Banner Advertiser

Wednesday, August 17, 2016

[mukto-mona] ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট অ্যালার্ম ঠিকই বেজেছিল



২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট অ্যালার্ম ঠিকই বেজেছিল

আবদুল মান্নান

১৭ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০

  

বাংলা ও বাঙালির জীবনে আগস্ট মাসটা বেশ অপয়া। তাদের জন্য এই মাসে তেমন একটা ভালো খবর নেই। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পাকিস্তানপন্থী একদল সেনা অফিসার জাতির জনক, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করে। তাদের সহায়তা করেছিল আওয়ামী লীগের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা কিছু রাজনৈতিক নেতা, যাঁরা মনেপ্রাণে পাকিস্তানি চিন্তাচেতনা ধারণ করতেন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি, তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। দলের নেতাকর্মীরা তাঁর চারপাশে মানববর্ম তৈরি করে সেই যাত্রায় তাঁকে রক্ষা করেন। তা করতে গিয়ে সেদিন আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতাকর্মী প্রাণ দিয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছিলেন আরো শ তিনেক। জীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে গেছেন প্রায় ১০০ জন। এই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের কয়েকজন পরে আদালতে স্বীকার করেছে, কুখ্যাত হাওয়া ভবনের হর্তাকর্তা বেগম জিয়ার ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে তারা নিয়মিত যোগাযোগ রাখত। এই কাজে তাদের সহায়তা করতেন সেনা গোয়েন্দা সংস্থার (ডিজিএফআই) তৎকালীন প্রধান মেজর জেনারেল সাদেক হোসেন রুমি ও জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসআই) প্রধান মেজর জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী। তাঁদের একজন সাংবাদিক তাসনিম খলিলের কাছে এ-ও স্বীকার করেছেন, তাঁরা নিয়মিত সেনানিবাসে বৈঠকও করতেন। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশে একযোগে ৬৩টি জেলায় প্রকাশ্য দিনের বেলায় দেশে বানানো টাইমবোমা বিস্ফোরিত হয়। এতে নিহত হয় দুজন আর আহত হয় পাঁচ শতাধিক। শুধু বাংলাদেশেই নয়, এমন একটি ঘটনা সমসাময়িক ইতিহাসে নজিরবিহীন। এক বা দুই স্থানে বোমা বিস্ফোরণ এখন তেমন অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়। কিন্তু একযোগে ৬৩টি জেলায় একই সময় এমন ঘটনার কথা এর আগে কোনো দেশে ঘটেছে বলে জানা যায় না। আরো শঙ্কার কথা হচ্ছে, বোমা বিস্ফোরণগুলো, বিশেষ করে রাজধানীতে কোনো নিরিবিলি বা গোপন স্থানে হয়নি; হয়েছে সচিবালয় সংলগ্ন এলাকা, জাতীয় প্রেস ক্লাব, শাহজালাল (তখন জিয়া আন্তর্জাতিক) বিমানবন্দর, হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ, বারিধারার কূটনৈতিক এলাকাসহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ এলাকায়। কোনো কোনো জেলায় জেলা প্রশাসকের দপ্তরসংলগ্ন এলাকায় ও সরকারি অফিসের অতি কাছে হয়েছে। এ রকম শুধু যুদ্ধের সময় ঘটতে পারে। এই সময়ে বাংলাদেশে কোনো যুদ্ধ চলছিল না। যেসব স্থানে এই বোমা বিস্ফোরণ হয় সেসব স্থানে প্রথমবারের মতো জেএমবির নামসংবলিত একটি আরবি ও বাংলা ভাষায় রচিত লিফলেট পাওয়া যায়। এর আগে জেএমবি নামের সংগঠনটিকে সরকার দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। ২০০৭ সালের এপ্রিল মাসে সাংবাদিক তাসনিম খলিলের কাছে কট্টর ওয়াহাবিপন্থী সংগঠন খতমে নবুয়ত পার্টির (সংক্ষেপে খতম পার্টি) দুই নেতা মওলানা মাহমুদুল হাসান মোমতাজি ও মওলানা নূর হোসেন নূরানি স্বীকার করেছেন, জেএমবির সঙ্গে তাঁদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে এবং তারেক রহমান তাঁদের অঘোষিত আমির। খতম পার্টি বাংলাদেশে তাদের কর্মকাণ্ড শুরু করে আহমদিয়া সম্প্রদায়কে অমুসলমান ঘোষণার দাবি নিয়ে প্রকাশ্যে রাস্তায় নেমে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার মাধ্যমে। এই সময় তাদের সহয়তা করে দেশের পুলিশ বাহিনীর একটি অংশ, বিশেষ করে বগুড়ায় ও ঢাকায়। খতম পার্টি আর জেএমবির সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক ছিল বেগম জিয়ার নেতৃত্বাধীন চারদলীয় ঐক্যজোটের শরিক দল জামায়াত ও ইসলামী ঐক্যজোটের। জোটের এই দুই দলের নেতারা তখন বেগম জিয়ার কাছে দাবি করতেন যেন খতম পার্টির সব দাবিদাওয়া মেনে নেওয়া হয় এবং আহমদিয়া মুসলিম জামায়াতকে অমুসলিম ঘোষণা করা হয়। এই কাজটি পাকিস্তানে সামরিক শাসক জেনারেল জিয়াউল হক করেছিলেন এবং দেশটিকে কট্টর ওয়াহাবিপন্থী মৌলবাদীদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন; যার পরিণতিতে পাকিস্তান এখন একটি সম্পূর্ণভাবে পতিত রাষ্ট্র। একটি কার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তান আর কখনো দাঁড়াতে পারবে—তেমনটি মনে হয় না। বেগম জিয়া ও তাঁর মিত্ররা বাংলাদেশকেও সেই পথে নিয়ে যেতে তখন তৎপর ছিলেন। অকুস্থলে যেসব লিফলেট পাওয়া গিয়েছিল তাতে জেএমবি বাংলাদেশে ইসলামী আইন বাস্তবায়নের আহ্বান জানায়; আর এই তথাকথিত ইসলামী আইন ছিল সৌদি আরবের ওয়াহাবিপন্থীদের বাতিল ফেরকা থেকে তৈরি। পবিত্র ইসলাম ধর্মকে অপব্যাখ্যা করে তৈরি আইন। লিফলেটে আরো উল্লেখ করা হয়, 'এই দেশে যারা গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চায় তারা ইসলামের শত্রু।' প্রচারপত্রে তারা ইসলামী যোদ্ধাদের ধরপাকড় না করার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও দেশের শাসকদের কাছে দাবি জানায়। তারা আরো উল্লেখ করে, 'একটি দল সব সময় সশস্ত্র জিহাদ করে যাবে। তারা তাদের শত্রুদের প্রতি কঠোর হবে। কোনো ভূখণ্ডেই আল্লাহর বিধান ছাড়া অন্য কোনো বিধান চলতে পারে না।' পুরো লিফলেটই ছিল সরকার ও জনগণের বিরুদ্ধে এই রকম হুমকিতে ঠাসা। বর্তমানে দেশে যে জঙ্গিবাদ নিয়ে সরকার ও সাধারণ মানুষ উৎকণ্ঠিত তার জন্ম ও বিস্তার এরশাদের পতনের পর, জামায়াতে ইসলামীর হাত ধরে। এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সবচেয়ে বড় বেনিফিশিয়ারি ছিল জামায়াতে ইসলামী। এই সংগঠনটিসহ সব ধর্মাশ্রয়ী রাজনৈতিক দলকে বঙ্গবন্ধু সাংবিধানিকভাবে নিষিদ্ধ করেছিলেন। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়া জামায়াতসহ সব ধর্মাশ্রয়ী দলকে প্রকাশ্যে রাজনীতি করার অনুমতি দেন। পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে একাত্তরের ঘাতক গোলাম আযমকে বাংলাদেশে ফেরার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু জামায়াতের সাংগঠনিক শক্তি তেমন একটা শক্তিশালী না হওয়ায় তারা দীর্ঘদিন তেমন একটা সুবিধা করতে পারেনি, যদিও গোলাম আযম নেপথ্যে থেকে তাদের আমিরের দায়িত্ব পালন করছিলেন। তবে তারা বেশ চাতুর্যের সঙ্গে তাদের সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী ইসলামী ছাত্রশিবিরকে সংগঠিত করতে বেশ তৎপর ছিল। অত্যন্ত সুকৌশলে তারা সশস্ত্র হামলা চালিয়ে চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় দখল করে নেয়। এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির জোটভুক্ত দলগুলোর বাইরে তারা আন্দোলনের নামে দলকে সংগঠিত করার বেশ ভালো সুযোগ পায় এবং তা ব্যবহারও করে। এরশাদের পতন হলে শেখ হাসিনা ও বেগম জিয়া রেডিও-টিভিতে ভাষণ দেওয়ার সুযোগ পান। একই সুযোগ দেওয়া হয় জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির আব্বাস আলী খানকে। এটি ছিল জামায়াতের জন্য এক বিরাট প্রাপ্তি। যে দলটি একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত তাদের ভারপ্রাপ্ত আমির জাতীয় সম্প্রচার কেন্দ্র ব্যবহার করে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন, যা ছিল অকল্পনীয়। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিএনপির এককভাবে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার সক্ষমতা ছিল না। তারা অলিখিতভাবে আঁতাত করে জামায়াতের সঙ্গে এবং তাদের কমপক্ষে ৬০টি আসনে ছাড় দেয়, যা সে সময় আওয়ামী লীগ সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পারেনি। সেই নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের এই আঁতাতের ফলে অপ্রত্যাশিতভাবে বিজয় লাভ করে বিএনপি এবং সরকার গঠন করে। অন্যদিকে জামায়াত অল্প কয়টি সিট পেলেও তারা তাদের অনেক এজেন্ডা বেগম জিয়ার প্রথম শাসনামলে বাস্তবায়ন করে নেয়। তাদের মতাদর্শে দীক্ষিত জেএমবি, জেএমজেবি, আহলে হাদিস যখন বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তসংলগ্ন জেলাগুলোয় মাথাচাড়া দিয়ে উঠছিল তখন তারা সরকারকে অনেকটা বাধ্য করে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিতে। উল্লেখ্য, এসব সশস্ত্র জঙ্গির মূল উৎস এই সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয়, কারণ সীমান্তের ওপারের ভারতীয় জেলাগুলোয়ও এই সংগঠনগুলো বেশ সক্রিয়। বাংলাদেশ সীমান্তসংলগ্ন এসব এলাকায় বসবাসকারী ভারতের মুসলমানদের অনেকেই মৌলবাদী ধ্যান-ধারণায় বিশ্বাস করে। এখনো এসব জেলায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আজীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী একজন বড় মাপের ইসলামী চিন্তাবিদ। ভিডিওতে সাঈদীর ওয়াজ এখানে বেশ সমাদৃত; যদিও সেখানে বেশির ভাগ মুসলমানের বাড়িতে টিভি দেখা নিষিদ্ধ। এসব জেলার মুসলমানরা অনেকটা ইচ্ছাকৃতভাবেই শিক্ষাদীক্ষায় পশ্চাৎপদ। সীমান্তের উভয় পারের মৌলবাদী সন্ত্রাসীদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ আছে। ১৯৯১-৯৬ ও ২০০১-০৬ সালে বেগম জিয়ার নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের আমলে সরকারের আশ্রয় পেয়ে জেএমবিসহ আরো একাধিক জঙ্গি সংগঠন শক্তি সঞ্চয় করেছে, তার ফলাফল এখন দেশের মানুষ কিছুটা উপলব্ধি করছে। জামায়াতের দুজন একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীকে ২০০১ সালে সরকারের মন্ত্রিসভায় বেগম জিয়া ঠাঁই দিলে এই জঙ্গি সংগঠনগুলো আরো শক্তিশালী হয়। যখন বাংলাভাইয়ের উত্থান হয়, তখন বেগম জিয়ার মন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী বলেছিলেন, দেশে কোনো বাংলাভাই নেই, এগুলো সব মিডিয়ার সৃষ্টি। যে সংগঠনগুলো বেগম জিয়ার প্রথম শাসনামলে সৃষ্টি হয়েছিল তারা এখন অনেক বেশি ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। তারা ২০০৫ সালে দেশের ৬৩টি জেলায় একযোগে বোমা ফাটিয়ে তাদের আগমনবার্তা জানিয়েছিল। এই জঙ্গিরা বর্তমানে নানা রূপে সমাজে বিচরণ করছে। তারা বেশ সফলতার সঙ্গে দামি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানদের তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আকৃষ্ট করতে পারছে। দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এ সম্পর্কে কতটুকু ওয়াকিফহাল তা জানি না, তবে বর্তমানে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে উত্তর ও পশ্চিম অংশের জেলাগুলোয় জামায়াতে ইসলামীর মহিলা সদস্যরা বেশ সক্রিয়। তারা ওসব জেলার সরলপ্রাণ মহিলাদের তাদের মতাদর্শে দীক্ষিত করার জন্য একটি ক্রাশ প্রোগ্রামে কাজ করছে। অতীতে দেখা গেছে, বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের ব্যর্থতার কারণে অনেক ঘটনা-দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর তাদের তৎপরতা বেড়েছে। গোয়েন্দাদের কাজ হচ্ছে ঘটনা ঘটার আগে তা প্রতিরোধ করা। গুলশান ঘটনার পর আমাদের গোয়েন্দা বাহিনী বেশ কিছু সাফল্য দেখিয়েছে। এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখা খুবই জরুরি। বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্ষমতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। তবে অতীত অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, এক অদৃশ্য কারণে তারা অনেক সময় তাদের দায়িত্ব পালনে বাধাগ্রস্ত হয়। দেশের মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাবোধ সৃষ্টি করার জন্য এমনটি হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়। ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের ঘটনা, ২০০৫ সালে একযোগে ৬৩টি জেলায় বোমা বিস্ফোরণ, গত ১ জুলাই গুলশানের ঘটনার মতো আর কোনো ঘটনা দেশের মানুষ দেখতে চায় না। দেশের মানুষ তাদের জানমালের নিরাপত্তা চায়। চিরতরে এ দেশ থেকে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও ওয়াহাবিবাদের নির্মূল চায়। এটি করতে হলে যেমন দেশের মানুষের নিঃশর্ত সমর্থন ও সহযোগিতা প্রয়োজন একইভাবে অন্যান্য দেশের সঙ্গে এসব বিষয়ে তথ্যের আদান-প্রদান প্রয়োজন। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট ঘুম থেকে জেগে ওঠার অ্যালার্ম ছিল। এখন সবাই জাগ্রত। এখন এই সমস্যা দূর করার জন্য একাগ্র চিত্তে কাজ করার সময়। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশকে আমরা কিছু তস্করের হাতে ছেড়ে দিতে পারি না। লেখক : বিশ্লেষক ও গবেষক - 


বৃহস্পতিবার ১৮ আগস্ট ২০১৬। ৩ ভাদ্র ১৪২৩। ১৪ জিলকদ ১৪৩৭ 



__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

Re: [mukto-mona] Quick money for nabbing the Avijit killing planner!



"I must find this man no matter what it takes."

Please read the sentence as "We must find this man no matter what it takes." Thank you.


On Wednesday, August 17, 2016 6:37 PM, "Shah DeEldar shahdeeldar@gmail.com [mukto-mona]" <mukto-mona@yahoogroups.com> wrote:


 
"You can run but you can't hide." I must find this man no matter what it takes. If Muktoma friends would like to raise the bounty few notches higher, they will have my support.




__._,_.___

Posted by: Shah Deeldar <shahdeeldar@yahoo.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] Re: {PFC-Friends} Quick money for nabbing the Avijit killing planner!



What are you afraid of? My words? You better! Because, I am a great tormentor of liars like you. What makes you think I need to waste my time with a janitor like you?
BTW, if an old fart like you is connected to this mastermind planner, you might loose your Canadian welfare checks in Canada.
 

On Wed, Aug 17, 2016 at 4:27 PM, Post Card <abahar.canada@gmail.com> wrote:
Mr. DE elder says: "You can run but you can't hide." I must find this man no matter what it takes.... they will have my support."

But first where can we find you, Mr. Shameless bold fraudster? Many of us are still trying to find out who are you? Let us first find you then we will look for your enemy- perhaps another fraudster/ killer!!!

On Wed, Aug 17, 2016 at 2:08 PM, Shah DeEldar <shahdeeldar@gmail.com> wrote:
"You can run but you can't hide." I must find this man no matter what it takes. If Muktoma friends would like to raise the bounty few notches higher, they will have my support.

--
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "PFC-Friends" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to pfc-friends+unsubscribe@googlegroups.com.
For more options, visit https://groups.google.com/d/optout.

--
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "PFC-Friends" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to pfc-friends+unsubscribe@googlegroups.com.
For more options, visit https://groups.google.com/d/optout.



__._,_.___

Posted by: Shah DeEldar <shahdeeldar@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] Fw: He needs to be sacked immediately !!!!!





On Wednesday, August 17, 2016 11:22 AM, Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com> wrote:




On Wednesday, August 17, 2016 11:22 AM, Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com> wrote:




On Wednesday, August 17, 2016 11:21 AM, Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com> wrote:


এটা কি করে সম্ভব ? সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মে:জে:(অব) সুবেদ আলী ভুইয়াঃ নাকি বলেছেন "জিয়াই বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি" ! অন্যান্য সদস্যরা বিরোধিতা করলেও তিনি নাকি তার বক্তব্যে ছিলেন অনড়। এর পরেও কি বিএনপির এই এজেন্টকে আওয়ামী লীগে রাখা যায় ? আরো কিছু ঘটানোর আগে খালেদা-তারেকের এই এজেন্টকে এখনই দল থেকে বহিস্কার করা দরকার। এখানে উল্লেখযোগ্য যে এই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় খালেদা জিয়ার মুখ্য সামরিক অফিসার (পি এস ও) ছিলেন। সুবিধাবাদী হিসাবে শুধুমাত্র সংসদ সদস্য হওয়ার জন্য আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছিলেন।
Image may contain: one or more people








__._,_.___

Posted by: Muhammad Ali <man1k195709@yahoo.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] Quick money for nabbing the Avijit killing planner!



"You can run but you can't hide." I must find this man no matter what it takes. If Muktoma friends would like to raise the bounty few notches higher, they will have my support.


__._,_.___

Posted by: Shah DeEldar <shahdeeldar@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] Re: Anjem Choudary guilty of inviting IS support



With the same breath, I can also say that the patience is running very thin when these people are openly propagating hatred and destruction of the west and its civil institutions. If Brits are pushed to a corner in their own turf, mobs and vigilantes may take the laws in their own hands. So, deport or no deport, Brits had it enough with these scoundrels. If they face another attack from these lunatics, all bets would be off. I bet Sadiq Khan is pretty nervous about the next one if I am not mistaken. 

On Wed, Aug 17, 2016 at 8:57 AM, Khurshed Chowdhury <chowdhuryk@gmail.com> wrote:

Very well said by Mr. Asghar. Britain will not deport these Jihadists for fear of violating their ridiculous human rights BS. They will rather keep these Islamists in their prison and will supply them milk and honey so that—these jihadists can perform their duties of serving Islam better! Massaallah!!!

 

 

KC

 

From: msa40@aol.com [mailto:msa40@aol.com]
Sent: Tuesday, August 16, 2016 2:31 PM
To: Shah DeEldar; mukto-mona@yahoogroups.com; pfc-friends@googlegroups.com; bangladesh-progressives googlegroups
Cc: Khurshed Chowdhury
Subject: Re: Anjem Choudary guilty of inviting IS support

 

Britain may not deport them anywhere citing fear of their execution, instead it will put them in jail so that they can influence its inmates at the cost of the tax payers money!!

 

Sent from my Verizon 4G LTE Smartphone

 

------ Original message------

From: Shah DeEldar

Date : Tue, Aug 16, 2016 9:59 AM

To: mukto-mona@yahoogroups.com;pfc-friends@googlegroups.com;bangladesh-progressives googlegroups;

Cc: Msa40;Khurshed Chowdhury;

Subject:Anjem Choudary guilty of inviting IS support

 

It is about time to have gloves off. These characters do not belong to the Western society. Deport him to land of pure and honey! Nobody will miss such POS!




__._,_.___

Posted by: Shah DeEldar <shahdeeldar@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] RE: Anjem Choudary guilty of inviting IS support



Very well said by Mr. Asghar. Britain will not deport these Jihadists for fear of violating their ridiculous human rights BS. They will rather keep these Islamists in their prison and will supply them milk and honey so that—these jihadists can perform their duties of serving Islam better! Massaallah!!!

 

 

KC

 

From: msa40@aol.com [mailto:msa40@aol.com]
Sent: Tuesday, August 16, 2016 2:31 PM
To: Shah DeEldar; mukto-mona@yahoogroups.com; pfc-friends@googlegroups.com; bangladesh-progressives googlegroups
Cc: Khurshed Chowdhury
Subject: Re: Anjem Choudary guilty of inviting IS support

 

Britain may not deport them anywhere citing fear of their execution, instead it will put them in jail so that they can influence its inmates at the cost of the tax payers money!!

 

Sent from my Verizon 4G LTE Smartphone

 

------ Original message------

From: Shah DeEldar

Date : Tue, Aug 16, 2016 9:59 AM

To: mukto-mona@yahoogroups.com;pfc-friends@googlegroups.com;bangladesh-progressives googlegroups;

Cc: Msa40;Khurshed Chowdhury;

Subject:Anjem Choudary guilty of inviting IS support

 

It is about time to have gloves off. These characters do not belong to the Western society. Deport him to land of pure and honey! Nobody will miss such POS!



__._,_.___

Posted by: "Khurshed Chowdhury" <chowdhuryk@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট অ্যালার্ম ঠিকই বেজেছিল



২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশে একযোগে ৬৩টি জেলায় প্রকাশ্য দিনের বেলায় দেশে বানানো টাইমবোমা বিস্ফোরিত হয়। এতে নিহত হয় দুজন আর আহত হয় পাঁচ শতাধিক। শুধু বাংলাদেশেই নয়, এমন একটি ঘটনা সমসাময়িক ইতিহাসে নজিরবিহীন। এক বা দুই স্থানে বোমা বিস্ফোরণ এখন তেমন অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়। কিন্তু একযোগে ৬৩টি জেলায় একই সময় এমন ঘটনার কথা এর আগে কোনো দেশে ঘটেছে বলে জানা যায় না। আরো শঙ্কার কথা হচ্ছে, বোমা বিস্ফোরণগুলো, বিশেষ করে রাজধানীতে কোনো নিরিবিলি বা গোপন স্থানে হয়নি; হয়েছে সচিবালয় সংলগ্ন এলাকা, জাতীয় প্রেস ক্লাব, শাহজালাল (তখন জিয়া আন্তর্জাতিক) বিমানবন্দর, হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ, বারিধারার কূটনৈতিক এলাকাসহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ এলাকায়। কোনো কোনো জেলায় জেলা প্রশাসকের দপ্তরসংলগ্ন এলাকায় ও সরকারি অফিসের অতি কাছে হয়েছে। এ রকম শুধু যুদ্ধের সময় ঘটতে পারে। এই সময়ে বাংলাদেশে কোনো যুদ্ধ চলছিল না। - See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/sub-editorial/2016/08/17/394318#sthash.VHaOavLz.dpuf
২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশে একযোগে ৬৩টি জেলায় প্রকাশ্য দিনের বেলায় দেশে বানানো টাইমবোমা বিস্ফোরিত হয়। এতে নিহত হয় দুজন আর আহত হয় পাঁচ শতাধিক। শুধু বাংলাদেশেই নয়, এমন একটি ঘটনা সমসাময়িক ইতিহাসে নজিরবিহীন। এক বা দুই স্থানে বোমা বিস্ফোরণ এখন তেমন অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়। কিন্তু একযোগে ৬৩টি জেলায় একই সময় এমন ঘটনার কথা এর আগে কোনো দেশে ঘটেছে বলে জানা যায় না। আরো শঙ্কার কথা হচ্ছে, বোমা বিস্ফোরণগুলো, বিশেষ করে রাজধানীতে কোনো নিরিবিলি বা গোপন স্থানে হয়নি; হয়েছে সচিবালয় সংলগ্ন এলাকা, জাতীয় প্রেস ক্লাব, শাহজালাল (তখন জিয়া আন্তর্জাতিক) বিমানবন্দর, হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ, বারিধারার কূটনৈতিক এলাকাসহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ এলাকায়। কোনো কোনো জেলায় জেলা প্রশাসকের দপ্তরসংলগ্ন এলাকায় ও সরকারি অফিসের অতি কাছে হয়েছে। এ রকম শুধু যুদ্ধের সময় ঘটতে পারে। এই সময়ে বাংলাদেশে কোনো যুদ্ধ চলছিল না। - See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/sub-editorial/2016/08/17/394318#sthash.VHaOavLz.dpuf
২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশে একযোগে ৬৩টি জেলায় প্রকাশ্য দিনের বেলায় দেশে বানানো টাইমবোমা বিস্ফোরিত হয়। এতে নিহত হয় দুজন আর আহত হয় পাঁচ শতাধিক। শুধু বাংলাদেশেই নয়, এমন একটি ঘটনা সমসাময়িক ইতিহাসে নজিরবিহীন। এক বা দুই স্থানে বোমা বিস্ফোরণ এখন তেমন অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়। কিন্তু একযোগে ৬৩টি জেলায় একই সময় এমন ঘটনার কথা এর আগে কোনো দেশে ঘটেছে বলে জানা যায় না। আরো শঙ্কার কথা হচ্ছে, বোমা বিস্ফোরণগুলো, বিশেষ করে রাজধানীতে কোনো নিরিবিলি বা গোপন স্থানে হয়নি; হয়েছে সচিবালয় সংলগ্ন এলাকা, জাতীয় প্রেস ক্লাব, শাহজালাল (তখন জিয়া আন্তর্জাতিক) বিমানবন্দর, হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ, বারিধারার কূটনৈতিক এলাকাসহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ এলাকায়। কোনো কোনো জেলায় জেলা প্রশাসকের দপ্তরসংলগ্ন এলাকায় ও সরকারি অফিসের অতি কাছে হয়েছে। এ রকম শুধু যুদ্ধের সময় ঘটতে পারে। এই সময়ে বাংলাদেশে কোনো যুদ্ধ চলছিল না। - See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/sub-editorial/2016/08/17/394318#sthash.VHaOavLz.dpuf



__._,_.___

Posted by: Farida Majid <farida_majid@hotmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] মুক্তচিন্তা : বিশ্ব ইতিহাসে বিরল যে হত্যাকাণ্ড



বিশ্ব ইতিহাসে বিরল যে হত্যাকাণ্ড

বুধবার, ১৭ আগস্ট ২০১৬

আগস্ট মাস বাঙালির কাছে ট্র্যাজেডির মাস, নির্মমতার মাস। এক বুক দুঃখ ও কষ্ট নিয়ে প্রতি বছর এ মাসটি স্মরণ করা হয়। শুধু বাংলাদেশে নয় বরং বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা প্রতিটি বাঙালিই এই মাসকে লালন করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ছিলেন সাধারণ মানুষের হৃদয়ের সম্রাট। অবিসংবাদিত এ নেতা বিশ্বের শোষিত, বঞ্চিত ও নিপীড়িত-নির্যাতিত জনতার মুক্তির ইতিহাসে কিংবদন্তি। হুমায়ুন আজাদ বলেছিলেন যে, 'শেখ মুজিব দৈহিকভাবেই মহাকায় ছিলেন, সাধারণ বাঙালির থেকে অনেক উঁচুতে ছিল তার মাথাটি, সহজেই চোখে পড়ত তার উচ্চতা। একাত্তরে বাংলাদেশকে তিনিই আলোড়িত-বিস্ফোরিত করে চলেছিলেন, আর তার পাশে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর হয়ে যাচ্ছিল তার সমকালীন এবং প্রাক্তন সব বঙ্গীয় রাজনীতিবিদ। এই মহান নেতা জন্মগ্রহণ না করলে হয়তো স্বাধীন বাংলাদেশ লালিত স্বপ্ন হয়েই থাকত। অথচ তার জীবনেই ঘটল নির্মম ট্র্যাজেডি। বিশ্ব রাজনীতির ইতিহাসের সবচেয়ে বিরল নির্মমতারই মুখোমুখি হলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ভোরের সূর্য আলো ছড়িয়ে দেয়ার আগে এক নির্মম হত্যার শিকার হন বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের অন্য প্রায় সব সদস্য। এ এক কঠিন নির্মমতা! এ এক অসামান্য ট্র্যাজেডি ও অসমাপ্ত কষ্টের সীমাহীন যন্ত্রণাযুক্ত অনুভূতি।

দুই.

নোবেল বিজয়ী উইলিবান্ট দুঃখ প্রকাশ করে বলেছিলেন, 'মুজিব হত্যার পর বাঙালিদের আর বিশ্বাস করা যায় না, যারা মুজিবকে হত্যা করেছে তারা যে কোনো জঘন্য কাজ করতে পারে।' দক্ষিণ এশিয়ায় এমন কি সমগ্র বিশ্বেই রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বিশ্বের ইতিহাসে আব্রাহাম লিংকন, মাহাত্মা গান্ধী, জন এফ কেনেডি, মার্টিন লুথার কিং, ললুম্বা, শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী এরা প্রত্যেকেই রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের শিকার। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বিশ্বের যে কোনো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের পরিষ্কার পার্থক্য লক্ষণীয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে যা বিশ্ব রাজনীতির ইতিহাসে বিরল। পৃথিবীতে এমন কোনো হত্যাকাণ্ড হয়নি যেখানে পুরো পরিবারকে হত্যার শিকার হতে হয়েছিল, একমাত্র বঙ্গবন্ধু পরিবার ছাড়া। বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড বাঙালির ইতিহাসে নির্মম ট্র্যাজেডি। এ অভাগা এ জাতির জন্য ১৫ আগস্ট মর্মবিদারি ভয়াবহ শোকের দিন। তাই তো আমাদের জন্য আগস্ট মাস শোকের মাস। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট রাতের আঁধারে এ জাতি হারিয়েছে জনককে। যদিও শেখ রাসেলসহ অনেকেই রাজনীতির বাইরে ছিলেন তথাপিও কেন তাদের হত্যা করা হয়েছিল- সে প্রশ্নের জবাব আজো অমিমাংসিত। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর মুষ্টিমেয় উচ্চাভিলাষী সদস্য এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়। ঘাতকরা সেদিন বাংলাদেশের জাতির জনকের সঙ্গে আর যাদের হত্যার শিকারে পরিণত হতে হয়েছিল তাদের মধ্যে অন্যতম হলো মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা, শিশুপুত্র রাসেল, শেখ কামাল, শেখ জামাল ও পুত্রবধূদ্বয়কে, একমাত্র ভাইসহ অন্য স্বজনদের। হত্যার মাধ্যমে পরাজিতরা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিল পরাজিত শক্তিদের নীলনকশা। তাদের পরিকল্পনা ছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে তারা এ জাতির বিরত্বগাথা ইতিহাসকে অপ্রাসঙ্গিক করবে। বাঙালির ছয় দফা, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, স্বাধিকার আন্দোলনের সর্বোপরি ৩০ লাখ শহীদের আত্মদান এবং লাখ লাখ মা-বোনের সম্মানের বিনিময়ে ছিনিয়ে আনা এ স্বাধীনতা অর্থহীন করে দিতেই ছিল তাদের পরিকল্পনা। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমেই শুরু হয় বাংলাদেশের ইতিহাসে গণতন্ত্রের সংকট মৌলবাদের পুনর্বাসন, জঙ্গিবাদের উত্থান ও যুদ্ধাপরাধী প্রত্যাবর্তন। ১৫ আগস্ট পঁচাত্তর বাঙালি জাতির এক বিশাল কলঙ্কের অধ্যায়। ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড সংঘটন হওয়ার পর ইংলিশ এম পি জেমস লামন্ড দুঃখ ভারাক্রান্ত কণ্ঠে বলেছিলেন, 'বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে বাংলাদেশই শুধু এতিম হয়নি বিশ্ববাসী হারিয়েছে একজন মহান সন্তানকে।' বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার হতে সময় লেগেছে ৩৪ বছর। বেদনাদায়ক হলেও সত্য যে, জনক হত্যার বিচারের জন্য আদালতে মামলা উঠাতেই সময় লেগেছে ২১ বছর। তথাপিও সুখের বিষয় এই যে, বিচার সম্পন্ন হয়েছে। রায়ও আংশিক কার্যকর হয়েছে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

তিন.

আজ আমরা স্বাধীন বাংলাদেশে কেউ রাজনীতিবিদ, কেউ আইনজীবী, কেউ চিকিৎসক আবার কেউ লেখক এসব সম্ভব হয়েছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো একজন বলিষ্ঠ নেতার শক্তিশালী নেতৃত্বের কারণে। আমরা যে যেখানে আছি সে অবস্থান থেকেই বিশ্ব ইতিহাসে ঘটে যাওয়া একটি বিরল হত্যাকাণ্ডের শিকার এই অবিসংবাদিত জননেতার মূল্যায়ন করা উচিত। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর থেকে বাঙালি জাতি বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ হয়ে অহর্নিশ যন্ত্রণার দহনে দগ্ধ প্রতিনিয়ত। জাতি যখন ১৯৭১-এর মতো ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল তখন বিশ্ব এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচারের রায় কার্যকর দেখতে পেয়েছে। আর এ বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর হয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এমনি এমনি হয়নি বরং এর জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম করতে হয়েছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। বিশ্বের ইতিহাসে এ রকম দৃষ্টান্ত রয়েছে যে, জনগণকে ভুল পথেও নিয়ে যাওয়া যায়; হিটলার মুসোলিনির মতো একনায়কেরাও জনগণকে দাবানলে, প্লাবনে, অগ্নিগিরিতে পরিণত করেছিল, যার পরিণতি হয়েছিল ভয়াবহ। তারা জনগণকে উন্মাদ আর মগজহীন প্রাণীতে পরিণত করেছিল। একাত্তরের মার্চে শেখ মুজিব সৃষ্টি করেছিল শুভ দাবানল, শুভ প্লাবন, শুভ আগ্নেয়গিরি, নতুনভাবে সৃষ্টি করেছিলেন বাঙালিকে, যার ফলে আমরা স্বাধীন হয়েছিলাম।

এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম সরকার : আইনজীবী, লেখক।

http://www.bhorerkagoj.net/print-edition/2016/08/17/102690.php


বুধবার, ১৭ আগস্ট ২০১৬

  • মুক্তচিন্তা






__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] মুক্তচিন্তা : বিএনপির রাজনীতি কুয়াশামুক্ত হোক



  • মুক্তচিন্তা

বিএনপির রাজনীতি কুয়াশামুক্ত হোক

বুধবার, ১৭ আগস্ট ২০১৬

জন্মলগ্নে দলটির নাম ছিল 'বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল'। কাজেই দলটির সংক্ষিপ্ত পরিচয় হওয়া উচিত ছিল 'বাজাদ'। কিন্তু তা না হয়ে দলটি পরিচিত ইংরেজি অনুবাদ অনুযায়ী। যারা ইংরেজি জানে না তাদের কাছেও দলটি বিএনপি নামে পরিচিত। সে যাই হোক অবশেষে দলটির কার্যকরী কমিটির পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। নানা কথা শোনা গেছে পত্রপত্রিকার মাধ্যমে। আমরা সেসব কথায় যাব না। আমরা আশা করব, কমিটির সদস্যরা কাজ করবেন দলের জন্য, জাতির মঙ্গলের জন্য। কাউকে সন্তুষ্ট করা তাদের লক্ষ্য হবে না- এটাই সবাই আশা করবে। কুয়াশামুক্ত হোক বিএনপির রাজনীতি দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্রচর্চার মাধ্যমে।

দেশে-বিদেশে সেনাবাহিনী কর্তৃক দেশের শাসনভার গ্রহণের ইতিহাস যদি আমরা শুনি, এই বিষয়ে বইপত্র যদি পড়ি তবে দেখব কতক বিষয় সব দেশে একই রকম। নিয়মতান্ত্রিক সরকারকে জনগণের কাছে অপ্রিয় করবার জন্য যেসব ষড়যন্ত্র করা হয় এবং যেসব কাজ করা হয় সে সবের আলোচনা আমরা করব না। আমরা শুধু সংক্ষেপে উল্লেখ করব ক্ষমতা দখলের পর তাদের আচরণের চরিত্র। প্রথমেই তারা ঢাকঢোল পিটিয়ে বলে এবং বলতে থাকে যে, ক্ষমতা দখলের ইচ্ছা তাদের ছিল না। অনিচ্ছা সত্ত্বেও ক্ষমতা তাদের নিতে হয়েছে। তবে ক্ষমতা তারা খুব শিগগিরই ফেরত দেবে। প্রচারমাধ্যমে এসব কথা শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা হয়ে যায়। এর সঙ্গে চলতে থাকে গণতান্ত্রিক সরকারের নামে কুৎসা রটনা। সেনা সরকার দেশের কত ভালো করছে সেটা বলা শুরু হয় শিগগিরই। এর সঙ্গে শুরু হয় সেনাকর্তার গুণাবলির বিস্তারিত বর্ণনা। অন্তরালে চলতে থাকে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করবার প্রস্তুতি। সরকারি টাকা খরচ হয় এ জন্য। সরকারি কর্মচারীদের ব্যবহার করা হয় বিশেষ করে গোয়েন্দা বিভাগগুলোকে। তারপর 'হ্যাঁ / না' নির্বাচন। তারপর দল গঠন। দলে যোগ দেয় অতীতের ব্যর্থ রাজনীতিবিদরা, আমলারা এবং আর সব অপরিচিত রহস্যজনক ব্যক্তিরা। 'দল ছুট, 'পেশা ছুট' ব্যক্তিরা। তারপর তথাকথিত নির্বাচন। সবটা সময় ধরে সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরুদ্ধ। জনপ্রিয় রাজনীতিবিদরা কারার অন্তরালে।

আমাদের ইতিহাসের দিকে একটু তাকানো যাক। মুসলমানদের আগমনের আগে বৌদ্ধ আর হিন্দুদের মধ্যে দ্ব›দ্ব ছিল। মুসলমানদের আসার পর বৌদ্ধদের ভূমিকা খুব একটা দেখা যায় না। হিন্দু আর মুসলমানরা একসঙ্গে বাস করেছে শান্তির সঙ্গে। ইংরেজ আমলে দৃশ্যটা পালটে যায়। মুসলমানরা ইংরেজদের সঙ্গে সম্পূর্ণ অসহযোগের মনোভাব গ্রহণ করে। হিন্দুরা পাশ্চাত্য শিক্ষা গ্রহণ করে। এর ফলে মুসলমানরা পিছিয়ে পড়ে। এসব কারণে মুসলমানরা আলাদা বাসভূমি দাবি করে। পাকিস্তানের জন্ম হয় সাতচল্লিশে। কিন্তু স্বাধীনতার পরে পশ্চিম পাকিস্তানিরা উপনিবেশ হিসেবে মনে করতে থাকে পূর্বপাকিস্তানকে। দেখা যায় পূর্ব পাকিস্তান জয় না করেও পূর্ব পাকিস্তানকে পরাধীন জাতিতে পরিণত করে পশ্চিম পাকিস্তানিরা। চাকরি-বাকরি, ব্যবসায়-বাণিজ্য এবং অন্য সব কিছুতে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে পর্বতসম বিশাল পার্থক্য গড়ে ওঠে। পাকিস্তান গণতান্ত্রিক দেশ হওয়া সত্ত্বেও সেখানে কোনো দিন নির্বাচন হয়নি। প্রথম দিকে আমলা ও সেনাবাহিনী মিলিতভাবে ছদ্মবেশে দেশ শাসন করে। ১৯৫৮ সালে আইউব খানের নেতৃত্বে তারা খোলাখুলি দেশের কর্তৃত্ব গ্রহণ করে। গায়ের জোরে দেশ চালাতে থাকে তারা। পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে বিরাট পার্থক্য গড়ে ওঠে। অবশেষে গণআন্দোলনের কাছে নতি স্বীকার করতে হয় তাদের। সত্তর সালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু সেনাবাহিনী ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকার করে। এই অবস্থায় স্বাধীনতা ঘোষণা করা ছাড়া আর কোনো পথ খোলা ছিল না পূর্ব পাকিস্তানের।

কিন্তু একটা সশস্ত্র আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত ছিল না পূর্ব পাকিস্তান। এই সুযোগ নিয়ে পাকিস্তানিরা ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করে। এক কোটি মানুষ প্রতিবেশী ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করে। মুক্তিবাহিনী গড়ে ওঠে। বাংলাদেশ স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেয়। স্বাধীনতাযুদ্ধের এই পটভূমি স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে কিছু সমস্যার সৃষ্টি করে। এসব সমস্যার সুযোগ নিয়ে অগণতান্ত্রিক শক্তি ভয়াবহ রক্তপাতের মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহণ করে ১৯৭৫-এ। এই ক্ষমতা দখলকারীদের দিকে তাকানো যাক।

এদের অনেকে ছিল প্রশাসনের অংশ। কিন্তু তারা দোষারোপ করল জাতির জনককে। যে ভারত স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল সেই ভারতকে তারা নানাভাবে দোষারোপ করল। একটা সাম্প্রদায়িক চিত্র দাঁড় করানো হলো। মনে হলো যেন পাকিস্তানি আবহাওয়া ফিরে এলো। পৃথিবীব্যাপী সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের একই কায়দা, একই স্টাইল। গণতান্ত্রিক সরকারের নিন্দা করা হলো। সেনানায়কের সততার প্রশংসা। ছেঁড়া গেঞ্জি আর ভাঙা বাক্সের কথা। একজন লেখক উল্লেখ করলেন প্যারিস থেকে আনা দামি বুটজোড়ার কথা এবং আমেরিকা থেকে আনা কালো চশমার কথা। দল গঠনের একই কায়দা। সরকারি অর্থ আর সরকারি কর্মচারী। গোয়েন্দা বাহিনীর ব্যবহার। 'হ্যাঁ / না' নির্বাচনে শতকরা ৯৮ ভাগ ভোট পাওয়া। দল গঠন। সেই দলছুট আর পেশাছুটদের কাহিনী। ১৯৭১-এর যুদ্ধের স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি পুনর্বহাল হলো। বিএনপি সরকারে স্থান পেল জামায়াত নেতারা। বিএনপি গঠিত হয়েছিল সেনানায়কের প্রয়োজনে। তারপর সেই দল তার পরিবারের কাজে লেগেছে। আপসহীন নেত্রী হিসেবে পরিচিত দলনেত্রী কিন্তু পত্রপত্রিকায় বলা হয়েছে যে, তিনি এরশাদের কাছ থেকে একটি বিশাল আকারের বাড়ি নিয়েছিলেন। জিয়া হত্যার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করা হয়নি।

দলে আছে বামপন্থীরা, আছে ডানপন্থীরা এবং আছে অন্যান্য পন্থীরা। কী তাদের একত্রে রেখেছে কে জানে! দুই বারের আন্দোলনে অর্ধশতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। গাছ কাটা হয়েছে অসংখ্য। রেললাইন উপড়ানো হয়েছে। অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দেশের। পত্রপত্রিকায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, নেতাদের কোথাও দেখা যায়নি আন্দোলনের সময়। ধ্বংসাত্মক কাজের নির্দেশ দিয়েছে কারা? কারা সে নির্দেশ পালন করেছে? এসব কি গণতান্ত্রিক পদ্ধতি? ভারতবিরোধী প্রচার করে বিএনপি কিন্তু মোদির সঙ্গ লাভে উৎসাহ দেখা গেছে। রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার করা হয় কিন্তু অনেক নেতার জীবনযাপনে ধর্ম দেখা যায় না। সব কিছু যোগ দিলে দেখা যায় যে, দলটির রাজনীতি কুয়াশাচ্ছন্ন। এবারের বিশাল আকারের কমিটি দলটির রাজনীতি কুয়াশামুক্ত করবে এই আশা করি।

ওয়াহিদ নবী : চিকিৎসক, লেখক। রয়্যাল কলেজ অফ সাইকিয়াট্রিস্টের ফেলো।

http://www.bhorerkagoj.net/print-edition/2016/08/17/102689.php

ওয়াহিদ নবী

বিএনপির রাজনীতি কুয়াশামুক্ত হোক

বুধবার, ১৭ আগস্ট ২০১৬




__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

Newer Posts Older Posts Home