Banner Advertiser

Wednesday, March 27, 2013

[mukto-mona] Awami League in involved in some attacks on Hindu Families

If these trials are not finished with satisfactory outcome, meaning if verdicts are not up to the expectations of the people, especially the young people, it will be apparent that Awami League just wanted to use these trials for political gain. At that moment, people will lose faith in the Awami League. The result will be dire for Awami League, probably the end, because, Awami League will not be able to regain that trust back. Under that condition, it is highly likely that a third secular/progressive party will emerge out of the youth movement. That will not be so bad, isn’t it?

Now we hear, Awami League is sheltering some collaborators. Also Awami Leaguers are involved in many of those attacks on Hindu families in Bangladesh (Kustia, Chittagong, etc.). I am waiting for an alternative to Awami League…. please come forward …..


Jiten Roy



------------------------------------

****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration:
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
-Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190Yahoo! Groups Links

<*> To visit your group on the web, go to:
http://groups.yahoo.com/group/mukto-mona/

<*> Your email settings:
Individual Email | Traditional

<*> To change settings online go to:
http://groups.yahoo.com/group/mukto-mona/join
(Yahoo! ID required)

<*> To change settings via email:
mukto-mona-digest@yahoogroups.com
mukto-mona-fullfeatured@yahoogroups.com

<*> To unsubscribe from this group, send an email to:
mukto-mona-unsubscribe@yahoogroups.com

<*> Your use of Yahoo! Groups is subject to:
http://docs.yahoo.com/info/terms/

[mukto-mona] Fw: [KHABOR] This is for Mr. Mohiuddin




----- Forwarded Message -----
From: Sitangshu Guha <guhasb@gmail.com>
To: Khobor <khabor@yahoogroups.com>; muktamona@yahoogroups.com
Sent: Tuesday, March 26, 2013 10:06 PM
Subject: [KHABOR] This is for Mr. Mohiuddin





__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] Fw: [KHABOR] Columnist Farhad Mazhar is now a Communist by his own admission ....!


----- Forwarded Message -----
From: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>
To: Khobor <khabor@yahoogroups.com>; notun Bangladesh <notun_bangladesh@yahoogroups.com>; chottala@yahoogroups.com
Sent: Tuesday, March 26, 2013 7:56 PM
Subject: [KHABOR] Columnist Farhad Mazhar is now a Communist by his own admission ....!

 
Mr. Mohiuddin Anwar 

Have you really understood Farhad Mazhar's views ....?

Columnist Farhad Mazhar is a Communist by his own admission ....!
[see "আমার মতো কমিউনিস্ট" in his Inqalib write-up ] 

BTW , your friend Abid Bahar also declared himself ,  a non-practicing
Muslim [in Vinnomot/Notun_Bangladesh around 2006]. 
Farhad Mazhar, seems to be a communist, as well as a non-practicing
Muslim .....  
How about yourself, Mr. Mohiuddin Anwar ?

Farhad Mazhar said: " কিন্তু কমিউনিজমের যারা গুরু মার্কস বা লেনিন, তারা কখনোই ধর্মের বিপরীতে নাস্তিকতাবাদ প্রচার করেননি। কিন্তু ধর্মের নামে জালিমের ওপর শোষণ-নিপীড়নের বিরোধিতা করেছেন।" Do you appreciate this statement of Farhad Mazhar now?
Farhad Mazhar also said  "  গণমানুষের দরদি যে কোনো মোমিন মুসলমান যে কাজটি সব সময়ই করে থাকেন।" ..... Jamaate Islami is not a party of the  "মোমিন মুসলমান"...
it has collaborated with Yahia regime, aided and abetted genocide and mass
rapes in occupied Bangladesh in 1971.... in our times it has not uttered a single
word against the corruptions perpetuated by Hawa Bahobon & it's cronies ....



In essence, Jamaate Islami is a party of the religion-traders that uses Islam
as a mask to mislead  (বিভ্রান্ত করতেthe common Allah-fearing Muslims.

PS: What's your comment on this statement ! 
নাস্তিকদের সঙ্গে মোমিন মুসলমানের সামাজিক কোনো ঝগড়া নেই। 
  ফলে কাউকে যখন তখন মুরতাদ বলা বা তার বিশ্বাসের জন্য শারীরিকভাবে 
  ক্ষতি করা মোমিনের কাজ হতে পারে না।" - ফরহাদ মজহার
Do you agree?

Syed Aslam 


2013/3/26 Mohiuddin Anwar <mohiuddin@netzero.net>
Mr. Nazrul,
You are right that Hasina's Chamcha Mohammad Ali doesn't know Columnist Forhad Mazhar.
Thank for your comment.

---------- Original Message ----------
From: Nazrul Chowdhury <nazrulic@gmail.com>
To: Muhammad Ali <man1k195709@yahoo.com>
Cc: Mohiuddin Anwar <mohiuddin@netzero.net>, "dr.dipumoni@gmail.com" <dr.dipumoni@gmail.com>,  "abdul_momen@hotmail.com" <abdul_momen@hotmail.com>, "nurunnabi@gmail.com" <nurunnabi@gmail.com>,  "akramulqader@gmail.com" <akramulqader@gmail.com>, "syed.aslam3@gmail.com" <syed.aslam3@gmail.com>,  "malamgir1@aol.com" <malamgir1@aol.com>, "projonmochottor@gmail.com" <projonmochottor@gmail.com>,  "anis.ahmed@netzero.net" <anis.ahmed@netzero.net>, "ovimot@yahoogroups.com" <ovimot@yahoogroups.com>,  "muhanazm@yahoo.com" <muhanazm@yahoo.com>, "akhtergolam@gmail.com" <akhtergolam@gmail.com>,  "abid.bahar@gmail.com" <abid.bahar@gmail.com>, "guhasb@gmail.com" <guhasb@gmail.com>,  "delwar98@hotmail.com" <delwar98@hotmail.com>, "khabor@yahoogroups.com" <khabor@yahoogroups.com>,  "baaiwdc_comm@yahoogroups.com" <baaiwdc_comm@yahoogroups.com>, "srbanunz@gmail.com" <srbanunz@gmail.com>,  "drmohsinali@yahoo.com" <drmohsinali@yahoo.com>,  "admahmudrahman@gmail.com" <admahmudrahman@gmail.com>
Subject: Re: বর্তমান রাজ ;নৈতিক বাস্ö 8;বতা A must read commentery..
Date: Tue, 26 Mar 2013 13:55:49 -0500

I think, this guy- Muhammad Ali does not understand Forhad Mazarin's writing. Mr Forhad Mazar said that he is not atheist. This BAL is a really wastage of society.

Sent from my iPhone

On Mar 26, 2013, at 1:16 PM, Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com> wrote:

HE IS A BIG TIME "NASTIK" !!
 
 

From: Mohiuddin Anwar <mohiuddin@netzero.net>
To: dr.dipumoni@gmail.com; abdul_momen@hotmail.com; nurunnabi@gmail.com
Cc: akramulqader@gmail.com; syed.aslam3@gmail.com; malamgir1@aol.com; nazrulic@gmail.com; syed.aslam3@gmail.com; projonmochottor@gmail.com; manik195709@yahoo.com; nazrulic@gmail.com; anis.ahmed@netzero.net; ovimot@yahoogroups.com; akramulqader@gmail.com; muhanazm@yahoo.com; akhtergolam@gmail.com; abid.bahar@gmail.com; guhasb@gmail.com; delwar98@hotmail.com; khabor@yahoogroups.com; baaiwdc_comm@yahoogroups.com; srbanunz@gmail.com; drmohsinali@yahoo.com; admahmudrahman@gmail.com; abdul_momen@hotmail.com; nurunnabi@gmail.com
Sent: Tuesday, March 26, 2013 1:06 PM
Subject: &#2476;&#2480;&#2509;&#2468;&#2478;&#2494;&#2472; &#2480;&#2494;&#2460 ;&#2472;&#2504;&#2468;&#2495;&#2453; &#2476;&#2494;&#2488;&#2509;&#246 8;&#2476;&#2468;&#2494; A must read commentery..


বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতা
 
ফরহাদ মজহার
বাংলাদেশের রাজনৈতিক মেরুকরণ যে চরিত্র গ্রহণ করেছে তাতে শাহবাগের রাজনীতি ও আচরণের বিপরীতে বিপুল মানুষের ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। মাহমুদুর রহমান আমার বন্ধু। তিনি স্বাধীনচেতা মানুষ। তার নিজস্ব চিন্তা আছে, তিনি আমার মতো কমিউনিস্ট নন, কিন্তু আমি আবার বামপন্থি নই। অতএব নাস্তিকও নই। খেয়ে না খেয়ে ধর্মের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণার সঙ্গে কমিউনিজমের কোনোই সম্পর্ক নেই। মনে রাখতে হবে, আস্তিক/নাস্তিক ভাগ শুরু হয়েছিল স্নায়ুযুদ্ধের সময় থেকে। সোভিয়েত ইউনিয়ন ও চীনের বিরুদ্ধে বেসামরিক যুদ্ধ পরিচালনার কৌশল হিসেবে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদীরা প্রচার করেছিল কমিউনিজম নাস্তিকের ধর্ম। তার বিরুদ্ধে জিহাদ ইমানি কর্তব্য। তারা আমাদের ধর্মপ্রাণ মানুষ আলেম-ওলামাদের বিভ্রান্ত করতে পেরেছিল, কারণ কমিউনিস্টদের একাংশ নিজেদের নাস্তিক বলে জাহির করত। এর ফল তাদের জন্য ভালো হয়নি, ইতিহাস তার প্রমাণ। এতে ধারণা তৈরি হয়েছে নাস্তিকতাই প্রগতিশীলতা। কিন্তু কমিউনিজমের যারা গুরু মার্কস বা লেনিন, তারা কখনোই ধর্মের বিপরীতে নাস্তিকতাবাদ প্রচার করেননি।
কিন্তু ধর্মের নামে জালিমের ওপর শোষণ-নিপীড়নের বিরোধিতা করেছেন। গণমানুষের দরদি যে কোনো মোমিন মুসলমান যে কাজটি সব সময়ই করে থাকেন। একই সঙ্গে বার বার বলেছেন, ইতিহাসে ভূরি ভূরি উদাহরণ আছে যখন ধর্ম জালিম শাসক ও তাদের রাষ্ট্রব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। বাংলাদেশে আজ আমরা সেই পরিস্থিতির মধ্যে প্রবেশ করেছি কি না তার বিচার আমি আপনাদের ওপর ছেড়ে দেব। ফলে 'বামপন্থি' হলেই ওদের প্রগতিশীল ভাববেন না। যাদের মওলানা ভাসানীর মতো আমরা মজলুম, নিপীড়িত, শোষিত মানুষের পাশে দেখি না, দেখি শেখ হাসিনার বাদশাহি টিকিয়ে রাখার গর্হিত কাজে, তাদের 'প্রগতিশীল' বলে মানার কোনো যুক্তি নেই। তারা সারা দেশের গরিব, শোষিত, নিপীড়িত তরুণদের 'তরুণ' বলে স্বীকার করে না। স্বীকার করে না কলকারখানায় যারা এ দেশের অর্থনীতি টিকিয়ে রাখার জন্য দিনের পর দিন তাদের রক্ত ক্ষয় করে যায়, যারা পুড়ে মরে, কারখানা ভেঙে চাপা পড়ে, জ্যান্ত কবর হয় তাদের। বাংলাদেশের যেসব 'তরুণ' দেশে দেশে শ্রমিক হয়ে বুকের জল পানি করে এ দেশে অর্থ পাঠায়, বাংলাদেশের অর্থনীতি টিকিয়ে রাখে তারা 'প্রজন্ম' নয়। প্রজন্ম হলো তারাই যারা 'জয় বাংলা' স্লোগান দেয়! দিনরাত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের পাহারায় ও পুলিশি নিরাপত্তার বেষ্টনীর মধ্যে বিচার মানি না শুধু 'ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই' বলে উৎসব করে। ভেবে দেখুন আমরা গণমাধ্যমের বদৌলতে কী পরিমাণ মিথ্যা ও অবাস্তব জগতে বাস করছি। প্রপাগান্ডা ও মিথ্যাচারেরও একটা সীমা থাকে। রাজনীতির বোঝাবুঝি থাক, কেউ কমিউনিস্ট হোক বা না হোক, 'তারুণ্য' আর 'প্রজন্ম' নামক শাহবাগী ধারণার মধ্যেই যে এ দেশের গরিব, অত্যাচারিত, নির্যাতিত শ্রমিক ও খেটে খাওয়া জনগণকে অস্বীকার করার তত্ত্ব নিহিত রয়েছে তা বোঝার জন্য কাণ্ডজ্ঞানই যথেষ্ট। গণমাধ্যমের মিথ্যাচারের কারণে আমরা যেন সংগ্রামে বিভিন্ন পক্ষের শ্রেণীচরিত্র বুঝতে ভুল না করি।

আমাদের বুঝতে হবে বাংলাদেশকে যে জায়গায় আজ নিয়ে যাওয়া হয়েছে, আমরা যারা রাজনীতি একটু একটু বুঝি, আমাদের মধ্যে যারা বাংলাদেশের রাষ্ট্রব্যবস্থা সম্পর্কে একটু-আধটু ধারণা রাখেন তাদের এটা বুঝতে কষ্ট হওয়ার কথা নয় যে রাজনৈতিক পরিস্থিতির একটা গুণগত পরিবর্তন ঘটে গেছে। আর আগের জায়গায় ফিরে যাওয়া যাবে না। শফিক রেহমান ভাই শান্তির কথা বলেছেন, আমাদের এখানে হাজির এমন কেউ নেই যারা শান্তি চান না। আমরা সবাই এখানে শান্তি চাই। কিন্তু অনেকে বলছেন গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধ ঘটিয়ে দেওয়ার ইতিহাস কিন্তু আওয়ামী লীগের আছে। বাংলাদেশ যদি সেই বিপর্যয়ের মধ্যে নিপতিত হয় তাহলে সেটা প্রথম ঘটনা হবে না। গৃহযুদ্ধ এর আগেও বাংলাদেশে হয়েছে। আপনারা ভুলে যাবেন না সেই কথা। কীভাবে সেটা হয়েছিল? যখনই আপনি আপনার ভাষা বা সংস্কৃতিকে আপনার ভাষিক ও সাংস্কৃতিক পরিচয়, সামাজিক পরিচয়ের মধ্যে ও সামাজিক পরিমণ্ডলে সীমাবদ্ধ না রেখে তার 'রাজনীতিকীকরণ' করেন, তাকে পলিটিসাইজ করেন, তখনই আপনি দেশে একটি সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি তৈরি করেন। যারা পলিটিক্যাল সায়েন্সে একটু পড়াশোনা করেছেন তারা জানেন 'রাজনীতিকীকরণ' কথাটার মানে কী। নৃতাত্তি্বক বা ভাষাভিত্তিক কোনো একটা সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য ও পরিচয়ের ভিত্তিতে রাষ্ট্রের আকার দেবেন, একটা রাজনীতি দাঁড় করাবেন, মনে রাখবেন তখন এই রাষ্ট্র দুর্বল হবে, একটি পরিচয়ের বিপরীতে আরেকটি পরিচয় এসে দাঁড়াবে, নতুন সংঘাতের ভিত্তি হবে। যেটা শেষ পরিণতিতে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি জন্মানোর উৎস হবে।

আমাদের দেশে বাঙালি আছে, চাকমা আছে, মান্দিরা আছে, আরও অনেক জাতি, ভাষা ও সংস্কৃতি আছে। তাদের মধ্যে সামাজিক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বজায় রাখা এবং পরস্পরের মধ্যে আদান-প্রদানের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে আরও সমৃদ্ধ করে তোলা সহজেই সম্ভব। পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং পরস্পরের ভাষা, সংস্কৃতি ও জীবন যাপনে সামাজিক স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে সেটা খুবই সম্ভব। কিন্তু যদি 'বাঙালি'রা বলে তাদের সংস্কৃতিই রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে একমাত্র জাতীয় পরিচয়, রাষ্ট্রের ভিত্তি হিসেবে সবাইকে এই 'বাঙালিত্ব' স্বীকার করতে হবে, তখনই সেটা অন্য ভাষা, সংস্কৃতি ও জাতিসত্তাকে রাজনৈতিকভাবে চ্যালেঞ্জ করে। অথচ বাঙালি আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠের আত্দপরিচয় এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই এবং সেই পরিচয় স্বীকার বা ত্যাগ করারও কোনো প্রশ্ন ওঠে না। কিন্তু আপনি 'বাঙালি' বলে যদি দাবি করেন যে 'বাঙালি জাতীয়তাবাদ'ই আমাদের রাজনৈতিক আদর্শ, একে সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রনীতির অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, তাহলে আপনি চাকমাসহ পাহাড়ি ও সমতলের অন্যান্য ক্ষুদ্র জাতিসত্তাকে রাজনৈতিকভাবে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন। পাহাড়িরা তা মানবে না, মানেনি, মানার কথাও নয়। তাদের আর্জি, আকুতি কিছুই আপনি শুনলেন না। বাঙালি জাতীয়তাবাদকেই রাজনৈতিক, রাষ্ট্রনৈতিক ও সাংবিধানিক ভাবে প্রতিষ্ঠা করলেন। তখন কী হবে? প্রথমে তারা প্রতিবাদ করবে। মানবেন্দ্রনাথ লারমা প্রতিবাদ করলেন, আপনি শুনলেন না। তখন তারা আন্দোলনে নামলেন, আপনি তার পরেও শুনলেন না। এরপর তারা তাদের দাবি প্রতিষ্ঠার জন্য অস্ত্র ধারণ করলেন। আপনি যেমন পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতির রাজনৈতিক সত্তা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ভারত থেকে সহায়তা পেয়েছিলেন তারাও ভারত থেকে সহযোগিতা পেলেন। বাঙালি জাতীয়তাবাদের রণধ্বনি বাংলাদেশকে ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিল, যার ক্ষত আমরা এখনো শুকিয়ে উঠতে পারিনি। নতুন করে পঞ্চদশ সংশোধনীতে বাঙালি জাতীয়তাবাদকে এখন আবার নতুন বিষফোঁড়া হিসেবে গাড়া হয়েছে।

সামাজিক, ভাষিক ও সাংস্কৃতিক পরিচয়ের 'রাজনীতিকীকরণ' বলতে কী বোঝায় তা আশা করি পরিষ্কার। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জায়গা থেকে না বুঝলেও অভিজ্ঞতা থেকেই আপনারা জানেন ভাষা, সংস্কৃতি ইত্যাদির রাজনীতিকীকরণের অর্থ কী। এমনকি সেক্যুলার বনাম ইসলাম এভাবে রাষ্ট্রের ভিত্তির তর্ক তুলেও এই আকাম আপনি করতে পারেন। যদি বলেন বাঙালি জাতীয়তাবাদই বাংলাদেশের সবার একমাত্র রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় পরিচয়, বাঙালি ছাড়া আমরা আর কোনো জাতিসত্তাকে রাজনৈতিক বা রাষ্ট্রীয় ভাবে স্বীকার করি না, তাহলে অন্যদের আপনি দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকে পরিণত করলেন। তারা তখন প্রতিবাদ জানাবে, শক্তি থাকলে অস্ত্র হাতে আপনার মতোই নিজেদের আত্দমর্যাদা ও আত্দপরিচয় রক্ষার জন্য আপনার বিরুদ্ধে লড়বে। আপনার রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়বে। পারলে রাষ্ট্রকে দুই ভাগ করে ফেলবে। তাই বলছিলাম বাংলাদেশের প্রথম গৃহযুদ্ধের কথা ভাবুন। বাঙালি জাতীয়তাবাদ কি বাংলাদেশের প্রথম গৃহযুদ্ধে উসকানিদাতা হিসেবে হাজির হয়নি? বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে কি রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হয়নি? কিন্তু এরাই আবার ধর্মকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা যাবে না সেই দাবি তোলে, ইসলামপন্থিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে।

মনে রাখবেন গৃহযুদ্ধ আওয়ামী লীগ লাগাতে জানে। আওয়ামী লীগ মনে করে তারাই দেশের একমাত্র মালিক। ফলে সব ক্ষমতারও মালিক। এখন তারা দ্বিতীয় গৃহযুদ্ধ শুরু করেছে। নতুন যে পরিস্থিতি তারা তৈরি করেছে তাতে সমাজকে দুই ভাগে ভাগ করে ফেলেছে। একদিকে আছে বাঙালি জাতীয়তাবাদীরা আর অন্যদিকে আছে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ। যারা অবশ্যই ভাষা ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে বাঙালি, কিন্তু একই সঙ্গে ধর্মও তাদের সংস্কৃতির অংশ। ধর্ম তাদের আত্দপরিচয়ের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কিন্তু যদি আপনি নিরন্তর আর বার বার দাবি করেন ভাষা ও সংস্কৃতিই আপনার মূল পরিচয়, ধর্ম নয়; তখন নতুন এক বিরোধ আপনি তৈরি করেন

সমাজ ও সংস্কৃতির ক্ষেত্র অতিক্রম করে ভাষা ও সংস্কৃতিকে যদি রাজনৈতিকতা ও রাষ্ট্রের স্তরে উন্নীত করে আপনি দাবি করেন, এই স্তরে অর্থাৎ আপনার রাজনৈতিক পরিচয়ে শুধু 'বাঙালিত্বই' স্বীকার করা হবে, ইসলামকে স্বীকার করবেন না; তখন আপনি যেমন ভাষা ও সংস্কৃতিকে রাজনৈতিক ঝাণ্ডা বানিয়ে সামনে দাঁড়ান, তখন আপনি চান বা না চান প্রতিপক্ষ হিসেবে ইসলামও তার ধর্মের ঝাণ্ডা নিয়ে সামনে দাঁড়ায়। দাঁড়াতে বাধ্য। দাঁড়ানোর শর্ত তৈরি হয়ে যায়। বাঙালিকে আপনি বিভক্ত করেন। একদিকে থাকে বাঙালি জাতীয়তাবাদীরা আর অন্যদিকে ইসলাম ও ধর্মের মর্যাদা রক্ষার জন্য ধর্মপ্রাণ মানুষ। আপনি তখন তাদের ধর্মান্ধ, গোঁড়া, পশ্চাৎপদ এবং খুব অপছন্দ হলে 'রাজাকার' গালি দিয়ে থাকেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পাশ্চাত্য বিশ্বের সহযোগিতায় তাকে 'সন্ত্রাসী' আখ্যা দিয়ে তার বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে নেমে পড়েন। আজ শেখ হাসিনার সরকার সেই দ্বিতীয় গৃহযুদ্ধ শুরু করেছে। বাঙালি জাতীয়তাবাদী রাজনীতি বাংলাদেশের মানুষকে 'বাঙালি' ও 'মুসলমান'_ এ দুই ভাগে ভাগ করে গৃহযুদ্ধ লাগিয়ে দিয়েছে। মানুষের ধর্মানুভূতিকে আহত করা হয়েছে।

যারা ইসলামে বিশ্বাসী তারা নিঃসন্দেহে নাস্তিকতার বিরোধী, এটা তার ইমান-আকিদার অংশ। কিন্তু কেউ যদি নাস্তিক থাকতে চায়, সেটা তার নিজের বিশ্বাস। সেই বিশ্বাসের দায়-দায়িত্ব তার নিজের। নাস্তিকদের সঙ্গে মোমিন মুসলমানের সামাজিক কোনো ঝগড়া নেই। ফলে কাউকে যখন তখন মুরতাদ বলা বা তার বিশ্বাসের জন্য শারীরিকভাবে ক্ষতি করা মোমিনের কাজ হতে পারে না। সমাজে নাস্তিক আছে, থাকবে। সামাজিক কোনো ঝগড়া নেই। আপনার ছেলেও নাস্তিক হতে পারে। আপনি তাকে বোঝান, ঘরের মধ্যে বোঝান। নাস্তিকতাও একটা আদর্শ, হতেই পারে। অসুবিধা নেই। কিন্তু আপনি যখন নবী-রাসূলদের বিরুদ্ধে এমনসব কুৎসিত ও কদর্য ভাষায় লেখেন, লেখালিখি করেন, তখন কী হবে? একে দিনের পর দিন যখন প্রশ্রয় দেওয়া হয়, তখন বোঝা যায় পরিকল্পিতভাবে আপনি বাংলাদেশকে হিংসার পথে নিয়ে যেতে চান। ব্লগে নবী করিম (সা.)-এর বিরুদ্ধে যে কদর্য ভাষায় লেখালিখি হয়েছে তা কোনো বিবেকবান মানুষের পক্ষে সহ্য করা অসম্ভব। এটা কিন্তু নতুন নয়। সব সময়ই সেক্যুলারিজমের নামে, বাঙালি জাতীয়তাবাদের নামে বাংলাদেশে এসবকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, এসব চিন্তার স্বাধীনতা।

এখন শাহবাগের কিছু ব্লগারের কীর্তিকাহিনী প্রকাশ হয়েছে বলে নয়। শেখ হাসিনা তো এ ধরনের ব্লগারদেরই প্রশ্রয় দিয়েছেন। দীর্ঘ দিন ধরে তাদের প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এর আগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কেউ দু-একটি মন্দ কথা লিখেছে বলে তাদের জেলে ঢুকিয়েছেন তিনি। কিন্তু কুৎসিত ভাষায় লেখা এই ব্লগগুলো এর আগে রাষ্ট্রের দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ গণ্য করা হয়নি। এটাকে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে উসকানি দেওয়ার জন্যই প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধানে রয়েছে পাবলিক অর্ডার নষ্ট করতে পারে এমন কাজ করা যাবে না। আমাদের বিচার বিভাগের নজরে আনার পর তারা সুনির্দিষ্টভাবে এসব ব্লগ ও ব্লগারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। শেখ হাসিনার সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। রাষ্ট্র কোনো কিছুই করেনি।

তার পরও ব্লগার রাজীবের হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করতে হবে আমাদের। কিন্তু যিনি তার ছেলেকে হারিয়েছেন সেই ছেলের মায়ের যেমন ব্যথা, তার বাবার যেমন ব্যথা, মনে রাখতে হবে ঠিক একই ভাবে একটা ছেলে যদি ইসলামী রাজনীতি করে, আপনি তাকে পছন্দ না করতে পারেন, সমর্থন করতে না পারেন, কিন্তু সে যখন মারা যায়, তাকে যখন গুলি করে মারা হয়, তার বাপের ব্যথা মায়ের বেদনাও আপনাকে বুঝতে হবে। কিন্তু বাঙালি জাতীয়তাবাদীরা সেটা শুনতে পায় না। শেখ হাসিনা শুনতে পান না। আপনি শুনতে পারেন না, আপনি তার মায়ের ব্যথা বুঝতে কিন্তু রাজি নন। কারণ সে নাকি ইসলামী রাজনীতি করে। সে বাঙালি জাতীয়তাবাদী নয়। এরই মধ্যে যারা প্রাণ হারিয়েছে এমনকি তাদের নিয়েও আমরা কথা বলি না। তাদের নিয়ে মিডিয়াতে কথা বলি না। মানবাধিকার কর্মীরাও কথা বলি না।

আপনি দাবি করছেন আপনি তরুণ প্রজন্ম। আমি আজ সকালে এক তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে কথা বলি, যে তরুণ প্রজন্ম শাহবাগে যান। আমি তাকে প্রশ্ন করি_ আপনারা 'তরুণ' কিন্তু যে তরুণকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করল সে কি তরুণ নয়? সে তাহলে কোন প্রজন্ম? তাহলে কি তারা জন্তু জানোয়ার? আপনি যদি ইসলামের কথা বলেন তাহলে আপনি 'তরুণ' হবেন না, নিজেকে বাঙালি জাতীয়তাবাদী না ভাবলে আপনি তরুণ প্রজন্মের লোক নন? এটা কী করে হতে পারে? তাহলে এই যে বিভক্তিটা টানা হচ্ছে তার ভিত্তিটা কী? যে গণমাধ্যমগুলো প্রজন্ম প্রজন্ম করছে, লাখ লাখ মানুষ, কোটি কোটি মানুষ, শত কোটি কণ্ঠস্বরের কথা বলছে; তারা কাদের কথা বলছে? তারা কারা? যে গণমাধ্যম এগুলো বলছে তারাও দেশকে আজ দুই ভাগে ভাগ করে ফেলেছে। প্রতিটি গণমাধ্যম উসকানির জন্য দায়ী। এ ধরনের প্রতিটি গণমাধ্যমকে প্রমাণ করতে হবে, আগামী দিনে যে বিশৃঙ্খলা হবে তার শর্ত তারা তৈরি করেছে দিনের পর দিন, তারা সাংবাদিকতার নামে পলিটিক্যাল অ্যাকটিভিস্টের ভূমিকা পালন করেছে, তাদের একদিন নিশ্চয়ই জবাবদিহি করতে হবে। সাংবাদিকতার ভূমিকা এরা কেউ পালন করেনি।
_এ লেখাটি একটি অভিভাষণের অংশবিশেষ।

অনুলিখন : শাহাদাৎ তৈয়ব
ফরহাদ মজহার

 





[mukto-mona] খালেদা জিয়া , এ ভাবে স্বৃতিসৌধ আর জিয়ার মাজারকে আর কলংকিত করবেন না !!!



খালেদা জিয়া , এ ভাবে স্বৃতিসৌধ আর জিয়ার মাজারকে আর কলংকিত করবেন না !!!

লিখেছেন লিখেছেন মোনের কোঠা ২৭ মার্চ, ২০১৩, ০২:৫৮:৫৬ রাত
খালেদা জিয়া , এ ভাবে স্বৃতিসৌধ আর জিয়ার মাজারকে আর কলংকিত করবেন না !!!

সারা জাতি যেখানে মহান স্বাধীনতা দিবসকে আনন্দ উত্সবের মাঝে উদযাপন করছে , সেখানে খালেদা জিয়া জালাও -পোড়াও , তান্ডবের মাঝে মহান দিবসকে করলেন কলংকিত ! ছি : ছি : এই লজ্জা রাখবো কোথায় ! '৭১ এর এই দিনে হানাদার পাক বাহিনী এ ভাবেই চারিদিকে আগুন দিয়ে ঢাকা শহর এবং তার আসে পাশে কয়েক হাজার বাঙালি হত্যা করেছিলো ! এ থেকেই প্রমানিত হয় খালেদা জিয়া , জামাত-শিবিরের মতো বাংলাদেশকে মনে প্রাণে এখনো মেনে নিতে পারেন নি , তার অন্তরে গেথে রয়েছে "লাল-সবুজের পরিবর্তে চাঁদ -তারা" ! মহান স্বাধীনতা দিবসকে কলংকিত করেই উনি ক্ষান্ত হন নি , টানা হরতাল দিয়ে প্রয়াত স্বামীকেও করেছেন ভুলন্ঠিত ! বঙ্গবন্ধুর পক্ষে জিয়া কালুরঘাট অস্থায়ী বেতার কেন্দ্র থেকে ২৭ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন আর সেই ২৭ মার্চেই খালেদা নির্লজ্জের মত যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে হরতালের ডাক দিলেন ! আসলে খালেদা জিয়া "পরকিয়ার" ফাঁদে পরে জিয়াকে কখনো অন্তর দিয়ে ভালবাসেন নি, আর তাই জিয়ার শত অনুরোধ সত্তেও স্বামীর সাথে ভারতে না যেয়ে ঢাকা সেনানিবাসে চলে এসেছিলেন প্রেমিকের টানে ! স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর হস্তক্ষেপেই জিয়া খালেদাকে ঘরে তুলে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন আর সেই "অকৃতজ্ঞ" খালেদা কিনা তার ই প্রতিদান দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত দিবসকে কলংকিত করে ! তাই খালেদা জিয়ার প্রতি অনুরোধ ইচ্ছার বিরুদ্ধে জাতীয় দিবসগুলোতে স্বৃতি-সৌধে যেয়ে ত্রিশ লক্ষ বিদেহী আত্বাকে আর কষ্ট দিবেন না, আর সেই সাথে জিয়ার মাজারে যেয়েও জিয়াকে অপমানিত করবেন না ! "বন্যরা যেমন বনে সুন্দর , তেমনি আপনাকে আপনার মাতৃভূমি পাকিস্তানেই মানায় " , যেখানে অন্তিম সজ্জায় শায়িত আছে আপনার "মনের মানুষ "! (হয়তো আর একজন একটু কষ্ট পাবে ! অসুবিধা নাই , সে সৌদিতে যেয়ে আপনার সাথে ঠিক ই সঙ্গ দিবে পবিত্র স্থান দর্শনে )!



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] Fw: latest news on abid bahar




----- Forwarded Message -----
From: Jamal Hasan <poplu@hotmail.com>
To:
Sent: Wednesday, March 27, 2013 4:02 PM
Subject: FW: latest news on abid bahar


 

Date: Tue, 26 Mar 2013 20:02:58 -0700
From: charbak
Subject: latest news on abid bahar

Is he not the 'famous' Abid Bahar who used to debate in NFB?
Take a look what happened to the jamati guy
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/48565




__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] Fw: [KHABOR] বেগম জিয়ার বগুড়ার বক্তব্য কি দেশবিরোধী উক্তি নয়?


----- Forwarded Message -----
From: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>
To: Khobor <khabor@yahoogroups.com>; notun Bangladesh <notun_bangladesh@yahoogroups.com>; chottala@yahoogroups.com
Sent: Tuesday, March 26, 2013 3:08 PM
Subject: [KHABOR] বেগম জিয়ার বগুড়ার বক্তব্য কি দেশবিরোধী উক্তি নয়?

 

বুধবার, ২৭ মার্চ ২০১৩, ১৩ চৈত্র ১৪১৯
বেগম জিয়ার বগুড়ার বক্তব্য কি দেশবিরোধী উক্তি নয়?
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী
ছোটবেলায় পাঠ্য কিতাবে একটি কবিতায় পড়েছিলাম, 'উই আর ইঁদুরের দেখো ব্যবহার, যাহা পায় তাহা কেটে করে ছারখার।' বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপি আর জামায়াতের ভূমিকা এই 'উই আর ইঁদুরের ব্যবহারের' কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। শুধু কবিতার দু'টি লাইনকে একটু ঘুরিয়ে বলতে হবেÑ 'জামায়াত আর বিএনপির দেখো ব্যবহার, দেশের সমস্ত কিছু করে সংহার।' বিএনপি ও জামায়াতের সাম্প্রতিক রাজনীতি তো কেবল সন্ত্রাস আর সংহার। 
রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের মৃত্যু উপলক্ষ করে বিএনপি ও জামায়াতের মতিগতি কিছু ফিরেছে বলে মনে হয়েছিল। রাষ্ট্রপতির মৃত্যুতে শোক জ্ঞাপনের জন্য বেগম জিয়ার বঙ্গভবনে গমন, সাবেক রাষ্ট্রপতির জানাজায় বিএনপি নেতাদের যোগদান, পূর্বঘোষিত একদিনের হরতাল প্রত্যাহার এসব কিছু দেখে মনে হয়েছিল, সর্বঅমঙ্গলের মধ্যে যেমন কিছু মঙ্গলালোক থাকে, তেমনি রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর গভীর সন্তাপের মধ্যেও হয়ত কিছুু সান্ত¡না আছে। সেই সান্ত¡নাটি হলো দেশের সংঘাতময় রাজনীতিতে সমঝোতার আভাস। 
বিএনপি ও বিএনপি নেত্রীর গত কয়েক দিনের আচার-আচরণ দেখে মনে হয়েছিল, শত হোক তাঁরা দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল, বেগম জিয়া নিজে প্রধান বিরোধী দলের নেত্রী। সুতরাং নেত্রী এবং তাঁর দলের মধ্যে গণতান্ত্রিক শুভ চেতনা হয়ত ফিরে এসেছে। তাঁরা সংঘাত ও সন্ত্রাসের পথ ত্যাগ করে গণতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির পথে ফিরে আসবেন। সংসদে যোগ দিয়ে একজন যোগ্য ও নিরপেক্ষ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নেবেন, প্রয়োজনে তাঁদের মনোনীত একজন যোগ্য ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য দাঁড় করাবেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের দাবিতে সংসদের ভেতরে ও বাইরে জনমত গড়ে তোলার জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলন গড়ে তুলবেন। সর্বাগ্রে সন্ত্রাসী মৌলবাদী জামায়াতের সঙ্গে সংস্র্রব ছিন্ন করবেন এবং '৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের উপযুক্ত দ-দানের দেশব্যাপী দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করবেন। 
দেশের মানুষের সঙ্গে আমাদের এই প্রত্যাশা পূর্ণ হয়নি। সাবেক রাষ্ট্রপতির কবরের মাটি শুকিয়ে না উঠতেই বিএনপি ও জামায়াত তাদের উই ও ইঁদুরের পূর্ব চরিত্রে ফিরে গেছে। জামায়াত ফিরে যাবে এমন একটা সম্ভাবনা সকলেরই মনে ছিল। কারণ গত চার দশকের বেশি সময় ধরে জামায়াত একটি ঘাতক এবং স্বাধীনতাবিরোধী দল। বর্তমানে তাদের শীর্ষ নেতাদের যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী কার্যকলাপের বিচার হচ্ছে। দু'জন অভিযুক্তকে ইতোমধ্যেই বিচারে মৃত্যুদ-াদেশ এবং একজনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেয়া হয়েছে। পালের গোদা গোলাম আযম এবং আরেকজন অপরাধী কামারুজ্জামানেরও বিচারের রায় ঘোষিত হতে যাচ্ছে। এ সময় জামায়াতের পক্ষে স্বভাব ত্যাগ ও সন্ত্রাস বর্জন সম্ভব নয়। দেশ জাতি রসাতলে যাক। তারা দল ও দলের ঘাতক সর্দারদের বাঁচানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। 
কিন্তু এই ব্যাপারে জামায়াতকে সমর্থন ও সহযোগিতা দানের জন্য বিএনপির একেবারে কোমরে আঁচল বেঁধে একই সন্ত্রাসী রাজনীতিতে নামার দরকারটা কী ছিল? বিএনপি নেত্রী মুখে বলবেন, আমরাও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই, কাজে সেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নানা অজুহাতে ভ-ুল করার জন্য জামায়াতীদের সঙ্গে কাঁধ মেলাবেন তা তো হতে পারে না। কেউ কেউ বলছেন, জামায়াতীদের সমর্থন ও সহযোগিতা না পেলে বিএনপি ক্ষমতায় যেতে পারবে না, এই বিশ্বাস থেকে বেগম জিয়া সব নীতিনৈতিকতা ভুলে জামায়াতের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন। এমনকি যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার জন্য দেশবাসীর ঐক্যবদ্ধ দাবির বিরুদ্ধে জামায়াতী সন্ত্রাসে শামিল হয়েছেন। 
এটা যে ভুল স্ট্র্যাটেজি তা নেত্রীকে বোঝানোর জন্য একজন সুস্থ মস্তিষ্কের উপদেষ্টাও কি তাঁর পাশে নেই? দেশের গত সাধারণ নির্বাচনগুলোর প্যাটার্ন দেখলেই বোঝা যায়, নির্বাচনে বিএনপির সমর্থন পেলেই সংসদে জামায়াতের আসন সংখ্যা বেড়ে যায়। নইলে প্রায় শূন্যের কোঠায় চলে যায়। বিএনপি ভোট লাভের ক্ষেত্রে জামায়াতের ওপর ততটা নির্ভরশীল নয়। 
যদি ধরে নেয়া যায় মার্জিনাল সিটগুলোতে কোন কোন কেন্দ্রে তারা জামায়াতী ভোটের ওপর নির্ভরশীল, তাহলেও দেখা যাবে, জামায়াতের ঘৃণ্য সংস্র্রব ত্যাগ করলে দেশের জামায়াতবিরোধী যে ভোটদাতারা বিএনপিকে ভোট দিতে দেরি করছে না, তাদের সংখ্যা জামায়াতী ভোটের চাইতে অনেক বেশি। বিএনপি একটি বিকল্প গণতান্ত্রিক দল হিসেবে নিজেকে পুনর্গঠিত করতে পারলে আওয়ামী লীগের জন্য প্রকৃত চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। কখনও সামরিক বাহিনীর একাংশের সঙ্গে, কখনও জামায়াতের দেশদ্রোহী ভূমিকার সঙ্গে সন্ধি করে, তাদের সহযোগী সেজে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রে শামিল হতে হবে না। 
সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের প্রয়াণের পর অনেকের মতো আমারও মনে হয়েছিল, বিএনপি ও বিএনপি নেত্রীর মতিগতি বুঝি ফিরেছে। তিনি চক্রান্ত, সন্ত্রাস এবং দেশবিরোধী জামায়াতী তা-বের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দেশময় এক ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি দ্বারা নির্বাচনের মাধ্যমে অথবা নির্বাচন ছাড়াই ক্ষমতায় যাওয়ার এবং দুর্নীতিবাজ ও পলাতক পুত্রকে দেশে ফিরিয়ে এনে ক্ষমতায় বসানোর চেষ্টা না চালিয়ে গণতান্ত্রিক পন্থায় দেশবাসীর ন্যায্য দাবিদাওয়া নিয়ে শান্তিপূর্ণ গণআন্দোলন সংগঠিত করে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করবেন। কিন্তু গত রবিবার (২৪ মার্চ) তিনি বগুড়ায় জনসভায় যে বক্তৃতা দিয়েছেন এবং পরদিন (২৫ মার্চ) তাঁর দল দেশে ২৭ ও ২৮ মার্চ তাঁদের কর্মসূচী হিসেবে যে হরতাল ডেকেছেন, তাতে আমাদের এই ধারণাটি শুধু পাল্টায়নি, মনে হয়েছে উই আর ইঁদুর তাঁদের পূর্ব স্বভাবে আবার অতিদ্রুত ফিরে গেছে। বেগম জিয়া জামায়াত এবং পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা চক্রের চাপের কাছে আবার নতিস্বীকার করেছেন। 
বগুড়ায় বেগম জিয়া যেসব কথা বলেছেন, তা রীতিমতো রাষ্ট্রদ্রোহের পর্যায়ে পড়ে। সে সম্পর্কে আলোচনায় আমি পরে আসছি। আগে ২৭ ও ২৮ মার্চ বিএনপি কোন প্রকৃত ইস্যু ছাড়াই তড়িঘড়ি কেন হরতালের ডাক দিল সে সম্পর্কে আমার ধারণাটা বলি। বিএনপি জানে, দেশের মানুষ আর হরতাল পছন্দ করে না। বিএনপির ডাকে হরতাল এখন আর হয় না। যা হয় তাহলো তাদের সন্ত্রাসের ভয়ে মানুষ গাড়িঘোড়া বেশি রাজপথে নামায় না। হরতালের নামে বিএনপি ও জামায়াত যা করে তাহলো পকেট সন্ত্রাস সৃষ্টি। মফস্বলে যেখানে পুলিশের সংখ্যাশক্তি অথবা উপস্থিত কম, সেখানে ব্যাপকভাবে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ঘটানো এবং বিশেষ করে সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধদের বাড়িঘর লুট করা ও তাদের ওপর নির্যাতন চালানো বিএনপি-জামায়াতের অঘোষিত কর্মসূচী। 
এই পকেট সন্ত্রাস ও সংখ্যালঘু নির্যাতন দ্বারা যে সরকারের পতন ঘটানো যাবে না এটা জেনেও বিএনপির এত শীঘ্র হরতাল ডাকার কারণ হিসেবে আমার মনে হয়েছেÑ এক. গোলাম আযমের বিচার শেষ হয়েছে এবং তার মামলার রায়দানের দিনটি খুবই নিকটে ঘনিয়ে এসেছে। এ সময় জামায়াতের মরিয়া হয়ে চেষ্টার সঙ্গে যুক্ত না হয়ে এবং তাদের চাপের মুখে হরতাল না ডেকে বিএনপির উপায় নেই। 
দুই, ২৭ মার্চ ঢাকায় এক দীর্ঘ ফ্লাইওভারের দ্বার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এই উড়াল সেতুটি মিরপুর থেকে বনানী হয়ে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত গেছে। তাতে ঢাকা থেকে বিমানবন্দরে যেতে যানজটের জন্য যে ছ'সাত ঘণ্টা লাগে, তা কমে ৪৫-৫০ মিনিটে দাঁড়াতে পারে। বর্তমান সরকার রাজধানীতে আরও ফ্লাইওভার নির্মাণ করেছে এবং ভয়াবহ যানজট সমস্যা নিরসনের চেষ্টা চালাচ্ছে। একই সঙ্গে নগরীর পানি, বিদ্যুত সমস্যা কমিয়ে আনার ব্যাপারেও সরকার সাফল্যের পরিচয় দেখাচ্ছে। বিএনপির 'ব্যর্থ সরকারের' সেøাগান এখন আর হালে পানি পাচ্ছে না। সুতরাং ডেসপারেট বিএনপি নেত্রী এই নতুন ফ্লাইওভারের উদ্বোধনের দিনটি বানচাল করার জন্য বদ্ধপরিকর হয়েছেন। কিন্তু নিজের নাক কেটে অন্যের যাত্রা ভঙ্গ করতে তিনি পারবেন কি? বঙ্গবন্ধুর ঘাতকদের অনেক চেষ্টা করেও তিনি বাঁচাতে পারেননি। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের তিনি বাঁচাতে পারবেন কি?
বগুড়ায় ২৪ মার্চ রবিবার খালেদা জিয়া তঁাঁর বক্তৃতায় যেসব কথা বলেছেন, তা যে চরম রাষ্ট্রদ্রোহমূলক বক্তব্য এবং এজন্য তঁাঁর বিচার ও দ- হওয়া উচিত এ কথা বলতে আমার কোন দ্বিধা নেই। একটি নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়াবার জন্য তিনি দেশের সামরিক বাহিনীকে প্রকাশ্যে উস্কানি দিয়েছেন। বলেছেন, 'আমাদের সামরিক বাহিনী বসে থাকবে না। দেশে অশান্তির আগুন জ্বলছে। তারা শান্তি প্রতিষ্ঠায় সময় মতো এগিয়ে আসবে। বিদেশে শান্তি রক্ষায় তারা যদি ভূমিকা রাখতে পারে, তাহলে দেশে শান্তি রক্ষায় তারা এগিয়ে আসবে না কেন?'
প্রথম কথা বিদেশে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী শান্তিরক্ষায় জাতিসংঘ দ্বারা আমন্ত্রিত ও নিযুক্ত হয়ে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশে খালেদা জিয়া এবং তাঁর মিত্র জামায়াত যে অশান্তি সৃষ্টি করেছে তা দমনের জন্য একমাত্র সরকারই সেনাবাহিনী নিযুক্ত করতে পারে। খালেদা জিয়া পারেন না। শান্তি প্রতিষ্ঠার অযুুহাতে দেশের সেনাবাহিনীকে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর কথা বলা তো রীতিমতো রাষ্ট্রদ্রোহ। তিনি এবং তাঁর দল দেশে অশান্তি সৃষ্টি করবে আর সেই অশান্তি দমনের নামে দেশের সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করতে চাইবেন, এটা ঘোরতর রাষ্ট্রদ্রোহী ভূমিকা। এটা নিজে গৃহস্থের বাড়িতে ডাকাতি করে গৃহস্থের বিরুদ্ধেই পুলিশ লাগানোর চেষ্টা করার মতো।
বর্তমানে জামায়াত ও বিএনপি যুক্তভাবে যেভাবে ধ্বংসযজ্ঞ সৃষ্টি করছে এবং দেশবাসীর ধনপ্রাণের নিরাপত্তা বিঘিœত ও বিপন্ন করছে, তাতে অনেকেই মনে করেন সরকারের উচিত ছিল বহু আগে সামরিক বাহিনী তলব করা ও কঠোর হাতে এই সন্ত্রাস ও অশান্তি দমন করা। হাসিনা সরকার জনসমর্থনের বলে বর্তমানে এতটাই বলীয়ান যে, দেশরক্ষার দায়িত্বে নিযুক্ত সেনাবাহিনীকে অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস দমনে ব্যবহার করা এখনো প্রয়োজন মনে করেনি। যখন তখন সেনাবাহিনীকে ডাকা একটি গণতান্ত্রিক সরকারের চরিত্রও নয়।
বরং বেগম জিয়াই যে জনসমর্থনে বলীয়ান হয়ে এই সরকারের পতন ঘটাতে পারবেন এবং নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় যাবেন এই সম্ভাবনা অদূরভবিষ্যতে নেই দেখে সম্পূর্ণ হতাশ হয়েই সেনাবাহিনীকে সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবহারের অপচেষ্টা করছেন। বগুড়া-ভাষণ তার প্রমাণ। এটা যে হতাশ মনের প্রলাপোক্তি এবং দেশ ও রাষ্ট্রবিরোধী উক্তি তাতে কোন সন্দেহ নেই।
বেগম জিয়া এই অপরাধমূলক কাজটি আজ নতুন করছেন তা নয়। অতীতে বার বার করেছেন। তিনি পুলিশ ও সরকারী অফিসার এবং কর্মচারীদের বার বার ধমক দিয়ে বলেছেন, 'এই সরকারের হুকুম মানবেন না। যাঁরা মানছেন, তাঁদের নামের তালিকা আমরা করছি। যথাসময়ে (ক্ষমতায় এসে) তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।' একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রাষ্ট্রীয় কর্মচারীদের এভাবে হুমকি প্রদান এবং সরকারের নির্দেশনা না মানার জন্য উস্কানি প্রদান যে 'ট্রিজনের' সমতুল্য অপরাধ তার প্রমাণ উন্নত ইউরোপীয় দেশগুলোতেও রয়েছে। বেগম জিয়া কি তা জানেন না অথবা তার উপদেষ্টারা তাঁকে তা জানাননি?
অথচ খালেদা জিয়া ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারির জালিয়াতির নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত তাঁর অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে যেসব সরকারী কর্মচারী 'জনতার মঞ্চ' গড়েছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করেছিলেন। সেবার দেশপ্রেমিক সরকারী কর্মচারীরা জালিয়াতির নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত একটি অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে জনতার পক্ষ নিয়েছিলেন। তাতে তাঁরা যদি শাস্তিযোগ্য অপরাধ করে থাকেন তাহলে বর্তমানে একটি নির্বাচিত ও বৈধ সরকারের বিরুদ্ধে সরকারী কর্মচারী ও সেনাবাহিনীকে উস্কানি প্রদান কি প্রকাশ্য দেশদ্রোহিতা নয়? তার কি বিচার হওয়া উচিত নয়?
বেগম জিয়ার এই ধরনের পৌনঃপুনিক রাষ্ট্রদ্রোহমূলক উক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে হাসিনা সরকারের নীরবতা ও নিষ্ক্রিয়তা কিসের লক্ষণ তা আমি জানি না। এটা কি সরকারের কৌশলগত দুর্বলতা, না উদারতা? যদি কৌশলগত দুর্বলতা হয় তাহলে বলব, এই কৌশল পরিবর্তনের সময় এসেছে। আর উদারতা হলে বলব, স্বাধীনতার যুদ্ধে জয়লাভের পর বঙ্গবন্ধুর সরকার হানাদারদের কোলাবরেটর ফজলুল কাদের চৌধুরী, সবুর খান, শাহ আজিজুর রহমান, জামায়াত নেতা মাওলানা আবদুর রহিম এবং আরও অনেকের প্রতি উদারতা দেখিয়ে যে প্রতিদান পেয়েছে, হাসিনা সরকার যেন তার পুনরাবৃত্তি না ঘটায়। খালেদা জিয়া যদি গণতান্ত্রিক পন্থায় গণতান্ত্রিক বিরোধিতার রাজনীতি না করতে চান, তাহলে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে তাঁকে সংযত ও নিবৃত্ত করার এটাই উপযুক্ত সময়

http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=16&dd=2013-03-27&ni=130130

লন্ডন, ২৬ মার্চ, মঙ্গলবার, ২০১৩


Related:
'ক্ষমতায় যেতে খালেদা বিকল্প পথ খুঁজছেন'

Also Read:
হরতাল প্রত্যাখ্যান ১৪ দলের
'গণতন্ত্র হত্যার ষড়যন্ত্রে খালেদা'
ইত্তেফাক রিপোর্ট


Related:

ঠেলার নাম বাবাজি:

"We want to make it clear that no democratic political party supports intervention by the army. The BNP is completely against military intervention." - Fakhrul 

Fakhrul blames media for 'flawed' reporting

Chief Political Correspondent,  bdnews24.com
Published: 2013-03-25 13:20:42.0 Updated: 2013-03-25 13:50:03.0
Related:

MONDAY, MARCH 25, 2013

Army can't sit idle

Khaleda tells Bogra rally it 'would play role in due time', threatens to paralyse country

RASHIDUL HASAN, FROM BOGRA

Surprising, provocative: Some top ex-army officials, citizens react to Khaleda's speech

WASIM BIN HABIB

Surprising, provocative
বিশিষ্ট ব্যক্তি ও রাজনীতিবিদদের প্রতিক্রিয়া : খালেদা সেনাবাহিনীকে উস্কানি দিচ্ছেন
খালেদা জিয়ার গদি দখলের আন্দোলন : বিএনপির সর্বশেষ মরন কামড় 
সেনাবাহিনী সময়মত কাজ করবে : খালেদা জিয়া




Related:
Also Read:
"উনি আবার প্রমান করিলেন ষড়যন্ত্রই উনার ভরসা।"
Army to play role in due time: Khaleda (Video)
Submitted by Shahriar.Asif on Sun, 24/03/2013 - 1:30pm

News Video:http://www.youtube.com/watch?feature=player_embedded&v=soDRmmYjW38                                                            

সেনাবাহিনী সময়মতো কাজ করবে: খালেদা
নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া থেকে | তারিখ: ২৪-০৩-২০১৩







[mukto-mona] Morality & Good Intentions [2 Attachments]

[Attachment(s) from Freethinker Atheist Ex-Muslim included below]



  • Religion is often accepted by converts with good intentions and lack of complete information.
    Conversion on the basis of prevailing regional sociocultural ethnicity…..rather than what is actually inherent in religion

  • Morality is Doing what is Right,
    regardless of what you are told.
    ...
    Religion is doing what you are Told,
    Regardless of what is right."


Attachment(s) from Freethinker Atheist Ex-Muslim

2 of 2 Photo(s)


__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___