Banner Advertiser

Thursday, May 14, 2015

[mukto-mona] কোথায় আছেন হারিছ চৌধুরী !



কিবরিয়া হত্যা মামলা

হারিছ চৌধুরীসহ সব পলাতক আসামির ক্রোকাদেশ তামিল

স্টাফ রিপোর্টার, হবিগঞ্জ থেকে | ১৫ মে ২০১৫, শুক্রবার




কোথায় আছেন হারিছ চৌধুরী !

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে : 


চারদলীয় জোট সরকারের আমলে দোর্দণ্ড প্রতাপশালী ছিলেন তিনি। সরকারের প্রশাসনে তার খবরদারিতে রীতিমতো অতিষ্ঠ ছিলেন কর্মকর্তারা। নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতিতে তার কথাই ছিল যেন শেষ কথা। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ডেও ছিল তার অযাচিত হস্তক্ষেপ। এতকিছুর পরও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হওয়ায় সরকার ও দলের অনেক ঊর্ধ্বতন কর্তাব্যক্তিরাও তাকে 'ম্যানেজ' করে চলতেন। আলোচিত-সমালোচিত সেই তিনি হচ্ছেন হারিছ চৌধুরী। যাকে রাজনৈতিক সচিব হিসেবে নিয়োগ দেয়া মস্তবড় ভুল ছিল বলে মনে করেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি তাঁর ঘনিষ্ঠদের কাছে বিভিন্ন সময় এ কথা বলেছেন বলে সূত্র জানিয়েছে।
দলীয় সূত্র জানায়, বিএনপির দুরাবস্থার পেছনে হারিছ চৌধুরীও দায়ী বলে মনে করেন খালেদা জিয়া। ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি সরকার ও দলে নিজেকে যেভাবে পরাক্রমশালী হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন তা পরবর্তীতে বিএনপির জন্য কাল হয়েছিল বলে মনে করেন তিনি। খালেদা জিয়া তাঁর ঘনিষ্ঠদের কাছে বিভিন্ন সময় বলেছেন, হারিছ চৌধুরীকে রাজনৈতিক সচিব করার সিদ্ধান্ত ছিল বড় ধরনের ভুল। তার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য এক-এগারোর সময় বিএনপিকে চরম বেকায়দায় পড়তে হয়েছিল বলেও মনে করেন তিনি।
এক-এগারোর পট পরিবর্তনের পর বিএনপির রাজনীতি থেকে অনেকটা হারিয়ে যান হারিছ চৌধুরী। এক সময় হাওয়া ভবনের ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের সময় দেশ থেকে পালিয়ে যান তিনি। প্রথমে সিলেট সংলগ্ন ভারতের করিমগঞ্জ জেলায় অবস্থান করেন। দেশে ফেরার সুযোগের অপেক্ষায় থাকেন ২০০১ সালের পর বিএনপি রাজনীতিতে রাতারাতি প্রভাবশালী হয়ে ওঠা ওই নেতা। তবে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসলে তার পক্ষে আর দেশে ফেরার সম্ভব হয়নি। ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন পলাতক সন্ত্রাসী আটকের পর্ব সেখানে আর নিজেকে নিরাপদ মনে করেননি হারিছ চৌধুরী। তাই অনেকটা নিরুপায় হয়েই হতাশ হারিছ চৌধুরী মালয়েশিয়ায় চলে যান। সেখানে আগে থেকে পলাতক সাবেক বিতর্কিত কূটনীতিক খায়রুজ্জামান নিরাপদ আশ্রয় দিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
মাঠের রাজনীতি ও নেতাকর্মীদের অনেকটা অপরিচিত হারিছ চৌধুরী ২০০১ সালে চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব-১ হিসাবে নিয়োগ পেয়ে চমক দেখান। একটি বিশেষ ভবনের কর্তাদের আশীর্বাদে সে সময় দল ও সরকারের গুরম্নত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ পান তিনি। জোট সরকারের পাঁচ বছরের শাসনামলে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি হারিছ চৌধুরীকে। খালেদা জিয়া ও হাওয়া ভবনের অতিশয় আস্থাভাজন হওয়ার সুবাদে বিপুল ক্ষমতা করায়ত্ত করেছিলেন তিনি। ক্ষমতার নির্বিচার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে তিনি শত শত কোটি টাকা ও সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বাড়িতে পুষতেন বন থেকে আনা হরিণ। আর ক্ষমতার সোনার হরিণ হাতের মুঠোয় নিয়ে দেশ-বিদেশে নামে বেনামে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলেন হারিছ চৌধুরী।
সূত্র জানায়, শুধু অনিয়ম, দুর্নীতি আর ক্ষমতার যথেচ্ছ ব্যবহারেও ক্ষান্ত ছিলেন না তিনি। পর্দার আড়ালে থেকে অনেক অঘটনের সঙ্গেই সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন হারিছ চৌধুরী। আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডে সুষ্ঠু বিচারের পথে বাধা সৃষ্টি করতে তিনি তৎপর ছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। জোট সরকারের পাঁচ বছরে অর্থের বিনিময়ে চাকরি, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, বদলি ও পদোন্নতি নিয়ন্ত্রণ করেছেন হারিছ চৌধুরী। মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে গুলশানে নামে-বেনামে একাধিক বাড়ি, কমপক্ষে পাঁচটি অভিজাত ফ্ল্যাট, লন্ডন ও অস্ট্রেলিয়ায় একাধিক বাড়ি এবং ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মালিক হয়েছেন। শুধু নিজেই নয়, একাধিক আত্মীয়স্বজনকেও কোটিপতি বানিয়ে দিয়েছিলেন হারিছ চৌধুরী। ক্ষমতার সীমাহীন চর্চার কারণে বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মীই তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। দুদকের দায়ের করা মামলায় তৎকালীন বিশেষ জজ আদালতের প্রথম রায়ে ২০০৭ সালের ২১ মে হারিছ চৌধুরীকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। কিন্তু আরও তার সন্ধান বের করতে পারেনি কেউই।
হারিছ চৌধুরী উধাও রহস্য
* মাথার ওপর ঝুলছে দুদকের মামলা-জেল * সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার খড়গ * নিজের দলেও তাকে ঘিরে বিতর্ক
শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট



  1. যুক্তরাজ্যে এখন চোরের মত পালিয়ে আছেন হারিছ চৌধুরী ! 

    কিন্তু কেন ??

    হারিছ চৌধুরী। বহুল আলোচিত একটি নাম। তিনি আর কেউ নন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব। বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তিনি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এ পদটিতে ছিলেন। ওই সময় বিএনপি সরকারের প্রত্যেকের কাছে তিনি ছিলেন বিরাট ক্ষমতার এক মহীরুহ। দোর্দণ্ড প্রতাপে তিনি শুধু নিজেই ক্ষমতার ব্যবহার ...

হারিছ চৌধুরী কোথায়?





__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] divide-pakistan-to-eliminate-terrorism





__._,_.___

Posted by: Sitangshu Guha <guhasb@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] Re: যুক্তরাষ্ট্র হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে আওয়ামী – ভারতীয় থাবা; অতঃপর সেমিনার



How can this Abid Bahar become a University Professor in Canada? He is ISIL or BOKO HARAM man.

Sent from my iPhone

On May 15, 2015, at 3:48 AM, Abid Bahar <abid.bahar@gmail.com> wrote:

PUPPETS, AGENTS AND PATRIOTS!
This amphibious man serving foreign interest named De Elder identifies even 1971 war veteran  Mollas/ Murshis but for what reason? If a person is anti fascism, anti Indian and anti Awami fascism, does that mean he got to be a mullah or he could be a patriot?Well, Awamis call Quader Siddiqui, and Zia as razakars and Hasina as the #1 freedom fighter.
 I am still waiting for this shameless man called De Elder to tell us his real name and the Indian spy branch he works for!
It is urgently needed to find out the true puppets, agents, Indian razakars and patriots.

On Thu, May 14, 2015 at 10:10 AM, Shah DeEldar <shahdeeldar@gmail.com> wrote:
When do these congenital communal clowns have become humanists? Bangladesh might be facing a crisis in democracy but ISIL/Boko-Haram sympathizers would not bring any democracy that we are so gullible about. It is like asking Morsi to deliver us another brotherhood like democracy? Democratic minds do not grow in the vacuum, dear. Awamis are no saints but these ugly BNP/Jamatis would certainly make Bangladesh as another failed state of South Asia . Why? That is the nature of the beast! It has been eating/feeding and spewing the same garbage for long time. It thinks people have already forgotten their ruling period when genocidal killers were given ministries. For these people democracy is a tool to get to the next step. Fool me twice, shame on me!

On Thu, May 14, 2015 at 9:12 AM, 'Quazi Nuruzzaman' via Bangladesh Progressives <bangladesh-progressives@googlegroups.com> wrote:


Sent from my iPhone

Begin forwarded message:

From: Rezaul Karim <rezaulkarim617@gmail.com>
Date: May 13, 2015 at 11:44:53 PM EDT
To: "nabdc@googlegroups.com" <nabdc@googlegroups.com>,  "pfc-friends@googlegroups.com" <pfc-friends@googlegroups.com>,  Bangladeshi Americans <bangladeshiamericans@googlegroups.com>,  Bangladesh Zindabad <bangladesh-zindabad@yahoogroups.com>,  Bangladesh Progressives <bangladesh-progressives@googlegroups.com>, BDPANA <BDPANA@yahoogroups.com>,  "baainews@yahoogroups.com" <baainews@yahoogroups.com>, "BANGLADESH C.FORUM" <bdesh_cul.forum@yahoo.com>
Subject: যুক্তরাষ্ট্র হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে আওয়ামী – ভারতীয় থাবা; অতঃপর সেমিনার
Reply-To: rezaulkarim617@gmail.com

--
--
* Disclaimer: You received this message because you had subscribed to the Google Groups "Bangladeshi-Americans Living in New England". Any posting to this group is solely the opinion of the author of the messages to BangladeshiAmericans@googlegroups.com who is responsible for the accuracy of his/her information and the conformance of his/her material with applicable copyright and other laws where applicable. The act of posting to the group indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator(s). To post to this group, send email to BangladeshiAmericans@googlegroups.com.
To unsubscribe from this group, send email to BangladeshiAmericans-unsubscribe@googlegroups.com
For more options, visit this group at http://groups-beta.google.com/group/BangladeshiAmericans?hl=en ].

---
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "Bangladeshi-Americans Living in New England" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to bangladeshiamericans+unsubscribe@googlegroups.com.

For more options, visit https://groups.google.com/d/optout.

--
--
Disclaimer: All content provided on this discussion forum is for informational purposes only. The owner of this forum makes no representations as to the accuracy or completeness of any information on this site or found by following any link on this site. The owner will not be liable for any errors or omissions in this information nor for the availability of this information. The owner will not be liable for any losses, injuries, or damages from the display or use of this information.
This policy is subject to change at anytime.

---
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "Bangladesh Progressives" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to bangladesh-progressives+unsubscribe@googlegroups.com.

For more options, visit https://groups.google.com/d/optout.




__._,_.___

Posted by: "Dr.Gholam Mostofa" <mostofadrgholam@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা এবং রবীন্দ্রনাথ ও অন্যান্য মিথ্যা মিথ - ৪ (শেষাংশ)



শনিবার, ১৫ অক্টোবর ২০১১, ৩০ আশ্বিন ১৪১৮
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা এবং রবীন্দ্রনাথ ও অন্যান্য মিথ্যা মিথ
কুলদা রায় ও এমএমআর জালাল
(শেষাংশ)

ঢাকা শহরের পূর্ব সীমান্তে একদল স্কাউট, বহুসংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক ও শহরের বিশিষ্ট ভদ্রলোক উপস্থিত ছিলেন। রবীন্দ্রনাথের মোটর দৃষ্টিপথে প্রবিষ্ট হইবামাত্র ঘন ঘন জয়ধ্বনি উত্থিত হয়। তারপর ঢাকার নবাব বাহাদুরের হাউস বোট তুরাগে কবির বিশ্রামের ব্যবস্থা হয়। তুরাগে যাওয়ার পথটি কলাগাছের চারা দিয়ে সাজানো হয়েছিল।
রবীন্দ্রনাথকে প্রথম অভিনন্দনটি জ্ঞাপন করা হয়েছিল ৭ ফেব্রুয়ারি ১৯২৬ তারিখের বিকেল চারটেয় মিউনিসিপ্যালিটি এবং পিপলস এ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে ঢাকার নর্থব্রুক হলে। সমসত্ম হলটি পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল এবং বাইরেও ঘন জমায়েত হয়েছিল। ঢাকা মিউনিসিপ্যালিটির কমিশনারগণ মানপত্রে লেখেন।
হে জাতীয়তার দার্শনিক প্রচারক। হিন্দু-মুসলমানের স্থায়ী মিলন কেবল সাহিত্য ও শিক্ষার ভেতর দিয়াই সম্ভবপর। বর্তমান বিরোধ ও অনৈক্য সমাধানের এই গুহ্য মন্ত্র তুমি বহু পূর্ব হইতেই প্রচার করিয়া আসিতেছ। জাতির প্রতি অত্যাচারে নিজকে লাঞ্ছিত মনে করিয়া তুমি রাজদত্ত দুর্লভ সম্মান ঘৃণায় পরিত্যাগ করিয়াছ; দেশবাসীর নিগৃহ হেতু কানাডার নিমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করিয়া আত্মসম্মানবোধ ও দেশনেতার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত প্রদর্শন করিয়াছ।
এরপরই ঢাকা জনসাধারণের কর্তৃক একটি মানপত্র পাঠ করা হয়। সেখানেও নাইট উপাধি ত্যাগের কথা উলেস্নখ করা হয়েছে। শান্তিনিকেতন, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশংসা করা হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ এখানে একটি লিখিত বক্তব্য দেন।
করোনেশন পার্কে বিকেল ৫.৩০-এ কবিকে আরেকটি সংবর্ধনা দেয়া হয়। উপস্থিত ছিল দশ হাজার লোক। ঢাকা রেটপেয়ার্স এ্যাসোসিয়েশন মানপত্রে বলেন যে, লর্ড কার্জন বাহাদুরের শাসনকালে বঙ্গ বিভাগের ফলে পূর্ববঙ্গ যখন পশ্চিমবঙ্গ হইতে বিচ্ছিন্ন হইয়াছিল তখন সেই কূটনীতির বিরম্নদ্ধে আপনি কাব্যে ও সঙ্গীতে যে ভীষণ সংগ্রাম ঘোষণা করিয়াছিলেন তাহাও আজ স্মরণ-পথে উদিত হইতেছে।
নবাব বাহাদুর খাজা হাবিবু্ল্লাহর সভাপতিতে হিন্দু মোসলেম সেবাশ্রমের পক্ষ থেকে মানপত্র দেয়া হয়।
১০ ফেব্রম্নয়ারি ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল পরিদর্শন করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তারপর দুপুর আড়াইটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্জন হলে উপস্থিত হন। এখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যার্থী সঙ্ঘ তাঁকে একটি কাব্যাভিনন্দন প্রদান করে।
এখানেই বিকেলে মুসলিম হলে ছাত্র ইউনিয়ন সংবর্ধনার বিপুল আয়োজন করে। ছাত্রসংসদ কবিকে আজীবন সদস্যপদরূপে গ্রহণ করে। মুসলিম হলে সংবর্ধনা সম্পর্কে আবুল ফজলের স্মৃতিচারণ- 'কবি যখন ঢুকলেন হল ঘরের প্রবেশ পথ থেকেই কবির উপর শুরম্ন হয়েছে পুষ্পবৃষ্টি।' মুসলিম হল ছাত্রবৃন্দ মানপত্রে বলেন যে, বিধাতা বড় দয়া করিয়া, প্রাণহীন ভারতের দুর্দিনে তোমার মত বিরাট-প্রাণ মহাপুরম্নষকে দান করিয়াছেন। তোমার প্রাণ মুক্ত, বিশ্বময়। সেখানে হিন্দু নাই, মুসলমান নাই, খ্রিস্টান নাই। আছে মানুষ। একদিকে তুমি মানুষকে নানা কর্মধারায় জাগ্রত করিয়াছ, অন্যদিকে সেই অসীম স্রষ্টার দিকে মনকে আকৃষ্ট করিয়াছ। 'কর্ম ও ধ্যান' উভয়ের সামঞ্জস্য সাধনই মানব জীবনের শ্রেষ্ঠ আদর্শ। ইসলামের এই সার বার্ত্তা তোমার ছন্দে প্রতিধ্বনিত হইয়াছে। তোমার এই ছন্দ আমাদিগকে প্রতিদিন বিশ্বের কল্যাণ সাধনে ও মানুষের সেবায় উদ্বেধিত করম্নক।" রবীন্দ্রনাথ সংবর্ধনার উত্তরে বলেন, "প্রাচীনকালে আমাদের দেশে রাজারা দিগ্বিজয় করে ফিরলে তাঁদের উপর পুষ্পবৃষ্টি অর্পণ করা হতো, আমি কি আমার দেশের জন্য তেমন কিছু জয় করে এনেছি, যার জন্য আজ আমাকেও পুষ্পবর্ষণ করে সংবর্ধনা জানানো হচ্ছে। ভারতের বুকে এত জাতি, এত ধর্ম স্থান লাভ করেছে, তার অর্থ আছে। ভারতের হাওয়ায় এমন শক্তি আছে, যার বলে সকল সম্প্রদায় এখানে আসন লাভ করতে পেরেছে। ভারতের ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরোধ ও পরস্পরের বিচ্ছেদ দেখে নিতানত্ম দুঃখিত, মর্মাহিত, লজ্জিত হই। ধর্মে ধর্মে বিরোধ হতে পারে না। কারণ ধর্ম হল মিলনের সেতু আর অধর্ম বিরোধের। যখন ধর্মে বিকার উপস্থিত হয় তখনই বিচ্ছেদ প্রবল হয়ে ওঠে। শুধু হিন্দু-মুসলমানে প্রভেদ নয়, সমাজের মধ্যে ভেদের অন্ত নেই। যখন মানুষ মানুষকে অপমান করে, তখন সে দুর্গতি-দারিদ্রের চরম সীমায় উপনীত হয়, আমি আমার সমাজের জন্য লজ্জিত হয়েছি। বিচ্ছেদের রক্তপস্নাবনে মানব-সমাজের প্রতি স্তর কলুষিত হয়েছে। এই সমস্যা ভারতে বহুদিন থেকে আছে। বিরোধের প্রাচীর তুলে ত সমস্যার সমাধান হবে না। শুভবুদ্ধির আলোক বিকীর্ণ হোক। তবেই আমাদের চিত্ত মুক্ত হবে।
সন্ধ্যায় কার্জন হলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভাষণ দেন। ভাষণের বিষয় ছিল 'আর্টের অর্থ'। ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি (২৭ ও ২৮ মাঘ) অসুস্থতার কারণে রবীন্দ্রনাথ কোন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি। ১৩ ফেব্রুয়ারি (১ ফাগুন) রবীন্দ্রনাথ কার্জন হলে বক্তৃতার করেন। বক্তৃতার বিষয় ছিল-'দ্য রুল অব দ্য জায়ান্ট'। আগে উল্লেখ করা হয়েছে, অসুস্থতার কারণে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জগন্নাথ হলে ছাত্রদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যেতে পারেননি। ১৫ ফেব্রম্নয়ারি (৩ ফাল্গুন) বিদায়ী দিনে জগন্নাথ হলের ছাত্রদের অনুরোধে হল বার্ষিকী 'বাসন্তিকা'র জন্য একটি গান লিখে দেন।'
এরপরে কবিকে ময়মনসিংহ ও বরিশালেও সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
১৯৩৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কবিকে সম্মানিত ডি লিট উপাধিতে ভূষিত করে। স্থির ছিল, কবি ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়-প্রদত্ত সম্মান গ্রহণ করবেন। কিন্তু শরীরের কারণে ঢাকা যেতে পারেননি। তাঁর অনুপস্থিতিতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে honoris Causa উপাধিটি প্রদান করেন।
একটি বিষয় লক্ষ্য করা যায় যে, কবির এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানগুলো বিপুল জনসাধারণ, ছাত্র, নেতৃবৃন্দের স্বতঃম্ফূর্ত উপস্থিতিতে মুখরিত। হিন্দু-মুসলিম জাতি-সম্প্রদায় ভেদে সকলেই অংশ নিয়েছেন। রবীন্দ্রনাথ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেছিলেন এ ধরনের অভিযোগ কেউ করেন নাই। কবিকে স্বজন হিসাবে সবাই গ্রহণ করেছেন।

চার.
জীবনে বহুবার তাঁকে পূর্ববাংলায় আসতে হয়েছে। তিনি শিলাইদহে, শাহজাদপুরে, পতিসরে তাঁর পিতৃপুরম্নষের জমিদারী দেখতে এসেছেন। তার চেয়ে সেখানে আসমানদারীই করেছেন অনেক বেশি। রবীন্দ্রনাথ পূর্ণ হয়েছেন এই বাংলাদেশের জল হাওয়ায়, নদীর ছোঁয়ায়। মানুষের সঙ্গে মানুষের ভেদরেখা তুলে দিয়েছেন। তাঁর জমিদারীকে প্রজাকল্যাণের কাজে লাগিয়েছেন। নিজে স্থাপন করেছেন স্কুল, কৃষি ব্যাংক, তাঁত প্রশিক্ষণ স্কুল। ৰুদ্রঋণের প্রচলনও করেছেন সেখানে। আর একমাত্র ছেলেকে বিদেশ থেকে লেখাপড়া শিখিয়ে এনে এই শিলাইদহেই কৃষি ফার্ম গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন।
১৯২২ সালে শেষবারের মতো শিলাইদহে রবীন্দ্রনাথ আসেন। এখানে দু'সপ্তাহ ছিলেন। সঙ্গী সুরেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও সিএফ এন্ডরম্নজ। ২১ চৈত্র গ্রামবাসীরা কবি ও এন্ডরুজ সাহেবকে আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা জানান। এই সভায় একাধিক মানপত্র দেয়া হয়। এ দিনই শিলাইদহ অঞ্চলের মুসলমান মহিলাদের পক্ষ থেকে কবিকে একটি নকশিকাঁথা উপহার দেয়া হয়। এটি বর্তমানে রবীন্দ্রভবনে সংরক্ষিত আছে। 'জগৎপূজ্য কবিসম্রাট শ্রীল শ্রীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মহোদয়ের শ্রীচরণ কমলেষু' নামে খোরসেদপুরের অধিবাসিবৃন্দ মানপত্রে লেখেন_
আবার এসেছে ফিরে এ পল্লীর আনন্দ দুলাল
দশদিক আকুলিয়া পত্র পুষ্পে সেজে ওঠ কদম্ব তমাল।
শাখে শাখে ডাকে পাখি দাঁড়াইলা পল্লী আজি উৎসব সজ্জায়
কবীন্দ্রের চরণের তলে, অর্ঘ্য করে নতমুখী সেবিকার প্রায়।
১৯৩৭ সালে পতিসরের প্রজাদের আমন্ত্রণে রবীন্দ্রনাথ সে বছরের পূন্যাহে (১০ শ্রাবণ ১৩৪৪ বঙ্গাব্দ) পতিসরে আসেন। সেখান থেকে কালীগ্রামে। এখানে কবি বারো বছর পরে এলেন। তখন থাকতেন বোটে। কবির আগমন উপলক্ষে রসুনচৌকি আর দিশি বাদ্যভাণ্ডের ধ্বনিতে সরগরম হয়ে উঠল গ্রামগুলো। পরের দিন সংবর্ধনা জানাবার বিপুল আয়োজন করেছেন গ্রামবাসীরা।

jalalabir@gmail.com
শনিবার, ১৫ অক্টোবর ২০১১, ৩০ আশ্বিন ১৪১৮

আরও পড়ুন:

রবীন্দ্রনাথ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেন নাই



মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর ২০১১, ২৬ আশ্বিন ১৪১৮
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা এবং রবীন্দ্রনাথ ও অন্যান্য মিথ্যা মিথ  
কুলদা রায় / এমএমআর জালাল

http://oldsite.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=16&dd=2011-10-11&ni=73505

বুধবার, ১২ অক্টোবর ২০১১, ২৭ আশ্বিন ১৪১৮
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা এবং রবীন্দ্রনাথ ও অন্যান্য মিথ্যা মিথ - 2
কুলদা রায় / এমএমআর জালাল

বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর ২০১১, ২৮ আশ্বিন ১৪১৮
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা এবং রবীন্দ্রনাথ ও অন্যান্য মিথ্যা মিথ - ৩


শনিবার, ১৫ অক্টোবর ২০১১, ৩০ আশ্বিন ১৪১৮
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা এবং রবীন্দ্রনাথ ও অন্যান্য মিথ্যা মিথ -  ৪  (শেষাংশ)
কুলদা রায় ও এমএমআর জালাল


__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] Re: Fw: ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ !!!!!



 

মাথাপিছু আয় বেড়ে ১,৩১৪ ডলার, প্রবৃদ্ধি চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ৬.৫১ শতাংশ

 

 

বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় আরও বেড়েছে। এখন এদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৩১৪ ডলার।

গত বছর ছিল ১ হাজার ১৯০ ডলার। গত প্রায় এক বছরে মাথাপিছু আয় বেড়েছে ১২৪ ডলার। মাথাপিছু আয় হচ্ছে নির্দিষ্ট বছরে একটি দেশের উৎপাদিত দ্রব্য ও সেবাসমূহের মোট পরিমাণকে মোট জনসংখ্যা দিয়ে ভাগ করে প্রাপ্ত ফল।

 

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর গত এক বছরের বাংলাদেশের অর্থনীতির অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং তথ্য অনুযায়ী--

নমিনাল মূল্যের ভিত্তিতে মাথাপিছু আয়ের এই হিসাব করা হয়েছে। নমিনাল মূল্যের ভিত্তিতে পৃথিবীতে বাংলাদেশের অর্থনীতি ৫৮তম।

 

অন্যদিকে,

একটি দেশের স্থানীয় মুদ্রায় জনগণের ক্রয়ক্ষমতার (পারচেজিং পাওয়ার প্যারাইটির, পিপিপি) ভিত্তিতে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ৩ হাজার ১৯০ ডলার। ক্রয়ক্ষমতার (পিপিপি) ভিত্তিতে বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশ্বে ৩৬তম।

 

চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং টানা ৬ বছর ৬ এর উপরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ৬ দশমিক ৫১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। এই প্রবৃদ্ধি হয়েছে চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে।

চলমান বাজেটে এ বছর ৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। বছরের একটা বড় অংশজুড়ে জ্বালাও-পোড়াওয়ের কারণে এ বছর প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। জ্বালাও-পোড়াও না হলে আমরা লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারতাম। তা সত্ত্বেও ৬ দশমিক ৫১ শতাংশ প্রবৃদ্ধিও কম নয়।

টানা ছয় বছর ৬ এর উপরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি পৃথিবীর মাত্র চারটি দেশ অর্জন করতে পেরেছে।

 

হাঁ, এই ভাবেই যতদিন শেখ হাসিনার নেত্রিত্বে চলবে আমাদের এই দেশ,

পথ হারাবেনা আমাদের বাংলাদেশ।

 

তাই, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলে আগে বাড়ো!

https://www.youtube.com/watch?feature=player_embedded&v=7KUYAtrrMfM

 

প্রকৌশলী সফিকুর রহমান অনু


2015-05-15 9:45 GMT+12:00 Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com>:


On Thursday, May 14, 2015 5:44 PM, Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com> wrote:


 
 
 
 
 
 
ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের যে কয়টা দেশ অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির দিক থেকে পেছনের সারিতে আছে তার একটি বাংলাদেশ। তবে এই তালিকায় বাংলাদেশের চেয়েও পিছিয়ে আছে ভারত ও পাকিস্তান।এই তথ্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএন এসকাপ) এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের...
Preview by Yahoo
 






--

দেশে বিদেশে বাঙ্গালীরা এবং বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ গুনুমুগ্ধ ভক্ত গন

সুখে থাকুন, ভালো থাকুন এবং নিরাপদে থাকুন

 

জয় বাংলা , জয় বঙ্গবন্ধু

 

শুভেচ্ছান্তে


Engr. Shafiqur  Rahman Anu
Auckland,
New Zealand
N.B.: If any one is offended by content of this e-mail, please ignore & delete this e-mail. I also request you to inform me by an e- mail - to delete your name from my contact list.


__._,_.___

Posted by: "Engr. Shafiq Bhuiyan" <srbanunz@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] বর্ষবরণে যৌন হয়রানি : তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ



বর্ষবরণে যৌন হয়রানি

তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ

নুরুজ্জামান লাবু | ১৫ মে ২০১৫, শুক্রবার

পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যের দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। কমিটির সদস্যরা এই তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছেন। তারা হলেন শাহবাগ থানার এসআই আশরাফুল আলম, একই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সায়েদুল ইসলাম ভুঁইয়া ও পুলিশের সহকারী কমিশনার সাবেরুল ইসলাম। একই সঙ্গে বর্ষবরণের সময় এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে বেশ কয়েকটি সুপারিশ করেছে কমিটি। গত ৭ই মে তদন্ত কমিটি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কাছে এই প্রতিবেদন জমা দেয়। এর আগে গত ১৬ই এপ্রিল ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশে অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ইব্রাহীম ফাতেমিকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন- ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (লজিস্টিক্স, ফিন্যান্স ও প্রকিউরমেন্ট) ওয়াই এম বেলালুর রহমান ও উপ-কমিশনার (ডিসি ডিবি-পূর্ব) জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর। প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে তারা ঘটনার সত্যাসত্য অনুসন্ধান ও পুলিশের দায়িত্বে অবহেলার বিষয়টি তদন্ত করেন।
কমিটির সদস্য ডিবির উপ-কমিশনার জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর বলেন, আমরা তিন পুলিশ কর্মকর্তার দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পেয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া বর্ষবরণে এমন কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য কিছু সুপারিশও করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, বর্ষবরণের দিন যৌন নিপীড়নের ঘটনার সময় টিএসসি এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন এই তিন পুলিশ কর্মকর্তা। এদের মধ্যে শাহবাগ থানার এসআই আশরাফুল আলমের হাতে কয়েকজন বখাটেকে ধরে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি তাদের ছেড়ে দিয়েছিলেন। কমিটি মনে করছে, এটি চূড়ান্তভাবে একটি অপেশাদার কাজ হয়েছে। যাচাই-বাছাইয়ের আগেই সন্দেহভাজন কাউকে ছেড়ে দেয়াটা উচিত হয়নি। এ ছাড়া পাশেই দায়িত্ব পালনকারী শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইদুল ইসলামও এ ঘটনায় সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। এ কারণে এই দুজনের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার কথা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে কমিটি। এ ছাড়া পুরো টিএসসি এলাকার দায়িত্বে ছিলেন পুলিশের সহকারী কমিশনার সাবেরুল ইসলাম। তিনি যৌন হয়রানির ঘটনাটির ভয়াবহতা অনুধাবন করতে পারেননি বলে তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।
কমিটি সূত্র জানায়, পুলিশের গঠিত তদন্ত কমিটি যৌন হয়রানির ঘটনার সত্যানুসত্য অনুসন্ধান করে ঘটনার কিছু প্রমাণ পেয়েছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সম্পাদক লিটন নন্দীসহ কয়েকজনের বক্তব্য রেকর্ড করেছে। এ ছাড়া অনেকেই ফোনে কমিটির সদস্যদের কাছে ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন। তবে কমিটির কাছে যৌন হয়রানির শিকার কোন নারী অভিযোগ করেনি বা এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। কমিটি নির্বিঘ্নে বর্ষবরণ পালনের জন্য কিছু সুপারিশ করেছেন। এসবের মধ্যে বিকাল ৩টার মধ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, টিএসসি এলাকা ও রমনা পার্ক খালি করে দেয়া। উদ্যানের আরও বেশি প্রশস্ত গেট তৈরি করা, যাতে উদ্যানে ঢুকতে ও বেরোতে জটের সৃষ্টি না হয়। একই সঙ্গে পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণে আনার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
এদিকে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিলের এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও দায়িত্বে অবহেলায় অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থ্যা নেয়া হয়নি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শাহবাগ থানার এসআই আশরাফুল আলম এখনো শাহবাগ থানাতেই দায়িত্ব পালন করছেন। তবে সপ্তাহ খানেক আগে থানার পরিদর্শক তদন্ত সাইদুল ইসলাম ভুঁইয়াকে উত্তরা জোনের তুরাগ থানায় বদলি করা হয়েছে। পুলিশ সূত্র জানায়, নিয়মিত বদলির অংশ হিসেবেই সাইদুল ইসলামকে তুরাগে বদলি করা হয়েছে। এ ছাড়া সহকারী পুলিশ কমিশনার সাবেরুল ইসলামও তার আগের কর্মস্থলেই দায়িত্ব পালন করছেন। ডিএমপির একটি সূত্র জানায়, কমিশনার প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করছেন। পর্যালোচনা শেষে তিনি অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিবেন।
উল্লেখ্য, পহেলা বৈশাখের সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেটে সংঘবদ্ধ একদল বখাটে পরিকল্পিতভাবে নারীদের যৌন হয়রানি করে। এ সময় লিটন নন্দীসহ কয়েকজন এর প্রতিবাদ করে নারীদের উদ্ধার করেন। এতে বখাটেদের হামলায় লিটন নন্দীর হাত ভেঙ্গে যায়। বিষয়টি নিয়ে সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। অভিযোগ ওঠে পুলিশের নাকের ডগায় এমন ঘটনা ঘটলেও তারা চুপ করে দাঁড়িয়ে ছিল। এমনকি কয়েক বখাটেকে ধরে দেয়ার পরও পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে ডিএমপি কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচিতেও পুলিশ মারমুখি আচরণ করে। এমনকি প্রতিবাদকারী এক নারীকে চুলের মুঠি ধরে নিয়ে যেতেও দেখা যায় এক পুলিশ সদস্যকে। পরে অবশ্য ওই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।



__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] দুই বিঘা জমি : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর



দুই বিঘা জমি
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

শুধু বিঘে দুই ছিল মোর ভুঁই আর সবই গেছে ঋণে ।
বাবু বলিলেন , ' বুঝেছ উপেন , এ জমি লইব কিনে । '
কহিলাম আমি , ' তুমি ভূস্বামী , ভূমির অন্ত নাই ।
চেয়ে দেখো মোর আছে বড়ো – জোর মরিবার মতো ঠাঁই । '
শুনি রাজা কহে , ' বাপু , জানো তো হে , করেছি বাগানখান
পেলে দুই বিঘে প্রস্থ ও দিঘে সমান হইবে টানা —
ওটা দিতে হবে । ' কহিলাম তবে বক্ষে জুড়িয়া পাণি
সজল চক্ষে , ' করুণ বক্ষে গরিবের ভিটেখানি ।
সপ্ত পুরুষ যেথায় মানুষ সে মাটি সোনার বাড়া ,
দৈন্যের দায়ে বেচিব সে মায়ে এমনি লক্ষ্মীছাড়া ! '
আঁখি করি লাল রাজা ক্ষণকাল রহিল মৌনভাবে ,
কহিলেন শেষে ক্রূর হাসি হেসে , ' আচ্ছা , সে দেখা যাবে । '

পরে মাস দেড়ে ভিটে মাটি ছেড়ে বাহির হইনু পথে —
করিল ডিক্রি , সকলই বিক্রি মিথ্যা দেনার খতে ।
এ জগতে , হায় , সেই বেশি চায় আছে যার ভূরি ভূরি —
রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি ।
মনে ভাবিলাম মোরে ভগবান রাখিবে না মোহগর্তে ,
তাই লিখি দিল বিশ্বনিখিল দু বিঘার পরিবর্তে ।
সন্ন্যাসীবেশে ফিরি দেশে দেশে হইয়া সাধুর শিষ্য
কত হেরিলাম মনোহর ধাম , কত মনোরম দৃশ্য !
ভূধরে সাগরে বিজনে নগরে যখন যেখানে ভ্রমি
তবু নিশিদিনে ভুলিতে পারি নে সেই দুই বিঘা জমি ।
হাটে মাঠে বাটে এই মতো কাটে বছর পনেরো – ষোলো —
একদিন শেষে ফিরিবারে দেশে বড়ই বাসনা হল ।

নমোনমো নম সুন্দরী মম জননী বঙ্গভূমি !
গঙ্গার তীর স্নিগ্ধ সমীর , জীবন জুড়ালে তুমি ।
অবারিত মাঠ , গগনললাট চুমে তব পদধূলি ,
ছায়াসুনিবিড় শান্তির নীড় ছোটো ছোটো গ্রামগুলি ।
পল্লবঘন আম্রকানন রাখালের খেলাগেহ ,
স্তব্ধ অতল দিঘি কালোজল — নিশীথশীতল স্নেহ ।
বুকভরা মধু বঙ্গের বধূ জল লয়ে যায় ঘরে —

মা বলিতে প্রাণ করে আনচান , চোখে আসে জল ভরে ।
দুই দিন পরে দ্বিতীয় প্রহরে প্রবেশিনু নিজগ্রামে —
কুমোরের বাড়ি দক্ষিণে ছাড়ি রথতলা করি বামে ,
রাখি হাটখোলা , নন্দীর গোলা , মন্দির করি পাছে
তৃষাতুর শেষে পঁহুছিনু এসে আমার বাড়ির কাছে ।

ধিক্‌ ধিক্‌ ওরে , শতধিক্‌ তোরে , নিলাজ কুলটা ভূমি !
যখনি যাহার তখনি তাহার , এই কি জননী তুমি !
সে কি মনে হবে একদিন যবে ছিলে দরিদ্রমাতা
আঁচল ভরিয়া রাখিতে ধরিয়া ফল ফুল শাক পাতা !
আজ কোন্‌ রীতে কারে ভুলাইতে ধরেছ বিলাসবেশ —
পাঁচরঙা পাতা অঞ্চলে গাঁথা , পুষ্পে খচিত কেশ !
আমি তোর লাগি ফিরেছি বিবাগি গৃহহারা সুখহীন —
তুই হেথা বসি ওরে রাক্ষসী , হাসিয়া কাটাস দিন !
ধনীর আদরে গরব না ধরে! এতই হয়েছ ভিন্ন
কোনোখানে লেশ নাহি অবশেষ সেদিনের কোনো চিহ্ন !
কল্যাণময়ী ছিলে তুমি অয়ি , ক্ষুধাহরা সুধারাশি !
যত হাসো আজ যত করো সাজ ছিলে দেবী , হলে দাসী ।

বিদীর্ণ হিয়া ফিরিয়া ফিরিয়া চারি দিকে চেয়ে দেখি —
প্রাচীরের কাছে এখনো যে আছে , সেই আমগাছ একি !
বসি তার তলে নয়নের জলে শান্ত হইল ব্যথা ,
একে একে মনে উদিল স্মরণে বালক – কালের কথা ।
সেই মনে পড়ে জ্যৈষ্ঠের ঝড়ে রাত্রে নাহিকো ঘুম ,
অতি ভোরে উঠি তাড়াতাড়ি ছুটি আম কুড়াবার ধুম ।
সেই সুমধুর স্তব্ধ দুপুর , পাঠশালা – পলায়ন —
ভাবিলাম হায় আর কি কোথায় ফিরে পাব সে জীবন !
সহসা বাতাস ফেলি গেল শ্বাস শাখা দুলাইয়া গাছে ,
দুটি পাকা ফল লভিল ভূতল আমার কোলের কাছে ।
ভাবিলাম মনে বুঝি এতখনে আমারে চিনিল মাতা ,
স্নেহের সে দানে বহু সম্মানে বারেক ঠেকানু মাথা ।

হেনকালে হায় যমদূত – প্রায় কোথা হতে এল মালী ,
ঝুঁটি – বাঁধা উড়ে সপ্তম সুরে পাড়িতে লাগিল গালি ।
কহিলাম তবে , ' আমি তো নীরবে দিয়েছি আমার সব —
দুটি ফল তার করি অধিকার , এত তারি কলরব ! '
চিনিল না মোরে , নিয়ে গেল ধরে কাঁধে তুলি লাঠিগাছ —
বাবু ছিপ হাতে পারিষদ – সাথে ধরিতেছিলেন মাছ ।
শুনি বিবরণ ক্রোধে তিনি কন , ' মারিয়া করিব খুন ! '
বাবু যত বলে পারিষদ – দলে বলে তার শতগুণ ।
আমি কহিলাম , ' শুধু দুটি আম ভিখ মাগি মহাশয় ! '
বাবু কহে হেসে , ' বেটা সাধুবেশে পাকা চোর অতিশয় । '
আমি শুনে হাসি আঁখিজলে ভাসি , এই ছিল মোর ঘটে —
তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ , আমি আজ চোর বটে !


Note:

Taj Hasmi asserted:
;" Tagore defended the extortionist Zamindari and Mahajani systems."
Ref:The Tagore Mania: Identity Crisis and Anti-Bangladesh Syndrome
Tagore's  poem "দুই বিঘা জমি " clearly nullifies that false propaganda
and myth............. As a matter of fact Poet Rabindranath Tagore sided
with the victims of Mahajani systems with this poem ...



__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা এবং রবীন্দ্রনাথ ও অন্যান্য মিথ্যা মিথ - ৩




ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা এবং রবীন্দ্রনাথ ও অন্যান্য মিথ্যা মিথ
কুলদা রায় ও এমএমআর জালাল
(পূর্ব প্রকাশের পর) 
প্রশানত্মকুমার পাল রবিজীবনী গ্রন্থের ষষ্ঠ খণ্ডে জানাচ্ছেন, এ দিনই তিনি একটি কবিতা লেখেন। কবিতার নাম 'স্থির নয়নে তাকিয়ে আছি'। স্থির নয়নে তাকিয়ে আছি/মনের মধ্যে অনেক দূরে।/ ঘোরাফেরা যায় যে ঘুরে। গভীরধারা জলের ধারে,/আঁধার-করা বনের পারে,/সন্ধ্যামেঘে সোনার চূড়া/উঠেছে ওই বিজন পুরে/মনের মাঝে অনেক দূরে। 
দিনের শেষে মলিন আলোয়/কোন্ নীড়ের টানে/বিদেশবাসী হাঁসের সারি/উড়ছে সেই পারের পানে।/ঘাটের পাশে ধীর বাতাসে/উদাস ধ্বনি উধাও আসে,/বনের ঘাসে ঘুম-পাড়ানে/তান তুলেছে কোন্পুরে/মনের মাঝে অনেক দূরে। 
নিচল জলে নীল নিকষে/সন্ধ্যাতারার পড়ল রেখা,//পারাপারের সময় গেলখেয়াতরীর নাইকো দেখা।/পশ্চিমের ওই সৌধছাদে/স্বপ্ন লাগে ভগ্ন চাঁদে,/একলা কে যে বাজায় বাঁশি /বেদনভরা বেহাগ সুরে/মনের মাঝে অনেক দূরে।/সারাটি দিন কাজে/হয় নি কিছুই দেখাশুনা,/ কেবল মাথার বোঝা ব'হে/হাটের মাঝে আনাগোনা।/এখন আমায় কে দেয় আনি/কাজ-ছাড়ানো পত্রখানি;/সন্ধ্যাদীপের আলোয় ব'সে/ওগো আমার নয়ন ঝুরে/মনের মাঝে অনেক দূরে। 
এই কবিতাটি গীতিমাল্য কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত ৪ সংখ্যক কবিতা। এর পর বাকি ১৫ দিনে শিলাইদহে থেকে রবীন্দ্রনাথ আরও ১৭টি কবিতা বা গান লেখেন। এর মধ্যে একটি গান 'আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ। '১৪ চৈত্র, ১৩১৮ বঙ্গাব্দ। রচনার স্থান শিলাইদহ। ২৬ চৈত্র ১৩১৮ (এপ্রিল ৮, ১৯১২) বঙ্গাব্দেও তিনি শিলাইদহে। সেখান থেকে লিখেছেন_ 'এবার আমায় ভাসিয়ে দিতে হবে আমার। এপ্রিল ১২, ১৯১২ তারিখে লিখছেন_'এবার তোরা আমার যাবার বেলাতে।' শিলাইদহে রচিত। তথ্য বলছে_সে সময়ে রবীন্দ্রনাথ কলকাতায় নয়, শিলাইদহে ছিলেন। 
তাহলে রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহে কেন গেলেন? কখন গেলেন? তার একটু হদিস নেয়া যেতে পারে। 
১৯ মার্চ ১৯১২ (৬ চৈত্র, ১৩১৮ বঙ্গাব্দ) ভোরে কলকাতা থেকে সিটি অব প্যারিস জাহাজে রবীন্দ্রনাথের ইংল্যান্ড যাত্রার জন্য কেবিন ভাড়া করা হয়েছিল। সঙ্গী মেয়ে হাসপাতালের ডা. দ্বিজেন্দ্রনাথ মৈত্র। কবিকে বিদায় জানানোর জন্য বহু ব্যক্তি সেদিন জাহাজঘাটায় উপস্থিত। কবির জিনিসপত্রও জাহাজে উঠে গেছে আগের দিন। কিন্তু 'খবর এলো যে, কবি অসুস্থ; আসতে পারবেন না। ঐ গরমে উপর্যুপরি নিমন্ত্রণ-অভ্যর্থনাদির আদর-অত্যাচারে রওনা হ'বার দিন ভোরে প্রস্তুত হতে গিয়ে, মাথা ঘুরে পড়ে যান। ডাক্তাররা বললেন, তাঁর এ-যাত্রা কোনোমতেই সমীচীন হতে পারে না। রইলেন তিনি; আর ক্যাবিনে একা রাজত্ব করে, তাঁর বাঙ্পেটরা নিয়ে চলস্নুম আমি একলা।' এটা লিখেছেন ডা. মিত্র। 
রবিপুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর পিতৃস্মৃতি গ্রন্থে লিখছেন_ "জাহাজ ছাড়বার আগের দিন রাত্রে স্যার আশুতোষ চৌধুরীর বাড়িতে বাবার নিমন্ত্রণ। কেবল খাওয়া-দাওয়া নয়, সেই সঙ্গে 'বাল্মিকীপ্রতিভা' অভিনয়ের ব্যবস্থা হয়েছিল। দিনেন্দ্রনাথ বাল্মীকির ভূমিকায় অভিনয় করেন। অসুস্থ শরীরে বাবাকে অনেক রাত অবধি জাগতে হলো। আমরা ঘরে ফিরলাম রাত করে। বাকি রাতটুকু বাবা না ঘুমিয়ে চিঠির পর চিঠি লিখে কাটিয়ে দিলেন। ভোরবেলা উঠে বাবার শরীরের অবস্থা দেখে আমরা ভয় পেয়ে গেলাম, ক্লান্তিতে অবসাদে যেন ধুঁকছেন। তাড়াতাড়ি ডাক্তার ডাকতে হলো। জাহাজ আমাদের জিনিসপত্র সমেত যথাসময়ে পাড়ি দিল, কিন্তু আমাদের সে যাত্রা আর যাওয়া হলো না।" 
আকস্মিকভাবে যাত্রা প- হয়ে যাওয়ায় খুব বেদনা পেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। তিনি ২১ মার্চ ১৯১২ (৮ চৈত্র ১৩১৮ বঙ্গাব্দ) তারিখে ডা. দ্বিজেন্দ্রনাথ মৈত্রকে লেখেন_ 'আমার কপাল মন্দ, কপালের ভেতরে যে পদার্থ আছে, তারও গলদ আছে, নইলে ঠিক জাহাজে ওঠবার মুহূর্তেই মাথা ঘুরে পড়লুম কেন? অনেক দিনের সঞ্চিত পাপের দণ্ড সেইদিনই প্রতু্যষে আমার একেবারে মাথার ওপরে এসে পড়ল। রোগের প্রথম ধাক্কাটা তো এক রকম কেটে গেছে। এখন ডাক্তারের উৎপাতে প্রাণ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। লেখাপড়া নড়াচড়া প্রভৃতি সজীব প্রাণী মাত্রেরই অধিকার আছে, আমার পক্ষে তা একেবারে নিষিদ্ধ।' 
২৪ মার্চ ১৯১২ (১১ চৈত্র ১৩১৮ বঙ্গাব্দ) বিশ্রামের উদ্দশ্যে রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহে রওনা হন। ঠাকুরবাড়ির ক্যাশবহিতে লেখা আছে, শ্রীযুক্ত রবীন্দ্র বাবু মহাশয় ও শ্রীযুক্ত রথীন্দ্র বাবু মহাশয় ও শ্রীমতি বধূমাতাঠাকুরাণী শিলাইদহ গমনের ব্যয় ৩৭৯ নং ভাউচার ১১ চৈত্র ১৫।।৩।. পরদিন সোমবার ১২ চৈত্র ২৫ মার্চ ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে রবীন্দ্রনাথ মৌচাক পত্রিকার সম্পাদক সুধীরচন্দ্র সরকারের ভগ্নী কাদম্বিনী দত্তকে (১২৮৫, ১৩৫০ বঙ্গাব্দ) এক চিঠিতে লেখেন_এখনো মাথার পরিশ্রম নিষেধ। শিলাইদহে নির্জ্জনে পালাইয়া আসিয়াছি। 
কোথায় কলকাতার গড়ের মাঠ? আর কোথায় শিলাইদহ!! তাহলে ২৮ মার্চ ১৯১২ খ্রীস্টাব্দ তারিখে রবীন্দ্রনাথ কি করে শিলাইদহ থেকে অসুস্থ শরীরে কলকাতার গড়ের মাঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সভায় উপস্থিত ছিলেন? 
ঢাকা বিশ্বিদ্যালয়ের অধ্যাপক গীতিআরা নাসরীন জানাচ্ছেন_ রবীন্দ্রনাথের বিরম্নদ্ধে এই অপপ্রচারের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট বার্ষিক অধিবেশনের (২৮-২৯ জুন, ২০১১) আলোচনায় আসে। অধ্যাপক ফকরম্নল আলমের কথার অংশ থেকে লিখছি_ "রবীন্দ্রনাথ এক সময় বঙ্গভঙ্গের বিরম্নদ্ধে বিরোধী ছিলেন কিন্তু চার পাঁচ বছর পর তার পুরনো পজিশন পরিবর্তন করে ফেলেছিলেন। অবশ্যই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে গ্রহণ করেছেন বলে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মাননায় এসেছিলেন। যারা ইতিহাসকে এক জায়গায় রেখে দেয় তারা ইতিহাসকে বিকৃত করে, তারা সত্যকে বিকৃত করে।" (কার্যবিবরণী, পৃ:১৭৮)। 
এই ইতিহাসবিকৃতি বাংলাদেশে একটি গোষ্ঠীকর্তৃক রবীন্দ্রবিরোধিতারই একটি নমুনা। নিছক অসত্য তথ্য। গোয়েবলসের সূত্রে তথ্যটি তৈরি হয়েছিল গোপনে, করেছিলেন একজন অজানা লেখক। প্রকাশক ইসলামী ফাউন্ডেশন। আর তা বইতে লিখেছেন মেজর জেনারেল (অবঃ) আব্দুল মতিন। এবং এ বছর রবীন্দ্রনাথের সার্ধশত জন্মবার্ষিকীর লগ্নে টেলিভিশনের পর্দায় জনগণের উদ্দেশ্য প্রকাশ করছেন_দি নিউ এজ পত্রিকার স্বনামধন্য সম্পাদক নূরুল কবীর। বলছেন_ আলী নিয়ামত নামে একজন কলাম লেখক। তথ্য পেলেই তো হবে না। তা যাচাই-বাছাই করার দরকার রয়েছে। 
এই ভূখ-ে রবীন্দ্রবিরোধিতা নতুন নয়। পাকিস্তান আমলে শুরু। এখন আবারও পাকিস্তানী কায়দার সেরকম বিরোধিতা চলছে। যাঁরা করছেন_তাঁদের ভাবনার সঙ্গে পাকিস্তানপন্থার একটি সংযোগ আছে। কিন্তু একটি প্রশ্ন মাথায় ঘুরে-ফিরে আসছে, রবীন্দ্রনাথ যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠারই বিরোধিতা করেই থাকেন, তাহলে সেই বিরোধিতাকারী রবীন্দ্রনাথ এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাত্র পাঁচ বছর পরে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনেই বিপুলভাবে সংবর্ধিত হন কিভাবে? তখন তো পাকিস্তান জামানা নয়। বাংলাদেশও নয়। ব্রিটিশ রাজত্ব চলছে। বঙ্গবিভাগ থেমে গেছে। পূর্ব বাংলার মুসলমান নেতৃবৃন্দ ক্ষুব্ধ এই বঙ্গভঙ্গ বাতিল করার জন্য। আবার রবীন্দ্রনাথ বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতা করেছিলেন। সুতরাং পূর্ব বাংলার গ্রামে-গঞ্জে এবং খোদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রনাথকে সংবর্ধনা প্রদানের কোন কারণ থাকার কথা নয়। কিন্তু বাস্তবে তো রবীন্দ্রনাথকে হিন্দু- মুসলমান, ধনী নির্ধনী, জমিদার-প্রজা মিলে বিপুল আড়ম্বরে সংবর্ধনা দিচ্ছেন। সেখানে তো এই অভিযোগটি কেউ তুলছেন না। কোন সাম্প্রদায়িক ভেদরেখা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তাহলে? 
তিন. 
১৯২৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রবীন্দ্রনাথকে আমন্ত্রণ জানায় বক্তৃতাদি প্রদানের জন্য। সফরসঙ্গী হয়েছিলেন পুত্র রথীন্দ্রনাথ, পুত্রবধূ প্রতীমা দেবী, তাঁদের পালিতা কন্যা নন্দিনী, ভ্রাতষ্পুত্র দিনেন্দ্রনাথ, হিরজিভাই, মরিস, চিনা অধ্যাপক লিম নো ছিয়াঙ এবং ইতালিয়ান অধ্যাপক ফার্মিসি ও তুচ্চি। 
৯ ফেব্রুয়ারি ১৯২৬ তারিখে আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় ঢাকায় রবীন্দ্রনাথ নারায়ণগঞ্জে বিপুল অভ্যর্থনা গতকল্য রবীন্দ্রনাথ ঢাকায় পৌঁছিয়াছেন, ঢাকায় অধিবাসীবৃন্দ তাঁহাকে বিপুল অভ্যর্থনা করিয়াছেন। প্রকৃতপক্ষে বলিতে গেলে এইবারই রবীন্দ্রনাথ সর্বপ্রথম ঢাকায় আসিয়াছেন। ইতিপূর্বে তিনি ভাল করিয়া ঢাকা পরিদর্শন করেন নাই। স্থানীয় অভ্যর্থনা-সমিতি নারায়ণগঞ্জে বহুসংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক প্রেরণ করিয়াছিলেন। নারায়ণগঞ্জ স্টীমার স্টেশন সেদিন জনসমুদ্রে পরিণত হইয়াছিল। স্টীমার ঘাটে আসিবার বহু পূর্ব হইতেই তথায় জনসমাগম হইতে আরম্ভ হয়। দেখিতে দেখিতে এত লোক জড় হয় যে, কি ঘাটে, কি জেটিতে একটুকুও স্থান ছিল না। রবীন্দ্রনাথের স্টীমার ঘাটে পৌঁছিলে চতুর্দিক হইতে ঘন ঘন আনন্দধ্বনি উত্থিত হয়। কয়েকজন বিশিষ্টনেতা অগ্রসর হইয়া তাঁহাকে পুষ্পমাল্যে বিভূষিত করেন এবং স্টীমার হইতে নামাইয়া আনেন। মোটরে চড়িয়া ঢাকা অভিমুখে যাত্রা করেন। (চলবে)
 
jalalabir@gmail.com
বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর ২০১১, ২৮ আশ্বিন ১৪১৮

আরও পড়ুন:

রবীন্দ্রনাথ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেন নাই



মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর ২০১১, ২৬ আশ্বিন ১৪১৮
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা এবং রবীন্দ্রনাথ ও অন্যান্য মিথ্যা মিথ  
কুলদা রায় / এমএমআর জালাল

http://oldsite.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=16&dd=2011-10-11&ni=73505

বুধবার, ১২ অক্টোবর ২০১১, ২৭ আশ্বিন ১৪১৮
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা এবং রবীন্দ্রনাথ ও অন্যান্য মিথ্যা মিথ - 2
কুলদা রায় / এমএমআর জালাল


শনিবার, ১৫ অক্টোবর ২০১১, ৩০ আশ্বিন ১৪১৮
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা এবং রবীন্দ্রনাথ ও অন্যান্য মিথ্যা মিথ -  ৪  (শেষাংশ)
কুলদা রায় ও এমএমআর জালাল


__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

Newer Posts Older Posts Home