব
দুর্নীতি ও দুর্নীতিবাজ সমর্থক , নীতি-আদর্শ হীন, জ্ঞানপাপী, মিথ্যুক, লোভী, নিঃলজ্জ, ভীরু অপেশাদার এবং মেরুদন্ড হীন সুশীল ও মিডিয়া!পুনশ্চ:
পুনশ্চ:
আমরা TVতে দেখেছি এই জ্ঞানপাপী, লোভী, নিঃলজ্জ, ভীরু অপেশাদার এবং মেরুদন্ড হীন সুশীল মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সাথে পদ্মা সেতু এলাকায় "বেড়াতে" গেছেন! এখন পর্যন্ত উনার যোগ্যতা হয়ত পদ্মা সেতু এলাকায় "বেড়াতে" যাওয়া পর্যন্ত, প্রধান মন্ত্রীর সাথে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার মত হয় নাই!
Did you forget Khaleda's tour of Saudi Arabia with 40 suitcases ??
From: Mohiuddin Anwar <mohiuddin@netzero.net>
To: akhtergolam@gmail.com; anis.ahmed@netzero.net; aahmed@voanews.com
Cc: manik195709@yahoo.com; mohibul.ezdanikhan@posten.se; khabor@yahoogroups.com; BaaiWdc@yahoogroups.com; baaiwdc_comm@yahoogroups.com; ovimot@yahoogroups.com; rezaul_khan@yahoo.com; farida_majid@hotmail.com; farahmina@gmail.com; dr.dipumoni@gmail.com; srbanunz@gmail.com; anis.ahmed@netzero.net; aabeamail@yahoogroups.com; aahmed@voanews.com; projonmochottar@gmail.com; nurunnaharshireen@yahoo.com; nurunnabi@gmail.com; shahanara.rahman@yahoo.com
Sent: Tuesday, September 24, 2013 5:26 PM
Subject: প্রমোদভ্রম ণ Last Promodbhromon of Jononetri ?
প্রমোদভ্রমণ
24 September 2013, Tuesdayইবনে বতুতা একবার ঘুরতে ঘুরতে বাংলাদেশে এসেছিলেন। তিনি সিলেটে গিয়ে দেখা করেছিলেন মহান আধ্যাত্মিক সাধক হজরত শাহজালালের সঙ্গে। দিল্লিসহ ভারতের অন্যান্য জায়গায়ও যান। সম্ভবত ইবনে বতুতার সফরের পর থেকেই বাঙালিকে বিশ্বভ্রমণের নেশায় পেয়ে বসেছে। তবে আমরা
দিব্যি দিয়ে বলতে পারি, ইবনে বতুতা কিংবা ফা হিয়েন বা হিউয়েন শাঙ প্রমুখ বিশ্বপর্যটক যত না দুনিয়া ঘুরেছেন, আমাদের ক্ষমতাবান ও বিত্তবানেরা তার চেয়ে বহুগুণ বেশি ঘুরেছেন সারা পৃথিবী।
ইবনে বতুতা যখন উপমহাদেশে আসেন তখন ছিল ভারতবর্ষের ইতিহাসে একটি তাৎপর্যপূর্ণ সময়। সেটা তুঘলকি শাসনামল। তখনো পূর্ব বাংলা ও পশ্চিমবঙ্গ ছিল আলাদা—একই ভাষায় দুই অঞ্চলের মানুষ কথা বললেও। গিয়াসউদ্দিন তুঘলক পশ্চিমবঙ্গকে তাঁর সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করেন। তারপর তাঁর অধিকারে নেন পূর্ব বাংলাকে। পূর্ব বাংলা থেকে যখন ফিরে যান, তাঁরই পুত্র জৌনা খাঁ দিল্লিতে এক বিশাল সংবর্ধনার আয়োজন করেন। বিপুলসংখ্যক হাতি দিয়ে করা হয় শোভাযাত্রা। মঞ্চটি করা হয়েছিল কাঠের। বিশাল শামিয়ানা। গিয়াসউদ্দিন তুঘলককে তাঁর পুত্র মঞ্চের ওপরে তুলে দেন। সম্ভবত হাতি ধাক্কা দেয়। মঞ্চ ভেঙে পড়ে। অতি উঁচু মঞ্চের নিচে চাপা পড়ে গিয়াসউদ্দিন নিহত হন। ইবনে বতুতা তাঁর সফরনামা রিহলি-তে লিখেছেন, 'ওটি কোনো আকস্মিক দুর্ঘটনা ছিল না, পুত্র জৌনা খাঁই ষড়যন্ত্র করেছিলেন। পিতার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে তিনি সিংহাসনে বসে পড়েন এবং নতুন নাম গ্রহণ করেন মুহম্মদ বিন তুঘলক। ১৩২৫ থেকে ১৩৫১ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তিনি ভারতবর্ষ শাসন করেন। তিনি একই সঙ্গে ছিলেন সুযোগ্য ও সুশিক্ষিত, অত্যাচারী ও খামখেয়ালি। তিনি দিল্লি থেকে রাজধানী সরিয়ে নেন দেবগিরিতে। আবার তা ফিরিয়ে আনেন দিল্লিতে। তাই এখনো লোকে বলে—তুঘলকি কাণ্ড!
তুঘলকি কাণ্ড শুধু মুহম্মদ বিন তুঘলক একা করেননি, গত ৬৬২ বছরে বহু সরকার বহুবার করেছে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৬৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে আমাদের যে ১৩২ সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গেল, এটি একটি আধা-তুঘলকি ব্যাপার। অনুমান করি, বাংলাদেশ ডেলিগেশন যদি হয় ১৩২ সদস্যের, তাহলে ভারতের ডেলিগেশন হবে অন্তত সাড়ে বারো শ এবং চীনের প্রতিনিধিদল হবে দেড় হাজার সদস্যবিশিষ্ট। কারণ, ভারত ও চীন বাংলাদেশের চেয়ে অন্তত ৮-১০ গুণ বড় এবং তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা বাংলাদেশের চেয়ে খারাপ নয়।
সরকারকে দোষ দেব না, তার টাকা আছে নিয়ে গেছে। যাঁরা গেছেন, তাঁদের পুরোনো পাসপোর্ট দেখলে জানা যাবে, অনেকে অন্তত ২৫ বার আমেরিকা গিয়েছেন। এই একটিবার সরকারি টাকায় না গেলে কী হতো! তাঁদের পেছনে রাষ্ট্রের কয়েক কোটি টাকা খরচ। রানা প্লাজা ও তাজরীনের পঙ্গু শ্রমিকেরা ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুর দিকে যাচ্ছে। কিছু টাকা তারা পেলে একটু ভালো থাকত।
বাম বিপ্লবী দলের যেসব নেতা গেছেন, তাঁরা জানেন আগামী নির্বাচনে বিপুল ভোটে তাঁদের বিজয় অবধারিত। আর যদি কোনো কারণে জামানতের টাকাটা সরকারের ট্রেজারিতে জমাই পড়ে, তাহলে বিপ্লবের পথ তো খোলা আছেই। কোনো কোনো নেতা প্রতি ঋতুতে আমেরিকা যান এ জন্য যে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ কতটা খারাপ তা সরেজমিনে না দেখলে তোপখানা রোড ও বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে সেটার ধ্বংস চেয়ে স্লোগান দেওয়া সম্ভব নয়। বাংলার দুর্ভাগা জনগণকে দোষ দিয়ে কী লাভ? তারা মানুষ চেনে। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা মজফফর আহমদ কোনো দিন বিদেশে প্রমোদভ্রমণে যাননি।
প্রতিনিধিদলের সদস্যদের জীবনবৃত্তান্ত পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, তাঁদের অধিকাংশেরই ছেলেমেয়ে আমেরিকায় থাকেন। রাষ্ট্রীয় অর্থে তাঁদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার মওকা পাওয়া মন্দ কি! তাঁদের নিয়ে কয়েকটা দিন ফুর্তিতে ঘোরাফেরা, কেনাকাটা চলবে।
সরকারপ্রধানের সঙ্গে সফরে গেলে সবচেয়ে বড় স্যুটকেসগুলোই নিতে হয়। আসার সময় ওসব স্যুটকেস থাকে মালপত্রে ঠাসা। কারও কারও স্যুটকেসের খোলের ভেতরে আস্ত ডিপার্টমেন্ট স্টোর। কাস্টমস কর্মকর্তারা তা ছুঁয়ে দেখা তো দূরের কথা, কোনো প্রশ্নই করার দুঃসাহস পান না। তা করলে এক হপ্তার মধ্যে বিমানবন্দর থেকে বদলি। যে প্রতিনিধিদল গেছে, তা একটি বিয়ের বরযাত্রীর সমান। করুণা হচ্ছে মিস্টার বান কি মুনের জন্য। তিনি যে মেজবানি বা ভোজ দেন, তাতে যদি বাংলাদেশের সবাই যোগ দেন এবং খাওয়া কম পড়ে, তার দায় তাঁর নয়—জাতীয়তায় যাঁরা বাঙালি, তাঁদের।
এই ডেলিগেশনে যাঁরা গেছেন, তাঁদের অন্যভাবেও প্রমোদভ্রমণে পাঠাতে পারত সরকার। তাতে একটি খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপিত হতো না। এবার যাওয়ায় হয়তো সুযোগ-সুবিধা একটু বেশি পাবেন। আর কারও কারও জীবনীতে লেখা হবে, তিনি ২০১৩-তে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে যোগ দেন প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে।
শুনেছি সুইডেন, ডেনমার্ক প্রভৃতি দেশ থেকে তিন-চারজনের বেশি আসেন না। বড় হলঘরে যেখানে প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দেবেন, সেখানে পাঁচটির বেশি আসন নেই। দর্শকদের ঘরে আর পাঁচজন। অন্যরা বারান্দায় হাঁটাহাঁটি অথবা স্ক্রিনে কোথাও বসে দেখতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী নিরাপত্তাকর্মীসহ সাকল্যে জনা পঁচিশেক হলে খুব ভালো হতো। কুদৃষ্টান্ত অনুসরণে বাংলাদেশি সরকারের জুড়ি নেই। ভবিষ্যতে যদি জাতীয়তাবাদী বা আব্বাসীয় বা উমাইয়া খলিফাদের ধাঁচের কোনো সরকার ২৪০ জন নিয়ে জাতিসংঘে যায়, প্রবল প্রগতিশীলেরা তার নিন্দা করবেন কোন মুখে!
সৈয়দ আবুল মকসুুদ: গবেষক, প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক।
(prothom-alo, 24/09/2013)
____________________________________________________________
One Weird Trick
Could add $1,000s to Your Social Security Checks! See if you Qualify…
newsmax.com
--
দেশে বিদেশে বাঙ্গালীরা এবং বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ গুনুমুগ্ধ ভক্ত গন
সুখে থাকুন, ভালো থাকুন এবং নিরাপদে থাকুন
জয় বাংলা , জয় বঙ্গবন্ধু
শুভেচ্ছান্তে
Engr. Shafiqur Rahman Anu
__._,_.___