Banner Advertiser

Thursday, May 4, 2017

[mukto-mona] হিন্দুরাজ্য বনাম ভারত - আনন্দবাজার পত্রিকা



               সম্পাদকীয়  
                  ২১ বৈশাখ ১৪২৪ শুক্রবার ৫ মে ২০১৭


হিন্দুরাজ্য বনাম ভারত

অভিরূপ সরকার

৪ মে, ২০১৭, ০০:৪৭:২২




ঐতিহ্য: সিন্দবাদ নাবিক। শিল্পী: অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সৌজন্য: ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল ও রবীন্দ্রভারতী সোসাইটি



পৃথিবী জুড়ে অন্তঃরাষ্ট্রীয় হানাহানি বেড়ে চলেছে। ইনস্টিটিউট অব ইকনমিক্স অ্যান্ড পিস 

(আইআইপি) নামক একটি সংস্থা বিশ্বব্যাপী শান্তি ও সংঘাত নিয়ে গবেষণা করে। পৃথিবীর 

দেশগুলিকে অভ্যন্তরীণ শান্তির ক্রম অনুযায়ী চিহ্নিত করার উদ্দেশ্যে এই সংস্থাটি প্রতি বছর 

প্রকাশ করে গ্লোবাল পিস ইন্ডেক্স বা বিশ্ব শান্তি সূচক। সংস্থাটি জানাচ্ছে, ২০১৫ সালে 

বিশ্বব্যাপী হানাহানির ফলে পৃথিবীর মোট উৎপাদনের ১৩.৩ শতাংশ নষ্ট হয়েছে। ২০১৪-১৫-তে 

অভ্যন্তরীণ সংঘাতের ফলে সারা পৃথিবীতে প্রাণ হারিয়েছেন তিন লক্ষ মানুষ। 

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে অভ্যন্তরীণ শান্তির নিরিখে ভারতের অবস্থান ছিল ১৬৩টি দেশের মধ্যে 

১২৩তম। ২০১৮ সালে সে নেমে এসেছে ১৪১ নম্বরে।

আইআইপি-র অন্য একটি রিপোর্ট বলছে, ২০১৩ সালে সারা পৃথিবীতে যত অন্তঃরাষ্ট্রীয় সশস্ত্র 

সংঘাত ঘটেছে তার ৬০ শতাংশেরও বেশি ক্ষেত্রে ধর্ম অন্যতম কারণ। ধর্মীয় কারণে হানাহানিতে 

ভারত আবার অন্য অনেক অশান্ত দেশের তুলনায় এগিয়ে। এ দেশে একটা হিন্দুত্বের যে অভ্যুত্থান 

ঘটেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে এই তথ্য গুরুত্বপূর্ণ।

উত্তর, পশ্চিম, মধ্য ও পূর্ব ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের ১৩টি রাজ্যে এখন বিজেপি শাসক, ৪টি রাজ্যে 

ক্ষমতাসীন জোটের শরিক। বিজেপির মূল শক্তি সংগঠন, তা দাঁড়িয়ে রয়েছে যে মতাদর্শের ওপর, 

তাকে হিন্দুত্ব ছাড়া আর কিছু ভাবা শক্ত। বিজেপির ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক আধিপত্যকে 

হিন্দুত্বের উত্থান হিসেবেই দেখতে হবে।



স্বাধীন ভারতে বহু দিন পর্যন্ত শাসক কংগ্রেসের মধ্যপন্থার প্রতিস্পর্ধী হিসেবে বহু চরমপন্থী দলের আবির্ভাব হয়েছে বটে, কিন্তু দলগুলি হয় বিলুপ্ত হয়েছে অথবা ক্রমশ মধ্যপন্থায় সরে এসেছে। রামরাজ্য পরিষদ, হিন্দু মহাসভা কিংবা জনসঙ্ঘ-এর মতো হিন্দুত্ববাদী দলগুলি আর নেই। অল ইন্ডিয়া শিডিউলড কাস্ট ফেডারেশন বিলুপ্ত। ডিএমকে বা অকালি দলের মতো পার্টিগুলি অতীতের বিচ্ছিন্নতাবাদী অবস্থান থেকে অনেকটাই মধ্যপন্থার দিকে সরে এসেছে। সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজবাদী পার্টি বা জনতা দল এক সময় উচ্চবর্ণের হিন্দুদের বিরুদ্ধে নিম্নবর্ণের হিন্দু এবং মুসলমানদের একত্রিত করেছিল, তারাও ক্রমশ মধ্যপন্থার দিকে অবস্থান বদলেছে। এমনকী রামজন্মভূমির রাজনীতি করে প্রথম দফায় ক্ষমতায় আসার পর বিজেপি তাদের হিন্দুত্বের কর্মসূচিগুলি রূপায়ণে তেমন উৎসাহ দেখায়নি।

ভারতীয় দলগুলির মধ্যপন্থা অবলম্বন করে আসার মূল কারণ ভারতীয় সমাজের বহুত্ব ও বহুমাত্রিকতা। এই সমাজে নানা বিভাজক, যেমন ধর্ম, ভাষা, জাত, শ্রেণি। আবার প্রত্যেকটি বিভাজকের মধ্যে রয়েছে বহুত্ব— নানা ধর্ম, নানা ভাষা, নানা জাতি। তাই ভারতীয় সমাজে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ধারণাও বহুমাত্রিক। ধর্মের নিরিখে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের মধ্যে উচ্চবর্ণ-নিম্নবর্ণ আছে। কোনও দল হিন্দুত্বের পাটাতনে সংখ্যাগরিষ্ঠদের একত্র করতে গেলে প্রতিস্পর্ধী কেউ শুধু নিম্নবর্গীয়দের সমর্থনে অন্য দল তৈরি করে সেই সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ফাটল ধরাতে পারে। কেউ শ্রেণিভিত্তিক আন্দোলন করে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করলে নানা শ্রেণির মানুষকে এক মঞ্চে নিয়ে আসা ভাষাভিত্তিক আন্দোলন হয়তো শ্রেণিভিত্তিক আন্দোলনের ভিতটা দুর্বল করে দেবে। ফলে রাজনৈতিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে সব দলকেই এমন একটা ছাতা তৈরি করতে হয়েছে যার নীচে নানা পরিচয়ের মানুষ আশ্রয় নিতে পারে। ফলে সংকীর্ণ চরমপন্থা থেকে সবাইকে নিয়ে চলার মধ্যপন্থায় দলগুলিকে ঠেলে দিচ্ছে বহুত্ব ও বহুমাত্রিকতা। এখানেই ধাঁধা। এই বহুমাত্রিক সমাজে কী করে হিন্দু চরমপন্থীদের অভ্যুত্থান ঘটল?

একটা ধারণা চালু আছে। সেটিকে বিজেপিও সমর্থন করে। সেটি এই যে, তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলি ভোটের জন্য সংখ্যালঘুদের তোষণ করে গেছে। হিন্দু ধর্ম সহিষ্ণুতা শেখায়, তাই হিন্দুরা বহু দিন এই তোষণ সহ্য করেছিল, কিন্তু অবশেষে সহ্যের বাঁধ ভাঙছে, প্রতিক্রিয়া হিসেবে হিন্দুত্বের উত্থান ঘটেছে। প্রশ্ন হল, যদি সত্যিই বহু দিন ধরে সংখ্যালঘুদের তোষণ চলে থাকে, তবে তুলনামূলক ভাবে সংখ্যালঘুদের অবস্থার উন্নতি হয় না কেন? সাচার কমিটির রিপোর্ট জানাচ্ছে, বর্ণহিন্দুদের তুলনায় মুসলমানদের শিক্ষার হার কম, সরকারি চাকরিতে প্রতিনিধিত্ব নেহাতই সামান্য, হিন্দুপ্রধান গ্রামের তুলনায় মুসলমানপ্রধান গ্রামগুলির পরিকাঠামো খারাপ। 'উদারমনস্ক' কলকাতাতেও মুসলমান পরিবারের পক্ষে দু'একটি বিশেষ অঞ্চল ছাড়া কোথাও বাড়ি ভাড়া পাওয়া শক্ত। অর্থাৎ মুসলমানরা সমস্ত অর্থেই প্রান্তিক। বস্তুত, তফসিলি জাতির মানুষদের কাছাকাছি তাঁদের মাথাপিছু ব্যয়, অথচ ইস্কুলে-কলেজে, সরকারি চাকরিতে কোনও সংরক্ষণ তাঁদের জন্য নেই। মুসলমান তোষণটা হল কোথায়? আর, এই প্রান্তিক, ক্ষমতাহীন সংখ্যালঘুদের ভয়ে বা বিরোধিতায় হিন্দুরা জোটবদ্ধ হবে কেন?

আমাদের মতে, হিন্দুত্বের অভ্যুত্থান ঘটছে দুটি প্রধান কারণে। একটি অভ্যন্তরীণ, অন্যটি আন্তর্জাতিক। বহু দিন পর্যন্ত নিম্নবর্গীয় হিন্দুরা দেখেছিলেন আলাদা করে নিজেদের সংগঠিত করতে পারলে তাঁদের লাভ। তাই তাঁরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছাতার নীচে সঙ্ঘবদ্ধ হয়েছেন। এখন প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে তাঁদের অধিকারগুলি স্বীকৃত, নিম্নবর্গীয় হিসেবে রাজনৈতিক ভাবে সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে বাড়তি লাভ বিশেষ নেই। তাই বিজেপি যখন বৃহৎ হিন্দুত্বের ছাতা নিয়ে এগিয়ে এসেছে তখন পুরনো সংকীর্ণ আত্মপরিচয় ছেড়ে বৃহত্তর হিন্দুত্বের আত্মপরিচয় গ্রহণে আর তাঁদের বাধা নেই।

আন্তর্জাতিক কারণটা আরও জোরালো। বেশ কিছু দিন হল, দুর্বৃত্তরা সারা পৃথিবী জুড়ে সন্ত্রাস চালাচ্ছে, মূলত নিরীহ, নিরস্ত্র মানুষের ওপর। এরা নিজেদের মুসলিম চরমপন্থী বলে, যদিও ইসলামের মানবিকতা এদের মধ্যে একেবারেই নেই। এদের কার্যকলাপের প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইউরোপে ও আমেরিকায় এখন প্রতিস্পর্ধী, জাতীয়তাবাদী, ধর্মীয় ও বর্ণবিদ্বেষী চরমপন্থীরা মাথা চাড়া দিচ্ছে। লক্ষণীয়, ইসলামি চরমপন্থাও একটা প্রতিক্রিয়া, মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘ মার্কিনি অত্যাচার ও দাদাগিরির প্রতিক্রিয়া। এই প্রতিক্রিয়া এবং বিপরীত প্রতিক্রিয়ার ঢেউ থেকে ভারত মুক্ত থাকেনি। দেশ জুড়ে বহু সন্ত্রাসী হানা, মৃত্যুর মিছিল, এই সবের প্রতিক্রিয়ায় হিন্দুত্বের অভ্যুত্থান ঘটেছে। উল্টো দিকে বাবরি মসজিদ ধ্বংস কিংবা গুজরাত গণনিধনের মতো ঘটনা মুসলিম চরমপন্থীদের ইন্ধন জুগিয়েছে। এ এক দুষ্টচক্র। যে বহুত্ব ও বহুমাত্রিকতা ভারতীয় মূলস্রোতের রাজনীতিকে মধ্যপন্থার দিকে ঠেলে দিয়েছিল, আন্তর্জাতিক ঘাতপ্রতিঘাত, পৃথিবী জুড়ে চরমপন্থার বিস্তার, ধর্মান্ধতা, মৌলবাদী প্রতিক্রিয়া ও তার বিপরীত প্রতিক্রিয়ার ঢেউ সেই বহুমাত্রিকতাকে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে।

হিন্দুত্বের সামনে আর একটা চ্যালেঞ্জ আসতে পারত। যদি গরিব মানুষ মনে করতেন বিজেপি সরকার তাঁদের সঙ্গে নেই, তা হলে শুধু হিন্দুত্বের মতাদর্শ দিয়ে নির্বাচন বৈতরণী পার হওয়া যেত না। কিন্তু নোট বাতিলের ফলে গরিব মানুষ, অন্তত সাময়িক ভাবে, মনে করছেন এই সরকার কালো টাকার মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। অতএব এই সরকার তাঁদের দিকে। এই ধারণা কত দিন টিকবে বলা শক্ত। কিন্তু আপাতত, মানতেই হবে, নোট বাতিলের ফাটকা বিজেপিকে প্রচুর রাজনৈতিক সুবিধে দিয়েছে, তার অর্থনৈতিক পরিণাম যা-ই হোক।

পরিশেষে দুটো কথা। এক, আমাদের ভাষায়, সংগীতে, চিত্রকলায়, সাহিত্যে, আইনব্যবস্থায়, রন্ধনশৈলীতে, পোশাক-পরিচ্ছদে ঐতিহাসিক ভাবে মুসলিম প্রভাব অনস্বীকার্য। যাঁরা ভারতকে হিন্দুরাজ্য হিসেবে দেখতে চান, তাঁরা ভারতের ইতিহাসকে অস্বীকার করছেন। দুই, মৌলবাদের উত্তরে বিপরীত কোনও মৌলবাদের উত্থান ঘটলে অশান্তি বাড়বে বই কমবে না। ক্রমবর্ধমান ধর্মান্ধতার ঋতুতে হিন্দু, মুসলমান কেউই নিরাপদ নয়।

ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিকাল ইনস্টিটিউট, কলকাতা'য় অর্থনীতির শিক্ষক

http://www.anandabazar.com/editorial/inter-state-violence-in-the-world-is-increasing-including-india-1.607040?ref=editorial-new-stry






































































TAGS :   Inter-state violence   India   World




__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] বাংলাদেশের শরিয়াকরণ: সুদে ও আসলে গুনতে হবে কি দেনা? by হাসান মাহমুদ



বাংলাদেশের শরিয়াকরণ: সুদে ও আসলে গুনতে হবে কি দেনা?

  • Author
  • ৪ মে, ২০১৭
  • হাসান মাহমুদ: 'এক যাত্রায় পৃথক ফল হয় না'– প্রজ্ঞায় ভরপুর একটি প্রবাদ। আজ আমরা ইসলাম নিয়ে যে পথে পা দিয়েছি, ৪০-৫০ বছর আগে আরেকটা ধর্মনিরপেক্ষ মুসলিমপ্রধান দেশ সে পথে পা দিয়েছিল। আজ সে দেশ কেমন আছে? কেমন আছে সংখ্যালঘুরা? ভিন্নমতের মুসলিমরা, বিশেষ করে নারীরা? ইতিহাসের বুকে প্রস্তরস্বাক্ষরে অঙ্কিত সেই পদচিহ্নগুলো ধরে ধরে একটু ঘুরে আসা যাক, কারণ এর ওপর আমাদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।

রাজনীতি, ভাস্কর্য, কওমি সনদের স্বীকৃতি, স্কুলের সিলেবাস, সৌদি অর্থায়নে ৫৬০টি মডেল মসজিদ, পুলিশ লাইনে সরকারি খরচে ইসলামি অনুষ্ঠান, সরকারি খরচে 'আরবি এফিলিয়েটিং বিশ্ববিদ্যালয়' প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত ইত্যাদি নিয়ে দেশে মতামতের প্রবল মেরুকরণ ও চিন্তার সংঘাত হচ্ছে। সেই সঙ্গে গত কয়েক দশক ধরে অত্যন্ত সন্তর্পণে জাতির অলক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্রোত বয়ে চলেছে। সেই দেশটাতেও এই একই স্রোত শুরু হয়েছিল। সেটা হল সাধারণ জনগণের শরিয়াকরণ।

একাডেমিক জরিপকারী সংগঠন হিসেবে 'PEW'-এর খ্যাতি আছে। ২০১৩ সালের এপ্রিলে কিছু দেশের মুসলিমদের মধ্যে শরিয়ার প্রতি সমর্থন জরিপ করে PEW যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তাতে বাংলাদেশও আছে। জরিপের নাম 'The World's Muslims: Religion, Politics and Society' (বিশ্বমুসলিম: ধর্ম, রাজনীতি ও সমাজ)। সেই জরিপ থেকে প্রধান পাঁচটি প্রশ্নোত্তর দেখাচ্ছি–

• প্রথম তিনটি জরিপ সাধারণ মুসলিমের মধ্যে:

১। শরিয়া আইনকে আল্লাহর নাজিলকৃত আইন বলে মনে করে – সর্বোচ্চ জর্দান ৮১%, সর্বনিম্ন আলবেনিয়া ২৪%। বাংলাদেশ ৬৫% ও পাকিস্তান ৮১%।
২। শরিয়া আইন একটাই, বিভিন্ন নয় বলে মনে করে – সর্বোচ্চ তাজিকিস্তান ৭০%, সর্বনিম্ন তিউনিশিয়া ২০%। বাংলাদেশ ৫৭% ও পাকিস্তান ৬১%।
৩। নিজের দেশে শরিয়া আইন চায় – সর্বোচ্চ আফগানিস্তান ৯৯%, সর্বনিম্ন আজারবাইজান ০৮%। বাংলাদেশ ৮২% ও পাকিস্তান ৮৪%।

• পরের জরিপগুলো শুধু শরিয়া সমর্থক মুসলিমদের মধ্যে:

৪। ব্যাভিচারীকে প্রস্তরাঘাতে মৃত্যুদণ্ড সমর্থন করে – সর্বোচ্চ পাকিস্তান ৮৯%, সর্বনিম্ন বসনিয়া ২১%। বাংলাদেশ ৫৫%।
৫। মুরতাদ অর্থাৎ ইসলামত্যাগীদের মৃত্যুদণ্ড সমর্থন করে – সর্বোচ্চ আফগানিস্তান ৭৯%, সর্বনিম্ন কাজাখস্তান ০৪%। বাংলাদেশ ৪৪% ও পাকিস্তান ৭৬%।

সেই ধর্মনিরপেক্ষ দেশটায় কোনো শরিয়া সমর্থক দল তখন ক্ষমতায় ছিল না, কিন্তু জাতির শরিয়াকরণ ঠেকানো যায়নি। আমাদের শরিয়াকরণও হচ্ছে ওই একই রাজনীতিনিরপেক্ষ পদ্ধতিতে। অর্থাৎ শরিয়াপন্থীরা ক্ষমতায় থাকুক বা না থাকুক বহু বছর ধরে দেশ শরিয়ার দিকে এগিয়ে গেছে। ADD POLITICAL ELEMENT IN CONSTITUTION. সেই এগিয়ে যাওয়ার পদ্ধতিটা কী? কারণটা কী? শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা, দ্রব্যমূল্য সর্বত্র নৈরাজ্য, রাজনীতির দুর্বৃত্তায়ন ও দুর্নীতিবাজদের দাপটসহ সমাজের সর্বক্ষেত্রে অসহ্য অরাজকতা বিরাজ করছে।

HASAN MAHMUD

এমতাবস্থায় শরিয়াপন্থীদের প্রস্তাবিত 'ইসলামি' সমাধান ধীরে ধীরে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে এটাই স্বাভাবিক। 'আল্লাহর আইন সবকিছু ঠিক করে দেবে'– এই বিশ্বাসে বিশ্বাসী হয়ে উঠছে জনগণ। বহু সাধারণ মানুষ কোনো মওলানা-মুফতির হুকুম বা ফতোয়া ছাড়াই নিজে থেকে শরিয়া প্রয়োগকারী হয়ে গেছে। লক্ষ্যণীয়, এই সাধারণ মানুষের অনেকেই কিন্তু কোনো ইসলামি দল করে না। কিছু উদাহরণ দিচ্ছি:

• আগে রোজার মধ্যে হোটেলগুলো চাদর দিয়ে ঢাকা থাকত। অমুসলিমরা তো বটেই কোনো কোনো মুসলিমও বাইরে খেত। এখন রোজার মধ্যে বাইরে কাউকে খেতে দেখলে সাধারণ মানুষের একাংশ হিংস্র হয়ে ওঠে। গাড়িতে ভ্যাপসা গরমের দুপুরে এক যাত্রী পানি খেয়েছে বলে ড্রাইভার বাস থামিয়ে তাকে অপমান করে নামিয়ে দিয়ে চলে গেছে।

• গ্রামে নানা-নানীর কোলে মানুষ, এখন ঢাকায় থাকে এমন একজনের কন্যার আকিকা। তিনি তার প্রিয় নানা-নানীকে গ্রাম থেকে আনার আয়োজন করেছেন। এদিকে উৎসবের সাত দিন আগে নানা মারা গেলেন। তখন গ্রামের সাধারণ মানুষ এসে দাবি করল শরিয়া মোতাবেক নানী চার মাস ঘরে থাকবে, নিজের নাতির বাসা হলেও ঢাকায় যেতে পারবে না।

• এক গ্রামে নববর্ষের উৎসবে এক কিশোর এক কিশোরীর সঙ্গে 'হ্যান্ডশেক' করেছে বলে গ্রামবাসী তাকে বেধড়ক পিটিয়েছে কোনো মওলানার ফতোয়া ছাড়াই।

• পঙ্গু হয়ে কয়েক বছর শয্যাগত থাকার পর একজনের মৃত্যু হলে সাধারণ মানুষ দাবি করেছে কাফফারা না দিলে তাঁর জানাজা হবে না। কারণ তিনি এত বছর নামাজ পড়েননি।

• কোনো এক কলেজের শিক্ষক ছাত্রীদের বোরখা পড়তে বাধ্য করলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও হাইকোর্টকে এগিয়ে আসতে হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় কঠোর নির্দেশ দিয়েছে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাউকে বোরকা পরতে বাধ্য করা যাবে না। ('জনকণ্ঠ', ২৬ আগস্ট ২০১২)

• রংপুরে এক এসআই ১৯ জন মেয়েকে থানায় ধরে নিয়ে আসে বোরকা না পরে পার্কে গিয়েছিল বলে। সেখানেও কোর্টকে এগিয়ে এসে সেই পুলিশকে তলব করে এবং এ ধরনের অপকর্ম নিষিদ্ধ করে। ('জনকণ্ঠ', ৩ মার্চ ২০১০)

এরকম অজস্র উদাহরণ প্রমাণ করে সাধারণ মানুষের মধ্যে শরিয়া আইন প্রয়োগ করার উগ্র প্রবণতা ধীরে ধীরে বেড়ে যাচ্ছে। এই একই ধরনের ঘটনা ৪০-৫০ বছর আগে সেই দেশেও ঘটেছিল। এবারে কী পদ্ধতিতে শরিয়াকরণটা হচ্ছে তা দেখা যাক।

• দেশে মাদ্রাসার সংখ্যা কমপক্ষে তিন লাখ। ('জনকণ্ঠ', ১৫ মে ২০১৩)।

এগুলোর প্রায় সবাই শরিয়া আইনে বিশ্বাস করে ও ছাত্রদের সেই শিক্ষা দেয়। এগুলো থেকে প্রতি বছর সমাজে আসছে লক্ষ লক্ষ শরিয়া সমর্থক যারা সমাজের প্রতি স্তরে তাদের প্রভাব খাটাতে থাকে। শরিয়াপন্থী মওলানা-মুফতিরা এখন এক নিমেষে বহু হাজার যুদ্ধংদেহী তরুণকে রাস্তায় নামানোর প্রচণ্ড 'স্ট্রিট পাওয়ারে'র অধিকারী। ৫ এপ্রিল ২০১৩ শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের লক্ষ লোকের সমাবেশ তার প্রমাণ। এ বাহিনী আগামীতে অনেক বাড়বে এবং সর্বত্র এর চাপ অনুভূত হবে। এ চাপ ঠেকানোর পদ্ধতি এখনও বাংলাদেশে অনুপস্থিত। এটা সে দেশেও ঘটেছিল, সেখানেও এ চাপ ঠেকানোর পদ্ধতি অনুপস্থিত ছিল।

• অসংখ্য মওলানা-মুফতি নিয়ে দেশজুড়ে শরিয়া সমর্থক আলেম সমাজ গড়ে উঠেছে। জনগণের ওপর এদের প্রভাব প্রচণ্ড। এদের অনেকেই অত্যন্ত উগ্র ও আপত্তিকর ভাষায় হুংকার দিয়ে বক্তৃতা করেন, কারো কাছে এদের জবাবদিহিতা নেই।

• তাদের অসংখ্য কর্মতৎপর ও ধনী সংগঠন জাতির চোখের সামনে শুধুমাত্র তাদেরই ইসলামি ব্যাখ্যা ধরে রেখেছে। তার বিপক্ষে সুফি ইসলামি বা ইসলামের অরাজনৈতিক ধর্মতত্ত্বের বইগুলো লেখা ও প্রচারের সংগঠন নেই বললেই চলে।

• তাদের আছে দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান মসজিদ, জনতাকে প্রভাবিত করার সুযোগ যা তারা পুরোটাই নিয়েছেন এবং ভবিষ্যতেও নেবেন।

• তাদের আছে দলীয় পত্রিকা এবং সেগুলোতে ক্রমাগত হচ্ছে শরিয়া প্রচার। পক্ষান্তরে তাদের ইসলামি ব্যাখ্যার ভিত্তিহীনতা, কোরান বিরোধীতা, ইসলাম বিরোধীতা ও নারী বিরোধীতা তুলে ধরার তেমন কোনো পত্রিকা নেই। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ইসলামি দলিল ছাপতে বেশিরভাগ সেক্যুলার পত্রিকা ভয় পায়।

• এটাও শরিয়াপন্থীদের আরেকটা বিরাট সাফল্য। তারা জনগণ, সরকার, মিডিয়া, টিভি-রেডিও-সংবাদপত্র প্রকাশনাসহ সারা জাতিকে ভয় পাওয়াতে সক্ষম হয়েছেন। এটা আরও বাড়বে বৈ কমবে না।

• তাদের আছে দুনিয়াজুড়ে 'ফেইথ-কাজিন' সংগঠগুলোর সঙ্গে শক্তিশালী আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক। পক্ষান্তরে আমাদের বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজ ভোগে অহংরোগ, গর্ব, একগুঁয়েমি ও সাংগঠনিক ব্যর্থতায়। টাকার জোর বা আন্তর্জাতিক সমন্বয়ও তাদের নেই।

• ২০০৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে জামায়াত ঘোষণা দিয়েছে: দেশজুড়ে মহাশরিয়া কোর্টের জটাজাল বানানো হবে। গ্রাম থাকবে উপজেলার নিয়ন্ত্রণে, উপজেলা থাকবে জেলার নিয়ন্ত্রণে, এভাবে হাজার হাজার শরিয়া কোর্টের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ থাকবে বায়তুল মোকাররমের খতিবের হাতে। জামায়াত যদি সত্যিই তা করতে পারে তবে জাতি শরিয়া কোর্টের জটাজালে মাছের মতো আটকে যাবে। তারা 'আইন', 'কোর্ট' এসব শব্দ এড়িয়ে এমন নাম দেবে যে এটাকে আইন দিয়ে ধরা যাবে না।

• ইসলামি টিভি চ্যানেলগুলো তো আছেই, অন্যান্য প্রায় প্রতিটি টিভি চ্যানেলে ইসলামি প্রোগ্রাম চলে। প্রায় প্রতিটি সংবাদপত্রে ইসলামি অংশ থাকে যার প্রত্যেকটিই শরিয়াপন্থী। জনগণের ওপর এসবের প্রভাব সুস্পষ্ট।

• আওয়ামী লীগ সরকারি ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করবে। ('ইনকিলাব', ২০ আগস্ট ২০১১) প্রস্তাবটা সম্ভবত সংসদে পাসও হয়ে গেছে। বাংলাদেশে কয়েকটা বেসরকারি ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় আছে, সেগুলোতে নির্ভেজাল মওদুদিবাদ পড়ানো হয়। সরকারি ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ও তাদের হাতেই যাবে।

• দাবি এসেছে ন্যাশনাল ফতোয়া বোর্ড গঠনের।

• বায়তুল মোকাররমের খতিবকে প্রধান বিচারপতির মর্যাদা দিতে হবে– এ দাবি বহু আগে থেকেই ছিল।

এরকম আরও ঘটনা ঘটছে। সমস্যা হল সে দেশের মতো এখানেও আমাদের শরিয়াপন্থী মওলানারা সাংঘাতিক নারীবিরোধী। তাদের ওয়াজ, বক্তৃতা ও নিবন্ধে তার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। তাদের নারীবিরোধী অবস্থান এতই স্পষ্ট যে, প্রগতিশীল শক্তি বিশেষ করে নারীশক্তির সঙ্গে তার সংঘাত অনিবার্য হয়ে উঠেছে। এটা জাতির জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ও বিপজ্জনক। উদ্ধৃতি দিচ্ছি শরিয়াপন্থী মওলানা ও তাদের দৈনিক থেকে (দৈনিকটির নাম উহ্য রাখা হল):

• ইসলামে নারীদের পুরুষের অধীন করা হয়েছে – ১২ নভেম্বর ২০০৫।
• রাজনীতিতে নারীর ৩৩% আসন শরিয়তবিরোধী – ২৬ মে ২০০৭।
• গায়িকা ও নারী-আবৃত্তিকার নিষিদ্ধ – ০৫ জুলাই ২০০৮।
• নারীদের নোংরা ভাষায় গালাগালি – ২৩ জুলাই ২০০৮, ৩ ডিসেম্বর ২০০৫, ১১ ও ২২ জুলাই ২০০৫, ২৮ আগস্ট ২০০৫, ১৬ ডিসেম্বর ২০০৫, ২৬ ডিসেম্বর ২০০৫, ৩ সেপ্টেম্বর ২০০৫, ৩০ ডিসেম্বর ২০০৫, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০০৭।
• নারী নীতিমালার বিপক্ষে খোলাখুলি অবস্থান – ১৯ মে ২০০৬, ১৪ মার্চ ২০০৮।
• নারীরা শুধুমাত্র নারী-সংক্রান্ত বিষয়ে আইনবিদ হতে পারবেন, তাও অভিভাবকের সম্মতিক্রমে – ৮ মার্চ ২০১০।
• নারীকে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে সাংবিধানিকভাবে নিষিদ্ধ করা হোক, গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে খেলাফত আন্দোলন দলের প্রস্তাব – ১৩ জুলাই ২০০৮।
• নারীরা তেঁতুলের মতো, দেখলে পুরুষের জিহ্বায় পানি আসে -(ওয়াজ)।
• নারীদের পঞ্চম শ্রেণির বেশি পড়ানো উচিত নয় (ওয়াজ)।
• কর্মজীবী নারীরা বেশ্যা (ওয়াজ)।
• "আমাদের বড়জনও নারী, মেজোজনও নারী, সেজোজনও নারী, তাই আমরা একটা 'মাথা খারাপ' জাতি" (ওয়াজ)।

সেদেশের নাম পাকিস্তান, দুনিয়ার অন্যতম ব্যর্থ রাষ্ট্র। সেখানে অমুসলিমের সংখ্যা কমতে কমতে প্রায় শূন্যে এসে ঠেকেছে, সেখানে অহরহ শিয়া-সুন্নি-আহমদির হানাহানি রক্তপাত, সেখানে ক্রমাগত আত্মঘাতী হামলায় বাস-ট্রেন-বাজারে শত শত সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে মসজিদের নামাজীরা পর্যন্ত মরে পড়ে থাকে, সেখানে হত্যাকারীর নামে রাস্তা ও পার্ক বানানো হয়, ধর্ষণের চারজন মুসলিম সাক্ষী না হলে ধর্ষকের শাস্তি হয়নি বহু বছর।

এটা ওদের হুদুদ আইন নং ৭, ১৯৭৯, আইন ৮ এর খ, ১৯৮০ দ্বারা সংশোধিত। শরিয়া সমর্থকদের প্রচণ্ড বিরোধীতার জন্য এ আইন বহু বছর বাতিল করা যায়নি, সম্প্রতি বাতিল হয়েছে। সেখানে তিন হাজারের বেশি ধর্ষিতা ১০-১২ বছর জেল খেটেছেন, কারণ তাঁরা ধর্ষণের চারজন সাক্ষী আনতে পারেননি। এটা ওদেশে হয়েছে, হতে পারে এখানেও। ইসলামি নেতৃত্বকে রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী করে ও তার সঙ্গে আপস করার কী মারাত্মক ফল হয়েছে, তা থেকে আমাদের রাজনীতিবিদদের শিক্ষা নেওয়া উচিত।

ঘটনা যেভাবে ঘটছে তাতে একদিন গণতান্ত্রিক ভোটেই বাংলাদেশ 'শরিয়া রাষ্ট্র' হয়ে যেতে পারে যেমন মিসরে ঘটেছে। আমাদের কিছুটা দেরি হয়েছে, কিন্তু পথ এখনও আছে, উপায় এখনও আছে। তা হল, জাতিকে শরিয়া সম্পর্কে শিক্ষিত করে তোলা। জাতিকে জানানো যে হানাফি ও শাফি আইনের কিতাবে প্রত্যেকটিতে যে ছয় হাজারের বেশি আইন আছে তার বেশিরভাগই ভালো, কিন্তু কিছু আইন লঙ্ঘন করে কোরান, রাসুল (সা.) ও মানবাধিকার। সেগুলো যুগোপযোগী করতেই হবে। সব মিলিয়ে শরিয়া আইনের সিংহভাগ মানুষের তৈরি।

• আরও উচিত দুনিয়ার অন্যতম বৃহৎ ইসলামি সংগঠন নাহদলাতুল উলামার 'ইসলামি রাষ্ট্রের বিভ্রম' ('The Illusion of An Islamic State') বইটার বাংলা অনুবাদ করে জাতির কাছে পৌঁছে দেওয়া। ২০০৩ সালে এ সংগঠনের সদস্য ছিল মোটামুটি চার কোটি। এর প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট হাজি আবদুর রহমান ওয়াহিদ ছিলেন পৃথিবীর বৃহত্তম মুসলিমপ্রধান দেশ ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট।

• আরও দরকার ড. বাসাম তিবি, ড. আবদুল্লাহ আন নাঈমের মতো শরিয়াবিরোধী ইসলামি বিশেষজ্ঞদের বইগুলো অনুবাদ করে জাতির কাছে পৌঁছে দেওয়া।

• আরও উচিত জাতিকে জানানো কেন ড. হাশিম কামালির মতো শরিয়া বিশেষজ্ঞেরা (তাঁর অসাধারণ গবেষণার বই 'প্রিন্সিপলস অব ইসলামিক জুরিসপ্রুডেন্স') ব্যাকুল হয়ে মুসলিম বিশ্বকে শরিয়া আইনের প্রয়োগ সম্পর্কে হুঁশিয়ার করেছেন।

• দেশেও কিছু কাজ হয়েছে। বই আছে 'শারিয়া কী বলে, আমরা কী করি', ডকুমুভি বানানো হয়েছে 'নারী', 'শরিয়া প্রহেলিকা' ও 'হিল্লা'; এখন আমাদের দায়িত্ব এগুলো ছড়িয়ে দেওয়া।

এসবের ভিত্তিতেই বেশকিছু মুসলিমপ্রধান দেশের ইমামরা শরিয়াভিত্তিক ইসলামি ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান করেছেন। ইতিহাস ব্যাকুল হয়ে বারবার হুঁশিয়ারি দিচ্ছে আমাদের, কিন্তু আমরা বিপুল অহংকারে সে হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে যাচ্ছি, করেই যাচ্ছি। আমরা বালুর মধ্যে মাথা গুঁজে নিজেদের সান্ত্বনা দিচ্ছি এই বলে যে ঝড়টা আসছে না। কিন্তু–

প্রকৃতির কিছু বিধান রয়েছে বাকি,
অন্ধ সে বিধি কাউকে ছাড় দেবে না,
কেউই পারেনি সেইখানে দিতে ফাঁকি,
সুদে ও আসলে গুনতে হয়েছে দেনা!

হাসান মাহমুদওয়ার্ল্ড মুসলিম কংগ্রেসের উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য, মুসলিমস রিফর্ম মুভমেন্ট ও আমেরিকান ইসলামিক লিডারশিপ কোয়ালিশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য


শারিয়া কি বলে, আমরা কি করি - হাসান মাহমুদ

শারিয়া কি বলে, আমরা কি করি
হাসান মাহমুদ
বর্তমানে কানাডার স্থায়ী বাসিন্দা, শারিয়া ল' — মুসলিম ক্যানাডিয়ান কংগ্রেস-এর পরিচালক এবং ওয়ার্ল্ড মুসলিম কংগ্রেস-এর সহযোগী সদস্য হাসান মাহমুদের ইসলাম ও শারিয়া  (বর্তমান নাম - শারিয়া কি বলে, আমরা কি করি) বইটি প্রকাশিত হয়েছে।
লেখকের নিজের ভাষায় :
এ বইয়ে দেখানো হলো কিভাবে ইসলামের অপব্যবহার করে কোরাণ-বিরোধী, নারী-বিরোধী, ও মানবতা-বিরোধী এক ভয়ঙ্কর আত্মঘাতী অপদর্শন প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।
পর্যালোচকের (বেলাল বেগ) মতে,
একটি দীর্ঘ অনুপ্রাণিত বক্তৃতার মতো, অসাধারণ তেজস্বী ভঙ্গীতে লেখা এই বইটি ধার্মিক-অধার্মিক, মুসলমান-অমুসলমান, জামাতে ইসলামি, ছাত্রশিবির সহ সকল রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, স্কুল-কলেজ এমনকি মাদ্রাসার ছাত্র সহ লেখাপড়া জানা প্রত্যেক মানুষের পড়া উচিত।
আমরা আশা করি, বাংলাদেশের ধর্মব্যবসায়ী ও ১৯৭১-এ ধর্মের নামে গণহত্যায় লিপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের স্বরূপ উন্মোচনেও সহায়ক হবে হাসান মাহমুদের এই বই।

মুক্তমনার নতুন ই-বুক : হাসান মাহমুদের 'ইসলাম ও শারিয়া'

হাসান মাহমুদ (ফতেমোল্লা) মুক্তমনার প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের অন্যতম এবং মুক্তমনার উপদেষ্টামন্ডলীর অন্যতম সদস্য। একাত্তরের একজন গর্বিত মুক্তিযোদ্ধা। দীর্ঘদিন ধরে লেখালিখি করছেন। সাহিত্য-সংস্কৃতিতে গল্প, কবিতা, নাটক, সঙ্গীত তার পদচারণা  পেয়ে ধন্য হয়েছে প্রতিনিয়ত।  তার খ্যাতি আজ বাংলাভাষাভাষীর সীমানা পেরিয়ে চলে গেছে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে। শারিয়া ও ইসলামিক ল, মুসলিম ক্যানাডিয়ান কংগ্রেসের ডিরেক্টর তিনি, আমেরিকা ও ইউরোপে বিভিন্ন কনফারেন্স এবং সেমিনারে ইসলাম ও মানবাধিকারের উপর সফল বক্তা।  শারিয়ার উপরে তার ডকুড্রামা হিলা তাকে নিউইয়র্কের নাট্যমেলায় এনে দিয়েছে শ্রেষ্ঠ নাট্যকারের সম্মান।







__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

Re: [mukto-mona] Re: {PFC-Friends}



If no one dares to criticize annoyance, annoyance will be a part of his/her life. More broadly speaking, what some people call their religion is other peoples' annoyance. Only government can limit such annoyance through legislative measures, as did in India.

Using loud noise for extended period to awake/deprive people from deep sleep is a frequently used torture technique used for procuring information from criminals; it  has been widely used in the Guantanamo Bay Terrorist Camp to procure information from terrorists. Bothering others with loudspeakers from the high towers several times in 24 hours appears to be an extreme form of torture.

Pat

On Wed, May 3, 2017 at 1:55 PM, ANISUR RAHMAN anisur.rahman1@btinternet.com [mukto-mona] <mukto-mona@yahoogroups.com> wrote:
 

This ruling should be sent to Bangladesh also. When Prophet Mohammad invented Islam back in the 7th century in the deserts of Arabia, he had to find ways to call devotees to prayers and so Azaan was invented. Azaan used to be given at the ground level or at the roof of a single storey mud house in the desert and there was no electricity or microphone or loud speaker.

Now the mullahs are using 120/130db or even higher output speakers from 4th/5th/6th floors to spread Azaan as far as possible in densely populated areas. In Dhaka there are mosques almost every 200 to 300m in every direction and they all use mega powerful speakers, almost in competition to each other, to spread Azaan. Not only that, mullahs use these speakers for their endless bull-shit interpretation of Quran.

My brother's house at Rajarbagh in Dhaka is only 30 to 40 meters from a mosque. The mosque is located on the 4th floor of a nearby building and my brother's apartment is on the 5th floor. Azaan  is given at 4:30 AM and then the prayer starts from 5 AM and throughout the whole day and right up to 10 PM Azaans, prayers, khotbas etc continue unabated through the speakers. My brother's wife had developed severe hearing problems some 15 to 20 years ago. My brother, who was the senior most Bengali Capt in PIA (from East Pakistan) and who was asked by Sheikh Mujibur Rahman to setup a national airlines and he did setup the Bangladesh Niman back in 1972, developed cancer in mid 1980s. He suffered a lot, as in his pain he could not sleep properly and in the early morning he was about to fall asleep, he would be woken up by loud blast of Azaan call. He died just a few years after diagnosis. My nephew had a nervous breakdown some 20 years ago from sleep deprivation and now he is totally deranged!

The Pir of that mosque is so powerful that many ministers come to him for his blessings. Nothing can be done to stop such brutality. It is absolutely barbaric. A religion which imposes such cruelty on human beings should not be allowed to function.

- AR


On Wednesday, 3 May 2017, 15:56, Sitangshu Guha <guhasb@gmail.com> wrote:


--
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "PFC-Friends" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to pfc-friends+unsubscribe@googlegroups.com.
For more options, visit https://groups.google.com/d/optout.





__._,_.___

Posted by: Dristy Pat <dristypat5@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___