আওয়ামী লীগে 'সজীব টনিক'
26 Jul, 2013
ঝিমিয়ে পড়া আওয়ামী লীগকে সজীব করতে দেশে এসেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। তার এই আসা দলে কাজ করছে 'টনিক' হিসেবে। পাঁচ সিটিতে শোচনীয় পরাজয়ের পর হতাশাগ্রস্তô নেতাকর্মীরা চাঙ্গা হচ্ছেন। বিভিন্ন ইফতার পার্টিতে দেয়া জয়ের রাজনৈতিক বক্তব্যে উজ্জীবিত হচ্ছেন নতুন করে। স্বপ্ন দেখছেন আবারো ড়্গমতায় আসার। আর স্বপ্নকে বাস্তôব করতে তৃণমূল পর্যায়ে দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতেও উদ্যোগী হচ্ছেন তারা।
গত মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) স্ত্রী ক্রিস্টিন ওভারমায়ার ও মেয়ে সোফিকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ। দেশে অবস্থানকালে মাকে সময় দেয়ার পাশাপাশি জয় বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। তবে আওয়ামী লীগের একটি সূত্রে জানা যায়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখেই দেশে এসেছেন জয়। প্রধানমন্ত্রী মাকে নির্বাচনী কাজে সহায়তা করাই তার দেশে আসার কারণ। অবশ্য এবারই প্রথমবারের মতো দেশে এসে রাজনৈতিক মঞ্চে বক্তব্য দিচ্ছেন জয়। ইতোমধ্যেই কয়েকটি ইফতার মাহফিলে অংশ নিয়ে আগামী দিনের রাজনীতি ও দেশের উন্নয়ন বিষয়ে ইতিবাচক বক্তব্য রেখে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন তরম্নণ এই আইটি বিশেষজ্ঞ।
ড়্গমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা সজীবকে দেখছেন আগামী দিনের নৌকার কাwৈরি হিসেবে। তাদের দাবি, গত সাড়ে চার বছরে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে আওয়ামী লীগ। তবুও শেয়ার মার্কেট কেলেঙ্কারি, পদ্মা সেতু দুর্নীতি, ডেসটিনি- হলমার্কের লোপাট বাণিজ্য এবং কিছু মন্ত্রীর অতিকথনে অস্থির দেশের মানুষ একটু একটু করে নৌকা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিরোধী দল বিএনপি-জামাতের অপপ্রচার ও মিথ্যাচার। রয়েছে মৌলবাদী গোষ্ঠী হেফাজতের উগ্র ধর্মীয় কুসংস্ড়্গার প্রচার এবং দেশকে আইয়্যমে জাহেলিয়ায় নিয়ে যাওয়ার ভ্রান্তô প্রয়াস। সব মিলিয়ে দেশের এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে জয়ের আগমনকে তারা দেখছেন শান্তিôর বার্তা হিসেবে। আগামী নির্বাচনে নৌকাকে ভরাডুবির হাত থেকে রড়্গা করতে জয়ের বিকল্প নেই বলেও দাবি করছেন কেউ কেউ। দলের নেতাকর্মীরা সজীব ওয়াজেদ জয়ের এই প্রয়াসকে দলের জন্য 'সজীব টনিক' বলে আখ্যায়িত করছেন।
দলের নেতাকর্মীরা জানান, ২০০৮ সালে দলকে ড়্গমতায় আনার পেছনে ছিলেন জয়। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার 'দিনবদলের সনদ' মূলত তার আইডিয়াপ্রসূত। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার নেপথ্য কারিগরও তিনি। সুদূর মার্কিন মুলুকে থেকেও অলিখিত আইটি উপদেষ্টা হিসেবে মা প্রধানমন্ত্রীকে সহায়তা করছেন জয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র হিসেবেই নয়, তরম্নণ এই কম্পিউটার বিশেষজ্ঞের রাজনীতিতে থাকা ডিজিটাল বাংলাদেশের দিকে আরো একধাপ এগিয়ে যাওয়া হিসেবে দাবি করছেন তারা। রাজনীতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিষেক না ঘটলেও আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জয় গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন বলে ধারণা করছেন সংশিস্নষ্টরা। ঈদের পর দলে তাকে গুরম্নত্বপূর্ণ কোনো পদ দেয়া হতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে।
এদিকে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ। তিনি বলেন,
আমার কাছে তথ্য আছে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসবে। সুতরাং আগামী ছয় মাস আমাদের মানুষের কাছে গিয়ে বিএনপির অপপ্রচারের জবাব এবং সরকারের উন্নয়ন কর্মকাÐের কথা তুলে ধরতে হবে। গত মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে যুবলীগ আয়োজিত ইফতার মাহফিলে জয় আরো বলেন, মানুষ যদি আওয়ামী লীগের দুর্নীতির কথা বলে, তাহলে তখন বলবেন, আসুন আমরা বিএনপির আমলের দুর্নীতির সঙ্গে এ আমলের দুর্নীতির তুলনা করি। তাহলেই মানুষ সহজে বুঝবে। কারণ বিএনপির কোনো সফলতা নেই। তাদের সময় বাংলাদেশ পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল দুর্নীতি নিয়ে গবেষণা করে। তাদের গবেষণায় আমরা এখন দুর্নীতিতে ৪০তম কোটায় আছি। আর বিএনপি পাঁচ বছর এক নম্বরে ছিল। আজ আমরা সেখান থেকে কোথায় এসেছি। আমরা সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাচ্ছি। তাদের দুর্নীতির কথা বলাই যেতো না। চার বছর আমরা কিভাবে দেশ চালিয়েছি তা দেশবাসী দেখেছে।
জয়ের এমন বক্তব্যে হতাশা কাটিয়ে আশার আলো দেখছেন অনেকেই। বিশেষ করে দলের তরম্নণ নেতাকর্মীরা নতুন করে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। যুবলীগের উপ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা· হেলাল উদ্দিন বলেন, এই সময়ে জয়ের দেশে আসা এবং রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া খুবই প্রয়োজন। তরম্নণ সমাজ আশান্বিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দল ঐক্যবদ্ধ রয়েছে তবে জয়ের আসা দলকে আরো শক্তিশালী করবে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক লুৎফুন্নাহার মুন্নি বলেন, জয় রাজনীতিতে এলে এটি হবে বাংলাদেশের সৌভাগ্য।
জয়ের আগমনে নেতকর্মীরা উৎফুলস্ন হয়েছে মন্তôব্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, তরম্নণ, মেধাবী ও শিড়্গিতরা রাজনীতিতে এলে রাজনীতির গুণগত মান বাড়বে। বাংলাদেশের তরম্নণ সমাজ তাই চায়। জয়ের আসায় তরম্নণ সমাজ উৎসাহিত হবে, অনুপ্রেরণা পাবে। রাজনীতির জন্য এটি অত্যন্তô গুরম্নত্বপূর্ণ।
গত মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) স্ত্রী ক্রিস্টিন ওভারমায়ার ও মেয়ে সোফিকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ। দেশে অবস্থানকালে মাকে সময় দেয়ার পাশাপাশি জয় বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। তবে আওয়ামী লীগের একটি সূত্রে জানা যায়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখেই দেশে এসেছেন জয়। প্রধানমন্ত্রী মাকে নির্বাচনী কাজে সহায়তা করাই তার দেশে আসার কারণ। অবশ্য এবারই প্রথমবারের মতো দেশে এসে রাজনৈতিক মঞ্চে বক্তব্য দিচ্ছেন জয়। ইতোমধ্যেই কয়েকটি ইফতার মাহফিলে অংশ নিয়ে আগামী দিনের রাজনীতি ও দেশের উন্নয়ন বিষয়ে ইতিবাচক বক্তব্য রেখে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন তরম্নণ এই আইটি বিশেষজ্ঞ।
ড়্গমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা সজীবকে দেখছেন আগামী দিনের নৌকার কাwৈরি হিসেবে। তাদের দাবি, গত সাড়ে চার বছরে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে আওয়ামী লীগ। তবুও শেয়ার মার্কেট কেলেঙ্কারি, পদ্মা সেতু দুর্নীতি, ডেসটিনি- হলমার্কের লোপাট বাণিজ্য এবং কিছু মন্ত্রীর অতিকথনে অস্থির দেশের মানুষ একটু একটু করে নৌকা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিরোধী দল বিএনপি-জামাতের অপপ্রচার ও মিথ্যাচার। রয়েছে মৌলবাদী গোষ্ঠী হেফাজতের উগ্র ধর্মীয় কুসংস্ড়্গার প্রচার এবং দেশকে আইয়্যমে জাহেলিয়ায় নিয়ে যাওয়ার ভ্রান্তô প্রয়াস। সব মিলিয়ে দেশের এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে জয়ের আগমনকে তারা দেখছেন শান্তিôর বার্তা হিসেবে। আগামী নির্বাচনে নৌকাকে ভরাডুবির হাত থেকে রড়্গা করতে জয়ের বিকল্প নেই বলেও দাবি করছেন কেউ কেউ। দলের নেতাকর্মীরা সজীব ওয়াজেদ জয়ের এই প্রয়াসকে দলের জন্য 'সজীব টনিক' বলে আখ্যায়িত করছেন।
দলের নেতাকর্মীরা জানান, ২০০৮ সালে দলকে ড়্গমতায় আনার পেছনে ছিলেন জয়। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার 'দিনবদলের সনদ' মূলত তার আইডিয়াপ্রসূত। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার নেপথ্য কারিগরও তিনি। সুদূর মার্কিন মুলুকে থেকেও অলিখিত আইটি উপদেষ্টা হিসেবে মা প্রধানমন্ত্রীকে সহায়তা করছেন জয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র হিসেবেই নয়, তরম্নণ এই কম্পিউটার বিশেষজ্ঞের রাজনীতিতে থাকা ডিজিটাল বাংলাদেশের দিকে আরো একধাপ এগিয়ে যাওয়া হিসেবে দাবি করছেন তারা। রাজনীতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিষেক না ঘটলেও আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জয় গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন বলে ধারণা করছেন সংশিস্নষ্টরা। ঈদের পর দলে তাকে গুরম্নত্বপূর্ণ কোনো পদ দেয়া হতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে।
এদিকে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ। তিনি বলেন,
আমার কাছে তথ্য আছে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসবে। সুতরাং আগামী ছয় মাস আমাদের মানুষের কাছে গিয়ে বিএনপির অপপ্রচারের জবাব এবং সরকারের উন্নয়ন কর্মকাÐের কথা তুলে ধরতে হবে। গত মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে যুবলীগ আয়োজিত ইফতার মাহফিলে জয় আরো বলেন, মানুষ যদি আওয়ামী লীগের দুর্নীতির কথা বলে, তাহলে তখন বলবেন, আসুন আমরা বিএনপির আমলের দুর্নীতির সঙ্গে এ আমলের দুর্নীতির তুলনা করি। তাহলেই মানুষ সহজে বুঝবে। কারণ বিএনপির কোনো সফলতা নেই। তাদের সময় বাংলাদেশ পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল দুর্নীতি নিয়ে গবেষণা করে। তাদের গবেষণায় আমরা এখন দুর্নীতিতে ৪০তম কোটায় আছি। আর বিএনপি পাঁচ বছর এক নম্বরে ছিল। আজ আমরা সেখান থেকে কোথায় এসেছি। আমরা সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাচ্ছি। তাদের দুর্নীতির কথা বলাই যেতো না। চার বছর আমরা কিভাবে দেশ চালিয়েছি তা দেশবাসী দেখেছে।
জয়ের এমন বক্তব্যে হতাশা কাটিয়ে আশার আলো দেখছেন অনেকেই। বিশেষ করে দলের তরম্নণ নেতাকর্মীরা নতুন করে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। যুবলীগের উপ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা· হেলাল উদ্দিন বলেন, এই সময়ে জয়ের দেশে আসা এবং রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া খুবই প্রয়োজন। তরম্নণ সমাজ আশান্বিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দল ঐক্যবদ্ধ রয়েছে তবে জয়ের আসা দলকে আরো শক্তিশালী করবে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক লুৎফুন্নাহার মুন্নি বলেন, জয় রাজনীতিতে এলে এটি হবে বাংলাদেশের সৌভাগ্য।
জয়ের আগমনে নেতকর্মীরা উৎফুলস্ন হয়েছে মন্তôব্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, তরম্নণ, মেধাবী ও শিড়্গিতরা রাজনীতিতে এলে রাজনীতির গুণগত মান বাড়বে। বাংলাদেশের তরম্নণ সমাজ তাই চায়। জয়ের আসায় তরম্নণ সমাজ উৎসাহিত হবে, অনুপ্রেরণা পাবে। রাজনীতির জন্য এটি অত্যন্তô গুরম্নত্বপূর্ণ।
উৎসঃ ভোরের কাগজ
__._,_.___