নৈতিক স্খলনে দল থেকে অব্যাহতি জামায়াত নেতার
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1239091/নৈতিক-স্খলনে-দল-থেকে-অব্যাহতি-জামায়াত-নেতার
জামায়াত নেতা ধর্ষন করলেন পালিত কন্যাকে!স্ত্রীর মামলা দায়ের, পালিয়ে বেড়াচ্ছেন মা -মেয়ে।
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৮, ২০১৭ ১০:৫০ অপরাহ্ণ আপডেট: এপ্রিল ২৮, ২০১৭ at ১০:৫৩ অপরাহ্ণইউকে বিডিটাইমস ডেক্সঃকক্সবাজারের পর্যটন নগরী উখিয়ার ইনানীতে এক জামায়াত নেতা তার পালক মেয়ে শফিরবিল ইসলামীয়া মাদ্রাসার ৫ম শ্রেনীর ছাত্রী আমেনা আক্তার (১৩)কে ধর্ষন করেছেন। উক্ত ঘটনার ৪ মাসের মাথায় মা তাহমিনা আক্তার বাদী হয়ে লম্পট স্বামী ডাঃ আজিজুল হক কে প্রধান আসামী করে উখিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। থানার ওসি মোঃ আবুল খায়ের এজাহারটি আমলে নিয়ে তা ধর্ষন মামলা হিসাবে নথিভুক্ত করেন। যার মামলা নং- জি আর ২১, তারিখঃ ১৮/৪/২০১৭ইং।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জালিয়া পালং ইউনিয়নের মোঃ শফির বিল গ্রামের মৃত মোঃ কালুর ছেলে স্বঘোষিত ভূয়া ডাক্তার ও ৭ নং ওয়ার্ড জামায়াতের আমির আজিজুল ইসলামের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার গত ৭ জানুয়ারী সকালে ১১ টার দিকে কক্সবাজারস্থ তার ভাইয়ের বাসায় বেড়াতে যাওয়ার সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে লম্পট আজিজুল হক বাড়ীতে থাকা তার পালক মেয়ে কে রাতভর জোর পূর্বক ধর্ষন করে রক্তাত্ত অবস্থায় ফেলে রাখে।
পর দিন বিকালে মা তাহমিনা আক্তার কক্সবাজার থেকে বিকালে বাড়ীতে আসলে কান্না জড়িত কন্ঠে তার উপর বয়ে যাওয়া অমানবিক নির্যাতনের কথা গুলো মা কে বলেন। মা কথা শুনে প্রতিবাদ করতে গেলে, ওই সময় লম্পট স্বামী আজিজুল ইসলাম স্ত্রী তাহমিনা আক্তারকে ডির্ভোস দেওয়ার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ধর্ষিতা মেয়ে আমেনা আক্তার কে প্রাথমিক চিকিৎসা চালিয়ে গেলেও অতিরিক্ত রক্তক্ষরন ও ধর্ষিতা মেয়ে আমেনার কোন পরিবর্তন না দেখে স্বামীর সাথে ঝগড়ার এক পর্যায়ে পার্শ্ববর্তী লোকজনের কাছে ধর্ষনের বিষয়টি জানা জানি হয়। এলাকার সর্বশ্রেনীর মানুষের মাঝে আলোচনার শীর্ষ হিসাবে স্থান পায় উক্ত ধর্ষনের বিষয়টি। মেয়ে আমেনা কে অশংকা জনক দেখে মা তাহমিনা আক্তার ১২ এপ্রিল কক্সবাজারস্থ ডাঃ খাইরুননেছা মুন্নি কে দেখালে ডাঃ তাকে আশংকা জনক দেখে দ্রুত কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করার জন্য রেফার করেন। বর্তমানেও ওসিসিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে বলে জানা গেছে।
এলাকার একটি মহল তার টাকার কাছে জিম্মি হয়ে উক্ত ধর্ষন মামলাটি ভিন্ন খ্যাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। মোটা অংকের টাকায় ঘটনাটি ধামা চাপা দেয়ার চেষ্টা ও চলছে। অপর দিকে কৌশলে ধর্ষীতা পালক মেয়ে আমেনা কে তার হাতে নেওয়ার জন্য জোর তৎপরতা চালিয়ে যাওয়ার পাশা পাশি ধর্ষন মামলার বাদী তাহমিনা আক্তারকে মামলা আপোষ দেওয়ার জন্য সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হত্যা করার হুমকি ধমকি দিচ্ছে ।
এ ব্যাপারে থানার ওসি মোঃ আবুল খায়ের শিঘ্রই ধর্ষন মামলার সাথে জড়িতদেরকে গ্রেপ্তার পূর্বক কঠিন শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে তিনি জানান।
নওগাঁয় যুবতী গৃহবধুকে ধর্ষন করতে গিয়ে আটক
নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ ॥ নওগাঁর নিয়ামতপুরে প্রতিবেশী এক যুবতী গৃহবধুকে জোরপূর্বক ধর্ষনের চেষ্টাকালে হাতে নাতে ধরা পড়লো এলাকার কুখ্যাত লম্পট আলহাজ্ব মোঃ আবুল কালাম আজাদ(৪৬)। লম্পট আবুল কালাম আজাদ (৪৬) গত ৪ বছর আগে প্রতিবেশী এক আদিবাসী গৃহবধুকে একইভাবে জোরপুর্বক ধর্ষণের চেষ্টা কালে ধরা পড়ে।
বিষয়টি স্থানীয়ভাবে আপোষ-মিমাংসার মাধ্যমে সমাধান করে ভবিষ্যতে এ রকম যাতে আর না করে তার জন্য সাবধান করে দেয়া হয়। পরে তাকে ভাল করার জন্য পরিবার থেকে ২০১৫ সালে পবিত্র হজ্ব পালন করানো হয়। কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয়নি। "চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী"। বরং দিনের পর দিন তার লাম্পট্যের পরিমান বেড়েই চলেছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিয়ামতপুর উপজেলার শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত চকরামনগর গ্রামের মৃত-নবীউল্লাহর ছেলে আলহাজ্ব মোঃ আবুল কালাম আজাদ(৪৬) বুধবার বিকেলে এক গরীব প্রতিবেশীর নির্জন বাড়িতে ঢুকে তার যুবতী স্ত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা চালায়।
গৃহবধুর চিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন ছুটে এসে লম্পট আবুল কালাম আজাদকে আটক করে এবং তাকে গনধোলাই দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। পরে স্থানীয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজাহারুল ইসলাম (বুলূ) ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে গ্রামবাসীর সঙ্গে পরামর্শ করে গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে তাকে নিয়ামতপুর থানায় সোর্পদ করা হয়।
এবিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ভিকটিম নিজেই থানায় উপস্থিত হয়ে ধর্ষন প্রচেষ্টাকারী হাজি সাহেবের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা দায়ের করেছেন। বৃহস্পতিবার ধর্ষককে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
__._,_.___