জানা গেছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযুক্ত মীর কাসেম আলী যুক্তরাষ্ট্রে উক্ত তদবিরকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রায় সাড়ে ২৩ মিলিয়ন ডলারে (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৮২ কোটি টাকা) চুক্তি করেছিলেন। চুক্তি মোতাবেক ২০১০ সালের নভেম্বর থেকে ২০১১ সালের জুন পর্যন্ত ওই প্রতিষ্ঠানকে মোট ২৩ মিলিয়ন ৫ লাখ ৩৬ হাজার মার্কিন ডলার পরিশোধ করেন তিনি। সরকারের সন্দেহ, গ্রেপ্তারের আগে তিনি ট্রাইব্যুনালবিরোধী তৎপরতা চালাতে এর চেয়েও মোটা অঙ্কের অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন।
প্রসঙ্গত, অনেক আগেই বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় মীর কাসেম আলীর মার্কিন লবিস্ট নিয়োগের চুক্তিপত্র প্রকাশিত হয়েছিল। এছাড়া খোদ যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের ওয়েবসাইটেই এ সংক্রান্ত বিবিধ নথি প্রকাশিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে মীর কাসেম আলীর আন্তর্জাতিক চেষ্টা-তদবিরের বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে কথা উঠলেও তাঁর আইনজীবীরা তা অস্বীকার করে আসছিলেন। মীর কাসেম আলীর যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগের অভিযোগ অস্বীকার করে তাঁর সমর্থকগোষ্ঠী ব্লগ, ফেসবুক ও টুইটারসহ সামাজিক নেটওয়ার্ক সাইটগুলোতেও ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের ওয়েবসাইট সিনেট ডটগভ-এ অনুসন্ধান করে দেখা যায়, মীর কাসেম আলী ২০১০ সালের ২৪ নভেম্বর 'বাংলাদেশ ওয়ার ক্রাইমস ট্রাইব্যুনাল অ্যান্ড পলিটিক্যাল অপোজিশন' বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে লবিং করার জন্য ওই দেশের ফার্ম 'ক্যাসেডি অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস'-এর কাছে নিবন্ধন করেন। গত বছর ১৩ জানুয়ারি তিনি লবিংয়ের জন্য ওই ফার্মকে ৮০ হাজার ডলার দেন। একই বছর ১৮ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় তিনি এক লাখ ডলার এবং ২৩ জুন তৃতীয় দফায় আরো এক লাখ ডলারসহ মোট দুই লাখ ৮০ হাজার ডলার পরিশোধ করেন।
সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদও সাংবাদিকদের বলেছিলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকে বিতর্কিত করতে বিদেশে চক্রান্ত চলছে। লবিস্টদের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যান ও সিনেট সদস্যদের এবং যাঁরা দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ে মার্কিন নীতি নির্ধারণ করে থাকেন, তাঁদের প্রভাবিত করার চেষ্টা চলছে। এতে মানি লন্ডারিং হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার বানচাল করার লক্ষ্যে বিদেশে লবিস্ট নিয়োগসহ নানাভাবে শত শত কোটি টাকা খরচ করেও ফাঁসির দণ্ড থেকে রেহাই পেলেন না জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলী। একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি অভিযোগে গত সপ্তাহে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আরো আটটি অভিযোগে তাঁকে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড।
অঢেল অর্থ ঢেলেও পার পেলেন না মীর কাসেম | Kalantor
এই কাশেম সেই কাশেম!!! - সামহোয়্যার ইন ব্লগ
__._,_.___