Banner Advertiser

Monday, August 18, 2014

[mukto-mona] সম্প্রচার নীতিমালা : যে ১০টি কারণে আওয়ামী লীগের গ্রহণযোগ্য যে ১টি কারণে বিরোধীদের পরিত্যাজ্য



সত্তর দশকের গোড়ার দিকে।
আওয়ামী লীগ তখন ক্ষমতাসীন।
শেখ মুজিবুর রহমান তখন প্রধানমন্ত্রী।
তদানীন্তন শীর্ষ ব্যবসায়ী শিল্পপতি রূপে খ্যাত মি. জহুরুল ইসলামের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গ্রুপ ফাইনান্স ডিরেক্টর রূপে আমি কাজ করছিলাম।
এছাড়া আমি পরিচিত হয়ে উঠেছিলাম টিভি উপস্থাপক রূপে।
সেই সময়ে বাংলাদেশ টেলিভিশন কর্পরেশনের (বিটিভি) একমাত্র স্টুডিও এবং অফিসসমূহ ছিল মতিঝিলে ডিআইটি ভবনে।
হঠাত্ এক সকালে বিটিভি কর্তৃপক্ষ থেকে ফোনে আমাকে জানানো হলো, একটি বিশেষ অনুষ্ঠান আমাকে উপস্থাপন করতে হবে।
জানতে চাইলাম অনুষ্ঠানটির বিষয় বস্তু কি? বিশেষ কেন? এবং কারা উপস্থাপিত হবেন?
উত্তর পেলাম, অনুষ্ঠানের বিষয় বাংলাদেশের প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (ফার্স্ট ফাইভ ইয়ার প্ল্যান)। সেজন্য এটি জাতীয়ভাবে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হবেন প্ল্যানিং কমিশনের প্রধান চার সদস্যের মধ্যে দুই সদস্য, প্রফেসর রেহমান সোবহান এবং ড. মোশাররফ হোসেন।
বললাম, ঠিক আছে। তবে আমাকে প্রস্তুতির সময় দিতে হবে। পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার একটি কপি আমাকে পাঠিয়ে দিন। ওটি পড়ে, যতটা সম্ভব আত্মস্থ করে, আমাকে যেতে হবে।
যদিও আমি ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে (১৯৫২-১৯৫৬) ইকনমিক্সের ছাত্র রূপে তদানীন্তন সভিয়েট ইউনিয়নের ফাইভ ইয়ার প্ল্যান সম্পর্কে জানতাম তবুও সেই জ্ঞান ছিল খুব অল্প এবং সতের বছর আগের। এ রকম একটি দুর্বল স্থানে থেকে উপস্থাপক রূপে বাংলাদেশের প্রথম ফাইভ ইয়ার প্ল্যান বিষয়ে দুই জাদরেল ইকনিমিস্টকে ইন্টারভিউ করার কাজটি ছিল চ্যালেঞ্জিং।
প্রফেসর রেহমান সোবহান ও ড. মোশাররফ হোসেন ১৯৭১-এ কলকাতায় থেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ভূমিকা রেখেছিলেন। সেই সময়ে এই দুজন ইকনমিস্টের সঙ্গে ছিলেন ঢাকা ইউনিভার্সিটির আরো দুই প্রফেসর, ড. নুরুল ইসলাম ও ড. আনিসুর রহমান। মোট এই চার ইকনমিস্ট ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম প্ল্যানিং কমিশনের সদস্য এবং প্রথম ফাইভ ইয়ার প্ল্যান প্রণেতা।
তবে বিটিভি কর্তৃপক্ষ যখন আমাকে ফোন করেন তখন ড. নুরুল ইসলাম ও ড. আনিসুর রহমান দেশে ছিলেন না। বস্তুত, স্বাধীনতার পর থেকে এই দুই ইকনমিস্ট অধিকাংশ সময় কাটিয়েছেন বিদেশে। ড. নুরুল ইসলাম আমেরিকায় এবং ড. আনিসুর রহমান সুইজারল্যান্ডে।

আমি একটু ভরসা পেলাম। চারজনকে মোকাবিলা করতে হবে না। দুইজনকে করতে হবে।
বিটিভি কর্তৃপড়্গ এক কপি ফার্স্ট ফাইভ ইয়ার পস্ন্যান আমাকে দ্রম্নত পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। যত দূর মনে পড়ে, ওই বইটি ছিল ৫২৮ পৃষ্ঠার। মাত্র ৪৮ ঘন্টা সময়ে বইটি পড়ে উপস্থাপনের লাইনআপ করলাম এবং বইটি নিয়ে চলে গেলাম স্টুডিওতে। 
তখন দিনের বেলা।
যথা সময়ে স্টুডিওতে এলেন প্রফেসর রেহমান সোবহান ও ড. মোশাররফ হোসেন। সেই সময়ে অর্থনীতি বিষয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের সবচেয়ে বেশি কাছের লোক রূপে পরিচিত এই দুই ইকনমিস্টের প্রভাব ও মর্যাদা ছিল অনেক মন্ত্রীর চাইতে বেশি। ড. নুরম্নল ইসলাম, ড. আনিসুর রহমান, প্রফেসর রেহমান সোবহান ও ড. মোশাররফ হোসেনকে সম্মিলিতিভাবে বলা হতো শেখ মুজিবুর রহমানের এ-টিম। এই চারজনই পূজিবাদি পশ্চিমে শিড়্গিত হলেও সভিয়েট ইউনিয়নের পস্ন্যান ও ইকনমির প্রতি ঝুকে পড়েছিলেন যেটা ছিল কেন্দ্রীয় সরকার ও কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দ্বারা শক্তভাবে নিয়ন্ত্রিত। অর্থাত্, এই চার ইকনমিস্ট মুক্তবাজার অর্থনীতিতে পড়াশোনা করলেও গ্রহণ করেছিলেন বন্ধ অর্থনীতি এবং তাদের কর্মকান্ড হয়েছিল শেখ মুজিবুর রহমানের এক দলীয় শাসনের পরিপূরক। বলা যায় এই চারজনের ইচ্ছা ছিল সত্ ও লড়্গ্য ছিল উচু। কিন্তু তাদের পন্থা ছিল অকার্যকর ও গন্ত্মব্য ছিল ভ্রান্ত্ম।

তাদের প্রনীত ফার্স্ট ফাইভ ইয়ার পস্ন্যান পড়ে আমি সেই সিদ্ধান্ত্মে এসেছিলাম। বিটিভি কর্তৃপড়্গ জানিয়েছিলেন পঞ্চ বার্ষিকী পরিকল্পনা বিষয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রফেসর রেহমান সোবহান ও ড. মোশাররফ হোসেন থাকবেন। তারপর ধারাবাহিকভাবে পঞ্চ বার্ষিকী পরিকল্পনার বিভিন্ন খাত, যেমন, শিড়্গা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা, কৃষি, শিল্প, ইত্যাদি বিষয়ে প্রতি সপ্তাহে অন্ত্মত একটি করে অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হবে। এবং সেসব অনুষ্ঠান আমাকেই উপস্থাপন করতে হবে।

এই গুরম্নভার দায়িত্বটি পাওয়ার আগে আমি জুন ১৯৭২-এ মাসিক সচিত্র সন্ধানীর জন্য "মানুষ তৈরির মেশিন" নামে একটি গল্প লিখেছিলাম যেখানে আমি বর্ধিত জনসংখ্যার চাপে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের কি দুর্দশা হতে পারে তার কাল্পনিক ছবি তুলে ধরেছিলাম।
বস্তুত বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা আমাকে তখন থেকে উদ্বেগের মধ্যে রেখেছিল। আমি মনে করেছিলাম বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক সব উন্নতি ব্যাহত হবে জনসংখ্যার অবাধ বৃদ্ধিতে।
এই দৃষ্টিভঙ্গিতে আমি বাংলাদেশের প্রথম পঞ্চ বার্ষিকী পরিকল্পনা পড়ে প্রচন্ড হতাশ হয়েছিলাম। আমি বুঝতে পারি এই বইয়ে খাতওয়ারি বিভিন্ন পস্ন্যানের সঙ্গে অবধারিত জনসংখ্যা বৃদ্ধির সংশিস্নষ্টতা কম। সুতরাং এই পস্ন্যানে চললে পাচ বছরের শেষে বাংলাদেশের বর্দ্ধিত জনসংখ্যার জন্য সুফল হবে কম। এত ঢাকঢোল পিটিয়ে পস্ন্যান প্রকাশ করলেও সেটা সরকারের জন্য বয়ে আনবে হতাশা ও ব্যর্থতা।
স্টুডিওতে রেকর্ডিংয়ের সময়ে যখন এই দু:সম্ভাবনাটি আমি তুলে ধরি তখন প্রফেসর রেহমান সোবহান ও ড. মোশাররফ হোসেন হকচকিয়ে যান। তারা উপস্থাপকের কাছ থেকে এ রকম বর্ণনা ও প্রশ্ন আশা করেননি। তারা কেউই জানতেন না, এক. সতের বছর আগে আমি বাংলাদেশে ইকনমিক্সের ছাত্র থাকার ফলে কিছুটা হলেও তাত্ত্বিক জ্ঞান ছিল। দুই. সতের বছর যাবত্ ইংল্যান্ড ও বাংলাদেশে চার্টার্ড একাউন্টেম্লট রূপে বিভিন্ন শিল্প-ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার ফলে ইকনমি বিষয়ে বাসত্মব অভিজ্ঞতা ছিল এবং তিন. বর্ধিত জনসংখ্যা বিষয়ে উদ্বিগ্ন লেখক রূপে জনসংখ্যার বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত আমার কাছে ছিল।
পঞ্চ বার্ষিকী পরিকল্পনার অবাসত্মবতা এবং তার পরিণতিতে সম্ভাব্য ব্যর্থতা বিষয়ে প্রশ্নবাণে জর্জরিত রেহমান সোবহান-মোশাররফ জুটি সেদিন কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

রেকর্ডিং শেষে আমরা ডিআইটি ভবন থেকে বিদায় নিলাম।
সেদিনই সন্ধ্যায় বিটিভিতে বারবার প্রমো যেতে থাকল, "আগামী রাতে বাংলা খবরের পরপরই সম্প্রচারিত হবে বাংলাদেশের প্রথম পঞ্চ বার্ষিকী পরিকল্পনা বিষয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান"।
কিন্তু পরদিন বিটিভি খুলে হতাশ হলাম।
বাংলা খবরের পর সেই অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারিত হলো না।
শুধু একটি টেলপ ছিল : অনিবার্য কারণে অনুষ্ঠানটি আজ রাতে সম্প্রচারিত না হয়ে, আগামী রাতে সম্প্রচারিত হবে।
আমি বুঝলাম অনুষ্ঠানটির সম্প্রচার নিয়ে বিটিভি কর্তৃপড়্গ সমস্যায় পড়েছেন। সরকারের শীর্ষ পর্যায় জেনেছেন অনুষ্ঠানে কি আলোচনা হয়েছে এবং তারা আগে নিজেরা অনুষ্ঠানটি দেখে সিদ্ধান্ত্ম নেবেন, এটি টেলিকাস্ট করা তাদের স্বার্থের অনুকূলে হবে কি না।
আওয়ামী লীগ সরকারের শীর্ষ পর্যায় এই অনুষ্ঠানটি দেখেছিলেন এবং সিদ্ধান্ত্মে এসেছিলেন এটি টেলিকাস্ট হলে ফার্স্ট ফাইভ ইয়ার পস্ন্যান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির প্রথম সনদ রূপে নয় - বরং অর্থনৈতিক বন্ধ্যাত্বের প্রথম পরিচয় রূপে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। সুতরাং অনুষ্ঠানটি টেলিকাস্ট করা যাবে না। 
পরদিন টিভিতে বাংলা খবরের পর ছোট একটি টেলপে জানিয়ে দেওয়া হলো অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারিত হবে না।
আমি অনুমান করতে পেরেছিলাম আমার উপস্থাপিত এই অনুষ্ঠান বিষয়ে বিটিভি কর্তৃপড়্গকে কি জবাবদিহিতা করতে হয়েছিল সরকারের কাছে। তাই আমি কখনোই বিটিভি কর্তৃপড়্গকে জিজ্ঞাসা করিনি কেন অনুষ্ঠানটি নিষিদ্ধ হয়ে গেল।
এটিই ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নিষিদ্ধ টিভি অনুষ্ঠান!
এরপর আর কখনই কোনো আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমাকে বিটিভিতে কোনো অনুষ্ঠানে ডাকা হয়নি।

ফাস্ট ফরোয়ার্ড।
সেই ঘটনার ৪১ বছর পরে এখন ২০১৪ সালের আওয়ামী লীগ সরকার একটি সম্প্রচার নীতিমালা তৈরি করে অতীতের সেই মানসিকতার নতুন এবং স্থায়ী প্রতিফলন ঘটাতে চাইছে।
গত কয়েকদিন যাবত্ এই প্রসত্মাবিত সম্প্রচার নীতিমালার বিরোধিতা করে টক শোর কিছু বক্তা তাদের মত প্রকাশ করেছেন, সেমিনার ও রাউন্ড টেবিল কনফারেন্সে অংশগ্রহণকারীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং বিএনপিসহ কিছু রাজনৈতিক দল বিড়্গোভ করেছে।
এসবের ফলে আওয়ামী ঘরানার যে গুটিকয়েক সত্ সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবী আছেন তারা বিপাকে পড়ে গিয়েছেন। তাদের মনে পড়ে যাচ্ছে শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হবার মাত্র দুই মাস আগে ১৬ জুন ১৯৭৫-এ বাংলাদেশ সরকারের সংবাদপত্র অর্ডিনান্স ঘোষিত হয়েছিল যার ফলে স্বাধীন বাংলাদেশে সংবাদপত্রে স্বাধীন মত প্রকাশের কন্ঠ রোধ করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে সংবাদপত্রের কালো দিবস রূপে চিহ্নিত হয়েছিল ১৬ জুন।
আওয়ামী ঘরানার এই বিপদগ্রসত্ম সাংবাদিক গোষ্ঠি (মাইনরিটি) এবং আওয়ামী ঘরানার নির্বিকার ও প্রসত্মাবিত সম্প্রচার নীতিমালা সমর্থনকারী (মেজরিটি) সবার সাহায্যার্থে নিচে সম্প্রচার নীতিমালা কেন দেশে চালু হওয়া উচিত (আওয়ামী দৃষ্টিকোন থেকে) তার দশটি কারণ দেওয়া হলো :

১ গান
সরকারি এবং সকল বেসরকারি টিভিতে সম্প্রচারিত হচ্ছে দেশের আইন শৃঙ্খলা বিপন্নকারী গীতিকারদের বিভিন্ন গান। যেমন, কাজী নজরম্নল ইসলামের :

আমি দুর্বার
আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার
আমি অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খল,
আমি দলে যাই যতো বন্ধন,
যতো নিয়ম কানুন শৃঙ্খল
আমি মানিনা কো কোনো আইন...
আমি হোম-শিখা, আমি সাগ্নিক জন্মদগ্নি
আমি যজ্ঞ, আমি পুরোহিত, আমি অগ্নি।

কাজী নজরম্নলের এই ধরনের বহু উস্কানিমূলক গান আছে। নি:সন্দেহে তিনিই ককটেল বোমা ও পেট্রল বোমার প্রথম ব্যবহারকারী ও তার প্রচারক। গত ২০১৩-তে বাংলা মোটরে বাসে অগ্নিকান্ডের জন্য মির্জা ফখরম্নল ইসলাম আলমগীরসহ অন্যান্য যেসব বিএনপি নেতাদের বিরম্নদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে আশা করা যায়, এই নীতিমালা গৃহীত হলে, কাজী নজরম্নলের বিরম্নদ্ধেও মামলা (মরণোত্তর) করা সম্ভব হবে।
বস্তুত এই কবি কাজী নজরম্নল বিদ্রোহী কবি নন - তিনি অরিজিনাল বিএনপি কবি। এই বিএনপি কবিই লিখেছিলেন, "ছাত্রদলের গান", যার কয়েকটি লাইন হচ্ছে :

আমরা শক্তি আমরা বল
আমরা ছাত্রদল।
মোদের পায়ের তলায় মূর্ছে তুফান
উর্ধে বিমান ঝড়-বাদল
আমরা ছাত্রদল...
আমরা তাজা খুনে লাল করেছি
সরস্বতীর শ্বেত কমল।

বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ছিলেন পাকিসত্মানি গুপ্তচর এবং বিএনপি কবি কাজী নজরম্নল ছিলেন ছাত্রদলের স্বপ্নদ্রষ্টা। এই বিএনপি কবির সব গান টিভি রেডিওতে নিষিদ্ধ করতে হবে এবং অচিরেই ঢাকায় কাজী নজরম্নল ইসলাম রোডের নাম বদলে ফেলতে হবে। ওই রাসত্মায় নজরম্নলের যে আবড়্গ মূর্তি বিএনপি নেতা মেয়র সাদেক হোসেন খোকার আমলে স্থাপিত হয়েছিল এবং এখন যেটি অবহেলিত ও অপরিষ্কার অবস্থায় আছে সেটি অবিলম্বে সরিয়ে ফেলতে হবে।
কাজী নজরম্নলের তুলনায় অনেক কম উস্কানিমূলক হলেও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরও সব গান নিষিদ্ধ করতে হবে এবং তাকেও বাংলা মোটর বাসে অগ্নিকান্ড মামলায় আসামী (মরণোত্তর) করতে হবে। রবি ঠাকুরের গুরম্নতর অপরাধ প্রমাণের জন্য পুলিশ বিভাগের মি. বেনজির আহমদ যদি আদালতে মাত্র দুটি কবিতা পেশ করেন তাহলেই যথেষ্ট হবে। যেমন:

আগুনে হলো আগুনময়।
জয় আগুনের জয়।
অথবা
ওরে, আগুন আমার ভাই।
আমি তোমারই জয় গাই।

আওয়ামী লীগ এখন গণতন্ত্রের বদলে উন্নয়নের রাজনীতির পড়্গে বলছে। ক্লিয়ারলি, এসব গান দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ার বিরম্নদ্ধে। মানুষ দেশের উন্নতি চায়। তাই এই দুই অনিষ্টকারী কবিকে সব চ্যানেলে নিষিদ্ধ করতে হবে।
নো কাজী নজরম্নল।
নো রবি ঠাকুর।

এরপর সলিল চৌধুরীকেও টোটালি নিষিদ্ধ করতে হবে। এই ব্যক্তি আরো বিপজ্জনক। তার একটি গানের প্রথম তিনটি লাইন :

আমার প্রতিবাদের ভাষা
আমার প্রতিশোধের আগুন
জ্বলে দারম্নন দ্বিগুন ...

তাকেও বাংলা মোটর মামলায় আসামী (মরণোত্তর) করতে হবে।

সলিল চৌধুরী আরো বিপজ্জনক এই কারনে যে বিচারপতিদের বিচার করার কাজে তিনি আওয়ামী এমপিদের নয়, জনগনকে অগ্রনী হতে বলেছেন। তার একটি বিখ্যাত গান :

বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা
আজ জেগেছে সেই জনতা ...

আশা করি আওয়ামী সরকারের এটর্নি জেনারেল মি. মাহবুবে আলম অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা নেবেন। ইতিমধ্যে সব চ্যানেলে সলিল সঙ্গীতও নিষিদ্ধ করতে হবে। আফটার অল, বিচারপতিদের বিচার আওয়ামী এমপিদেরই তো করতে হবে। সে রকমই আইনই তো হতে চলেছে।
নজরম্নল-রবি-সলিলই শুধু নয়। দেশের বর্তমান স্থিতিশীল পরিস্থিতিকে স্থায়ী করার জন্য শুধু একটি গানই টিভি-রেডিওতে প্রচার করাই কাম্য। সেটি হলো গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের লেখা :

শোনো একটি মুজিবুরের কন্ঠ থেকে
লড়্গ মুজিবুরের কন্ঠস্বরের ধ্বনি
আকাশে বাতাসে ওঠে রণি
বাংলাদেশ, আমার বাংলাদেশ।

কেউ কেউ হয়তো প্রতিবাদ করতে পারেন, শুধু একটি মাত্র গান দিয়েই টিভি চ্যানেলগুলো কি চলতে পারে? শুধু একটি গানেই কি শ্রোতারা সন্তুষ্ট থাকবে?
উত্তর : হ্যা, থাকবে। কারণ বাংলাদেশের মানুষ শুধু একটি বক্তৃতা ৭ মার্চের, অবিরাম প্রচারে সন্তুষ্ট থেকেছে।

২ নাটক
নাটকের ইংরেজি প্রতিশব্দ ড্রামা শব্দটির উত্পত্তি হয়েছে একটি গৃক শব্দ থেকে যার মানে একশন। সুতরাং সব নাটকই টিভি চ্যানেল থেকে বাদ দিতে হবে। একশন মানে কর্মসুচি। আর কর্মসুচি বলতেই সাধারণ মানুষ বোঝে বিরোধী দলগুলোর কর্মসুচি। তাছাড়া, বিরোধী দল সমর্থক বা সহানুভূতি সম্পন্ন নাট্যকাররা নাটকের মাধ্যমে বিরোধীদের কর্মসুচি ঘোষনা করতে পারে। সেই ঝুকি কিছুতেই নেওয়া উচিত হবে না। তারা প্রধানমন্ত্রীকে শেক্সপিয়ারের ড়্গমতা লোভী, রক্ত পিপাসু, ডাইনি রানি লেডি ম্যাকবেথ-এর মতো চিত্রিত করতে পারে। "রং হেডেড" নয় - যে কোনো সুস্থ মসিত্মস্কের আওয়ামী প্রধানমন্ত্রীর উচিত হবে এই সম্ভাবনা অঙ্কুরেই বিনাশ করা। সুতরাং বাংলাদেশি নাট্যকারদের সব নাটক নিষিদ্ধ করতে হবে।
বাংলাদেশে এখন বছরে প্রায় ১৬,০০০ ঘন্টা নাটকের প্রয়োজন। তাহলে টিভি চ্যানেলগুলো চলবে কি করে?
উত্তর : প্রসত্মাবিত সম্প্রচার নীতিমালায় ইনডিয়ান সব টিভি সিরিয়াল বাংলাদেশি সব চ্যানেলে বাধ্যতামূলকভাবে দেখাতে হবে। কেউ ইনডিয়ান টিভি চ্যানেলের সমালোচনা করলে তাকে জেল দন্ড দেওয়ার বিধান থাকতে হবে। এই পদড়্গেপে একদিকে প্রতিবেশি দেশ ইনডিয়ার সঙ্গে যেমন বাংলাদেশের সম্পর্ক কনডেন্সড মিল্কের চাইতেও ঘন হবে তেমনি বাংলাদেশের হাউজওয়াইফরা দ্রম্নত শিখবেন, কি করে আড়ি পেতে কথা শুনতে হয়, সংসারে ষড়যন্ত্র করতে হয়, চব্বিশ ঘন্টা তিনশ পয়ষট্টি দিনের কখনোই সাংসারিক কোনো কাজকর্ম না করে বেসিক ব্রাইট কালারের শাড়ি বস্নাউজ পরে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে থাকতে হয় এবং কিভাবে পূজা-অর্চনা করতে হয়।

৩ খবর
পাবলিকের মনে একটা ধারনা আছে যে খবরে সত্য কথা বলতে হয়। খবর সত্য বলে।
এই ধারনা সম্পূর্ণ ভুল।
খবরে মিথ্যা বলতে হবে। উন্নয়ন বাড়িয়ে বলতে হবে। দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা কম বলতে হবে। লাশ গুম করার মতো খবরও গুম করতে হবে। এ বিষয়ে সম্পূর্ণ নির্লজ্জ বা টোটালি শেইমলেস হতে হবে। আওয়ামী লীগের মিথ্যা বলার কালচার টিভির সব চ্যানেলে অকুতোভয়ে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আর সেজন্যই ভবিষ্যতে কাটাতারে কিশোরী ফেলানির লাশের ছবি অথবা গোপনে আশুগঞ্জ-আখাউড়া দিয়ে ইনডিয়াকে ফৃ ট্রানজিট সুবিধা দেওয়ার মতো কোনো খবর সম্প্রচার করা যাবে না। গোপালিশ বাহিনী যে বিরোধীদের নির্মম নির্যাতন করছে সেই ছবি দেখানো যাবে না। খবর মানেই হতে হবে আওয়ামী লীগ সরকারের সাফল্যের সব খবর। খবর মানেই হতে হবে ক্রন্দনরত নেতা-নেত্রীর দড়্গতার খবর। সেটা আনন্দাশ্রম্ন নাকি কুম্ভীরাশ্রম্ন সেই বিতর্কে যাওয়া যাবে না।


৪ টক শো
আলো-স্টার প্রণীত এবং মইন-ফখরম্ন প্রতিষ্ঠিত ওয়ান-ইলেভেন সামরিক সরকার বিদায় নিয়ে আজকের আওয়ামী লীগ সরকারকে ড়্গমতায় আনার পেছনে ২০০৭-২০০৮-এর বিভিন্ন টক শোর উপস্থাপক ও বক্তাদের বিশাল অবদান ছিল। এদের মধ্যে উপস্থাপক মতিউর রহমান চৌধুরী, মোসত্মফা ফিরোজ, গোলাম মোর্তজা ও জিলস্নুর রহমান এবং বক্তা নুরম্নল কবীর, মাহফুজউলস্নাহ, আসিফ নজরম্নল, আসাফউদ্দৌলস্নাহ প্রমুখের নির্ভীক মন্ত্মব্যসমূহ মইন-ফখরম্নর অসম্মানজ্জনক বিদায় ও নির্বাসনের সহায়ক ছিল। কিন্তু এখন এদের ভূমিকা অস্বীকার করতে হবে। কোনো টকশোর প্রতি কোনো কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হবে দুর্বলতার পরিচায়ক। আওয়ামী লীগ একটি শক্ত, কঠিন, কঠোর দল। এই ইমেজ বজায় রাখতে হলে বর্তমান ফরমাটে টক শো আর রাখা চলবে না। পরিবর্তে আওয়ামী নেতা সুরঞ্জিত্ সেনগুপ্ত, আওয়ামী মন্ত্রী মহসিন আলী, আওয়ামী নেতা শামীম ওসমান (তিনি সম্প্রতি একাত্তর টিভিতে নারায়ণগঞ্জ মেয়র আইভি রহমান মোকাবেলায় সাফল্য দেখিয়েছেন) প্রমুখকে নিয়ে একটি স্থায়ী টক শো প্যানেল করতে হবে। আর উপস্থাপকের মুলা ঝুলিয়ে দিতে হবে সব টিভি চ্যানেলের নিউজ হেড এবং সব পত্রিকার সম্পাদকদের সামনে। এরা সবাই মিলে ১০০% নির্ভেজাল আওয়ামী শো করতে পারবেন।

৫ ধর্মীয় অনুষ্ঠান
সমস্যা হচ্ছে বাংলাদেশের প্রায় ৮৫% মানুষ মুসলমান এবং এদের কেউ কৃশ্চিয়ান হতে চান না। আবার কেউ হিন্দু হতে চাইলে সেটা হিন্দু ধর্মে গ্রহণযোগ্য নয়। তাই সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে সব টিভি চ্যানেলের অধিকাংশ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে শুধু দাড়ি-টুপিওয়ালা বক্তাদের দেখা যায়। একটি ধর্মনিরপেড়্গ বা সেকুলার রাষ্ট্রে বিম্বাসী দল আওয়ামী লীগের জন্য গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এসব ইসলাম প্রচারকদের মধ্যে ছদ্মবেশে হেফাজতিরা ঢুকে পড়তে পারে। এই সম্ভাবনা সমূলে ধ্বংস করতে হবে। তার মানে এই নয় যে, ধর্মীয় অনুষ্ঠান বাদ দিতে হবে। ধর্মীয় অনুষ্ঠান থাকবে কিন্তু সেসব সেকুলার করতে হবে।
কিছু টিভি চ্যানেল অলরেডি এই বিষয়টি বুঝতে পেরে সময়োচিত পদড়্গেপ নিয়েছে। যেমন : এবারের ঈদ-উল-ফিতরের ঈদ অনুষ্ঠান মালায় বাংলাভিশনের একটি অনুষ্ঠানে পূজার নাচ ছিল। কিছুকাল আগে দৈনিক ইত্তেফাক বিশেষ পুজা সংখ্যা প্রকাশ করেছিল। এসব সময়োপযোগী প্রগতির চিহ্ন। এসব ইনডিয়ার নতুন নির্বাচিত হিন্দুত্ববাদি নরেন্দ্র মোদির সরকারের সঙ্গে বন্ধুত্ব সম্পর্ক স্থাপনে সহায়ক হবে। তবে সংকীর্ণমনা মুসলিম দর্শকরা বলবেন, জন্মাষ্টমীর কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানে "রমজানের ওই রোজার শেষে এল খুশির ঈদ" জাতীয় কোনো গান শোনা যায়নি।
এটা উচিত হয়নি।
বাংলাদেশকে সেকুলারিজমের অগ্রগতির জন্য প্রতিটি (মুসলিম, হিন্দু, কৃশ্চিয়ান ও বৌদ্ধ) ধর্মীয় অনুষ্ঠানে প্রতিটি ধর্মেরই বক্তা রাখা বাধ্যতামূলক করতে হবে।

৬ অপরাধ
সবাই জানে বাংলাদেশে খুন, গুম, ডাকাতি, রাহাজানি, ধর্ষণ, ছিনতাই প্রভৃতির সংখ্যা গত সাড়ে পাচ বছরে খুব কমে গিয়েছে। "অধিকার" নামে একটি সংস্থা (যার প্রধান কর্মকর্তা আদিলুর রহমান খানকে উচিত হেনসত্মা করা হয়েছে) অনির্ভরযোগ্য খবর প্রকাশ করতো। কিছু দৈনিক পত্রিকাও শুধু মাত্র সেনসেশনালিজমের জন্য বাংলাদেশে অপরাধের মাত্রা বাড়িয়ে বলা হয়। এটা সবচেয়ে বড় অপরাধ।
সুতরাং ইলিয়াস আলী গুম, সাগর-রম্ননি হত্যা, ত্বকী হত্যা, নারায়গঞ্জের ৭ খুন, প্রভৃতি বিষয়ে তদন্ত্মের প্রবনতা বাদ দিতে হবে। বাংলাদেশের ষোল কোটি মানুষের মধ্যে বছরে ষোল জন খুন-গুম হতেই পারে। অন্য দেশেও হয়। সেটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করা উচিত হবে না।
তাই অপরাধ বিষয়ক সব অনুষ্ঠান বাদ দিতে হবে। বরং সেই সস্নটে দেখাতে হবে পদ্মায় পিনাক-৬ ডুবির পরে বাংলাদেশের বিভিন্ন বাহিনীর সাফল্য, রানা পস্নাজা বিধ্বসত্ম হবার পরে সাফল্য প্রচারের মতো। ক্রাইমওয়াচের পরিবর্তে টেলিকাস্ট করতে হবে সাকসেসওয়াচ।

৭ খেলাধুলা
একথা সবাই স্বীকার করতে বাধ্য যে খেলাধুলায়, বিশেষত আন্ত্মর্জাতিক ড়্গেত্রে বাংলাদেশের কোনো পারফরমেন্সই নেই। যদিও জনৈক আওয়ামী নেতা বলেছেন শিগগিরই বাংলাদেশ ওয়ার্ল্ড কাপে খেলবে তবুও আওয়ামী লীগের মধ্যে এখনো যারা কিছুটা ব্যালান্সড আছেন, তারা বোঝেন, এই স্বপ্ন সোনার বাংলার স্বপ্নের চাইতেও বেশি অসাধ্য ও অসম্ভব। বাংলাদেশকে আন্ত্মর্জাতিক ড়্গেত্রে, যেমন, অলিম্পিক, প্যারা-অলিম্পিক, কমনওয়েলথ গেমস, এশিয়ান গেমস প্রভৃতিতে বাচিয়ে রেখেছেন, প্রতিযোগীরা নয়, বিভিন্ন স্পোর্টস ফেডারেশনের কর্মকর্তারা, বিদেশের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাদের সংখ্যা হয় প্রতিযোগীদের বেশি। এরা সদর্পে বাংলাদেশের ফ্ল্যাগ নিয়ে মাঠে চক্কর দেন। বাংলাদেশ পরিণত হয় দর্শকের দেশে। তারা বলতে পারে ওয়ার্ল্ড কাপের ফাইনালে জার্মানি বিজয়ী হয়েছে - নাকি আর্জেনটিনা? তারা ফ্ল্যাগ ওড়ায় ব্রাজিল, ইটালি, স্পেন, জার্মানি ও আর্জেনটিনার। কিন্তু তারা বলতে পারেনা পরবর্তী ওয়াল্ড কাপে বাংলাদেশ কোয়ালিফাইং রাউন্ডে কোন দেশের বিরম্নদ্ধে খেলবে? তারা জানে না এই মাসেই ফিফার ওয়ার্ল্ড র্যাংকিংয়ে ২০৯টি সদস্য দেশের মধ্যে বাংলাদেশ আরো সাত ধাপ নিচে নেমে গিয়েছে। দড়্গিণ এশিয়াতে বাংলাদেশ এখন আফগানিসত্মান (শীর্ষ ১২৯), মালদ্বীপ (১৪৫), ইনডিয়া (১৫০), মায়ানমার (১৬০), পাকিসত্মান (১৬৪), ও নেপালের (১৬৬) নিচে। বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৭০ নাম্বারে।
কৃকেটে যেটুকু সম্মান বাংলাদেশ অর্জন করেছিল তাও হারিয়েছে সাকিব ও আশরাফুলের কল্যাণে।
কিন্তু সবচাইতে বিপজ্জনক সংবাদটি হচ্ছে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ গেমসে যে একটি মাত্র মেডাল বাংলাদেশ পেয়েছে সেটি হচ্ছে শুটিংয়ে সিলভার মেডাল। আবদুলস্নাহ হেল বাকী এই মেডালটি পেয়েছেন।
কিন্তু এটা কিসের আলামত? কেন বাংলাদেশের প্রতিযোগীদের মধ্যে শুধু শুটাররাই ভালো করছেন? এই দৃষ্টান্ত্মে অনুপ্রানিত হয়ে বাংলাদেশিরা যদি শুধু শুটিংয়ের দিকেই ঝুকে পড়ে তাহলে আন্ত্মর্জাতিকভাবে খ্যাতিসম্পন্ন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী মি. সজীব ওয়াজেদ জয়-এর ভবিষ্যদ্বানী বাসত্মবায়নে বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পারে। কলকাতা দি ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, তাকে এবং তার মাকে হত্যা না করা পর্যন্ত্ম এই দেশে ড়্গমতা হসত্মান্ত্মরিত হবে না। এবং সেই প্রচেষ্টা করলে অনেক রক্তপাত হবে। 
বাংলাদেশে এর আগে অনেক রক্ত ঝরেছে। সজীব ওয়াজেদ জয় সেই পথে উস্কানি দিলেও আর কেউ হয়তো এগোবেন না শুধু এই আন্ত্মর্জাতিকভাবে কৃতিত্ব অর্জনকারী শুটারস ছাড়া। কারণ, তারা মনে করতে পারেন, লক্ষ্য ভেদ করতে পারবেন।
এসব অলুড়্গনে কথা চিন্ত্মা বাদ দিতে হবে। খেলাধুলায় ব্যর্থ বাংলাদেশ টিভি চ্যানেলে সব স্পোর্টস প্রোগ্রাম বাদ দিতে হবে।
পরিবর্তে এই সস্নটে বাংলাদেশের স্মরণীয় সবগুলো মাসের ইতিহাস প্রচার করতে হবে। যেমন :
জানুয়ারি : হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের পাকিসত্মান থেকে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন।
ফেব্রম্নয়ারি : ভাষা আন্দোলনের মাস।
মার্চ : স্বাধীনতার মাস।
এপৃল : আওয়ামী লীগ কাউন্সিল অধিবেশনে (৮ এপৃল ১৯৭২) (বিশেষণ প্রযোজ্য) শেখ মুজিবুর রহমান দলীয় প্রধান নির্বাচিত।
মে : মে দিবসের মাস, যা আন্ত্মর্জাতিকভাবেও পালিত হয়।
জুন : জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, ধর্ম নিরপেড়্গতা ও গণতন্ত্র - এই চার মূলনীতি নিয়ে বাকশালের সংবিধান ঘোষণার (৬ জুন ১৯৭৫) মাস।
জুলাই : জাতির নাতি মি. সজীব ওয়াজেদ জয়-এর জন্ম (২৭ জুলাই ১৯৭১) মাস।
আগস্ট : শোকের মাস।
সেপ্টেম্বর : বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার জন্ম (২৮ সেপ্টেম্বর ১৯৪৭) মাস।
অক্টোবর : (বিশেষণ প্রযোজ্য) শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি পুরস্কার প্রাপ্তি (১০ অক্টোবর ১৯৭২) মাস।
নভেম্বর : বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দ্বিতীয়বার আমেরিকা থেকে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের (৭ নভেম্বর ২০০৮) মাস।
ডিসেম্বর : বিজয়ের মাস।

৮ ব্যবসা বাণিজ্য শিল্প
বেসিক ব্যাংক বসে যাওয়া, সোনালি-অগ্রণী প্রভৃতি ব্যাংকে হাজার হাজার কোটি লোপাট হয়ে যাওয়া, শেয়ার বাজারে ১৫ লড়্গ বিনিয়োগকারী ও তাদের অন্ত্মত এক কোটি আত্মীয় স্বজনের নি:স্ব হওয়া, আওয়ামী পৃষ্ঠপোষিত সেনাপতি হারম্ননের অধীনে মালটি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) ডেসটিনি জাতীয় ত্রিশের বেশি কম্পানি দ্বারা সাধারণ এবং অজ্ঞ মানুষের প্রতারিত হওয়ার খবর প্রভৃতি, বারবার সম্প্রচারিত হবার ফলে ব্যাংকিং সেক্টরে নৈরাজ্য এসেছে এবং আওয়ামী সরকারের সদিচ্ছা বিষয়ে মানুষ সন্দেহ প্রবণ হয়েছে। এটা ঘোরতর অন্যায়। ১৪ বছরের মধ্যে এই বছরেই প্রথম বিদেশি রেমিটান্স কমে গিয়েছে। জনশক্তি রফতানি এবং আবাসন শিল্পে ধ্বস নেমেছে। দেশে বেকার মানুষের সংখ্যা অনেক বেড়ে গিয়েছে। এগুলো খুব নেতিবাচক ঘটনা। সুতরাং ব্যবসা বানিজ্য শিল্প সস্নটে এসব সংবাদ পরিবেশন চলবে না। বরং বলতে হবে, রাজনৈতিক বিবেচনায় আওয়ামী লীগ সরকার যেসব ব্যাংক এবং ইউনিভার্সিটিকে চালুর অনুমতি দিয়েছে তাদের সাফল্য গাথা। বলতে হবে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, চাষীর ছেলে আতিউর রহমান পেরেছেন কারেন্সি নোট ও কয়েনে (বিশেষণ প্রযোজ্য) শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ছাপতে।

৯ রান্না
ইদানিং বিভিন্ন চ্যানেলে রন্ধন প্রণালী বিষয়ক অনুষ্ঠান প্রচারিত হচ্ছে। আরো দেখা যাচ্ছে সাধারণত এসব অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকা হন স্থূলাঙ্গী। যেমন, চ্যানেল আইয়ের রান্না বিষয়ক উপস্থাপিকা। যদিও চ্যানেল আই আওয়ামী বান্ধব তবুও তারা কেন আওয়ামী লগের সূ্থলাঙ্গী নেত্রীদের এই অনুষ্ঠানে চান্স দেয়নি। অবেসিটি ভালো নয়- এই যুক্তিতে টিভি চ্যানেলগুলো যদি বিএনপি নেত্রী সিস্নম খালেদা জিয়াকে দিয়ে রান্নার অনুষ্ঠানগুলো প্রচার করায়, তাহলে দেশের তাবত্ নারীকুল বিএনপির দিকে ঝুকে পড়তে পারে। এই সম্ভাবনা বিনাশ করতে হবে। সম্প্রচার নীতিমালায় সিস্নম নারীদের রান্নার অনুষ্ঠানে ড্রপ করার নির্দেশ দিতে হবে। পরিবর্তে আওয়ামী লীগের স্থুলাঙ্গীদের নিতে হবে।

১০ রূপচর্চা ও ফ্যাশন
ইউনিলিভার জাতীয় কম্পানিগুলো ফেয়ার অ্যান্ড লাভলির অবিরাম বিজ্ঞাপন দিয়ে বাংলাদেশে এক নিন্দনীয় বৈষম্য এবং অসহ্য অগণতান্ত্রিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। টিভি চ্যানেলের বিভিন্ন রূপচর্চা ও ফ্যাশনের অনুষ্ঠানে ফর্শাদেরই গুনগান করা হচ্ছে। ফর্শাদের এই জয়জয়কারের বড় বাহন হচ্ছে ইউনিলিভার। সম্প্রতি কিছু বাংলাদেশি টয়লেটৃজ ম্যানুফ্যাকচারারও এদিকে ঝুকে পড়েছে।
এর ফলে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া বিরাট অ্যাডভানটেজ পাচ্ছেন। এটা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। আশার বিষয় যে অন্ত্মত এক ব্যক্তি এই ফর্শা ম্যানিয়াতে ভুগছেন না। মি. মোসত্মফা সারওয়ার ফারম্নকী নির্মিত একটি বিজ্ঞপনী জিংগলে এখন বলা হচ্ছে ফর্শা মানেই সুন্দরী নয়। এই সত্ উচ্চারনের জন্য আগামী বছরে যুগপত্ একুশে পদক ও স্বাধীনতা পদক মি. ফারম্নকী পেয়ে একটি নতুন রেকর্ড করতে পারেন।
বাংলাদেশ শ্যামাঙ্গিনী ও কৃষ্ণকায় নারীর দেশ। আওয়ামী লীগ তাদের ভোট চায়। সুতরাং রূপচর্চা ও ফ্যাশন অনুষ্ঠানগুলোর উপস্থাপিকাদের নতুন ভাবে চিন্ত্মা করতে হবে।
একই সময়ে শিফন শাড়ির (বিএনপি নেত্রীর পছন্দ) চাইতে জামদানি শাড়ি (আওয়ামী নেত্রীর পছন্দ) যে অধিকতর কাম্য, সেই কথাটিও বারবার বলতে হবে।
উপরোক্ত এই দশটি কারণ বাদেও আরো বহু কারনে আওয়ামী লীগের উচিত হবে সময় নষ্ট না করে সম্প্রচার নীতিমালা পাস করা। তবে বাংলাদেশের সব বিরোধী দল এবং জনগোষ্ঠির উচিত হবে শুধু একটি কারণে সম্প্রচার নীতিমালার বিরম্নদ্ধে দেশ জুড়ে সর্বাত্মক আন্দোলন গড়ে তোলা। আর সেই কারণটি হলো :

১ সম্প্রচার নীতিমালা আইনে পরিণত হলে বাংলাদেশে কখনোই কোনো সরকার বিরোধী দল, জনগোষ্ঠি এবং ব্যক্তির মত প্রকাশের কোনো স্বাধীনতা থাকবে না, যার পরিণতিতে তাদের কারো কোনো অসিত্মত্বও থাকবে না।


১৮ আগস্ট ২০১৪

ভধপবনড়ড়শ.পড়স/ঝযধভশজবযসধহচত্বংবহঃং


__._,_.___

Posted by: Shahadat Hussaini <shahadathussaini@hotmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] জনগণের জন্য মুক্তিযুদ্ধ, আওয়ামী লীগের জন্য স্বাধীনতা যুদ্ধ



জনগণের জন্য মুক্তিযুদ্ধ, আওয়ামী লীগের জন্য স্বাধীনতা যুদ্ধ

17 August 2014, Sunday


__._,_.___

Posted by: Shahadat Hussaini <shahadathussaini@hotmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] কী চাইছে বিএনপি?



মঙ্গলবার, ১৯ আগষ্ট ২০১৪, ৪ ভাদ্র ১৪২১
কী চাইছে বিএনপি?
মাসুদা ভাট্টি
১৫ আগস্ট, জাতীয় শোক দিবস পালিত হলো। সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা তো ছিলই; কিন্তু লক্ষ্য করার মতো যা ছিল তাহলো সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে তরুণ প্রজন্ম যেভাবে এই দিনটি নিয়ে আলোচনা করেছে তাতে মনে হয়েছে সেদিন খুব বেশি দূরে নয়, যেদিন বঙ্গবন্ধু তার স্বমহিমায় বাঙালী জাতি ইতিহাসে তার প্রকৃত আসনটি প্রতিষ্ঠা করে নেবেন। একথা মানতেই হবে যে, এখনও আমরা বঙ্গবন্ধুকে তাঁর প্রাপ্য মর্যাদা ও সম্মান দিতে পারিনি। এবারও যথারীতি দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দলের নেতা বেগম খালেদা জিয়া ১৫ আগস্টের এই শোকাবহ দিনে ৬৯ পাউন্ড ওজনের ঢাউস কেক কেটে তার ভুয়া জন্মদিন পালন করেছেন। হাসিমুখে তার পাশে দাঁড়িয়ে ছবির জন্য পোজ দিয়েছেন তার দলের সিনিয়র-জুনিয়র নেতৃবৃন্দ। এবং ১৫ আগস্ট নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বেগম জিয়া বঙ্গবন্ধুকে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বোঝাই যাচ্ছে, এত দূরবস্থাতেও তার নোংরা মনমানসিকতা একটুও কমেনি। 
এই নোংরামোর শুরুও সেই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টেই। বঙ্গবন্ধুর মৃতদেহ তখনও পড়ে আছে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের সিঁড়িতে। তখনই রেডিও স্টেশনে গিয়ে খুনীরা ঘোষণা দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে অপমান করা শুরু করেছে। চলচ্চিত্রকার খান আতা'র মতো চিহ্নিত পাকিস্তানপ্রেমীগণ গিয়ে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের সূর্যসন্তান আখ্যা দিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে গান লিখে তাতে সুরারোপ করে রেডিওতে প্রচারের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। আপেল মাহমুদের মতো তথাকথিত শব্দসৈনিকরা খুনীদের সহযোগিতায় নেমেছিল হাত-পা ধুয়ে। তারপর তো দীর্ঘ অন্ধকারের যুগ এদেশে। বঙ্গবন্ধু এবং আওয়ামী লীগ বিরোধিতায় বহু রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছিল রাতারাতি। যার প্রথম ও প্রধানটি ছিল জেনারেল জিয়াউর রহমানের বিএনপি (প্রথমে জাগদল নামে ও পরে বিএনপি নামে)। আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক দল, তার বিরোধী শক্তি হিসেবে গণতান্ত্রিক নিয়মে যদি কোন রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠিত হয় তাতে আপত্তির কিছু থাকার কথা নয়। কিন্তু কার্যত দেখা গেল যে, এদেশে আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করে নয়, কেবল বঙ্গবন্ধু-বিরোধিতায় যে রাজনৈতিক শক্তিটি মাথাচাড়া দিয়ে উঠল তা সরকারী অর্থে অতি দ্রুত ফুলে-ফেঁপে উঠল। পাকিস্তান, সৌদি আরব ও চৈনিক অর্থ-সাহায্যে এই প্লাটফরমগুলো বাংলাদেশে রাজনীতির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে বসল। পাকিস্তান, সৌদি আরব ও লন্ডন থেকে ফিরে এলো দেশবিরোধীরা এবং দেশের ভেতর আত্মগোপনে থাকা স্বাধীনতা-বিরোধীরাও সাপের মতো শীতনিদ্রা থেকে বেরিয়ে এলো দ্রুত। আর এই সব কু-রাজনীতির মধ্যে বঙ্গবন্ধু এক প্রকার নিষিদ্ধই হয়ে পড়লেন। আওয়ামী লীগ তো ভেঙ্গেচুরে দলামোচড়া হয়ে পড়েই ছিল শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসার আগ পর্যন্ত। 
কিন্তু সামরিক শাসনকাল পেরিয়ে যখন বাংলাদেশ নতুন করে ভোটের রাজনীতির যুগে প্রবেশ করল তখন বঙ্গবন্ধু পড়লেন নতুনতর বিপাকে। এতদিন তাঁর নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করা হলেও তাঁকে কেউ বিকৃত করে উপস্থাপন করার সাহস দেখায়নি। এই গণতান্ত্রিক আমলের পরই পরবর্তী সময় থেকে বঙ্গবন্ধুর বিরোধীরা তাঁকে নানাভাবে অপদস্থ করতে শুরু করলেন। অপমান করার দুঃসাহস দেখাতে শুরু করল। আর এক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে থাকলেন বিএনপিনেত্রী খালেদা জিয়া। ১৫ আগস্ট তিনি ঘোষণা করলেন তার তথাকথিত জন্মদিনের। স্বাভাবিকভাবেই হিযবুল বাহারে ঘোরা প্রজন্ম বেগম জিয়ার এই কেক কাটার অশ্লীল আনন্দে উদ্বেলিত হতে শুরু করল। বেগম জিয়ার পারিষদবর্গ, তাকে তুস্ট করতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ইতিহাস বিকৃতির চরম প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হলো। আর সেই সময়ে জেনারেল জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক বানিয়ে দেয়া হলো প্রথমে ২৭ মার্চ তারিখে এবং পরে ২৬ মার্চেই তার ঘোষণার দিন তারিখ ঠিক হলো। যেহেতু মুক্তিযুদ্ধ মানেই বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ মানেই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ সেহেতু মুক্তিযুদ্ধকে বিএনপি'র কোলে টানতেই হবে। অথচ জেনারেল জিয়া কিন্তু এর ধার মোটেও ধারেননি। তিনি জীবিতাবস্থায় নিজেকে কোনদিন মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক দাবি করেননি। একথা সত্য, তিনি পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধ-বিরোধীদের দেশে ফিরিয়ে এনেছেন। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত সংবিধানের চার মূলনীতিকে উচ্ছেদ করেছেন। দেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি চালুর মাধ্যমে মূলত তিনি স্বাধীনতা-বিরোধীদের পুনর্বাসন করেছেন। এবং সেনাবাহিনীর ভেতর অগণিত মুক্তিযোদ্ধাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধ যে আসলে জিয়াউর রহমানের কাছে খুব বড় কোন বিষয় ছিল না কিংবা তার সঙ্গে নিজেকে জড়ানোটা যে খুব বড় সম্মানের সে সম্পর্কে তার ভেতর কোন ভিন্ন আবেগ কাজ করেনি, তা তার জীবন ও কর্মকে একটু গভীরভাবে বিশ্লেষণ করলেই বোঝা যায়। কিন্তু তার স্ত্রী বুঝেছিলেন যে, এদেশে মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে রাজনীতি করতে পারলে আওয়ামী লীগের হাত থেকে মুক্তিযুদ্ধকে হাইজ্যাক করা সম্ভব হবে এবং তিনি এতে অনেকটাই সফল হয়েছেন বলা যায়। মুক্তিযোদ্ধাদের একটি অংশকে তিনি লোভ দেখিয়ে হোক কিংবা অন্য যেভাবেই হোক নিজের দিকে আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছেন। এবং মজার ব্যাপার হলো মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিতে তিনি এই মুক্তিযোদ্ধাদেরই কাজে লাগিয়েছেন সবচেয়ে বেশি। তিনি হয়ত ভেবেছেন যে, এদের দিয়ে যদি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিএনপি'র মতো করে বলানো যায় তাহলে মানুষ বিশ্বাস করলেও করতে পারে। বলাই বাহুল্য কেউ কেউ এই চাতুর্যে বিশ্বাসও করতে শুরু করেছেন, বিশেষ করে ৮০ ও ৯০-এর প্রজন্ম। 
কিন্তু মাঝখানে ১৯৯৬ চলে আসায় বেগম জিয়া ও তার দলকে একটুখানি অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়। কারণ, এই সময়েই বাংলাদেশে আবার মুক্তিযুদ্ধের স্বাভাবিক ও সত্য ইতিহাস উদ্ভাসিত হতে শুরু করে। এতে শেখ হাসিনার প্রথম সরকার খুব যে সফল হয়েছে তা বলা যাবে না; কিন্তু যতটুকুই হয়েছে তাতেও মানুষের চেতনায় নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া শুরুর ফলে দেশের মানুষের সামনে ইতিহাসের যে অকথিত নিষিদ্ধ অধ্যায় উন্মোচিত হতে শুরু করে তাতে এদেশে বিএনপির রাজনীতিই প্রশ্নের মুখে পড়ে। অন্য যে কোন স্বাভাবিক দেশ হলে এই ষড়যন্ত্র ও হত্যার রাজনীতির জন্য এই রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল হতো এবং নিক্ষিপ্ত হতো ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে। কিন্তু এটা বাংলাদেশ বলেই হয়ত ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত আবার ক্ষমতায় বসে। কিন্তু এটাও ইতিহাসের বাস্তবতা যে, ২০০১ সালে জোট সরকারের ক্ষমতায় আসাটা আসলে প্রয়োজন ছিল, কারণ তা না হলে মানুষ বুঝতেই পারত না যে, এদেশে মুক্তিযুদ্ধ-বিরোধিতা কেমন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে। এদেশে দুর্নীতিই বা কেমন লাগামহীন হতে পারে তাও মানুষের অজানাই থেকে যেত যদি না হাওয়া ভবন প্রতিষ্ঠিত হতো। এদেশে জঙ্গীবাদের ভয়াবহতা মানুষের অজ্ঞাত থেকে যেত যদি না সারা দেশে একযোগে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা না ঘটত। এদেশের বিরোধী রাজনীতি যে কাম্য নয় সে ধারণা পাওয়া যেত না, যদি ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা না হতো। এরকম বহু উদাহরণ দেয়া যেতে পারে জোট আমলের। কিন্তু তাতে লেখার কলেবর বাড়ানো ছাড়া আর কোন উপকার হবে না। আর এই সময়ই বঙ্গবন্ধুকে সবচেয়ে বেশি অপমানের শিকার হতে হয়েছে এবং তাতেই এদেশের মানুষ বুঝতে সক্ষম হয়েছে যে, এরা কারা? কী তাদের উদ্দেশ্য? কেন তারা মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে বার বার অপমান করে? কেন তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দাবি করেও বার বারই নিজেদের পাকিস্তানের একনিষ্ঠ সেবক হিসেবে প্রমাণ করে? যদি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকা-ের সঙ্গে তারা জড়িত নাই-ই হবে তাহলে কেন তারা এই দিনে নৃত্যগীত উৎসব পালন করে? এরকম বহু প্রশ্নের মুখোমুখি আমাদের করেছে বিএনপি-জামায়াত জোটের শাসনামল। 
আর ২০০৮ সালে যখন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট ক্ষমতায় এসে যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করে তখন তো দুধ এবং পানি আলাদা হতে মোটেও সময় লাগেনি। মানুষের সামনে বিএনপি ও জামায়াতের নগ্ন চেহারা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু তখন যে সমস্যাটি বিএনপি সমর্থকদের হয়েছে তাহলো, তারা আসলে বুঝতে পারেনি যে, বিএনপি বলে আলাদা কোন দল আদৌ কি আছে? যেমন এখন অনেকেই প্রশ্ন করছেন যে, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে জামায়াতের যে অবস্থান বিএনপিরও সেই একই অবস্থান, ১৫ আগস্ট নিয়ে জামায়াতের যে অবস্থান বিএনপিরও সেই একই অবস্থান; বিএনপি'র রাজনীতি আর জামায়াতের রাজনীতিতে পার্থক্য খুব সামান্য- তাহলে বিএনপি নামক একটি আলাদা রাজনৈতিক দলের আদৌ কোন প্রয়োজন আছে কি? কিংবা বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে আলাদা অস্তিত্বই বা কোথায়? তারেক জিয়া যেমন বলেছিলেন, বিএনপি ও জামায়াত হচ্ছে একই মায়ের পেটের দুই ভাই। কিন্তু সামাজিক গণমাধ্যমে এখন কেউ কেউ কৌতুক করে বলছেন, জামায়াত যদি মওদুদীর বৈধ সন্তান হয় তাহলে বিএনপি তার অবৈধ সন্তান। এটা নিছকই কৌতুক হয়ত, কিন্তু কৌতুক হলেও প্রশ্নগুলো যখন উঠছে তখন বিএনপিকে এর জবাব দিতে হবে এবং না দিতে পারলে দলের দুরবস্থা ক্রমশ আরও নিম্নগামী হবে, তাতে কোন সন্দেহ নেই। হয়ত আরও কিছুকাল ১৫ আগস্টে বিশাল কেক কেটে আনন্দ উৎসব করা সম্ভব হবে বেগম জিয়ার পক্ষে; কিন্তু কিছুকাল পরে হয়ত এই আনন্দে অংশগ্রহণের লোকেরও অভাব পড়বে। যে মুসলিম লীগকে গলাধঃকরণ করে বিএনপি আজ রাজনীতি করছে, তার পরিণতি বিএনপিকেও বরণ করতে হতে পারে সে কথা তো অনেকেই অনেকদিন থেকেই বলে আসছেন। বেগম জিয়া না বুঝুন, দলের নেতাদের অনেকেই যে সেটা বুঝতে পেরেছেন তা তো বোঝা যাচ্ছে দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকেই। তবে কি এখন কেবলই সেই সময় গণনা? 
অবশ্য অনেকেই বলছেন যে, বিএনপি ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সময় নিচ্ছে। কেউ কেউ আবার এও বলছেন যে, বড় ধরনের ষড়যন্ত্র নিয়ে দলটি সামনের দিকে এগুচ্ছে। ষড়যন্ত্র আর বিএনপি এখন সমার্থক শব্দ হয়ে উঠছে। সম্প্রতি বিএনপি নেতা রাজশাহীর মেয়র মিনু সাহেব সদম্ভে বলেছেন, আগামী ২১ দিনের মধ্যে শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাত করা হবে। তিনি নিশ্চয়ই কোন আভাস থেকে এই ভবিষ্যত বাণীটি করেছেন। বেগম জিয়া বলেছেন, নতুন সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। রিজভী সাহেব বলেছেন, প্রয়োজনে বিএনপি ভিন্ন পথে হাঁটবে। ষড়যন্ত্র করে বার বার সফল হওয়ার ইতিহাস তাদের রয়েছে; কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের কিন্তু মানুষ বিশ্বাস করে না বলেও প্রমাণিত হয়েছে। আবারও যদি সে পথে হেঁটেই বিএনপি ঘুরে দাঁড়াতে চায় তাহলে আগামী দিনে দলটির অস্তিত্ব নিয়ে যে টানাটানি পড়বে তাতে সন্দেহ নেই। এই আধুনিক ও সচেতন সময়ে ষড়যন্ত্র করে বেশিদূর এগুনো যাবে না। এটা যে ১৯৭৫ সাল নয়, নয় ২০০১ সালও, সেকথা বিএনপি যত মনে রাখবে ততই দলটির জন্য মঙ্গল। 
ঢাকা ॥ ১৮ আগস্ট, সোমবার ॥ ২০১৪ ॥
masuda.bhatti@gmail.com
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ১৯ আগষ্ট ২০১৪, ৪ ভাদ্র ১৪২১



__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বসেরার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ।



বিশ্বসেরায় ৭ মার্চের ভাষণ

বিশ্বসেরায় ৭ মার্চের ভাষণ

মঈনুল হক চৌধুরী  বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

Published: 2014-08-18 20:55:26.0 BdST Updated: 2014-08-19 01:10:45.0 BdST

  আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বসেরার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ।

১৯৭১ সালে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (এখন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) 'এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম' বলার মধ্য দিয়েই কার্যত স্বাধীনতার ডাক দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

স্বাধীনতার সংগ্রামের প্রেরণাদায়ী ওই ভাষণ এখনো আলোচিত, এনিয়ে লেখা হয়েছে কবিতাও।

বঙ্গবন্ধুর ওই ভাষণকে বিশ্বসেরা অন্যতম ভাষণ বলে অনেকে মনে করেন। এবার বিশ্বসেরা ভাষণ নিয়ে যুক্তরাজ্যের একটি প্রকাশনায় তা স্থান পেয়েছে।

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "বঙ্গবন্ধুর বিশ্বসেরা ভাষণের বিষয়টি এতদিন আমরা বলে এসেছি, এখন তা বাস্তবায়িত হয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে তা প্রকাশ হল।"

ইংরেজিতে অনুদিত ভাষণের বইটির নাম 'উই শ্যাল ফাইট অন দ্য বিচেস'- দ্য স্পিচেস দ্যাট ইন্সপায়ার্ড হিস্টরি [we shall figth on the beaches: the speeches that inspired history]'।

বইটির সঙ্কলক - জ্যাকব এফ ফিল্ড। খৃস্টপূর্ব ৪৩১ সাল থেকে ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সেরাভাষণ নিয়ে ২২৩ পৃষ্ঠার বই এটি।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার উইনস্টন চার্চিলের ভাষণ থেকে নেয়া শিরোনামের এই সঙ্কলন গ্রন্থের শেষ ভাষণটি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগ্যানের 'টিয়ারস ডাউন ওয়াল'।

বইটির ২০১ পৃষ্ঠায় 'দ্য স্ট্রাগল দিস টাইম ইজ ট্য স্ট্রাগল ফর ইন্ডিপেন্ডেন্স' শিরোনামে স্থান পেয়েছে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ।

শামসুজ্জামান খান বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণটি বিশ্বসেরা ভাষণের একটি। এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে বিশ্বসেরা ভাষণ নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে অনেক প্রকাশনা রয়েছে। কোনোটিতে এ পর্যন্ত অন্তর্ভুক্ত ছিল না।

"এই প্রথম আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বসেরা ভাষণগুলোর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হলো ৭ মার্চের ভাষণ। এখন আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বসেরার তালিকায় স্থান পেল বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণটি। এটি অনেক আনন্দের।"

বইটি নিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করবেন বলেও জানান বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক।

প্রাবন্ধিক ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক বইটি সংগ্রহ করেছেন বলেও জানান তিনি।

মফিদুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সম্প্রতি যুক্তরাজ্য থেকে বইটি প্রকাশিত হয়েছে। কানাডা সফরকালে একটি মাত্র কপি নিজের জন্য সংগ্রহ করেন তিনি।

"সেরা ভাষণ নিয়ে অনেক বই রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বিশ্বসেরার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে কোনো প্রকাশনা আগে পাইনি। এই প্রথম সেরাদের তালিকায় ছাপানো হল," বলেন এই গবেষক।

গত শনিবার কানাডা থেকে ফেরার পর এখনো বইটি পড়ার সুযোগ না হওয়ায় বিস্তারিত কিছু বলতে পারেননি মফিদুল হক।

আট মাস আগে প্রকাশিত বইটি বাংলাদেশে আলোচনায় আসে সোমবার বাংলা একাডেমিতে সাংবাদিক বেবী মওদুদের স্মরণ সভায়।

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক 'বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী' গ্রন্থনায় বেবী মওদুদের ভূমিকার কথা তুলে ধরার এক পর্যায়ে এই বইটি তুলে ধরে বলেন, "আজ দুঃখের মাঝেও একটা আনন্দের খবর রয়েছে। বেবী থাকলে খুব খুশি হতেন।

"প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বেবী মওদুদ ও আমি বারবার চেয়েছিলাম বিশ্বসেরা ভাষণে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ অন্তর্ভুক্ত হোক। আজ একটা বই পেয়েছি, গ্রেট স্পিচের তালিকায় তা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।"
 

(৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ওই ভাষণের সময় নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত আবদুর রাজ্জাকেরস্মৃতিকথন পড়ুন)

English Version:

Historic Mar 7 speech recognised as one of the 'world's all-time best'
Also read:

বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ

Video:
Transcript:


যেমন ছিল সেদিনের সেই বিকেলটি

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের বাড়ি থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রেসকোর্সে নিয়ে যাওয়ার ভার ছিল আব্দুর রাজ্জাকের। উত্তাল সেই দিনটির কথা শুনুন প্রবীণ এই রাজনীতিকের মুখে।

The Seventh March Address and the Gettysburg Address




From Gettysburg to Racecourse- The historical speech of 7 March delivered by Bangabandhu




__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার নেপথ্যে প্রাসাদ ষড়যন্ত্র হাওয়া ভবনেই হামলার মূল পরিকল্পনা



নেপথ্যে প্রাসাদ ষড়যন্ত্র হাওয়া ভবনেই হামলার মূল পরিকল্পনা

সমকাল প্রতিবেদক
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে গ্রেনেড হামলার নেপথ্যে ছিল প্রাসাদ ষড়যন্ত্র। আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে গভীর ষড়যন্ত্রের নীলনকশার অন্যতম প্রকাশ ছিল সেই ন্যক্কারজনক হামলা। রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ভয়ঙ্কর সে হামলায় নেতৃত্ব দেয়। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বহুল আলোচিত 'হাওয়া ভবনে' বসে হামলার পরিকল্পনা হয়েছিল। তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে হত্যাই ছিল হামলার মূল উদ্দেশ্য। আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে হত্যার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। এ ঘটনায় করা দুটি মামলার অধিকতর তদন্তে এমন তথ্যই বেরিয়ে এসেছে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু বলেছেন, এ হামলার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর কন্যা তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছিল। স্মরণকালের ভয়াবহ এ হামলার সপ্তম বার্ষিকী আজ।
আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী শান্তি সমাবেশে নৃশংস গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদিকা আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন প্রায় ৩০০। আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার উদ্দেশ্য পুরোপুরি সফল না হলেও বেশ ক'টি তাজা প্রাণ ঝরে যায়। স্পিল্গন্টারের ক্ষত নিয়ে বেঁচে থাকতে হচ্ছে অনেককে। হামলার পর তৎকালীন সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে জঙ্গিদের রক্ষায় সব ধরনের ব্যবস্থা
নেওয়া হয়। বেনামে পাসপোর্ট তৈরি করে বিদেশে পালিয়ে যেতে সহায়তা করা হয় জড়িত শীর্ষ জঙ্গিদের।
এরপর মামলাটি ভিন্ন খাতে নেওয়ার উদ্দেশ্যে মূল আসামিদের আড়াল করে 'জজ মিয়া নাটক'-এর অবতারণা হয়। জজ মিয়া আদালতে মিথ্যা জবানবন্দি দিতে বাধ্য হন। নানা নাটকীয়তা শেষে রাঘববোয়ালদের নাম বেরোতে শুরু করে। এ বছর ৩ আগস্ট জমা দেওয়া দুটি মামলার সম্পূরক চার্জশিটে এ ব্যাপারে সুনিশ্চিত প্রমাণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
সাক্ষীদের জবানবন্দি ও আসামিদের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে সম্পূরক অভিযোগপত্রে বলা হয়, তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকারের উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ছোট ভাই হরকাতুল জিহাদের (হুজি) নেতা মাওলানা তাজউদ্দিন ও হুজি নেতা মুফতি আবদুল হান্নানের সহায়তায় ২০০৩ সালে কাশ্মীরভিত্তিক সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের নেতা আবদুল মাজেদ ভাট ওরফে ইউসুফ ভাট ও তেহরিক-ই-জিহাদিল ইসলামী (টিজেআই) নেতা মুজ্জাফর শাহ বাংলাদেশে আসে এবং জঙ্গি তৎপরতা চালানোর জন্য পাকিস্তান থেকে গ্রেনেড ও গুলি আনে। এ গ্রেনেডের কিছু অংশ মুফতি হান্নান তার সহযোগীর মাধ্যমে ভারতে পাঠায়। কিছু মাওলানা তাজউদ্দিন ও নিজের কাছে রেখে দেয় মুফতি হান্নান। সে সময় আবদুস সালাম, মাওলানা তাজউদ্দিন, মুফতি হান্নান, মাওলানা আবদুর রউফ ও আবদুল মাজেদ ভাট মোহাম্মদপুরের সাতমসজিদে একত্র হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, জঙ্গি তৎপরতা চালানোর 'প্রধান বাধা' আওয়ামী লীগ বিশেষ করে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের হত্যা করা গেলে তাদের কর্মকাণ্ড চালানোর পথ সুগম হবে। তখন বিএনপির নেতৃত্বে জোট সরকার ক্ষমতায় থাকায় এ আক্রমণ চালানো সহজ হবে বলেও তারা সিদ্ধান্তে উপনীত হয়। এরপর তারা কুমিল্লার মুরাদনগরের এমপি মোফাজ্জল হোসেইন কায়কোবাদের সহযোগিতায় ২০০৪ সালের প্রথমদিকে ঢাকার বনানীতে 'হাওয়া ভবনে' গিয়ে তারেক রহমান ও হারিছ চৌধুরীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলে। শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ নেতাদের হত্যাসহ জঙ্গি কার্যক্রম চালানোর জন্য তারা সহযোগিতা চায়। তারেক রহমান তাদের সব রকমের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
চার্জশিটে আরও বলা হয়েছে, মুফতি হান্নান তার বাড্ডার অফিস, মোহাম্মদপুর ও অন্যান্য জায়গায় সহযোগীদের নিয়ে সভা করে। ২০০৪ সালের আগস্টে মুফতি হান্নান ও তার সহযোগীরা জানতে পারে, সিলেটে গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে ঢাকার মুক্তাঙ্গনে আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করবে। সেই সমাবেশকেই 'মোক্ষম সুযোগ' হিসেবে বেছে নেয় জঙ্গিরা। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আবারও তারা তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাতের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর মুফতি হান্নান আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে এক দিন মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা শেখ ফরিদ, মাওলানা তাজউদ্দিন, মাওলানা আবদুর রশিদসহ এনজিও আল-মারকাজুল ইসলামের অফিসে সমবেত হয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের একটি মাইক্রোবাসে করে বনানীর হাওয়া ভবনে যায়। মাওলানা আবদুর রশিদকে ভবনের নিচতলায় রেখে তারা দোতলায় তারেক রহমানের অফিসে যায়। সেখানে তারেক রহমান, লুৎফুজ্জামান বাবর, হারিছ চৌধুরী, জামায়াতে ইসলামীর নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, এনএসআইর তৎকালীন মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার আবদুর রহিম, সিআইডির তৎকালীন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার (পরে মেজর জেনারেল) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরীর সঙ্গে সভা করে। তারেক রহমান উপস্থিত সবার সামনে মুফতি হান্নান ও তার সহযোগীদের সব রকমের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। আশ্বাস অনুযায়ী মুফতি হান্নান ও তার অন্য সহযোগীরা মোহাম্মদপুর, বাড্ডাসহ বিভিন্ন জায়গায় আবারও সভা করে শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কর্মপন্থা নেয়। এ সময় তারা নিশ্চিত হয়, ২১ আগস্ট মুক্তাঙ্গনে আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন। ১৮ আগস্ট উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ধানম ির সরকারি বাসায় মাওলানা হাফেজ আবু তাহের, মাওলানা তাজউদ্দিন ও মুফতি হান্নান সভা করে। সেখানে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, হানিফ পরিবহনের মালিক মোঃ হানিফ ও ডিসিসির ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলাম আরিফ উপস্থিত ছিলেন। তাদের উপস্থিতিতে আবদুস সালাম পিন্টু ও বাবর বলেন, হানিফ ও আরিফ তাদের সব সহায়তা দেবে এবং প্রশাসনিক সহযোগিতা থাকবে। এরপর ২০ আগস্ট মুফতি হান্নানের সহযোগী আহসান উল্লাহ কাজল ও মুফতি মঈন আবু জান্দাল, আবদুস সালাম পিন্টুর ধানম ির বাসা থেকে মাওলানা তাজউদ্দিনের সরবরাহ করা ১৫টি গ্রেনেড পশ্চিম মেরুল বাড্ডায় কাজলের ভাড়া করা বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে মুফতি হান্নান মুন্সীসহ হরকাতুল জিহাদের সদস্যরা ২১ আগস্টের গ্রেনেড আক্রমণের কৌশল নিয়ে আলোচনা করে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেয়। ২১ আগস্ট কাজলের বাসা থেকে সবশেষ প্রস্তুতি নিয়ে মুফতি হান্নান, আবদুল মান্নান ও ডা. জাফরের নির্দেশনা এবং তত্ত্বাবধানে জঙ্গিরা কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সভাস্থলে যায় ও প্রাণঘাতী আক্রমণ চালায়।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি-পূর্ব) ওবায়দুর রহমান খান ঘটনায় জড়িত আসামিদের গ্রেনেড আক্রমণের সুবিধায় ও রক্ষার উদ্দেশ্যে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেননি। এ ঘটনায় ব্যবহৃত অবিস্ফোরিত তাজা গ্রেনেড আলামত হিসেবে জব্দ করার পরও তা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেননি। এমনকি আদালতের অনুমতি না নিয়েই উদ্দেশ্যমূলকভাবে সেনাবাহিনীকে দিয়ে গ্রেনেড ধ্বংস করিয়েছেন। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু এভিনিউ সংলগ্ন পশ্চিমপাশের এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত (ডিসি-দক্ষিণ) খান সাঈদ হাসান ঘটনায় জড়িতদের সহজে গ্রেনেড আক্রমণের সুবিধার্থে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেননি। এ কারণে আসামিরা নির্বিঘ্নে পালিয়ে যেতে পেরেছে।
আসামি ও সাক্ষীদের জবানবন্দি সূত্রে জানা গেছে, সাবেক আইজিপি আশরাফুল হুদা, শহুদুল হক, সাবেক ডিসি (পূর্ব) ওবায়দুর রহমান খান, সাবেক ডিসি (দক্ষিণ) খান সাঈদ হাসান পরস্পর যোগসাজশে মূল আসামিদের প্রশাসনিক সহায়তা দেন। তৎকালীন পুলিশ কমিশনার আশরাফুল হুদা ঘটনাস্থলে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা না নিয়ে ঘটনার দিন তড়িঘড়ি বিদেশে চলে যান। তিনি বিদেশ থেকে ফিরেও দায়ী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোনো বিভাগীয় তদন্ত বা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেননি। এ বিষয়ে পুলিশ সদর দফতর কোনো প্রতিবেদনও দেয়নি। সাবেক আইজিপি শহুদুল হক ঘটনার সময় আইজিপির দায়িত্ব পান। তিনি উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিরোধীদলীয় নেতার উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থার বিষয়ে খোঁজখবর নেননি। এমনকি ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার মিজানুর রহমান দায়ী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে চাইলে তিনি রাজি হননি।
২০০০ সালের জুলাইয়ে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বোমা পুঁতে রেখে এবং ২০০১ সালে সিলেটে বোমা মেরে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলা সিআইডি তদন্ত করে। তখন থেকে সিআইডির এএসপি মুন্সী আতিকুর রহমান, এএসপি আবদুর রশিদ ও বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন জানতেন, মুফতি হান্নান ও তার জঙ্গি গোষ্ঠী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের বারবার হত্যার চেষ্টা চালাচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন স্তরের লোকজনও অবহিত ছিল। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার তদন্তের প্রথম পর্যায় থেকে মুফতি হান্নানসহ অন্য অপরাধীদের বাঁচাতে ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা ছিল। এ জন্য মুফতি হান্নান ও তার অন্য সহযোগীদের বিরুদ্ধে কোনো তদন্ত বা ব্যবস্থা না নিয়ে জজ মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে মিথ্যা, বানোয়াট স্বীকারোক্তি আদালতে লিপিবদ্ধ করানো হয়।

http://votebd.wordpress.com/2011/08/21/%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A6-%E0%A6%B7%E0%A7%9C%E0%A6%AF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D/

'হাওয়া ভবন'



__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] Fwd: Press Conference Invite: Indian Muslims condemn ISIS atrocities against minorities in Iraq




Please do attend, pass the word.
 
Dolphy D'souza
09820226227
----- Original Message -----
Sent: Monday, August 18, 2014 6:41 PM
Subject: Fwd: Press Conference Invite: Indian Muslims condemn ISIS atrocities against minorities in Iraq


PRESS CONFERENCE



Dear Sir/Madam,

We are organising a press Conference tomorrow, August 19, 2014 at the Islam Gymkhana at 3 p.m. to condemn the brutal atrocities by ISIS against Minorities in Iraq and Syria.

A statement signed by Muslims -- activists, intellectuals, community and religious leaders, scholars and academics – representing very many organizations from across India will be released at the press conference.

Dr. Zeenat Shaukat Ali, Irfan Engineer, Noorjehan Safia Niaz, Javed Anand, Fr. Frazer Mascarenhas and Dolphy D'Souza will be present to speak to the media. 

Day/Date: Tuesday, August 19, 2014

Venue: Islam Gymkhana, Conference Hall, Marine Drive (adjacent to Marine Lines Station), Mumbai

Time:  3 p.m.

Kindly depute a reporter and a photographer to cover the press conference.


Yours sincerely,

Javed Anand

9870402556




--
Javed Anand
+919870402556
+91-22-26602288
Nirant, Juhu Tara Road, Juhu
Mumbai 400049



--
Javed Anand
+919870402556
+91-22-26602288
Nirant, Juhu Tara Road, Juhu
Mumbai 400049



__._,_.___

Posted by: ram puniyani <ram.puniyani@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

Newer Posts Older Posts Home