Banner Advertiser

Saturday, August 31, 2013

Re: [mukto-mona] FW:



Golam Mortoza has a short memory.  In the last days of the last Hasina rule our valiant BDR fighters killed about a dozen BSF members resulting into drying out of Indian fund for Awami League in 2001 election.  A million(or close to it) cattle enter each year across the porous border, most of which are stolen any way.  The best way to stop border incidents would be to make the cross border trade legal.  Share of illegal border trade earning goes to civil and paramilitary bureaucracy.


2013/8/31 Shah Deeldar <shahdeeldar@yahoo.com>
 

You should be volunteering for that shooting job, bro. If you shoot moving objects at night with your night vision goggles on, you will realize at the dawn that you have mainly killed our Bangladeshi brothers and sisters. Indians are not trespassing our territory but we do. You know very well why is that.

 
"I speak for the trees, for the trees have no tongues."
-Seuss



From: Shahadat Hussaini <shahadathussaini@hotmail.com>
To: mukto-mona@yahoogroups.com
Sent: Thursday, August 29, 2013 9:43 PM
Subject: [mukto-mona] FW:

 

 

Date: Thu, 29 Aug 2013 13:03:56 +0600
Subject:
From: bdmailer@gmail.com
To:

​Idno-Bangladesh border: ​
শুধু একপক্ষ গুলি করে মানুষ হত্যা করে : ভারত-বাংলাদেশ পৃথিবীর একমাত্র সীমান্ত



* সীমান্তে ইসরাইল গুলি চালিয়ে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করে। * ফিলিস্তিনিরাও গুলি চালায় ইসরাইলের ওপর।
* ভারতের অভ্যন্তরে ঢুকে যায় চীন। * ভারত গুলি নয়, প্রতিবাদ করে।
* পাকিস্তান গুলি চালায়, ভারতীয় সেনা হত্যা করে। * ভারত গুলি চালিয়ে প্রত্যুত্তর দেয়, আগে গুলি চালায় না।
* বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে শুধু ভারত গুলি চালিয়ে বাংলাদেশি হত্যা করে। * গুলি তো দূরের কথা, বাংলাদেশ সবসময় প্রতিবাদও করে না।

 http://www.shaptahik.com/v2/?DetailsId=8466





__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] Re: [KHABOR] Mina Farah's must read article : মু ক&# 2509;তচিন্তা বন& #2494;ম ভয়ানক সঙ ;্কেত



I believe it's fair to criticize her comments point by point with right answer instead of telling her support for any particular
party or ideology. she refused to be sold to any party, that's er courage we must appreciate. Whatever she mentioned in her
latest comment was hundred percent truth some may not believe that, but that comment is still valid surely.,
 
---------- Original Message ----------
From: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>
To: khabor@yahoogroups.com
Subject: Re: [KHABOR] Mina Farah's must read article : মু ক্তচিন্তা বনাম ভয়ানক সঙ্কেত
Date: Fri, 30 Aug 2013 18:24:01 -0400

 

 
As I have said before,
Dr. Mina Farah's NoyaDigonto article "মুক্তচিন্তা বনাম ভয়ানক সঙ্কেত"
only  reveals her frustration- no তথ্যপ্রমাণ ...... 
She has not said anything that contradicts her original
research findings  related to  বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়া একজন গুপ্তচর মুক্তিযোদ্ধা " . 
The book is still available in the market. It clearly means that
Dr. Mina Farah may have an Anti-AL position now,
but she is still sticking to her original research findings     :
 "Ziaur Rahaman was a Pakistani infiltrator in the 
Bangladesh's Liberation War."
The bottom line is:
According to Mr. Mina Farah
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়া একজন গুপ্তচর মুক্তিযোদ্ধা 
 বিএনপি একটি পাকিস্তানপন্থী দল  
source : 'হিটলার থেকে জিয়া'
 
On Thu, Aug 29, 2013 at 1:00 PM, Mohammad Rahman 
The sign of wisdom and intellect is whenever someone understand that his or her past position was wrong or not appropriate they change their discourse. Only those who enslaved themselves to some party or ideology they can't get rid of their slavery and they have seal in their hearts and eyes. Dr Mina Farah is not an awami slave and she did not sell herself to awami politics so is not supporting their corruption anymore and that's make the Awamist mad. Awami league is not party of open mimded people rather its a incurable disease, a person can only be free from awami slavery with God's call.
 
Sent from Yahoo! Mail on Android

From: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>; 
To: Khobor <khabor@yahoogroups.com>; 
Subject: Re: [KHABOR] Mina Farah's must read article : মুক্তচিন্তা বনাম ভয়ানক সঙ্কেত 
Sent: Tue, Aug 27, 2013 12:29:21 PM 

 

Read the following article to get a grasp of  Mina Farah's  total perspective:
 
'হিটলার থেকে জিয়া': বিএনপি একটি পাকিস্তানপন্থী দল  - মিনা ফারাহ

স্বাধীনতার পক্ষ ও বিপক্ষ শক্তি
মিনা ফারাহ         বুধবার, ৩০ জুন ২০১০, ১৬ আষাঢ় ১৪১
The bottom line is that, in her book " 'হিটলার থেকে জিয়া'  Dr. Mina Farah wrote:
বিএনপি যে স্বাধীনতাবিরোধী দল একথা তারা দলের জন্মের আগেই প্রমাণ করেছে। এর প্রতিষ্ঠাতা একজন গুপ্তচর মুক্তিযোদ্ধা যে কথা আমি বহু তথ্যপ্রমাণ ঘেঁটে 'হিটলার থেকে জিয়া' বইটিতে প্রমাণ করেছি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা একজন পাকিস্তানপন্থী এবং এর দলও পাকিস্তানপন্থী। স্পষ্টতই এরা স্বাধীনতাবিরোধী দল, যা খালেদা জিয়ার আচরণে স্পষ্ট। তার সঙ্গে স্বাধীনতাবিরোধী দেশের যোগাযোগ স্পষ্ট। তার পার্টির স্বাধীনতাবিরোধী অবস্থান স্পষ্ট। তারপরেও আমাদের দেশের 
মিডিয়ায় সো-কলড বুদ্ধিজীবীদের মুখ থেকে কখনোই সরাসরিএকথাটি শুনি নাই যে, বিএনপি একটি পাকিস্তানপন্থী দল যারা এখনও পাকিস্তানের স্বপ্ন দেখে। ..........."
She emphasized that her book is a result of her serious research [ তথ্যপ্রমাণ ].
Dr. Mina Farah's NoyaDigonto article "মুক্তচিন্তা বনাম ভয়ানক সঙ্কেত"
only  reveals her frustration- no তথ্যপ্রমাণ ...... She has not said anything that
contradicts her original research findings  related to 
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়া একজন গুপ্তচর মুক্তিযোদ্ধা " . The book is still 
available in the market i.e Dr. Mina Farah is sticking to her
original research findings            : "Ziaur Rahaman was a Pakistani 
infiltrator in the Bangladesh's Liberation War."
 
On Mon, Aug 26, 2013 at 2:06 PM, 
Mohammad Rahman <mrahman246@yahoo.com> wrote:

Probad achay satto kothai bau bayjar garom bhatay biral bayjar Maniki and the awamist has the same syndrome!

Sent from Yahoo! Mail on Android

From: Mohiuddin Anwar <mohiuddin@netzero.net>; 
To: <khabor@yahoogroups.com>; <manik195709@yahoo.com>; 

Subject: Re: [KHABOR] Re: Mina Farah's must read article 2 মু&#245 3;্ত #2458;িন্তা ব&#2 472;াম ভয়ানক স ঙ্õ 3;েত 
Sent: Mon, Aug 26, 2013 4:35:12 PM 

Don't forget once she supported Awami policies like million others, now their eyes opened and they can see black and white.
I like to thank her for her courageous comment  against Awami Jaheliot.


---------- Original Message ----------
From: Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com>
To: Mohiuddin Anwar <mohiuddin@netzero.net>

Subject: [KHABOR] Re: Mina Farah's must read article 2  &#2478;&#2497;&#2453;&#2509;&#2468;& #2458;&#2495;&#2472;&#2509;&#2468;&#2494; &#2476;&#2472;&#2494;&#2478; &#2477;&#2479;&#2492;&#2494;&#2472;&#2453; &#2488;&#2457;&#2509;&#245 3;&#2503;&#2468;
Date: Mon, 26 Aug 2013 07:20:53 -0700 (PDT)

 

New CHAMCHA of BNP-JAMAAT !!
 
 

From: Mohiuddin Anwar <mohiuddin@netzero.net>
To: manik195709@yahoo.com 

Sent: Sunday, August 25, 2013 5:38 PM
Subject: Mina Farah's must read article 2 &#2478;&#2497;&#2453;&#2509;&#2468;& #2458;&#2495;&#2472;&#2509;&#2468;&#2494; &#2476;&#2472;&#2494;&#2478; &#2477;&#2479;&#2492;&#2494;&#2472;&#2453; &#2488;&#2457;&#2509;&#245 3;&#2503;&#2468;

 

মুক্তচিন্তা বনাম ভয়ানক সঙ্কেত

শুক্রবার, ২৮ Jun ২০১৩, ০৩:৫৩ অপরাহ্ন

মিনা ফারাহ
 
এমন ঘটনাই বেশি যার প্রতিবাদ করলে জীবন বিপন্ন হয়। জীবিত অবস্থায় অত্যন্ত মতাসম্পন্ন শাসকেরাও মৃত্যুর কাছে অতি ুদ্র। খুনি ধর্মযাজকেরা মৃত, কিন্তু ২৫০০ বছর পরও জীবিত সক্রেটিস। মুক্তচিন্তার অপরাধে মৌলবাদী ধর্মযাজকেরা সক্রেটিসকে শারীরিকভাবে কারাগারে বন্দী রাখলেও সেখানে বসেই সক্রেটিস তার অধিকতর উন্নত চিন্তাগুলোর উন্মেষ ঘটান শিষ্য প্লেটোর কাছে। সময়মতোই প্লেটো সেগুলো নিয়ে নেপলসে পালিয়ে যান। মুক্তচিন্তার অপরাধে হেমলক পান করিয়ে হত্যা করা হলো সর্বকালের মহাপণ্ডিত সক্রেটিসকে। মুক্তচিন্তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের চিরুনি অভিযানে কোর্টের পঞ্জিকায় আর জায়গা নেই। ‘বিনা অপরাধে শাস্তি’Ñ এই প্রবণতা সক্রেটিস যুগেরই প্রত্যাবর্তন। পশ্চিমা দর্শনতত্ত্বের এসব কাহিনী অনেকেরই জানা।
প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠেই যখন একজন কিশোর দেখে, অসম্ভব রাগী বাবা বেদম পেটাচ্ছে মাকে; নিশ্চয়ই ভবিষ্যতে সে হয় খুনি হবে, নয়তো বাবার মতোই নারী নির্যাতন করে আনন্দ পাবে। অপরাধ জগৎ নিয়ে মনস্তত্ত্ববিদদের গবেষণা বিস্তর। একজন কিশোরের সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত সার্বিক পরিবেশ ও পরিস্থিতি। যারাই রাষ্ট্রের অভিভাবক, তারা দেশটির জন্মলগ্ন থেকে জাতিকে রাজনৈতিকভাবে মানসিক, বুদ্ধিবৃত্তিক, স্নায়বিকভাবে দেউলিয়া করছে। না হলে ১৫৬টি দেশে বিএনপি-আওয়ামী লীগ কেন? অবস্থা দেখে মনে হয় লন্ডন-নিউ ইয়র্ক যেন বিএনপি-আওয়ামী লীগের ভিন্ন ভিন্ন দূতাবাস। তবে গত চার বছরের ‘অভূতপূর্ব অর্জন’, জাতির মনোজগৎ ধ্বংসের প্রক্রিয়া রেড জোনে পৌঁছেছে। সকাল হলেই বিরোধী দলকে টার্গেট করে প্রশাসনের প্রতিযোগিতামূলক রুটিন গালিগালাজের বিষক্রিয়া ছড়াচ্ছে স্নায়ুমণ্ডলীতে। এসব শোনানোর জন্য পরো বাজেট বরাদ্দও আছে, যেমন গণভবনের দলীয় সভা কিংবা ফিতা কাটার অনুষ্ঠান। তুলনামূলক বিরোধী দলের অসম্ভব মৌনতা ও অকর্মণ্যতা আক্রমণকারীদের আরো উসকে দিয়েছে। ফলে অশালীন বাক্যবাণই এখন রাজনৈতিক রেড ডিস্ট্রিক্টের একমাত্র ভাষা। অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের মতোই আমিনবাজারের পাঁচ তরতাজা যুবক পিটিয়ে হত্যা থেকে ত্বকী ও বিশ্বজিৎ খুন... মনোজগৎ ধ্বংসের উদাহরণ। একমাত্র আফ্রিকার সিয়েরা লিওনেই কিশোর যোদ্ধারা এভাবে মানুষ হত্যা করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। সিয়েরা লিওনের গৃহযুদ্ধ নিয়ে ব্ল্যাক ডায়মন্ড ছবিটি কেউ যদি দেখেন, বুঝবেন কী বলতে চাইছি। সিরিয়াল কিলারদের মস্তিষ্ক গবেষণা করে এক ধরনের জটিল শক্ত কোষের স্তর পাওয়া গেছে। তাদের বেড়ে ওঠা জীবনে নেতিবাচক ঘটনার আধিক্য প্রমাণিত হয়েছে। আমার বিশ্বাস, এ এস এ এম এস কিবরিয়া কিংবা বিশ্বজিৎ হত্যাকারীদের মস্তিষ্কেও একই কোষ। গণহত্যার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলে মেধা হত্যার শাস্তি কী হওয়া উচিত? মতার আগ্রাসনে ৪২ বছর ধরেই মেধা হত্যা প্রতিযোগিতায় মানুষ ও সমাজের অপূরণীয় তি করছে রাজনীতির রেড ডিস্ট্রিক্টের সদস্যরা।
ড. ইউনূসকে আক্রমণ, সহস্রাব্দের সবচেয়ে নিন্দিত উদাহরণ। আজ যদি খালেদা জিয়া তাকে চোর বলতেন, গোটা দলই বলত এবং আওয়ামী লীগ তখন, বলত অসম্ভব! ড. ইউনূস একজন ফেরেশতা!’ লন্ডন থেকে আগাচৌও ক্রমাগত প্রশংসার ঢাউস কলাম লিখে ইউনূসের পে গণেশ উল্টে দিয়ে খালেদাকেই বলতেন, রক্তচোষা। অথচ ১০০ থেকে ২৫০ ডলারের বিনিময়ে ড. ইউনূসের বক্তৃতা শোনে বিদেশের মানুষ। আমিও শুনি ইউটিউবে এবং ইতিবাচকভাবেই প্রভাবিত হই। বিল কিনটনের একটি বক্তৃতার মূল্য ন্যূনতম ২৫০,০০০ ডলার, তা-ও এক বছর অগ্রিম বায়না। শিামূলক অনুষ্ঠানে মূলত বিল কিনটনের মতো জ্ঞানবুদ্ধিতে বিকশিতরাই বক্তা। প্রজন্মকে বড় বড় স্বপ্ন দেখান। শুনেছি, বিল কিনটন মঞ্চে এলে মানসিক বিপ্লব ঘটে যায়। সাথে সাথে জ্বলে ওঠে উপস্থিত শ্রোতারা। ভালো প্রভাবের বিকল্প নেই, যে জন্য সুস্থ অভিভাবকেরও নেই বিকল্প। রাজনীতির রেড ডিস্ট্রিক্ট সুস্থ প্রভাবের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধক এবং বুদ্ধিবৃত্তি ধ্বংসেরও ‘রেড অ্যালার্ট’। অনবরত অতিরিক্ত নেতিবাচক প্রভাবেই রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক অস্থিরতা চরম থেকে চরমে পৌঁছেছে। রাজনীতির এই ডিস্ট্রিক্টের অনেক সদস্যেরই জিহ্বা পচে গেছে। জনতার দাবিদাওয়ার বদলে সংসদ হয়ে উঠেছে ফৌজদারি কোর্ট যেখানে জনগণের টাকায় প্রতিপরে বিরুদ্ধে বিষোদগার যেন নিয়ম। পাইথন নয় কিন্তু শাসকের রক্তচুর ভয়ে গুইসাপকেই বলতে হয় ‘কোবরা’। না চাইলেও দলীয় লোকেরা কদর্য বাক্যবাণে বাধ্য; অন্যথায় নেত্রী বিরূপ হবেন। ড. ইউনূসকে সার্কাসের কাউন বানিয়ে আফ্রিকায় পাঠিয়ে দিয়েছি। সংসদ এবং বাইরে এভাবেই ধ্বংস হচ্ছে বুদ্ধি-বিবেক। গণমাধ্যমগুলো অপ্রয়োজনীয় অনুষ্ঠানে দর্শক-ভারাক্রান্ত করলেও ঘরের ছেলে ইউনূসের বিষয়ে বিমাতাসুলভ বরং বিদেশী রবীন্দ্রনাথ, অমর্ত্য সেন দখল করেছেন প্রয়োজনীয় জায়গাগুলো। আর এসব ঘটনা মোটেও মুক্তিযুদ্ধের প কিংবা প্রেমের লণ নয়। দেশে প্রধানমন্ত্রী ছাড়া কোনো বক্তা নেই। ফিতা কাটার জন্য দ্বিতীয় মানুষটিও নেই। গুণীজন বলতে একমাত্র মতাসীন; এর বাইরে যারা, প্রজন্মকে জোর করে চিনতে দেয়া হচ্ছে না তাদের। পাঠ্যপুস্তক থেকে বের করে দিয়েছে। সাইনবোর্ড তুলে ফেলেছে। জাদুঘরে বদলে দিয়েছে। স্তম্ভ গুঁড়িয়ে ফেলেছে। বিষয়টি আত্মঘাতী ও দুঃখজনক। আমার বিশ্বাস, সময় ফুরিয়ে যায়নি। এক পা না থাকলে ভারসাম্য থাকে না। সুতরাং শিাসফর শেষে এখন উচিত ডান আর বাম পা এক করে নতুন পথে হাঁটা। যত শক্তিশালীই হোক, মানুষ চটিয়ে কেউই টিকতে পারে না, যার প্রমাণ ১৯৯০ ও ২০০৬। দুই নেত্রীর মতার জন্য জাতিকে বিভক্ত করার কি মানে হয়? যুক্তি, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে রাজনীতির রেড ডিস্ট্রিক্টের বাইরে আমরা সবাই একই রকম মানুষ। আমাদের সমস্যা দুই দলের পরস্পর বিপরীত আদর্শ, যা এখানে নয় বরং ইসরাইল-প্যালেস্টাইনে প্রযোজ্য। অন্যথায় আমাদের গণতন্ত্রও হতে পারত ভারতের মতো, অর্থাৎ সংসদের বাইরে কোনো ঝগড়াঝাটি নেই।
 
নারীর মতায়ন
একজন নারী যখন সন্তান জন্মদানের মতো অসীম মতার অধিকারী, তখন তার জন্য নতুন করে তৈরি করা যেকোনো মতায়নই তাকে হেয় করা। সংরতি মহিলা আসন স্রেফ নির্লজ্জ লজ্জা। নিজের খরচে ১৯৯৭ সালে ভাস্কর্য মৃণাল হকের তৈরী শান্তির পায়রা হাতে শেখ হাসিনার ম্যুরালটি নিয়ে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সংগঠনের সাথে গেলে, একটি কথা ঠিক বলেছিলেন, ‘হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান নামে নিজেকে আলাদা করা কেন’? আজ আমারও একই প্রশ্ন, মতায়নের নামে নারীকে কেন বিচ্ছিন্ন করা? যার যার যোগ্যতায় উঠে দাঁড়াবে, কিন্তু মতায়নের নামে যে কুৎসিত প্রতিযোগিতা, এতে সম্মানের বদলে অসম্মান হচ্ছে নারীর। সংরতি মহিলা আসনের নারীরা দলীয় স্লেøাগান ছাড়া কোনো কাজেই আসেন না। নারীর মতায়ন মানেই সংরতি আসন এবং গণজাগরণ মঞ্চ ভুয়া হলেও প্রতিদিনের পত্রিকায় নারী নির্যাতনের চাঞ্চল্যকর খবর ভুয়া নয়। হাতেগোনা কয়েকটি জায়গা বাদ দিলে নারীর অবস্থান মধ্যযুগীয়। বস্তিজুড়ে কী দৃশ্য! সেখানে অপ্রাপ্তবয়স্ক মা, অকালবিধবা এবং স্বামীপরিত্যক্তাদের হিড়িক। হাজার হাজার নরকালয়ের দুস্থ নারীর পরিসংখ্যানের সাহস কার! তবে ভোটের সময় এদের কদর দেখার মতো। সুতরাং অনির্বাচিত এমপিকে স্পিকার বানিয়ে গোটা নারীসমাজকে অপমান করা হয়েছে বলে আমার ধারণা। হতে পারেন তিনি মেধাবী কিন্তু যোগ্যতার বিচারে নয়। বরং এই পর্যায়ে আসার একটিমাত্র কারণ তিনি নারী এবং নারী বলেই রাষ্ট্রের অনুকম্পা! সংসদে উপস্থিত, সংরতি আসনের নারীরা শুধুই সংখ্যা। ‘পরগাছারা সব সময়ই পরজীবী’। সেই চিন্তা থেকে সংরতি নারী আসনগুলো অবিলম্বে বিলুপ্ত করার আহ্বান জানাচ্ছি।
 
মিডিয়া এবং তরুণ নেতৃত্ব
একমাত্র মিডিয়াই পারে বদলে দিতে। ওয়াশিংটন পোস্টের একটি অনুসন্ধানী রিপোর্টের খেসারত দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট নিক্সন। সে দিন আমাদের মিডিয়ার ভূমিকাও টাইমস-এর চেয়ে কম ছিল না, যে দিন বাকশালের অত্যাচারে কান্ত গোটা জাতি। মন্ত্রী ইনু আর মতিয়া চৌধুরীকে জিজ্ঞেস করুন সেই যুগের কথা। দুজনই সে দিন আজকের মাহমুদুুর রহমানের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলেন। শুধু চারটি বাদে সব পত্রিকা বন্ধ, যার মধ্যে ইনুর গণকণ্ঠ। আজকের মাহমুদুর রহমান আর সে দিনের ইনুর মধ্যে আদর্শগত পার্থক্য নেই। ১৫ আগস্টের আগে ও পরে গর্জে উঠেছিল আমাদের জাসদের বিপ্লবীরা। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে গণমাধ্যমে বিভক্তির চরম দৃষ্টান্ত সাগর-রুনির বিচার, যা এখন বিএনপি বনাম আওয়ামী মিডিয়ার যুদ্ধ। এতে লাভ হয়েছে শাসকদের। বিবিয়ানার গ্যাস চুরির ষড়যন্ত্রে প্রশাসনের কোন কোন রাঘব বোয়াল জড়িত, সফলভাবেই তা উধাও করা গেল। উইকিলিকসের জনক জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বই, বিশ্বায়নে ইন্টারনেটের ভূমিকায় লিখেছেন, ‘ইন্টারনেট এখন বিপজ্জনকপর্যায়ে, শাসকেরা আর কোনো কিছুই গোপন রাখতে পারবে না’। সুতরাং মুক্তচিন্তার বিরুদ্ধে গণমাধ্যমের শত্র“ গণমাধ্যমই। রাজা ফেরাউনের সাফল্য, তার কাজই ছিল ক্রীতদাসদের মধ্যে সারাণ যুদ্ধ বাঁধিয়ে রাখা, যেন রাজার অত্যাচার নিয়ে ক্রীতদাসেরা চিন্তা করার সুযোগই না পায়। সুতরাং মিডিয়া এখন মাহমুদুর রহমান বনাম নতজানু মিডিয়া। কোনো কোনো গণমাধ্যম নিজেদের মধ্যেই প্যারালাল সরকার গঠন করে ফায়দা লুটছে। কেউ কেউ বিটিভি চরিত্র থেকে আলাদা হতে পারছেন না। বিশ্বের সর্ববৃহৎ শিল্পদুর্ঘটনা রানা প্লাজার এত মৃত্যু মিডিয়ায় এক মাসও টিকল না। বিস্মিল্লাহ, হলমার্ক, পদ্মা সেতুর মতো চাঞ্চল্যকর ঘটনার আয়ু আঁতুড়ঘরেই শেষ। এসব প্রশ্নের জবাব দিতে যত দিন ব্যক্তিপূজা বন্ধ না হবে, ভুগবে ও ভোগাবে।
সুতরাং ২২ বছরের রাজতান্ত্রিকতার কারণে নতুন নেতৃত্বের বিকাশ না ঘটাই বাস্তবতা। বেশির ভাগ গণমাধ্যমই সমর্থন করছে ফরাসি রাজতন্ত্রের মতো এ দেশেও যুগ যুগ ধরে পারিবারিক রাজতন্ত্র। আমাদেরও আছে মোগল ও ফরাসি রাজা লুইয়ের শাসন। সুবিধাভোগী রাজতন্ত্রবাদীদের কারণে হারিয়ে যাবে পরিবারতন্ত্রের বাইরে রনি বা পার্থর মতো আগাম সম্ভাবনা। বড়জোর তারা সুরঞ্জিত হবে। একেকজন দু-তিনবার প্রধানমন্ত্রী, কেউ কেউ আটবার এমপি। বয়সের ভারে ন্যুব্জ কেউ কেউ বোগাস, রাবিশ ছাড়া বাক্য ভুলে যাওয়াটা কি আলঝেইমার্সের লণ নয়? যুগ যুগ ধরে পথ আগলে না রেখে সুরঞ্জিতদের উচিত এবার রাজনীতি থেকে বিদায় নিয়ে পরকালের প্রস্তুতি নেয়া। কারণ আমরা কেউই মৃত্যুঞ্জয়ী নই। বেশির ভাগেরই রাজনৈতিক প্রজ্ঞা মান্ধাতা আমলের এবং বর্তমান পৃথিবীর সাথে সাংঘর্ষিক বলেই রাজনীতির এই করুণ দশা। অচল মুদ্রা দিয়ে মুক্তবাজার অর্থনীতি সচল হবে না। কেউ কেউ কম্পিউটার পর্যন্ত খুলতে-বন্ধ করতে জানেন না। আইনে সই করেন, কিন্তু বেশির ভাগই বলতে পারেন না সাপ না ব্যাঙ। মিডিয়ার রিপোর্ট, কোনো কোনো কাউন্সিলর নাকি লেখাপড়াই জানেন না এবং দুর্ভাগ্যজনকভাবে এরাই আমাদের জনপ্রতিনিধি।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ইংল্যান্ড-আমেরিকার মতো নির্বাচন হতেই হবে। আসুন, দেখা যাক। গুইসাপ পাইথন না হলেও প্রবাদে আছে সুবিধাবাদীরা গুইসাপকেই বলেÑ মা পদ্মা। জাতীয় নির্বাচন আর স্থানীয় নির্বাচনের মধ্যে পার্থক্য তা-ই। প্রধানমন্ত্রী যাদের উদাহরণ দিচ্ছেন, তারা কখনো সংসদ বর্জন করে কি? নির্বাচনে সেনা মোতায়েন চায় কি? তত্ত্বাবধায়কের দাবিতে ত্রাসের সৃষ্টি করে না। ব্যালট বাক্স ছিনতাই কিংবা নির্বাচন কমিশনারের ওপর খবরদারি নেই। সংসদকে ফৌজদারি কোর্ট হিসেবে ব্যবহার করে না। তার পরও প্রধানমন্ত্রী যদি মনে করেন আমাদের এবং আমেরিকার গণতন্ত্র সমান, তাহলে গুইসাপ অবশ্যই মা পদ্মা। কারণ প্রধানমন্ত্রী যা বলেন, সেটাই বেদবাক্য এবং একমাত্র ফিউডাল সিস্টেমেই তা চলে। সরকার অস্বীকার করলেও চারটি সিটি করপোরেশনের নির্বাচনী ফলাফল আবার ৯০ ভাগ মানুষের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি হিসেবেই প্রতিষ্ঠা পেল। তবে যে কারণেই বিজয় হোক, সেটা যেন কিছুতেই তত্ত্বাবধায়ক বনাম মহাজোটের হাতিয়ার না হয়।
আমেরিকা দুই টার্ম, চার বছর। বলিভিয়া দুই টার্ম, পাঁচ বছর। বুলগেরিয়া, ব্রাজিল ও ফিনল্যান্ড দুই টার্ম, চার বছর। জার্মানি, গ্রিস ও  ফ্রান্স  দুই টার্ম, পাঁচ বছর। এমনকি ইরান ও চীনেও দুই টার্ম, চার বছর। তিনি যেসব রেফারেন্স দিলেন ওই সব পার্লামেন্টে কুগিত দূরে থাক, মতা নানান পর্যায়ে ভাগ করা। অঙ্গরাজ্য এবং স্থানীয় প্রশাসনের হাতে বিপুল মতা ও স্বাধীনতা। এমনকি নিউ ইয়র্ক শহরের মেয়রের হাতে যে মতা, মোটামুটি একটি দেশই বলা চলে। ওয়াশিংটনের সাথে কী সম্পর্ক, পাবলিক জানেই না; বরং অঙ্গরাজ্যের জন্য কংগ্রেসে যে অর্থ বরাদ্দ হয়, আইনি কারণ ছাড়া কোনো মন্ত্রীরই মতা নেই হস্তেেপর। কৌশলী  প্রধানমন্ত্রী বললেন, বাংলাদেশ ছোট দেশ এখানে ভাগাভাগির দরকার কেন? অর্থাৎ আকাশ-পাতাল মতাও যথেষ্ট নয়। একমাত্র বাংলাদেশ ছাড়া বিশ্বে এই দৃষ্টান্ত নেই যেখানে ভূখণ্ডের সব মতা এক ব্যক্তির হাতে। ফলে ৯৯ ভাগ নির্বাচিতরা পরিণত হয় তামাশায়। এই উদাহরণ অতীতে একমাত্র মোগল আর রাজা লুইদেরই ছিল। যার প্রয়োজন, ইতিহাস ঘাটুন। ‘হ্যাঁ জয়যুক্ত হয়েছে, হ্যাঁ জয়যুক্ত হয়েছে, হ্যাঁ জয়যুক্ত হয়েছে’ পার্লামেন্ট ১৬ কোটি মানুষের জন্য অশনিসঙ্কেত। দুই করে মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে দানব হওয়া থেকে রা করেছে সংবিধান আর বারবার আমরা সংবিধানকে ব্যবহার করছি দানব তৈরির কাজে এর প্রমাণ চতুর্থ, পঞ্চম, ১৩ ও ১৫তম সংশোধনী। সুতরাং একক মতার শেকল ভেঙে টার্মলিমিটের দাবি তুলতে হবে; অন্যথায় সামাজিক অবস্থা হতে পারে সোমালিয়ার মতো নৈরাজ্যকর। একমাত্র বাংলাদেশেই ৯ মিনিটে সন্ত্রাস দমনের আইনের মতো ৯ নম্বর বিপদসঙ্কেততুল্য আইনও পাস হয়ে যায়! এতে সন্ত্রাস আইনে প্রতিপকে ঘায়েল করার অবাধ সুযোগ। মানবাধিকার পরিপন্থী কালো আইনের বিরুদ্ধে সুশীলসমাজের আচরণ প্রতিবন্ধীসুলভ। রেড ডিস্ট্রিক্টের সংসদ সদস্যরা একেকজন রাবার স্ট্যাম্প মারে। এতে সুবিধা শাসকদলের। স্টেট ডিপার্টমেন্ট বাহবা দেবেই, কারণ পুঁজিবাদীরা স্বার্থ ছাড়া একচুল নড়ে না। কানাডার কোর্ট যদি লাভানিলকে সামান্য ঘুষ শব্দটি উচ্চারণের জন্য এমন নাস্তানাবুদ করতে পারে, সরকার কেন ডানেবাঁয়ে আবুল-মশিউর নিয়ে এখনো চলাফেরা করে? নিশ্চয়ই এর অন্তর্নিহিত কারণ আছে। মার্কিন শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারিতে শত শত রাঘব বোয়াল জেলে, কিন্তু কোন আইনে ইব্রাহিম খালেদের রিপোর্টটি গুম করলেন মাল মুহিত? ১৫ বছরের স্টক মার্কেট অভিজ্ঞতা থেকে অবশ্যই বলব, তদন্ত রিপোর্টটির জন্য আদালতের উচিত ছিল মাল মুহিতকে চ্যালেঞ্জ করা; তা না করে ৩৫ লাখ বিনিয়োগকারীর মানবাধিকার কি ুণœ করবেন আদালত? এখন কাজ ২০২১ সাল পর্যন্ত মতা নিশ্চিত করা। সেই ল্েয সংবিধানকে যেন করা হয়েছে দৈববাণী, আসমানি কিতাবের সমতুল্য ধর্মগ্রন্থের মতোই পরিবর্তন নিষিদ্ধ অন্যথায় শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। এই সরকারের নেতিবাচক উদাহরণের শেষ কোথায়!
২০০৩ সালের একটি পুরনো নাটক দেখতে গিয়ে অদ্ভুত অনুভূতি। চলতি সংবাদের সাথে সাত বছর পরের সব কিছুই হুবহু! হাসিনা তখন বিরোধী দলে তত্ত্বাবধায়কের দাবিতে ঘুম হারাম করে দিয়েছিলেন খালেদার, এখন উল্টো। পৃথিবী বদলে গেলেও আমরা বদলাবো না বলে কছম খেয়েছি। মাত্র ৭১ বছর বয়সে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী যদি ইন্তেকাল না করতেন, কোমর সোজা করে দাঁড়ানো আওয়ামী লীগের জন্য দিবাস্বপ্ন হতো। ছয় দফার জন্ম কবে হতো, আদৌ হতো কি না সন্দেহ। সোহরাওয়ার্দীকে কবর দেয়ার পরদিন সকালেই ৩২ নম্বরে মিটিং করে দলকে চাঙ্গা করার মাধ্যমে শেখ মুজিব নামের একক নেতার জন্ম হলো। আমাদের নিশ্চয়ই সে পর্যন্ত অপো করতে হবে না।
মাত্র এক টার্ম স্টেট সিনেটর থেকে আধা টার্ম পূর্ণাঙ্গ সিনেটর, সর্বমোট এই ছিল ওবামার ঝুলিতে। তার পরও তিনি ‘বিশ্বকর্মা’ হলেন। বুশের মতো হুজুগে মল মাখাননি। লেগেছি রেখে যাওয়ার জন্য কংগ্রেসে এমন সব বিতর্ক করছেন যা সারা বিশ্বের মানুষের উপকারে আসবে। এর অন্যতম উদাহরণ ইমিগ্রেশন বিল, যা তার নির্বাচনী ইশতেহারও। এর সুফল বাংলাদেশীরাও পাবে। কী দরকার ছিল তার? দুই করে সাথে বহু যুদ্ধ করে বহু অর্জন ওবামার। ঘোর দ্বিমত সত্ত্বেও অশালীন বাক্য ব্যবহার নয় এবং আশ্চর্য যে, এসব বাস্তব উদাহরণ বেমালুম চেপে গিয়ে বেছে নিলেন রুইমাছটা; অর্থাৎ পশ্চিমের মতো নির্বাচন করবেনই অন্যথায় সংসদে ঘোষণা, তত্ত্বাবধায়ক ভুলে না গেলে নির্বাচনই নাকি হবে না, বড়ই সাংঘাতিক কথা! অবাকই লাগে, প্রধানমন্ত্রীর দেয়া অশনিসঙ্কেতগুলো কেউই বুঝতে চাইছেন না কেন? সুতরাং বুদ্ধি ও মননের বিস্ফোরণ একসাথে না ঘটলে উত্তরণের সম্ভাবনা নেই। যারা ফরাসি বিপ্লব কিংবা মোগল ইতিহাস পড়েছেন, জানেন, রাজতন্ত্র অব্যাহত থাকলে কী হতো! তখন এই মেরুতে মোগল, ওই মেরুতে লুই রাজতন্ত্র। সম্রাট শাহজাহান-তনয়া জাহানারার ডায়েরিতে পড়েছিলাম, ধর্মভীরু আওরঙ্গজেবকে সকালবেলায় কুরআন তিলাওয়াত শুনিয়ে মা মমতাজের সাথে গরুর গাড়িতে দিল্লি থেকে গ্রামে যাওয়ার পথে দেখেন শস্যতেগুলো রোদে পুড়ে ছারখার। কয়েকজন লোক উপুড় হয়ে গোবরের স্তূপ ঘাঁটছিল। জাহানারা গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞেস করলে উত্তর, শস্যকণা খুঁজছি, সাত দিন কিছু খাইনি, এরপর গাড়ি চলতে শুরু করলে দুঃখভারাক্রান্ত জাহানারার কোলে এক মা তার দুই সন্তানকে রেখেই উধাও। অর্থাৎ মানুষ যখন অভুক্ত, তখনো মোগল আর লুইদের মতো ফিউডালরা রাজভাণ্ডার শূন্য করে স্বর্ণের দেয়াল বানায়, কোটি টাকার ছবি আঁকায়, মদ-বিনোদনে ডুবে থাকে। ফরাসি মন্দার সময়েও রাজা লুইয়ের স্ত্রী এন্টোনয়েট প্রতিদিন দুই-তিনবার স্বর্ণখচিত ড্রেস বদলাতেন, প্রাসাদের বিস্তার ঘটাতেন। অথচ ফ্রান্সে তখন ক্রনিক দুর্ভি। সময় এলো যখন লুইয়ের শিরোñেদ শেষে অত্যাচারী এন্টোনয়েটের চুল কেটে ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে পাবলিকে অপমান শেষে জনসমে শিরোñেদ। উল্লসিত জনতা মিছিল করল মুণ্ডু নিয়ে। রাজতন্ত্র নয়, বরং প্রতিটি মানুষই পছন্দ করে মৌলিক অধিকার।
 
নির্বাচনী বাজেট
পদ্মা সেতু না হলে বাংলাদেশের অস্তিত্ব বিলীন হবে, এমন কথা কেউ না বললেও সরকার সেটাই প্রমাণ করতে বদ্ধপরিকর। চার বছরেও পদ্মা সেতুর কাজ শুরু না হওয়ায় প্রমাণিত হয়েছে, সরকার ব্যর্থ এবং পরবর্তী সময়েও এর ব্যত্যয় হবে না। চার লেন, মেট্রোরেল, ভারতের সাথে নানা সমস্যা এবং সীমান্ত হত্যাÑ বড় একটি কাজও হলো না। ডেমু ট্রেনের ৪০০ কোটি টাকাই পানিতে। অথচ রেল পোড়ানো নিয়ে ২৪ এপ্রিলে খালেদাকে হাসিনার কতই না ব্যঙ্গ। বড় বড় বাজেট হয়, টাকা কোথায় যায়, কেউ খবর নেয় না। পদ্মা সেতু না হওয়ায় জিডিপি কমলো অন্তত ৫ পয়েন্ট, এই তির দায়ভার কি আমার না আপনার? আবার পদ্মা সেতুর কথা বলে ভোট চাইছেন। পাঁচ বছর পরেও চাইবেন। যত দিন প্রয়োজন চাইবেন। চাইতেই পারেন; কারণ ওরা নিরপরাধ। অপরাধী আমরা যারা বিলিয়নিয়ার্স কাবে নাম লেখাতে বুদ্ধি-বিবেক বন্ধক রাখি শাসকের হাতে। কোথায় আছি? পশ্চিমজুড়ে গার্মেন্ট অব্যবস্থার খবরে সয়লাব। সাগর-রুনির হত্যারহস্য মতাসীনদের আরশ কাঁপিয়ে দিতে পারত। এ দিকে কানাডার সিবিসি টেলিভিশনের সাাৎকারটি ইউটিউবে। এখানে ঘুষ নিয়ে সরাসরি হাইপ্রোফাইল নাম উল্লেখ করায় এমনকি ভারতে হলেও মনমোহনের আরশ কাঁপিয়ে দিত মিডিয়া। যারা এনডি টিভি দেখেন, বুঝবেন কী বলছি। কিন্তু আমাদের ৯৯ ভাগ মিডিয়ার ভূমিকাই অত্যন্ত নিম্নমানের। সরকারের হাবভাব এমন, চার বছরের উন্নতি, গণতন্ত্র আর আইনশৃঙ্খলা মার্কিনিদেরও হার মানায়। বাজেট নয়, বরং নির্বাচনী আখেরটি নিপুণ হাতে গুছিয়ে দিলেন বিশ্বকর্মা মুহিত। সুতরাং মতার পরিবর্তনই একমাত্র বাস্তবতা।
 
কৃষিবিপ্লব
নিজেদের বিষয়ে এত বেশি উদাসীন যে, পৃথিবীতে আর কী ঘটছে খবর রাখার প্রয়োজনই মনে করি না। পানিসঙ্কট বর্তমান বিশ্বের মাথাব্যথার অন্যতম বিষয়। কৃষি বিপ্লবের নামে ভূগর্ভস্থ পানির যে বারোটা বাজাচ্ছেন কৃষিমন্ত্রী সেই খবর কি রাখেন? খাদ্যসঙ্কটের আগে সুপেয় পানির জন্য যুদ্ধ হওয়ার আশঙ্কা পানি বিশেষজ্ঞদের। বৈরী জলবায়ুর কারণে মিপিানি কমছে এবং তৃতীয় বিশ্ব এর সবচেয়ে বড় ভিকটিম। চীন ও ভারতের পানি সঙ্কট নিয়ে উদ্বিগ্ন গবেষকেরা। পানির মধ্যে আবিষ্কার হচ্ছে অদ্ভুত ধরনের বিষ। বৃষ্টির পানি সংরণের ব্যবস্থা চোখে না পড়লেও ভূগর্ভস্থ পানির ভয়ঙ্কর ব্যবহার সর্বত্রই। খাল-বিল, নদী-নালা উধাও হচ্ছে। ভূমিদস্যুরা ২৪ ঘণ্টাই তৎপর। ‘আবাসন দস্যুদে’র কারণে ঢাকা শহর কংক্রিটের পাহাড়। এতে বৃষ্টির পানি ঢোকার পথ বন্ধ হচ্ছে। এ নিয়ে গবেষণা, তথ্যচিত্র, জনসচেতনতা নেই। কয়েকটি অঞ্চলে আর্সেনিকের ভয়াবহতাও। পাম্প কোম্পানিগুলো প্রতি বছরই আরো লম্বা করছে পানির পাইপ। এ নিয়ে সুন্দর সুন্দর বিজ্ঞাপনচিত্রও দেখি। এক বছর পরেই সেখান থেকে পানি উধাও। ফলে আরো লম্বা হয় পাইপ। এটাই কি সমাধান? কৃষিবিপ্লবের প্রতিযোগিতায় সেচ এক সর্বনাশা রাজনৈতিক খেলা। মতায় থাকার জন্য উজাড় করে ফেলছি অতি মূল্যবান পানি। কুফল ভোগ করবে প্রজন্ম। উপকারের বদলে কৃষিমন্ত্রী আমাদের দেউলিয়া করে দিচ্ছেন কি না! পানির মাত্রা প্রতি বছর কমছে এক মিটার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১০ বছর পর পানির স্তর পৌঁছবে ‘রেড জোনে’। তখন যতই লম্বা করুক, পাইপে আর কোনো পানিই আসবে না।
দ্রষ্টব্য : ইংরেজিতে লেখা ‘হৃদ মন্দির’ বইয়ের অংশÑ মৃত্যুপথযাত্রী গুরুকে শিষ্যরা বলছেন, ‘আপনি কিছুতেই মরতে পারেন না। আপনি মরলে দেখার কী আছে? গুরুর উত্তর, সারা জীবনই আমি নদীর পানি মানুষের হাতে তুলে দিয়েছি, তাই তোমরা কখনোই নদী দেখতে পাওনি। আমার বিশ্বাস, মৃত্যুর পর তোমরা সেই নদীটিই দেখতে পাবে।’
লেখাটি অ্যাক্টিভিজমের ভিত্তিতে।
লেখক : নিউ ইয়র্ক প্রবাসী

 

 

 



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___