[Attachment(s) from Tuhin Islam tuhinrimlp@gmail.com [mukto-mona] included below]
বইয়ের জন্য তোলা ছবিই এখন মৃত্যুর কভারেজ
তুহিন ইসলাম
এটি একটি ছবির কথা! এমন একটি ছবি যেটি এখন শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন মিডিয়া জগতে। শোভা পাচ্ছে পত্রিকার পাতায়। সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টুইটারসহ বিভিন্ন অনলাইনে। ছবিটি তোলা হয়েছিলো নিজের লেখা বইয়ের জন্য। ছবিটি তুলতে গিয়ে সেকি ঝড়তা। অথচ সেই ছবিটিই আজ সমগ্র মিডিয়ায় বার বার ঘুরেফিরে আসছে। তবে তা সুখের হয়ে নয়। কেবল-ই বেদনার হয়ে।
হ্যাঁ বলছিলাম- ছবিটি সম্প্রতি মুখোশধারী সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়ে ইহজগৎ ত্যাগ করে পরপারে পাড়ি জমানো যুক্তি পত্রিকার সম্পাদক, বিজ্ঞান লেখক, ব্লগার ও ব্যাংকার অনন্ত বিজয় দাশের।
অনন্ত বিজয় দাশ জীবিত থাকাকালীন সময়ে নিজেও হয়তো কখনো স্বপ্নেও কল্পনা করেননি তার বইয়ের জন্য তোলা এই ছবিটি কোনো একদিন তার মৃত্যুর কভারেজ হয়ে শোভা পাবে মিডিয়ায়। ছড়িয়ে পড়বে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমগুলোতেও। শুধু অনন্ত বিজয় নয়, অনেক সাধ করে হাসি-ঠাট্টা আর তামাশা করে এই ছবিটা যিনি তুলেছিলেন তিনিও কখনো ভাবেননি এমনটা ঘটবে একদিন। কিন্তু বাস্তবে এখন সেটাই দেখতে হলো। যেটা তখন ছিল কল্পনার অতীত!
অনন্ত বিজয় এই ছবিটি তুলেছিলেন একুশে বইমেলায় প্রকাশিত নিজের বইয়ে দেওয়ার জন্য। সেই ছবিটিই হয়েছে বর্তমানে সবার প্রিয়মুখের ছবি। তবে হ্যা প্রিয় বলতে বুঝাতে চাচ্ছি- অনন্ত বিজয়ের মৃত্যুর খবর প্রকাশের জন্য ঐ ছবিটিই সকলে ব্যবহার করছে বলেই। সেদিনের তোলা ছবি দিয়ে তার জীবন প্রদীপ নিভে যাওয়ার সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।
একুশে বই মেলায় প্রকাশিত বইয়ের জন্য অনন্ত বিজয় যাকে দিয়ে ছবিটি তুলিয়েছিলেন তিনি হলেন তারই কাছের একজন মানুষ একুশ তাপাদার। ছবিটি সম্পর্কে একুশ তাপাদার বলেন, কখনো ভাবতেও পারিনি এত আনন্দ মধ্যে তোলা ছবিটি এমন মর্মাহত খবরের জন্য ব্যবহার করতে হবে।
তিনি বলেন, Ò২০১৪ সালের শীতের সময় এই ছবি তুলেছিলাম। অনন্ত বিজয়দা বলেছিল বইমেলায় তার Ôজীববিবর্তন সাধারণ পাঠ'নামে একটা বই বের হবে, বইয়ের ফ্লাপে দেয়ার জন্য একটা ভালো ছবি দরকার। ছবি তোলার সময় দাদা খুব আড়ষ্ট হয়ে যেত। বেশ মজা করেছিলাম ছবিটা তোলার সময়। কিন্তু আজ বিভিন্ন মিডিয়ায় এই ছবিটি ঘুরতে দেখে সেদিনের কথা মনে পড়ছে খুব।"
উল্লেখ্য, ১২ মে মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে জাউয়াবাজাররস্থ পূবালী ব্যাংক শাখায় যাওয়ার জন্য রওয়ানা দেন যুক্তি পত্রিকার সম্পাদক, বিজ্ঞান লেখক, ব্লগার ও ব্যাংকার অনন্ত বিজয় দাশ। বাসা (নুরানী ১২/১৩, সুবিদবাজার) থেকে বেরিয়ে প্রায় একশ গজ যাওয়ার পর সুবিদবাজার দিঘীরপাড়ে ৪ জন দুর্বৃত্তরা তাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে ফেলে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় পরে স্থানীয়রা তাকে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।__._,_.___