Banner Advertiser

Thursday, April 27, 2017

Re: [mukto-mona] Re: ইসলামের সংস্কৃতি – যেখানে “মুহাম্মদের” কাছে পরাজিত মানুষ ও সভ্যতা!



I fully agree with Skhaman Bain's assessment of the article. I also share his frustration. I should also point out that there are many other articles in the website Istishon, from which Golam Sarwar's article has been borrowed which are worth reading.


Mahfuzur Rahman


-----Original Message-----
From: Sukhamaya Bain subain1@yahoo.com [mukto-mona] <mukto-mona@yahoogroups.com>
To: mukto-mona <mukto-mona@yahoogroups.com>
Sent: Thu, Apr 27, 2017 6:13 pm
Subject: [mukto-mona] Re: ইসলামের সংস্কৃতি – যেখানে "মুহাম্মদের" কাছে পরাজিত মানুষ ও সভ্যতা!

 
Thanks to Golam Sarwar for a truly great and well-written article.

Talking about "আমাদের বর্তমান বাঙ্গালী বুদ্ধিবৃত্তির বিচার", I am too frustrated with the so-called moderate Muslims and the Muslim-appeasing non-Muslim idiots that claim to be secular. I am totally convinced, that without the so-called moderate Muslims providing the breeding ground, Islamic extremism could not grow. That is why I am quite intolerant of too much of religiosity (read stupidity) even when it looks innocent.

Sukhamaya Bain

======================================


On Wednesday, April 26, 2017 6:35 AM, ANISUR RAHMAN <anisur.rahman1@btinternet.com> wrote:




On Wednesday, 26 April 2017, 9:30, Jamal Hasan <jhasan1971@gmail.com> wrote:




ইসলামের সংস্কৃতি – যেখানে "মুহাম্মদের" কাছে পরাজিত মানুষ ও সভ্যতা!


ভারতীয় শিল্পী সনু নিগম প্রশ্ন তুলেছেন, কেন একজন মুসলমান না হওয়া সত্ত্বেও প্রতিদিন ভোরবেলা "কর্কশ" স্বরের আজান তাঁর ঘুম ভাঙ্গাবে? সনু নিগম পেশাদার সঙ্গীত শিল্পী, তিনি নিশ্চিত ভাবেই জানেন, কোন স্বরটি সুরেলা আর কোনটি নয়। তিনি জানেন কোন স্বর মানুষকে মন্ত্রমুগ্ধ করতে পারে আর কোনটি মানুষের মাথাযন্ত্রনার কারণ হতে পারে। তাই তিনি যখন বলেন "কর্কশ" স্বরের আজানের কথা তখন এটাতে অন্তত আমার কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই, সেই আজানের ধ্বনিটি কতটা কর্কশ হতে পারে। আমার শৈশব – কৈশোর – তারুন্যে আজানের নামে কত বিচিত্র চিৎকার শুনতে হয়েছে সেই স্মৃতিতো এখনও জেগে আছে আমার মাথায়, ভুলি কি করে? যথারীতি সনু নিগমের টুইটারে হামলে পড়েছে ভারতীয় ও আন্তর্জাতিক মুসলমানের দল। ফলশ্রুতিতে এই সেলেব্রিটি শিল্পীকে বাধ্য হতে হয়েছে "ড্যামেজ" সারানোর জন্যে আরো বেশ কয়েকটি টুইট করতে। কোনও সন্দেহ নেই, ব্যক্তি মানুষের এই স্বাধীন মতামত প্রকাশের জন্যে হয়তো আজ থেকে সনু নিগমের চলাচল খানিকটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠলো। আমি প্রত্যাশা করি, সনু নিগম ও তাঁর মতো আরো সকলেই তাঁদের মতামতকে স্বাধীনভাবে প্রকাশ করতে পারবেন এবং ভারতীয় সমাজ তাঁদের স্বাধীন মতামত প্রকাশের অধিকারকে নিশ্চিত করবেন।
আমি প্রায় নিশ্চিত – ইতিমধ্যেই অন্তত প্রধান কয়েকটি ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের ধারা আমাদের সামাজিক আলোচনার জায়গাগুলোতে ঝড় তুলেছে। হয়তো ইতিমধ্যেই কেউ কেউ মেপে ফেলেছেন – সনুর বাড়ীর চারপাশে কয়টা মসজিদ আছে, আদৌ আছে কিনা, থাকলে সনুর ফ্ল্যাট থেকে সেই সকল মসজিদের দূরত্ব কতটুকু কিম্বা সেই সকল মসজিদে কয়টা মাইক আছে, তাঁদের শক্তি কেমন আর সেই মাইকের আজান সনুর বাড়ী পর্যন্ত পৌছায় কিনা, কিম্বা আরো এক কাঠি সরেস হলে, হয়তো সনুর প্রতিবেশী কোনও অমুসলিম মহিলাকে দিয়ে স্বীকারও করিয়ে নেয়া হবে যে আসলে তিনি কোনও আযানের ধ্বনি শুনতে পান না। অথবা আরেক গোত্রের মানুষ হয়তো আজানকেই সারা দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত হিসাবে প্রমান করে ফেলেছেন ইতিমধ্যেই। আজান যে দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত সেই প্রমান দিতে অধিক পরিশ্রমী কেউ কেউ হয়তো উস্তাদ ভীমসেন যোশী কিম্বা বিলায়েত হোসাইন খান সাহেবের পুরনো কোনও সাক্ষাৎকারও দেখিয়ে দিতে পারেন যে তাঁরা বলছেন – ভারতীয় ক্ল্যাসিক্যাল সঙ্গীত তো মূলত আজানের উপরে ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছে। সনু নিগম বলেছেন, তিনি একজন অমুসলিম হওয়া সত্ত্বেও কেনও তাঁকে প্রতিদিন এই আহবানটি শুনতে হবে? এর প্রেক্ষিতে, পশ্চিমে বসবাস অভিজ্ঞতা আছে এমন মুসলমানেরা বলে উঠবেন গির্জার ঘন্টাও তো আমাদের ঘন্টায় ঘন্টায় শুনতে হয়, আমরা কি এরকমটা বলি? কিম্বা পশ্চিমে বসবাসকারি অনেক মুসলমান বলে উঠবেন, আহা আমি আমার বাড়ীর পাশের মুয়াজ্জিন সাহেবের আজান বড় মিস করি, কি সমুধুরই না ছিলো তাঁর আজান।

ঢাকাকে মসজিদের শহর ডেকে আমরা অনেকেই এখনও রোম্যান্টিক হয়ে উঠি
আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে ছুটি নিয়েছি, কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যানে বাংলাদেশ – ভারতের "উচ্চ – শিক্ষিত" বর্গের মানস – মস্তিস্কটি বুঝেছি। সম্পূর্ণ বুঝতে পেরেছি তা নয়, কিন্তু প্রাক ইন্টারনেট কালের তিন যুগে যা বুঝতে পারিনি, গত তিন বছরে তার চাইতেও অনেক বেশী বুঝেছি, পড়েছি, শুনেছি, দেখেছি। যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয়, আমার ধারণা যদি দারুন ভাবে ভুল হয়, তাহলে আমাকে সংশোধন করে দিন, আমি আনন্দিত হবো।
অর্থাৎ মোটের উপরে – বাড়ীর পাশে প্রিন্টিং প্রেস এর শব্দের আপনার স্বাভাবিক জীবন বিঘ্নিত হচ্ছে এটা বলাটা যতটা সহজ বিষয়, আজানের কটকটে শব্দে আপনার ব্যক্তিগত জীবনে বিরক্তি উৎপাদিত হচ্ছে সেটা বলাটা ঠিক ততটাই কঠিন। ধানমন্ডির আবাসিক এলাকায় অফিস পাড়া গড়ে ওঠায় আপনি এলাকার যানবাহন পরিস্থিতি নিয়ে সিটি কর্পোরেন/পৌরসভায় অভিযোগ করতে পারেন, কিন্তু একই মহল্লায় চারটি মসজিদ দরকার আছে কিনা সেই প্রশ্নটি করতে পারবেন না। কেন পারবেন না?
কেনো কঠিন? কিম্বা কেনো পারবেন না? আমি নিশ্চিত, হয়তো এই প্রশ্নগুলোরও উত্তর দিয়ে ফেলেছেন আমাদের অনলাইন ও ফেসবুকের বুদ্ধিজীবিবৃন্দ। দর্শনের "তুক – তাক" পড়া মানুষেরা বলছেন – বাংলাদেশে আজান নিয়ে এই অভিযোগ সংখ্যাগরিষ্ঠের ধর্মানুভুতিতে আঘাত করতে পারে। হাজার বছর ধরে চলে আসা আজান আমাদের সংস্কৃতির অংশ হয়ে গেছে, সংখ্যাগরিষ্ঠের এই সংস্কৃতির বিরুদ্ধাচারন করার মানে হচ্ছে আপনি বেশীরভাগ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারে আঘাত করছেন। আর ভারতেও আপনি আজানের বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারবেন না। কেননা, ভারতে মুসলমানেরা সংখ্যালঘু। সংখ্যালঘুর অধিকার সংরক্ষন করার দায়িত্ব সংখ্যাগুরুদের উপরেই বর্তায়, যদি তা করতে না পারেন, তাহলে আপনি বর্ণবাদী বা রেসিস্ট হয়ে উঠতে পারেন।
দারুন নয় ব্যাখ্যা গুলো?
মোদ্দা কথা হচ্ছে আমাদের বর্তমান সময়ের "ইসলাম পছন্দ" বাঙালীর বোঝাপড়া অনুযায়ী, সনু নিগমের উচিৎ হয় নাই আজান বিষয়ে তাঁর ব্যক্তিগত পছন্দ - অপছন্দের কথা বলা। বাড়ীর পাশের রেল লাইন নিয়া আপনি আপত্তির কথা বলতে পারবেন, এলাকায় বানিজ্যিক অফিস নিয়া আপনি কথা বলতে পারবেন, কিন্তু আজানের কর্কশ চিৎকার নিয়ে তিনি তাঁর নিজের মতামত দিতে পারবেন না। এটাই হচ্ছে আমাদের বর্তমান বাঙ্গালী বুদ্ধিবৃত্তির বিচার।
প্রসঙ্গটি নতুন নয়। কবি শামসুর রাহমান আজানের এই লাগাতার আহবানকে যৌনপল্লীতে যৌনকর্মীদের সমস্বরে খদ্দের আহবানের সাথে তুলনা করেছিলেন। সৈয়দ শামসুল হক বরং শহুরে কাককে বলেছিলেন আরো উচ্চ স্বরে 'কা – কা' রবে চারদিক মাতিয়ে তুলতে, যেনো কাকের কন্ঠের তোড়ে মুয়াজ্জিনের বিরক্তিকর কন্ঠটি ঢাকা পড়ে যায়, মানুষ যেনো খানিকটা স্বস্তি লাভ করে। কাব্যরসের বাইরেও, সাধারণ যুক্তিবোধ সম্পন্ন মানুষ জানবেন, শামসুর রাহমান বা সৈয়দ হক দুজনের লেখাতেই যে উপমা ব্যবহার করেছেন তা সার্থক উপমা। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে ইসলামী মৌলবাদের ইতিহাস সম্পর্কে যারা জানেন, তাঁরা নিশ্চয়ই অবহিত আছেন, আজানকে নিয়ে এই সত্য উপলব্ধি কবিতায় প্রকাশের জন্যে শামসুর রাহমানের জীবন সংশয় ঘটেছিলো।
ঢাকা কিম্বা বাংলাদেশের যেকোনো বড় শহরের অধিবাসীরা জানেন, বাংলাদেশে জনগনের ঘনত্বের সাথে পাল্লা দিয়ে গড়ে উঠেছে মসজিদ। আবাসিক এলাকায়, তাই সম্ভবত প্রতি আধা কিলোমিটার পর পর পাওয়া যাবে একটি করে মসজিদ। এই মসজিদগুলোতে প্রতিদিন কতটা শান্তির চর্চা হয়, তা আমরা জানি। এই মসজিদ গুলোতে কতটা মানবতার চর্চা হয় তাও আমরা জানি। প্রযুক্তির কল্যানে আজকাল মসজিদের জুমার খুতবাগুলোর ডিভিডি আকারে বাজারে পাওয়া যায়। অনলাইনেও রয়েছে এক বিরাট সম্ভার। আগ্রহীরা দেখে নিতে পারেন, মসজিদের খুতবার নামে কি বিপুল ঘৃণার চাষাবাদ হয়।
কেনো আজান নিয়ে কোনও নাগরিকের ব্যক্তিগত অসুবিধার অভিযোগ তোলা এতো কঠিন? একটা সাম্প্রতিক ঘটনা দিয়ে বিষয়টি ব্যাখ্যা করা যেতে পারে।

প্লাইউডের বাক্সো দিয়ে ঢেকে দেয়া ভাস্কর্য গুলো
ইরানের রাষ্ট্রপ্রধান যখন ইতালী সফর করেন, তখন রোমের সকল ন্যুড ভাস্কর্য গুলো প্লাইউডের বাক্সো দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছিলো। এই ঘটনার সমালোচনায়, ইতালীর জনগন তাই সেই বিখ্যাত প্রবাদটি বদলে দিয়েছিলো – "When you are in Rome, be Roman" তার বদলে তাঁরা লিখেছিলেন - "When you are in Rome, be Persian". কিন্তু ইতালীর জনগন ইরানের রাষ্ট্রপ্রধানের এই প্রেফারেনস বিষয়ে কোনও পাবলিক প্রতিবাদ করেনি, কিম্বা হামলে পড়েনি তাঁর টুইটার একাউন্টে। কেনও ইতালীর প্রশাসন এই কাজটি করেছিলো? খুব সিম্পল, ইরানের রাষ্ট্রপ্রধানের ব্যক্তিগত প্রেফারেনস বা মতামতকে প্রাধান্য দিয়েছিলো তাঁরা। একজন ইতালিয়ান কার্টুনিস্ট এই প্রসঙ্গে টুইটার করেছিলেন - "আমরা না হয় ইরানী রাস্ট্রপ্রধানের সম্মানে আমাদের সব ন্যুড ভাস্কর্যের গায়ে কাপড় পড়িয়ে দিলাম, আমাদের প্রধানমন্ত্রীর ইরান সফরের সময় কি তাঁর পছন্দমাফিক ইরানের ভাস্কর্যগুলোর কাপড় খুলে নেয়া হবে?" আমরা জানি তা কখনই হবেনা। কারণ ইসলামে ভিন্ন কোন মানুষের প্রেফারেনস বা মতামতের কোনও মুল্য নেই। তাই, ইসলামী দেশগুলোতে বিদেশী নারী পর্যটকদেরও ইসলামী পোশাক পরিধান করতে হয়। আপনি যে দেশেরই নাগরিক হোননা কেনো, আপনি যে সংস্কৃতিরই মানুষ হোননা কেনো, আপনি যখন সৌদীআরব বা ইরান ভ্রমন করবেন, তখন আপনাকে কঠোর ভাবে মেনে চলতে হবে ইসলামী আইন, অনুশাসন, পোশাক, খাদ্যাভ্যাসসহ সকল আচরণবিধি। দেখুন এখানে তাঁর কিছু নমুনাঃ
  • সৌদী আরবে কোনও মহিলা টুরিস্ট এর বিমানবন্দর থেকে একাকী দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশের অধিকার নেই। হয় তাঁর স্বামীকে তাঁর সাথে থাকতে হবে, নয়তো সৌদী একজন পুরুষ যিনি তাঁকে আমন্ত্রন জানিয়েছেন তাঁকে থাকতে হবে, নিদেন পক্ষে যেকোনো একজন সৌদী পুরুষ এয়ারপোর্ট এ উপস্থিত থাকতে হবে।
  • সৌদী আরবে সকল টুরিশ্ত নারীকে সৌদী নারিদের মতোই পোশাক পরতে হবে। নারীদের প্যান্ট পরা হারাম। বিশেষ করে রাজধানি রিয়াদে নারীদের অবশ্যই কালো রঙের পা ঢাকা দৈর্ঘ্যের বুরকা পরতে হবে।
  • কোনও নারী টুরিস্ট রেস্টুরেন্ট এ পুরুষ সঙ্গী ব্যতীত প্রবেশ করলে, তাঁকে খাবার সারভ করা হবেনা। এমন কি ধর্মীয় পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করতে পারে।
  • যেকোনো রকমের সাজগোজ করা কঠোর অপরাধ হিসাবে গন্য হবে এবং স্বামী, আত্মীয় বা স্থানীয় স্পনসর নন এমন কোনও পুরুষের সাথে দেখা গেলে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে
  • ..........ইত্যাদি ইত্যাদি!

    সৌদী আরবে বসবাসরত পশ্চিমা নারীদের বোরকা আবৃত জীবন যাপন। আমি জানি, কিঞ্ছু বাঙ্গালী বুদ্ধিজীবি হয়তো হিলারী ক্লিন্টন কিম্বা কন্ডোলিতজা রাইস এর সৌদী ভ্রমনের ছবি দিয়ে বলবেন, দেখুন এরাতো প্যান্ট পরে ছিলো ... তাঁদের জন্যে করুনা রইলো।
    এই পার্থক্য কে আমি কোনও দোষ বা গুন বলছিনা। আমি কেবল বলছি এটাই ইসলামের সংস্কৃতি যেখানে ভিন্ন মানুষের মতামতের মুল্য শূন্য, কিন্তু ইসলামী আচরণ, সংস্কৃতি, বর্বরতা, নিষ্ঠুরতা বিষয়ে অন্য কেউ কোন মতামত দিলে তাঁর উপরে হামলে পড়াটাই ইসলামী দায়িত্ব।
    সনু নিগম ইসলামী সংস্কৃতির এই বিষয়টি কতটা বিস্তারিত জানতেন, আমি তা জানিনা। জানলে হয়তো তিনি চতুর "সেলেব্রিটি" হয়েই থাকতেন, হঠাৎ করে আটপৌরে নাগরিক হয়ে উঠতেন না।
    প্রায় একশো ষাট বছর আগে (১৮৫৪ সালে), নিউ ইয়র্ক হেরাল্ড ট্রিবিউনে, খুব সংক্ষিপ্ত এক প্রবন্ধে জনাব কার্ল মার্কস লিখেছিলেনঃ
    "The Koran and the Mussulman legislation emanating from it reduce the geography and ethnography of the various people to the simple and convenient distinction of two nations and of two countries; those of the Faithful and of the Infidels. The Infidel is "harby," i.e. the enemy. Islamism proscribes the nation of the Infidels, constituting a state of permanent hostility between the Mussulman and the unbeliever. In that sense the corsair-ships of the Berber States were the holy fleet of Islam. How, then, is the existence of Christian subjects of the Porte to be reconciled with the Koran?"
    Written: on March 28, 1854; First published: in the New-York Daily Tribune, April 15; Signed: Karl Marx; Transcribed: by Andy Blunden;
    জনাব কার্ল মার্কস বলছেন –"কুরআন আর কুরআনের শাসনব্যবস্থা সারা দুনিয়ার মানুষের ভুগোল ও নৃতাত্ত্বিক পরিচয়কে খুব সহজ সাধারণ দুটি ভাগে বিভক্ত করেছে, একদিকে বিশ্বাসী মুমিনেরা আরেকদিকে সব কাফেরের দল। কাফের রা হচ্ছে শত্রু। ইসলাম কাফেরদের রাষ্ট্রের সাথে কোনও সম্পর্ক মেনে নেয়না এবং কাফের – অবিশ্বাসীদের সাথে একটি চিরস্থায়ী শত্রুতা ধরে রাখে। এই অর্থে, ইসলাম হচ্ছে এক রকমের আক্রমণকারী জলদস্যুদের তরনী। কুরআন আর এই রকমের জলদস্যুদের সাথে কিভাবে খৃস্টান মানুষদের সমঝোতা হতে পারে?"
    দেখুন জনাব কার্ল মার্কস একশো ষাট বছর আগে যা লিখে যেতে পেরেছেন, সনু নিগম কিম্বা মুসলমানদের সাথে বসবাস করছেন এমন কোনও সহনাগরিক আজও তা বলতে পারেন না। কার্ল মার্কস প্রশ্ন করেছিলেন – কিভাবে কুরআনের সাথে ভিন্ন ধর্মের মানুষের বোঝাপড়া বা সমঝোতা হতে পারে?
    যারা সনু নিগমকে নিয়ে ব্যস্ত, তাঁরা এই বুড়ো কার্ল মার্কসের এই দেড়শো বছরের পুরনো প্রশ্নটির উত্তর দিতে পারবেন?
    এজন্যেই কার্ল মার্কস আজও প্রাসঙ্গিক। কার্ল মার্কস এর উত্তর দিয়ে গিয়েছিলেন। এর উত্তর হচ্ছে – ইসলামের সংস্কৃতিতে ভিন্ন মতের সাথে বোঝাপড়ার কোনও সুযোগ বা অপশন নেই। এটাই ইসলামী সংস্কৃতি। এটাই ইসলামের বাস্তবতা। ইসলামের চোখে বাদবাকি তাবৎ দুনিয়া কাফের এবং শত্রু, তা আপনি আজানকে কাকের কর্কশ ডাক বলেন কিম্বা উস্তাদ আমির খানের দরাজ গলার "খেয়াল" এর সাথে তুলোনা করুন।

    (মুহাম্মদের আদর্শ সৈনিক মানুষ হত্যার শপথ প্রদর্শন করছেন, প্রকাশ্য দিবালোকে, জনপদে - জনসমক্ষে)
    ইসলামের মৌলিক সুত্রায়ন গুলো মুহাম্মদের হাতে তৈরী। যদিও মুহাম্মদের কুরআন "নাজেল" হবার গল্পে প্রধান কুশলী হিসাবে আল্লাহ্‌ এবং তাঁর প্রধান বার্তাবাহক জনাব জিবরাঈল এর বর্ণনা পাই, কিন্তু যেকোনো যৌক্তিক মানুষ এটা বুঝতে পারেন, ইসলামের মূল সূত্রগুলো আসলে মুহাম্মদের হাতেই তৈরী। সুতরাং মুমিন এবং কাফের এই বিভাজনের কৃতিত্ব প্রায় একক ভাবেই ইসলামের নবী মুহাম্মদের। সারা দুনিয়ার সকল মানুষকে এই সহজ দুইভাগে বিভক্ত করার জন্যে মুহাম্মদের সৃজনশীলতার কথা স্বীকার করতেই হবে। কিন্তু মুহাম্মদ নিজে যতটা সৃজনশীল ছিলেন, তাঁর উম্মতদেরকে তিনি ততটাই অ-সৃজনশীল হবার শিক্ষা দিয়ে গেছেন। সে কারনেই, মুহাম্মদের শিষ্যরা এই একবিংশ শতকেও দুনিয়াকে ভাগ করছেন মুমিন – কাফের এই বিভাজনে এবং তারপরে কাফের নিধনের সংগ্রাম জারি করছেন। এভাবেই দেড় হাজার বছর আগে মুহাম্মদের বুদ্ধিবৃত্তির কাছে মানুষের সৃজনশীলতার পরাজয় হয়েছিলো। মানুষের কংকাল থেকে উদ্ভব হয়েছিলো মুসলমানের। মুহাম্মদের কাছে মানুষের এই পরাজয়ের পরিনতি আজ আমরা দেখছি, শুধু বাংলাদেশ – ভারতে নয় সারা দুনিয়ায়।






__._,_.___

Posted by: "mahfuzur@aol.com" <mahfuzur@aol.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

Re: [mukto-mona] Re: ইসলামের সংস্কৃতি – যেখানে “মুহাম্মদের” কাছে পরাজিত মানুষ ও সভ্যতা!



The stupidity of the West is that - these societies did not learn a good lesson that we all came to know in our childhood: Those who commit the crime and those who tolerate the crime commit the same offense
 
The culture played a critical role in the success of the western societies, but the good old western cultures and values have been severely degraded by the recent addition of liberal multiculturalism, which is acting as a boomerang to these societies. Treating other cultures as equal, no matter how wrong those practices are, is the dumbest thing western societies could have done.  

When something is wrong, others need to point that out. Tolerating a wrong will only linger wrong-doing.

Pat








2017-04-27 13:04 GMT-04:00 Sukhamaya Bain subain1@yahoo.com [mukto-mona] <mukto-mona@yahoogroups.com>:
 

Thanks to Golam Sarwar for a truly great and well-written article.

Talking about "আমাদের বর্তমান বাঙ্গালী বুদ্ধিবৃত্তির বিচার", I am too frustrated with the so-called moderate Muslims and the Muslim-appeasing non-Muslim idiots that claim to be secular. I am totally convinced, that without the so-called moderate Muslims providing the breeding ground, Islamic extremism could not grow. That is why I am quite intolerant of too much of religiosity (read stupidity) even when it looks innocent.

Sukhamaya Bain

======================================


On Wednesday, April 26, 2017 6:35 AM, ANISUR RAHMAN <anisur.rahman1@btinternet.com> wrote:




On Wednesday, 26 April 2017, 9:30, Jamal Hasan <jhasan1971@gmail.com> wrote:




ইসলামের সংস্কৃতি – যেখানে "মুহাম্মদের" কাছে পরাজিত মানুষ ও সভ্যতা!


ভারতীয় শিল্পী সনু নিগম প্রশ্ন তুলেছেন, কেন একজন মুসলমান না হওয়া সত্ত্বেও প্রতিদিন ভোরবেলা "কর্কশ" স্বরের আজান তাঁর ঘুম ভাঙ্গাবে? সনু নিগম পেশাদার সঙ্গীত শিল্পী, তিনি নিশ্চিত ভাবেই জানেন, কোন স্বরটি সুরেলা আর কোনটি নয়। তিনি জানেন কোন স্বর মানুষকে মন্ত্রমুগ্ধ করতে পারে আর কোনটি মানুষের মাথাযন্ত্রনার কারণ হতে পারে। তাই তিনি যখন বলেন "কর্কশ" স্বরের আজানের কথা তখন এটাতে অন্তত আমার কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই, সেই আজানের ধ্বনিটি কতটা কর্কশ হতে পারে। আমার শৈশব – কৈশোর – তারুন্যে আজানের নামে কত বিচিত্র চিৎকার শুনতে হয়েছে সেই স্মৃতিতো এখনও জেগে আছে আমার মাথায়, ভুলি কি করে? যথারীতি সনু নিগমের টুইটারে হামলে পড়েছে ভারতীয় ও আন্তর্জাতিক মুসলমানের দল। ফলশ্রুতিতে এই সেলেব্রিটি শিল্পীকে বাধ্য হতে হয়েছে "ড্যামেজ" সারানোর জন্যে আরো বেশ কয়েকটি টুইট করতে। কোনও সন্দেহ নেই, ব্যক্তি মানুষের এই স্বাধীন মতামত প্রকাশের জন্যে হয়তো আজ থেকে সনু নিগমের চলাচল খানিকটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠলো। আমি প্রত্যাশা করি, সনু নিগম ও তাঁর মতো আরো সকলেই তাঁদের মতামতকে স্বাধীনভাবে প্রকাশ করতে পারবেন এবং ভারতীয় সমাজ তাঁদের স্বাধীন মতামত প্রকাশের অধিকারকে নিশ্চিত করবেন।
আমি প্রায় নিশ্চিত – ইতিমধ্যেই অন্তত প্রধান কয়েকটি ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের ধারা আমাদের সামাজিক আলোচনার জায়গাগুলোতে ঝড় তুলেছে। হয়তো ইতিমধ্যেই কেউ কেউ মেপে ফেলেছেন – সনুর বাড়ীর চারপাশে কয়টা মসজিদ আছে, আদৌ আছে কিনা, থাকলে সনুর ফ্ল্যাট থেকে সেই সকল মসজিদের দূরত্ব কতটুকু কিম্বা সেই সকল মসজিদে কয়টা মাইক আছে, তাঁদের শক্তি কেমন আর সেই মাইকের আজান সনুর বাড়ী পর্যন্ত পৌছায় কিনা, কিম্বা আরো এক কাঠি সরেস হলে, হয়তো সনুর প্রতিবেশী কোনও অমুসলিম মহিলাকে দিয়ে স্বীকারও করিয়ে নেয়া হবে যে আসলে তিনি কোনও আযানের ধ্বনি শুনতে পান না। অথবা আরেক গোত্রের মানুষ হয়তো আজানকেই সারা দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত হিসাবে প্রমান করে ফেলেছেন ইতিমধ্যেই। আজান যে দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত সেই প্রমান দিতে অধিক পরিশ্রমী কেউ কেউ হয়তো উস্তাদ ভীমসেন যোশী কিম্বা বিলায়েত হোসাইন খান সাহেবের পুরনো কোনও সাক্ষাৎকারও দেখিয়ে দিতে পারেন যে তাঁরা বলছেন – ভারতীয় ক্ল্যাসিক্যাল সঙ্গীত তো মূলত আজানের উপরে ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছে। সনু নিগম বলেছেন, তিনি একজন অমুসলিম হওয়া সত্ত্বেও কেনও তাঁকে প্রতিদিন এই আহবানটি শুনতে হবে? এর প্রেক্ষিতে, পশ্চিমে বসবাস অভিজ্ঞতা আছে এমন মুসলমানেরা বলে উঠবেন গির্জার ঘন্টাও তো আমাদের ঘন্টায় ঘন্টায় শুনতে হয়, আমরা কি এরকমটা বলি? কিম্বা পশ্চিমে বসবাসকারি অনেক মুসলমান বলে উঠবেন, আহা আমি আমার বাড়ীর পাশের মুয়াজ্জিন সাহেবের আজান বড় মিস করি, কি সমুধুরই না ছিলো তাঁর আজান।

ঢাকাকে মসজিদের শহর ডেকে আমরা অনেকেই এখনও রোম্যান্টিক হয়ে উঠি
আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে ছুটি নিয়েছি, কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যানে বাংলাদেশ – ভারতের "উচ্চ – শিক্ষিত" বর্গের মানস – মস্তিস্কটি বুঝেছি। সম্পূর্ণ বুঝতে পেরেছি তা নয়, কিন্তু প্রাক ইন্টারনেট কালের তিন যুগে যা বুঝতে পারিনি, গত তিন বছরে তার চাইতেও অনেক বেশী বুঝেছি, পড়েছি, শুনেছি, দেখেছি। যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয়, আমার ধারণা যদি দারুন ভাবে ভুল হয়, তাহলে আমাকে সংশোধন করে দিন, আমি আনন্দিত হবো।
অর্থাৎ মোটের উপরে – বাড়ীর পাশে প্রিন্টিং প্রেস এর শব্দের আপনার স্বাভাবিক জীবন বিঘ্নিত হচ্ছে এটা বলাটা যতটা সহজ বিষয়, আজানের কটকটে শব্দে আপনার ব্যক্তিগত জীবনে বিরক্তি উৎপাদিত হচ্ছে সেটা বলাটা ঠিক ততটাই কঠিন। ধানমন্ডির আবাসিক এলাকায় অফিস পাড়া গড়ে ওঠায় আপনি এলাকার যানবাহন পরিস্থিতি নিয়ে সিটি কর্পোরেন/পৌরসভায় অভিযোগ করতে পারেন, কিন্তু একই মহল্লায় চারটি মসজিদ দরকার আছে কিনা সেই প্রশ্নটি করতে পারবেন না। কেন পারবেন না?
কেনো কঠিন? কিম্বা কেনো পারবেন না? আমি নিশ্চিত, হয়তো এই প্রশ্নগুলোরও উত্তর দিয়ে ফেলেছেন আমাদের অনলাইন ও ফেসবুকের বুদ্ধিজীবিবৃন্দ। দর্শনের "তুক – তাক" পড়া মানুষেরা বলছেন – বাংলাদেশে আজান নিয়ে এই অভিযোগ সংখ্যাগরিষ্ঠের ধর্মানুভুতিতে আঘাত করতে পারে। হাজার বছর ধরে চলে আসা আজান আমাদের সংস্কৃতির অংশ হয়ে গেছে, সংখ্যাগরিষ্ঠের এই সংস্কৃতির বিরুদ্ধাচারন করার মানে হচ্ছে আপনি বেশীরভাগ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারে আঘাত করছেন। আর ভারতেও আপনি আজানের বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারবেন না। কেননা, ভারতে মুসলমানেরা সংখ্যালঘু। সংখ্যালঘুর অধিকার সংরক্ষন করার দায়িত্ব সংখ্যাগুরুদের উপরেই বর্তায়, যদি তা করতে না পারেন, তাহলে আপনি বর্ণবাদী বা রেসিস্ট হয়ে উঠতে পারেন।
দারুন নয় ব্যাখ্যা গুলো?
মোদ্দা কথা হচ্ছে আমাদের বর্তমান সময়ের "ইসলাম পছন্দ" বাঙালীর বোঝাপড়া অনুযায়ী, সনু নিগমের উচিৎ হয় নাই আজান বিষয়ে তাঁর ব্যক্তিগত পছন্দ - অপছন্দের কথা বলা। বাড়ীর পাশের রেল লাইন নিয়া আপনি আপত্তির কথা বলতে পারবেন, এলাকায় বানিজ্যিক অফিস নিয়া আপনি কথা বলতে পারবেন, কিন্তু আজানের কর্কশ চিৎকার নিয়ে তিনি তাঁর নিজের মতামত দিতে পারবেন না। এটাই হচ্ছে আমাদের বর্তমান বাঙ্গালী বুদ্ধিবৃত্তির বিচার।
প্রসঙ্গটি নতুন নয়। কবি শামসুর রাহমান আজানের এই লাগাতার আহবানকে যৌনপল্লীতে যৌনকর্মীদের সমস্বরে খদ্দের আহবানের সাথে তুলনা করেছিলেন। সৈয়দ শামসুল হক বরং শহুরে কাককে বলেছিলেন আরো উচ্চ স্বরে 'কা – কা' রবে চারদিক মাতিয়ে তুলতে, যেনো কাকের কন্ঠের তোড়ে মুয়াজ্জিনের বিরক্তিকর কন্ঠটি ঢাকা পড়ে যায়, মানুষ যেনো খানিকটা স্বস্তি লাভ করে। কাব্যরসের বাইরেও, সাধারণ যুক্তিবোধ সম্পন্ন মানুষ জানবেন, শামসুর রাহমান বা সৈয়দ হক দুজনের লেখাতেই যে উপমা ব্যবহার করেছেন তা সার্থক উপমা। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে ইসলামী মৌলবাদের ইতিহাস সম্পর্কে যারা জানেন, তাঁরা নিশ্চয়ই অবহিত আছেন, আজানকে নিয়ে এই সত্য উপলব্ধি কবিতায় প্রকাশের জন্যে শামসুর রাহমানের জীবন সংশয় ঘটেছিলো।
ঢাকা কিম্বা বাংলাদেশের যেকোনো বড় শহরের অধিবাসীরা জানেন, বাংলাদেশে জনগনের ঘনত্বের সাথে পাল্লা দিয়ে গড়ে উঠেছে মসজিদ। আবাসিক এলাকায়, তাই সম্ভবত প্রতি আধা কিলোমিটার পর পর পাওয়া যাবে একটি করে মসজিদ। এই মসজিদগুলোতে প্রতিদিন কতটা শান্তির চর্চা হয়, তা আমরা জানি। এই মসজিদ গুলোতে কতটা মানবতার চর্চা হয় তাও আমরা জানি। প্রযুক্তির কল্যানে আজকাল মসজিদের জুমার খুতবাগুলোর ডিভিডি আকারে বাজারে পাওয়া যায়। অনলাইনেও রয়েছে এক বিরাট সম্ভার। আগ্রহীরা দেখে নিতে পারেন, মসজিদের খুতবার নামে কি বিপুল ঘৃণার চাষাবাদ হয়।
কেনো আজান নিয়ে কোনও নাগরিকের ব্যক্তিগত অসুবিধার অভিযোগ তোলা এতো কঠিন? একটা সাম্প্রতিক ঘটনা দিয়ে বিষয়টি ব্যাখ্যা করা যেতে পারে।

প্লাইউডের বাক্সো দিয়ে ঢেকে দেয়া ভাস্কর্য গুলো
ইরানের রাষ্ট্রপ্রধান যখন ইতালী সফর করেন, তখন রোমের সকল ন্যুড ভাস্কর্য গুলো প্লাইউডের বাক্সো দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছিলো। এই ঘটনার সমালোচনায়, ইতালীর জনগন তাই সেই বিখ্যাত প্রবাদটি বদলে দিয়েছিলো – "When you are in Rome, be Roman" তার বদলে তাঁরা লিখেছিলেন - "When you are in Rome, be Persian". কিন্তু ইতালীর জনগন ইরানের রাষ্ট্রপ্রধানের এই প্রেফারেনস বিষয়ে কোনও পাবলিক প্রতিবাদ করেনি, কিম্বা হামলে পড়েনি তাঁর টুইটার একাউন্টে। কেনও ইতালীর প্রশাসন এই কাজটি করেছিলো? খুব সিম্পল, ইরানের রাষ্ট্রপ্রধানের ব্যক্তিগত প্রেফারেনস বা মতামতকে প্রাধান্য দিয়েছিলো তাঁরা। একজন ইতালিয়ান কার্টুনিস্ট এই প্রসঙ্গে টুইটার করেছিলেন - "আমরা না হয় ইরানী রাস্ট্রপ্রধানের সম্মানে আমাদের সব ন্যুড ভাস্কর্যের গায়ে কাপড় পড়িয়ে দিলাম, আমাদের প্রধানমন্ত্রীর ইরান সফরের সময় কি তাঁর পছন্দমাফিক ইরানের ভাস্কর্যগুলোর কাপড় খুলে নেয়া হবে?" আমরা জানি তা কখনই হবেনা। কারণ ইসলামে ভিন্ন কোন মানুষের প্রেফারেনস বা মতামতের কোনও মুল্য নেই। তাই, ইসলামী দেশগুলোতে বিদেশী নারী পর্যটকদেরও ইসলামী পোশাক পরিধান করতে হয়। আপনি যে দেশেরই নাগরিক হোননা কেনো, আপনি যে সংস্কৃতিরই মানুষ হোননা কেনো, আপনি যখন সৌদীআরব বা ইরান ভ্রমন করবেন, তখন আপনাকে কঠোর ভাবে মেনে চলতে হবে ইসলামী আইন, অনুশাসন, পোশাক, খাদ্যাভ্যাসসহ সকল আচরণবিধি। দেখুন এখানে তাঁর কিছু নমুনাঃ
  • সৌদী আরবে কোনও মহিলা টুরিস্ট এর বিমানবন্দর থেকে একাকী দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশের অধিকার নেই। হয় তাঁর স্বামীকে তাঁর সাথে থাকতে হবে, নয়তো সৌদী একজন পুরুষ যিনি তাঁকে আমন্ত্রন জানিয়েছেন তাঁকে থাকতে হবে, নিদেন পক্ষে যেকোনো একজন সৌদী পুরুষ এয়ারপোর্ট এ উপস্থিত থাকতে হবে।
  • সৌদী আরবে সকল টুরিশ্ত নারীকে সৌদী নারিদের মতোই পোশাক পরতে হবে। নারীদের প্যান্ট পরা হারাম। বিশেষ করে রাজধানি রিয়াদে নারীদের অবশ্যই কালো রঙের পা ঢাকা দৈর্ঘ্যের বুরকা পরতে হবে।
  • কোনও নারী টুরিস্ট রেস্টুরেন্ট এ পুরুষ সঙ্গী ব্যতীত প্রবেশ করলে, তাঁকে খাবার সারভ করা হবেনা। এমন কি ধর্মীয় পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করতে পারে।
  • যেকোনো রকমের সাজগোজ করা কঠোর অপরাধ হিসাবে গন্য হবে এবং স্বামী, আত্মীয় বা স্থানীয় স্পনসর নন এমন কোনও পুরুষের সাথে দেখা গেলে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে
  • ..........ইত্যাদি ইত্যাদি!

    সৌদী আরবে বসবাসরত পশ্চিমা নারীদের বোরকা আবৃত জীবন যাপন। আমি জানি, কিঞ্ছু বাঙ্গালী বুদ্ধিজীবি হয়তো হিলারী ক্লিন্টন কিম্বা কন্ডোলিতজা রাইস এর সৌদী ভ্রমনের ছবি দিয়ে বলবেন, দেখুন এরাতো প্যান্ট পরে ছিলো ... তাঁদের জন্যে করুনা রইলো।
    এই পার্থক্য কে আমি কোনও দোষ বা গুন বলছিনা। আমি কেবল বলছি এটাই ইসলামের সংস্কৃতি যেখানে ভিন্ন মানুষের মতামতের মুল্য শূন্য, কিন্তু ইসলামী আচরণ, সংস্কৃতি, বর্বরতা, নিষ্ঠুরতা বিষয়ে অন্য কেউ কোন মতামত দিলে তাঁর উপরে হামলে পড়াটাই ইসলামী দায়িত্ব।
    সনু নিগম ইসলামী সংস্কৃতির এই বিষয়টি কতটা বিস্তারিত জানতেন, আমি তা জানিনা। জানলে হয়তো তিনি চতুর "সেলেব্রিটি" হয়েই থাকতেন, হঠাৎ করে আটপৌরে নাগরিক হয়ে উঠতেন না।
    প্রায় একশো ষাট বছর আগে (১৮৫৪ সালে), নিউ ইয়র্ক হেরাল্ড ট্রিবিউনে, খুব সংক্ষিপ্ত এক প্রবন্ধে জনাব কার্ল মার্কস লিখেছিলেনঃ
    "The Koran and the Mussulman legislation emanating from it reduce the geography and ethnography of the various people to the simple and convenient distinction of two nations and of two countries; those of the Faithful and of the Infidels. The Infidel is "harby," i.e. the enemy. Islamism proscribes the nation of the Infidels, constituting a state of permanent hostility between the Mussulman and the unbeliever. In that sense the corsair-ships of the Berber States were the holy fleet of Islam. How, then, is the existence of Christian subjects of the Porte to be reconciled with the Koran?"
    Written: on March 28, 1854; First published: in the New-York Daily Tribune, April 15; Signed: Karl Marx; Transcribed: by Andy Blunden;
    জনাব কার্ল মার্কস বলছেন –"কুরআন আর কুরআনের শাসনব্যবস্থা সারা দুনিয়ার মানুষের ভুগোল ও নৃতাত্ত্বিক পরিচয়কে খুব সহজ সাধারণ দুটি ভাগে বিভক্ত করেছে, একদিকে বিশ্বাসী মুমিনেরা আরেকদিকে সব কাফেরের দল। কাফের রা হচ্ছে শত্রু। ইসলাম কাফেরদের রাষ্ট্রের সাথে কোনও সম্পর্ক মেনে নেয়না এবং কাফের – অবিশ্বাসীদের সাথে একটি চিরস্থায়ী শত্রুতা ধরে রাখে। এই অর্থে, ইসলাম হচ্ছে এক রকমের আক্রমণকারী জলদস্যুদের তরনী। কুরআন আর এই রকমের জলদস্যুদের সাথে কিভাবে খৃস্টান মানুষদের সমঝোতা হতে পারে?"
    দেখুন জনাব কার্ল মার্কস একশো ষাট বছর আগে যা লিখে যেতে পেরেছেন, সনু নিগম কিম্বা মুসলমানদের সাথে বসবাস করছেন এমন কোনও সহনাগরিক আজও তা বলতে পারেন না। কার্ল মার্কস প্রশ্ন করেছিলেন – কিভাবে কুরআনের সাথে ভিন্ন ধর্মের মানুষের বোঝাপড়া বা সমঝোতা হতে পারে?
    যারা সনু নিগমকে নিয়ে ব্যস্ত, তাঁরা এই বুড়ো কার্ল মার্কসের এই দেড়শো বছরের পুরনো প্রশ্নটির উত্তর দিতে পারবেন?
    এজন্যেই কার্ল মার্কস আজও প্রাসঙ্গিক। কার্ল মার্কস এর উত্তর দিয়ে গিয়েছিলেন। এর উত্তর হচ্ছে – ইসলামের সংস্কৃতিতে ভিন্ন মতের সাথে বোঝাপড়ার কোনও সুযোগ বা অপশন নেই। এটাই ইসলামী সংস্কৃতি। এটাই ইসলামের বাস্তবতা। ইসলামের চোখে বাদবাকি তাবৎ দুনিয়া কাফের এবং শত্রু, তা আপনি আজানকে কাকের কর্কশ ডাক বলেন কিম্বা উস্তাদ আমির খানের দরাজ গলার "খেয়াল" এর সাথে তুলোনা করুন।

    (মুহাম্মদের আদর্শ সৈনিক মানুষ হত্যার শপথ প্রদর্শন করছেন, প্রকাশ্য দিবালোকে, জনপদে - জনসমক্ষে)
    ইসলামের মৌলিক সুত্রায়ন গুলো মুহাম্মদের হাতে তৈরী। যদিও মুহাম্মদের কুরআন "নাজেল" হবার গল্পে প্রধান কুশলী হিসাবে আল্লাহ্‌ এবং তাঁর প্রধান বার্তাবাহক জনাব জিবরাঈল এর বর্ণনা পাই, কিন্তু যেকোনো যৌক্তিক মানুষ এটা বুঝতে পারেন, ইসলামের মূল সূত্রগুলো আসলে মুহাম্মদের হাতেই তৈরী। সুতরাং মুমিন এবং কাফের এই বিভাজনের কৃতিত্ব প্রায় একক ভাবেই ইসলামের নবী মুহাম্মদের। সারা দুনিয়ার সকল মানুষকে এই সহজ দুইভাগে বিভক্ত করার জন্যে মুহাম্মদের সৃজনশীলতার কথা স্বীকার করতেই হবে। কিন্তু মুহাম্মদ নিজে যতটা সৃজনশীল ছিলেন, তাঁর উম্মতদেরকে তিনি ততটাই অ-সৃজনশীল হবার শিক্ষা দিয়ে গেছেন। সে কারনেই, মুহাম্মদের শিষ্যরা এই একবিংশ শতকেও দুনিয়াকে ভাগ করছেন মুমিন – কাফের এই বিভাজনে এবং তারপরে কাফের নিধনের সংগ্রাম জারি করছেন। এভাবেই দেড় হাজার বছর আগে মুহাম্মদের বুদ্ধিবৃত্তির কাছে মানুষের সৃজনশীলতার পরাজয় হয়েছিলো। মানুষের কংকাল থেকে উদ্ভব হয়েছিলো মুসলমানের। মুহাম্মদের কাছে মানুষের এই পরাজয়ের পরিনতি আজ আমরা দেখছি, শুধু বাংলাদেশ – ভারতে নয় সারা দুনিয়ায়।







__._,_.___

Posted by: Dristy Pat <dristypat5@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] Re: ইসলামের সংস্কৃতি – যেখানে “মুহাম্মদের” কাছে পরাজিত মানুষ ও সভ্যতা!



Thanks to Golam Sarwar for a truly great and well-written article.

Talking about "আমাদের বর্তমান বাঙ্গালী বুদ্ধিবৃত্তির বিচার", I am too frustrated with the so-called moderate Muslims and the Muslim-appeasing non-Muslim idiots that claim to be secular. I am totally convinced, that without the so-called moderate Muslims providing the breeding ground, Islamic extremism could not grow. That is why I am quite intolerant of too much of religiosity (read stupidity) even when it looks innocent.

Sukhamaya Bain

======================================


On Wednesday, April 26, 2017 6:35 AM, ANISUR RAHMAN <anisur.rahman1@btinternet.com> wrote:




On Wednesday, 26 April 2017, 9:30, Jamal Hasan <jhasan1971@gmail.com> wrote:




ইসলামের সংস্কৃতি – যেখানে "মুহাম্মদের" কাছে পরাজিত মানুষ ও সভ্যতা!


ভারতীয় শিল্পী সনু নিগম প্রশ্ন তুলেছেন, কেন একজন মুসলমান না হওয়া সত্ত্বেও প্রতিদিন ভোরবেলা "কর্কশ" স্বরের আজান তাঁর ঘুম ভাঙ্গাবে? সনু নিগম পেশাদার সঙ্গীত শিল্পী, তিনি নিশ্চিত ভাবেই জানেন, কোন স্বরটি সুরেলা আর কোনটি নয়। তিনি জানেন কোন স্বর মানুষকে মন্ত্রমুগ্ধ করতে পারে আর কোনটি মানুষের মাথাযন্ত্রনার কারণ হতে পারে। তাই তিনি যখন বলেন "কর্কশ" স্বরের আজানের কথা তখন এটাতে অন্তত আমার কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই, সেই আজানের ধ্বনিটি কতটা কর্কশ হতে পারে। আমার শৈশব – কৈশোর – তারুন্যে আজানের নামে কত বিচিত্র চিৎকার শুনতে হয়েছে সেই স্মৃতিতো এখনও জেগে আছে আমার মাথায়, ভুলি কি করে? যথারীতি সনু নিগমের টুইটারে হামলে পড়েছে ভারতীয় ও আন্তর্জাতিক মুসলমানের দল। ফলশ্রুতিতে এই সেলেব্রিটি শিল্পীকে বাধ্য হতে হয়েছে "ড্যামেজ" সারানোর জন্যে আরো বেশ কয়েকটি টুইট করতে। কোনও সন্দেহ নেই, ব্যক্তি মানুষের এই স্বাধীন মতামত প্রকাশের জন্যে হয়তো আজ থেকে সনু নিগমের চলাচল খানিকটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠলো। আমি প্রত্যাশা করি, সনু নিগম ও তাঁর মতো আরো সকলেই তাঁদের মতামতকে স্বাধীনভাবে প্রকাশ করতে পারবেন এবং ভারতীয় সমাজ তাঁদের স্বাধীন মতামত প্রকাশের অধিকারকে নিশ্চিত করবেন।
আমি প্রায় নিশ্চিত – ইতিমধ্যেই অন্তত প্রধান কয়েকটি ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের ধারা আমাদের সামাজিক আলোচনার জায়গাগুলোতে ঝড় তুলেছে। হয়তো ইতিমধ্যেই কেউ কেউ মেপে ফেলেছেন – সনুর বাড়ীর চারপাশে কয়টা মসজিদ আছে, আদৌ আছে কিনা, থাকলে সনুর ফ্ল্যাট থেকে সেই সকল মসজিদের দূরত্ব কতটুকু কিম্বা সেই সকল মসজিদে কয়টা মাইক আছে, তাঁদের শক্তি কেমন আর সেই মাইকের আজান সনুর বাড়ী পর্যন্ত পৌছায় কিনা, কিম্বা আরো এক কাঠি সরেস হলে, হয়তো সনুর প্রতিবেশী কোনও অমুসলিম মহিলাকে দিয়ে স্বীকারও করিয়ে নেয়া হবে যে আসলে তিনি কোনও আযানের ধ্বনি শুনতে পান না। অথবা আরেক গোত্রের মানুষ হয়তো আজানকেই সারা দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত হিসাবে প্রমান করে ফেলেছেন ইতিমধ্যেই। আজান যে দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত সেই প্রমান দিতে অধিক পরিশ্রমী কেউ কেউ হয়তো উস্তাদ ভীমসেন যোশী কিম্বা বিলায়েত হোসাইন খান সাহেবের পুরনো কোনও সাক্ষাৎকারও দেখিয়ে দিতে পারেন যে তাঁরা বলছেন – ভারতীয় ক্ল্যাসিক্যাল সঙ্গীত তো মূলত আজানের উপরে ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছে। সনু নিগম বলেছেন, তিনি একজন অমুসলিম হওয়া সত্ত্বেও কেনও তাঁকে প্রতিদিন এই আহবানটি শুনতে হবে? এর প্রেক্ষিতে, পশ্চিমে বসবাস অভিজ্ঞতা আছে এমন মুসলমানেরা বলে উঠবেন গির্জার ঘন্টাও তো আমাদের ঘন্টায় ঘন্টায় শুনতে হয়, আমরা কি এরকমটা বলি? কিম্বা পশ্চিমে বসবাসকারি অনেক মুসলমান বলে উঠবেন, আহা আমি আমার বাড়ীর পাশের মুয়াজ্জিন সাহেবের আজান বড় মিস করি, কি সমুধুরই না ছিলো তাঁর আজান।

ঢাকাকে মসজিদের শহর ডেকে আমরা অনেকেই এখনও রোম্যান্টিক হয়ে উঠি
আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে ছুটি নিয়েছি, কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যানে বাংলাদেশ – ভারতের "উচ্চ – শিক্ষিত" বর্গের মানস – মস্তিস্কটি বুঝেছি। সম্পূর্ণ বুঝতে পেরেছি তা নয়, কিন্তু প্রাক ইন্টারনেট কালের তিন যুগে যা বুঝতে পারিনি, গত তিন বছরে তার চাইতেও অনেক বেশী বুঝেছি, পড়েছি, শুনেছি, দেখেছি। যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয়, আমার ধারণা যদি দারুন ভাবে ভুল হয়, তাহলে আমাকে সংশোধন করে দিন, আমি আনন্দিত হবো।
অর্থাৎ মোটের উপরে – বাড়ীর পাশে প্রিন্টিং প্রেস এর শব্দের আপনার স্বাভাবিক জীবন বিঘ্নিত হচ্ছে এটা বলাটা যতটা সহজ বিষয়, আজানের কটকটে শব্দে আপনার ব্যক্তিগত জীবনে বিরক্তি উৎপাদিত হচ্ছে সেটা বলাটা ঠিক ততটাই কঠিন। ধানমন্ডির আবাসিক এলাকায় অফিস পাড়া গড়ে ওঠায় আপনি এলাকার যানবাহন পরিস্থিতি নিয়ে সিটি কর্পোরেন/পৌরসভায় অভিযোগ করতে পারেন, কিন্তু একই মহল্লায় চারটি মসজিদ দরকার আছে কিনা সেই প্রশ্নটি করতে পারবেন না। কেন পারবেন না?
কেনো কঠিন? কিম্বা কেনো পারবেন না? আমি নিশ্চিত, হয়তো এই প্রশ্নগুলোরও উত্তর দিয়ে ফেলেছেন আমাদের অনলাইন ও ফেসবুকের বুদ্ধিজীবিবৃন্দ। দর্শনের "তুক – তাক" পড়া মানুষেরা বলছেন – বাংলাদেশে আজান নিয়ে এই অভিযোগ সংখ্যাগরিষ্ঠের ধর্মানুভুতিতে আঘাত করতে পারে। হাজার বছর ধরে চলে আসা আজান আমাদের সংস্কৃতির অংশ হয়ে গেছে, সংখ্যাগরিষ্ঠের এই সংস্কৃতির বিরুদ্ধাচারন করার মানে হচ্ছে আপনি বেশীরভাগ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারে আঘাত করছেন। আর ভারতেও আপনি আজানের বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারবেন না। কেননা, ভারতে মুসলমানেরা সংখ্যালঘু। সংখ্যালঘুর অধিকার সংরক্ষন করার দায়িত্ব সংখ্যাগুরুদের উপরেই বর্তায়, যদি তা করতে না পারেন, তাহলে আপনি বর্ণবাদী বা রেসিস্ট হয়ে উঠতে পারেন।
দারুন নয় ব্যাখ্যা গুলো?
মোদ্দা কথা হচ্ছে আমাদের বর্তমান সময়ের "ইসলাম পছন্দ" বাঙালীর বোঝাপড়া অনুযায়ী, সনু নিগমের উচিৎ হয় নাই আজান বিষয়ে তাঁর ব্যক্তিগত পছন্দ - অপছন্দের কথা বলা। বাড়ীর পাশের রেল লাইন নিয়া আপনি আপত্তির কথা বলতে পারবেন, এলাকায় বানিজ্যিক অফিস নিয়া আপনি কথা বলতে পারবেন, কিন্তু আজানের কর্কশ চিৎকার নিয়ে তিনি তাঁর নিজের মতামত দিতে পারবেন না। এটাই হচ্ছে আমাদের বর্তমান বাঙ্গালী বুদ্ধিবৃত্তির বিচার।
প্রসঙ্গটি নতুন নয়। কবি শামসুর রাহমান আজানের এই লাগাতার আহবানকে যৌনপল্লীতে যৌনকর্মীদের সমস্বরে খদ্দের আহবানের সাথে তুলনা করেছিলেন। সৈয়দ শামসুল হক বরং শহুরে কাককে বলেছিলেন আরো উচ্চ স্বরে 'কা – কা' রবে চারদিক মাতিয়ে তুলতে, যেনো কাকের কন্ঠের তোড়ে মুয়াজ্জিনের বিরক্তিকর কন্ঠটি ঢাকা পড়ে যায়, মানুষ যেনো খানিকটা স্বস্তি লাভ করে। কাব্যরসের বাইরেও, সাধারণ যুক্তিবোধ সম্পন্ন মানুষ জানবেন, শামসুর রাহমান বা সৈয়দ হক দুজনের লেখাতেই যে উপমা ব্যবহার করেছেন তা সার্থক উপমা। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে ইসলামী মৌলবাদের ইতিহাস সম্পর্কে যারা জানেন, তাঁরা নিশ্চয়ই অবহিত আছেন, আজানকে নিয়ে এই সত্য উপলব্ধি কবিতায় প্রকাশের জন্যে শামসুর রাহমানের জীবন সংশয় ঘটেছিলো।
ঢাকা কিম্বা বাংলাদেশের যেকোনো বড় শহরের অধিবাসীরা জানেন, বাংলাদেশে জনগনের ঘনত্বের সাথে পাল্লা দিয়ে গড়ে উঠেছে মসজিদ। আবাসিক এলাকায়, তাই সম্ভবত প্রতি আধা কিলোমিটার পর পর পাওয়া যাবে একটি করে মসজিদ। এই মসজিদগুলোতে প্রতিদিন কতটা শান্তির চর্চা হয়, তা আমরা জানি। এই মসজিদ গুলোতে কতটা মানবতার চর্চা হয় তাও আমরা জানি। প্রযুক্তির কল্যানে আজকাল মসজিদের জুমার খুতবাগুলোর ডিভিডি আকারে বাজারে পাওয়া যায়। অনলাইনেও রয়েছে এক বিরাট সম্ভার। আগ্রহীরা দেখে নিতে পারেন, মসজিদের খুতবার নামে কি বিপুল ঘৃণার চাষাবাদ হয়।
কেনো আজান নিয়ে কোনও নাগরিকের ব্যক্তিগত অসুবিধার অভিযোগ তোলা এতো কঠিন? একটা সাম্প্রতিক ঘটনা দিয়ে বিষয়টি ব্যাখ্যা করা যেতে পারে।

প্লাইউডের বাক্সো দিয়ে ঢেকে দেয়া ভাস্কর্য গুলো
ইরানের রাষ্ট্রপ্রধান যখন ইতালী সফর করেন, তখন রোমের সকল ন্যুড ভাস্কর্য গুলো প্লাইউডের বাক্সো দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছিলো। এই ঘটনার সমালোচনায়, ইতালীর জনগন তাই সেই বিখ্যাত প্রবাদটি বদলে দিয়েছিলো – "When you are in Rome, be Roman" তার বদলে তাঁরা লিখেছিলেন - "When you are in Rome, be Persian". কিন্তু ইতালীর জনগন ইরানের রাষ্ট্রপ্রধানের এই প্রেফারেনস বিষয়ে কোনও পাবলিক প্রতিবাদ করেনি, কিম্বা হামলে পড়েনি তাঁর টুইটার একাউন্টে। কেনও ইতালীর প্রশাসন এই কাজটি করেছিলো? খুব সিম্পল, ইরানের রাষ্ট্রপ্রধানের ব্যক্তিগত প্রেফারেনস বা মতামতকে প্রাধান্য দিয়েছিলো তাঁরা। একজন ইতালিয়ান কার্টুনিস্ট এই প্রসঙ্গে টুইটার করেছিলেন - "আমরা না হয় ইরানী রাস্ট্রপ্রধানের সম্মানে আমাদের সব ন্যুড ভাস্কর্যের গায়ে কাপড় পড়িয়ে দিলাম, আমাদের প্রধানমন্ত্রীর ইরান সফরের সময় কি তাঁর পছন্দমাফিক ইরানের ভাস্কর্যগুলোর কাপড় খুলে নেয়া হবে?" আমরা জানি তা কখনই হবেনা। কারণ ইসলামে ভিন্ন কোন মানুষের প্রেফারেনস বা মতামতের কোনও মুল্য নেই। তাই, ইসলামী দেশগুলোতে বিদেশী নারী পর্যটকদেরও ইসলামী পোশাক পরিধান করতে হয়। আপনি যে দেশেরই নাগরিক হোননা কেনো, আপনি যে সংস্কৃতিরই মানুষ হোননা কেনো, আপনি যখন সৌদীআরব বা ইরান ভ্রমন করবেন, তখন আপনাকে কঠোর ভাবে মেনে চলতে হবে ইসলামী আইন, অনুশাসন, পোশাক, খাদ্যাভ্যাসসহ সকল আচরণবিধি। দেখুন এখানে তাঁর কিছু নমুনাঃ
  • সৌদী আরবে কোনও মহিলা টুরিস্ট এর বিমানবন্দর থেকে একাকী দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশের অধিকার নেই। হয় তাঁর স্বামীকে তাঁর সাথে থাকতে হবে, নয়তো সৌদী একজন পুরুষ যিনি তাঁকে আমন্ত্রন জানিয়েছেন তাঁকে থাকতে হবে, নিদেন পক্ষে যেকোনো একজন সৌদী পুরুষ এয়ারপোর্ট এ উপস্থিত থাকতে হবে।
  • সৌদী আরবে সকল টুরিশ্ত নারীকে সৌদী নারিদের মতোই পোশাক পরতে হবে। নারীদের প্যান্ট পরা হারাম। বিশেষ করে রাজধানি রিয়াদে নারীদের অবশ্যই কালো রঙের পা ঢাকা দৈর্ঘ্যের বুরকা পরতে হবে।
  • কোনও নারী টুরিস্ট রেস্টুরেন্ট এ পুরুষ সঙ্গী ব্যতীত প্রবেশ করলে, তাঁকে খাবার সারভ করা হবেনা। এমন কি ধর্মীয় পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করতে পারে।
  • যেকোনো রকমের সাজগোজ করা কঠোর অপরাধ হিসাবে গন্য হবে এবং স্বামী, আত্মীয় বা স্থানীয় স্পনসর নন এমন কোনও পুরুষের সাথে দেখা গেলে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে
  • ..........ইত্যাদি ইত্যাদি!

    সৌদী আরবে বসবাসরত পশ্চিমা নারীদের বোরকা আবৃত জীবন যাপন। আমি জানি, কিঞ্ছু বাঙ্গালী বুদ্ধিজীবি হয়তো হিলারী ক্লিন্টন কিম্বা কন্ডোলিতজা রাইস এর সৌদী ভ্রমনের ছবি দিয়ে বলবেন, দেখুন এরাতো প্যান্ট পরে ছিলো ... তাঁদের জন্যে করুনা রইলো।
    এই পার্থক্য কে আমি কোনও দোষ বা গুন বলছিনা। আমি কেবল বলছি এটাই ইসলামের সংস্কৃতি যেখানে ভিন্ন মানুষের মতামতের মুল্য শূন্য, কিন্তু ইসলামী আচরণ, সংস্কৃতি, বর্বরতা, নিষ্ঠুরতা বিষয়ে অন্য কেউ কোন মতামত দিলে তাঁর উপরে হামলে পড়াটাই ইসলামী দায়িত্ব।
    সনু নিগম ইসলামী সংস্কৃতির এই বিষয়টি কতটা বিস্তারিত জানতেন, আমি তা জানিনা। জানলে হয়তো তিনি চতুর "সেলেব্রিটি" হয়েই থাকতেন, হঠাৎ করে আটপৌরে নাগরিক হয়ে উঠতেন না।
    প্রায় একশো ষাট বছর আগে (১৮৫৪ সালে), নিউ ইয়র্ক হেরাল্ড ট্রিবিউনে, খুব সংক্ষিপ্ত এক প্রবন্ধে জনাব কার্ল মার্কস লিখেছিলেনঃ
    "The Koran and the Mussulman legislation emanating from it reduce the geography and ethnography of the various people to the simple and convenient distinction of two nations and of two countries; those of the Faithful and of the Infidels. The Infidel is "harby," i.e. the enemy. Islamism proscribes the nation of the Infidels, constituting a state of permanent hostility between the Mussulman and the unbeliever. In that sense the corsair-ships of the Berber States were the holy fleet of Islam. How, then, is the existence of Christian subjects of the Porte to be reconciled with the Koran?"
    Written: on March 28, 1854; First published: in the New-York Daily Tribune, April 15; Signed: Karl Marx; Transcribed: by Andy Blunden;
    জনাব কার্ল মার্কস বলছেন –"কুরআন আর কুরআনের শাসনব্যবস্থা সারা দুনিয়ার মানুষের ভুগোল ও নৃতাত্ত্বিক পরিচয়কে খুব সহজ সাধারণ দুটি ভাগে বিভক্ত করেছে, একদিকে বিশ্বাসী মুমিনেরা আরেকদিকে সব কাফেরের দল। কাফের রা হচ্ছে শত্রু। ইসলাম কাফেরদের রাষ্ট্রের সাথে কোনও সম্পর্ক মেনে নেয়না এবং কাফের – অবিশ্বাসীদের সাথে একটি চিরস্থায়ী শত্রুতা ধরে রাখে। এই অর্থে, ইসলাম হচ্ছে এক রকমের আক্রমণকারী জলদস্যুদের তরনী। কুরআন আর এই রকমের জলদস্যুদের সাথে কিভাবে খৃস্টান মানুষদের সমঝোতা হতে পারে?"
    দেখুন জনাব কার্ল মার্কস একশো ষাট বছর আগে যা লিখে যেতে পেরেছেন, সনু নিগম কিম্বা মুসলমানদের সাথে বসবাস করছেন এমন কোনও সহনাগরিক আজও তা বলতে পারেন না। কার্ল মার্কস প্রশ্ন করেছিলেন – কিভাবে কুরআনের সাথে ভিন্ন ধর্মের মানুষের বোঝাপড়া বা সমঝোতা হতে পারে?
    যারা সনু নিগমকে নিয়ে ব্যস্ত, তাঁরা এই বুড়ো কার্ল মার্কসের এই দেড়শো বছরের পুরনো প্রশ্নটির উত্তর দিতে পারবেন?
    এজন্যেই কার্ল মার্কস আজও প্রাসঙ্গিক। কার্ল মার্কস এর উত্তর দিয়ে গিয়েছিলেন। এর উত্তর হচ্ছে – ইসলামের সংস্কৃতিতে ভিন্ন মতের সাথে বোঝাপড়ার কোনও সুযোগ বা অপশন নেই। এটাই ইসলামী সংস্কৃতি। এটাই ইসলামের বাস্তবতা। ইসলামের চোখে বাদবাকি তাবৎ দুনিয়া কাফের এবং শত্রু, তা আপনি আজানকে কাকের কর্কশ ডাক বলেন কিম্বা উস্তাদ আমির খানের দরাজ গলার "খেয়াল" এর সাথে তুলোনা করুন।

    (মুহাম্মদের আদর্শ সৈনিক মানুষ হত্যার শপথ প্রদর্শন করছেন, প্রকাশ্য দিবালোকে, জনপদে - জনসমক্ষে)
    ইসলামের মৌলিক সুত্রায়ন গুলো মুহাম্মদের হাতে তৈরী। যদিও মুহাম্মদের কুরআন "নাজেল" হবার গল্পে প্রধান কুশলী হিসাবে আল্লাহ্‌ এবং তাঁর প্রধান বার্তাবাহক জনাব জিবরাঈল এর বর্ণনা পাই, কিন্তু যেকোনো যৌক্তিক মানুষ এটা বুঝতে পারেন, ইসলামের মূল সূত্রগুলো আসলে মুহাম্মদের হাতেই তৈরী। সুতরাং মুমিন এবং কাফের এই বিভাজনের কৃতিত্ব প্রায় একক ভাবেই ইসলামের নবী মুহাম্মদের। সারা দুনিয়ার সকল মানুষকে এই সহজ দুইভাগে বিভক্ত করার জন্যে মুহাম্মদের সৃজনশীলতার কথা স্বীকার করতেই হবে। কিন্তু মুহাম্মদ নিজে যতটা সৃজনশীল ছিলেন, তাঁর উম্মতদেরকে তিনি ততটাই অ-সৃজনশীল হবার শিক্ষা দিয়ে গেছেন। সে কারনেই, মুহাম্মদের শিষ্যরা এই একবিংশ শতকেও দুনিয়াকে ভাগ করছেন মুমিন – কাফের এই বিভাজনে এবং তারপরে কাফের নিধনের সংগ্রাম জারি করছেন। এভাবেই দেড় হাজার বছর আগে মুহাম্মদের বুদ্ধিবৃত্তির কাছে মানুষের সৃজনশীলতার পরাজয় হয়েছিলো। মানুষের কংকাল থেকে উদ্ভব হয়েছিলো মুসলমানের। মুহাম্মদের কাছে মানুষের এই পরাজয়ের পরিনতি আজ আমরা দেখছি, শুধু বাংলাদেশ – ভারতে নয় সারা দুনিয়ায়।






__._,_.___

Posted by: Sukhamaya Bain <subain1@yahoo.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] ইউনূসকে বাঁচাতে জয়কে চাপে রেখেছিল হিলারির দফতর ......



ইউনূসকে বাঁচাতে জয়কে চাপে রেখেছিল হিলারির দফতর

প্রিয়.কম - ২৭ এপ্রিল ২০১৭, সময়-১৭:৫২

সংগৃহীত ছবি

(প্রিয়.কম) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে চাপে রাখার মাধ্যমে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অর্থনীতিবিদ 

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে তদন্ত আটকানোর চেষ্টা চালানো হয়েছিল। আর এই চেষ্টা করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের পররাষ্ট্র দফতর।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি কলার এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বরাত দিয়ে বলা হয়, ২০১২ সালের মাঝামাঝি সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র  দফতরের কর্মকর্তারা তাকে চাপ দিয়েছিলেন 

ইউনূসের বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধের জন্য। এর জন্য তারা তার আর্থিক হিসাব নিয়ে তদন্ত শুরুর হুমকিও দিয়েছিল।

সজীব ওয়াজেদ জয় ডেইলি কলারকে বলেছেন, আমি বৈধভাবে ১৭ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছি। কখনও কোনো সমস্যা হয়নি। কিন্তু ওই সময় পররাষ্ট্র 

দফতরের কর্মকর্তারা আমার বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ এনে তদন্ত শুরুর হুমকি দেন।

তিনি আরও বলেন, তারা আমাকে বার বার বলেছে, দেখ, ইউনূসের প্রভাবশালী বন্ধুবান্ধব আছে, আর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লিনটনের বিষয়টাতো সবাই জানে'।

এদিকে প্রতিবেদনে সেই সময়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য তুলে ধরে বলা হয়, শুধু জয় নয়, ইউনূসের বিষয়ে সিদ্ধান্ত 

নিতে চাপ এসেছিল প্রধানমন্ত্রীর ওপরও।

তিনি সেই সময় জানিয়েছিলেন, হিলারি ক্লিনটন আমাকে ফোন করেছিল এবং আমাকেও চাপ দিয়েছে। এমন কি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র অধিদফতর থেকে আমার 

ছেলে জয়কে তিনবার ডাকা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিভিন্ন আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ এনে ২০১২ সালের মে মাসে তদন্ত শুরু করে বাংলাদেশ সরকার।

প্রিয় সংবাদ/রাকিব/কামরুল




__._,_.___

Posted by: AbdurRahim Azad <Arahim.azad@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___