Link:
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-10-08/news/192134
পাকিস্তানি পত্রিকার সম্পাদকীয় মন্তব্য
একাত্তরে পাক বাহিনীর চেয়েও হিংস্র ছিল জামায়াত
'একাত্তরে পাকবাহিনীর চেয়েও হিংস্র ছিল জামায়াত'-এই তথ্যটি দিয়েছে পাকিস্তানের একটি
দৈনিক 'দা ডেইলী টাইমস'।সেই সাথে তারা স্বীকার করে নিয়েছে আমাদের ত্রিশ লাখ শহীদের
কথা এবং পাকিস্তানী বাহিনীর বর্বরতার কথাও। জামায়াতে ইসলামীর প্রধান দায়িত্ব ছিল
আলবদর বাহিনী গঠনে জনবল দিয়ে সাহায্য করা এবং এই আলবদর বাহিনী রাও ফরমান
আলীর সাথে মিলে ঘটায় একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যার মত নৃশংস ঘটনা।
আমাদের দেশকে পঙ্গু করে দেওয়ার যা ছিল প্রথম পদক্ষেপ। কারণ একটি যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশকে নতুন
করে গড়ে তুলতে জাতীর শ্রেষ্ঠ মেধাগুলো প্রয়োজন আর তাই আমরা যাতে পৃথিবীতে মাথা উঁচু করে
দাঁড়াতে না পারি সেকারনেই এই গণহত্যা। আমাদের দেশের আজকের এই দূরাবস্থার জন্য সেদিনের
এই বুদ্ধিজীবি হত্যায় বহুলাংশে দায়ী।
এই তথ্যটি নতুন কিছু নয়।বাংলাদেশী ভারতীয় এবং আন্তর্জাতিক রেফারেন্সের সাথে সাথে
পাকিস্তানীরাও অনেক আগে থেকেই স্বীকার করে আসছে জামায়াতে ইসলামের সংশ্লিষ্টতার কথা।
পাকিস্তানী জেনারেল নিয়াজীর বই 'The Betrayal of East Pakistan', মেজর সিদ্দিক
সালিকের 'A Witeness to Surrender', পাকিস্তানী সাংবাদিক হুসাইন হাক্কানীর
'Pakistan: Between Mosque And Military' ,কর্ণেল নাদির আলীর স্বীকারোক্তি এসব বইতে
বিস্তারিত উঠে এসেছে জামায়াত ইসলামীর কুকীর্তির কথা।
ইরানি-বংশোদ্ভূত ইসলাম ও রাজনীতি বিষয়ক প্রখ্যাত গবেষক সৈয়দ ওয়ালি রেজা নাসর
১৯৯৪ সালে 'The Vanguard of the Islamic Revolution: The Jama'at-i Islami
of Pakistan' নামক গবেষণা-গ্রন্থ প্রকাশ করেছেন। বইটির নাম থেকেই বোঝা যায়,
এটি জামায়াতে ইসলামীর প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী থেকেই লেখা। অথচ এতেও তদানীন্তন
পূর্ব পাকিস্তানের জামায়াত নেতাদের যুদ্ধাপরাধ-সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি পরিষ্কারভাবে বিবৃত হয়েছে।
তাছাড়া পাকিস্তানের নিম্নমাধ্যমিক শ্রেনীর বইতেই আছে "দুষ্কৃতিকারী ঠেকাতে পাকিস্তান
সেনাবাহিনীকে স্বতঃস্ফূর্ত এবং সশস্ত্রভাবে সাহায্য করতে মাঠে নামে জামায়াতে ইসলামী।"
এবার বুঝুন কোন ধরনের নেমকহারাম আর মীরজাফর হলে নিজ দেশের,নিজ জাতীর মানুষের
বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে নামতে পারে একটি রাজনৈতিক দল।তারা আবার নিজেদের ইসলামী দল দাবী করে,
কিন্তু নির্বাচনে অংশ নেবার আগে তারা ঠিকই 'আল্লাহর আইন' প্রতিষ্ঠা এই অংশটি তাদের সংবিধান
থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছে। এতে বোঝা যায় তারা কোন ইসলামী দল নয় বরঞ্চ একটি ইসলামের নামে
সিআইএর টাকা দিয়ে প্রতিষ্ঠিত ভাওতাঁবাজ দল যাদের আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠার থেকে ক্ষমতার
মসনদে যাওয়াটায় মূল লক্ষ্য।
এই বিষয়ে আমাদের সংশ্লিষ্ট নোট পড়ুন "জামায়াতে ইসলামীর অন্ধকারময় অতীত-সিআইএর টাকা
দিয়ে প্রতিষ্ঠিত এই দলটি নেমেছে ইসলাম ধ্বংসের গোপন টার্গেট নিয়ে" এখানে
তাছাড়া এই দলের সাথে অনেকের মধ্যে একটি গোপন আশা হচ্ছে দেশকে পুনরায় পাকিস্তান বানানো।
বিস্তারিত পড়নঃ http://on.fb.me/p2qb34।
https://www.facebook.com/Muktijuddhergolpo
আর এই দলটিতে একাত্তরে কে কত গণহত্যার সাথে জড়িত তা দেখেই বোধহয় প্রমোশন দেওয়া হয়।
কারণ এই পর্যন্ত্র তাদের নেতৃত্বস্থানীয় সব নেতাই যুদ্ধাপরাধের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত।
'Closing Old Wounds' নামে এই সম্পাদকীয়তে আরো উঠে এসেছে বেলুচ গণহত্যায় পাকিস্তানী
সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্টতার কথা।সেই সাথে তারা বলেছে পাকিস্তানীদের উচিত বাংলাদেশ থেকে শিক্ষা নেওয়া
এবং নিজেদের ঘুম ভাঙ্গানো যদি না তারা বেলুচিস্তানেও বাংলাদেশর মত পুনরাবৃত্তি দেখতে না চায়।
আমরা আশা করছি অতি শীঘ্রি এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন হবে এবং সরকার এই বিচারকে রাজনৈতিক
হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করে সুষ্ঠভাবে বিভার সম্পন্ন করে ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মার প্রতি সুবিচার করবে।
========
➽এই নোটটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ক্লিক করুনঃ http://on.fb.me/nhapZQ
➽আমাদের পেইজের কথা আপনার বন্ধুদের জানাতে ক্লিক করুনঃ http://on.fb.me/muktijuddho
➽আপাদের পেইজের সকল লেখা পাবেন ছবির ক্যাপশন আকারে।আমাদের সব এলবাম দেখতে ক্লিক করুনঃhttp://on.fb.me/nNgayN
Read from the source:
https://www.facebook.com/note.php?note_id=174844425930382
http://www.somewhereinblog.net/blog/antu_2020/29658208
Related:
যুদ্ধাপরাধের মাস্টারমাইন্ড গোলাম আযম !
__._,_.___