Banner Advertiser

Tuesday, February 24, 2015

[mukto-mona] Thank You Mahmudur Rahman Manna !!!!!!



ফোনালাপ ফাঁস: মান্নাকে ধন্যবাদ

FEBRUARY 25, 2015 4:09 AMVIEWS: 9

ডঃ ম আনোয়ার হোসেনDr.-Md.-Anwar-Hossain1

জনাব মাহমুদুর রহমান মান্নাকে ধন্যবাদ। নিজেই প্রকাশ করে থাকুন বা অন্য কেউ– ফাঁস হওয়া তার কথোপকথন ষড়যন্ত্রের রাজনীতির অনেক জটিলতা পরিস্কার করতে সাহায্য করেছে। অনলাইন পত্রিকা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের কল্যাণে মনোযোগ দিয়ে মান্নার দুটো কথোপকথন স্বকর্ণে শুনেছি এবং তার লিখিত পাঠটিও পড়ে দেখেছি।
একটি কথোপকথন বর্তমানে আমেরিকায় অবস্থানকারী বিএনপি নেতা জনাব সাদেক হোসেন খোকার সঙ্গে। এক/এগারোর সেনাচালিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে খোকা রাজনীতির সঙ্গে তার আজীবন ছেদের প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়েছিলেন। সে সময় ও পরে এটা ব্যাপকভাবে আলোচিত ছিল যে, ঢাকার প্রাক্তন মেয়র ও বিএনপির এই নেতা দুর্নীতির মাধ্যমে বিত্তের পাহাড় গড়েছিলেন। এই বিত্তের কিছু অংশ সে সময়কার ক্ষমতাবান সেনা অফিসারদের উৎকোচ হিসেবে দিয়ে এবং তার সঙ্গে রাজনীতি ছাড়ার মুচলেকা দিয়ে তিনি নিজেকে রক্ষা করতে পেরেছিলেন।
সেই খোকা গত আট মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। প্রায় সাত বছর ধরে লন্ডনে বসবাসরত বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার অবস্থানও খোকার মতোই। তিনিও সেনা-শাসকদের মুচলেকা দিয়েই তার অবৈধ সম্পদসহ বিদেশে পাড়ি দেওয়ার সুযোগটি পেয়েছিলেন। এ কথাও বহুল প্রচলিত যে, তার দুর্নীতির একটি অংশ হাতিয়ে নিয়েছিলেন সে সময়কার বেসামরিক সরকারের পেছনের ক্ষমতাবান সেনাশাসকরা।
এ প্রসঙ্গে একান্ত ব্যক্তিগত একটি অভিজ্ঞতার কথা এখানে বলে নিই। ২০০৭ সালের ২০ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষের পর চোখ বেঁধে আমাকে ডিজিএফআই সেইফ হোলে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন জ্যেষ্ঠ গোয়েন্দা সেনা অফিসাররা।
''স্যার, আপনার আগে অনেক মহারথী এই চেয়ারে বসেছেন, যুবরাজ তারেকও বসেছেন। সবাই কোঅপারেট করেছেন। শোনেন স্যার, তারেককে ফুলের টোকাটিও দিতে হয়নি। তিন দিন ধরে তার কান্না থামেনি। তিনি কোঅপারেট করেছেন, দেশে-বিদেশে তার সম্পদের সকল খবর আমাদের দিয়েছেন।''
তো, এই তারেক জিয়া এবং সাদেক হোসেন খোকা গ্লোবাল রাজনীতির দুটো গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র, যথাক্রমে লন্ডন ও আমেরিকায় অবস্থান করে বাংলাদেশে ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। সরকার পতনের লক্ষ্যে নানা নির্দেশনা দিচ্ছেন। খোকা দিনক্ষণ বেঁধে দিয়েছেন সরকার পতনের। তারেকের নির্দেশনায় পেট্রোল বোমা ও আরও ভয়াবহ অস্ত্রের সন্ত্রাস অব্যাহত আছে। আইএস জঙ্গিসহ নানা জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে তারেকের যোগাযোগ নানা মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
তবে গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে, এ সব কিছু জানার পরও খোকার সঙ্গে সুশীল সমাজের চৌকস মুখপাত্র মান্নার দীর্ঘ ফোনালাপ। তারেকের সঙ্গেও হয়তো তার এমন ফোনালাপ কোনো একদিন প্রকাশিত হতে পারে। ফাঁস হওয়া ফোনালাপ সম্পর্কে বলব এবং ভূমিকা কেন দীর্ঘ হল, তার আন্তঃসম্পর্কটিও তা থেকে স্পষ্ট হবে।Mahmudur-Rahman-Manna-111
মান্নার দ্বিতীয় ফোনালাপটি হয়েছে অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থানকারী অজ্ঞাত এক ব্যক্তির সঙ্গে। এই ফোনালাপও মারাত্মক। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম শিরোনাম করেছে, 'ফাঁস কথোপকথন: জেনারেলদের সঙ্গে বৈঠকে আগ্রহী মান্না।' খোকার সঙ্গে কথোপকথনের মূল বিষয়গুলো বলার পর এ বিষয়ে বলব।
খোকাকে ফোনটি করেছেন মান্না নিজেই। 'ওদিকের খবর-টবর… টুকু ভাইর সাথে কথা' এসব জানিয়েছেন। খোকাও বলেছেন, তিনি তা জানেন। ফোনালাপে বোঝা গেল তাদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ আছে।
সোহরাওয়ার্দী মাঠে মান্নার প্রোগ্রামে খোকা কিছু কর্মী পাঠিয়েছিলেন বলে জানা গেল। সে কথা উল্লেখ করে মান্না তার ঘোষিত ২৩ ফেব্রুয়ারির মিছিলের জন্য খোকার কাছে 'দুটো সাপোর্ট' চাইলেন। একটি, দূরে থেকেও খোকা যে সাহায্য ('যেটুকু কিছু একটা 'ইয়ে' করেছেন, আমার উপকার হয়েছে') করেছেন, তা যেন অব্যাহত থাকে। কারণ, 'ব্যাপক পাবলিসিটি ও কমিটেড লোক আনতে হবে'। বিত্তের পাহাড় গড়া খোকার এ 'দুটো'র সঙ্গে 'ইয়ে'র সংযোগটি যে কী, তা বুঝতে আকেলমন্দ মানুষের অসুবিধা হবে না।
'একটা নিউট্রাল পজিশনে', তার মিছিলে, তার ভাষায়, '১০ হাজার লোকের সমাগম ঘটাতে' খোকার সাহায্য। কেন? 'ব্যানার যাই হোক না কেন, ব্যানারের ভেতরে অন্তত বিরোধী আন্দোলনের সমালোচনা করা হচ্ছে না।'
ফোনালাপের একেবারে শুরু থেকে কুটনীতিকরা যে 'যথেষ্ট পরিমাণে ইনিশিয়েটিভ নিচ্ছেন', 'প্রতিবেশিদের দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন হচ্ছে'– এসব মান্না জানিয়েছেন খোকাকে। স্পষ্টতই বোঝা যায়, এসব উদ্যোগে মান্না খুবই গুরুত্ব দিচ্ছেন; কারণ, পশ্চিমা উদ্যোগের সঙ্গে 'যদি ইন্ডিয়ানদের একটা যোগসাজশ হয়, তাহলে এইখানে একটা চেঞ্জের বাতাস বয়ে যাবে।' তাই মান্নার অভিমত, 'সালাউদ্দিন সাহেবের যে স্টেটমেন্ট যাচ্ছে, দিজ আর ফাইন। খুবই সুন্দর স্টেটমেন্ট যাচ্ছে।' মান্না, অভয় দিচ্ছেন খোকাকে, ভেঙে পড়া যাবে না। বলছেন, 'যদি একটা দুইটা বড় প্রোগ্রাম করে ফেলতে পারি, তাহলে ব্রেক থ্রু হয়ে যাবে। আপনারা তখন পেছনে পেছনে নিজেদের মতোই নামতে পারবেন। নামতে পারলেই কেইস শেষ।'
মান্নার আর্জি, 'পাবলিকের কিলিংয়ের ঘটনা অ্যাভয়েড করতে হবে।' বলছেন, 'গত চার-পাঁচ দিনে পেট্রোল বোমায় মৃত্যুর ঘটনা কিন্তু নেই এখন আর। এটা ভালো।'
উত্তরে খোকা বলেছেন, 'সেটাও গভর্মেন্টের অপপ্রচার। তারা বলবে, আমরা কট্রোল করে ফেলেছি। সব ঠিক হয়ে গেছে।'
অর্থ দাঁড়াল, খোকা সাহেবরা যে পরিকল্পিতভাবে পেট্রোল বোমায় পাবলিক কিলিং করছেন, মান্নারও তা জানা।
খোকা যেখানে তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবার ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করছেন; বলছেন, 'ওরা তো অ্যাগজস্টেড হয়ে যাচ্ছে। এখন এটা কতদিন কনটিনিউ করা যাবে। আবার না করেও তো কোনো উপায় নেই'– সেখানে মান্না বলছেন, 'আরও কিছুদিন তো কনটিনিউ করতেই হবে।'
ভয়াবহ আরও কথা বলেছেন মান্না। খোকাকে জানাচ্ছেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়কে ধরতে হবে অ্যাট অ্যানি কস্ট। … আমি তিন মাস আগে … কে বলেছিলাম, যে কোনো ভাবে ইউনিভার্সিটিতে দুই তিনটি হল দখল করেন।' 'ইউনিভার্সিটিতে ধরেন মারামারিতে গেল দুই তিনটা। কী করা যাবে? কিন্তু আপনারা গভর্মেন্টকে শেইক করে ফেলবেন।'
সেটাই ভয়াবহ কথা। সুশীল সমাজের মাথা, বিনয়ী, প্রজ্ঞাবান মান্না যিনি টকশোতে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বলেন, আগুনে পুড়ে মরে যাওয়া মানুষের জন্য আহাজারিও করেন, তিনি বলছেন, দুই তিনটা লাশ পড়লে 'কী করা', সরকারকে তো ঝাঁকুনি দেওয়া যাবে!
আরও গুরুতর কথা বলেন তিনি খোকাকে। খোকা যখন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে হল দখলের চেষ্টা হলে 'বড় ধরনের একটা ইয়ে হয়ে যাবে'– তখন মান্না বলেন, 'একটা বড় ধরনের কিছু হলেই ঘটনা পাল্টে যাবে। গভর্মেন্ট সুতার উপর ঝুলছে।' এ প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির কথা বলেছেন, 'আমি জানি না, কেরির সঙ্গে ওখানে কী কথা হচ্ছে বা হবে। দ্যাট উইল বি ভেরি ভাইটাল।'
এককালের বাম ছাত্রনেতা, পরে জাসদ, বাসদ ও অন্যান্য দল হয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমানে নাগরিক ঐক্যের প্রধান গণতন্ত্রের ধ্বজাধারী মান্না আমেরিকার হস্তক্ষেপে বড় কিছু একটা ঘটবার জন্য অপেক্ষা করছেন। যেমনটা করছেন, বেগম খালেদা জিয়া-তারেক জিয়া-খোকা এবং জামাত।
বান কি-মুনের চিঠির বিষয়ে 'প্রথম আলো'র সম্পাদক মতিউর রহমান যে পূর্ব থেকেই জানতেন সে বিষয়ে বলেছেন মান্না, 'মানে মতি ভাই জানতেন বান কি-মুন এই রকম বলছে। তার আগে হয়তো ড. কামালও জানতেন।'
ম্যাডাম খালেদা জিয়াকে মান্না তার সালাম পৌছে দিতে বলেছেন। খোকাকে আন্দোলন চালিয়ে যেতে উৎসাহ দেওয়ার পর মান্না তার জোটের শরিকদের নিয়েও কথা বলেছেন।BNP-leader-3331
'এখন আমাদের নামা দরকার। আমাদের বলতে… সিপিবি বা ওদের পজিশন কিন্তু বেশ ফেসিনেটিং। অনেকটা ঐদিকে আর খানিকটা এইদিকে এই রকম। তার মানে আমরা যে ক'জন আছি, এই কয়জনই। তার মধ্যে আবার দ্বিধা-দ্বন্দ্ব আছে। কিন্তু এখানে কাউকে টানতে হবে।' পরে খোকাই বলেছেন, তারা মান্নার প্রোগ্রামে তাদের কর্মীদের পাঠিয়েছিলেন।
কথা দাঁড়াল, সিপিবি বা বাসদকে নিয়ে মান্না ভরসা পাচ্ছেন না। তারা দোদুল্যমান। অন্যরা (ড. কামাল হোসেন, কাদের সিদ্দিকী, ডা: বদরুদ্দোজা, আসম রব) দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছেন। তাই তার প্রোগ্রামে কমিটেড লোক পাঠাতে হবে খোকাদের। কে না জানে এই কমিটেডরা হচ্ছে জামাত-বিএনপির জঙ্গি সন্ত্রাসী খুনিরা!
ভাইবারে ফোন করলে তা যে নিরাপদ এটা মান্না জানেন, তা বোঝা গেল কথোপকথনে। 'নিউ এজ' সম্পাদক নূরুল কবির, অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমদের নাম মান্না উল্লেখ করেছেন, তাদের সঙ্গে যোগাযোগের প্রসঙ্গে। বলেছেন প্রয়াত অলি আহাদের কন্যা ও আরও কয়েকজনের কথা। যাদের বিএনপির হয়ে টকশোর জন্য তৈরি করতে হবে। কারণ 'টকশোতে এইজন্য তো মানুষ নাই এখন।'
বেগম খালেদা জিয়ার অফিসে ড. কামাল হোসেনকে তিনি 'পারসু' করে নিয়ে গিয়েছিলেন বলে জানান মান্না। খোকার জিজ্ঞাসায় মান্না জানান, আবার খালেদা জিয়ার বাসায় যেতে ড. কামাল রাজি হবেন না।
অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থানকারী অজ্ঞাত ব্যক্তি যে অসাংবিধানিক পথে ক্ষমতা পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন, মান্নার সঙ্গে ফোনালাপে তা স্পষ্ট হয়। রহস্যময় ব্যক্তিই ফোন করেন মান্নাকে। 'ভাইয়া, আমার সমন্ধে তো নাম-বদনাম অনেক কিছু শুনেছেন। আপনি আমাকে ট্রাস্ট করেছেন। আই লাইক টু থ্যাংক ইউ ফর দ্যাট।' অজ্ঞাত ব্যক্তির এই কথায় মান্না যে তার সঙ্গে শুধু যোগাযোগই রাখেন না, নাম-বদনাম থাকলেও তাকে বিশ্বাসও করেন তা বোঝা গেল। এই ফোনালাপের একেবারে শুরুতেই মান্না নিশ্চিত হয়ে নেন যে, কলকারি ভাইবারেই আছেন।
অজ্ঞাত ব্যক্তির 'বাট ওই যে, ওইদিকে উত্তরপাড়া কিন্তু গরম হচ্ছে', এই কথার উত্তরে মান্না বলেন,
'আর কী গরম, আর কবে হবে? যা হয়ে গেছে দেশে এর থেকে বেশি কিছু তো আর হতে পারবে না।'
পেট্রোল বোমায় মানুষ হত্যা, ট্রেন ফেলে দেওয়া, জনগণ ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অব্যাহত সন্ত্রাসের কথাই নিশ্চয়ই মান্না বলছেন।
'সাপোর্টটা ছিল না যে', কলকারির এই কথার উত্তরে মান্না বলেন, 'না… এখন তো আছে।' এরপর উত্তরপাড়ার সঙ্গে যোগাযোগের কথা আসে।
অজ্ঞাত ব্যক্তি বলেন, 'দেশে পরিবর্তন আনতে চাইলে, আপনার কথা বলা দরকার। উনারাই আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।' মান্না তাতে সম্মতি জানান।
অজ্ঞাত ব্যক্তি জানান, রিটায়ার্ড একজন মান্নাকে ফোন করবেন, সঙ্গে থাকবেন কর্মরত দুইজন। তাদের একজন লে. জেনারেল হতে যাচ্ছেন; অপরজন ইতোমধ্যেই লে. জেনারেল। মান্নার প্রশ্ন, 'তুমি যার কথা বললে, উনি কি তোমার ওই এলাকার দিকে ছিলেন?' উত্তরে কলকারি নিশ্চিত করেন, তিনি অস্ট্রেলিয়াতেই ছিলেন। এক/এগারোর অন্যতম নায়ক জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী পরে অস্ট্রেলিয়াতে রাষ্ট্রদূত হয়ে যান। তিনিই কি কলকারি বর্ণিত রিটায়ার্ড একজন?
অজ্ঞাত ব্যক্তি বলছেন, 'প্রয়োজনে ওনারা ওখান থেকে আপনার সাথে চিফের কথা বলিয়ে দেবে।' মান্না তাতে সম্মতি জানান।
'ওয়ান ইলেভেনে গতবারে একটা পর্যন্ত ব্যারাক থেকে বের হওয়ার ব্যাপারে, আমরা সাহায্য করেছিলাম। বাট রুমী ভাই… মঈন সাহেবের মধ্যে একটা ডিফারেন্স হয়ে গেল।' কলকারি আরও বলছেন, ওই সময় তিনি অসুস্থ হয়ে না পড়লে, 'আমার এসব ঘটনাতে আপনার গেমটা অন্য দিকে চলে গেল। বাট ইট উড বি আ ডিফরেন্ট স্টোরি অলটুগেদার।'
মারাত্মক কথা। এক/এগারোর ষড়যন্ত্রে মান্নার সংযুক্তি একেবারে খোলাসা হয়ে যায় কলকারির কথায়। কলকারি জানান, 'টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, পাহাড় থেকে নিয়ে সব জায়গায় কাজ করেছি। …তখন আমি ৪০-৫০টা এমপি দিয়ে অনেক কিছু ম্যানিপুলেট করছি। আমি তাদের নমিনেশন থেকে নিয়ে সব ব্যবস্থা করেছি।'
জেনারেলদের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যাপারে অজ্ঞাত ব্যক্তি বলেন, 'এখন ইনশাল্লাহ রানিং ১৯ জনের মধ্যে ১২ জনের সঙ্গে আমি সরাসরি কথা বলি। অ্যাট লিস্ট ইউ ক্যান টক টু দেম। আপনি কথা বললে ক্লিয়ার হবে।' মান্না বলেন, 'ওকে'।
'ইউ উইল রিসিভ আ কল বাই টুমোরো টুয়েলভ।' একটা রেস্টুরেন্ট বা কোনো গোপন জায়গায় কথা বলার পরামর্শ দেন কলকারি। অস্ট্রেলিয়ার একটি ভাইবার নম্বর থেকে কথা হবে বলে জানালে মান্না তাতে সম্মতি দেন।
পাশের দেশের সঙ্গে মান্নার যোগাযোগের সূত্র ধরে অগ্রগতি জানতে চান কলকারি।
উপরে উল্লিখিত দুটো ফোনালাপ যা মান্না অস্বীকার করেননি, করতেও পারবেন না– তা কী বলে? ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ তারিখে অনুষ্ঠিত একুশের আলোচনা সভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, 'বিএনপি নেত্রী মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে উত্তরপাড়া ও বিদেশি প্রভুদের দিকে চেয়ে থাকেন।' একই কথা যে মাহমুদুর রহমান মান্নার ক্ষেত্রেও সর্বাংশে প্রযোজ্য তা বড় স্পষ্টভাবে ধরা পড়েছে ফাঁস হওয়া ফোনালাপে।
কেন শুরুতে মান্নাকে একটি ধন্যবাদ দিয়েছি, তা এবার বলি।
কিছু মনে করবেন না মান্না, 'চোরের দশদিন তো গৃহস্থের একদিন', প্রবাদটি শক্ত হলেও আপনার জন্য তা শতভাগ সত্য। লম্বা সময় ধরে একজন সজ্জ্বন, উদার, গণতন্ত্রকামী ও দেশের মঙ্গল-প্রত্যাশী সুশীল রাজনীতিবিদের মুখোশ পরা আপনার চাকচিক্যময় আবরণ একেবারে খসে পড়েছে। আপনাকে চেনাতে সাহায্য করার জন্য ধন্যবাদ তো আপনার প্রাপ্যই।
দেশের সত্যিকার গণতন্ত্রকামী মানুষ, তরুণ প্রজন্ম এবং মান্নার জোটের সিপিবি-বাসদ, ড. কামাল হোসেন ও অন্যরা ভেবে দেখবেন, এমন একজনের সঙ্গে রাজনীতি করা নিরাপদ কিনা। অজ্ঞাত 'ইমপোস্টার' যার উপর মান্নার গভীর আস্থা– তার কথা সত্য হলে উত্তরপাড়ার জেনারেল সাহেবরাও সাবধান হবেন নিশ্চয়ই। কারণ বাংলাদেশে অসাংবিধানিক পথে ক্ষমতা দখলের দুঃস্বপ্ন আর কেউ দেখবেন বলে মনে হয় না। আমরা ছাত্র-শিক্ষক-জনতা ২০০৭ সালেই তা নিশ্চিত করেছি।
বাংলাদেশ পাকিস্তান বা আফগানিস্তান হবে না। বেগম খালেদা জিয়া ঘোষিত অবরোধ-হরতালে অব্যাহত হত্যা-সন্ত্রাস দু'মাসের কাছাকাছি হওয়ার পরও দেশ অচল হয়নি, মান্না গংদের অব্যাহত ষড়যন্ত্র ও প্রচারণার পরও। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও রায় কার্যকর হবে; খালেদা-তারেক-জামাত চক্র পরাজিত হবে। যেমন পরাজিত হবেন মান্নার মতো ছদ্মবেশী সুশীলেরা। এসবের মধ্য দিয়ে কার্যকর ও প্রয়োজনীয় সংলাপের ক্ষেত্র প্রস্তুত হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম অর্জন সংবিধান ও তাতে সন্নিবেশিত চার মৌল নীতির ভিত্তিতে গড়ে ওঠা জাতীয় ঐকমত্যের মধ্য দিয়ে রচিত হবে 'জাতীয় সনদ'।
সে লক্ষ্যেই এগুচ্ছে দেশ। ধীরে, তবে সুনিশ্চিত পদক্ষেপে।
ড. মো. আনোয়ার হোসেন:অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।



__._,_.___

Posted by: Muhammad Ali <man1k195709@yahoo.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] কালের পুরাণ : ভুল পথে বিএনপি!



কালের পুরাণ

ভুল পথে বিএনপি!

সোহরাব হাসান | আপডেট: ০০:০৭, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৫ | প্রিন্ট সংস্করণ

অঙ্কন: মাসুক হেলালসংসদ বাংলা অভিধান অনুযায়ী আন্দোলন শব্দের অর্থ দোলন, আলোড়ন। লক্ষ্য সিদ্ধির জন্য প্রচার, উত্তেজনা, সংঘবদ্ধ বিক্ষোভ প্রদর্শন।
যে নামেই ডাকি না কেন দল হিসেবে বিএনপি কিংবা ২০-দলীয় জোট এখন আন্দোলনে আছে। কিন্তু সেই আন্দোলনের স্বরূপটি কেমন, কারা সেই আন্দোলনের নির্দেশ দিচ্ছেন, কীভাবে নির্দেশ দিচ্ছেন, কারা সেই নির্দেশ পালন করছেন, সেসব মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন।
আন্দোলন আর বিপ্লব এক নয়। বিপ্লব বা প্রতিবিপ্লব দুটোই আকস্মিক ঘটে। বাংলাদেশেও এর একাধিক নজির আছে। কিন্তু গণ-আন্দোলন সৃষ্টি করতে হয় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে, ধাপে ধাপে। একটি স্তর পার হয়ে আরেকটি স্তরে তাকে নিয়ে যেতে হয়।
বাংলাদেশের বিগত আন্দোলনগুলোর দিকে তাকালে আমরা কী দেখতে পাই? বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছিল ১৯৪৮ সালে। বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে সেই আন্দোলন পূর্ণতা পায় ১৯৫২ সালে। আইয়ুববিরোধী আন্দোলনের সূচনা হয় ১৯৬২ সালে হামুদুর রহমান শিক্ষা কমিশনবিরোধী ছাত্র বিক্ষোভের মাধ্যমে। এরপর চৌষট্টির দাঙ্গার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো, ছেষট্টির ছয় দফা, আটষট্টির আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা পার হয়ে উনসত্তরে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেটি পূর্ণতা পায় এবং আইয়ুব শাহির পতন ঘটে।
স্বাধীন বাংলাদেশে এরশাদবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছিল ১৯৮৩ সালের ছাত্র বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে। ওই বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি মজিদ খান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে গিয়ে জীবন দেন জয়নাল, জাফর, দীপালি সাহাসহ অনেক শিক্ষার্থী। এরপর ১৯৮৪, ১৯৮৫, ১৯৮৬, ১৯৮৭, ১৯৮৮ হয়ে নব্বইয়ে আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ নেয় এবং স্বৈরাচারী এরশাদের পতন ঘটে। সেই আন্দোলনের অগ্রসারিতে ছিল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আট দল, বিএনপির নেতৃত্বে সাত দল এবং বামপন্থার অনুসারী পাঁচ দল। সে সময় তিন জোট মিলে দেশ শাসনের ভবিষ্যৎ রূপরেখা প্রণয়ন করলেও ক্ষমতায় গিয়ে তারা সেটি ছুড়ে ফেলেছে। বর্তমানে গণতন্ত্রের যে সংকট, তার মূলেও রয়েছে তিন জোটের রূপরেখা বাস্তবায়ন না করা এবং পরিত্যক্ত স্বৈরাচার ও রাজাকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দেশ শাসন।
এরশাদের পতনের পরও এ দেশে গণ-আন্দোলন হয়েছে। বিএনপি আমলে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামী মিলে আন্দোলন করেছে। আওয়ামী লীগ আমলে বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামী জোট বেঁধে আন্দোলন করেছে। আবার সব দল যুগপৎ আন্দোলন করেছে সেনাসমর্থিত সরকারের বিরুদ্ধে। সেসব আন্দোলন যতই ক্ষমতাকেন্দ্রিক ও আদর্শবর্জিতই হোক না কেন, জনগণের সমর্থন ও সম্পৃক্ততা ছিল। সরকারের জেল-জুলুম, হামলা-মামলা উপেক্ষা করে আন্দোলনরত দলগুলোর নেতা-কর্মীরা মাঠে তৎপর ছিলেন।
কিন্তু এবারের আন্দোলনের চেহারাটি ভিন্ন। আন্দোলনের নামে প্রায় পৌনে দুই মাস ধরে চলছে নাশকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। পেট্রলবোমার আগুনে, ককটেলের আঘাতে মারা যাচ্ছে নিরীহ মানুষ। মারা যাচ্ছে কথিত বন্দুকযুদ্ধেও। আন্দোলন আহ্বানকারীরা জনগণ দূরে থাক, দলীয় নেতা-কর্মীদেরও আন্দোলনে সম্পৃক্ত করার প্রয়োজন বোধ করেননি। তাঁরা ভেবেছেন ২০১৩ সালের কায়দায় বোমা মেরে, বাস-ট্রেন জ্বালিয়ে আন্দোলন সফল করা যাবে। একটি যৌক্তিক দাবির আন্দোলন কীভাবে সন্ত্রাসের চোরাগলিতে নিক্ষিপ্ত হয়, তার প্রমাণ বিএনপি-জামায়াত জোটের লাগাতার কর্মসূচি। তাদের আন্দোলনে মানুষ উদ্বুদ্ধ ও আশ্বস্ত হওয়ার বদলে নিয়ত শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে।
বিএনপির তরফে যুক্তি দেখানো হয় যে সরকারের দমন-পীড়নের কারণে দলের নেতা-কর্মীরা মাঠে নামতে পারছেন না। দলীয় নেত্রীকে তাঁর অফিসে প্রায় অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে নেতারা আত্মগোপন অবস্থা থেকে আন্দোলনের দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। তাঁদের এই অভিযোগ হয়তো অসত্য নয়। কিন্তু আমরা যখন দেখি মাঠে নামতে না দেওয়া বিএনপির কোনো কোনো কেন্দ্রীয় নেতা বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে কিংবা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংবর্ধনায় ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সঙ্গে পাশাপাশি বসেন, খোশ আলাপ করেন, তখন ভাবি তাহলে কি ধরপাকড়ের বিষয়টিও বাছাই করা?
বিএনপি তার কর্মসূচিতে কেন জনগণকে সম্পৃক্ত করাতে পারেনি, সেই বিশ্লেষণে যাওয়ার আগে দলের দাবিগুলোর প্রতি আলোকপাত করা যাক। ২০০৭ সালের 'একতরফা' নির্বাচনের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা ডান-বাম সবাইকে এক করতে পারলেও খালেদা জিয়া ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগবিরোধী সবাইকে পক্ষে টানতে পারেননি। জামায়াতকে জোটে নেওয়া এবং বিএনপি আমলের বাড়াবাড়িই এর কারণ। দ্বিতীয়ত, শেখ হাসিনা চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে ২০০৭ সালের নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করলেও প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপ পার করে নির্বাচনের প্রতি তাঁর আগ্রহের কথা মানুষকে বিশ্বাস করাতে পেরেছিলেন। কিন্তু খালেদা জিয়া শুরু থেকেই জামায়াতকে (যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোই ওই দলটির মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল) নিয়ে নির্বাচন বর্জনের পাশাপাশি প্রতিরোধের ডাক দেন। এমনকি নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে শেখ হাসিনার সংলাপ প্রস্তাবও তিনি সরাসরি নাকচ করে দেন। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর এক বছর বিএনপি জোট প্রায় নিষ্ক্রিয় থেকে হঠাৎ লাগাতার কর্মসূচি দেশবাসীর কাছে অস্বাভাবিক ঠেকেছে। এতে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি দলের অনেক নেতা-কর্মীও অবাক হয়েছেন। কেননা, এ ধরনের একটি কর্মসূচিকে এগিয়ে নিতে যে প্রস্তুতি থাকা প্রয়োজন, তা বিএনপির ছিল না।
গত ৩১ ডিসেম্বর খালেদা জিয়া নতুন নির্বাচনের দাবিতে যখন সাত দফা প্রস্তাব পেশ করেন, তখনো কর্মসূচি সম্পর্কে দেশবাসীকে ন্যূনতম ধারণা দেওয়া হয়নি। খালেদার প্রস্তাবগুলো ছিল যথাক্রমে এক. জাতীয় নির্বাচন অবশ্যই নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে। দুই. নির্বাচন ঘোষণার আগেই প্রতিদ্বন্দ্বী সব পক্ষের সম্মতিতে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও বর্তমান আরপিও সংশোধন। তিন. নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে মন্ত্রিসভা ও জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করে 'প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষগুলোর সম্মতিতে গঠিত' নির্দলীয় সরকারের হাতে দায়িত্ব দেওয়া। চার. ভোটের তারিখ ঘোষণার পর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সারা দেশে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা। পাঁচ. নির্বাচনের প্রচার শুরুর আগেই সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে বিশেষ অভিযান চালানোর পাশাপাশি 'চিহ্নিত ও বিতর্কিত' ব্যক্তিদের প্রশাসনের দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা। ছয়. সব রাজবন্দীকে মুক্তি এবং রাজনৈতিক নেতাদের নামে থাকা 'মিথ্যা ও হয়রানিমূলক' মামলা প্রত্যাহার। সাত. এ সরকারের সময়ে 'বন্ধ করে দেওয়া' সব সংবাদপত্র ও টেলিভিশন খুলে দিতে হবে।
এসব অযৌক্তিক নয়। কিন্তু এই যৌক্তিক দাবি আদায়ে যে পথ তিনি বেছে নিলেন, তা অযৌক্তিক ও জবরদস্তিমূলক। সরকার ৫ জানুয়ারি বিএনপিকে জনসভা করতে দেয়নি। তাঁকে অফিসে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। আমরা তার নিন্দা করি। তাই বলে তিনি দেশবাসীকে মাসের পর মাস অবরুদ্ধ করে রাখতে পারেন না। বিএনপির নেত্রী পর্যায়ক্রমে ধারাবাহিক কর্মসূচি আসবে বলে ঘোষণা দিলেও দেশবাসীর ওপর বিরামহীন অবরোধ চাপিয়ে দিয়েছেন।
১ জানুয়ারি প্রথম আলোর প্রতিবেদনে বলা হয়: খালেদা জিয়া যে এ ধরনের প্রস্তাব তুলে ধরবেন, তা দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একটি বড় অংশ জানতেন না। হঠাৎ এ উদ্যোগে তাঁরা কিছুটা বিস্মিত হয়েছেন। তবে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের সূত্র জানায়, খালেদা জিয়া এ প্রস্তাব দেওয়ার আগে তা নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয়।... বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, 'ম্যাডামের বক্তব্যে আমরা নিজেরাও কনফিউজড (বিভ্রান্ত)। উনি যেভাবে কথা বলছিলেন, এগুলো তো নির্বাচনের প্রাক্কালের কথা। নির্বাচন কি খুব কাছাকাছি সময়ে হচ্ছে? কেউই মনে করছে না যে মার্চ-এপ্রিল বা ভেরি নিয়ার ফিউচার (নিকট ভবিষ্যৎ) নির্বাচন হচ্ছে। জাতিসংঘের মতো বড় কোনো শক্তি কি নির্বাচনের ব্যবস্থা করছে? আন্তর্জাতিক বিশ্ব পরিস্থিতি তো সে কথা বলছে না।' (প্রথম আলো, ১ জানুয়ারি ২০১৫)
বিএনপির সাত দফা প্রস্তাব ও পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে খোদ দলেই বিভ্রান্তি আছে। খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন নেতা ছাড়া কেউই কর্মসূচি সম্পর্কে জানতেন না। সে কারণেই শীর্ষ নেতৃত্ব কর্মসূচি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দলীয় নেতা-কর্মীদের চেয়ে জামায়াতে ইসলামী ও বিদেশি সুহৃদদের ওপর বেশি ভরসা করেছেন। এমনকি তারা ভারতের মন জয় করারও চেষ্টা করেছেন। বিজেপি নেতা অমিত শাহর সঙ্গে কথিত টেলিফোন সংলাপ সেই চেষ্টারই ফল।
কয়েক দিন আগে একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে বিএনপির কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ হয়। দেখলাম তাঁরা আন্দোলনের গতি–প্রকৃতি নিয়ে বেশ হতাশ। একজন বললেন, দেশে এখন কোনো রাজনীতি নেই, তাই রাজনীতি নিয়ে তাঁর কথা বলারও আগ্রহ নেই। আরেকজন বললেন, দেশের পরিস্থিতি মোটেই ভালো নয়। জিজ্ঞেস করলাম, এর জন্য কি সরকার একাই দায়ী? তিনি উত্তরে বললেন, সরকারেরও ভুল আছে, আমাদেরও ভুল আছে। আন্দোলনের নামে যেভাবে পেট্রলবোমা ছুড়ে মেরে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে, তা মেনে নিতে পারেননি এই নেতা।
লাগাতার অবরোধের শুরুতে অজ্ঞাত স্থান থেকে এলান পাঠাতেন রুহুল কবির রিজভী। তিনি গ্রেপ্তার হওয়ার পর পাঠান সালাহ উদ্দিন আহমদ। দুজনই দলের যুগ্ম মহাসচিব। সালাহ উদ্দিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, 'আজ আমরা ঘোষণা করছি, চলমান গণ-আন্দোলনে যাদের প্রাণ বিসর্জিত হচ্ছে, সরকারি বাহিনীর হাতে, তাদেরকে জাতীয় বীরের মর্যাদা প্রদান করা হবে, তাদের পরিবারদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন করা হবে। তাদের সবাই এই প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা।'
১৯৭১ সালে এই দেশে একটি মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। সেই যুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণকারীরাই মুক্তিযোদ্ধা, জাতীয় বীর। কিন্তু সালাহ উদ্দিন সাহেবরা নতুন করে মুক্তিযোদ্ধা ও জাতীয় বীর বানাতে চাইছেন। এটি কিসের আলামত? তবে যেসব নিরীহ মানুষ বিএনপি ও জামায়াত–শিবিরের কর্মীদের ছোড়া পেট্রলবোমায় মারা গেছেন, তাঁদের সম্পর্কে কিছুই বলেননি বিএনপির এই নেতা। পেট্রলবোমার দায়ও নিতে চাইছেন না তাঁরা। কিন্তু দায় অস্বীকার করলেই কি দায়িত্ব এড়ানো যায়?

সোহরাব হাসান: কবি, সাংবাদিক।
sohrab০3@dhaka.net

http://www.prothom-alo.com/opinion/article/460840/  ভুল-পথে-বিএনপি

Prothom Alo






__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] Fw: Saudi court gives death penalty to man who renounced his Muslim faith





Saudi court gives death penalty to man who renounced his Muslim faith

Reuters
13 hours ago
RIYADH (Reuters) - An Islamic court in Saudi Arabia has sentenced a man to death for renouncing his Muslim faith, the English-language daily Saudi Gazette reported on Tuesday.
The man, in his 20s, posted an online video ripping up a copy of Islam's holy book, the Koran, and hitting it with a shoe, the newspaper reported.
Saudi Arabia, the United States' top Arab ally and birthplace of Islam, follows the strict Wahhabi Sunni Muslim school and gives the clergy control over its justice system.
Under the Wahhabi interpretation of Sharia Islamic law, apostasy demands the death penalty, as do some other religious offences like sorcery, while blasphemy and criticism of senior Muslim clerics have incurred jail terms and corporal punishment.
Executions in Saudi Arabia are usually carried out by public beheading.
International rights groups say the Saudi justice system suffers from a lack of transparency and due process, that defendants are often denied basic rights such as legal representation and that sentencing can be arbitrary.
The Saudi government has taken some steps to reform its judicial system but has also defended it as fair.
Last year a court in Jeddah sentenced Saudi liberal Raif Badawi to 1,000 lashes and 10 years in prison for publishing criticism of the kingdom's ruling religious and political elite and calling for reforms in Islam.
The first of 50 of those lashes were carried out in January, but subsequent rounds of flogging have not occurred. Officials have not publicly commented on the case, but insiders say the lashing appears to have been quietly dropped.
(Reporting By Angus McDowall; Editing by Raissa Kasolowsky)
  • Society & Culture
  • Religion & Beliefs
  • Saudi Gazette
  • Saudi Arabia
Click to view comments
View Comments (3817)




__._,_.___

Posted by: Jiten Roy <jnrsr53@yahoo.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] Saudi court gives death penalty to man who renounced his Muslim faith



http://news.yahoo.com/saudi-court-gives-death-penalty-man-renounced-muslim-094037909.html

Saudi court gives death penalty to man who renounced his Muslim faith

Reuters
13 hours ago
RIYADH (Reuters) - An Islamic court in Saudi Arabia has sentenced a man to death for renouncing his Muslim faith, the English-language daily Saudi Gazette reported on Tuesday.
The man, in his 20s, posted an online video ripping up a copy of Islam's holy book, the Koran, and hitting it with a shoe, the newspaper reported.
Saudi Arabia, the United States' top Arab ally and birthplace of Islam, follows the strict Wahhabi Sunni Muslim school and gives the clergy control over its justice system.
Under the Wahhabi interpretation of Sharia Islamic law, apostasy demands the death penalty, as do some other religious offences like sorcery, while blasphemy and criticism of senior Muslim clerics have incurred jail terms and corporal punishment.
Executions in Saudi Arabia are usually carried out by public beheading.
International rights groups say the Saudi justice system suffers from a lack of transparency and due process, that defendants are often denied basic rights such as legal representation and that sentencing can be arbitrary.
The Saudi government has taken some steps to reform its judicial system but has also defended it as fair.
Last year a court in Jeddah sentenced Saudi liberal Raif Badawi to 1,000 lashes and 10 years in prison for publishing criticism of the kingdom's ruling religious and political elite and calling for reforms in Islam.
The first of 50 of those lashes were carried out in January, but subsequent rounds of flogging have not occurred. Officials have not publicly commented on the case, but insiders say the lashing appears to have been quietly dropped.
(Reporting By Angus McDowall; Editing by Raissa Kasolowsky)
  • Society & Culture
  • Religion & Beliefs
  • Saudi Gazette
  • Saudi Arabia
Click to view comments
View Comments (3817)


__._,_.___

Posted by: Jiten Roy <jnrsr53@yahoo.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

RE: [mukto-mona] 'Manna wants killings at Dhaka University to shake government'



Manna, and many supporters are on the defense.

It may not be that Manna himself is advocating violence. He does not have to. The brutal acts of terrorism are being enacted by hired hands trained by experts. There is massive amount of money in
volved of which he is a recipient. His role is to make the ugly, miserable  back-to-back hartals and the violence look like the fault of an "unelected, illegal fascist Govt." That is what the HQ in London is dispatching everyday, constantly. He is fully aware that the foreign media will gobble it up. His arrest will be publicized as yet another example of a cruel, autocratic Govt. suppressing democracy and free speech, and blah blah blah . . .



From: mukto-mona@yahoogroups.com
To: mukto-mona@yahoogroups.com
Date: Sun, 22 Feb 2015 14:19:17 -0500
Subject: [mukto-mona] 'Manna wants killings at Dhaka University to shake government'

 

Teletalk leaked: 'Manna wants killings at Dhaka University to shake government'

Staff Correspondent,  bdnews24.com

Published: 2015-02-22 23:49:23.0 BdST Updated: 2015-02-23 00:42:42.0 BdST



An audio tape of a long telephone conversation purportedly between BNP leader Sadeque Hossain Khoka and Nagarik Oikya Convenor Mahmudur Rahman Manna has been leaked, where the latter can be heard asking for corpses.
Manna is a former Awami League leader who later broke away to form the Nagarik Oikya and the tape apparently reveals the true motive behind Manna's push for a dialogue to find a solution to the current political impasse.

His stated ambition is to make the Nagarik Oikyo the 'third most important party' in Bangladesh.

In the audio tape, Manna briefs Khoka, now living in the US for eight months, about his plans to take out a march from National Press Club on Feb 23.

Following that, he advices Khoka to 'tell your people' to go in for a massive showdown at the Dhaka University.

"If possible take over a few halls in a huge head-on confrontation. Maybe a few will die on both sides but if a few halls can be taken over, it will shake up the government," Manna is heard advising Khoka.

But the BNP leader is found to be somewhat reluctant, fearing huge subsequent police action.

Throughout the conversation, Manna is asking Khoka to 'tell your people' to join Nagarik Oikya programmes.

"It will strengthen the democratic movement at the end of the day," Manna is heard telling Khoka.

He also reassures the BNP leader of the edge anti-government and pro-movement elements have in the TV talk shows.

"We are dominating the talk shows. We have put the government on the defensive," Manna is heard telling Khoka.

"We have successfully established that the root of the current crisis is Jan 5 polls."

Manna also sounds optimistic about the initiatives by US, EU and UN – "only if the Indians can be made to change their line," he is heard lamenting.

But he assures Khoka that will also happen.

Manna's suggested plan of action indicates that pro-dialogue elements will actually play the role of the 'second front' of the BNP-Jamaat-e-Islami movement. And at one point, he is heard referring to "Dr Kamal" (possibly Kamal Hossain) as part of the plan.

"But I am under huge surveillance. The prime minister is upset with me, so I have been asked by people to be really careful," Manna is heard saying.

When asked about his telephone chat with Khoka, Manna did not deny it but told bdnews24.com: "I sometimes speak to Khoka bhai (Sadeque Hossain Khoka)."

(For detailed transcript and audio in Bangla, click here)
RELATED STORIES








__._,_.___

Posted by: Farida Majid <farida_majid@hotmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___