Banner Advertiser

Tuesday, June 3, 2014

[mukto-mona] আওয়ামী লীগকে পরামর্শ দিয়ে লাভ কী?



আওয়ামী লীগকে পরামর্শ দিয়ে লাভ কী?
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী
ঢাকা থেকে আমার বয়োকনিষ্ঠ এক কলামিস্ট আমাকে একটি চিঠি লিখেছেন। তাঁর অনুরোধেই নামটা প্রকাশ করলাম না। তিনি লিখেছেন, 'আপনার লেখা পড়ে মাঝে মাঝেই সমালোচনা করে লিখতে ইচ্ছে করে। লিখি না এই কারণে যে, আপনি দূরে থাকেন। আওয়ামী লীগকে সমর্থন জানিয়ে দীর্ঘকাল ধরে লিখছেন। এই বয়সে আপনার মত পাল্টানো যাবে না। তাই এই চিঠি লিখছি। যদি আমার নাম প্রকাশ না করে প্রশ্নগুলোর জবাব দিয়ে একটি কলাম লেখেন, তাহলে খুশি হব।'
চিঠিটা পড়ে আমিও খুশি হয়েছি। ফয়েজ আহমদ তো মারা গেছেন আগেই। সম্প্রতি বন্ধুবর এবিএম মূসা মারা যাওয়ার পর আমার লেখার নিন্দা-প্রশংসা করে কলামিস্ট বন্ধুদের আর কেউ টেলিফোন করেন না। আমার বয়সী কলামিস্টদের তেমন আর কেউ বেঁচেও নেই। মূসা বেঁচে থাকতে প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার দু'বার তাঁর টেলিফোন পেতাম। কখনও আমার লেখার প্রশংসা করতেন। আবার কখনও বলতেন, 'এটা কী লিখেছেন? হাসিনা সরকারকে বেশি প্রশ্রয় দেবেন না, তাহলে কেবল ভুল করতে থাকবে।'
সেই মূসাও আর নেই। আমাকে এতটা সম্মান ও ভালবাসার সঙ্গে তিরস্কার ও প্রশংসা করার আর কোন সাংবাদিক বন্ধু বেঁচে নেই। মাঝে মাঝে পঞ্চাশের ও ষাটের দশকে ঢাকায় সাংবাদিকতা করার দিনগুলোর কথা মনে পড়ে। মনে পড়ে ফয়েজ, মূসা ও এমআর আখতার মুকুলের সঙ্গে আরও অনেকের কথা। আমাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ কম হয়নি। কিন্তু তার মধ্যেও ছিল এক অনাবিল বন্ধুত্ব ও প্রীতির সম্পর্ক। মাঝে মাঝেই তাঁদের বিয়োগ-ব্যথায় বুকে শূন্যতার হাহাকার শুনি। আমারও তো বিদায় বেলা ঘনিয়ে এলো। কখনও কখনও রবীন্দ্রনাথের গানের কলি আওড়াই :
'চাহি না রহিতে বসে ফুরাইলে বেলা,
তখনি চলিয়া যাব শেষ হলে খেলা।'
লিখতে বসে ভাবাবেগে প্রসঙ্গের বাইরে চলে এসেছি। এ জন্য সহৃদয় পাঠকদের কাছে ক্ষমা চাই। আমার অনুজপ্রতিম এক কলামিস্টের কাছ থেকে চিঠি পেয়ে মনে এই ভাবাবেগ জেগে উঠেছিল। তিনি আমাকে লিখেছেন, 'আপনি তো দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকারকে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। আপনি কি মনে করেন আওয়ামী লীগের নেতা-নেত্রীদের কেউ আপনার লেখা পড়েন (তাদের কোন কিছু পড়ার অভ্যাস আছে কি?) কিংবা তাতে কর্ণপাত করেন? যদি নাই পড়েন, নাই কিছু করেন তাহলে দিনের পর দিন এসব লিখছেন কেন? এই বিরামহীন লেখা দ্বারা আপনি কার উপকার করছেন? দলটির, না দেশের, না আপনার নিজের? আপনার কাছ থেকে এই প্রশ্নটির উত্তর চাই।'
কলামিস্ট পত্রলেখক সরাসরি প্রশ্ন করেছেন, 'আপনি কি মনে করেন, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের পালের গোঁদাদের বিচার বর্তমানের ঝুলন্ত অবস্থা থেকে শীঘ্রই মুক্ত হবে এবং দ-িতদের শাস্তি কার্যকর করা হবে? জামায়াতকে বিচার করা নিয়ে আইনী তর্কের এই কূটকৌশল গ্রহণ করা কেন? তা নিয়ে আইনমন্ত্রী এক কথা বলেছেন। সাবেক আইনমন্ত্রী বলছেন আরেক কথা। এই বিতর্ক সৃষ্টির আড়ালে যারা যুদ্ধাপরাধীদের এবং জামায়াতীদের বিচার চায়, তাদের ওপর সরকার নির্যাতন চালাচ্ছে। গোটা ব্যাপারটি কী দাঁড়াল? সরকার কি তাহলে জামায়াতের বিচারও চায় না? জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা দূরের কথা!
পত্রলেখক লিখেছেন, 'জামায়াতের বিচার নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির এখন কী দরকার ছিল? নাকি প্রধানমন্ত্রী জনমত বাজিয়ে দেখার জন্য আইনমন্ত্রীকে দিয়ে কথাটা বলিয়েছেন? আমার সামান্য আইনজ্ঞান আছে। তা বলে, প্রচলিত আইনেই জামায়াতকে বিচার করা যায়। যদি না যায় তাহলে একটি আইনপ্রণয়নের অসুবিধা কী? সংসদে সরকারী দল তো এখন একমেবাদ্বিতীয়ম।'
আমি পত্রলেখক বন্ধুর সঙ্গে সহমত পোষণ করি। ইউরোপে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর নাৎসি দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জার্মানিতে পর্যন্ত যুদ্ধ শেষ হওয়ার ৬৯ বছর পরেও নাৎসি দলের স্বস্তিকা চিহ্ন ধারণ এবং হাই হিটলার স্লোগান দেয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বাংলাদেশের নাৎসি দল জামায়াতকে সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে না চান, তাদের বিচারের জন্য নতুন ও কার্যকর আইন পাস করতে পারেন। তা না করে এই গড়িমসি কেন? নাকি হেফাজতীদের মতো জামায়াতীদের প্রতিও সরকারের মনে গোপন দুর্বলতা আছে বলে জনমনের যে সন্দেহ তা সঠিক?
পত্রলেখক লিখেছেন, 'একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও ঝুলে গেছে। মনে হয় এই বিচার শেষ করার ব্যাপারেও সরকার দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছে অথবা কোন প্রকার দেশী অথবা বিদেশী চাপের মধ্যে সরকার আটকে আছে। এই বিচার শেষ করা এবং দ-িত অপরাধীদের দ্রুত শাস্তিদানের পক্ষে বিশাল জনমত ও রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি হয়েছিল গণজাগরণ মঞ্চের আবির্ভাবের সময়ে। সরকার কাদের পরামর্শে এই মঞ্চ ভেঙ্গে দেয়া এবং হেফাজতীদের সঙ্গে গোপন আপোস করার নীতি গ্রহণ করল তা কি আপনি জানেন? সরকার '৭২-এর সেক্যুলার সংবিধান সম্পূর্ণ চালু করা, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও দ-দানের অঙ্গীকার থেকে ক্রমশ পিছু হটছে। সিভিল এ্যান্ড মিলিটারি ব্যুরোক্রেসির একটা অংশের ওপর এই সরকার সম্পূর্ণ নির্ভরশীল। ফলে আওয়ামী লীগকে সংগঠন হিসেবে করে রাখা হয়েছে ঝাঁপিবদ্ধ নির্বিষ সাপের মতো। আপনি কি মনে করেন এই আপোসনীতি, পশ্চাদপসরণের নীতি এই সরকারকে শেষ রক্ষা দিতে পারবে?'
তরুণ কলামিস্ট এই প্রশ্নগুলো তাঁর কলামে না তুলে আমাকে কেন করেছেন, তা লেখেননি। হয়ত ভেবেছেন, এর সদুত্তরগুলো আমার ভাল জানা আছে। তাঁকে সবিনয়ে জানাতে চাই, এই কথাগুলো এবং প্রশ্নগুলো আমারও। এই প্রশ্নগুলোর জবাব আমি আন্দাজ করতে পারি, কিন্তু সবসময় মেলাতে পারি না। আমার ধারণা, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও দ- দানের ব্যাপারে শেখ হাসিনা আগ্রহী ও আন্তরিক। কিন্তু তিনি যে সরকারে নেতৃত্বে রয়েছেন, সেই সরকার আন্তরিক নয়। এই সরকারে কিছু মন্ত্রী ও উপদেষ্টা আছেন, যাঁরা সামনে দেখান, তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর জি হুজুরের দলে। কিন্তু তলে তলে প্যাঁচ কষেন। এস্টাবলিশমেন্টের একটি অত্যন্ত প্রতিক্রিয়াশীল অংশের সঙ্গে এদের যোগাযোগ এবং তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলেছেন। এ ছাড়া এঁদের পেছনে শক্তিশালী আন্তর্জাতিক চক্রীরা তো রয়েছেই।
পত্রলেখক কলামিস্ট আমাকে প্রশ্ন করেছেন, প্রধানমন্ত্রী কি পারতেন না, তাঁর সংগঠনটিকে চাঙ্গা করে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে? তাঁর দলে এমন একজন সাংগঠনিক শক্তির অধিকারী তরুণ নেতা কি নেই, যিনি বর্তমান নিষ্ক্রিয় ও অনিচ্ছুক সাধারণ সম্পাদকের বদলে ওই পদের দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারেন এবং দলটিকে তৃণমূল পর্যায় থেকে সংগঠিত ও শক্তিশালী করে তুলতে পারেন? আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলো- বিশেষ করে ছাত্রলীগের অবস্থা আরও খারাপ। এই সংগঠনে ভাল ও সৎকর্মী ও নেতা নেই তা নয়; কিন্তু তাঁরা দলে কোণঠাসা। নেতৃত্ব সম্পূর্ণভাবে দুর্নীতিপরায়ণ। জেলায় জেলায় এঁরা সংগঠনের কমিটি গঠনের নামে কমিটি বিক্রি করে লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য করেন। (পত্রলেখকের এই অভিযোগ সম্পর্কে আমারও তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের বিবাদ মেটাতে এসে কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কার্যকলাপ দেখে।)
দেশে সন্ত্রাস ও দুর্নীতির জন্য আওয়ামী লীগের যত দুর্নাম, তার বারো আনার জন্য দায়ী এই ছাত্রলীগের একশ্রেণীর কর্মী ও নেতা। এই সংগঠনটির কি রাস টেনে ধরা যায় না? পত্রলেখক বন্ধু প্রশ্ন তুলেছেন, লিখেছেন, ছাত্রলীগকে পুনর্গঠন এবং তার ঐতিহ্যপূর্ণ সংগ্রামী ভূমিকায় ফিরিয়ে নিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী কেন ব্যর্থতা ও অক্ষমতা দেখাচ্ছেন, এটা তার বোধগম্য নয়। পত্রলেখকের এই প্রশ্নের একটি জবাব আমার জানা। একশ্রেণীর মন্ত্রী ও এমপি ছাত্রলীগকে এখন তাঁদের লেঠেল হিসেবে ব্যবহার করেন। তাঁদের আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে ছাত্রলীগে দুর্বৃত্তায়ন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। ছাত্রলীগকে সংস্কার ও পুনর্গঠন করতে হলে এই মন্ত্রী ও এমপিদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তা হয়ত তিনি পারছেন না। বর্তমানে যা পরিস্থিতি তাতে কোন বিরোধী দল নয়, ছাত্রলীগই আওয়ামী লীগ সরকারকে কর্দমে টেনে নামাবে এবং তার বিপর্যয় ঘটাবে আশঙ্কা হয়। আমি পত্রলেখকের এই অভিমতের সঙ্গেও সহমত পোষণ করি।
এবার তাঁর প্রশ্নের জবাবে নয়। আমার নিজের একটি কথা বলি। যে কথা আমি আগেও লিখেছি। আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের রেকর্ড অসাধারণ। কিন্তু উন্নয়ন দেখিয়ে জনসমর্থন ধরে রাখা যাচ্ছে না। কারণ, দেশে আইনের শাসন নেই। দেশের মানুষের মনে স্বস্তি ও নিরাপত্তাবোধ নেই। গুম-খুন-অপহরণ নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অপরাধীরা ধরা পড়ছে না অথবা তাদের ধরা হচ্ছে না। অনেক খুন-অপহরণ ক্ষমতাসীন দলে লুটেরা রাজনীতির অন্তর্দ্বন্দ্বের ফলও। প্রধানমন্ত্রী কঠোর হতে পারছেন না। পদ্মা সেতুসংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার সময় তিনি তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রীকে অপসারণের ব্যাপারে দ্বিধাদ্বন্দ্ব দেখিয়েছেন এবং এখন নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় মন্ত্রী মায়াকে পদত্যাগে বাধ্য করেননি। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় এগুলো সরকারের দুর্বলতা অথবা অক্ষমতার পরিচয় প্রকাশ করছে।
বঙ্গবন্ধু এ দুর্বলতা দেখাননি। তাঁর এমপিদের মধ্যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠতেই তিনি চট্টগ্রামের তৎকালীন প্রভাবশালী এমপি আখতারুজ্জামান বাবুকে এবং শ্রমিক লীগের এক প্রভাবশালী নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছিলেন। জাতীয় সমাজতন্ত্রী দল বা জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের মধ্যে একাধিক নেতা ছিলেন আওয়ামী লীগ বা তার সহযোগী সংগঠন থেকে দুর্নীতির দায়ে বহিষ্কৃত ব্যক্তি। রাজনীতিতে স্বচ্ছতা আনতে হলে আওয়ামী লীগকে নিজের ঘর আগে গোছাতে হবে। 
এখন আমার কলামিস্ট বন্ধুর মূল প্রশ্নটির জবাব দেই। আওয়ামী লীগ আমার পরামর্শ শোনে না এবং শুনবে না জেনেও কেন পরামর্শ দেই? বর্তমানে দেশের ডানে বামে যেদিকেই তাকাই আওয়ামী লীগের বিকল্প কোন দল দেখি না। শেখ হাসিনার বিকল্প কোন নেতা-নেত্রী দেখি না। বামেও নয়, ডানেও নয়। তাই আওয়ামী লীগ সমর্থন করতে হয়। নইলে দেশ সাম্প্রদায়িক এবং মৌলবাদী দানবের কব্জায় যাবে। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগই এখন পর্যন্ত গণতন্ত্র ও সেক্যুলারিজমের একমাত্র রক্ষাকবচ। এই কবচটি যাতে একেবারেই মলিন ও অব্যবহার্য না হয়ে যায় সেজন্য নিজের জ্ঞান ও বিবেক অনুযায়ী যতটা সম্ভব পরামর্শ দেই।
যতদিন দেশে নতুন রাজনীতি ও নতুন নীতি এবং নেতৃত্বের অভ্যুদয় না ঘটবে, ততদিন আওয়ামী লীগকে সঠিক পথে ধরে রাখার জন্য পরামর্শ দিয়ে যেতে হবেই। আওয়ামী লীগ যদি তা না শোনে, তাতে তাদের পতন তো হবেই, দেশের ক্ষতি হবে। ভারতে কংগ্রেসের পতন থেকে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের শিক্ষা নেয়া উচিত। আমার মতো ভারতেরও কয়েকজন প্রবীণ বয়সের কলামিস্ট, দিনের পর দিন কংগ্রেস ও কংগ্রেস সরকারের জন্য অবিরাম সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন। সোনিয়া-রাহুল-মনমোহন তা কানে তোলেননি। রুষ্ট গণদেবতা তার শোধ নিয়েছে শুধু ক্ষমতা থেকে তাড়িয়ে নয়; লোকসভাতেও একেবারে অকেজো করে দিয়ে।
বাংলাদেশের এখন যা অবস্থা, তাতে মনে হয় যে 'সুশীল সমাজ' এত ভাল ভাল কথা বলছে, তাদের নেতারাও কোনদিন ক্ষমতায় আসতে পারবে না। এমনকি বিএনপিও না। বিএনপি এখন হালভাঙ্গা দিশাহীন নাবিক। দেশে যদি ক্ষমতার হাতবদল হয় তাহলে ক্ষমতায় আসবে হয়ত উগ্র মৌলবাদী দল এবং তার নেতা। এই আশঙ্কায় আওয়ামী লীগকে অবিরাম পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। হয়ত আমৃত্যু দিয়ে যাব।
লন্ডন, মঙ্গলবার ॥ 
৩ জুন ২০১৪।

প্রকাশ: বুধবার, ৪ জুন ২০১৪, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২১




__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] Inevitable Inequality in Capitalism



Please find my latest write-up in bdnews24.com.  Comments are welcome.

http://opinion.bdnews24.com/2014/06/03/inevitable-inequality-in-capitalism/


- Anis Rahman


__._,_.___

Posted by: ANISUR RAHMAN <anisur.rahman1@btinternet.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

RE: [mukto-mona] তাজউদ্দীনের কাছে সেনা অভ্যুত্থানের প্রস্তাব দিয়েছিলেন জিয়া!



এটা পড়ে মনে হল তাজুদ্দিন ভিশন ভয় পেয়েছিলেন যা বিশ্বাস যোগ্য নয় ।  তিনি এ পরিস্থিতিতে নিজেকে সরিয়ে নিতে পারেন না। তিনি ভিরু ছিলেন এ কথা কেউ বিশ্বাস করবে না।তা ছাড়া তাঁরও জীবন বিপন্ন জেনেও তিনি সব কিছু হতে দেবেন অতটা সময় ধরে তা কি করে হয়।    আর এতখানি ভয়ঙ্কর বেপার নিয়ে তিনি ভারতিয় সাংবাদিক কে বলবেন অথচ মুজিব কে ফেরাতে পারবেন না একথা হতেই পারে না, এসব ধুম্ম্রজাল রচনা আর রটনা ।

 মনে রাখা দরকার তাজুদ্দিন মুক্তিযুদ্ধ সংগঠন আর পরিচলনা দুটোই সুষ্ঠু ভাবে করেছিলেন। এই চিত্র তার চরিত্র কে অতি ক্ষুদ্র করে ফেলে।

From: mukto-mona@yahoogroups.com
To: mukto-mona@yahoogroups.com
Date: Fri, 30 May 2014 17:24:18 -0400
Subject: [mukto-mona] তাজউদ্দীনের কাছে সেনা অভ্যুত্থানের প্রস্তাব দিয়েছিলেন জিয়া!

 
প্রকাশ : ৩১ মে, ২০১৪ ০০:০০:০০আপডেট : ৩০ মে, ২০১৪ ২৩:২৬:২৯
অ-অ+
printer
তাজউদ্দীনের কাছে সেনা অভ্যুত্থানের প্রস্তাব দিয়েছিলেন জিয়া!
পীর হাবিবুর রহমান

১. সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে বঙ্গবন্ধুকে ক্যান্টনমেন্টে বন্দী করার প্রস্তাব নিয়ে জেনারেল জিয়াউর রহমান গিয়েছিলেন তাজউদ্দীন আহমদের কাছে! মুজিব সরকারকে এভাবে ক্ষমতাচ্যুত করতে তাজউদ্দীন আহমদের সমর্থন চেয়েছিলেন জিয়া! তাজউদ্দীন আহমদ প্রস্তাব নাকচ করে বলেছিলেন, এসব জঘন্য ব্যাপারে আমাকে জড়াবেন না। এর মধ্যে আমি নেই। সুমহান মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার জন্য বিদেশি বন্ধুদের সঙ্গে স্বাধীনতা সম্মাননা পদকপ্রাপ্ত ভারতের প্রবীণ সাংবাদিক সুখরঞ্জন দাসগুপ্তের পঁচাত্তর-উত্তর লেখা গ্রন্থ 'মুজিব হত্যার ষড়যন্ত্র'-এর ৩২ পৃষ্ঠায় এমন তথ্য ঠাঁই পেয়েছে। বইটি পশ্চিমবঙ্গের প্রভাবশালী বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকার আনন্দ পাবলিশার্স প্রা. লি. '৭৮ সালের আগস্ট মাসে প্রথম প্রকাশ করে। বইটি তখন বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা হয়। সম্প্রতি ভারতের লোকসভা নির্বাচন কাভার করতে দিলি্ল-কলকাতা সফরকালে বইটি আমার হাতে আসে। একইসঙ্গে দেখা হয় প্রবীণ সাংবাদিক সুখরঞ্জন দাসগুপ্তের সঙ্গেও। সুখরঞ্জন দাসগুপ্ত আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিনিধি হিসেবে বঙ্গবন্ধু হত্যার তিন দিন পর সাংবাদিক বরুণ সেনগুপ্ত এবং অপর দুজন সহকর্মীর সঙ্গে ঢাকায় আসার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু জরুরি অবস্থাকালে ওই রাতে গোয়েন্দা পুলিশ তাদের চারজনের বাড়িতে হানা দিয়ে আন্তর্জাতিক পাসপোর্ট কেড়ে নিয়ে যায়। তার ভাষায়_ সেনাশাসকরা যেমন ভিসা দেয়নি ঢাকা আসতে তেমনি তাদের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী সংবাদ সংগ্রহে বার বার বাধা দিয়েছেন।
বইটিতে কিছু একটি ঘটতে যাচ্ছে এই আশঙ্কা থেকে সবাই বঙ্গবন্ধুকে অবহিত করলেও জাতির এই মহান নেতা কারও কথায়ই আমল দেননি। তাজউদ্দীনের কথায়ও না। বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করেছিলেন মোশতাক, জিয়াসহ সবাইকে। তাকে কেউ মারবে এমনটি তিনি ভাবতেই পারতেন না। অতি বিশ্বাস আর আস্থার চড়া মূল্য দিতে হয়েছিল পরিবার-পরিজনসহ নিজের জীবন দিয়ে!
সুখরঞ্জন দাসগুপ্ত বলেছেন, ১৯৭৫ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত তিনি ঢাকায় আনন্দবাজার পত্রিকার ব্যুরো চিফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই সময়ে বঙ্গবন্ধু সরকারের মন্ত্রী ও সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা বেড়েছিল। মুক্তিযুদ্ধকালেই কলকাতাতে সম্পর্কের সূচনা ঘটেছিল। জাতীয় নেতা ও স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী শহীদ তাজউদ্দীনের মুখ থেকে শোনা কথাকেই তিনি বইয়ে লিপিবদ্ধ করেছিলেন। তার ভাষায় সেই সময় বইটি ব্যাপক কাটতি পেলেও সেনাশাসক জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে তা নিষিদ্ধ করেন।
২. সুখরঞ্জন দাসগুপ্ত লিখেছেন, ১৯৭৫ সালের এপ্রিলের এক সকালবেলা। আগের দিন ভারতের কৃষি ও সেচ মন্ত্রী জগজীবন রাম ঢাকা সফরে আসেন। ফারাক্কা চুক্তিতে সই করেন। আলোচনা ও চুক্তির বিষয় সম্পর্কে খবর সংগ্রহের জন্য কয়েকজন ভারতীয় সাংবাদিক যখন সরকারি দফতরে গেলেন দেখলেন তারা ইতিমধ্যে সরকারের চক্ষুশূল হয়ে উঠেছেন। তার ভাষায়_ 'কিছুকাল আগেও আমাদের সাদরে ডেকে কথা বলত ওরা। হঠাৎ হাওয়া বদলে গেছে। দূর পশ্চিমের কিছু বিদেশি সাংবাদিককে সাদরে বরণ করার জন্য যেন লাল কার্পেট বিছানো। আর আমরা হয়ে পড়েছি অবাঞ্ছিত আগন্তুক।
পরদিন সকালেই গেলাম তাজউদ্দীনের কাছে। হাতে আমার বিদ্যাসাগর রচনাবলীর একটি খণ্ড। দুই খণ্ড আগেই তাকে দিয়েছিলাম। তিনি আমাকে বিদ্যাসাগর রচনাবলী সংগ্রহ করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। এবার তৃতীয় খণ্ড নিয়ে গেলাম। আমাকে দেখেই তাজউদ্দীন বললেন, জরুরি কথা আছে, বসুন। সেখানে উপস্থিত অন্যদের চলে যেতে বললেন। ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দিলেন। তার কণ্ঠস্বরে পরিবর্তন মনে হলো। বলতে শুরু করলেন, গত চার-পাঁচ মাস আমি ঘর থেকে এক পা বেরুইনি। একটা ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র দানা বেঁধে উঠছে। জানতে চাইলাম কী ধরনের ষড়যন্ত্র? তিনি বললেন, কী রকম? হত্যা! হত্যার ষড়যন্ত্র! আমি শিউরে উঠি। প্রশ্ন করি_ কারা এই ষড়যন্ত্র করছে? নাম জানতে পারি? তাজউদ্দীন গম্ভীরভাবে বললেন, কী হবে আর নাম শুনে! তারা সব শেখ সাহেবের বিশ্বস্ত লোক। শেখ সাহেব তা জানেন? জানার তো কথা। তাজ গোড়া থেকে ব্যাপারটা বলতে থাকেন। ক'দিন আগে এক রাত্রে মেজর জেনারেল জিয়া দেখা করতে আসে। সে প্রস্তাব দিল, সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে মুজিবকে ক্ষমতাচ্যুত করা হবে। তার পরে তাকে আটক রাখা হবে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে। এ ব্যাপারে সে তাজউদ্দীনের সমর্থন চায়। তিনি সাফ জানিয়ে দেন এর মধ্যে তিনি নেই। তাজউদ্দীন বললেন, নিজের থেকে যে জিয়া আসেনি আমার কাছে, তা বেশ বুঝতে পারলাম। ওকে পাঠানো হয়েছিল, এ রকম একটা প্রস্তাবে আমার কী প্রতিক্রিয়া হয় তা বুঝতে। আমি অবশ্য সঙ্গে সঙ্গেই জিয়ার কথাটা জানিয়ে দেই মুজিবকে। মুজিব কী বললেন? তাজউদ্দীনের জবাব, আমি বুঝতে পারলাম না মুজিব আমাকে বিশ্বাস করলেন কি না। যা হোক, আমি কিছুদিনের জন্য অন্তত রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে চাই। আমার এক ভাই পাশের ঘরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী। তা নিয়েও আমাকে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। তা ছাড়া দেশের যা পরিস্থিতি এখন তা অত্যন্ত দূষিত। ভারতবিরোধী মনোভাব চরমে পেঁৗছেছে। যে সাম্প্রদায়িক শক্তি মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি জান্তার লেজুড়বৃত্তি করেছে তারাই আজ প্রশাসনের মাথায় চড়ে বসছে। এই অবস্থায় ভারত সরকার আর ভারতের জনগণের সামনে আমি কোন মুখে দাঁড়াব? আপনি জানেন, আমাদের সেই সংগ্রামের দিনে আপনাদের সরকার আর জনগণ কী না করেছে আমাদের জন্য। আজ সেই পরম বন্ধু ভারতের বিরুদ্ধে কদর্য মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে। এসবের পিছনে একটা উদ্দেশ্য রয়েছে, আমি জানি। তাই আমি দূরে সরে থাকতে চাই।
সুখরঞ্জন দাসগুপ্তের মন্তব্য ছিল, তা তো থাকলেন, কিন্তু আপনি যে সাংঘাতিক ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিচ্ছেন। তাজউদ্দীন বললেন, হ্যাঁ, সাংঘাতিক ষড়যন্ত্র। আমরা সবাই শেষ হয়ে যাব এতে। মানে? মানে আমাদের সবাইকে খতম করার পরিকল্পনা প্রস্তুত। সেকি! আপনাদের কিছু করবার নেই ষড়যন্ত্র বানচাল করতে? কিছু করুন একটা। সুখরঞ্জন দাসগুপ্তের ভাষায়, করব? তাজউদ্দীনের দীর্ঘশ্বাস পড়ল। তিনি আমার দিকে গভীর দৃষ্টি রেখে বললেন, আপনাকে এসব বলছি, কারণ আমি জানি আপনি আমার বন্ধু। আপনাকে একটা অনুরোধ করছি, কলকাতায় গিয়ে গোলক মজুমদারকে ব্যাপারটা বলবেন দয়া করে। গোলক মজুমদার তখন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর আইজি। ১৯৭১-এ তাজউদ্দীন যখন বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় আসার চেষ্টা করছিলেন তখন ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গোয়েন্দাপ্রধান তাকে সীমান্ত থেকে সাদরে সসম্মানে গ্রহণ করেন। তাকে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হেডকোয়ার্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই থেকে এদের সঙ্গে তাজউদ্দীন ও স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের ঘনিষ্ঠতা জন্মায়।
সুখরঞ্জন দাসগুপ্তের ভাষায়_ তিনি তাজউদ্দীনকে কথা দিলেন তার বার্তা তিনি যথাস্থানে পেঁৗছে দেবেন। তাজউদ্দীন আহমদ ষড়যন্ত্রের বিষয়টি তখন তাকে গোড়া থেকে বললেন। তাজউদ্দীনের ভাষায়, ভুট্টোর বাংলাদেশ সফরের পর থেকেই খন্দকার মোশতাকের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের চার-পাঁচজন শয়তান মুজিব সরকারকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্র করে আসছে। এবং বাইরের শক্তি বিশেষের সাহায্যও পাচ্ছে তারা। বাণিজ্যমন্ত্রী মোশতাক জেদ্দা গিয়েছিলেন। সেখানে পাকিস্তানি প্রতিনিধি দলও ওই সময়ে ছিল। সেখানে বসেই ষড়যন্ত্রের ছক পাতা হয়। সেখান থেকে ফিরে আসার পর খন্দকার মোশতাক ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিট ফস্টারের সঙ্গে ঘন ঘন মিলিত হন। তাজউদ্দীন আরও বলেন, আমি অর্থ দফতর ছেড়ে দিলাম। এর পরেই মার্কিন দূতাবাস ব্যাংক থেকে একদিনে তিন কোটি টাকা তুলে নেয়। ষড়যন্ত্রকারীদের হাতে অর্থ এসে গেল অঢেল। তাজউদ্দীনের কথায় কৌতূহলী সুখরঞ্জন দাসগুপ্তের প্রশ্ন ছিল_ আমেরিকার কী স্বার্থ থাকতে পারে এতে? তাজউদ্দীনের জবাব ছিল, অনেক স্বার্থ। ইয়াহিয়া এবং ভুট্টো যখন বাংলাদেশে গণহত্যা চালাচ্ছিল তখন একমাত্র আমেরিকাই ওদের সমর্থন করে। এখন তারা তাদের সেই সমর্থনের পিছনকার আসল উদ্দেশ্যটি হাসিল করতে চায়। তাই ষড়যন্ত্রকারীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। অপরদিকে সৌদি আরব, জর্দান, লিবিয়ার মতো দেশগুলো কোনোক্রমেই 'ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ'কে মানতে পারছে না। বাংলাদেশকে ইসলামী রাষ্ট্র করার জন্য পরোক্ষভাবে তারা চাপ দিয়ে চলেছে। তা হলে তারা নানা সাহায্য দেবে বলে লোভ দেখাচ্ছে। কিন্তু, ১৯৭০ এবং '৭৩-এ যে নির্বাচনে আমরা বিজয়ী হই তাতে ধর্মনিরপেক্ষতাকেই আদর্শরূপে ঘোষণা করি। আজ সে নীতি বর্জনের কথা কিছুতেই উঠতে পারে না। অথচ তারা সেটি চায়। এর সঙ্গে আছে মোশতাক চক্র। খন্দকার মোশতাক কখনো স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ চাননি। সর্বদা তিনি পাকিস্তানি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন।
তাজউদ্দীন বলেন, পাকিস্তানি সৈন্যরা কেন অমন করে আমাদের ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে জানেন? তার কারণটিও বলছি। আমরা আওয়ামী লীগের পঞ্চপ্রধান একটা পরিকল্পনা করেছিলাম। পাকিস্তানের মধ্যেই নির্বাচনে আমরা ক্ষমতা দখল করতে পারব জানতাম। প্রথম তাই করব। শেখ সাহেব মন্ত্রিসভায় থাকতে চাইবেন না। সৈয়দ নজরুল হবেন প্রধানমন্ত্রী। আমাকে করা হবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। খন্দকার মোশতাককে পার্লামেন্টে স্পিকার করে দেব। তারপর একসময় প্রধানমন্ত্রী রূপে সৈয়দ নজরুল হুকুম করবেন, পূর্ব পাকিস্তান থেকে পাকিস্তানি সৈন্যবাহিনী সরিয়ে আনো। আমি সে হুকুম তামিল করব। এই কাজটি যেই হয়ে যাবে তখনই জাতির পিতা হিসেবে মুজিব ঢাকায় জাতীয় সংসদের অধিবেশন ডাকবেন। সেখানে তিনি স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টির প্রস্তাব তুলবেন। সেই প্রস্তাব গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে জন্ম নেবে সার্বভৌম বাংলাদেশ। ভুট্টো এই পরিকল্পনার আভাস পেয়ে যান। মোশতাকই তা ফাঁস করে দেন। আর ২৫ মার্চ পাক সেনারা ঝাঁপিয়ে পড়ে আমাদের ওপর। তাজউদ্দীন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রত্যেকটি পরিকল্পনা সাবোটাজ করার চেষ্টা করে মোশতাক চক্র। এসব কথা আপনি মুজিবকে বলেননি কেন? তাজউদ্দীন বললেন, তিনি শুনতেই চান না। আবার চেষ্টা করে দেখুন না, উদ্বিঘ্নভাবে বলি। জবাবে তাজউদ্দীন বলেন, আমি চাই না যে মুজিব আর আমার মধ্যে কোনো রকম ভুল বোঝাবুঝি এবং তিক্ততার সৃষ্টি হোক। মাত্র কদিন আগে মুজিব আমাকে ফোন করে তার বাড়িতে ডাকেন। বলেন, তোমার সঙ্গে আমার জরুরি কথা আছে। আমি তাকে বিনয়ের সঙ্গে বলেছি, বঙ্গবন্ধু, আমি জানি আপনি আমায় ভালোবাসেন। কিন্তু আপনার পরিবারের লোক আমায় পছন্দ করে না। এই অবস্থায় আপনার ওখানে আমার যাওয়াটা ঠিক হবে না। আপনি পারিবারিক অশান্তিতে পড়বেন। আমি তা চাই না। শেখ সাহেব তখন একটু কী ভেবে ওই ফোনেই আমাকে বললেন, তুমি বাকশালের ভার নাও। আমি চাই তুমি সাধারণ সম্পাদক হও। তাজউদ্দীনের ভাষায়_ আমি তাতেও রাজি হইনি। আমি বঙ্গবন্ধুকে সালাম জানিয়ে বলি, সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাকে মাফ করবেন। একটু থামলেন তাজউদ্দীন। তারপর আবার বলতে শুরু করলেন, আসলে একদিকে যেমন সিআইএ তাদের ডলারের থলে নিয়ে দালাল কিনতে নেমেছে, আরেকদিকে তেমনি নেমে পড়েছে রুশ চক্র। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি আর ন্যাপ (মোজাফফর) তো রুশ রুবল পাচ্ছেই ঢাকার রুশ দূতাবাসের মারফত। ভারত ছাড়া পৃথিবীর বৃহৎ শক্তির ১১টিই চাইছে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় ভিয়েতনাম বানাতে। এবং তাদের চক্রান্তে জড়িয়ে পড়েছে এই দেশ। তাই আমি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছি।
৩. সুখরঞ্জন দাসগুপ্তের ভাষায়_ সেদিন তাজউদ্দীন আহমদ বারবার বলতে লাগলেন, সব স্বপ্ন শেষ হয়ে যাচ্ছে। সার্বভৌম স্বাধীন বাংলাদেশের যারা রূপকার তারা সব নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। আমি বিচলিত বোধ করি। বুঝতে পারছি না এ রকম একটা পরিস্থিতিতে কী করা উচিত। জিজ্ঞেস করলাম, ভারত সরকার কি জানে ব্যাপারটা? তাজউদ্দীন বললেন, জানা উচিত। ভারতের হাইকমিশনের কূটনীতিকরা নিশ্চয়ই চোখ-কান বুজে নেই।
আমি আরেকটি বিষয় পরিষ্কার হতে চাই। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা মানে মার্কিন কূটনীতির পরাজয়। তারা এ জন্য প্রতিশোধ নিতে চাইতে পারে। কিন্তু রাশিয়ার কী স্বার্থ আছে এতে? তাজউদ্দীনের জবাব ছিল, এটা নেহাত ওদের ক্ষমতার প্রতিদ্বন্দ্বিতা। দুই দেশেরই গুপ্ত চক্র বাংলাদেশে তৎপর রয়েছে। আমাদের মধ্যে এমন লোক রয়েছে যাদের যে কোনোভাবে কেনা যায়। তাদের বিন্দুমাত্র দেশপ্রেম নেই। না হলে যে মার্কিন অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পাকিস্তানি সৈন্য আমাদের ভাই-বোনদের নির্বিচারে হত্যা করেছে সেই মার্কিন দূতাবাসে ককটেল পার্টিতে যেতে পারত না ওই লোকগুলো। ওরা ইসলামের ধার ধারে না। অথচ, সর্বদা ইসলাম ইসলাম বলে সাম্প্রদায়িক জিগির তুলছে। তাজউদ্দীন আহমদ বললেন, ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে (বর্তমানে রূপসী বাংলা) বেশ কয়েক মাস গুরভানভ নামে এক রুশ নাগরিককে দেখেছি। লোকটি প্রায়ই আসত। বাংলা বলে অনর্গল। পরে শুনলাম, সে রুশ গোয়েন্দা চক্র কেজিবি'র উচ্চপদস্থ অফিসার। এই উপমহাদেশের গুপ্তচর জালের দেখাশোনার দায়িত্ব তার। আমাদের রুশপন্থি নেতারা তাকে খুব খাতির করেন দেখি। দেশের লোকই যদি বিদেশি গোয়েন্দা চক্রের দালালি করে তাহলে মুজিব কী করতে পারে বলুন।
৪. তাজউদ্দীনের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর সুখরঞ্জন দাসগুপ্ত যান শহীদ কামরুজ্জামানের বাসভবনে। তার ভাষায়, আমাকে দেখেই তিনি বললেন, জর্দা কই? ভালো জর্দা দিয়ে পান খাওয়া ছিল কামরুজ্জামানের অন্যতম বিলাসিতা। যখনই ঢাকা গেছি তার জন্য জর্দা নিয়ে যেতাম এক কৌটো। এবারও এনেছি কিন্তু সঙ্গে নেই। হেসে বললাম, পাবেন, হোটেলে রয়েছে জর্দা। তারপর শুরু করি আসল কথা। তিনি বললেন, আগে বলুন কার কার সঙ্গে দেখা হয়েছে আপনার? কী পেলেন শুনি? আপনিই বলুন না কী হাল এখানকার? মুখে বিষণ্ন হাসি নিয়ে কামরুজ্জামান বললেন, খুব খারাপ। খারাপটা কী বলুন না? তিনি বললেন, খন্দকার মোশতাক এক দারুণ ষড়যন্ত্র করেছে। এর বেশি বলব না। বাকিটা চেষ্টা করলেই জানতে পারবেন। শীঘ্রই কলকাতা যাচ্ছি। সুযোগ হলে সেখানে হয়তো সব বলতে পারব।
রাতে জাহানারা ইমামের এলিফ্যান্ট রোডের বাড়িতে এক পার্টিতে গেলাম আমন্ত্রিত হয়ে। সেখানে কয়েকজন সেনা কর্মকর্তাও ছিলেন। এদের মধ্যে মেজর ডালিম (বঙ্গবন্ধু হত্যায় অভিযুক্ত পলাতক খুনি) অন্যতম। তথ্য দফতরের মহাপরিচালক এম আর আখতার মুকুল, বিবিসির সংবাদদাতা শ্যামল লোধ প্রমুখ। মুজিব সরকারের ব্যর্থতার প্রসঙ্গ আলোচনায় এলো। সেখানে মেজর ডালিম স্পষ্ট বললেন, মুজিবের হাত থেকে দেশ বাঁচাতে একমাত্র উপায় সামরিক শাসন কায়েম। সুখরঞ্জনের ভাষায়, ঢাকায় তখন ভারতবিরোধী হাওয়া চলছে প্রবলভাবে। আমি বেশি মুখ খুললাম না। আখতারই আমাকে আড়ালে ডেকে চুপ থাকতে পরামর্শ দেন। আলোচনার ধারাটাও তিনি ঘুরিয়ে দিতে চাইলেন। কিন্তু ব্যর্থ হলেন। হোটেলে ফেরার পথে আখতার জানতে চাইলেন, কিছু বুঝতে পারলেন আজ? শুধু বললাম, কী আর বুঝবার আছে? পরদিন সকালে গেলাম আবদুল গাফফার চৌধুরীর কাছে। নির্ভীক লেখনির কারণে আইয়ুব খান তাকে কারারুদ্ধ করেছিল। তিনি বললেন, কী আর বলব, স্ত্রীকে নিয়ে বাইরে চলে যাচ্ছি। কেন? তার উত্তর, স্ত্রী গুরুতর অসুস্থ। তার চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে হচ্ছে। শেখ সাহেব আমাকে সাহায্য করেছেন। তার পরেই তিনি আসল কথাটা বললেন। বোধহয় চিরদিনের মতো ঢাকা থেকে বিদায় নিচ্ছি। মানে? আমি আরও স্পষ্ট উত্তর চাই। তিনি বললেন, মানে আর এখানে থাকা সম্ভব নয়। একটি পশ্চিমা দূতাবাস এখানে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটানোর জন্য তৎপর হয়ে উঠেছে। আর তাতে মদদ দিচ্ছে মুজিবেরই ঘনিষ্ঠ মহল।
বন্ধুদের অনুরোধে পরে গেলাম বাণিজ্যমন্ত্রী খন্দকার মোশতাকের সঙ্গে কথা বলতে। তিনি আমায় জড়িয়ে ধরলেন। কলকাতার খবর কী বলুন? একাত্তরে মোশতাক কলকাতায় আমার বাসার কাছাকাছি ছিলেন। প্রায় প্রত্যেক দিন সকালে আমাদের দেখা-সাক্ষাৎ হতো। সব সময় তার অভিযোগ ছিল, কলকাতার কাগজগুলো তাজউদ্দীন আর নজরুলের কথাই প্রচার করছে বেশি। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের বিদেশ মন্ত্রী হলেও তার কথা লেখা হচ্ছে না। সেদিন তিনি আমাকে বললেন, বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে চান বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বাণিজ্যিক লেনদেনের আরও উন্নতি হোক। এই তো কলকাতাকে মাছ দেওয়ার জন্য তিনি চেষ্টা করছিলেন কিন্তু হলো না। মুজিবই পিছিয়ে দিলেন। একজন বাইরের সাংবাদিকের কাছে এভাবে মুজিবের বিরুদ্ধে কী করে বলতে পারলেন তিনি, বুঝলাম না। বাংলাদেশের সবাই জানে মুজিব-তাজউদ্দীনের সম্পর্কে ফাটল ধরিয়েছেন খন্দকার মোশতাক। মুজিব পরিবারের সদস্যদের সাহায্যেই। কলকাতা ফিরে গোলক মজুমদারকে সব কথা জানালাম। আমাদের পত্রিকায় বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে দু'টো বড় লেখা দিলাম। লেখা দুটি পড়ে ঢাকা থেকে ট্রাঙ্ককলে দুজন মন্ত্রী অভিনন্দন জানান। তারা হয়তো আশা করেছিলেন এবার সবার টনক নড়বে। দুষ্ট চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে তারা বাঁচবেন। কিন্তু হায় তা হলো না। আমার সঙ্গে কথা বলার পর গোলক মজুমদার ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল অশ্বীনি কুমারকে এক গোপন রিপোর্টে সব জানালেন। সে রিপোর্টের কপি আমি দেখেছি। তাতে বাংলাদেশে যে একটা বিশ্রী কাণ্ড ঘটতে যাচ্ছে সে কথা বলা ছিল। সেখানকার ফৌজি তৎপরতা বৃদ্ধির কথা ও গোলক মজুমদারের রিপোর্ট দিলি্ল পেঁৗছানোর কদিনের মধ্যেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিশেষ সচিব রুস্তমজি কলকাতায় হাজির হলেন। আমার সঙ্গে দেখা করে জানতে চান, তাজউদ্দীন ঢাকায় আমাকে কী বলেছেন? সব শুনে রুস্তমজি দিলি্ল চলে গেলেন। ভাবলাম কিছু একটা হবে। ইতিমধ্যে ভারতের ওপর নেমে এলো ইমার্জেন্সির যবনিকা। এতে অনেক কিছুর মতো বাংলাদেশ সম্পর্কে লেখাও নিষিদ্ধ হলো। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ শংকর রায় দিলি্লর সেন্সর বোর্ডকে বোঝালেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে কিছু লিখলে তার মন্ত্রিসভায় যে পাঁচজন মুসলমান সদস্য রয়েছেন তারা নাকি অসন্তুষ্ট হবেন। ফলে বিদেশ মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ সম্পর্কিত যুগ্ম সচিব জে সি আজমানি খবরের কাগজের ওপর এক নোটিস জারি করে দিলেন যে, বাংলাদেশ সম্পর্কে কোনো কথা ছাপা চলবে না। এর যথার্থ কারণটা দুর্বোধ্য। এমনকি ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের জয়েন্ট সেক্রেটারি এবং সরকারি মুখপাত্র এ এন ডি হাকসার পর্যন্ত আমাদের সামনে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন, কেন এমন নিষেধাজ্ঞা হলো! বাংলাদেশের ব্যাপারে একরকম প্রেস ব্লাক আউট হলো। আর সেই ব্লাক আউটের অন্ধকারই বোধহয় সবচেয়ে বেশি কাজে লাগল কুচক্রীদের।

- See more at: http://www.bd-pratidin.com/2014/05/31/9120#sthash.qUh56cSg.dpuf




__._,_.___

Posted by: Mohammad Mushrafi <mushrafi@hotmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

Re: [mukto-mona] Re: যে 'মাহাথির'কে আমরা হারিয়েছি




Thank you. A politically incorrect statement but I would endorse it fully and completely.
 
"I speak for the trees, for the trees have no tongues."
-Seuss



On Monday, June 2, 2014 10:19 PM, "Kamal Das kamalctgu@gmail.com [mukto-mona]" <mukto-mona@yahoogroups.com> wrote:


 
If Bangladesh could export idiots for a price, it would be an affluent nation long ago.

Sent from my iPad

On Jun 1, 2014, at 8:20 PM, "Shah DeEldar shahdeeldar@gmail.com [mukto-mona]" <mukto-mona@yahoogroups.com> wrote:

 
Zia was not Mahatir and Bangladesh has never been a Malaysia by any criteria. Zia came through the back door and he was discarded through the back door. No need to create another cult figure for Bangladeshis. Thank you.
-SD


2014-05-31 21:43 GMT-04:00 'zainul abedin' via Bangladesh Progressives <bangladesh-progressives@googlegroups.com>:

Salam,


"এখানে ইন্টারেস্টিং বিষয় হলো সারা জীবন গণতন্ত্রের পূজারী এক নেতার হাতে এদেশের গনতন্ত্রের কবর রচিত হয় ।" No, this is not right. He wanted "democracy" or "freedom" to hassle ("lathi-mara") others. He proved that how intolerant he was by killing thousands of opponents and feeling no pain for deaths of about 1.5 million people in 1974 (virtually, 1973-1975). Character/habit does not change overnight (with exceptions).

Regards,

Zainul



On Friday, May 30, 2014 1:27 PM, Shahadat Hussaini <shahadathussaini@hotmail.com> wrote:


যে 'মাহাথির'কে আমরা হারিয়েছি

30 May, 2014
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া অায়ূ পেয়েছিলেন মাত্র ৪৫/৪৬ বছর। জীবনের এই ক্ষুদ্র পরিসরে একজন ব্যক্তি মানুষের অর্জন নিয়ে ভাবতে গেলে সত্যিই অবাক হতে হয়। তাঁর জীবনের বিভিন্ন ঘটনা বিশ্লেষণ করে আজ মনে হয় ১৯৮১ সালের আজকের এই দিনটিতে আমরা এক মহা রত্নকে হারিয়েছিলাম ।
আজ অনেকেই মনে করেন যে আমরা সেদিন এক 'মাহাথির'কে হারিয়েছি। The morning shows the day. সকালের সেই ঝলকটি দেখেছি, কিন্তু মালয়েশিয়ার মত সম্ভাব্য রৌদ্র ঝলমলে দিনটি উপভোগ করতে পারি নি। মাহাথিরের সাথে প্রেসিডেন্ট জিয়ার এই তুলনাটি আসে আমাদের ভেতরের এক দীর্ঘশ্বাস অর্থাৎ একটা কিছু পেয়েও তা আচমকা হারানোর বেদনা থেকে।
মাহাথিরকে না পেলে মালয়েশিয়া এত দ্রুত এই উন্নতি করতে পারতো কি না তাতে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে । একজন যোগ্য নেতা একটি পুরো জাতির চেহারা বদলে দিতে পারে। মালয়েশিয়ার মাহাথির মুহাম্মদ এবং সিঙ্গাপুরের লি কুয়ান ইউ তার অন্যতম উদাহরন। এই সব প্র্যাগমেটিক নেতাগণ একাকী এই ম্যাজিক বা যাদু দেখান নি। তারা সঠিক লোকগুলিকে সঠিক জায়গায় বসাতে পেরেছিলেন। এখানেই তারা অনন্য। এটিই ছিল তাদের সফলতার মূল চাবি কাঠি। কারন প্রকৃত নেতা কখনই কাজ করে না, কাজ করায়।
আমরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার মধ্যেও এই অনন্য অসাধারন গুণটি দেখতে পেয়েছিলাম। বিভিন্ন জায়গা থেকে দক্ষ ও যোগ্য লোকগুলি তিনি বাছাই করতে পেরেছিলেন। তিনি নিজে মেধাবী ছিলেন, ফলে তাঁর চারপাশে শুধু মেধার সমাবেশ ঘটেছিল । চাটুকারদের তিনি অত্যন্ত সফলভাবে দূরে রাখতে পেরেছিলেন। চাটুককারদের তেলে সিক্ত হয়ে এই তেল চিটচিটে শরীর নিয়ে তাকে হঠাৎ চিৎকার করতে হয় নি যে চাটুকারের দল সব চেটে খেয়ে ফেলেছে।
মাহাথির মুহাম্মদ প্রধানমন্ত্রী হন ১৯৮১ সালের ১৬ই জুলাই। অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট জিয়া নিহত হওয়ার মাত্র দেড় মাস পর। মাহাথিরের বয়স তখন ছিল ৫৬ বছর। অভিজ্ঞতার ঝুলিতে ডেপুটি প্রাইম মিনিষ্টার হিসাবে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা । ১৯৮১ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন এবং এই সময়ের মধ্যে অলস ভূমিপুত্রদের দেশ বা Backwater economy র দেশ হিসাবে পরিচিত এই দেশটিকে পৃথিবীর ১১০টি দেশের মধ্যে ২৮তম স্থানে পৌছে দেন।
১৯৮১ সালের দিকে মালয়েশিয়া এবং আমরা প্রায় কাছাকাছি অবস্থানে ছিলাম। মালয়েশিয়া থেকে আমাদের বেশি যা ছিল তাহলো মাত্র ৪৫ বছরের এক তারুণ্যদীপ্ত, প্রজ্ঞাবান ও প্র্যাগমেটিক নেতা যিনি ইতি মধ্যেই পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা অর্জন করে সমৃদ্ধ হয়েছেন। তিনি এই দেশটিকে কী অবস্থায় পেয়েছিলেন এবং মৃত্যুর সময় কী অবস্থায় রেখে গেছেন তা নিয়ে ভাবলে যে কোন গবেষকের মাথা শ্রদ্ধায় নত হয়ে আসবে।
সিঙ্গেল ইউনিটের চমৎকার একটি রাষ্ট্র এই নেতার হাতে আর কিছুদিন থাকলে আমরা আজ কোথায় যেতে পারতাম এই ধরনের ভাবনা কোন আকাশ কুসুম কল্পনা নয়।
মাহাথিরের যে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যটিকে তার সফলতার মূল কারন বলে মনে করা হয় তাহলো তার নিজের উপর অগাধ আস্থা বা self confidence. এ সম্পর্কে তিনি নিজে বলেছেন,
"I realize that I make enemies. I have no choice. Either I come here and sit comfortably and be nice to people and do nothing or else, I try to do something
even at the expense of being unpopular. I don't think I'll be permanent here. I
don't think I'll be forever unpopular, so it doesn't really matter. Even being thrown
out of the office doesn't really bother me."
এবার দেখুন একই আত্মবিশ্বাস, একই ভাবনা এবং একই গ্রুপকে টার্গেট করে জিয়া উচ্চারন করেছিলেন, I will make the politics difficult for the politicians.
যে চাপা সর্বস্ব ও কর্মবিমুখ পলিটিশিয়ানদের লক্ষ্য করে তিনি এই কথাটি বলেছিলেন তারা নিজেদের মত করে এখন এই কথাটি ব্যাখ্যা করে। কারন মাহাথির মুহাম্মদ চাপা-সর্বস্ব বা ব�




__._,_.___

Posted by: Shah Deeldar <shahdeeldar@yahoo.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___