Banner Advertiser

Thursday, September 25, 2014

[mukto-mona] [মুক্তমনা বাংলা ব্লগ] 'মিডিয়ায় নারী দেহের পণ্যায়নঃ আমার কিছু এলোমেলো ভাবনা'

মুক্তমনা বাংলা ব্লগ has posted a new item,
'মিডিয়ায় নারী দেহের পণ্যায়নঃ
আমার কিছু এলোমেলো ভাবনা'


১) বিজ্ঞাপণের নারী মডেল কিংবা
সিনেমার নায়িকা কি পণ্য?


আসেন আগে দেখি পণ্য কি---পণ্য
একটা বস্তু মাত্র, যার স্বাধীন
ইচ্ছা-অনিচ্ছা থাকার কোন
প্রশ্নই ওঠে না, কেউ তা উৎপাদন
করে এবং বাজারে বিক্রি করে,
অন্যারা তা কিনে ব্যবহার করে।
বিজ্ঞাপণের নারী মডেল কিংবা
সিনেমার নায়িকা---তা তিনি যত
খোলামেলাই হোন না কেন---নিজের
ইচ্ছায় তা করেন। বোরকা পরবেন না
[...]


You may view the latest post at
http://mukto-mona.com/bangla_blog/?p=42799


You received this e-mail because you asked to be notified when new updates are
posted.


Best regards,
মুক্তমনা বাংলা ব্লগ ।




------------------------------------

------------------------------------

****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration:
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
-Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190
------------------------------------

Yahoo Groups Links

<*> To visit your group on the web, go to:
http://groups.yahoo.com/group/mukto-mona/

<*> Your email settings:
Individual Email | Traditional

<*> To change settings online go to:
http://groups.yahoo.com/group/mukto-mona/join
(Yahoo! ID required)

<*> To change settings via email:
mukto-mona-digest@yahoogroups.com
mukto-mona-fullfeatured@yahoogroups.com

<*> To unsubscribe from this group, send an email to:
mukto-mona-unsubscribe@yahoogroups.com

<*> Your use of Yahoo Groups is subject to:
https://info.yahoo.com/legal/us/yahoo/utos/terms/

[mukto-mona] দুটি লেখা পাঠালাম



পথ


    আমাদের এই ক্ষণভঙ্গুর জীবনে দু'টি পথ খোলা । একটি সত্যের বা উত্তরণের পথ,    অন্যটি মিথ্যা বা  অধঃপতনের পথ । এই দু'টি পথ সমান্তরাল হয়ে  প্রতিষ্ঠিত,  তবে অনুভূতির  স্তরে । কোন  পথে কে হাঁটছেন,   সেটি প্রথম জানতে পারেন সেই পথের পথিক । তাই কেউ যদি   বলেন, আমি  ভুল  করে  এই  পথে এসে পড়েছি, সেটি সঠিক তথ্য নয় । যে যার মানসিক  প্রবৃত্তির  থেকে খুঁজে  নেন তার পথ । সেটি সম্পূর্ণ নিজস্ব চেতনার বহিঃপ্রকাশ ।
 
    এই দুই পথের মাঝখানে একটি রেখা আছে । তাকে আমরা 'নো ম্যানস লাইন' বলতে পারি । আবার বলতে পারি 'লক্ষণ রেখা' । এই রেখা  সহজে  অতিক্রম  করা  যায়,  নেই  কোনও  সীমান্তরক্ষী  বা কাঁটাতার ।  যেহেতু  এই  দু'টি  পথ  অনুভূতির   স্তরে,  তাই   পথ পরিবর্তন  করা  খুব  সহজ । এখানে  আমাদের  চৈতন্যে   বিবেকের গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে । অন্তরের অন্তঃস্থলে  সে-ই নেতৃত্বের গুণগত পার্থক্য নির্দিষ্ট করে দেয়, কোন পথ কার । 
 
    আমরা নিজেরাও বুঝতে পারি যে, কোন পথে হাঁটছি । তাই  সেই পথের অন্য বন্ধুদের খুব সহজে চিনতে পারি । তেমনি বিপরীত পথের ব্যক্তি-সমষ্টিকে চিনতেও খুব একটা দেরি হয় না । কারণ সত্যের পথ যদি  উত্তর  দিক  হয়, তবে  মিথ্যার  পথ  দক্ষিণ ।  ঠিক  আমাদের রাজপথের আপ অর্থাৎ উত্তরণ এবং ডাউন অর্থাৎ অধঃপতনের মতো স্পষ্ট । সে,  যে  পথের  পথিক  হোক না, কিছুদূর হাঁটার পর নিজের পথ এবং বিপরীত পথ সহজেই অনুধাবন করতে পারে ।  
 
    এই বিষয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিজ্ঞাসা সত্যের পথ এবং মিথ্যার পথের  স্বরূপ কী  এবং আমাদের মানবজীবনে এর গুরুত্ব কতখানি । এ ছাড়াও কীভাবে এই দুই পথে মানুষ ঢুকে পড়ে !
    প্রথমেই বলা যায় যে, মিথ্যার  পথ   এবং সত্যের  পথের শুরুতে একটি সাইনবোর্ড আছে । এই সাইনবোর্ডের ভাষ্য আমরা  আমাদের গুরুজন,  বই, অভিজ্ঞতা প্রভৃতির মধ্যে দিয়ে জানতে পারি । মিথ্যার সাইনবোর্ডে লেখা থাকে প্রচুর উন্নতির কথা, লোভের কথা এবং সেই পথের  ধারে-কাছে  এলে  মিথ্যার  দালালদের  মনোমুগ্ধকর  মিথ্যার ফুলঝুরি আমাদের আকর্ষণ করবে । বিজ্ঞাপনী চটকদারি এবং কৃত্রিম আলোর  ছটায়  প্রায়  লুপ্ত ক রে দেবে আমাদের চৈতন্য, বোধশক্তি । আমরা  স্বাভাবিক-ভাবেই  লোভের  ফাঁদে  পা  দেব,  উন্নতির সূচকে নিজেকে  আরও দামি করার চেষ্টা করব । এছাড়া উপায় কী ! কারণ সত্যের পথের মুখে যে, চটকহীন সাইনবোর্ডে রাবীন্দ্রিক ভাষায় লেখা থাকে,  এই  পথে  ধনবান  হওয়া  যায়  না,  বলবানও  নয়, সম্মান পেতেও  পারেন  আবার  নাও পেতে পারেন, তবে অবদমিত হওয়ার পূর্ণ  সম্ভাবনা । তাই  এই পথে কে  আর  কষ্ট পেতে চায় । কে আর বুঝতে  পারে  সত্যের কষ্ট  থেকে  মিথ্যার যন্ত্রণার যে তীব্রতা কোটি কোটি গুণ বেশি । 
 
    মিথ্যার  পথে  যেই ঢুকলেন তখন  দেখবেন  আপনার  চারিদিক থেকে ধ্বনিত  হচ্ছে  'সুস্বাগতম' । এই  দৃশ্যটি  ঠিক প্রথম সিগারেট এবং মদ ধরানো  বন্ধুদের  মতো । রাশি রাশি  ভোগবাদের উপকরণ, চমকদার    পোশাকে  সুগন্ধী   প্রচুর    মানুষ,  অর্থের  পাগল  করা ঝনঝনানি, আরও  কত  বর্ধিত সুখ । আপনার  অনুভূতিতে স্পন্দিত হবে  'ফিল গুড' । আর  যদি আপনি এই পথে না এসে সত্যের পথে হাঁটতে চান, তাহলে বেশ টের পাবেন সব কমতে শুরু করেছে ।  
 
    বন্ধু-বান্ধবদের  সাথে  দূরত্ব  বাড়ছে,  অর্থের ঘাটতি,  একাকিত্ব, চারিদিক থেকে  সন্দেহের  তির, শারীরিক বিপর্যস্ত আরও কত কষ্ট । আপনার অনুভূতিতে স্পন্দিত হতে পারে 'ফিল ব্যাড' ।
   এই তো  সবে  কাহিনির  শুরু । এরপর  আপনি  যত  এগোবেন মিথ্যার  পথে  তত ধনলাভ, জনবল  বৃদ্ধি,  সম্মান বৃদ্ধি প্রভৃতি খুব পরিষ্কারভাবে  ঘটতে  থাকবে । আর  সত্যের  পথে  সবকিছু আরও কমতে  থাকবে । স্বাভাবিকভাবে  ধরে নেওয়া  যায় যে সত্যের পথে আপনার সাথে আপনার বৃদ্ধ পিতা-মাতা, স্ত্রী বা স্বামী এবং সন্তানেরা থাকতে পারেন । তারা  যদি স্বেচ্ছায়  এ পথে এসে থাকেন তবে এই দুর্গম  পথে  আপনি স্বস্তি বোধ করবেন । যদি উল্টো হয়, তবে তারা কিন্তু  আপনাকে ভোগাবে । এ  ব্যাপারে তাদেরও চেতনায় ভ্রম দেখা দিতে পারে । যখন তারা দেখবেন যে তাদের বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজন উল্টো  পথে  হেঁটেও সুখ-সমৃদ্ধিতে  উজ্জ্বল, তখন  তারাও আপনার পথকে  পতনের পথ হিসাবে চিহ্নিত করতে পারেন । তাদের কটূক্তি, নাছোড় মনোভাব আপনাকে বিভ্রান্ত করে দিতে পারে । তখন সত্যের পথে টিকে থাকার জন্য সবচেয়ে কার্যকরী হয়ে উঠতে পারে আপনার তীব্র ইচ্ছাশক্তি আর সেই চিরন্তন শক্তির অহেতুক কৃপা । 
 
    বন্ধু, তাহলে  বারবার  ভেবে  দেখুন  জীবনের কোন পথে আপনি হাঁটবেন । কী  বললেন ?  মিথ্যার  পথ ! একদম নয় ।  এতক্ষণ  যা পড়লেন, সবকিছুই ক্ষণিকের প্রাপ্তি  এবং অপ্রাপ্তি । আসল খেলা তো এখন শুরু হবে, এবার মিথ্যা পথযাত্রীর আবরণ থেকে খুব দ্রুত খসে পড়বে  মিথ্যার  সব  অলঙ্কার । ধন  নাশ  হবে, তাকে  ব্যবহারকারী লোকের  সংখ্যা  হ্রাস  পেতে  থাকবে, সম্মান  হারিয়ে  পেতে থাকবে নির্মম  অসম্মান,  ঘৃণা । অবদমিত শুধু নয়, একেবারে খাদের গভীরে পড়ে  ধ্বংস হবে তার  অসৎ পথের  ধনদৌলত,  সম্মান,  প্রতিপত্তি, স্বাস্থ্য প্রভৃতি । সে খুব  দ্রুত ফুরিয়ে যাবে কৃত্রিম আলোর অন্ধকারে । এরকম তথাকথিত নক্ষত্রপতন আমাদের চারপাশে অনবরত ঘটছে । দৃষ্টি থাকলে দেখা যায় ।   
 
    আর  যিনি সত্যের  পথে  হাঁটছেন, তার  কাছে  সর্বপ্রকার ধন আসতে থাকবে । অজান্তে তাকে অনুসরণ করা প্রকৃত মানুষের দল তার  সাথে  হাঁটতে  থাকবে ।  পথ-সঙ্গীদের   মুগ্ধতা,  শ্রদ্ধা  এবং ভালোবাসায় তার চারিদিকে ছেয়ে  থাকবে শান্তির বাতাবরণ, এমন সম্মান সে  পেতে থাকবে যা  কোনওদিন কল্পনাও করতে পারেনি । এমনকি সে অমরত্ব পেয়ে যেতে পারে । 
 
    পরিশেষে যে  কথাটি আমাদের মননে  ঢেউ তোলে, কেন ভালো মানুষেরা কষ্ট পাচ্ছেন ! গভীর পর্যবেক্ষণ  করলেই এর উত্তর পাওয়া যাবে । বাইরের ভালো আর অন্তরের ভালোর মধ্যে একটা টালমাটাল অবস্থা  এদের মধ্যে  দেখা যায় । তাদের এক পা সত্যে এবং অন্যটি মিথ্যায় । এই  দোদুল্যমান অবস্থায়  তার  বেসামাল ।  তাই  সত্য- পথযাত্রীদের  উচিত  সত্য  পথের  মাঝখান  দিয়ে  হাঁটা,  শিরদাঁড়া টানটান  করে । তখন  তিনি  আর  কোনও  সজীব  বস্তু নন,হয়ে উঠবেন মানুষ ।  
 
    এই সত্য  আমার  অভিজ্ঞতায় সত্য । সত্যের  পথ চিরন্তন  পথ, মানবিকতার পথ ।এই পথে গড়ে উঠেছে প্রকৃত মানুষদের কর্মভূমি । অনন্ত কণ্ঠে আকাশে-বাতাসে ধ্বনিত হোক 'সত্যমেব জয়তে' । 




একশো সন্দীপনী


১। একজন বৈজ্ঞানিক এবং একজন কবির মধ্যে মিল কোথায় বলুন তো , দুজনেই সত্যান্বেষী ।
 
২। আপনি ছিলেন না, আছেন, থাকবেন না । তাই মুহূর্তকে উপভোগ করুন । নিজেকে মেলে দিন নিজের কাছে ।
 
৩। কারোর কাছে জবাব দিতে হবে না। নিজের কাছে জবাব দিন, আপনি সজীব বস্তু নাকি মানুষ।
 
৪। আপনার অন্তরে যে অন্য 'আমি ' আছেন তাঁকে খুঁজুন । তিনি ঈশ্বর , আল্লা , গড ।
 
৫। সম্পর্কের মতলব খুঁজুন । মতলবের সম্পর্ক গড়বেন না ।
 
৬। সমাজে বসবাস করলে সামাজিক হওয়া যায় না । সমাজকে যিনি ভালোবাসেন তিনি সামাজিক ।
 
৭। দেশ থেকে কী পেলাম , কী পেলাম না, এটা বিচার্য নয়। দেশকে কী দিলাম, কী দিলাম না, এটাই বিচার্য হওয়া উচিত ।
 
৮। ভারতবর্ষ মানে শুধু একটি দেশ নয় । চিরন্তন মানবিক দর্শন ।
 
৯। শুধু বহিরঙ্গে সাম্য নয়, অন্তরঙ্গে সাম্য চাই । সেই সাম্য সব বৈষম্য ঘোচাবে ।
 
১০। সমাজকে অসুস্থ করে কোন স্বার্থান্বেষী ভালো থাকতে পারে না । সত্যের কষ্ট থেকে মিথ্যার যন্ত্রণা যে কোটি কোটি গুণ তীব্র ।
 
১১। লাভক্ষতির হিসাব দিয়ে জীবনকে মাপতে যাবেন না । জীবন BALANCE SHEET নয় ।
 
১২। এই দুঃসময়ে যার নিন্দা বেশি হয়, সেই হয়ে ওঠে পপুলার ।
 
১৩। প্রশংসা  করতে না পারলেও নিন্দা করবেন না । নিন্দায় চৈতন্যে ক্ষয়রোগ হয় ।
 
১৪। প্রতিবাদ করুন নিঃস্বার্থ হয়ে । নিজের স্বার্থের জন্য প্রতিবাদী হলে, একদিন আপনার বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ হবে ।
 
১৫। পরিবর্তন সবাই চায় । সেই পরিবর্তন যেন উত্তরণ হয় ।
 
১৬। জীবনটা সমুদ্রের মতো, যা  দেবেন ষোল আনা ফেরত পাবেন ।
 
১৭। হাসি পেলে হাসুন , কান্না পেলে কাঁদুন , রেগে গেলে রাগুন, আনন্দে নাচুন । মুখোশহীন মানুষদের এটাই স্বভাব ।
 
১৮। রাজা উলঙ্গ হলে তাকে উলঙ্গ বলুন । রাজা পোশাক পরবেন ।
 
১৯। একটি পথভ্রষ্ট সমাজ , পথভ্রষ্ট রাজনীতিবিদ , শিক্ষক, চিকিৎসক ইত্যাদি যোগান দেয় । সব দায় কি সমাজের নয় !
 
২০। জীবনের জন্য অর্থ । অর্থের জীবনকে উৎসর্গ করা কি ঠিক !
 
২১। বড় মনের মানুষ শুধু বড় কবি, লেখক, শিল্পী হন না । তিনি বড় মানুষ হয়ে ওঠেন । এটাই পরম প্রাপ্তি ।
 
২২। অন্যের প্রসিদ্ধিতে যদি হিংসা করেন তবে তার দুঃখে দুঃখিত হন, শোকে শোকাহত । তবেই তো হিংসা করা মানায় ।
 
২৩। ভোগবাদ মানুষকে ডাইনোসর বানায় । যুগকে জুরাসিক । 
 
২৪। সন্তানকে কত সম্পদ দিতে পারলেন সেটা কোন বড় ব্যাপার নয়, তাকে সংস্কার দিন । কুপ্রভাব মুক্ত সংস্কার । সংস্কার অমূল্য সম্পদ ।
 
২৫। মানুষের ধর্ম মনুষ্যত্ব । সব ধর্ম সেই শিক্ষা দেয় ।
 
২৬। জ্ঞানীকে সম্মান দিলে জ্ঞানী হবেন , ধনীকে সম্মান দিলে ঠকবেন , গরিবকে সম্মান দিলে ইতিহাস হয়ে যাবেন ।
 
২৭। সম্মান যে পায় সে ভাগ্যবান , কিন্তু সম্মান যিনি দেন তিনি নিশ্চিত ভগবান । ইতিবাচক ভাবনা সম্মান দিতে শেখায় ।
 
২৮। বিষয়-সুখ যদি আপনার নিজস্ব হয়, তবে বিষয়-বিষ নিজের ভিতর রাখুন। সমাজে ছড়িয়ে সমাজ বিষাক্ত করবেন না।
 
২৯। নিচু মনের মানুষেরা কোনও ভালো কাজ করতে পারে না। ভালো মানুষেরা ভালো কাজের উপযুক্ত।
 
৩০। ভালো মানুষকে সবাই বিশ্বাস করে, শ্রদ্ধা করে, এমনকি মন্দ লোকেরাও । কিন্তু মন্দ লোককে মন্দ লোকেরাও ঘৃণা করে ।
 
৩১। যে মন্দ তাকে সবাই চেনে । ওপেন সিক্রেট ।
 
৩২। গঙ্গানদী সবার । ঘটিতে ভরলে আমার ।
 
৩৩। আর কত মুখোশ লাগাবেন, যেদিন মুখোশ খসে পড়বে নিজেকে চিনতে পারবেন তো !
 
৩৪। বিশ্বাস হারানো পাপ । কিন্তু বিশ্বাসঘাতককে বিশ্বাস করা মহাপাপ ।
 
৩৫। নিজের সন্তানকে দুধে-ভাতে রাখতে চেয়ে, অন্যের সন্তানকে গরু বানাবেন না ।
 
৩৬।   অন্যের সন্তানকে যেদিন নিজের সন্তান ভাবতে পারবেন, সে'দিন আপনার সন্তান মানুষ হবে । আপনি পিতৃদেব ভবঃ ।
 
৩৭। শিক্ষকতা শুধু বৃত্তি নয় , আচার্যদেব হয়ে ওঠার সাধনা ।
 
৩৮। অশিক্ষিতের চেয়ে অর্ধ -শিক্ষিত , কু -শিক্ষিতরা সমাজে অনেক বেশি ক্ষতিকর ।
 
৩৯। নিরক্ষরতা ব্যক্তির অপমান নয়, সমগ্র সমাজ ব্যবস্থার অপমান ।
 
৪০। শিশু-শ্রমিক সমস্যা বিজ্ঞাপনে দূর হয় না। বিজ্ঞবোধে এই সমস্যার সমাধান ।
 
৪১। মানবিকের বিপরীত অমানবিক হারিয়ে পারমাণবিক হয়ে উঠেছে । মানববোমা এই বোধের ফসল ।
 
৪২। কুসন্তান কখনও সুপিতা বা সুমাতা হতে পারে না ।
 
৪৩। বৃদ্ধরা সমাজের সম্পদ । বৃদ্ধাবাসে না রেখে তাঁদের নিজের ঘরে রাখুন । বাড়ি গৃহ হয়ে উঠবে ।
 
৪৪। একান্নবর্তী পরিবার ভেঙে অণু পরিবার রমরমা। পরমাণু পরিবার শুরু হয়েছে। আধুনিক মানুষ হয়ে উঠছে      'একমেবানাত্মীয়' ।
 
৪৫। ধর্ম মানুষকে মানব করে তোলে । কিন্তু ধর্ম-ব্যবসায়ীরা  মানুষকে সাম্প্রদায়িক করে দেয় ।
 
৪৬। অন্যের হৃদয়ে বিশ্বাস নষ্ট করে আবার সেই বিশ্বাস ফেরানো শৈশব ফেরানোর মতো অসম্ভব ।
 
৪৭। মায়ের চেয়ে যে বেশি ভালোবাসে, সে ডাইনি । পিতার চেয়ে যে বেশি শুভাকাঙ্ক্ষী, সে ডাইনোসর।
 
৪৮। আকাশের দিকে তাকান , আকাশ আপনার দিকে তাকিয়ে থাকবে । নদীর কাছে কান পাতুন , নদী আপনার সাথে কথা বলবে । মানুষকে প্রকৃত ভালবাসুন , মানুষ আপনাকে ঠিক ভালবাসবে ।
 
৪৯। যিনি নাট্যচর্চা করেন তিনি লোক শিক্ষক । ইতিহাসের বুকে তাঁদের আসন চিরস্থির ।
 
৫০। যিনি প্রকৃত মানুষ গড়েন , মানুষ তাকে ঈশ্বর মানেন ।
 
৫১। ভালোকে আবিষ্কার করতে দীর্ঘ সময় লাগে । জুহুরী যে অপ্রতুল ।
 
৫২। অযথা এদিক - ওদিক না ঘুরে জুহুরীর কাছে যান । তখন বুঝতে পারবেন আপনি কাঁচ নাকি হীরা ।
 
৫৩। সম্পাদকের সাধনা সর্বেসর্বা হয়ে ওঠা নয়, সবার প্রিয় হয়ে ওঠা ।
 
৫৪। সাংবাদিকের ধর্ম সত্যের পক্ষে জনমত তৈরি করা । বিশুদ্ধ মানবিকতা ।
 
৫৫। মনুষ্যের পাশবিক সত্তার বলি যেখানে ধর্ম , সেখানে নিরীহ পশুর হত্যা কি অধর্ম নয় !
 
৫৬। কালো মেয়েকে যিনি বধূ বা পুত্রবধূ রূপে গ্রহণ করতে পারেন, কালীপূজায় তিনি সিদ্ধিলাভ করেন ।
 
৫৭। একটি গাছ যে উপকার করে , লাখো মানুষ মিলে সেই উপকার করতে পারে না । মানুষের থেকে বৃক্ষ বেশি আপনজন ।
 
৫৮। পিতার বন্ধু পিতৃসম , মাতার বন্ধু মাতৃসম , নিজের বন্ধু আত্মসম । সৌহার্দ্যের মধ্যে আছে সমগ্রতা ।
 
৫৯। একটি জাতি গড়ে ওঠে জাত্যভিমানে । তখন ধ্বনিত হয় এক জাতি , এক দেশ , এক প্রাণ ।
 
৬০। ধর্মহীন ধর্মীয় বাতাবরণে কর্মহীন কামুক মানুষের ভিড়ে ঈশ্বর থাকতে পারেন না ।   তাঁর সিংহাসন  আমাদের অন্তরে ।
 
৬১। এই দুনিয়ায় প্রকৃত নাস্তিক নেই । প্রত্যেকের মধ্যে সুপ্ত আস্তিকতা প্রকট । প্রকৃত নাস্তিক ঈশ্বরের সমতুল্য ।
 
৬২। প্রকৃত ঈশ্বর বিশ্বাস মানুষকে শুদ্ধ করে তোলে । সেই বিশুদ্ধ মানুষ সর্বত্র ঈশ্বরকে দেখতে পান ।
 
৬৩। বর্তমান সময়ে ডিগ্রি ধারীর পূজা চলছে । ডিগ্রি তো তাপমাত্রার পরিচয় । আলোর উৎস প্রকৃত বিদ্বান মানুষেরা ।
 
৬৪। বুদ্ধিজীবী নয় , প্রকৃত বুদ্ধিমান মানুষের বড় প্রয়োজন ।
 
৬৫। বই পড়লে জ্ঞান হয় । সেই জ্ঞান আত্মশুদ্ধি ঘটায় । আত্মশুদ্ধি মহৎ কর্মে প্রেরণা যোগায় । গ্রন্থ না পড়লে মহৎ কর্ম করা খুব কঠিন ।
 
৬৬। লিটল ম্যাগাজিনের কোন সংখ্যা সাধারণ নয়। সব সংখ্যাই বিশেষ পুনর্জন্ম সংখ্যা ।
 
৬৭। প্রকৃত শিল্পী আত্মা দ্বারা আত্মাকে আত্মাতে দেখে আত্মমুক্তির পথ খুঁজে পান ।
 
 ৬৮। যে কবি যৌনতাকে শারীরিক প্রভাব কাটিয়ে আত্মিক বা নৈসর্গিক করে তুলতে পারেন, তিনি হবেন যৌনতা বিষয়ক কবিতা রচনার অধিকারী ।
 
৬৯। আজও ভারতীয় নারীরা সহস্রাব্দ অতিক্রান্ত ভারতীয় সংস্কৃতির গুপ্তধনে সিদ্ধ । তাই তাঁদের সাহিত্য- সংস্কৃতিতে মানবিক বোধের পরিচয় স্পষ্ট ।
 
৭০। শ্রোতার নজর গায়ক , গায়কের নজর তবলাবাদক , এই নজরে সব রহস্য লুকিয়ে আছে ।
 
৭১। হাজার কবিতা - লেখকদের চেয়ে একজন নিবিষ্ট পাঠক কবিতার জগতে অনেক বেশি অক্সিজেন যোগান । প্রকৃত কবিতা-প্রেমী কবিতা এবং কবির শ্রেষ্ঠ সম্পদ ।
 
৭২। সাধারণ মানুষ যখন কাঁদেন, ঈশ্বর স্থির। কবি যখন কাঁদেন, ঈশ্বর প্রলয় ডেকে আনেন।
 
৭৩। যখন কৃষক কাস্তে ছেড়ে অস্ত্র ধরে , শ্রমিক হাতুড়ি ছেড়ে বোম । তখন বুঝতে হবে সমাজে বৈষম্য চরম ।
 
৭৪। সব মতবাদ মহান । যতক্ষণ মতবাদী মতলবি না হয়ে ওঠেন ।
 
৭৫। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন মতাবলম্বীদের মধ্যে মিল কোথায় বলুন তো ! এরা ধৃতরাষ্ট্রের যমজ সন্তান ।
 
৭৬। রক্তক্ষয়ী কোনও বিপ্লব সমাজে আমূল পরিবর্তন আনতে পারে নি । একমাত্র চেতনায় বিপ্লব সমাজে আমূল পরিবর্তন আনতে পারে।
 
৭৭। রাজনীতির অর্থ বদলে যাচ্ছে। প্রাচীনযুগে নীতির রাজা রাজনীতি, মধ্যযুগে রাজার নীতি রাজনীতি, বর্তমানে রাজ করার নীতি রাজনীতি। 
 
৭৮। নেতাদের ক্ষমতা দখলের পিছনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাধারণ মানুষ, বিশেষভাবে গরিব মানুষ ।
 
৭৯। রাজতন্ত্র, স্বৈরতন্ত্র , ধনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র প্রভৃতি তন্ত্র থেকে তামসিক তান্ত্রিকদের সৃষ্টি হয়, সেই তান্ত্রিকরা খড়গ হাতে নরবলিতে সিদ্ধ হয়ে ওঠে।
 
৮০। কবিতার শহর কলকাতা। কবিদের দেশ নদীয়া ।
 
৮১। মান আর হুঁশ যার মধ্যে থাকে, তিনি মানুষ। এখন মানি ( অর্থ ) এবং হুঁশিয়ারি যার বেশি থাকে, সেই ক্ষমতাবান মানুষ।
 
৮২। যে নিজের বা অপরের দেহ হত্যা করে তাকে দেহ - হত্যাকারী বলা যায় । কিন্তু যে নিজের বা অপরের বিবেক , মনুষ্যত্ব , মূল্যবোধ , সততাকে হত্যা করে তাকেই আত্ম -হত্যাকারী বলা উচিত । এই হত্যাই আত্মহত্যা ।
 
৮৩। 'নিরপেক্ষ ' শব্দের ব্যঞ্জনা ও কার্যকারিতা প্রায় লুপ্ত । তাই সত্যের পক্ষে সরব হন এবং নিজেকে গড়ে তুলুন ।
 
৮৪। শিশুর মধ্যে ভগবান আছেন। কারণ শিশুরা ভগবানকে নিজের মনে করে। সংকোচহীন ভাগ্যবান মানুষ ভগবানের সান্নিধ্য লাভ করেন।
 
৮৫। দেশবাসীর অর্থ নিয়ে যারা দেশের কাজ করেন , তাদের কোন ইউনিয়ন থাকা উচিত নয় । যে সব ইউনিয়ন আছে সেগুলি দেশের কোনও উপকার করে না বরং দেশবাসীদের শোষণ করে ।
 
৮৬। অনেকে বলেন, ভারতবর্ষের গণতন্ত্র অশিক্ষার কারণে কার্যকারী হয়ে উঠতে পারছে না । কিন্তু ভোট ব্যবস্থায় শিক্ষিত লোকেরাই তো দলীয় প্রার্থী নির্বাচন করেন । তারা কেন সৎ , দেশভক্ত , মূল্যবোধ সম্পন্ন মানবিক প্রার্থী নির্বাচন করছেন না !
 
৮৭। অফুরন্ত মদ্যপান প্রমাণ করে এক শ্রেণির মানুষের হাতে প্রচুর অর্থ থাকলেও শান্তি নেই ।
 
৮৮। বর্তমান সময়ে মদ্যপান মহামারির আকার নিয়েছে । মাদকাসক্ত পিতা-মাতার অ্যালকোহলিক সন্তানে বিশ্ব পূর্ণ হতে আর দেরি নেই !
 
৮৯। ধূমপান করুন, একদম ছাড়বেন না । একদিন ও-ই গুডবাই জানাবে!
 
৯০। আপনি যদি সুন্দর হয়ে ওঠেন , তাহলে আপনার পরিবার সুন্দর হবে , সমাজ সুন্দর হবে , রাষ্ট্র সুন্দর হবে , সমগ্র বিশ্ব সুন্দর হয়ে উঠবে । তাই নিজে সুন্দর হয়ে উঠুন ।
 
৯১। মিছিলে যদি নেতাকে চেনা যায় , তবে সেই মিছিল শক্তি হারায় ।
 
৯২। বছরে কমপক্ষে সাতদিন গৃহত্যাগ করুন । মন সজীব হয়ে উঠবে ।
 
৯৩। দান করলে অর্থ কমে , মান বাড়ে । মানি থেকে মান অনেক দামি ।
 
৯৪। ভাগ্যের সহায় যদি কিছু পান, সেটি সযত্নে লুকিয়ে রাখুন। কর্মের সহায় যদি কিছু পান, তবে উদার মনে বিলিয়ে যান। আরও বেশি ফেরত পাবেন ।
 
৯৫। শিল্পী যদি মার্কেট ধরেন, মার্কেট তাকে ছাড়বে না। শিল্প উধাও।
 
৯৬। কেউ যদি আপনার দিকে তাকিয়ে না হাসে , তাহলে একা একা হাসুন । প্রকৃতি আপনার সাথে হাসবে ।
 
৯৭। আমার জিনিস দান করা যায় কিন্তু আমাদের জিনিস অর্জন করতে হয় ।
 
৯৮। মহাকালের বিচারে সেই লেখা উত্তীর্ণ হয় , যার মধ্যে উত্তরণ আছে । উত্তরণের পথ তিনি দেখাতে পারেন , যিনি সেই পথে হাঁটছেন । বৃহৎ এবং শক্তিশালী মনের মানুষ না হলে কোনও লেখক কী সেই পথ পাড়ি দিতে পারেন !
 
৯৯। একদিন সেই সূর্য উঠবে । যার চৈতন্যময় আলোকে চারিদিক আলোকিত হবে । আমরা সেই আলোর প্রত্যাশী ।
 
১০০। স্বপ্ন দেখুন , স্বপ্নহীন মানুষ জীবিত নয় ।

আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত কাম্য ।
সন্দীপ গোস্বামী, বনচারী বাগান, নবদ্বীপ, নদীয়া, ভারত, পিন- ৭৪১৩০২
            


__._,_.___

Posted by: Sandip Goswami <sandipgoswami@yahoo.in>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] পূঁজোয় বিজেপিকে বিএনপির নিমন্ত্রণ !



 

পূঁজোয় বিজেপিকে বিএনপি  নিমন্ত্রণ  !

27 Aug, 2014

দুই মাস আগে বিজেপি সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ যখন বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন সেই সময় বৈঠক করে ভারতের নতুন সরকারের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার যে আভাস দিয়েছিলেন তারই প্রতিফলন হিসেবে আগামী দূর্গাপূঁঁজায় বিজেপি সরকারের একটি প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশ সফর করার নিমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

২১ আগস্ট নেত্রীর হয়ে দুজন বিএনপি নেতা দিল্লি বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাম মধাব এর সাথে দেখা করে বিজেপি প্রতিনিধি দলকে দূর্গাপূঁঁজা উপভোগ করার জন্য বাংলাদেশ আসার আমন্ত্রণ জানান। ধারণা করা হচ্ছে পূঁঁজার নিমন্ত্রণ জানিয়ে বিএনপি তাদের কঠোর ভারত বিরোধী মনোভাব নিয়ে যে গুঞ্জন রয়েছে তা মিথ্যা প্রমাণিত করে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করতে চায়। খালেদা জিয়ার নিমন্ত্রণের চিঠিটি প্রতিনিধি মারফত বিজেপির কেন্দ্রীয় সভাপতি অমিত শাহের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। খালেদা তার চিঠিতে লিখেছেন, আমাদের দল উভয় দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে বিশ্বাসী। উভয় দেশের স্বার্থ রক্ষা ও সম্মান প্রদর্শন করে আমাদের দল এমন একটি সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায় যেটি উভয় দেশের জনগণের জন্য কল্যাণকর হবে। উভয় দলের শক্তিশালী ও টেকসই সম্পর্ক বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে। এই ধরনের সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য আমার দল আপনার দলের সাথে কাজ করতে আগ্রহী।   

http://www.bdmonitor.net/newsdetail/detail/41/88969












__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] 'অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে দেশ ছেড়েই চলে যাবো' : এরশাদ



Related:
একাত্তরের ২৫-২৬ মার্চ মধ্যরাত্রিতে যখন পাকিস্তানী সৈন্যরা পাশবিক হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়, তখন এরশাদ রংপুরে ছুটি ভোগরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে যোগদান না করে এপ্রিলের প্রথম দিকে তিনি পশ্চিম পাকিস্তানে পাড়ি জমান এবং সপ্তম ইস্ট বেঙ্গলের অধিনায়ক হিসেবে পুনরায় যোগদান করেন। 

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে অসুস্থ পিতাকে দেখার জন্য তিনি সেপ্টেম্বরে রংপুরে এসেছিলেন। এবারেও তিনি মুক্তিযুদ্ধে যোগ না দিয়ে পাকিস্তানে ফিরে যান। 

৭২ সালে পাকিস্তানে আটকে পড়া বাঙালী অফিসার ও সৈন্যদের দেশদ্রোহিতার অভিযোগে বিচার শুরু হলে লে. কর্নেল এরশাদকে উল্লেখিত ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয়। 
সুতরাং এইসব কারণে স্বাধীন বাংলাদেশে তার চাকরি থাকার কথা নয়। তবুও তাকে সেনাবাহিনীতে স্থান দেয়া হয় এবং এই বিপজ্জনক ব্যক্তির সেনাবাহিনীতে বহাল থাকার পরিণতি সবার জানা।

প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ২১:৪৬:২০
'অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে দেশ ছেড়েই চলে যাবো'
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় সেনাবাহিনীতে থাকাকালে আমি নাকি পাকিস্তান থেকে ছুটিতে বাংলাদেশে এসেছি এবং কোনো এক কল্পিত আদালতের বিচারক ছিলাম। আমি এই ধরনের জঘন্য মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, আমি অত্যন্ত বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করছি যে, কিছু কিছু মহল আমার বিরুদ্ধে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আমার ভূমিকা নিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট এবং কল্পনাপ্রসূত তথ্য প্রচার করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে।

বিবৃতিতে তিনি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন, বর্ণিত এই বানোয়াট তথ্যের যদি কেউ প্রমাণ দিতে পারে- তাহলে আমি রাজনীতি থেকে চির বিদায় নেব, এমনকি দেশ ছেড়েই চলে যাবো। আর যারা এ ধরনের মিথ্যাচার করছেন, তারা প্রমাণ দিতে না পারলে জাতির সামনে তাদের ক্ষমা চাইতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এরশাদ এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা আমার বুকের লালিত স্বপ্ন। দুর্ভাগ্য, সেই স্বাধীনতা যুদ্ধে আমি অংশগ্রহণ করতে পারিনি। কারণ, যুদ্ধ শুরুর মাত্র এক মাস আগে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে আমাকে পোস্টিং দেওয়া হয়েছিল। যদি দেশে থাকতাম তাহলে জীবনবাজী রেখেই স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করতাম।

তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এবং স্বাধীনতার পরে পাকিস্তানের বন্দি শিবিরে স্ত্রীসহ আমি এবং বাঙালী সৈনিক ও অফিসারগণ অববর্ণনীয় নির্যাতন ও দুর্দশা সহ্য করে বেঁচে ছিলাম।

এরপর বঙ্গবন্ধুর কূটনৈতিক সাফল্যে আমরা দেশে ফিরতে পেরেছি। দেশে ফেরার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই আমাকে পদোন্নতি প্রদান করে আর্মি হেড কোয়ার্টারে এডজুটেন্ড জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। তিনিই আমাকে প্রথমবারের মতো এনডিসি কোর্স করাতে ভারতে পাঠিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু আমাকে জানতেন এবং বুঝতেন বলেই তার কাছ থেকে আমি এই পুরস্কার পেয়েছি। পরবর্তীকালে আমি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব পেয়েছি।




- See more at: http://www.alokitobangladesh.com/latest-news/2014/09/25/98448#sthash.RSQTgG9H.dpuf




__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] Re: Please Read



মন্তব্য  নিষ্প্রয়োজন । আপনার লেখাটি চমতকার ।  আপনার লেখাটির তথ্য উপাত্য চমতকার ।

2014-09-25 7:35 GMT+06:00 Sitangshu Guha <guhasb@gmail.com>:

Bhorer Kagoj, 24th Sept 2014: http://www.bkagoj1.com/new/blog/2014/09/24/198113.php

মৌলবাদ, দুই বাংলা এবং একজন মুখ্যমন্ত্রী 

 

বেশিদিনের কথা নয়, সাবেক মার্কিন বিদেশমন্ত্রী মিসেস হিলারি ক্লিন্টন অনেকটা দিল্লিকে পাশ কাটিয়ে মমতা ব্যানার্জীর সাথে কলকাতায় বৈঠক করেছিলেন। এরপর থেকে তৃণমূলের সাথে মার্কিন সম্পর্কটা ভালো। ওই বৈঠকে সম্ভবত: মমতা রাজি ' শেখ হাসিনার সরকারকে হার্ড-টাইম দিতে। তাই তিস্তা চুক্তি হয়নি। শেখ হাসিনা-বেনজির ভুট্টো-মমতা ব্যানার্জী একসময় বান্ধবী ছিলেন, মমতার ইসলামী মৌলবাদের সাথে সখ্যতা বন্ধুত্বকে ম্লান করে দেয় এবং তিনি শেখ হাসিনাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখান। শেখ হাসিনার অপরাধ তিনি মার্কিন ভাষ্যমতে 'কিছুটা বাম' এবং কথা শুনেননা। 'মৌ' চুক্তি বা হেফাজতের সাথে গোপন আঁতাতও তাকে 

বঙ্গবন্ধু আমলের রাশিয়া ঘেষা পলিসি গন্ধ থেকে মুক্তি দেয়নি। যুদ্বাপরাধীদের একজনের ফাঁসি দিয়ে তিনি একটু ধমক দিয়েছেন, কিন্তু /৭জনের বিচারকাজ সম্পন্ন করেও রায় কার্যকর না-করে অথবা সাইদীর মৃত্যুদন্ড রহিতের মধ্যমে তিনি যুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিমাদের ইঙ্গিত করছেন যে, তিনি বায়ে যেতে চাননা, যদিনা বাধ্য হন। একইসাথে রাশিয়া থেকে ১বিলিয়ন ডলারের অস্ত্রক্রয় চুক্তি করে তিনি মুরুব্বিদের বুঝিয়েছেন, প্রয়োজনে তিনি বায়ে যাবেন। যদিও কাদের মোল্লার ফাঁসিটা প্রয়োজন ছিলো দেশ-দল-গণজাগরণ মঞ্চ বা জামাত বিরোধীদের কিছুটা ঠান্ডা রাখার জন্যে। শেখ হাসিনা এক্ষেত্রে শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর পদাঙ্ক অনুসরন করছেন এবং প্রমান করছেন, রাজনীতিক হিসাবে এখন তিনি অনেক দক্ষ। ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনটা আরো গ্রহনযোগ্য হলে তার হাতটা অধিকতর শক্তিশালী হতে পারতো। এটা শেখ হাসিনার চাইতে আর কেউ ভালো বোঝেনা। তাই বিএনপি' আন্দোলন হোক বা নাহোক দল-দেশ বা শেখ হাসিনার নিজের প্রয়োজনেই দেশে আগাম নির্বাচন হবে, তবে কবে- কখন, তা কেবল তিনিই জানেন।

 

একইভাবে বলা যায়, তিস্তা চুক্তিও হবে। এমাসের শেষে হাসিনা-মোদী বৈঠকের পর এই জট খুলতে শুরু করবে। হাসিনা-মোদী আনুষ্ঠানিক বৈঠক হবেই এমন সংবাদ এখনো চোখে পড়েনি; তবে সাইড লাইনে কথাবার্তা হবে তা স্পষ্ট। বৈঠক বা কথাবার্তা যাই হোক, তাতে তিস্তা আসবে, সুতরাং মমতাও আসবেন। মমতা ফেঁসে যাচ্ছেন। তার উপায় থাকবে না এবার রাজি না হয়ে। কারণ মোদী এন্টি-মমতা। আগামী দিনগুলোতে সারদা কেলেঙ্কারী যতই ফাঁস হবে ততই মমতার সাথে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ বা এমনকি ইউরোপ-আমেরিকার ইসলামী মৌলবাদীদের সু-সম্পর্ক প্রকাশ পাবে এবং মমতা কোনঠাসা হবেন। ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু সংহতির নেতা তপন ঘোষ দাবি করেছেন মমতার রাজ্যসভার সদস্য জামাতী রোকন ইমরানকে গ্রেফতার করার। মমতা পশ্চিমবঙ্গের ইসলামী মৌলবাদীদের খুশি রাখতে তিস্তা চুক্তি হতে দেয়নি, বা বাংলাদেশের সাথে সীমান্ত সমস্যা সমাধানে আগ্রহ দেখায়নি। একই কারণে তিনি তসলিমা নাসরিনকেও কলকাতা ছাড়া করেছেন। এখন সময় এসেছে, 'শুধিতে হইবে ঋণ।' অন্যদিকে ক্ষমতায় থাকতে কংগ্রেস শেখ হাসিনাকে চাইলেও কখনই আগবাড়িয়ে সমর্থন দেয়নি বা বাড়তি কিছু করেনি। খালেদা জিয়া ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর সাথে দেখা করলে বাংলাদেশের রাজনীতি অন্যরকম হতে পারতো। কেউ হয়তো ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচনের কথা বলতে পারেন। ঠিক, কংগ্রেস তখন সবকিছুই করেছে, তবে সেটা যতনা শেখ হাসিনার কারণে তারচেয়েও বেশি খালেদা জিয়ার মারাত্মক ভুলের জন্যে- মোদীর কাছে যাহা শেখ হাসিনা, তাহাই বেগম খালেদা জিয়া। তবে যেহেতু শেখ হাসিনা ক্ষমতায়, তাই তিনি সুবিধাজনক অবস্থানে এবং মোদী প্রতিবেশীদের সাথে সু-সম্পর্ক প্রতিষ্টায় অন্তত: 'স্ট্যাটাসকো' বজায় রাখবেন। এসময়ে 'স্ট্যাটাসকো' হচ্ছে, সাউথ ব্লক শেখ হাসিনার পক্ষে। কংগ্রেসের ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশের জন্যে অনেক কিছু করেছেন, তার অবদান অপরিসীম। বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করে আনতেও তিনি অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। বঙ্গবন্ধুর দেশে ফিরে আসা এবং ক্ষমতা সুসংহত করা পর্যন্ত ইন্দিরা গান্ধীর সাথে বাংলাদেশের অত্যন্ত হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক বজায় ছিলো। বঙ্গবন্ধু যতই ক্ষমতায় সু-প্রতিষ্টিত হন ততই মুজিব-ইন্দিরা সম্পর্ক 'শীতল' হয়। এরকারণ অন্যকিছু নয়, গ্রামের মাতব্বর তার সমকক্ষ কাউকে পছন্দ করেন না। ভারতও মুজিবের মত শক্তিশালী নেতা চায়নি। বরং জিয়া-খালেদা-এরশাদের মত কিছুটা 'নতজানু' নেত্রিত্ব চেয়েছে। এবং এটাই স্বাভাবিক। যেমন, আওয়ামী লীগ বা বিএনপি-তে শেখ হাসিনা বা বেগম জিয়া তাদের সমকক্ষ কোন নেতা চাইবেন না; কেউ উঠতে চাইলে, তাকে যথেষ্ট ঝানু হতে হবে এবং বেগ পেতে হবে। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কটা দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে বুঝতে সুবিধা হবে। যদিও বিশ্ব-রাজনীতিতে নেতা-নেত্রীর দক্ষতা  কৌসুলি রাজনীতি বিরাট ভুমিকা রাখতে পারে। একটি ছোট দেশও পারে উন্নতদের সমান তালে এগিয়ে যেতে। এমুহুর্তে শেখ হাসিনা তাই চেষ্টা করছেন। কিন্তু রাজনীতি না থাকলে সেটা সম্ভব হয়না। তাহলে দেশে রাজনীতি নাই?

 

আমাদের দেশে রাজনীতি বা গণতন্ত্র থাকুক বা না থাকুক, মোদী জেতার পর বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে বস্তুগত পরিবর্তন আসছে বলে মনে হচ্ছে। কলকাতার মিডিয়া এখন তৃনমূল বাংলাদেশী জামাতের মধ্যেকার সম্পর্ক নিয়ে টানাহেচড়া করছে। মমতার রাজ্য সরকারে পশ্চিমবঙ্গের কট্টর ইসলামী মৌলবাদীদের ভুমিকা এতে কিছুটা বেরিয়ে আসছে। পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিলো তা সবারই জানা। ভারতের মুসলমানদের জন্যেও একই কথা প্রযোজ্য। পাকিস্তান ভাঙ্গুক এরা চায়নি। এরা পাকিস্তানে বসবাস করবেনা কিন্তু শক্তিশালী ইসলামী পাকিস্তান চায় নিজেদের নিরাপত্তার খাতিরে। বাংলাদেশের হিন্দুদের জন্যেও একই থিওরী, তারাও শক্তিশালী ভারত চায় নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে। হিন্দু ভারত হলে তাতে হয়তো লাভ বেশি, তাই বিজেপি জেতায় হিন্দুরা খুশি। পুরো বিষয়টাই মনস্তাতিক, সত্যমিথ্যা বা লাভক্ষতি বিশ্লেষনের দরকার নেই।  এখন চার দশক পরেও দেখা যায়, পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানরা বাংলাদেশ বিরোধী, আওয়ামী লীগ বিরোধী এবং তাই এন্টি শেখ হাসিনা, প্রো-বিএনপি বা প্রো-মৌলবাদ। এতে আদর্শ বা ইসলাম-পছন্দের কোন কারণ নেই, মূল কারণ মৌলবাদীরা প্রো-পাকিস্তানী। আবার হিন্দুরা যারা বাংলাদেশ ছেড়ে ভারত গেছেন, কারণ ভিন্ন হলেও তারাও বাংলাদেশের বিপক্ষে কিন্তু প্রো-পাকিস্তান বা প্রো-বিএনপি নন। দেশের হিন্দুদের মত এরাও মন্দের ভালো আওয়ামী সমর্থক। লেখাটা বাংলাদেশের হিন্দুদের নিয়ে নয়, বরং পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানদের নিয়ে, যাদের ৮০% অবাঙ্গালী। পশ্চিমবঙ্গের ইসলামী মৌলবাদ এবং বাংলাদেশের মৌলবাদীদের মধ্যে সখ্যতা দীর্ঘদিনের। পশ্চিমবঙ্গের মৌলবাদীরা অনেকেই বাংলাদেশে এসে, বাংলাদেশী সেজে ইরাক, আফগানিস্তান বা ইসলামী স্টেট- যোগ দিয়েছেন বা দিতে চাচ্ছেন। সর্বশেষ দৃষ্টান্ত হলো, কলকাতায় যে ৪জন ইসলামী স্টেট- যোগদানেচ্ছু ধরা পড়েছে, তাদের মধ্যে দু'জন বাংলাদেশ হয়ে যাওয়ার কথা ছিলো। অর্থাৎ ভায়া বাংলাদেশ হচ্ছে একটি সহজ রুট। বিশ্বব্যাপী মুসলমানরা ভাই-ভাই কিনা জানিনা, কিন্তু গ্লোবাল মৌলবাদীরা ভ্রাতৃপ্রতিম তা বলাবাহুল্য, সেটা বাংলাদেশ, পশ্চিমবংগ, ইরাক, ইসলামিক স্টেট বা সর্বত্র। পশ্চিমবংগ বাংলাদেশী মৌলবাদীদের মধ্যে বিদ্যমান যোগাযোগ  সু- সম্পর্কটা মমতা নিজের অজান্তে প্রকাশ করে দিয়েছেন, এজন্যে তাকে ধন্যবাদ। স্বাধীনতার পর থেকেই এই যোগাযোগ ছিলো, ধীরে ধীরে তা জোরদার হয়। সিপিএম বা জ্যোতি বসুরা ভোটের স্বার্থে তোয়াজ করলেও ইসলামী মৌলবাদীদের মাথায় তুলেননি। মমতা তাই করেছেন। রাজনীতি থেকে মমতার বিদায়-ঘন্টা বেজে গেছে। ২০১৬-তে নির্বাচনে তার বিদায়ের পালা। ভারতের রাজনীতিতেও তিনি এখন অস্তগত সূর্য। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মমতাকে নিয়ে আমাদের কোন মাথাব্যথা থাকার কথা নয়। নেইও। কিন্তু মৌলবাদ তোষণের ভুল নীতি মমতাকে ডুবিয়ে দিয়েছে। আমরা নই, পশ্চিমবঙ্গের জনগনই মমতাকে আরো ডুবিয়ে দেবে। প্রকৃতির একটি নিয়ম আছে, বীরভোজ্ঞা বসুন্ধরা কিছু সময়ের জন্যে অতি-প্রাকৃত দানবীয় কিছু মেনে নিলেও শেষমেষ তা ছুড়ে ফেলে; মৌলবাদ এর সমর্থকদের বিদায় প্রাকৃতিক নিয়মেই সমাসন্ন। সেটা বাংলাদেশ, পশ্চিমবংঙ্গ বা সারা দুনিয়ার জন্যেই প্রযোজ্য।

 

সর্বশেষ সাইদীর বিচারের রায় দুই বাংলায় মৌলবাদীদের কিছু সময়ের জন্যে স্বস্তি দিলেও বা প্রগতিশীল শক্তিকে রাগান্বিত করলেও হতাশ হবার কিছু নেই। যারা বলছেন, সরকার জামাতের সাথে আপোষ করছেন, সেটাও পুরোপুরি সত্য নয়। যারা এই রায়ে অখুশি তারাও খুব একটা এগুতে পারবেন না, কারণ একই আদালত কাদের মোল্লার শাস্তি বাড়িয়েছিল এবং এবার সাইদীর শাস্তি কমিয়েছে-একটি গ্রহণ করবেন, আরেকটি করবেন না তা হয়না। কথা হচ্ছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারটি হচ্ছে এবং তা চলতে থাকুক। যতক্ষণ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে ততক্ষণ সরকার আপোষ করছেন তা বলা যাবেনা। তবে সরকার খেলছেন তা বলা যায়। আমাদের দেশে যাবজ্জীবন রায় নিয়ে মানুষের আশঙ্কাটা হলো, সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে এরা না ছাড়া পেয়ে যায়! এবং এমন ঘটনা তো অসংখ্য, যেমন শফিউল আলম প্রধান। তাই এমন একটি ব্যবস্থা থাকা দরকার, যাতে রাষ্ট্রপতিও যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমা করতে না পারেন! জিয়ার আমলে সব  যুদ্ধাপরাধী খালাসের ঘটনা মানুষ ভুলেনি। সাইদীর রায়ে মানুষ খুশি নয়, সরকার তা বোঝে কিন্তু এতে সরকারের 'শ্যাম কুল' দু'টোই রক্ষা হয়েছে। এরায়ে অনেকে রাজনীতি খুজবেন, রাজনীতি হয়তো আছে, হয়তো নাই, কিন্তু সবচেয়ে বেশি আছে মুরুব্বীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা। ভোটের হিসাব-নিকাশ ভুলে গেলে চলবে না, দেশের ৪৬% মানুষ একসময়  যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে রায় দিয়েছিলো, ৩৪% বিপক্ষে। সংখ্যাগরিস্ট মানুষের মতামতের ভিত্তিতে এবং নির্বাচনী অঙ্গীকারের দায়বদ্ধতা থেকে সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছে, কিন্তু সন্খ্যালঘিস্টের কথা বেমালুম ভুলে থাকলে চলবেনা। যেমন সদ্য স্কটল্যান্ড ভোটাভুটিতে ৫৫% মানুষ স্বাধীনতার বিপক্ষে এবং ৪৫% পক্ষে ভোট দিয়েছেন। ভোটের ফলে স্কটল্যান্ড আপাতত: বৃটেনের সাথেই থাকছে। কিন্তু ৪৫% বিপক্ষ ভোট যে আগামী দিনে বাড়বে না তার গ্যারান্টি কোথায়? বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামারুন ভোটের ফলাফলে খুশি হলেও সতর্কতার সাথে বলেছেন, স্কটল্যান্ডের প্রতি আরো সুনজর দেয়া হবে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষের ভোট যে এতদিনে কমেনি বা বিপক্ষের ভোট বেড়ে যায়নি তা কি কেউ গ্যারান্টি দিতে পারবেন? /১১-তে টুইন টাওয়ার ধ্বংসের পর এখন সেখানে ফ্রীডম টাওয়ার উঠেছে। বন্ধু বর্ণমালা সম্পাদক মাহফুজুর রহমান ওই টাওয়ারের ছবি দিয়ে ফেইসবুকে লিখেছেন, মৌলবাদের প্রতিবাদ হিসাবে দাড়িয়ে রয়েছে ফ্রিডম টাওয়ার; সারা বিশ্বের মানুষ যখন মৌলবাদের বিরুদ্বে এইভাবে প্রতিবাদী হয়ে উঠবে সেদিন শান্তি আসবে। এটাই সত্য, আপোষ নয়, মৌলবাদকে রুখতে প্রতিবাদী হতে হয়, প্রতিরোধ করতে হয়।দুই বাংলার মানুষ যত তাড়াতাড়ি এটা বোঝে ততই মঙ্গল

 

শিতাংশু গুহ, কলাম লেখক

২১শে সেপ্টেম্বর ২০১৪

 







__._,_.___

Posted by: Ruhul Amin <rachowdhury2014@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___