Banner Advertiser

Monday, February 9, 2015

[mukto-mona] বেগম জিয়া ক্ষমতায় গেলে তাদের কী লাভ?



বেগম জিয়া ক্ষমতায় গেলে তাদের কী লাভ?

প্রকাশিত: সন্ধ্যা ০৬:০২ ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৫

 

মাসুদা ভাট্টি

কোনও দেশে যখন সর্বনাশ আসন্ন হয় তখন সে দেশের সুশীল বিবেকগণও যে অন্ধ উটপাখির মতো আচরণ করে তার প্রমাণ পাকিস্তানে বার বার পাওয়া গেলেও বাংলাদেশেও আজকাল বার বারই দেখা যাচ্ছে। আইয়ুব শাহির উর্দি-রাজনীতির ক্যাম্পে যেমন বাঙালী বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই গিয়ে হাজিরা দিয়েছিলেন তেমনই জেনারেল জিয়া এরশাদের রাজনীতির পতাকাতলেও বাঙালী বুদ্ধিজীবী বা বিবেকবান মানুষের অনেকেই আশ্রয় গ্রহণ করেছিলেন। স্বৈরশাসনকে এদেশে "সিভিল সোসাইটির অংশ" বলার মতো বিবেকবান (?) মানুষের অভাব হয়নি কোনও আমলেই। এখানে মনে রাখাটা প্রয়োজন যে, গণ-আন্দোলনে অংশগ্রহণ আর গণবিরোধী কর্মকাণ্ডের সমর্থন এক ব্যাপার নয়। যারা এই দুটোকে মিলিয়ে ফেলেন তারা হয় জ্ঞানপাপী নয় সুযোগসন্ধানী

ফেসবুক- একটি পোস্ট দেখলাম, একজন লিখেছেন, মাহমুদুর রহমান মান্না বগুড়ার ছেলে, যেভাবে তিনি বিএনপি' পেট্রোল বোমা রাজনীতিতে সমর্থন দিচ্ছেন তাতে আগামী নির্বাচনে তিনি বিএনপি প্রার্থী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলে আশ্চর্য হবো না। আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে বাইরে বের হওয়ার পর যে ব্যক্তির রাজনৈতিক গন্তব্য হয় বিএনপি-জামায়াতের জোট তাকে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে রাখাটা যে খুব বুদ্ধিমানের কাজ নয়, সেটা শেখ হাসিনা বুঝতে পেরেই হয়তো মাহমুদুর রহমান মান্নাকে আওয়ামী লীগে স্থান দেননি। তিনি যে ঠিক কাজটিই করেছেন তা হারে হারে প্রমাণিত হচ্ছে এখন। মনে আছে আওয়ামী লীগের ঘোর দুর্দিনে, যখন বিএনপি-জামায়াত জোটের ভয়ঙ্কর শাসন চলছে তখন সুধা সদন কিংবা আওয়ামী লীগের ধানমণ্ডি অফিস থেকে খবর "খাওয়া ভবন" (হাওয়া ভবন নামে, আসল কাজতো ছিল খাওয়া)- পৌঁছে দিতে পারলেই পাওয়া যেত ইনাম। তখনকার বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাকে চিনতাম যারা নিয়মিতভাবেই কাজটি করতেন বলে প্রমাণ পেয়েছি। পরবর্তীতে তাদের অনেককেই আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছেন শেখ হাসিনা। রাজনীতিতে এরকম কঠিন হওয়ার যে প্রয়োজন রয়েছে তা এই মুহূর্তে নিশ্চয়ই আবারও প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে

মাহমুদুর রহমান মান্না রাজনীতিবিদ, তিনি ছাত্ররাজনীতি করেছেন এবং এটাই তার পেশা। সুতরাং, তিনি রাজনীতির জন্য যে কোনও কিছুই করতে পারেন, আপত্তি থাকার প্রশ্নই ওঠে না। /১১- সময়ে তিনি এবং তার মতো অনেকেই সে সময়কার অরাজনৈতিক সেনা সমর্থিত সরকারকে সমর্থন দিয়ে "মাইনাস টু থিওরি" কার্যকর করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সে সময় অনেকেই আমরা তর্ক করেছিলাম যে, আসলে "মাইনাস টু" নয় "মাইনাস ওয়ান" অর্থা তখনকার মূল উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে বিদায় দেওয়া। সেটা যে সত্য ছিল তার প্রমাণ এখন আবার পাওয়া যাচ্ছে, কারণ তারা সকলেই আবার গিয়ে সমবেত হয়েছেন বেগম জিয়ার জ্বালানো আগুনের পাশে। যারা গ্রামে বড় হয়েছেন তারা জানেন যে, শীতের শেষে নাড়া পুড়িয়ে আগুন জ্বালানো হয় এবং তার চারপাশে আবালবৃদ্ধবণিতা ঘিরে বসে আগুন তাপান। আবার ছেলেমেয়েরা বিকেলে বা সন্ধ্যার দিকে এরকম নাড়া জ্বালিয়ে আগুন করে তার ওপর ছোলা বা কলই গাছ পুড়িয়ে তারপর ছাইয়ের ভেতর থেকে খুঁটে খুঁটে ছোলা-কলই খান। প্রশ্ন হলো, বেগম জিয়া জামায়াত মিলে যে আগুন সারা দেশে জ্বালিয়েছেন তাতে তো মানুষ পুড়ে মরছে, এখন তার এই আগুনের পাশে যারা জড়ো হয়েছেন তারা আসলে কী খুঁটে খাবেন? আমরা কি মানুষখেকো জাতি হয়ে গেলাম?

জামায়াতের ওপর আবার মড়ার ওপর খাড়ার ঘা-এর মতো যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিষয়টি ঝুলছে। আর বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনীতি প্রায় শেষের দিকে। তারেক জিয়া দুর্নীতির দায় নিয়ে পলাতক। এমতাবস্থায় দল দু'টি নিজেদের বাঁচাতে আগুন নিয়ে খেলতেও দ্বিধা করবে না, সেটাই স্বাভাবিক

শুরুতেই বলেছিলাম যে, গণ-আন্দোলনে অংশগ্রহণ আর গণবিরোধী কর্মকাণ্ডে সমর্থন এক ব্যাপার নয়। ৯০-এর গণ-আন্দোলনে যার ভূমিকা প্রশংসনীয় আজকে তাকেই আবার এই গণবিরোধী কর্মকাণ্ডে সমর্থনের জন্য নিন্দা জানানো নিশ্চয়ই একজন বিশ্লেষক হিসেবে আনন্দের কথা হতে পারে না। যিনি মানুষের জন্য সংবিধানের রচতিয়া তিনিই যখন আবার মানুষকে পুড়িয়ে মারার সমর্থন দিয়ে চলেছেন তখন আমাদের মতো অনেকের কাছেই ভয়ঙ্কর বিস্ময়ের হয়ে ওঠে। কারণ, তাহলে মানুষ যাবেটা কার কাছে? কোথায়? বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলাটা অবান্তর, কারণ একমাত্র আওয়ামী লীগ বিরোধিতা ছাড়া বড় কোনও রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক উদ্দেশ্য তাদের আছে তেমন প্রমাণ পাওয়া যায় না। হ্যাঁ, জামায়াত নিশ্চিতভাবেই বড় উদ্দেশ্য নিয়ে রাজনীতি করে, তারা দেশে ধর্মভিত্তিক বিপ্লব ঘটাতে চায়। আজকে তারা বিএনপি' সঙ্গে স্বার্থিক আন্দোলন করছে কিন্তু তাদের লক্ষ্য যে এক নয় তা প্রতিটি বিএনপি জামায়াত কর্মীই নিশ্চিতভাবেই জানেন। বিএনপি এবং জামায়াত দু'পক্ষের জন্যই এখন সময়টা খারাপ কারণ ক্ষমতায় না থাকলে এরকম ক্ষমতা-কেন্দ্রিক দলগুলোর যে অবস্থা হয় তাই- হয়েছে। জামায়াতের ওপর আবার মড়ার ওপর খাড়ার ঘা-এর মতো যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিষয়টি ঝুলছে। আর বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনীতি প্রায় শেষের দিকে। তারেক জিয়া দুর্নীতির দায় নিয়ে পলাতক। এমতাবস্থায় দল দু'টি নিজেদের বাঁচাতে আগুন নিয়ে খেলতেও দ্বিধা করবে না, সেটাই স্বাভাবিক। তাদের আন্দোলনের ইতিহাস নেই, আছে পুলিশ দিয়ে মারার কিংবা রগ কাটার ইতিহাস। ফলে তারা এখন নতুন ইতিহাস গড়ছে পুড়িয়ে মারার। কিন্তু এতে এই দু'টি দলের বাইরে যারা সমর্থন দিয়ে চলেছেন তাদের কী লাভ? বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় গেলে কি . কামাল হোসেন কিংবা মাহমুদুর রহমান মান্নাকে মন্ত্রী বানাবে? কেউ কি বিশ্বাস করেন এটা? কিংবা ধরুন, জামায়াতের যে রাজনীতি তার সঙ্গে এতোদিন . কামাল হোসেন বা মান্না সাহেব যে রাজনীতির কথা আমাদের শুনিয়েছেন , তার কোনও মিল আছে? যদি না থাকে তাহলে তারা কেন গিয়ে বিএনপি-জামায়াতের পতাকাতলে দাঁড়ালেন?

অনেকেই বলবেন যে, তারা আওয়ামী লীগ সরকারের অপশাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। মেনে নিলাম। কিন্তু সে জন্য কি বেগম জিয়া তথা বিএনপি-জামায়াতের মানুষ পুড়িয়ে মারার আন্দোলনে সমর্থন দিতে হবে? ডাক্তার বদরুদ্দোজা চৌধুরী এই মাত্র কিছুদিন আগেও তারেক জিয়ার ধাওয়া খেয়ে মহাখালীতে রেল লাইন ধরে দৌড়ে প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন। আজকে তিনিই আবার বিএনপি-জামায়াতের পুড়িয়ে মারার সন্ত্রাসকে সমর্থন দিচ্ছেন। বলছেন, সংলাপে না বসলে দেশে গৃহযুদ্ধ হবে। তিনি এখনকার গণতন্ত্রকে নিকৃষ্টতম বলছেন কিন্তু তার দৌড়ে জীবন বাঁচানোর সময়কালটাকে বেমালুম ভুলে গেছেন

তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম যে, এই শ্মশ্মানের ওপর বেগম জিয়া জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে সরকার গঠন করতে পারলেন। সেই সরকারও যে বর্তমান আওয়ামী লীগের সরকারের তুলনায় খুউব ভালো হবে তার নিশ্চয়তা কি কেউ দিতে পারবেন? পারবেন কি এই নিশ্চয়তা দিতে যে, ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীগুলির বিচার কার্যকর হবে? পারবেন কি কেউ নিশ্চয়তা দিতে যে, দেশের উন্নয়ন সূচক এর চেয়ে ভালো হবে? পারবেন না

মজার প্রশ্ন হলো, এদের সকলেই কী করে /১১- সরকারকে সমর্থন দিয়েছিলেন? প্রশ্ন আরও আছে, তাহলে কেন তারা জানুয়ারির সরকারকে মেনে নিতে পারছেন না? /১১- সরকার নির্বাচিত ছিল না, ছিল সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পরিচালিত একটি সরকার। জানুয়ারি নির্বাচন হয়েছে, দেশের বড় একটি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে আরও কিছু দল এতে অংশ নেয়নি। তারা প্রতিরোধের চেষ্টা করেছে। কিন্তু নির্বাচন না হয়ে তখন উপায় ছিল না, শেখ হাসিনা নিশ্চয়ই কলাগাছের কাছে ক্ষমতা দিয়ে সরে যেতে পারতেন না? সুতরাং নির্বাচন হয়েছে এবং তাতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রায় অর্ধেক প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। সংসদ গঠিত হয়েছে। সেখানে একাধিক রাজনৈতিক দলের সদস্য রয়েছেন। আমরা এই সরকারকে কি কোনওভাবেই /১১- সরকারের চেয়ে খারাপ বলতে পারি? না উচিত? এর পরের প্রশ্ন হলো, জানুয়ারির সরকার কি কোনওভাবেই দেশের কোনও ক্ষতি করেছে, উপকার ছাড়া? হ্যাঁ, রাজনীতি, গণতন্ত্র ইত্যাদি ভৌত ব্যাপারগুলো নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন, পারেন অংশগ্রহণমূলক, কিংবা গণতন্ত্রের সংজ্ঞা-টংজ্ঞা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে। কিন্তু পারেন কি দেশের উন্নয়ন সম্পর্কিত কোনও সূচক নিয়ে প্রশ্ন তুলতে? বিএনপি-জামায়াত জোট কিংবা /১১- সরকারের আমলের তুলনায় কোনো সূচকেই কি জানুয়ারির সরকার পিছিয়ে রয়েছে? বরং প্রতিটি ক্ষেত্রেই এগিয়ে রয়েছে। এমনকি রাজনৈতিক সুযোগ তৈরির ক্ষেত্রেও। প্রয়োজন হলে কেউ সরকারের কট্টর সমালোচক পত্রিকাগুলোর জানুয়ারি ২০১৫ তারিখের সংখ্যা দেখে নিতে পারেন, প্রত্যেক ক্ষেত্রেই উন্নয়নের কথা বলা হয়েছে, কেবল রাজনীতির ক্ষেত্রে সরকার পিছিয়ে আছে, এটাই বলা হয়েছে। এখন বলুন তাহলে, কোনটি জরুরি? /১১- মতো একটি অসাংবিধানিক সরকার নাকি জানুয়ারির মতো একটি সাংবিধানিক সরকার? দেশের উন্নয়ন নাকি দেশকে পুড়িয়ে শ্মশ্মান বানানো?

তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম যে, এই শ্মশ্মানের ওপর বেগম জিয়া জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে সরকার গঠন করতে পারলেন। সেই সরকারও যে বর্তমান আওয়ামী লীগের সরকারের তুলনায় খুউব ভালো হবে তার নিশ্চয়তা কি কেউ দিতে পারবেন? পারবেন কি এই নিশ্চয়তা দিতে যে, ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীগুলির বিচার কার্যকর হবে? পারবেন কি কেউ নিশ্চয়তা দিতে যে, দেশের উন্নয়ন সূচক এর চেয়ে ভালো হবে? পারবেন না। কারণ আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা থেকে জানি যে, সেরকম কোনও কিছু সম্ভব নয় তাদের পক্ষে। তাহলে এই যে মানুষ পুড়িয়ে মারা এবং তাতে সমর্থন দিয়ে কোন গণতন্ত্রের কথা বলছেন আপনারা? শিক্ষিত, বিবেকবান, রাজনীতিবোদ্ধা মানুষ আপনারা, গণ পুড়িয়ে তন্ত্র রক্ষা করতে চাইছেন। এই সত্য কি এখনও উপলব্ধি করতে পারছেন না যে, যে মুহূর্তে বিএনপি' প্রয়োজনীয়তা ফুরাবে জামায়াত সেই মুহূর্তে বিএনপি'কে সমূলে বিনাশ করবে আর যে মুহূর্তে আপনাদের প্রয়োজন ফুরাবে সেই মুহূর্তে বিএনপি-জামায়াত আপনাদের ছুড়ে ফেলে দেবে আস্তাকুঁড়ে। তখন কোনও বগুড়া-কানেকশনই কাজে আসবে বলে মনে হয় না। /১১- পরবর্তী সরকার যদি বিএনপি-জামায়াতের হতো তাহলে /১১- সমর্থক মান্না-কামালসহ বাকি সুশীলগণ কি কোনওভাবেই রক্ষা পেতেন তারেক-নিজামী-মুজাহিদ সরকারের রোষাণল থেকে? আমি নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারি যে, আওয়ামী লীগের শাসনামলে তো তারা বহাল তবিয়তে সমালোচনার ঝড় তুলে টিকে আছেন কিন্তু ওদের আমলে এরকম কথা বলে টিকে থাকা? অতো গুড় আধসের নয়! রেললাইন ধরে প্রাণ বাঁচানো সব সময় সফল হবে, তার কি কোনও নিশ্চয়তা আছে? নেই, নেই এবং নেই

লেখক: কবি, প্রাবন্ধিক

 http://www.banglatribune.com/%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%97%E0%A6%AE-%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%AE%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%A4%E0%A6%BE

বাংলা ট্রিবিউন সকাল ০৯:৩২ ; মঙ্গলবার ;  ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫  




__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___