বিভাষ বাড়ৈ ॥ অপপ্রচার চালাতে কোন রকম তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে ৩০ কোটি ডলার পাচারের কথা তুলে চ্যালেঞ্জের মুখেই পড়লেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে পুরো বিএনপি। যুক্তরাষ্ট্রে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা জয়কে হত্যা চেষ্টার মামলায় বিএনপিপন্থী সাংবাদিক শফিক রেহমান ফেঁসে যাওয়ার পর প্রশ্নের মুখে পড়া খালেদা জিয়া কৌশলে জয়কে জড়িয়ে অর্থপাচারের অভিযোগ তুলেছিলেন। কিন্তু এবার সেই টাকার খোঁজ দিতে খালেদার কাছেই দাবি তুলেছেন জয়। স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, 'ম্যাডাম, আপনি যদি জানেন যে ৩০০ মিলিয়ন ডলার কোথায়, অনুগ্রহ করে আমাকে জানান। আমি সেই সমস্ত অর্থ এতিমদের দান করে দিতে চাই।'
খালেদা জিয়ার কাছে জয়ের স্পষ্ট এ দাবিকে কেন্দ্র করে রীতিমতো তোলপাড় চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। রাজনৈতিক বিশ্লেষকসহ প্রত্যেকেই বলছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে অবশ্যই এখন তথ্যপ্রমাণ হাজির করতে হবে। এটা তার জন্য এখন চ্যালেঞ্জ। নিজের পরিচ্ছন্ন অবস্থানের জন্য সাধারণ মানুষ জয়কে অভিনন্দন জানালেও খালেদা জিয়াকে নিজের অবস্থান পরিষ্কারের আহ্বান জানিয়েছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির অন্যান্য নেতা বিশেষত চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার জয়কে জড়িয়ে অর্থপাচারের কাহিনী প্রচারের কারণ মূলত সাংবাদিক শফিক রেহমানের আটক ও তার মাধ্যমে দলের একের পর এক গোমর ফাঁস হয়ে যাওয়ার আতঙ্ক। শফিক রেহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তার বাড়িতে অভিযানের পর এফবিআইয়ের গুরুত্বপূর্ণ কাগজ, জয়ের নানা তথ্যসহ একের পর এক অপরাধের প্রমাণ বেরিয়ে আসছে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যেই বড় ধরনের সঙ্কটে পড়ার ভয় ঢুকে গেছে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বে। দলটির নেতারা সন্দেহ করছেন, যে কোন সময় তাদের দলের অন্য অনেকে জড়িয়ে পড়তে পারেন। খোদ খালেদাপুত্র তারেক রহমানের জড়িত থাকার চিন্তায় উদ্বিগ্ন দলটির নেতারা। এমন এক পরিস্থিতিতে হঠাৎ করেই খালেদা জিয়া বলে বসলেন, প্রধানমন্ত্রীর পুত্রের একটি এ্যাকাউন্টেই আড়াই হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ ৩০০ মিলিয়ন ডলার জমা আছে। এক সপ্তাহে অন্তত দু'বার এ কথা বলেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন। কেবল তাই নয়, এ কাজে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মামলার নথির কথাও যুক্ত করেছেন কোন তথ্যপ্রমাণ ছাড়া। খালেদা জিয়া জয়কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি তোলেন।
জয়কে প্রাণনাশের চক্রান্তের মামলায় শফিক রেহমানকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানিয়ে শনিবার রাজধানীতে আয়োজিত এক সভায় খালেদা জিয়া বলেন, সেই মামলার নথিতেই আছে প্রধানমন্ত্রীর পুত্রের একটি এ্যাকাউন্টেই আড়াই হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ ৩০০ মিলিয়ন ডলার জমা আছে। এই টাকা কোথা থেকে গেছে? এই টাকার উৎস কী? জয়ের বিষয়ে তথ্য পেতে এফবিআইয়ের এক এজেন্টকে ঘুষ দেয়ার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে প্রবাসী এক বিএনপি নেতার ছেলে রিজভী আহমেদ সিজারের বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে এ কথা বলেন খালেদা জিয়া। ওই মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে সিজারের কারাদ-ের পর বাংলাদেশ পুলিশ জয়কে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ঢাকায় মামলা কওে, যে মামলায় আটক হন শফিক রেহমান।
শনিবারের বক্তব্যের পর রবিবার একই বিষয়ে কথা বলেন খালেদা জিয়া। রবিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মে দিবসের সমাবেশে খালেদা জিয়া কথিত ৩০ কোটি ডলার নিয়ে ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি জানান। সমাবেশ মঞ্চে টাঙানো শফিক রেহমানের মুক্তির দাবিতে পোস্টার দেখিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, শফিক রেহমান কোন রাজনীতি করেন না। তাকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হলো কেন? তার দোষটা কী ছিল? দোষটা ছিল- প্রধানমন্ত্রীর পুত্র... কী যেন নাম? উপস্থিত বিএনপি নেতাকর্মীরা এ সময় 'চোর চোর', 'ভুয়া ভুয়া' বলে আওয়াজ দিতে থাকেন।
খালেদা বলেন, আদালত তার (সজীব ওয়াজেদ জয়) এ্যাকাউন্টে ৩০০ মিলিয়ন ডলার, আড়াই হাজার কোটি টাকা নিয়ে সন্দেহ করেছে। এফবিআই এই টাকা তদন্ত করে পেয়েছে। এখানে শফিক রেহমানের দোষটা কোথায়? তাকে গ্রেফতার করে এখন নাটক চলছে। শফিক রেহমান, মাহমুদুর রহমানের মুক্তি দাবি করে খালেদা প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, আপনি তাদের যদি মুক্তি না দেন, আপনি যদি সত্যি সত্যি দেশের মানুষের প্রধানমন্ত্রী হয়ে থাকেন, তাহলে এই যে ৩০০ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ আড়াই হাজার কোটি টাকা আপনার ছেলে জয় কোথা থেকে পেল, তাকে ভেতরে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার। ওই অর্থগুলো কি বৈধ? এই ঘটনা 'চাপা দেয়া যাবে না' বলেও আওয়ামী লীগকে হুঁশিয়ার করেন বিএনপি চেয়ারপার্সন।
তবে একতরফাভাবে একের পর এক অভিযোগ তোলায় এবার ঠিকই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। ফেসবুক স্ট্যাটাসে খালেদা জিয়ার কাছেই কথিত ওই অর্থের উৎস বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়েছেন জয়। খালেদা জিয়াকে 'চোর ও মিথ্যাবাদী' আখ্যায়িত করে তিনি রবিবার ফেসবুকে লিখেছেন, 'একজন মহিলা, যিনি এতিমের টাকা চুরি করেছেন, যার ছেলে দুর্নীতির কারণে এফবিআই কর্তৃক পলাতক আসামি, তার মতো লোকের অবশ্যই বঙ্গবন্ধুর নাতির দিকে কাদা ছোড়া উচিত নয়।' কোন ধরনের দুর্নীতিতে নিজের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা জয় বলেছেন, 'আপনার (খালেদা) পোষা ভৃত্য মাহমুদুর রহমান এবং শফিক রেহমান এফবিআইয়ের গোপন নথি চুরি করে আমার সব ব্যাংক হিসাবের তালিকা পেয়েছে, কিন্তু সেই টাকা খুঁজে পায়নি। ১/১১-এর সামরিক শাসকরা যারা আমার মাকে আটক করেছিল, তারাও সেটি খুঁজে পায়নি। এমনকি এফবিআই সেটি পায়নি। এটা এজন্য যে, আমি ৩০০ মিলিয়ন ডলারের কাছাকাছিও কোন সম্পদ কোনদিন অর্জন করিনি। আমি তত ধনী নই।'
এদিকে খালেদা জিয়ার কাছে জয়ের স্পষ্ট এ দাবিকে কেন্দ্র করে রীতিমতো তোলপাড় চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতেই অন্যকে অপবাদ দিচ্ছেন। পেট্রোলবোমা বাহিনীর নেত্রী (খালেদা) হরর মুভির নায়িকাকেও হার মানিয়ে দেশের সাধারণ মানুষের ওপর পেট্রোলবোমা মেরেছেন। হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে পর পর পাঁচবার চাম্পিয়ন হয়েছে। এমনকি এতিমের টাকা চুরির অভিযোগে তার (খালেদা জিয়া) বিরুদ্ধে মামলা চলছে। নিজের, নিজের পুত্রের এবং দলের দুর্নীতি আড়াল করার জন্য জাতির সঙ্গে মশকরা করেছেন খালেদা জিয়া। তাই খালেদাকে বলব কথাবার্তা সাবধানের সঙ্গে বলবেন। নিজেদের দুর্নীতি ঢাকার জন্য অন্যকে অপবাদ দেবেন না।
- See more at: https://www.dailyjanakantha.com/details/article/188813/এবার-জয়ের-চ্যালেঞ্জের-মুখে-বেকায়দায়-খালেদা-জিয়াFrom: Farida Majid <farida_majid@hotmail.com>
Date: Mon, May 2, 2016 at 3:41 PM
Subject: Re: {NA Bangladeshi Community} Joy and 300 million dollar
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আপনার পোষা ভৃত্য মাহমুদুর রহমান এবং শফিক রেহমান এফবি আই এর গোপন নথি চুরি করে আমার সব ব্যাংক হিসাবের তালিকা পেয়েছে, কিন্তু সেই টাকা খুঁজে পায়নি। ১/১১ এর সামরিক শাসকেরা যারা আমার মাকে আটক করেছিলো তারাও সেটি খুঁজে পায় নি। এমনকি এফবি আই সেটি পায় নি।
http://www.amadershomoy.biz/unicode/2016/05/02/103908.htm#.VydjHdJ96vh
Sent: Tuesday, May 3, 2016 12:23 AM
To: Mohammed Islam
Cc: Muazzam Kazi; nabdc@googlegroups.com; rashedanam1971@gmail.com; rajakhan33@hotmail.com; rms34@hotmail.com; Ranu Chowdhury; Jalal Uddin Khan; Isha Khan; Zoglul Husain; Mohammad Gani; Mohamed Nazir; aleem53@yahoo.com
Subject: Re: {NA Bangladeshi Community} Joy and 300 million dollar
Are you insane to call Joy mama? call him blood sucker, call him thugs, call him dakat.Now we now where the share market money poured in, where Bangladesh bank money poured in.Sent from my iPhone
On May 2, 2016, at 1:45 PM, 'Muazzam Kazi' via North America Bangladeshi Community <nabdc@googlegroups.com> wrote:
I copy and paste following link for your information:
He had three hundred million dollars in 2012, in USA only, we have no idea how much money hehas in China, Russia and India.I am sure he worth billion dollar by 2016, great jobJoy mama.
__._,_.___