Banner Advertiser

Monday, June 23, 2014

[mukto-mona] Please read



Bhorer Kagoj: 24th June 2014

http://www.bkagoj1.com/new/blog/2014/06/24/182220.php

†evKv nv‡ig †_‡K BivK Ny‡i evsjv‡`k wkZvsï ¸n

 

বোকা হারেম থেকে ইরাক ঘুরে বাংলাদেশ 

 

নাইজেরিয়ায় বোকা হারেম সন্ত্রাসী দলের তিনশ স্কুলছাত্রী অপহরণের দুইমাস অতিক্রান্ত হয়ে গেলো। সদ্য পেরিয়ে যাওয়া বাবা দিবসে ঐসব অপহৃত মেয়েদের বাবা বা পিতামাতা-পরিবারের অবস্থাটা সহজেই অনুমেয়। আর ওই অসহায় মেয়েদের দুরাবস্থা কতটা তা সন্ত্রাসীদের একটি বিবৃতি থেকে অনুমেয়, তা হলো: 'কোন মেয়ে অন্ত:সত্বা হয়ে গেলে তাকে মুক্তি দেয়া হতে পারে।' বোকা হারেমের কাছে ওরা কি সব 'গনিমতের মাল'! এই মেয়েগুলোর অবস্থাটা একাত্তরে আমাদের দুইলক্ষ সম্ভ্রম হারানো মা-বোনদের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। ৭১ থেকে ২০১৪, অনেকটা সময়, একাত্তরের পূর্ব-পাকিস্তান বা আজকের নাইজেরিয়ার দূরত্ব অনেক, কিন্তু নারী নির্যাতনের চেহারাটা আজো প্রায় একই।

 

এই মেয়েদের উদ্বারের প্রচেষ্টা নাকি চলছে, কিন্তু এর গতি আমাদের দেশের যুদ্বাপরাধীদের বিচারের মত 'শ্লো' আমাদের মানসিক দুরবস্থাটা এমন যে, আমরা ব্যাঙ্কার থেকে সাদ্দাম হোসেনকে আটক করতে পারি, কিন্তু ওই মেয়েদের উদ্বার করতে পারিনা। সিএনএন টুইট- ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা লিখেছেন, 'অপহৃত মেয়েদের তাদের পরিবারের জন্যে আমরা প্রার্থনা করি এবং ঐসব অপহৃত মেয়েদের ফিরিয়ে আনা হোক।' পাকিস্তানী মেয়ে মালালা লিখেছে, 'অপহৃত মেয়েদের উদ্বারের জন্যে যারা সোচ্চার, আমি তাদের সাথে আছি।' আসলে সিএনএন 'ব্রিং ব্যাক আওয়ার গার্লস' নামে টুইট একাউন্টে অনেকে নানান মন্তব্য করছেন, তবে এক ভদ্রলোক লিখেছেন, 'মেয়েগুলো উদ্বার হবে, তবে ওরা যে অবস্থায় ফিরে আসুক না কেন, পরিবারগুলো যেন ওদের গ্রহণ করতে প্রস্তুত থাকে।' এটাই বাস্তবতা, নাইজেরিয়ায় যেখানে ধর্ষিতাকে পাথর ছুড়ে মারা হয়, সেখানে মুক্তির পর ওদের দুর্দশা না আরো বেড়ে যায়!

 

এদিকে বাগদাদে মার্কিন কূটনীতিকদের রক্ষায় নৌসেনা নেমেছে। ইরাকে শিয়া-সুন্নী লড়াই এখন তুঙ্গে। আল-কায়দা ঠেকাতে যুক্ত্ররাস্ট শিগগিরই ব্যবস্থা নেবে বলে মনে হয়। এজন্যে এমনকি ইরানের সাথেও কথা বলছে। যদিও প্রভাবশালী ডেমক্রেট হিলারী ক্লিন্টন  রিপাবলিকান পিটার কিং এর বিরোধী, তারা বলেছেন, কাজটা ঠিক হবেনা। লিবিয়াতে মার্কিন দুতাবাসে হামলা এবং রাষ্ট্রদূতসহ চার মার্কিন নাগরিক হত্যার দায়ে অভিযুক্ত রিং-লিডার আহমেদ আবু খাতাল্লা ধরা পড়েছে এবং তাকে যুক্তরাষ্ট্রে এনে বিচার হবে। বেশ আগে যুক্তরাষ্ট্র নরিয়েগাকে ধরে এনেছিলো, তার বিচার হয়েছে এবং সম্ভবত: তিনি এখনো জেলে। যুক্তরাষ্ট্র সবই পারে, বোকা হারেমকে ধরে আনতে পারেনা?

 

সাত খুনের আসামী নুর হোসেন কোলকাতায় ধরা পড়েছে, আমরা কি তাকে ফিরিয়ে আনতে পারবো? ভারতের পররাস্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ঢাকা আসছেন, এমন সুযোগ কাজে আসতে পারে। তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর, বিশাল বানিজ্য বা মাত্রাতিরিক্ত মাখামাখিতে ভারতের অবস্থান ঠিক আছে কিনা কেজানে! চীন আমাদের স্বাধীনতা যুদ্বের বিরোধিতা করেছিলো, চীন কখনই বাংলাদেশের বন্ধু ছিলোনা, হবেও না। অতীতে বাংলাদেশের দুর্দিনে চীন এগিয়ে আসেনি বা ভবিষ্যতেও আসবেনা। মনে হয়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ওআইসি সন্মেলনে গিয়ে যে রাজনৈতিক ঝুকি নিয়েছিলেনমাননীয় প্রধানমন্ত্রী একই ধরনের ঝুকি নিয়েছেন। তবে বিশ্ব-পরিস্থিতি এখন সত্তরের দশকের মত নয়; এখনকার এক-কেন্দ্রিক বিশ্বে সফল কূটনীতি সব পরিস্থিতি অনুকূলে নিয়ে আসতে পারে। কিন্তু ভয় হয়, যেসব পরামর্শদাতা খালেদা জিয়াকে ভারতের রাষ্ট্রপতির সাথে দেখা না করার পরামর্শ দিয়ে তাকে ডুবিয়েছিলেন; জননেত্রীর পরামর্শদাতারাও না তাকে তেমনিভাবে ডুবিয়ে দেন। শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর যখন দোর্দণ্ড প্রতাপ তখন একটি কথা শুনেছিলাম, তা হলো, 'শক্তিশালী কাউকে যখন কিছুতেই কুপোকাত করা যায়না, তখন তাকে তেল মেরে ফেলে দিতে হয়' জননেত্রী শেখ হাসিনাকেও তেমনি তেল মেরে ফেলে দেয়ার ষড়যন্ত্র হচ্ছেনা তো?   

 

অন্যদিকে, মহামান্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সাহেবের গণসম্বর্ধনা হবার কথা ছিলো মঙ্গলবার নিউইয়র্কে। হয়নি। সম্বর্ধনা বাতিল হয়েছে। বলা হয়েছে, নিরাপত্তার কারণে। পত্রিকা লিখেছে, দলীয় কোন্দলের কারণে রাষ্ট্রপতি যেতে রাজি হন'নি। নিউইয়র্কে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ-এর যা অবস্থা তাতে এটাই স্বাভাবিক। বাংলাদেশে দলের অবস্থা কি এর চেয়ে খুব ভালো? প্রবাসী হলেও আমরা অন্য উপগ্রহের বাসিন্দা নই; দেশে আমাদের যা চরিত্র এরই প্রতিচ্ছবি নিউইয়র্কে পড়া স্বাভাবিক। প্রধানমন্ত্রীর সম্বর্ধনা নিয়েও বারবার একই অবস্থা হয়; কিন্তু তখন তার সরাসরি বা তদীয় পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়-এর হস্তক্ষেপে তা নিরসন হয়। রাষ্ট্রপতিও পারতেন উভয় পক্ষকে ডেকে একটা আপোষ করে সম্বর্ধনাটা সম্পন্ন করতে। তিনি করেননি। এখানে রাষ্ট্রপতির পদের চেয়ে ব্যক্তি বড় হয়ে গেছে। যদিও রাষ্ট্রপতির সম্বর্ধনা নিয়ে অন্য একটি সূত্র বলছে যেরাষ্ট্রপতিকে কেউ কেউ বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন যে, "সামনে যদি নিরেপক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে হয়, তবে তিনিই হবেন ওর প্রধান, তাই তাকে আওয়ামী লীগকে ডাম করে হলেও নিরপেক্ষ হয়ে যেতে হবে!" চমত্কার যুক্তি, 'সালসা'-রাও তাই করেছিলো। কিন্তু অতিমাত্রায় নিরপেক্ষতা, অনেকটা 'অতিভক্ত চোরের মত' হয়ে যায় না? আমরা নিরপেক্ষ নই, আমরা গণতন্ত্রের পক্ষে, আমরা ন্যায়  সত্যের পক্ষে। রাষ্ট্রপতি সবার ওপরে। দল হিসাবে আওয়ামী লীগও তার কাছে নিরপেক্ষতা চায়। কিন্তু ইয়াজউদ্দিন বা শাহাবুদ্দিন মার্কা নিরপেক্ষতা কাম্য হতে পারেনা। 

 

শিতাংশু গুহ, কলাম লেখক

নিউইয়র্ক, ১৮জুন ২০১৪

 

 



__._,_.___

Posted by: Sitangshu Guha <guhasb@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___