Banner Advertiser

Thursday, July 25, 2013

[mukto-mona] আওয়ামী লীগে ‘সজীব টনিক’ !!!!



আওয়ামী লীগে 'সজীব টনিক'



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] Neutrality is sin when opponent is messenger of hell





__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] লন্ডন থেকে আঙ্কারা (দুই) জামায়াতের আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক ॥ বিপন্ন ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্র



লন্ডন থেকে আঙ্কারা (দুই) জামায়াতের আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক ॥ বিপন্ন ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্র
শাহরিয়ার কবির
লন্ডনে ১৩ জুলাই পর্যন্ত নির্ধারিত কয়েকটি বৈঠক সুলতানা কামালের জন্য রেখে ৯ জুলাই আমি প্রথমে ইস্তাম্বুল এবং পরে আঙ্কারা গিয়েছি প্রধানত সরকারী কাজে। ২০০৯ সালে মহাজোট সরকারে এসে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের সময় বিদেশের যেসব বিশিষ্ট নাগরিক, সরকার ও প্রতিষ্ঠান আমাদের সমর্থন ও সহযোগিতা করেছিল তাদের সম্মাননা প্রদান করা হবে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে প্রধান করে যে জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে আমি তার একজন সদস্য। কমিটির গত বৈঠকে আমি বলেছিলাম, জামায়াত ওআইসির বিভিন্ন দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পর্কে ব্যাপক অপপ্রচার চালাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় এসব দেশের সরকার পাকিস্তানী সামরিক জান্তার গণহত্যা সমর্থন করলেও সেখানকার ধর্মনিরপেক্ষ প্রগতিবাদী শক্তি নিশ্চয় তাদের সরকারের বাংলাদেশবিরোধী অবস্থান সমর্থন করেনি। তখন পাকিস্তানেও এমন কিছু বুদ্ধিজীবী, মানবাধিকার নেতা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে আমরা জানি গণহত্যার প্রতিবাদ করে যাঁরা কারানির্যাতনসহ নানা ধরনের লাঞ্ছনা ও গঞ্জনার শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের কয়েকজনকে গত ২৫ মার্চের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। মিসর ও তুরস্কে জামায়াতের সমমনারা ক্ষমতায়। তুরস্কের রাষ্ট্রপতি গত বছর ডিসেম্বরে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধে তার মনোভাব ব্যক্ত করে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখেছিলেন। এরপর সেখানকার সরকার সমর্থক কিছু আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী ঢাকায় এসে বিনা অনুমতিতে ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শন করে, গোলাম আযম ও তার আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে দেশে ফিরে অত্যন্ত নেতিবাচক ও উস্কানিমূলক বিবৃতি দিয়েছেন, যা জামায়াতের কাগজে ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে। আমার প্রস্তাব ছিলÑএ সব দেশে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সহানুভূতিশীল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান খুঁজে বের করা দরকার; যাঁরা তাঁদের দেশে জামায়াতের এসব অপতৎপরতার জবাব দিতে পারবেন। মূলত এ উদ্দেশ্যেই আমার সাম্প্রতিক মিসর ও তুরস্ক সফর।
তুরস্কে যাওয়ার আগেই আমাদের রাষ্ট্রদূত জুলফিকার রহমান '৭১-এর দৈনিক পত্রিকা ঘেঁটে বাংলাদেশ সম্পর্কে তখন যে সব খবর বেরিয়েছে সেগুলো ইংরেজী অনুবাদসহ সে দেশের ধর্মনিরপেক্ষ, প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আমার সাক্ষাতের সময়সূচী তৈরি করে রেখেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় 'বিশ্বশান্তি পরিষদ' বাংলাদেশের পক্ষে জনমত সংগঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। বাংলাদেশ শান্তি পরিষদের সভাপতিম-লীর সদস্য হিসেবে আমি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আবুল কাশেমের মাধ্যমে গত মাসে তুরস্কের শান্তি পরিষদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। ১০ জুলাই ইস্তাম্বুলে আমার সঙ্গে প্রথম বৈঠক হয়েছিল তুরস্কের শান্তি পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ নেতা আয়েদিমির গুলেরের সঙ্গে। 
আয়েদিমির আগেই জানিয়েছিলেন, '৭১-এ তুরস্কে এক ধরনের গৃহযুদ্ধ চলছিল। প্রগতিশীল শক্তির বিরুদ্ধে সামরিক জান্তার ধারবাহিক হামলা ও নির্যাতনের কারণে অন্য দেশে কী ঘটছে সে বিষয়ে শান্তি পরিষদের কিছু জানবার বা করবার সুযোগ ছিল না। তাছাড়া তখন তুরস্কের শান্তি পরিষদ সাংগঠনিকভাবেও খুব একটা শক্তিশালী ছিল না।
আয়েদিমির আমাকে নিয়ে গিয়েছিলেন নাজিম হিকমত কালচারাল সেন্টারে। দেড় শ' বছরের পুরনো জমিদার বাড়িতে বিরাট আঙ্গিনায় ইস্তাম্বুলের বামপন্থী ও প্রতিষ্ঠানবিরোধী লেখক, শিল্পী, চলচ্চিত্র নির্মাতা, থিয়েটারকর্মী, সাংবাদিক ও শিক্ষাবিদদের বিশাল মেলা। আঙ্গিনাজুড়ে বহু টেবিল-চেয়ার পাতা, পাশে রেস্তরাঁ। চা আর কফির সঙ্গে সধুম আড্ডায় আমিও শরিক হলাম। আমাকে ঘিরে ধরলেন সেন্টারের পরিচালকসহ তাকসিম স্কয়ারের তরুণ নেতারা। ইস্তাম্বুল যাওয়ার আগেই আমি আয়েদিমিরকে জানিয়েছিলাম ঢাকার শাহবাগ ও মিসরের তাহরির স্কয়ারের আদলে গড়ে ওঠা ইস্তাম্বুলের তাকসিম স্কয়ারে তারুণ্যের অভ্যুত্থান সম্পর্কে আমি জানতে চাই এবং নেতাদের সাক্ষাতকারও গ্রহণ করতে চাই। আয়েদিমির আমার জন্য এইচডি ক্যামেরাসহ ক্যামেরাম্যান উমুত সেলিককে বলে রেখেছিলেন। 
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, তুরস্ক ও বাংলাদেশে ধর্মীয় মৌলবাদের সাম্প্রতিক উত্থান এবং তাদের গ্লোবাল নেটওয়ার্ক, দেশে দেশে ধর্মনিরপেক্ষ মানবাধিকারের সংগ্রাম ইত্যাদি বিষয়ে তুরস্কের ইস্তাম্বুল ও আঙ্কারায় যাঁদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে তাঁদের ভেতর উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন রিপাবলিকান পিপল্স পার্টির ডেপুটি চেয়ারম্যান ওসমান ফারুক লাগোগলু, মানবাধিকার নেত্রী ভাসফিয়ে জামান, টার্কিশ পেন সেন্টারের সভাপতি তারিক গুনেরসেলসহ অন্য নেতৃবৃন্দ, তুরস্কের সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তুর্গে ওলচেটোসহ অন্য নেতৃবৃন্দ, রাইটার্স সিন্ডিকেটের সভাপতি মুস্তফা কোজ ও অন্যান্য লেখক, বিলগি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিয়াজি দালিয়ানজি, প্রবীণ লেখক, সাংবাদিক ও জাতিসংঘের সাবেক আমলা ড. হিফজি টপুযসহ সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ, মওলানা জালালউদ্দিন রুমীর মাজার ও কালচারাল সেন্টারের কর্মকর্তাবৃন্দ। এ ছাড়া অন্যতম প্রধান দৈনিক সোল, দৈনিক ইয়েনিগুণ, দৈনিক এভরেনসেল ও হায়াৎ টেলিভিশন আমার বিশেষ সাক্ষাতকারসহ বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রতিবেদন ছেপেছে। ১৫ জুলাই কোনিয়ার দৈনিক ইয়েনিগুণ-এর প্রথম পাতার প্রধান সংবাদ শিরোনাম ছিল আমার তুরস্ক সফরসহ বাংলাদেশ ও তুরস্কের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বক্তব্য। 
প্রধান বিরোধী দল কামাল আতাতুর্কের অনুসারী রিপাবলিকান পিপলস পার্টির ডেপুটি চেয়ারম্যান ওসমান ফারুক পেশায় কূটনীতিক। ১৯৭৭ সালে ঢাকায় তুরস্কের প্রথম রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছেন। অবসরের আগে যুক্তরাষ্ট্রে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। অবসরের পর রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন; ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক তুরস্কের এক বলিষ্ঠ কণ্ঠ, ক্ষমতাসীন জাস্টিস এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (একে.) পার্টির কঠোর সমালোচক। বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পর্কে তুরস্কের রাষ্ট্রপতির চিঠির বিষয়ে ওসমান ফারুক বললেন, আমরা পার্লামেন্টে প্রেসিডেন্টের এই অনভিপ্রেত কাজের কঠোর সমালোচনা করেছি। আমি বলেছি, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ নিয়ে কোন মন্তব্য করা, বিচারের সমালোচনা করে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্টকে চিঠি লেখা আমাদের প্রেসিডেন্টের উচিত হয়নি।
আমি জানতে চেয়েছিলামÑ আপনার এই বক্তব্য কি কোন পত্রিকায় ছাপা হয়েছে?
ওসমান ফারুক বললেন, পত্রিকায় নিশ্চয় ছাপা হয়েছে। আপনি চাইলে আমি পার্লামেন্টের ধারাবিবরণীর কপি পাঠিয়ে দেব। এরপর তিনি সরকারের কার্যকলাপ সম্পর্কে বললেনÑ তুরস্কের ধর্মনিরপেক্ষতা এখন বড় ধরনের হুমকির মুখে। রাজনীতি ও সমাজে ব্যাপকভাবে ইসলামীকরণ আরম্ভ হয়েছে। ক্ষমতাসীনরা তুরস্ককে অতীতের ইসলামী ধারায় নিয়ে যেতে চাইছেন। পাঠ্যসূচিতে ধর্মশিক্ষা ও কোরান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। টেলিভিশনে ধর্মীয় অনুষ্ঠান বেড়েছে। অধিকাংশ টেলিভিশন ও সংবাদপত্র সরকারি দলের নিয়ন্ত্রণে। সরকারের সমালোচনা করলে সন্ত্রাসের অভিযোগে গ্রেফতার করা হচ্ছে। একে. পার্টির হাইব্রিড ইসলাম তুরস্ককে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে ভেবে আমি অত্যন্ত শঙ্কিত। আমরা ইসলামের বিরুদ্ধে নই, তবে আমি মনে করি রাজনীতিতে ধর্মের কোন জায়গা থাকা উচিত নয়। 
ওসমান ফারুক এ কথাও বললেন, আধুনিক তুরস্কে তিন প্রজন্ম বেড়ে উঠেছে ধর্মনিরপেক্ষ পরিবেশে। ১৯২৭ সালে কামাল আতাতুর্ক রাষ্ট্রের অন্যতম নীতি হিসেবে সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা সংযোজন করে সকল ধর্মভিত্তিক সংগঠন নিষিদ্ধ করেছিলেন। পরে তুরস্ক কামাল আতাতুর্কের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়েছে। তিনি আরও জানালেন, বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামী কিংবা মিসরের মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে তুরস্কের ক্ষমতাসীন একে. পার্টির সম্পর্ক ও ভালবাসা গোপন কোন বিষয় নয়। গত বছর জামায়াতে ইসলামীর নেতারা তুরস্ক সফর করে একে. পার্টির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। দু'দিন আগে মিসরের ক্ষমতাচ্যুত মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রেসিডেন্ট সম্পর্কে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী এরদোগান বলেছেন, মুরসি আমার প্রেসিডেন্ট। এই বলে হা হা করে হাসলেন ওসমান ফারুক। 
আমি মন্তব্য করলাম, আমরা তো জানি তুরস্ক একটা স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। মিসরের প্রেসিডেন্ট কীভাবে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীর প্রেসিডেন্ট হন? শুনে তিনি দ্বিগুণ হাসলেন।
তুরস্কে সাংবাদিক নির্যাতনের কথা বিস্তারিতভাবে বলেছেন সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট তুর্গে ওলচেটো ও প্রবীণ সাংবাদিক অধ্যাপক নিয়াজী দালিয়ানজি। ইস্তাম্বুলের কাওয়াললুতে সাংবাদিক ইউনিয়নের বিশাল কার্যালয়। বর্তমানে ইউনিয়নের সদস্যসংখ্যা ৩৬০০। এটি ছাড়া বামদের ছোট ছোট কয়েকটি ইউনিয়ন আছে, তবে মূল ইউনিয়নে সব মতের সাংবাদিকরাই সদস্য। তুরস্কে ১৯৬১ সালে সংবিধান সংশোধন করে সাংবাদিকদের কিছু অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে, তার ভেতর আইডেন্টিটি কার্ড প্রদান একটি। কার্ড থাকলে সাংবাদিকদের অনেক সুযোগ-সুবিধা দিতে হবেÑসেজন্য এখন সাংবাদিকদের খ-কালীন বা কর্মনবীশ করে রেখে দেয়া হয়, স্থায়ী করা হয় না। সরকারের সমালোচনা করলে সাংবাদিকদের চাকরি চলে যায়, নইলে জেলে যেতে হয়। ওলচেটো জানালেন, এখন কেউ চাকরি হারাতে বা জেলে যেতে চায় না। বহু সিনিয়র সাংবাদিক জেলে। তাকসিম স্কয়ারের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ৬০ সাংবাদিক পুলিশের দ্বারা নিগৃহীত ও নির্যাতিত হয়েছেন। ফ্রিডম রেডিওর সাংবাদিক ফুসুন আরদোয়ান সাত বছর ধরে জেলে, এখন পর্যন্ত চার্জশিট দেয়া হয়নি, মামলাও শুরু হয়নি। তুরস্কের সাংবাদিকদের অবস্থা চীন ও রাশিয়ার চেয়েও খারাপ।
সাংবাদিক, লেখক ও বুদ্ধিজীবীদের গ্রেফতার ও নির্যাতনের কথা বললেন রাইটার্স সিন্ডিকেটের প্রেসিডেন্ট মুস্তফা কোজ। লেখকদের অনেকেই ছিলেন বৈঠকে, ইংরেজী বুঝলেও বলতে পারেন না। বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পর্কে তুরস্কের রাষ্ট্রপতির অনাকাক্সিক্ষত মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা করলেন রাইটার্স সিন্ডিকেটের শীর্ষ নেতারা। ইসলামের নামে '৭১-এ বাংলাদেশের গণহত্যা সম্পর্কে জেনে অত্যন্ত বিচলিত বোধ করলেন তাঁরা। বললেন, বাংলাদেশের লেখক ও বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ স্থাপন করতে চান তাঁরা। তাঁদের বললাম, দেশে ফিরে আমি সরকারকে বলব তুরস্ক ও মিসর থেকে লেখক, শিল্পী, সাংবাদিকদের দুটি দল বাংলাদেশ সফরে আমন্ত্রণের জন্য। বিশ্বের সব দেশের ধর্মনিরপেক্ষ মানবতায় বিশ্বাসী শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবীদের ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম গঠন জরুরী হয়ে উঠেছে। দেশে দেশে আমরা মৌলবাদীদের দ্বারা ক্রমাগত আক্রান্ত হব, নিহত হব, কারাগারে যাব কিংবা তাদের হুমকির কারণে দেশান্তরি হবÑএমনটি চলতে পারে না। মৌলবাদের বিরুদ্ধে আমাদের একজোট হয়ে লড়তে হবে। '৭১-এ না পারলেও এখন থেকে আমরা একে অপরের বিপদে পাশে যেন দাঁড়াতে পারি সেভাবে প্রস্তুত হতে হবে।
আমেরিকা কীভাবে মুসলমানপ্রধান দেশগুলোতে মৌলবাদকে মদদ দিচ্ছে এ সম্পর্কে আমার বক্তব্য তারা সমর্থন করলেন। বললেন, অন্যান্য দেশের প্রগতিশীল লেখকদের নিয়ে একটা আন্তর্জাতিক সম্মেলন করা যায় কি না। বললাম, এ বিষয়ে মিসরের লেখক ইউনিয়নের সভাপতি মোহামেদ সালমাওয়ের সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে। তাদের বিশাল অবকাঠামোগত সুবিধে রয়েছে। মিসরের লেখক ইউনিয়ন আমাকে লিখিত প্রস্তাব প্রদানের জন্য অনুরোধ করেছে। একই ধরনের আলোচনা হয়েছে লেখকদের অপর সংগঠন টার্কিশ পেন ক্লাবের কর্মকর্তাদের সঙ্গে। পরদিন তাদের বুলেটিনে আমার সঙ্গে বৈঠকের সচিত্র প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে। তাঁরা বলেছেন পেন-এর আগামী সম্মেলনে আমাকে আমন্ত্রণ জানাবেন। বাংলাদেশ সম্পর্কে নিজেদের অজ্ঞতায় তাঁরা লজ্জিত হলেন।
ইস্তাম্বুলে শেষদিন গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ছিল সংখ্যালঘু আলাভী মুসলিমদের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে। সুন্নি ও শিয়াদের মতো কোরানে বর্ণিত মুসলমানদের ৭৩টি ফেরকার মধ্যে একটি হচ্ছে আলাভী। শিয়াদের মতো আলাভীরা মনে করেন, হযরত আলীর (রাঃ) যোগ্যতা ছিল নবী হওয়ার। আলাভীরা হযরত মহম্মদ (সাঃ) ও তাঁর জামাতা হযরত আলীকে (রাঃ) সমপর্যায়ের মনে করেন। যে কারণে অটোমান খলিফাদের যুগ থেকে আলাভীদের তুরস্কের সুন্নিরা মুসলমান বলে গণ্য করেন না। আলাভীরা তুরস্কের মোট জনসংখ্যার ১৫-২০%। সুন্নি মৌলবাদীরা সুযোগ পেলেই আলাভীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। ১৯৯৩ সালে আলাভীদের একটি সম্মেলনে হোটেলে আগুন ধরিয়ে মৌলবাদীরা ৩৫ আলাভীকে জ্যান্ত পুড়িয়ে হত্যা করে। তুরস্কের ধর্মনিরপেক্ষ প্রগতির আন্দোলনে প্রধান শক্তি হচ্ছে আলাভীরা। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে, তুরস্কে আলাভীদের ওপর ধারাবাহিক নির্যাতন ও হত্যাকা-ের ঘটনায় 'হিউম্যান রাইটস ওয়াচ' বা 'এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালে'র মতো মানবাধিকার সংগঠনগুলো কখনও উচ্চকণ্ঠ হয়নি; অথচ বাংলাদেশে গণহত্যাকারীদের বিচার সম্পর্কে তারা প্রতিনিয়ত উদ্বেগ প্রকাশ করছে।
মিসর ও তুরস্ক সফরের সময় যখন বলেছি বর্তমান মুসলিম বিশ্বে শুধু বাংলাদেশেই ধর্মনিরপেক্ষ দল ক্ষমতায় আছে, জেনে তাঁরা চমৎকৃত হয়েছেন। বাংলাদেশের মৌলবাদীরা কীভাবে এসব দেশের মৌলবাদীদের সঙ্গে একজোট হয়ে কাজ করছে, এ বিষয়ে সর্বত্র মতবিনিময় করেছি।
মুসলমানপ্রধান দেশগুলোতে তুরস্ক প্রথম ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ গ্রহণ করছিল। তবে কামাল আতাতুর্কের ইউরোপীয় মডেলের কঠিন সেক্যুলারিজম গ্রামের সাধারণ মানুষ পছন্দ করেনি, যারা ছিল সাড়ে ছয় শ' বছর ধরে ইসলামের খলিফাদের রাজত্বে। ধর্মীয় সংগঠন নিষিদ্ধ করতে গিয়ে আতাতুর্ক সুফী ঐতিহ্যও বিলুপ্ত করতে চেয়েছিলেন। কোনিয়ায় মানবতাবাদী সুফী সাধক জালালউদ্দীন রুমীর মাজার পরিদর্শন করে সেখানকার কর্মকর্তাদের বলেছি, তুরস্কে সুফীবাদ এখন পর্যটক আকর্ষণের পণ্যে পরিণত হয়েছে। দরবেশী নাচ ও সুভেনির ছাড়া সুফী ঐতিহ্যের অন্য কোন অভিব্যক্তি কোথাও চোখে পড়েনি।
কোনিয়া ও ইস্তাম্বুলের সাংবাদিকদের বলেছি, তুরস্কে না থাকলেও রুমীর মানবিক দর্শন কীভাবে সজীব রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে। রুমীর জন্ম ইরানে, তবে জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন তুরস্কে। আধ্যাত্মিকতার পাশাপাশি রুমীর ধর্মনিরপেক্ষ মানবতার দর্শন পরবর্তীকালে প্রবলভাবে প্রভাবিত করেছে তুরস্ক, ইরাক, সিরিয়া, ইরান, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের সুফী সাধকদের। প্রায় এক হাজার বছর আগে রুমী লিখেছেন, 'হে মুসলিম, আমি তো জানি না নিজেকে/ আমি তো নই খ্রীস্টান, ইহুদী, হিন্দু, নই মুসলিম/ আমি প্রাচ্যের নই, পাশ্চাত্যেরও নই, আমি জলের নই, স্থলেরও নই/ আমি ভারতের নই, চীনের নই, বুলগেরিয়া, সাকসিনেরও নই/ আমি ইহলোকের নই, পরলোকের নই, স্বর্গের নই, নরকেরও নই।...' এর সঙ্গে অদ্ভুত মিল খুঁজে পেয়েছি পাকিস্তানের বুল্লে শাহ, ভারতের কবীর আর বাংলাদেশের লালনের। লালন তো রুমীরই প্রতিধ্বনি করেন যখন তিনি বলেনÑ'সব লোকে কয় লালন কী জাত সংসারে/ লালন কয় জাতের কী রূপ দেখলাম না এই নজরে।' কিংবা 'সবে বলে লালন ফকির হিন্দু কি যবন।/ লালন বলে আমার আমি না জানি সন্ধান।'
কোনিয়ার সাংবাদিকদের বলেছি, রুমী মৃত্যুবরণ করেছেন তুরস্কে, কিন্তু তাঁর দর্শন মধ্যপ্রাচ্য ও মধ্য এশিয়া হয়ে দক্ষিণ এশিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত। রুমীর প্রত্যক্ষ শিষ্য হযরত শাহজালাল কোনিয়া থেকে বাংলাদেশে এসেছিলেন ইসলাম প্রচারের জন্য। রুমীর মানবতাবাদের শেষ উত্তরাধিকারী বাংলাদেশের লালন ফকির। আমি তুরস্ক ও বাংলাদেশের সরকারের কাছে প্রস্তাব করব কোনিয়া ও কুষ্টিয়াকে 'জমজ নগর' ঘোষণার জন্য। জঙ্গী মৌলবাদের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রামে সুফী ইসলামের সাম্য ও মানবিকতার দর্শন অন্যতম হাতিয়ার হতে পারে। যে কারণে মৌলবাদীরা সুযোগ পেলেই সুফীদের মাজারে হামলা করছে। ধর্মের মানবিক অভিব্যক্তি সব সময় তারা ধ্বংস করতে চেয়েছে।
মৌলবাদীদের দৌরাত্ম্যের কারণে পাকিস্তান ও বাংলাদেশে রোজার মাসে সব রেস্তরাঁ, খাবার দোকান বন্ধ থাকে। অথচ তুরস্কের প্রধান শহরগুলোতে ইফতারের বিশাল আয়োজন ছাড়া অন্য সময়ে বোঝার উপায় নেই এটা রোজার মাস, যদিও সেখানে ক্ষমতায় রয়েছে জামায়াতবান্ধব এ.কে. পার্টি। ইস্তাম্বুলে বোরকা আর মিনি স্কার্ট পরা মেয়েদের নিঃসঙ্কোচে রাস্তায় হাঁটতে দেখেছি। ঐতিহাসিক সুলতানআহমেত মসজিদের ভেতরে দেখেছি ইসলামের ইতিহাসের অনন্যসাধারণ স্থাপত্য নিদর্শন দেখবার জন্য দেশী-বিদেশী নারী-পুরুষের বিপুল সমাগম। শুধু মসজিদের ভেতর স্কার্ট বা শর্টস পরে প্রবেশ নিষেধ, কিন্তু মসজিদের প্রাঙ্গণে খোলামেলা পোশাকের পর্যটকদের অবস্থান সম্পর্কে কারো কোন মাথাব্যথা নেই। নারীদের সম্পর্কে হেফাজতের শফী সাহেব যা বলেছেন তুরস্কের মৌলবাদীরা শুনলে কানে আঙ্গুল দেবেন। কামাল আতাতুর্ক সমন জারি করে মেয়েদের বোরকা পরা ও মাথায় হেজাব বাঁধা নিষিদ্ধ করেছিলেন। এখন আবার বোরকা ও হেজাব ফিরে এসেছে। এ নিয়ে কেউ জবরদস্তি করেনি। রোজার মাসে সেখানে খোলামেলা বেলি ড্যান্স হতেও দেখেছি-আমাদের দেশে হলে হাটহাজারীর হুজুররা কেয়ামত বাঁধিয়ে দিতেন। তুরস্কে কামাল আতাতুর্কের ধর্মনিরপেক্ষতা ও ইসলাম স্বমহিমায় স্ব স্ব অবস্থানে রয়েছে। তারপরও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি তুরস্কের চেয়ে বাংলাদেশে বেশি বলতে হবে। আতাতুর্কের জমানায়ও তুরস্কে ধর্মীয় সংখ্যালঘু আলাভী নির্যাতন অব্যাহত ছিল।
তুরস্কের মৌলবাদীরা বহু ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মৌলবাদীদের চেয়ে মার্জিত। তারা মদ্যপানের বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছে স্বাস্থ্যগত কারণের কথা বলে। তারা একথা বলছে না- মদ্যপান ইসলামসম্মত নয়। যে কামাল আতাতুর্ক তুরস্ক থেকে ধর্মকে নির্বাসনে পাঠাতে চেয়েছিলেন তার প্রতি রাষ্ট্রীয়ভাবে জাতির পিতার সম্মান জানাতে সে দেশের মৌলবাদীরা বিব্রত বোধ করে না। কেউ এমন কথা বলে না- মোস্তফা কামাল নয়, মুসলিম জাতির পিতা হযরত ইব্রাহিম (আঃ), যেমনটি বলা হয় বাংলাদেশে। সাড়ে ছয়শ বছর ধরে ইসলামের সদর দুর্গ তুরঙ্কে মাওলানা একজনই আছেন, তিনি জালাল উদ্দিন রুমী। আমাদের মত পাড়ায় পাড়ায় মাওলানার ছড়াছড়ি তুরস্ক কেন, আরববিশ্বের কোথাও নেই। তুরস্কের মৌলবাদীরা মুক্তচিন্তার বুদ্ধিজীবী, কমিউনিস্ট ও সংখ্যালঘু আলাভীদের ওপর নির্যাতন করলেও '৭১-এর মতো গণহত্যা সংঘটনের রেকর্ড তাদের নেই। কামাল আতাতুর্ক এমনই প্রবল জাতীয়তাবোধের জন্ম দিয়েছিলেন যে, ওহাবীবাদ এখনও তুরস্কে শেকড় গাড়তে পারেনি আরবে উদ্ভূত হওয়ার কারণে। চরিত্রগতভাবে তুর্কীরা আরববিদ্বেষী। এখনও গ্রামের অনেক মানুষ বিশ্বাস করেন, ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আরবের নন, তিনি তুর্কী। ইসলাম সম্পর্কে বলা হয়Ñকোরান নাজেল হয়েছে আরবে, লেখা ও প্রচার হয়েছে তুরস্কে। মিসরে মুসলিম ব্রাদারহুড ক্ষমতায় আসার প্রথম বছরে সব এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে নিজেদের পতন ডেকে এনেছে। তুরস্কের মৌলবাদীরা এগুচ্ছে ধীরে, তবে সবারই আক্রমণের মূল লক্ষ্য নিঃসন্দেহে ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ। 
কামাল আতাতুর্কের চেয়ে বঙ্গবন্ধুর সেক্যুলারিজম অনেক বেশি যুগোপযোগী- এ কথা তুরস্কের বন্ধুরাও স্বীকার করেছেন। বঙ্গবন্ধুর সেক্যুলারিজমে ধর্মের স্পেস ছিল, যা আতাতুর্কের তুরস্কে ছিল না। বঙ্গবন্ধু যেমনটি বলেছিলেন, 'ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ ধর্মহীনতা নয়'- তুরস্ক সেভাবে ধর্মনিরপেক্ষতার পথে যায়নি। যার ফলে গত ১২ বছর ধরে ইসলামপন্থীরা তুরস্কে ক্ষমতায়। এ বিষয়ে তুরস্কে ও মিসরে আমরা সবাই একমত হয়েছি- ধর্মনিরপেক্ষতার ভেতর ধর্মের জায়গা থাকতে হবে। মানুষ ধর্ম পালন করবে, প্রচারও করবে; কিন্তু রাষ্ট্র ও রাজনীতিকে সব সময় ধর্ম থেকে দূরে রাখতে হবে। ধর্ম আর রাজনীতি যুক্ত হলে কী হয় আমরা '৭১-এ দেখেছি, এখনও দেখছি। আমাদের মতো একই অভিজ্ঞতা তুরস্ক, মিসর, তিউনিশিয়া, আলজিরিয়া, সুদান, পাকিস্তান, ইরান ও আফগানিস্তানে। দেশে দেশে ধর্মনিরপেক্ষতার নিরন্তর চর্চাই আমাদের রাষ্ট্র ও সমাজকে বাঁচাতে পারে।
বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের 'জামায়াতে ইসলামী', মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার 'মুসলিম ব্রাদারহুড' এবং তুরস্কের মৌলবাদী 'জাস্টিস এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি' একই পথের পথিক, একই নৌকার যাত্রী। প্রয়োজনে মৌলবাদীরা যদি একে অপরের পাশে দাঁড়াতে পারে, অভীষ্ট লক্ষ্যের জন্য জীবন দিতে পারে-প্রগতির আন্দোলনে যারা যুক্ত, একইভাবে তাদেরও পরস্পরের পাশে দাঁড়াতে হবে। সকল দেশের ধর্মনিরপেক্ষ মানবতাবাদী শক্তিকে এক মঞ্চে সমবেত হতে হবে। মৌলবাদের তামসিকতা থেকে মুক্ত করতে হবে সমগ্র বিশ্বকে।
২৫ জুলাই ২০১৩


Also Read:
লন্ডন থেকে আঙ্কারা (এক) '৭১-এর গণহত্যাকারীদের বিচার ॥ বিভ্রান্তি ও বানচালের চক্রান্ত




__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] লন্ডন থেকে আঙ্কারা (এক) ’৭১-এর গণহত্যাকারীদের বিচার ॥ বিভ্রান্তি ও বানচালের চক্রান্ত



লন্ডন থেকে আঙ্কারা (এক) '৭১-এর গণহত্যাকারীদের বিচার ॥ বিভ্রান্তি ও বানচালের চক্রান্ত
শাহরিয়ার কবির
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এসে নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী যখন '৭১-এর গণহত্যাকারী, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উদ্যোগে গ্রহণ করেছে তখন থেকে এই বিচার সম্পর্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে এটি বানচালের জন্য জামায়াতে ইসলামী এবং তাদের সহযোগীরা দেশে ও বিদেশে বহুমাত্রিক চক্রান্ত করছে। বহুবার আমরা এসব চক্রান্ত সম্পর্কে সরকারকে অবহিত করেছি। দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, মেয়াদ শেষ হতে চলেছে এখনও সরকারী পর্যায়ে এসব চক্রান্ত রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও কূটনৈতিকভাবে মোকাবেলা করার কোন উদ্যোগ দৃশ্যমান নয়।
গত চার বছরে '৭১-এর গণহত্যাকারী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রয়োজন ও প্রাসঙ্গিকতা সম্পর্কে বলবার জন্য দুই ডজনেরও বেশি আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও সেমিনারে আমাকে অংশগ্রহণ করতে হয়েছে। কয়েকটি সেমিনারে ও শুনানিতে 'একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি'র অন্য নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন। কদাচিৎ আমরা সরকার কিংবা সরকারী দলের কোন প্রতিনিধিকে এসব সম্মেলন বা শুনানিতে অংশ নিতে দেখেছি। গত ২-৮ জুলাই লন্ডনে এবং ৯-১৯ জুলাই ইস্তাম্বুল ও আঙ্কারায় প্রায় দুই ডজন সেমিনার, দ্বিপক্ষীয় মতবিনিময় ও আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করতে হয়েছে, যার মূল বিষয় ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পর্কে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাব, বিভ্রান্তি নিরসন, বিচারের প্রয়োজনীয়তা এবং এর সঙ্গে বর্তমান বিশ্বে ইসলামের নামে জঙ্গী মৌলবাদের উত্থান।
৪ জুলাই লন্ডনে 'বাংলাদেশে গণতন্ত্র, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং শাহবাগ আন্দোলন' বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্যোক্তা ছিল ডাচ এনজিও 'ইন্টারন্যাশনাল কমিটি ফর ডেমোক্রেসি ইন বাংলাদেশ' এবং 'একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি'র যুক্তরাজ্য শাখা। সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য সম্পর্কে উদ্যোক্তারা বলেছেন, ১. যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামী এবং সহযোগীদের মিথ্যা প্রচারণার স্বরূপ উন্মোচন, ২. বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর সাম্প্রতিক হামলা প্রতিরোধে করণীয় নির্ধারণ এবং ৩. যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চকে সমর্থন। লন্ডন সম্মেলনের উদ্যোক্তাদের প্রথম দুটি উদ্দেশ্য সম্পর্কে ইউরোপীয় সম্প্রদায়ের মিশ্র সমর্থন থাকলেও শেষোক্তটি অধিকাংশের জন্যই ছিল বিব্রতকর, কারণ ইউরোপের ক্ষমতাধর দেশগুলো মৃত্যুদ- সমর্থন করে না।
লন্ডন সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, গণজাগরণ মঞ্চের একজন প্রতিনিধি ও আমাকে। দেরিতে আমন্ত্রণপত্র আসার জন্য ভিসা না পাওয়ায় গণজাগরণ মঞ্চের প্রতিনিধি সম্মেলনে অংশ নিতে পারেননি। সুলতানা কামাল ও আমি মানবাধিকার কর্মী ছাড়াও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আসামি জামায়াত নেতা গোলাম আযম ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে মামলার অন্যতম সাক্ষী। নেদারল্যান্ডস থেকে এসেছিলেন উদ্যোক্তা সংগঠনের ড. পিটার কাস্টার্স ও বিকাশ চৌধুরী বড়–য়া। লন্ডন থেকে ছিলেন গণহত্যা বিশেষজ্ঞ ডেভিড রাসেল ও আনসার আহমদ উল্লা। নির্ধারিত বক্তৃতার বাইরে রাখা হয়েছিল শ্রোতা-দর্শকদের জন্য অত্যন্ত প্রাণবন্ত মুক্ত আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর।
আমার বক্তব্যের বিষয় ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পর্কে পশ্চিমে উত্থাপিত বিভিন্ন প্রশ্ন ও বিভ্রান্তির জবাব এবং বিচারের প্রাসঙ্গিকতা ও যৌক্তিকতা। গত বছর ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এক শুনানিতেও এসব বিষয়ে বলতে হয়েছে। গতবার লন্ডনে যুক্তরাজ্যের লর্ড সভার সদস্য এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর অন্যতম উপদেষ্টা লর্ড কার্লাইলের সঙ্গে আলোচনার সময় তিনি প্রশ্ন করেছিলেন, ঢাকার আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে কেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনের কোন বিচারক রাখা হয়নি, কেন ব্রিটিশ আইনজীবীকে ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্ত তার মক্কেলের জন্য ওকালতি করতে দেয়া হয়নি। প্রশ্নেই বোঝা যায় লর্ড কার্লাইল কিভাবে জামায়াতের মিথ্যা প্রচারণার শিকার হয়েছেন। তাকে বলেছিলাম, ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কোন আন্তর্জাতিক আদালত নয়। আমাদের দেশীয় আইনের অধীনে গঠিত সম্পূর্ণভাবে একটি দেশীয় আদালত। লর্ড কার্লাইল জানতে চেয়েছিলেন, তাহলে আমরা আদালতের নামের সঙ্গে আন্তর্জাতিক শব্দটি কেন যুক্ত করেছি। তাকে বলেছি, গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ আন্তর্জাতিক আইনে দ-নীয় অপরাধ। বাংলাদেশের মাটিতে সংঘটিত এ ধরনের আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচারের জন্য ১৯৭৩ সালে আমাদের সরকার 'আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন' প্রণয়ন করেছিল। আইনে এই অপরাধগুলো সংজ্ঞায়িত করে বলা হয়েছে বাংলাদেশ এর বিচার কীভাবে করবে। ঢাকার ট্রাইব্যুনাল হচ্ছে কতিপয় আন্তর্জাতিক অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচারের জন্য গঠিত একটি দেশীয় আদালত। লর্ড কার্লাইলকে আরও বলেছিলাম, প্রত্যেক দেশের বিচার ব্যবস্থা সে দেশের মানুষের সভ্যতার ইতিহাস, সংস্কৃতি ও সামাজিক মূল্যবোধ থেকে উৎসারিত। আমি আমার সংস্কৃতি ও জীবনবোধ যেমন অন্য দেশ ও সমাজের ওপর চাপিয়ে দিতে পারি না, একইভাবে আমরা আশা করি অন্যরা আমাদের স্বাধীন সার্বভৌম সত্তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবেন।
এসব কথা এবারও বলতে হয়েছে লন্ডন সম্মেলনে এবং সম্মেলনের পর ইংল্যান্ড ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইন প্রণেতাদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠকে। লন্ডনের আয়োজকরা আগে থেকেই এসব বৈঠকের দিনক্ষণ নির্ধারণ করে রেখেছিলেন। ৫ জুলাই প্রথম বৈঠক ছিল প্রভাবশালী ব্রিটিশ এমপি সাইমন হিউজের সঙ্গে। আমাদের দলে ছিলেন এ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, ড. পিটার কাস্টার্স, বিকাশ চৌধুরী বড়–য়া, আনসার আহমদ উল্লা ও মিহির সরকার। সাইমন আমাদের কথা অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে শুনেছেন। জামায়াতের জঙ্গী সম্পৃক্তি এবং উগ্র মৌলবাদী হেফাজতে ইসলামের উত্থান সম্পর্কে তিনি মন্তব্য করেননি। বিচারের যৌক্তিকতা সম্পর্কে তিনি সহমত পোষণ করলেও শাস্তি সম্পর্কে তার অবস্থান অন্য সবার মতোই অনড়- বৃটেন মৃত্যুদ- সমর্থন করে না।
লন্ডনে অবস্থানকারী অভিযুক্ত গণহত্যাকারী চৌধুরী মুঈনুদ্দিনের বিচারের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে সুলতানা কামাল তাকে বলেছেন, মৃত্যুদ-ের বিধান থাকার জন্য আপনি বলছেন চৌধুরী মুঈনুদ্দিনকে আপনারা বাংলাদেশের হাতে প্রত্যর্পণ করবেন না। আমরা আপনাদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বাংলাদেশের ট্রাইব্যুনালে যদি মুঈনুদ্দিনের অপরাধ প্রমাণিত হয় বৃটেনের আদালতে কি আপনারা তার বিচার করবেন?
সাইমন হিউজ বলেছেন, বৃটেনে এ ধরনের বিচারের কোন নজির নেই। আমি বললাম, '৭১-এ চৌধুরী মুঈনুদ্দিনের বুদ্ধিজীবী হত্যা সম্পর্কে চ্যানেল ফোরে যখন 'ওয়ার ক্রাইমস ফাইল' প্রদর্শিত হয় তখন এ নিয়ে বৃটিশ পার্লামেন্টেও আলোচনা হয়েছিল। লেবার পার্টির এমপি উনা কিং তখন বলেছিলেন, বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত কিছু ব্যক্তি বৃটেনে এসে আশ্রয় নিয়েছে, যাদের প্রচলিত আইনে বিচার করা যায় এবং করা উচিত। তার এই বক্তব্য পার্লামেন্টের ধারাবিবরণী থেকে আমার একাধিক লেখায় উল্লেখ করেছি। এ বিষয়ে সাইমন কোন মন্তব্য করেননি। 
প্রাক্তন লেবারমন্ত্রী এবং আরেক প্রভাবশালী এমপি জিম ফ্রিজপ্যাট্রিক যখন মন্ত্রী ছিলেন, ব্রিটিশ প্রশাসনে মুসলিম মৌলবাদীদের অবস্থান সম্পর্কে মন্তব্য করে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিলেন। গত বছর আমরা তাকে হিজবুত তাহ্রীরের কর্মকা- এবং লন্ডনে বসে বাংলাদেশে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে বলেছিলাম। বিষয়টি তিনি পার্লামেন্টে উত্থাপন করেছিলেন। এবার জিম বললেন, আপনাদের আন্দোলন ও সংগ্রামের প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন আছে। আপত্তি শুধু অভিযুক্তদের মৃত্যুদ- প্রদানের দাবি সম্পর্কে। শাহবাগে আপনারা যেভাবে মৃত্যুদ-ের দাবি করছেন এটা সমর্থনযোগ্য নয়। এতে ট্রাইব্যুনালের ওপর চাপ দেয়া হচ্ছে।
তাকে বললাম, শাহবাগের তরুণরা মুক্তিযোদ্ধাদের এবং '৭১-এর শহীদদের সন্তান। মৃত্যুদ-ের বিধান যেহেতু আমাদের বিচার ব্যবস্থায় আছে- ভিকটিমদের পক্ষ থেকে তারা গণহত্যাকারীদের চরম শাস্তি দাবি করতেই পারে। অপরদিকে জামায়াত বলছে, এই ট্রাইব্যুনাল ও আইন তারা মানে না, বিচারকরা পক্ষপাতদুষ্ট। সাক্ষীদের তারা ভয়ভীতি দেখাচ্ছে, বিদেশে অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিচার বন্ধের জন্য শত শত কোটি টাকা ব্যয় করে তারা লবিস্ট নিয়োগ করেছে। বরং জামায়াতই ট্রাইব্যুনালকে প্রচ- চাপের ভেতর রেখেছে। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল সকল চাপ উপেক্ষা করে বিচার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। জিম বললেন, জামায়াত ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রামে তিনি সব সময় পাশে থাকবেন।
জামায়াতের জঙ্গী সম্পৃক্তি এবং বিশ্বব্যাপী জঙ্গী মৌলবাদের সাম্প্রতিক উত্থান সম্পর্কে আমাদের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য ড. চার্লস ট্যানক। এ বিষয়ে তাকে আমাদের প্রকাশনা ও প্রামাণ্যচিত্রগুলো প্রদান করেছি। তাকে আরও বলেছি, ইউরোপীয় পার্লামেন্টে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হওয়া দরকার। তুরস্ক থেকে ইন্দোনেশিয়া পর্যন্ত মুসলমানপ্রধান দেশগুলার সর্বত্র মৌলবাদীরা কিংবা মৌলবাদের প্রতি সহানুভূতিশীলরা ক্ষমতায়। ওআইসির দেশগুলোর ভেতর বাংলাদেশ হচ্ছে একমাত্র ব্যতিক্রম যেখানে এখনও ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক শক্তি ক্ষমতায় রয়েছে। মৌলবাদের জঙ্গী সন্ত্রাস থেকে ইউরোপকে মুক্ত রাখতে হলে যেসব দেশে মৌলবাদীরা শক্তিশালী ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচিত সেসব দেশের মৌলবাদবিরোধী ধর্মনিরপেক্ষ মানবতাবাদীদের সমর্থন করা।
চার্লস ট্যানক আনসার, বিকাশ ও পিটারকে বললেন, এ বিষয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের কোন কোন সদস্যের সঙ্গে তাদের আলোচনা করতে হবে। ইউরোপীয় পার্লামেন্টে আমাদের আরও ব্যাপক ও কার্যকর লবিংয়ের কথা বললেন তিনি।
ব্রিটিশ আইনসভার প্রবীণ সদস্য লর্ড এরিক এভবরি বাংলাদেশের মানবাধিকার সম্পর্কে সর্বদা উচ্চকণ্ঠ। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে সংখ্যালঘু ধর্মীয় ও এথনিক সম্প্রদায়ের ওপর যে নজিরবিহীন নির্যাতন চালিয়েছিল তখন আমাদের অনুরোধে লন্ডনে তিনি তিনটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করে এর প্রতিবাদ করেছিলেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হওয়ার পর বিলেতে জামায়াতের ব্রিটিশ আইনজীবী ও ভাড়া করা মানবাধিকার কর্মীরা লর্ড এভবরিকে এমনই প্রভাবিত ও বিভ্রান্ত করেছে গতবার তাকে ক্ষুব্ধ হয়ে বলেছিলাম, আপনি সব সময় গণহত্যার প্রতিবাদ করেছেন। আমার 'ওয়ার ক্রাইমস সেভেন্টিওয়ান' ছবিতে বলিষ্ঠভাবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে বলেছেন। আমি জানি না কী কারণে এখন ভিকটিমদের চেয়ে গণহত্যাকারীদের মানবাধিকারের বিষয়টি আপনার কাছে এত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
আমার ওপর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের নির্যাতনের প্রতিবাদ করেছেন লর্ড এভবরি। আমাকে তিনি অত্যন্ত স্নেহ করেন। তাকে কেউ জামায়াতের সমর্থক বললে আমারও গায়ে লাগে। তবে আইসিটি সম্পর্কে তার ভ্রান্ত ধারণা আমরা দূর করতে পারিনি। এবার তার সঙ্গে বৈঠকে এ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল থাকাতে আমাদের সুবিধে হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক কমিশনের চেয়ারম্যান ও কো-চেয়ার হচ্ছেন লর্ড এভবরি ও সুলতানা কামাল। আমরা তাকে হেফাজতের সাম্প্রতিক উত্থান এবং হেফাজতের জামায়াত সম্পৃক্তির যাবতীয় তথ্য সরবরাহ করে বললাম, জামায়াত কিভাবে বাংলাদেশে মধ্যযুগীয় বর্বরতা ফিরিয়ে আনতে চায়। হেফাজতের ১৩ দফার অন্যতম লক্ষ্য পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়িরা- এটি জেনে লর্ড এভবরি খুবই বিব্রত হলেন। সুলতানা কামাল হেফাজতের নারীবিদ্বেষী অবস্থানের কথাও বললেন।
এবারই প্রথম জামায়াত সম্পর্কে লর্ড এভবরিকে উদ্বিগ্ন মনে হলো। তিনি বলেছেন, ওদের হেইট ক্যাম্পেইনগুলো কি তোমরা সূত্রসহ আমাকে দিতে পারবে? সুলতানা কামাল বললেন, শাহরিয়ারদের কাছে সব তথ্য আছে। আমি বললাম, আমরা হেফাজতে ইসলাম সম্পর্কে শীঘ্রই একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করব। আপনি যা চাইছেন সবই ওতে পাবেন।
ব্রিটিশ আইনপ্রণেতা ও ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যবৃন্দ ছাড়াও এবার লন্ডন সম্মেলনে বাংলাদেশী বিভিন্ন মানবাধিকার ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গেও আমাদের মতবিনিময় হয়েছে। হেফাজতের সাম্প্রতিক উত্থান এবং এ ক্ষেত্রে সরকারের নমনীয় মনোভাবে সবাই উদ্বিগ্ন। আমি তাদের বলেছি, যদি কোনভাবে হেফাজত-জামায়াত-বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পারেÑ ২০০১ সালে তারা যা করেছিল এবার তার শত গুণ করবে। আওয়ামী লীগ অনেক সমালোচনার কাজ করেছে। কিন্তু গত চার বছরে অর্থনীতি, শিক্ষা, সামাজিক উন্নয়ন, কৃষি, স্বাস্থ্য, বিদ্যুত প্রভৃতি ক্ষেত্রে এ সরকার যে সাফল্য প্রদর্শন করেছে এর আগে কোন সরকার তা করতে পারেনি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করতে হলেও মহাজোটকে আবার ক্ষমতায় আসতে হবে। হেফাজত ও জামায়াত সম্পর্কে ৬ মে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, এদের আর ছাড় দেয়া হবে না। সরকার এ ক্ষেত্রে অনমনীয় হলে মহাজোট অবশ্যই ক্ষমতায় আসবে। হেফাজত-জামায়াতের সঙ্গ না ছাড়লে বিএনপিকে মানুষ বিজয়ী করবে না। 
লন্ডন সম্মেলনের সফল উদ্যোক্তাদের সঙ্গে তাদের পরবর্তী কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে। সম্মেলনে গণজাগরণ মঞ্চের কেউ অংশ নিতে পারেননি এটি তাদের কিছুটা হতাশ করেছে। তাদের বলেছি আপনারা এ বছরের শেষে বাংলাদেশের শাহবাগ চত্বর, মিসরের তাহরির এবং তুরস্কের তাকসিম স্কয়ারের তরুণ নেতাদের নিয়ে একটি সম্মেলন করতে পারেন। 
বিকাশ ও পিটার নীতিগতভাবে আমার প্রস্তাবে সম্মত হয়েছেন। তারা জানতে চেয়েছেন মিসর ও তুরস্ক থেকে কারা আসবেন। গত মাসে মিসর সফরকালে তাহরির স্কয়ারের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তুরস্কে তাকসিমের নেতাদের সঙ্গে কথা হবে।
তরুণরা সব দেশে সব সময়ে সমাজবিপ্লবে সবচেয়ে বেশি অংশগ্রহণ করেছে, নেতৃত্ব দিয়েছে। শাহবাগ, তাহরির ও তাকসিমের তরুণরা মৌলবাদীদের আক্রমণের প্রধান লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে, অকাতরে জীবন দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনের প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তির উচিত এদের প্রতি সমর্থন ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া। এই তরুণরাই আগামী দিনে মুসলিম বিশ্বের মৌলবাদীকরণের বিরুদ্ধে ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবে। এরাই আমাদের স্বপ্ন, আমাদের ভবিষ্যত।

(দ্বিতীয় পর্ব আগামীকাল)
২৪ জুলাই ২০১৩

Also Read:
লন্ডন থেকে আঙ্কারা (দুই) জামায়াতের আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক ॥ বিপন্ন ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্র




__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] Fw: Fwd: Our future , Our pride !!!




----- Forwarded Message -----
From: Muhammad Ali <eastsidepc71@gmail.com>
To: Mainka <manik195709@yahoo.com>
Sent: Thursday, July 25, 2013 11:26 AM
Subject: Fwd: Our future , Our pride !!!



---------- Forwarded message ----------
From: Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com>
Date: Thu, Jul 25, 2013 at 11:23 AM
Subject: Our future , Our pride !!!
To: "sajeeb.wazed@gmail.com" <sajeeb.wazed@gmail.com>


Our future , Our pride !!
Kindly open the link for details :

http://www.youtube.com/watch?v=qZXE2U7AlOM





__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] ATN বাংলার জ ই মামুনের ওপর লাঠিশোটা নিয়ে সাংবাদিক (নাহ গুন্ডা) জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে হামলা ও মোস্তফা ফিরোজ ভাই, রেজা ভাই সহ অন্যান্য সাংবাদিক, সুশীল ও সাংবাদিক নেতাদের ভুমিকা



 

এটিএন বাংলার হেড অব নিউজ মামুনের ওপর লাঠিশোটা নিয়ে সাংবাদিক (নাহ গুন্ডা) জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে অন্যান্য সাংবাদিকদের হামলা মোস্তফা ফিরোজ ভাই, রেজা ভাই সহ অন্যান্য সাংবাদিক, সুশীল  সাংবাদিক নেতাদের ভুমিকা

 

 

এটিএন বাংলার হেড অব নিউজ মামুনের ওপর লাঠিশোটা নিয়ে সাংবাদিক (নাহ গুন্ডা) জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে অন্যান্য সাংবাদিকদের হামলা 
 

 

শ্রদ্ধেয় প্রভাস আমীন ভাই,

এটিএন বাংলার হেড অব নিউজ স্বনামধন্য সাংবাদিক মামুনের সহ অন্যান্য সাংবাদিকদের ওপর লাঠিশোটা নিয়ে আরেক সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে অন্যান্য সাংবাদিকদের (নাহ গুন্ডা বলব) হামলা হওয়ার পরেও মোস্তফা ফিরোজ ভাই, রেজা ভাই সহ অন্যান্য সাংবাদিক নেতারা, সুশীলরা কি বলেছিলেন,  কি করছেন,  কি ব্যাবস্থা নিয়েছিলেন?

 

উপরন্তু কতিপয় স্বার্থান্বেষী হলুদ সাংবাদিক সংবাদপত্র (প্রথম আলো, আমারদেশ ) মিথ্যা প্রচার করে যে, এটিএন বাংলার সাংবাদিকেরাই নাকি হামলা চালায় !

শিরোনাম দেয় - 'সাংবাদিক নেতার ওপর এটিএনের কর্মীদের হামলা' !

 

এর জন্যই তো আমরা বলি, হলুদ সাংবাদিকতার জনক হচ্ছে প্রথম আলো আমারদেশ!

মিথ্যাকে সত্য এবং সত্যকে মিথ্যা করার যন্ত্র প্রথম আলো আমারদেশ!

 

বাংলাদেশের মিডিয়া জগত যে কতটা কলুষিত পাপপংকিলময়, তার প্রমাণ 'সাগর-রুনি' বিচারের নাম করে এটিএন বাংলা তথা সরকার বিরোধী প্রচারণা চালানো একদল ভণ্ড সাংবাদিকেরা যারা প্রকৃতপক্ষে 'সাগর-রুনি' হত্যার বিচার চায়না বরং এটিকে ইস্যু করে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করতে চায় !

ভিডিওটি থেকে দেখুন, ভণ্ড সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম এটিএন বাংলা ঘেরাও করা হুমকি দিয়ে সমস্যার সূত্রপাত করেন।
 

ভিডিওটির :১১ - :২১ মিনিট পর্যন্ত দেখা যায়, জাহাঙ্গীর আলম ঘেরাও কর্মসূচী দেওয়ার জন্য ''আমরা দেব, আমরা দেব'' বলে অন্যদেরকে উস্কিয়ে যাচ্ছেন।

ভিডিওটির :২৪-:২৭ পর্যন্ত দেখা যায় জাহাঙ্গীর আলমের লোকজনই "ভিতরে ভিতরে'' বলে ভেতরে ঢোকেন অথচ প্রথম আলোয় লেখা হয় - "এটিএন বাংলার কয়েকজন সাংবাদিক জাহাঙ্গীরকে ধাক্কা দিয়ে প্রেসক্লাবের ভেতর নিয়ে যান।" দেখুন, প্রথম আলো যে হলুদ সাংবাদিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত - এখানেই কি তা সুস্পষ্ট নয় ?

ভিডিওর :৩১-:৩৮ মিনিটে দেখা যায় জাহাঙ্গীর আলম - ATN Bangla সাংবাদিকদের ঢালাওভাবে 'এরা খুনী' বলে বারবার উচ্চারণ করেন।

ভিডিওর :১৩-:১৭ মিনিটে দেখা যায় - উগ্র উত্তেজিত জাহাঙ্গীর আলম বিশাল আকারের কাষ্ঠল লাঠি নিয়ে নিজের দলেরই শাদা শার্ট পরিহিত ব্যক্তির হাতে দফা আঘাত করেন।

ভিডিওর :২৯ মিনিটে জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষের আকাশী রঙের কলার বিশিষ্ট সাদা শার্ট পরা ব্যক্তি ATN Bangla- একজন সাংবাদিককে ঐরকম মোটা লাঠি দিয়ে বাড়ি মারেন।

ভিডিওর :৪৩-:৪৫ মিনিটে দেখা যায়, জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষের একজন ব্যক্তি দুই দফা মামুনের কানে আঘাত করেন।

ভিডিওর :২৫-:২৮ মিনিটে দেখা যায়, মামুনের কান থেকে রক্ত ঝরছে যা সতীর্থ সাংবাদিক আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন।

ভিডিওর :৩০-:৩৭ মিনিট পর্যন্ত দেখা যায় মামুন টিস্যু পেপার দিয়ে কানের ক্ষত মোছার চেষ্টা করছেন এবং "রক্ত বের করে ফেলসে" বলে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

ভিডিওর :০৪-:০৫ মিনিটে দেখা যায়, জাহাঙ্গীর আলমের সতীর্থ সাংবাদিক "বাল ফ্যালাইবা বাল" বলে সকলের সামনে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে গালাগালি করছেন।

 

সুতরাং কি বুঝলেন আপনারা ? দোষ কার ?

 

প্রভাস আমীন ভাই,
 

ভিডিও লিংক থেকে দেখা যায়, এটিএন বাংলার সাংবাদিক মামুনই প্রকৃতপক্ষে আহত হয়েছেন, কানের নিচে দফা আঘাত করে তাকে আহত করা হয়েছে। উপরন্তু দেখা যায়, জাহাঙ্গীর আলম হিংস্র হয়ে লাঠি দিয়ে এটিএন বাংলার সাংবাদিকদের মারতে উদ্যত হয়েছেন!

কিন্তু সামনে শাদা শার্ট পরা নিজের দলের ব্যক্তি ছিলেন বলে লাঠির খোঁচা দফা উক্ত ব্যক্তির হাতেই লেগেছে।

আরো দেখুন, গুন্ডা  সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলমই এটিএন বাংলার সাংবাদিকেরা খুনী এটিএন বাংলা ঘেরাও করা হুমকি দিয়ে সমস্যার সূত্রপাত করেন।

এই হামলা মাস্তানীর জন্য সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলমের শাস্তি হওয়া উচিত ছিল না!

তখন মোস্তফা ফিরোজ ভাই, রেজা ভাই সহ স্নাগ্বাদিক নেতারা, সুশীলরা কি বলেছিলেন,  কি করছেন,  কি ব্যাবস্থা নিয়েছিলেন  জানতে ইচ্ছে করছে!

 
নাহ এখানেও কি সরকারের ব্যের্থতা!

 



--

দেশে বিদেশে বাঙ্গালীরা এবং বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ গুনুমুগ্ধ ভক্ত গন

সুখে থাকুন, ভালো থাকুন এবং নিরাপদে থাকুন

 

জয় বাংলা , জয় বঙ্গবন্ধু

 

শুভেচ্ছান্তে


Engr. Shafiqur  Rahman Anu
Auckland,
New Zealand
N.B.: If any one is offended by content of this e-mail, please ignore & delete this e-mail. I also request you to inform me by an e- mail - to delete your name from my contact list.


__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___