__._,_.___
Your suggestive innuendo is quite disparaging:Your question was "why and how someone should beat his wife? "Please note that you mentioned "should beat" !!!!!You are in the best position to answer your own question ... [Please do that]Bear in mind, as you have said, (and I too emphasize) "Prophet (PBUH) never hithis wife."...I personally think that abuse (physical or mental) of the wife by a husband istotally unacceptable.Although Surah Nisah has some allowance for ""মৃদু প্রহার" of "disobedient wife",it (i,e beating wife)is not obligatory either.....However, some muslim men use the text as an excuse for domestic violence.In Bangladesh, a land of 90% muslims wife-beating for trifling matters arenot un-common .....:What do you think ?Note:Always remember(There is no compulsion in religion. Verily, the right path hasbecome distinct from the wrong path ................).On Fri, Jul 31, 2015 at 9:47 PM, Syed Haque <syedhaque@hotmail.com> wrote:The example you provided is not what I asked for. May be you did not understand my question.
Here is what I want you to tell me. Suppose a man came to you and said I just beat my wife up the way it is mentioned in the Quran because she didn't listen to me. He poses a question to you: "Tell me now is this beating done in accordance with Quran."
What would be your response?
Date: Fri, 31 Jul 2015 04:11:04 -0400
Subject: Wife-Beating in Bangladesh - Example !
From: nehal.adil2011@gmail.com
To:"Can you give me a small example why and how someone should beat his wife? " - Syed HaqueHave a reality check:Wife-Beating
But due to the dominance of Islamic instruction, these courts do not administer true justice.Salma Akhtar 22, a housewife of district Naogaon in Bangladesh was brutally beaten by her husband on February 24. She was accused of wishing to get more institutional education. After the beating, her husband, Shohag Ali, burned her with kerosene, seriously scorching her over 90% of her skin. She is currently under treatment at the Rajshahi Hospital..
In the last two months alone, 76 cases of assaults by husbands have been published in different local dailies in Bangladesh. This practice does not happen by fits and starts; is in full swing throughout the country -- not only to wives from rural areas; sometimes even educated wives who are university graduates suffer beatings.
According to the "Bangladesh Demographic And Health Survey-2007" by the National Institute of Population Research and Training under Ministry of Health and Family Welfare, 60 percent of the women in Bangladesh are victims of spousal violence in the country.
The research table reports that the most widely accepted reasons for wife beating are: disobeying elders 24%; arguing with the husband 22%; going out without permission or having informed one's husband 18%, and neglecting the children 16%. Only 9% percent of women feel that denying sexual intercourse is a reason for a man to beat his wife.
On attitudes toward wife beating, the survey says, 36% of Bangladeshi man age 15-49 agree that at least one of the reasons given is sufficient justification for wife beating.
Although it is not mentioned in the survey, the progressive intellectuals in the country believe that part of this attitude is derived from and inspired by some Quranic verses. A verse (4:34), Surah An-Nisa [the women] of Qur'an says, "Men are the protectors and maintainers of women, because Allah has made one of them to excel the other, and because they spend from their means. Therefore the righteous women are devoutly obedient to Allah and to their husbands, and guard in the husband's absence what Allah ordered them to guard. As to those women on whose part you see ill conduct, admonish them first, next, refuse to share their beds, and finally, beat them, but if they return to obedience, seek not against them means. Surely Allah is ever most high, most great."
Most of the people in the country strongly believe that the Qur'an is the source and code of life. All the interpretation commonly claim that man are superior to women on account of the qualities with which Allah has gifted the one above the other, because they spend their wealth to maintain them. Good women are obedient. As for those from whom you fear disobedience, admonish them and send them to beds apart and beat them.
The formal law on the repression of women is tight in Bangladesh. There have been some amendments; apparently now it is satisfactory to the Women Lawyers Association of Bangladesh. But the laws are not effective. With the direct and indirect help of the U.N., the Bangladesh government has established hundreds of village courts which work on family matters with the help of local representatives. But due to the dominance of Islamic instruction, these courts do not administer true justice. The Imams of the more than 250,000 Mosques in the country are ordering the locals, especially men who are arguing with their wives, to follow the orders given by Allah.Also read:Most Bangladeshi men think beating their wife is OK - Gulf ...
Mar 9, 2014 - Dhaka: Despite the appreciation earned byBangladesh for the empowerment of women in recent decades, most men in the country still believe ...Most Bangladeshi Think Wife Beating is Legitimate: Study ...
Mar 8, 2014 - Despite Bangladesh's appreciation for women empowerment in the recent decades, most people in the country believe wife beating is ...94% of Bengali Husband's Beat Their Wives! - Bangladesh.com ...
www.bangladesh.com › Bangladesh.com Discussion Forum › Open BoardJan 1, 2003 - 4 posts - 2 authors94% of Bengali Husbands Beat Their Wives News fromBangladesh Rise of literacy rate and mobility in society has not not restrained the ...by SR Schuler - 2012 - Cited by 7 - Related articlesElsewhere, as many as 90% of women said wife-beating was justified for some reason (Yount & Li, 2009). In the Bangladesh2004 DHS, 55% of men ages 15 ...2015-07-30 18:35 GMT-04:00 Syed Haque <syedhaque@hotmail.com>:(তাফসীরে কুরতুবী) Are you sure this is an authentic interpretation? Lot of contemporary scholars do not agree with this interpretation of "hitting with a মেসওয়াক".
Like I said before people sometimes use sources which haven't gone through scrutiny meaning they are not authentic.
Allah SWT is compassionate and forgiving and Prophet (PBUH) never hit his wife.
Can you give me a small example why and how someone should beat his wife?
অতীতে এই ফতোয়ার শিকার হয়েছেন কবি ইকবাল এবং কবি নজরুল ইসলামের মতো দুজন মনীষী কবিও। পরে তাঁরা উপমহাদেশের 'মুসলিম জাগরণের অগ্রদূত' বলে সম্মানিত হয়েছেন। আমি মনীষী নই, একজন সামান্য মানুষ। সম্প্রতি নিউইয়র্কে একটি আলোচনা সভায় আরবি ভাষা ও ইসলাম ধর্ম নিয়ে একাডেমিক আলোচনা করতে গিয়েই আমাকে এই ফতোয়াবাজির শিকার হতে হয়েছে। আমার ভাগ্য ভালো, প্রকৃত ওলামা-মাসায়েখরা আমার বিরুদ্ধে এই ফতোয়া দেননি। দিয়েছেন বিএনপি ও জামায়াতপন্থী এবং তাদের মিডিয়ার দ্বারা বিভ্রান্ত একশ্রেণির আলেম।
আমার বক্তব্য নিয়ে শোরগোল তুলেছে ঢাকা, নিউইয়র্ক ও লন্ডনের কয়েকটি বিএনপি ও জামায়াতপন্থী মিডিয়া। আমার বক্তব্য কাটছাঁট করে ছেপে তারা বিভ্রান্তি সৃষ্টি দ্বারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সিদ্ধি করতে চেয়েছে। সাধারণ মানুষ এই উদ্দেশ্য বুঝে ফেলায় তাদের প্রচারণা সফল হয়নি। তাদের মূল টার্গেট আমি ছিলাম না, ছিল আওয়ামী লীগ এবং বাংলাদেশের সেক্যুলার পলিটিকস্। আমি আওয়ামী লীগের সমর্থক একজন কলামিস্ট। আওয়ামী লীগই আমাকে রাষ্ট্রীয় খরচে নিউইয়র্কে পাঠিয়ে ধর্মের বিরুদ্ধে এ সব কথা বলিয়েছে এবং আওয়ামী লীগও ধর্মদ্রোহী দল এটা প্রমাণ করাই ছিল এই প্রচারণার উদ্দেশ্য। হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আর কোনো ইস্যু না পেয়ে ধর্মের ঢাল ব্যবহার করাই ছিল এই অপপ্রচারের লক্ষ্য।
আমার নিউইয়র্কের বক্তব্য কাগজে প্রকাশিত হতে না হতেই কোনো ধর্মীয় ব্যক্তি বা ধর্মীয় সংগঠন নয়, বিএনপির মতো একটি রাজনৈতিক দলের আমার বক্তব্যের বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম সংবাদ সম্মেলন ডাকা থেকেই এই অসৎ প্রচারণার আসল উদ্দেশ্য বোঝা যায়।
নিউইয়র্কে গত ৩ জুলাই শুক্রবারের আলোচনা সভায় আমি আল্লাহের অস্তিত্ব এবং মহানবীর (দ:) মর্যাদা নিয়ে কোনো কথাই বলিনি। আমি আলোচনা করেছি ভাষা ও ধর্মের সম্পর্ক বিষয়ে। পাকিস্তান আমলে প্রচারণা চালানো হত, বাংলা ভাষা হিন্দুদের ভাষা। এ প্রসঙ্গে আমি বলেছি, ভাষা কোনো বিশেষ ধর্মের বাহন নয়। আরবি ভাষা ইসলাম ধর্ম প্রচারিত হওয়ার বহু আগে থেকে প্রচলিত। পৌত্তলিকেরা এই ভাষার কথা বলত। সেই ভাষাতেই কোরান নাজেল হয়েছে এবং ইসলাম ধর্ম প্রচারিত হয়েছে।
আরবি ভাষা থেকেই আল্লাহর গুণবাচক বিশেষণগুলো এসেছে। যেমন রাহমান (দয়ালু), গাফফার (ক্ষমাশীল)। রাসুলুল্লাহর পিতার নাম ছিল আবদুল্লাহ্। অর্থাৎ আল্লাহর দাস। এই আল্লাহ শব্দও ইসলাম-পূর্ব যুগের। পৌত্তলিকরা তাদের দেবদেবীর নাম হিসেবে এগুলো ব্যবহার করত। মহানবী এ সব দেবদেবীর মূর্তি ভেঙে দেন। কিন্তু এই গুণবাচক শব্দগুলো আল্লাহর গুণবাচক বিশেষণ হিসেবে ব্যবহার করেছেন।
যেমন আমরা বলে থাকি, 'আল্লাহ্ সর্বশক্তিমান'। এই বিশেষণটি বাঙালি মুসলমানেরা আবিস্কার করেনি। তাদের বহু পূর্ব থেকে হিন্দু ও বৌদ্ধেরাও তাদের ভগবানের নামের সঙ্গে এই বিশেষণ ব্যবহার করে এসেছে। হিন্দুরা বলেন, 'সর্বশক্তিমান পরম ব্রহ্ম'। এখন যদি কেউ বলেন, 'সর্বশক্তিমান' কথাটি হিন্দুদের দেবতার গুণবাচক বিশেষণ হিসেবে ব্যবহৃত হত এবং আমরা মুসলমানেরা তা পরে ব্যবহার করছি, তাহলে কি তিনি 'কাফের', 'ধর্মদ্রোহী' হয়ে যাবেন? হিন্দুদের 'একমেবাদ্বিতীয়ম' (উপাস্য একজন, দ্বিতীয় কেহ নাই) কথাটির সঙ্গে মুসলমানের 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্' (আল্লাহ্ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই) কলেমার কি বিস্ময়কর মিল নেই?
এই মিলের একটাই অর্থ, সব ধর্মের সার সত্যই এক। আল্লাহকে গড, ভগবান, ঈশ্বর যে কোনো নামেই ডাকা হোক, তাতে কোনো ধর্মেরই অবমাননা হয় না। এই নাম এক ধর্ম আরেক ধর্ম থেকে সংগ্রহ করেছে এ কথা বলা হলে তাতে কি আল্লাহর অবমাননা করা হয়? যিনি সর্বশক্তিমান, তাঁর অবমাননা করা কি কোনো ক্ষুদ্র মানুষের পক্ষে সম্ভব? যারা এসব কথা বলেন, তাদের তওবা করা উচিত।
নিউইয়র্কের আলোচনা সভায় বলেছি, আমরা বাঙালি মুসলমানেরা অনেকে সময় আরবি নামের অর্থ না জেনে আরবিতে সন্তানের নাম রাখি। তাতে বড় ধরনের ভুলভ্রান্তি হয়। যেমন বাংলাদেশে অনেকের নাম আবু হোরায়রা। এই নামের অর্থ, 'বিড়ালের বাবা'। রাসুলুল্লাহর (দ:) প্রিয় সাহাবা ছিলেন বিখ্যাত হাসিদবেত্তা। তিনি অনেক বিড়াল পুষতেন; সে জন্য রাসুলুল্লাহ্ (দ:) তাঁকে আদর করে 'বিড়ালের বাবা' ডাকতেন। ইসলামের প্রাথমিক যুগের এই ঘটনার উল্লেখ করা হলে কি ওই হাদিসবেত্তা মনীষীর প্রতি কটাক্ষ করা হয়?
আমি বাংলাদেশের আবু হোরায়রা নামধারী এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করে দেখেছি, তিনি তার নামের অর্থ জানেন না। শুধু জানেন, এটা মহানবীর একজন সাহাবির নাম। আসলে আবু হোরায়রার নাম আবদুর রহমান ইবনে সাখর। তাঁর প্রতি ভক্তিবশত কেউ যদি সন্তানের নাম রাখতে চান, তাহলে এই আসল নামেই রাখবেন। বাংলাদেশে আরবি না-জানা অনেকে যে আবু হোয়াররা নাম রাখেন, তা ভক্তিবশত নয়, অজ্ঞতাবশত। আলোচনা সভায় আমি এই কথাই বলতে চেয়েছি।
এই প্রসঙ্গে একটি মজার কথা বলি, বঙ্গবন্ধু যখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, তখন জেনারেল খলিলুর রহমান ছিলেন দেশের বর্ডারে স্মাগলিং বা চোরাচালান দমনের জন্য নিযুক্ত বাহিনীর প্রধান। বঙ্গবন্ধু তাঁকে ঠাট্টা করে ডাকতেন, 'জেনারেল স্মাগলার'। এখন আমার প্রশ্ন, বঙ্গবন্ধু বা এই জেনারেলের প্রতি ভক্তিবশত কেউ কি জেনেশুনে নিজের সন্তানের নাম 'জেনারেল স্মাগলার' রাখবেন?
হযরত আবু বকরের (রা:) আসল নাম ছিল আবদুল্লাহ্ ইবনে আবু কুহাফোহ্। তাঁর পিতা আবু কুহাকাহ ছিলেন কাপড় ব্যবসায়ী। কিন্তু ছেলে পোষা ছাগল খুবই পছন্দ করতেন বলে তাঁকে আদর করে ডাকতেন, 'আবু বকর'– 'ছাগলের বাবা'। এসব কথা বলা কি ধর্মের অবমাননা? তাহলে তো ইসলামের ইতিহাস লেখা যাবে না।
আরেকটি কথা, বাঙালিদের ভাষা দন্ত্যমূলীয়। আরবি ভাষা কণ্ঠমূলীয়। কণ্ঠমূলীয় ভাষায় একটা অসুবিধা এই যে, কণ্ঠমূল থেকে সঠিকভাবে উচ্চারণ করা না গেলে তার অর্থ পরিবর্তিত হয়ে যায়। যেমন, 'ক্বুল' শব্দের অর্থ, 'তুমি বল'। কিন্তু আমরা অধিকাংশ বাঙালি মুসলমান উচ্চারণ করি, 'কুল'; অর্থ, 'তুমি খাও'। আমার নাম গাফফার বলা হয় এবং লেখাও হয়। কিন্তু কণ্ঠমূল থেকে 'ঘাফফার' (Ghaffar) উচ্চারণ করা না হলে আল্লাহর গুণবাচক এই শব্দের অর্থ পরিবর্তিত হয় এবং তাতেই বরং পাপ হয়। আল্লাহর নামগুলোও সঠিকভাবে উচ্চারণ না করে এবং ছহি উচ্চারণে কোরান পাঠ করতে না পেয়ে আমরা অনেকে এই পাপ এবং ধর্মের অবমাননা অনবরত করে চলেছি।
এ সব অসুবিধার কথা জেনেই আরবি ভাষাভাষী নন এমন জাতিগুলোর জন্য নিজস্ব ভাষার কোরান পাঠ, এমনকি নামাজ পড়ারও নির্দেশ দিয়েছেন পরবর্তীকালের কোনো কোনো ইসলামি শাস্ত্রবিদ। নব্য তুর্কির প্রতিষ্ঠাতা কামাল আতাতুর্ক যখন তুরস্কে আরবি ভাষায় নামাজ পড়া, কোরান পাঠ, এমনকি আজান দেওয়া বন্ধ করে তুর্কি ভাষায় তা করার বাধ্যতামূলক আইন করেছিলেন, তখন একশ্রেণির আলেম কামাল আতুতুর্কের সিদ্ধান্ত বেদাত ঘোষণা করে তিনি আর মুসলমান নন বলে ফতোয়া দিয়েছিলেন।
এই সময় কামাল-সমর্থক আরেক দল আলেম সুন্নি মুসলমানদের ইমাম আবু হানিফার (রা:) ফতোয়ার উদ্ধৃতি দিয়েছিলেন। তিনি ফতোয়া দিয়েছিলেন, "সবাই নিজের মাতৃভাষায় নামাজ পড়তে পারে্।"
[প্রিন্সিপালস অব ইসলামিক জুরিসপ্রুডেন্স, শরিয়াবিদ ড. হাশিম কামালী, পৃষ্ঠা-৩৫]
পাকিস্তান ও আফগান্তিানের তালেবানেরা এবং বাংলাদেশের হেফাজতিরা নারীদের ক্লাস ফাইভের বেশি পড়তে দেওয়া যাবে না, নারীরা দেশের নেতৃত্বে আসতে পারবে না, নারীদের ঘরে বন্দি থাকতে হবে এবং তারা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হতে পারবে না বলে ফতোয়া দেয়। এই ফতোয়া কি ইসলামসম্মত?
ইউরোপিয়ান ইতিহাসবিদদের লেখা আরব জাতির ইহিতাস পড়লেও দেখা যায়, প্রাক-ইসলাম এবং ইসলামের প্রাথমিক যুগেও আরব নারীরা যে স্বাধীনতা ভোগ করেছে, সে স্বাধীনতা অর্জনে ইউরোপীয় নারীদের সময় লেগেছে আধুনিক কালের দু'শ বছর। রাসুলুল্লাহর প্রথম পত্মী বিবি খাদিজা নিজে স্বাধীনভাবে তাঁর ব্যবসা পরিচালনা করতেন এবং যুবক মোহাম্মদের (দ:) সততায় মুগ্ধ হয়ে তাঁকে তাঁর ব্যবসায়ের ব্যবস্থাপক নিযুক্ত করেছিলেন।
খন্দকের যুদ্ধে হযরতের (দ:) আরেক পত্মী বিবি আয়েশা এবং মেয়ে বিবি ফাতিমা অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাঁরা কখনও উট এবং কখনও ঘোড়ায় চড়ে যুদ্ধ করেছিলেন। তাঁরা মাথার চুল ঢেকে রেখে যুদ্ধের পোশাক পরে যুদ্ধ করেছেন। সর্বাঙ্গ-ঢাকা বোরকা পরে যুদ্ধ করেননি। ইসলামের সেই প্রাথমিক যুগে যেখানে রাসুলুল্লাহর (দ:) পরিবারের মহিলা সদস্যদের উট অথবা ঘোড়ায় চড়ে যুদ্ধ করার অধিকার দেওয়া হয়েছে, সেখানে এই যুগে সউদি আরবে নারীদের মোটরগাড়ি ড্রাইভ করা ধর্মের নামে নিষিদ্ধ করা হয়। নিষেধাজ্ঞা না মানায় কয়েকজন উচ্চশিক্ষিত মহিলাকে দশটি বেত্রাঘাত খেতে হয়েছে।
এটা কি ইসলাম, না ইসলামের বিকৃতি ঘটিয়ে জন্ম নেওয়া কট্টর ওয়াহাবিতন্ত্র? বাংলাদেশের জামায়াতি ও হেফাজতিরা এই যে তন্ত্রের তান্ত্রিক। অথচ তারাই প্রকৃত ইসলামের হেফাজতকারী বলে নিজেদের দাবি করে।
নারী-নেতৃত্ব কি এ যুগেও হারাম? তাহলে হযরতের (দ:) মহাপ্রয়াণের বেশ কিছুকাল পর খেলাফতের উত্তরাধিকারীত্বের প্রশ্নে বিবি আয়েশার নেতৃত্ব মেনে নিয়ে একদন মুসলমান কী করে হযরত আলী (রা:) এবং তাঁর নেতৃত্বাধীন আরেক দল মুসলমানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিলেন? মুসলমানদের মধ্যে শিয়া-সুন্নি বিভক্তি এবং দ্বন্দ্বের সূত্রপাত তো তখন থেকেই।
নিউইয়র্কের আলোচনা সভায় আমি আরবি ভাষা ও ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে যে সব কথা বলেছি তা আমার বানানো কথা নয়। আরব ও ইসলামের ইতিহাস পাঠ করেই তা জেনেছি। তবে আমার জানার মধ্যে ভুল থাকতে পারে। অতীতের ইতিহাস লেখার ব্যাপারে অনেক ইতিহাসবিদের লেখাতেই তথ্য ও তার বিশ্লেষণে অমিল থাকে। আমি যদি ভুল ইতিহাস পাঠ করে থাকি, তাহলে কেউ তথ্য ও যুক্তির সাহায্যে আমার ভুল ধরিয়ে দিলে আমি তা সংশোধনে অবশ্যই রাজি আছি।
ভুল ধরিয়ে না দিয়ে একশ্রেণির মিডিয়ায় আমার বক্তব্যের বিকৃত বিবরণ পাঠ করে যারা আমাকে 'কাফের', 'নাস্তিক', 'মুরতাদ' ইত্যাদি বলে ফতোয়া দিয়েছেন, তারা কি সত্যই ইসলামের জন্য দরদের জন্য এই কাজ করেছেন, না ধর্মের নাম ভাঙ্গিয়ে জামায়াতি ও হেফাজতিদের অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সাধানের কাজে সাহায্য জোগাতে চেয়েছেন এই প্রশ্নটির জবাব একমাত্র তারাই জানেন।
রাসুলুল্লাহ্ (দ:) বার বার বলে গেছেন, "ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি কর না। অতীতে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করে বহু জাতি ধ্বংস হয়ে গেছে।"
দুর্ভাগ্যের বিষয়, বাংলাদেশে হীন রাজনৈতিক স্বার্থে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি চলছে। এই বাড়াবাড়ি থেকে ধর্মান্ধতার সৃষ্টি হয়েছে, যা আজ হিংস্র মৌলবাদের চেহারা ধারণ করে বাংলাদেশেও বিভীষিকার রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে।
যখন যাকে খুশি 'মুরতাদ' আখ্যা দেওয়া সম্পর্কে কানাডায় বসবাসকারী ওয়ার্ল্ড মুসলিম কংগ্রেসের উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য, মুসলিম কানাডিয়ান কংগ্রেসের ডিরেক্টর অব শরিয়া ল' হাসান মাহমুদ তার এক সাম্প্রতিক নিবন্ধে লিখেছেন:
"সবচেয়ে মারাত্মক হল, মতভেদ হলেই ইসলাম থেকে 'খারিজ', 'মুরতাদ' ইত্যাদি ফতোয়াবাজি করা। বিশ্ব মুসলিমের সবচেয়ে ক্ষতি করেছে এই অভ্যাস। বিশ্ব মুসলিমের অগ্রগতি তাতে ব্যাহত হয়েছে। যারা 'মুরতাদ' ফতোয়া জারি করেন তারা খেয়াল করেন না যে, তাদেরও 'মুরতাদ' বলার ইমাম আছেন। এতে ফিতনা বাড়ে। এ জন্যেই রাসুলুল্লাহ (দ:) বলেছেন, 'কোনো মুসলমান যেন অন্য মুসলমানকে মুরতাদ না বলে। ও রকম বললে, তাদের মধ্যে একজন সত্যিই মুরতাদ।'''
[বুখারি, ৮ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ১২৫]
আলেম সমাজের কাজ মানুষকে পথ দেখানো, হেদায়েত করা। বাংলাদেশে তারাই যদি জাগতিক স্বার্থ ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্ম নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন এবং কায়েমী স্বার্থ গড়ে তোলেন, তাহলে কয়েক শতাব্দী আগে ধর্মব্যবসায়ী ভ্যাটিকান পুরোহিততন্ত্রের যে পরিণতি ঘটিয়েছিল, মধ্যযুগীয় মুসলিম পুরোহিততন্ত্র তথা ধর্মব্যবসায়ীদেরও একই পরিণতি ঘটবে।
http://khabor.com/archives/62927
http://opinion.bdnews24.com/bangla/archives/30031
Related:
http://www.dailyjanakantha.com/?p=details&csl=132452
আক্রান্ত আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী ও ধর্মের দুর্বৃত্তায়ন - ১
http://archive.dailyjanakantha.com/?p=details&csl=131255
আক্রান্ত আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী ও ধর্মের দুর্বৃত্তায়ন -২
http://archive.dailyjanakantha.com/?p=details&csl=131439
আক্রান্ত আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী ও ধর্মের দুর্বৃত্তায়ন - ৩
http://archive.dailyjanakantha.com/?p=details&csl=131635
আক্রান্ত আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী ও ধর্মের দুর্বৃত্তায়ন -৪
http://www.dailyjanakantha.com/?p=details&csl=131819
আক্রান্ত আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী ও ধর্মের দুর্বৃত্তায়ন - ৫
http://www.dailyjanakantha.com/?p=details&csl=132106
YouTube:
https://www.youtube.com/watch?v=djmV22u9M3o