Banner Advertiser

Friday, February 1, 2013

[mukto-mona] Nizami speech on March 5, 1971





-
 
Subject: [mukto-mona] Nizami speech on March 5, 1971
 
These are the words of student leader Nizami in 1971.
 
http://www.nybangla.com/March_26/Tanvir/Nizami_1971.htm





__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] বীরাঙ্গনা ৭১ - ৩ : মসজিদে আটকে রেখেও ধর্ষণ করা হয়েছে



শনিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০১৩, ২০ মাঘ ১৪১৯
মসজিদে আটকে রেখেও ধর্ষণ করা হয়েছে -  ৩
মুনতাসীর মামুন
(পূর্ব প্রকাশের পর)

সৈন্যদের ব্যাংকারগুলিতে এসব মেয়েকে সারাক্ষণই নগ্ন অবস্থায় রাখা হতো। ডিসেম্বর মাসের ১৬ তারিখে পাকিস্তানী সেনারা আত্মসমর্পণের পর এসব নারীর অধিকাংশেরই ছিন্নভিন্ন দেহাবশেষ আবিষ্কৃত হয়।'
জন হেস্টিংস নামে এক মিশনারি বলেছিলেন, 'পাকিস্তানী সৈন্যরা... মেয়েদের যোনিপথে বেয়নেট ঢুকিয়ে তাদের হত্যা করেছে।' মেয়েদের মসজিদে আটকে রেখেও ধর্ষণ করা হয়েছে। সাতক্ষীরার একটি গ্রামের মসজিদ থেকে বেশ কিছু নগ্ন নারী উদ্ধারের পর এ ধরনের ঘটনা নজরে আসে। এ সমস্ত বিবেচনায় নিয়ে বলা যেতে পারে, ধর্ষিত নারীর সংখ্যা ছয় লাখের কাছাকাছি হতে পারে বা তার চেয়েও কিছু বেশি, কম নয়। ১৯৪১ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়া, কোরিয়া, চীন, ফিলিপিন্স জাপানীদের অধীনে ছিল। সেখানে পাঁচ বছরে তারা প্রায় দুই লাখ নারী ধর্ষণ করে। এসব দেশের আয়তনও জনসংখ্যার সঙ্গে বাংলাদেশের আয়তন ও জনসংখ্যার তুলনা করলে বাংলাদেশে নারী নির্যাতন, ধর্ষণের ব্যাপকতা ও তীব্রতা বোঝা যাবে। বিশ্বের ইতিহাসে এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। আট মাসে রক্ষণশীল হিসেবে সাড়ে চার লাখের ওপর ধর্ষণ। আরেকটি হিসাবে জানা যায়, ছয় বছরব্যাপী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে 'গোটা ইউরোপে নাৎসি ও ফ্যাসিস্ট বাহিনী সম্মিলিতভাবেও এত বেশি নারীকে ধর্ষণ করেনি।'
নারীদের নির্যাতনের/ ধর্ষণের বিষয়টিকে ডা. হাসান চার ভাগে ভাগ করেছেন- স্পট রেপ, মাস বা গ্যাঙ রেপ, রেপ ইন কাস্টোডি ও সেক্সুয়াল সেøভারি।
অবশ্য, একদিক থেকে বিচার করলে এই বিভাজনে তেমন কিছু আসে যায় না। এ্যাকাডেমিক আলোচনা ছাড়া স্থানিক বা গণধর্ষণ যাই হোক না কেন অন্তিমে তা ধর্ষণই। আবার স্থানিক ধর্ষণও অনেক সময় পরিণত হয়েছে গণধর্ষণে। গণধর্ষণের পর আবার যৌন দাসত্বে।
স্পট রেপ বা স্থানিক ধর্ষণ মার্চ থেকে শুরু করে পাকিস্তানীদের পরাজয় পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। গ্রামে গ্রামে বাড়িতে বাড়িতে ঢুকে এমনকি শহরাঞ্চলেও বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণ। অনেক সময় দুই-তিন জন সৈন্য এসে একই নারীকে ধর্ষণ করে চলে গেছে। এ ধরনের ঘটনা বেশি ঘটেছে। আমাদের সংগৃহীত কেস স্টাডিগুলোর অধিকাংশ স্থানিক ধর্ষণ।
একই নারীকে একই জায়গায় আবার কয়েকজন মিলে ধর্ষণ করেছে সেটিকে গণধর্ষণ আখ্যায়িত করেছেন ডা. হাসান। এই ধরনের কেস স্টাডি আছে এই গ্রন্থে। আবার একই সঙ্গে অনেককে ধর্ষণ ও গণধর্ষণ করা হয়েছে। তিনি নাটোরের ছাতনী গ্রামের একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন। হানাদাররা আসছে এ খবর পেয়ে পুরুষরা একটি ঘরে মেয়েদের ঢুকিয়ে দরজায় শিকল এঁটে পালাবার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু পারেননি। তাদের হত্যা করা হয়। তারপর সৈন্য ও বিহারিরা ওই ঘরে উপস্থিত হয়। সেখানে ১৫০ জন মহিলা ছিলেন। মেয়েদের গয়নাগাটি লুট করার পর তাদের বাইরে নিয়ে লাইনে দাঁড় করানো হয়। জোহরা নামে একজন বীরাঙ্গনা জানিয়েছেন, 'পাকিরা সেই সময় আমাদের কু প্রস্তাব দিল। কিন্তু আমরা তাদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তারা আমাদের বুকে বন্দুক তাক করল। ভয় দেখালো তাদের প্রস্তাবে রাজি না হলে বাচ্চাদের পা ছিঁড়ে ফেলবে। তখন বাধ্য হলাম আমরা তাদের কথামতো কাজ করতে। এরপর বাইরে দাঁড়ানো মেয়েদের পাকিরা এক এক করে ঘরের মধ্যে নিয়ে যাচ্ছিল আবার বের করে নিয়ে আসছিল। ... অনেক মেয়েকে বাড়ির বাইরেও নিয়ে যাচ্ছিল। আমার জাকেও তারা ধরে নিয়ে গিয়েছিল। আমি নিজেও পাকিদের গণধর্ষণের শিকার হলাম।'
সেনা ঘাঁটিতে বন্দী করে রেখে ধর্ষণকে ডা, হাসান 'রেপ ইন কাস্টোডি' বলে উল্লেখ করেছেন। এ ধরনের ঘটনা সারা দেশেই ঘটেছে। যেখানেই ঘাঁটি ছিল সেখানেই মেয়েদের নিয়ে বন্দী করে রাখা হয়েছে। ডা. হাসান উল্লিখিত যৌন দাসত্বও এই পর্যায়ে পড়ে। এমনকি বাংকারেও মেয়েদের নিয়ে রাখা হতো। দিনাজপুরের একটি এলাকায় হানাদার পরাজিত হয়ে পালিয়ে যায়। একজন মুক্তিযোদ্ধা উল্লেখ করেছেন, 'এরপর আমরা সেখানে গিয়ে বাংকারের ওপরে কিছু রক্তমাখা কাপড়-চোপড় পড়ে থাকতে দেখলাম।.... ভেতরে তাকিয়ে দেখলাম দুটি মেয়ে বাংকারের ভেতরে একটি চৌকির ওপর উলঙ্গ অবস্থায় বসে আছেন। তারা বাংকার থেকে উঠে আসতে পারছিলেন না। এই অবস্থায় আমরা বাংকারে না ঢুকে পাশের গ্রাম থেকে কিছু কাপড়চোপড়সহ কয়েকজন মহিলাকে নিয়ে আসি। তারপর একটি বাঁশের মইয়ের সাহায্যে গ্রামের মহিলাদের বাংকারের ভেতরে নামিয়ে কাপড় পরিয়ে ঐ দুটি মেয়েকে ওপরে উঠিয়ে আনি। মেয়ে দুটির নাম ছিল আসমা খাতুন ও মরিয়ম বেগম। এদের একজন ছিলেন আইএ পাস, অন্যজন ছিলেন মেট্রিক পরীক্ষার্থী। মা-বাবার সঙ্গে ভারতে পালিয়ে যাবার সময় এরা ধরা পড়েন।'
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে খ- যুদ্ধের পর পাকিরা পালিয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধারা খবর পেয়েছিলেন, ওই ক্যাম্পে পাকিস্তানী ও রাজাকাররা কিছু মেয়েকে আটকে রেখেছে। তাদের উদ্ধারের জন্যই মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানীদের আক্রমণ করে। ডা. বদরুন নাহার ছিলেন তাঁদের সঙ্গে। তিনি জানিয়েছেন, 'স্কুলের ভেতরে গোপন একটি বাংকার থেকে উলঙ্গ ও অর্ধমৃত অবস্থায় ১২টি মেয়েকে উদ্ধার করলাম। পরে সেখান থেকে তাদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা হলো। আমি সেবা দিয়ে তাদের সুস্থ করে তুললাম। পরে যুদ্ধের তিন মাস ধরে তারা আমরা কাছেই ছিল। দেশ স্বাধীন হলে আমরা তাদের গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে দিতে সাহায্য করি...। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শরীয়তপুর থেকে চাঁদপুর হয়ে কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে তারা ভারত যাচ্ছিল। পথে শাহরাস্তির সুলতান ভুঁইয়া নামের এক রাজাকার কমান্ডার তাদের আটক করে। এ সময় রাজাকাররা পরিবারে অন্য সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করে।' বাংলাদেশ জুড়ে পাকিস্তানী সৈন্যরা এ কাজ করেছে। আমাদের সংগৃহীত কেস স্টাডিগুলোতে ক্যাম্পে নিয়ে আটক রাখা বা যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করার কয়েকটি ঘটনা উল্লেখ হয়েছে।
ডা. হাসান আরেকটি দিকের কথা তুলে ধরেছেন যা ছিল আমাদের অনেকের অজানা। তাহলো কারাগারে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ। বিভিন্ন কারণে নারীদের জেলে এনে রাখা হতো এবং তাদের ধর্ষণ করা হতো। যেমন বরগুনার ক্লাস সেভেন পড়া মালতী রানী রায় জানিয়েছেন, 'বর্বর পাকিরা কারাগারের অভ্যন্তরে আটক সকল মহিলাকে পালাক্রমে বীভৎসভাবে ধর্ষণ করেছে। প্রতিরাতে আটক মহিলাদের মধ্য থেকে বেছে বেছে কয়েকজনকে বের করে পাকিদের প্রমোদ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত পার্শ্ববর্তী ডাক বাংলাতে নিয়ে যেত।
একই জেলে আটক পুষ্পরাণী জানিয়েছেন, তাদের জেলখানায় রাখা হয়েছিল। গ্রামের কিছু পরুষদের সঙ্গে তাদের বন্দী করা হয়। পাকিরা মহিলাদের ডাকবাংলায় নিয়ে সারা রাত নির্যাতন করে ভোর বেলায় লাল কাপড় পরিয়ে আবার জেলখানায় পাঠিয়ে দিত।' বর্বর পাকি সৈন্যদের পাশবিক নির্যাতনের চিহ্ন সেসব হতভাগ্য নারীর শরীরে এতটাই স্পষ্ট থাকত যে, তাদের দিকে তাকানো যেত না।' (চলবে)


শনিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০১৩, ২০ মাঘ ১৪১

Also read:
শুক্রবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০১৩, ১৯ মাঘ ১৪১৯
বীরাঙ্গনা ৭১ হাজার হাজার নারী গর্ভবতী হয়ে পড়ে
মুনতাসীর মামুন
(পূর্ব প্রকাশের পর)
॥ দুই ॥

শুক্রবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০১৩, ১৯ মাঘ ১৪১


বৃহস্পতিবার, ৩১ জানুয়ারী ২০১৩, ১৮ মাঘ ১৪১৯

বীরাঙ্গনা ৭১     -  এক    মুনতাসীর মামুন
বৃহস্পতিবার, ৩১ জানুয়ারী ২০১৩, ১৮ মাঘ ১৪১



১৯৭১: বীরাঙ্গনা অধ্যায়


ক্যাটাগরী: 

***
"একাত্তরে মা-বোনদের সম্ভ্রম নষ্টকারী, হত্যাকারী সেইসব ঘৃণিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই"

***

http://blog.bdnews24.com/laboni/12415


সূত্র : 
জেনোসাইড বাংলাদেশ

Proven charges against Bachchu Razakar

[ Rape of three women.]

Dhaka: Seven of eight charges of crimes against humanity committed during the 1971 Liberation War were "proved beyond doubt" leading to death penalty for Abul Kalam Azad alias Bachchu Razakar.

The International Crimes Tribunal-2 handed him down the capital punishment finding him guilty of six charges under Section 3(2) (a) and under Section 3(2) (c.i) of the International Crimes Tribunal Act.

The tribunal, however, acquitted him of one specific charge of abduction, confinement and torture as it could not be proved beyond doubts.

The proven charges are-

1. Abduction, confinement and torture of Ranjit Nath.

2. Murder of Sudhangshu Mohan Roy.

3. Murder of Madhab Chandra Biswas.

4. Murder of Chitta Ranjan Das.

5. Rape of three women.

6. Murder of Haripada Saha and Prabir Kumar Saha.

7. Genocide in Hasamdia village of Boalmari in Faridpur.

"He (Bacchu) is found guilty of the offences of crimes against humanity listed in charge number three, four and six and for the offence of genocide listed in charge number seven and he be convicted and sentenced to death and be hanged by the neck till he is dead," Chairman of the three-member tribunal Justice Obaidul Hassan Shaheen pronounced the verdict in the crowded courtroom on Monday noon.









__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] বীরাঙ্গনা ৭১ - দুই : হাজার হাজার নারী গর্ভবতী হয়ে পড়ে



শুক্রবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০১৩, ১৯ মাঘ ১৪১৯
বীরাঙ্গনা ৭১ হাজার হাজার নারী গর্ভবতী হয়ে পড়ে
মুনতাসীর মামুন
(পূর্ব প্রকাশের পর)
॥ দুই ॥
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের কতজন নারী ধর্ষিত হয়েছিলেন। স্বাধীনতার পরপর আমরা নানা হিসাব পেয়েছি। এখন হিসাবটা চার লাখে দাঁড়িয়েছে। ডা. ডেভিসও এই সংখ্যা দিয়েছেন। বাংলাদেশের ব্যাপক সংখ্যক ধর্ষিতার কথা বাইরের পৃথিবীতে জানাজানি হলে তখন বিভিন্ন সাহায্যসংস্থা এদের সহায়তায় এগিয়ে আসে। লন্ডনের ইন্টারন্যাশনাল এ্যাকশন রিসার্চ এ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার ডা. জিওফ্রে ডেভিসকে বাংলাদেশে পাঠায়। তিনি বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে ধর্ষিতাদের নিয়ে কাজ করেছেন। তৎকালীন সরকারী কর্মচারীরা যে হিসাব দিয়েছেন, ডা. ডেভিস জানিয়েছিলেন তা ঠিক নয়। তিনি বলেছেন, 'সরকারী কর্মকর্তারা বাংলাদেশের জেলাওয়ারী হিসাব করেছেন। সারা দেশের ৪৮০টি থানার ২৭০টি পাক সেনাদের দখলে ছিল। প্রতিদিন গড়ে দুজন করে নিখোঁজ মহিলার সংখ্যা অনুসারে লাঞ্ছিত মহিলার সংখ্যা দাঁড়ায় দুই লাখ। এই সংখ্যাকে চূড়ান্তভাবে নির্ভুল অঙ্করূপে গ্রহণ করার সিন্ধান্ত হয়।'। ডা. ডেভিস মনে করেন এই সংখ্যা ৪ লাখ থেকে ৪ লাখ ৩০ হাজারের মতো হবে।
ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়েছে, ধর্ষিত ও নির্যাতিতদের সংখ্যা এর চেয়ে বেশি। নিউজ উইকের একটি প্রতিবেদনের কথা ধরা যাক উদাহরণ হিসেবে। ১৯৭১ সালের ১৫ নবেম্বর পত্রিকাটি লিখেছিল, মুক্তিবাহিনীকে দমন করার নামে কিছুদিন আগে পাক সেনারা ডেমরা নামে এক গ্রামে অভিযান চালায় (যেখানে মুক্তি বাহিনী আদৌ ছিল না)। তারা ১২ থেকে ৩৫ বছরের সমস্ত মহিলাকে ধর্ষণ করে এবং গুলি করে মারে ১২ বছরের বেশি বয়সের সমস্ত পরুষদের ।
ডা. ডেভিস এ পরিপ্রেক্ষিতে এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন
'প্রশ্ন : পাকিস্তানের অসংখ্য নথিপত্রে এখনও বলা হয়, ধর্ষণের ঘটনার সংখ্যা অত্যন্ত বাড়িয়ে বলা হচ্ছে। আপনি কি তাদের এ দাবি সত্য মনে করেন?
জেফ্রি : না, না... তারা ধর্ষণ করেছে। সম্ভবত তারা প্রকৃতই যা করেছে, তার তুলনায় অনেকগুণ কম সংখ্যা দাবি করা হয়। তারা যে পদ্ধতিতে শহর দখল করত তার বিবরণ খুব কৌতূহলোদ্দীপক। তারা তাদের পদাতিক বাহিনীকে পেছনে রেখে গোলন্দাজ বাহিনীকে সামনে নিয়ে আসত। তারপর হাসপাতাল, স্কুল-কলেজে গোলা ছুড়ে গুড়িয়ে দিত। এরফলে শহরে নেমে আসত চরম বিশৃঙ্খলা আর তারপর পদাতিক বাহিনী শহরে ঢুকে পড়ে মেয়েদের বেছে বেছে আলাদা করত। শিশু ছাড়া যৌনভাবে ম্যাচিওরড সকল মেয়েকে তারা একত্রে জড়ো করত। আর শহরের বাকি লোকজনকে বন্দী করে ফেলত পদাতিক বাহিনীর অন্যরা। আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে গুলি করে মেরে ফেলা হতো। আর তারপর মেয়েদের পাহারা দিয়ে কম্পাউন্ডে নিয়ে এসে সৈন্যদের মাঝে বিলিয়ে দেয়া হতো। অত্যন্ত জঘন্য একটা ব্যাপার ছিল এটা। বিশ্বের কোথাও কখনও এমন ঘটনার নজির পাওয়া যায় না। তবুও, এমনটাই ঘটেছিল।' 
হ্যাঁ, যুক্তির খাতিরে বলা যেতে পারে, বাংলাদেশের ৬৪ হাজার গ্রামে তো পাকিস্তানী সৈন্যরা যায়নি। কথাটা ঠিক, ৬৪ হাজার গ্রামে পাকিস্তানী সৈন্যরা যায়নি; কিন্তু যেসব গ্রামে গেছে সেখানেই তারা মেয়েদের সর্বনাশ করেছে। আমরা এখানে যে ঘটনাগুলো বর্ণনা করেছি তাতে একটি প্যাটার্ন ফুটে উঠেছে। তাহলো : গ্রামে গ্রামে তারা সুনির্দিষ্টভাবে মেয়েদের জন্য হানা দিচ্ছে, শহরাঞ্চল থেকে মেয়েদের উঠিয়ে নিচ্ছে, সে এক ভয়াবহ অবস্থা। অনেক জায়গায় রাজাকার বা শান্তি কমিটির সদস্যরা মেয়েদের তুলে নিয়ে গেছে। ধর্ষিতা নারীদের একটি অংশ আত্মহত্যা করেছে, মেরে ফেলা হয়েছে। একটি অংশের পরিবার-পরিজন ধর্ষণের কথা কখনও স্বীকার করেনি সামাজিক কারণে। ফলে সঠিক সংখ্যা কখনও জানা যাবে না। সরকারী কর্মকচারীরা তখন নানাবিধ কারণে ধর্ষিতার সংখ্যা কম করে দেখাতে চেয়েছে। এর পেছনে যে মানসিকতা কাজ করেছে তাহলো এক ধরনের অপরাধবোধ। কারণ, এই মেয়েদের রক্ষার দায়িত্ব আমরা যে কোন কারণেই হোক পালন করতে পারিনি। অনেকের কাছে এটি লজ্জার বিষয় মনে হয়েছে। এই মানসিকতার সমাজতাত্ত্বিক কারণ কি তা আমি জানি না। যে কারণে, এখনও নারী ধর্ষণের বিষয়টি পারতপক্ষে কেউ আলোচনায় আনতে চান না।
ডা. ডেভিস আরও উল্লেখ করেছিলেন, 'হানাদার বাহিনী গ্রামে গ্রামে হানা দেয়ার সময় যে সব তরুণীকে ধর্ষণ করেছে তার হিসাব রক্ষণে সরকারী রেকর্ড ব্যর্থ হয়েছে। পৌনঃপুনিক লালসা চরিতার্থ করার জন্য হানাদার বাহিনী অনেক তরুণীকে তাদের শিবিরে নিয়ে যায়। এসব রক্ষিতা তরুণীর অন্তঃসত্ত্বার লক্ষণ কিংবা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে হয় তাদের পরিত্যাগ করা হয়েছে, নয়ত হত্যা করা হয়েছে।'
সুসান ব্রাউনমিলার লিখেছেন: Rape in Bangladesh had hardly been restricted to beauty... girls of eight and grandmothers of seventy-five had been sexually assaulted." পাকিস্তানীরা স্থানিকভাবেই শুধু ধর্ষণ করেনি, শত শত নারীকে মিলিটারি ব্যারাকে নিয়ে আটকে রেখেছে রাতে ব্যবহারের জন্য।
Some women may have been raped as many as eight times in a night. How many died from this atrocious treatment, and how many more women were murdered as part of the generalized campaign of destruction and slaughter, can only be guessed at.
ডা. এম.এ. হাসান তাঁর গ্রন্থে উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি রিপোর্টের কথা উল্লেখ করেছেন। সেখানে ধর্ষিতের সংখ্যা দুই থেকে চার লাখের কথা বলা হয়েছে। তাঁর নিজের জরিপের উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, '১৯৯১-২০০২ সাল পর্যন্ত দেশের ৪২ জেলার ২৫টি থানায় পরিচালিত আমাদের গবেষণায় গৃহীত অসংখ্য সাক্ষাতকারের মধ্য থেকে নির্বাচিত ২৬৭ ব্যক্তির সাক্ষ্যে প্রমাণিত হয়েছে যে, একাত্তরে দু'লাখ দু'হাজার জন নারী ধর্ষিত হয়েছে ওই সব স্থানে।... সারা দেশে ধর্ষিত ও নির্যাতিত নারীর সংখ্যা সাড়ে চার লাখের ওপরে।
তিনি অবশ্য ধর্ষিত ও নির্যাতিতকে আলাদা হিসেবে দেখিয়েছেন। তাঁর বক্তব্যই বলে দেয়, এটি সারা দেশের জরিপ নয়, সাক্ষ্যও সম্পূর্ণ নয়। তবুও ধর্ষণের ব্যাপকতটা বোঝা যায়।
এরপরে তিনি যে বর্ণনা দিয়েছেন সে বর্ণনা আক্ষরিক অর্থে ধরলে তাঁর দেয়া সংখ্যাই ছাড়িয়ে যাবে। তিনি লিখেছেন, পূর্বতন সিলেটে ৩০ হাজার বীরাঙ্গনার সন্ধান পেয়েছেন। এ অঞ্চলের চা বাগানগুলোর মহিলা শ্রমিক, তাদের যুবতী ও কিশোরী কন্যাগণ, মনিপুরী ও খাসিয়া মহিলারা ব্যাপক হারে নির্যাতনের শিকার হন। সিলেট শহর, বালাগঞ্জের বুরুঙ্গা, আদিত্যপুর, শ্রী রামসী, শেরপুর, পীরপুর, পীরনগর, করিমগঞ্জ সীমান্ত ও হাওড় এলাকা, সুনামগঞ্জের হাওড় এলাকা, মৌলভীবাজার শহর, রাজনগর, সাধুহাটি, কমলগঞ্জ থানার শমসের নগর, মনিপুরীদের বিভিন্ন গ্রামের অধিকাংশ বাড়ি এবং হবিগঞ্জের চুনারুঘাট, শায়েস্তাগঞ্জসহ বিভিন্ন থানার গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে পাকিরা অসংখ্য নারীকে ধর্ষণ করে। এ ছাড়া টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর থানার ছাব্বিশাসহ বিভিন্ন গ্রাম, বরিশালের গৌরনদী থানার প্রায় সব গ্রাম, আগৈলঝাড়ার রাজিহার, চেতনার কোলা গ্রামসহ সমগ্র বরিশালে পাকিরা ব্যাপক নির্যাতন চালায়।' এ ছাড়া তিনি ফরিদপুর জেলারও বিভিন্ন থানার বেশ কিছু গ্রামের নাম দিয়েছেন যেখানে ব্যাপকহারে ধর্ষণ করা হয়। একটি শহরের প্রতিটি বাড়িতে হানা দিলে ধর্ষিতের সংখ্যা কত দাঁড়ায়।
আগে উল্লেখ করেছি- শুধু খান সেনারা নয়, তাদের সহযোগী রাজাকার ও শান্তি কমিটির লোকজনও ধর্ষণ করেছে। ব্রাউনমিলার সংবাদপত্রের এক প্রতিবেদন উদ্ধৃত করেছেন যেখানে বলা হয়েছে, রাতে পাকিস্তানী সৈনিক ও রাজাকাররা গ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। মেয়েদের তুলে নেয়। কাউকে কাউকে স্থানিকভাবে ধর্ষণ করা হয়। বাকিদের ব্যারাকে নিয়ে যাওয়া হয়।
ইন্টারন্যশনাল কমিশন অব জুরিস্টস জানিয়েছিল 'জানা যায়, পাকিস্তানী সৈন্যরা ব্যাপক ধর্ষণ চালিয়েছে প্রাপ্তবয়স্ক নারী এবং কম বয়সী মেয়েদের ওপর। অসংখ্য সূত্র থেকে ঘটনা সম্পর্কে স্বীকারোক্তি পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ সরকার দাবি করেছে, ৭০,০০০-এর বেশি নারী এসব ধর্ষণের ফলে গর্ভবতী হয়ে পড়েছে। সঠিক সংখ্যা যাই হোক না কেন, মার্কিন ও ব্রিটিশ শল্য চিকিৎসকরা গর্ভপাতের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ব্যাপক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন জনগণকে এসব ধর্ষিত নারীকে সমাজে গ্রহণ করার প্রচারণায়। এসব অবস্থা সাক্ষ্য দিচ্ছে ধর্ষণের বিশাল সংখ্যার। পাকিস্তানী অফিসাররা এসব বর্বরতা সম্পর্কে নিজেদের অজ্ঞতা প্রকাশ করে দায়মুক্ত থাকতে চায়। বহু ক্ষেত্রেই কিন্তু এসব সেনা অফিসার নিজেরা যুবতী মেয়েদের ধরে এনে আটক রাখত নিজেদের যৌন সন্তুষ্টির জন্য।' যে সব সাংবাদিক তখন রিপোর্ট করেছিলেন বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় তাদের প্রতিবেদনেও প্রসঙ্গটি এসেছে বারবার এ রকম চারজনের রিপোর্ট উদ্ধৃত করছি
নিউজ উইকের সাংবাদিক টনি ক্লিফটন উল্লেখ করেছেন, 'আমি দেখতে পাই যে, আক্ষরিক অর্থে মানুষ বোবা হয়ে গেছে, যখন পাকিস্তানী সৈন্যরা তাদের চোখের সামনে বাচ্চাদের হত্যা করেছে এবং মেয়েদের উঠিয়ে নিয়ে গেছে তাদের ভয়ঙ্কর যৌন পরিতৃপ্তির জন্য...। পূর্ব পাকিস্তানে শত শত মাইলাই এবং লেডিসির মতো নৃশংসতা সংঘটিত হয়েছে সে ব্যাপারে আমার কোনই সন্দেহ নেই।'
নিউজউইকের সিনিয়র সম্পাদক এ্যারমাউড ডি ব্রোচ গ্রেভ : 'পাকিস্তান সেনাবাহিনী সাম্প্রতিক বিদ্রোহীদের খুঁজতে আসার ভান করে ডেমরা গ্রাম ঘেরাও করে। তারপর ১২ থকে ৩৫ বছর বয়সী সকল নারীকে ধর্ষণ করে এবং ১২ বছরের বেশি বয়সী সকল পুরুষকে হত্যা করে।'
নিউইয়র্ক টাইমসের সিডনি এইচ, শ্যেনবার্গ : 'পাকিস্তানী সৈন্যরা প্রায় প্রতিটি সেক্টরেই বাঙালী মেয়েদের যৌনদাসী হিসেবে আটক রেখেছে। (চলবে)
শুক্রবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০১৩, ১৯ মাঘ ১৪১

Also read:
বৃহস্পতিবার, ৩১ জানুয়ারী ২০১৩, ১৮ মাঘ ১৪১৯

বীরাঙ্গনা ৭১     -  এক    মুনতাসীর মামুন
বৃহস্পতিবার, ৩১ জানুয়ারী ২০১৩, ১৮ মাঘ ১৪১



১৯৭১: বীরাঙ্গনা অধ্যায়


ক্যাটাগরী: 

***
"একাত্তরে মা-বোনদের সম্ভ্রম নষ্টকারী, হত্যাকারী সেইসব ঘৃণিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই"

***

http://blog.bdnews24.com/laboni/12415


সূত্র : 
জেনোসাইড বাংলাদেশ









__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] Re: [Bangladesh-Zindabad] সরকার পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের অনুরোধ প্রত্যাহার করায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ!!



All credible evidences will be produced in support of the allegations in course of time. I believe within a few months.
 
Bestfriend


--- On Fri, 2/1/13, Khondkar Saleque <khondkar.saleque@gmail.com> wrote:

From: Khondkar Saleque <khondkar.saleque@gmail.com>
Subject: Re: [Bangladesh-Zindabad] সরকার পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের অনুরোধ প্রত্যাহার করায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ!!
To: "A Ahmed" <bestfriend20878@yahoo.com>
Cc: Bangladesh-Zindabad@yahoogroups.com, bangla-vision@yahoogroups.com, mukto-mona@yahoogroups.com, ovimot@yahoogroups.com
Date: Friday, February 1, 2013, 11:19 PM

If you know it all why not produce credible evidences? Such a wild accusation and speculation is ridiculous. Why not identify yourself if you are fathers son?
Best
Sufi

2013/2/2 A Ahmed <bestfriend20878@yahoo.com>

Dear Readers:

 

Bangladesh Awami League led government took decision to withdraw request from World Bank aid on the following reasons:

 

First, to save former minister Abul Hossain from criminal prosecutions in Bangladesh on the WB's alleged bribery scam.

 

Secondly, to save Sheikh Hasina's family members (Sajeeb Wajed Joy, Saima Putul and her husband) from ongoing investigations in Canada and USA for their involvements in Padma Bridge bribery scam. A date is set in a Canadian Court for trial (in April) on Padma Bridge scam against Montreal based SNC-Lavalin Company. Sources tell that Sheikh Hasina's family members were involved in the monetary transactions with the SNC-Lavalin company.

 

Third, to save Sheikh Hasina who was knowingly involved in the scandal through Abul Hossain. Also, she was fully aware of her family member's involvements in the monetary transaction of the bribery scam.

 

Finally, Bangladesh Government withdrew the request with assumption that Sheikh Hasina and her family will no longer be parties to the investigation in the USA and criminal proceedings in Canada.

 

Note: Bangladesh government took this decision to save Sheikh Hasina and her family members at the cost of 160 million people's unwanted sufferings.

 

Bestfriend

 


--- On Fri, 2/1/13, Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com> wrote:

From: Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com>
Subject: [Bangladesh-Zindabad] সরকার পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের অনুরোধ প্রত্যাহার করায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ!!
To:
Date: Friday, February 1, 2013, 8:41 PM
 

সরকার পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের অনুরোধ প্রত্যাহার করায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ
নিউইয়র্ক, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ (বিডিএনএন২৪) :- বাংলাদেশের বহুর আলোচিত এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের ঘোষিত পদ্মা বহুমুখী সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের অনুরোধ প্রত্যাহার করায় গভীর সন্তোষ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ। এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এই কাজটি সরকারের বহু আগেই করা উচিত ছিল।
পদ্মা সেতৃর অর্থায়ন সংক্রান্ত জটিলতায় ড. মুহাম্মদ উইনুস এবং বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দায়ী করে ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে ড. ইউনুস এবং বিএনপি নেত্রী দেশের জনগনের বিরুদ্ধে দাঁড়িছে এবং দেশের বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র করেছে। এই দুই ঘৃন্য ব্যক্তি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশকে পিছিয়ে দেয়ার নিরন্তর ষড়যন্ত্র করে চলেছে।

তিনি বলেন, গত ৩০ জানুয়ারি বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দেশদ্রোহী কর্মকান্ডের নমুনা স্বরূপ প্রকাশিত ওয়াশিংটন টাইমসের প্রতিবেদনের ঠিক একদিন পরেই বিশ্বব্যাংক থেকে পদ্মা সেতু সংক্রান্ত নুতন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে প্রমানিত হয় বেগম খালেদা জিয়া দেশের বিরুদ্ধে গভীর চক্রান্তে লীপ্ত রয়েছেন এবং এই মহিলার দ্বারা যেকোন ষড়যন্ত্র করা সম্ভব।

তিনি বলেন, আজ দেশবাসীর কাছে খালেদা নগ্ন হিংশ্র রূপ প্রকাশ হয়ে পড়েছে। জাতি আজ জানতে পেরেছে ক্ষমতায় যাবার জন্য খালেদা জিয়ার দ্বারা কি জঘন্য দেশদ্রোহী কর্মকান্ড করা সম্ভব। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বেগম খালেদা জিয়া ও তার দল ৭১ এর হায়েনারূপি যুদ্ধাপরাধী জামাত-শিবিরের ঘাঁড়ে চড়ে দুই দুইবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। একাত্তরের চিহ্নিত হায়েনাদের বিচার যখন চলমান রয়েছে ঠিক সেই মুহুর্তে আবারো ক্ষমতায় যাবার কূট এবং হিংশ্র কৌশল হিসাবে হিসাবে তার বিদেশী প্রভুদেরকে স্বাধীন সর্বভৌম বাংলাদেশে হস্তক্ষেপের নগ্ন অনুরোধ জানিয়ে পুরো জাতির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। বেগম জিয়াকে তার এই ঘৃন্য কর্মকান্ডের জন্য জাতির কাছে একদিন জবাবদিহী করতে হবে।

ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে কোন সুপারওমেন নেই, আইনের উর্ধ্বেও কেউ নেই। বেগম খালেদা জিয়া যত বড় নেত্রীই হোক না কেন তিনিও আইনের উর্ধ্বে নন। তিনি বেগম জিয়ার দেশদ্রোহী কর্মকান্ডের জন্য দৃষ্টান্ত মুলক ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ এখন আর হেনরী কিসিঞ্জারের তলাবিহীন ঝুড়ি নয়। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদে আজ বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। সারাবিশ্ববাসী আজ বাংলাদেশের অগ্রগতি এবং উন্নয়ন বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করছে। বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নের মডেল হিসাবে দেখতে শুরু করেছে। বাংলাদেশের এই উন্নয়ন এবং অগ্রগতি ড. ইউনুস বা বেগম জিয়ার কোন ষড়যন্ত্রই থামিয়ে দিতে পারবেনা।

ড, সিদ্দিকুর রহমান বলেন, পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন হবে এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারই তা বাস্তবায়ন করবে। বিশ্বের কোন শক্তি নাই বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং অগ্রগতিকে থামিয়ে রাখতে পারে। বাঙালী বীরের জাতি। এই জাতি ১৯৭১ সালে আমেরিকা সহ অন্যান্য দেশের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা লাভ করেছিল। অনেক চেষ্টা করা হয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে ধুলিস্যাৎ করে দেয়ার জন্য। কিন্তু মুক্তি পাগল বাঙালীকে দাবিয়ে রাখা যায়নি। বাঙালী স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনে আজ স্বাধীনতার চল্লিশ বছর পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্ব দরবারে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের এমন কোন শক্তি নাই বাঙালীর এই অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দেয়।

পদ্মা সেতুর বাস্তায়ন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ঘোষিত পদ্মাসেতুর বাস্তবায়নে প্রবাসীরা সরকারকে সর্বাতœক সহায়তা করতে প্রস্তুত। পদ্মাসেতুর বাস্তবায়নে প্রবাসীরা যেকোন সময় যেকোন সহযোগীতা করার জন্য সর্বদা প্রস্তুত। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদ্মাসেতুর বাস্তবায়ন নিয়ে এগিয়ে যাবার আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, পহলো ফেব্রুয়ারি পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য সরকার বিশ্বব্যাংককে যে অনুরোধ করেছিল তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বিডিএনএন২৪'কে বলেন, 'জানুয়ারির মধ্যে বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে কোন ইতিবাচক সাড়া না পেয়ে সরকার অর্থায়নের অনুরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছে।'

তিনি বলেন, সরকার এখন তার বর্তমান মেয়াদে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরুর জন্য বিকল্প অর্থায়নের ব্যবস্থা করবে। আজ সকালে বিশ্বব্যাংকের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অর্থায়নের অনুরোধ প্রত্যাহার করে নেয়া সংক্রান্ত সরকারের চিঠি তারা পেয়েছে। অর্থমন্ত্রী বলেন, জাতীয় সংসদ অধিবেশনে রোববার তিনি চিঠির বিস্তারিত দিক এবং সেতু নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা তুলে ধরবেন।
 



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] Padma Bridge-Reasons for Withdrawal of Request by Bangladesh Government



Dear Readers:  

Bangladesh Awami League led government took decision to withdraw request from World Bank aid on the following reasons:  

First, to save former minister Abul Hossain from criminal prosecutions in Bangladesh on the World Banks's alleged bribery scam. 

Secondly, to save Prime Minister Sheikh Hasina's family members (Sajeeb Wajed Joy, Saima Putul and her husband) from ongoing investigations in Canada and USA for their involvements in Padma Bridge bribery scam. A date is set in a Canadian Court for trial (in April) on Padma Bridge scam against Montreal based SNC-Lavalin Company. Sources tell that Sheikh Hasina's family members were involved in the monetary transactions with the SNC-Lavalin company. 

Third, to save Sheikh Hasina who was knowingly involved in the scandal through Abul Hossain. Also, she was fully aware of her family member's involvements in the monetary transaction of the bribery scam. 

Finally, Bangladesh Government withdrew the request with assumption that Sheikh Hasina and her family will no longer be parties to the investigation in the USA and criminal proceedings in Canada. 

Note: Bangladesh government took this decision to save Sheikh Hasina and her family members at the cost of 160 million people's unwanted sufferings. 

Bestfriend



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] Re: [Bangladesh-Zindabad] সরকার পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের অনুরোধ প্রত্যাহার করায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ!!



If you know it all why not produce credible evidences? Such a wild accusation and speculation is ridiculous. Why not identify yourself if you are fathers son?
Best
Sufi

2013/2/2 A Ahmed <bestfriend20878@yahoo.com>

Dear Readers:

 

Bangladesh Awami League led government took decision to withdraw request from World Bank aid on the following reasons:

 

First, to save former minister Abul Hossain from criminal prosecutions in Bangladesh on the WB's alleged bribery scam.

 

Secondly, to save Sheikh Hasina's family members (Sajeeb Wajed Joy, Saima Putul and her husband) from ongoing investigations in Canada and USA for their involvements in Padma Bridge bribery scam. A date is set in a Canadian Court for trial (in April) on Padma Bridge scam against Montreal based SNC-Lavalin Company. Sources tell that Sheikh Hasina's family members were involved in the monetary transactions with the SNC-Lavalin company.

 

Third, to save Sheikh Hasina who was knowingly involved in the scandal through Abul Hossain. Also, she was fully aware of her family member's involvements in the monetary transaction of the bribery scam.

 

Finally, Bangladesh Government withdrew the request with assumption that Sheikh Hasina and her family will no longer be parties to the investigation in the USA and criminal proceedings in Canada.

 

Note: Bangladesh government took this decision to save Sheikh Hasina and her family members at the cost of 160 million people's unwanted sufferings.

 

Bestfriend

 


--- On Fri, 2/1/13, Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com> wrote:

From: Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com>
Subject: [Bangladesh-Zindabad] সরকার পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের অনুরোধ প্রত্যাহার করায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ!!
To:
Date: Friday, February 1, 2013, 8:41 PM
 

সরকার পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের অনুরোধ প্রত্যাহার করায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ
নিউইয়র্ক, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ (বিডিএনএন২৪) :- বাংলাদেশের বহুর আলোচিত এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের ঘোষিত পদ্মা বহুমুখী সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের অনুরোধ প্রত্যাহার করায় গভীর সন্তোষ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ। এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এই কাজটি সরকারের বহু আগেই করা উচিত ছিল।
পদ্মা সেতৃর অর্থায়ন সংক্রান্ত জটিলতায় ড. মুহাম্মদ উইনুস এবং বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দায়ী করে ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে ড. ইউনুস এবং বিএনপি নেত্রী দেশের জনগনের বিরুদ্ধে দাঁড়িছে এবং দেশের বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র করেছে। এই দুই ঘৃন্য ব্যক্তি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশকে পিছিয়ে দেয়ার নিরন্তর ষড়যন্ত্র করে চলেছে।

তিনি বলেন, গত ৩০ জানুয়ারি বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দেশদ্রোহী কর্মকান্ডের নমুনা স্বরূপ প্রকাশিত ওয়াশিংটন টাইমসের প্রতিবেদনের ঠিক একদিন পরেই বিশ্বব্যাংক থেকে পদ্মা সেতু সংক্রান্ত নুতন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে প্রমানিত হয় বেগম খালেদা জিয়া দেশের বিরুদ্ধে গভীর চক্রান্তে লীপ্ত রয়েছেন এবং এই মহিলার দ্বারা যেকোন ষড়যন্ত্র করা সম্ভব।

তিনি বলেন, আজ দেশবাসীর কাছে খালেদা নগ্ন হিংশ্র রূপ প্রকাশ হয়ে পড়েছে। জাতি আজ জানতে পেরেছে ক্ষমতায় যাবার জন্য খালেদা জিয়ার দ্বারা কি জঘন্য দেশদ্রোহী কর্মকান্ড করা সম্ভব। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বেগম খালেদা জিয়া ও তার দল ৭১ এর হায়েনারূপি যুদ্ধাপরাধী জামাত-শিবিরের ঘাঁড়ে চড়ে দুই দুইবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। একাত্তরের চিহ্নিত হায়েনাদের বিচার যখন চলমান রয়েছে ঠিক সেই মুহুর্তে আবারো ক্ষমতায় যাবার কূট এবং হিংশ্র কৌশল হিসাবে হিসাবে তার বিদেশী প্রভুদেরকে স্বাধীন সর্বভৌম বাংলাদেশে হস্তক্ষেপের নগ্ন অনুরোধ জানিয়ে পুরো জাতির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। বেগম জিয়াকে তার এই ঘৃন্য কর্মকান্ডের জন্য জাতির কাছে একদিন জবাবদিহী করতে হবে।

ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে কোন সুপারওমেন নেই, আইনের উর্ধ্বেও কেউ নেই। বেগম খালেদা জিয়া যত বড় নেত্রীই হোক না কেন তিনিও আইনের উর্ধ্বে নন। তিনি বেগম জিয়ার দেশদ্রোহী কর্মকান্ডের জন্য দৃষ্টান্ত মুলক ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ এখন আর হেনরী কিসিঞ্জারের তলাবিহীন ঝুড়ি নয়। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদে আজ বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। সারাবিশ্ববাসী আজ বাংলাদেশের অগ্রগতি এবং উন্নয়ন বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করছে। বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নের মডেল হিসাবে দেখতে শুরু করেছে। বাংলাদেশের এই উন্নয়ন এবং অগ্রগতি ড. ইউনুস বা বেগম জিয়ার কোন ষড়যন্ত্রই থামিয়ে দিতে পারবেনা।

ড, সিদ্দিকুর রহমান বলেন, পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন হবে এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারই তা বাস্তবায়ন করবে। বিশ্বের কোন শক্তি নাই বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং অগ্রগতিকে থামিয়ে রাখতে পারে। বাঙালী বীরের জাতি। এই জাতি ১৯৭১ সালে আমেরিকা সহ অন্যান্য দেশের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা লাভ করেছিল। অনেক চেষ্টা করা হয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে ধুলিস্যাৎ করে দেয়ার জন্য। কিন্তু মুক্তি পাগল বাঙালীকে দাবিয়ে রাখা যায়নি। বাঙালী স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনে আজ স্বাধীনতার চল্লিশ বছর পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্ব দরবারে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের এমন কোন শক্তি নাই বাঙালীর এই অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দেয়।

পদ্মা সেতুর বাস্তায়ন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ঘোষিত পদ্মাসেতুর বাস্তবায়নে প্রবাসীরা সরকারকে সর্বাতœক সহায়তা করতে প্রস্তুত। পদ্মাসেতুর বাস্তবায়নে প্রবাসীরা যেকোন সময় যেকোন সহযোগীতা করার জন্য সর্বদা প্রস্তুত। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদ্মাসেতুর বাস্তবায়ন নিয়ে এগিয়ে যাবার আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, পহলো ফেব্রুয়ারি পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য সরকার বিশ্বব্যাংককে যে অনুরোধ করেছিল তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বিডিএনএন২৪'কে বলেন, 'জানুয়ারির মধ্যে বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে কোন ইতিবাচক সাড়া না পেয়ে সরকার অর্থায়নের অনুরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছে।'

তিনি বলেন, সরকার এখন তার বর্তমান মেয়াদে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরুর জন্য বিকল্প অর্থায়নের ব্যবস্থা করবে। আজ সকালে বিশ্বব্যাংকের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অর্থায়নের অনুরোধ প্রত্যাহার করে নেয়া সংক্রান্ত সরকারের চিঠি তারা পেয়েছে। অর্থমন্ত্রী বলেন, জাতীয় সংসদ অধিবেশনে রোববার তিনি চিঠির বিস্তারিত দিক এবং সেতু নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা তুলে ধরবেন।
 




__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] Fw: বীরাঙ্গনা ৭১ - এক


----- Forwarded Message -----
From: SyedAslam <syed.aslam3@gmail.com>
To: Khobor <khabor@yahoogroups.com>; notun Bangladesh <notun_bangladesh@yahoogroups.com>; chottala@yahoogroups.com
Sent: Friday, February 1, 2013 6:00 PM
Subject: বীরাঙ্গনা ৭১ - এক

বৃহস্পতিবার, ৩১ জানুয়ারী ২০১৩, ১৮ মাঘ ১৪১৯

বীরাঙ্গনা ৭১
মুনতাসীর মামুন
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকে হানাদার পাকিস্তানী বাহিনী অপারেশন সার্চলাইট নামে পূর্ব বাঙলার স্বাধীনতাকামী মুক্তিকামী নিরস্ত্র জনগণের ওপর সুপরিকল্পিতভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে। শুরু করে নির্বিচারে গণহত্যা এদেশের শহরে, নগরে, বন্দরে ও গ্রামে। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে আপামর জনগণ তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। সেই সঙ্গে শুরু করে এদেশের নিরপরাধ মা বোনদের ওপর পাশবিক নির্যাতন। পাকিস্তানীদের সহযোগী জামায়াতে ইসলামের কর্মী যাদের অধিকাংশ ছিল দালাল, রাজাকার, আলবদর ব্যক্তিস্বার্থে বাংলার অসংখ্য নারীকে তুলে দিয়েছিল পাক সেনাদের মনোরঞ্জনের জন্য। পাশবিক লালসা নিরারণের জন্য। এক হিসেবে বলা হয়েছে অন্তত ৬ লক্ষ বিভিন্ন বয়সের নারী হানাদারদের হাতে চরমভাবে নিগৃহীত হয়েছে; অপমানিত ও লাঞ্ছিত হয়েছে। তাঁদের নির্মম অত্যাচারে বহু নারীর জীবন প্রদীপ নিভে গেছে, কেউ হয় অন্তঃসত্ত্বা।
বাংলাদেশ সরকার এদেশের 'বীরাঙ্গনা' অভিধা দেয় এবং স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নির্যাতিতাদের সব সময় 'বীরাঙ্গনা' বলে সম্মানিত করেছেন।
মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক মুনতাসীর মামুন ভুলে যাওয়া সেসব বীরাঙ্গনার মর্মস্পর্শী গাথা তুলে ধরেছেন। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অপ্রকাশিত/ প্রকাশিত ৯০ বীরাঙ্গনার বয়ান।
'বীরাঙ্গনা' বই আকারে এবারের একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হচ্ছে। উক্ত বইয়ের নির্বাচিত অংশ আজ থেকে ধারাবাহিক চতুরঙ্গ পাতায় ছাপা হচ্ছে। 

যুদ্ধে সবচেয়ে বিপন্ন নারী। যখন থেকে পৃথিবীতে যুদ্ধ শুরু হয়েছে তখন থেকেই নারীরা বিপন্ন। পরাজিতদের ওপর আক্রোশ মেটানোর জন্য বিজয়ীরা লুটপাট, হত্যার সঙ্গে ধর্ষণের বিষয়টিতেও গুরুত্ব দেয়। নারী ধর্ষিত হয়, লুণ্ঠন করা হয়, যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সবশেষে আশ্রয় মিলে হয়ত গণিকালয়ে। আমাদের নবী (দ.) থেকে জেনেভা কনভেনশন সবখানে যুদ্ধের কিছু নিয়মনীতি বেঁধে দেয়া হয়েছিল। নারী এবং শিশু নির্যাতন যাতে না হয় সে বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। কিন্তু কেউ মানেনি। সভ্য বলে যারা নিজেদের দাবি করে তারাও না। আক্রমণকারীরা দমন করার জন্য সাধারণত দুটি অস্ত্র একই সঙ্গে ব্যবহার করে, একটি গণহত্যা, অপরটি ধর্ষণ। ১৯৩২ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত জাপানী সেনারা যেখানে গিয়েছে। সেখানেই গণহত্যা ও ধর্ষণ চালিয়েছে। জাপানীদের 'নানকিং ম্যাসাকার' তো বিখ্যাত। চীন ও কোরিয়ায় জাপানীরা শুধু গণধর্ষণই নয়, নারীদের বন্দী করে রেখেছে যৌনদাসী হিসেবে, আধুনিক ভাষায় যাদের কমফোর্ট উইম্যান হিসেবে অভিধা দেয়া হয়েছে। জাপানীরা শুধু চীন কোরিয়াতেই নয়, মালয়েশিয়া ও ফিলিপাইনসেও একই কাজ করেছিল। একই সময় বেলজিয়াম ও ফ্রান্সে জার্মান বাহিনী, একই ধরনের কাজ করেছে। ১৯৭১ সালের আরও পরে বসনিয়ায় সার্বীয় বাহিনী, রুয়ান্ডায় টুটসিদের ওপর হুতুদের হত্যা ও ধর্ষণের কথা সুবিদিত। অন্তিমে, কোন জাতিকেই দমন করা যায়নি, কিন্তু অজস্র নারীর জীবনে নেমে এসেছে হাহাকার।
১৯৭১ সালে হানাদার পাকিস্তানী বাহিনী বাঙালী মহিলাদের সঙ্গে একই ব্যবহার করেছিল। গণহারে বাঙালী নারীদের ধর্ষণ করা হয়েছিল। এনিয়ে অনেক তত্ত্বকথা আওড়ানো যেতে পারে। তাত্ত্বিক কাঠামো ও নির্মাণ করা যেতে পারে কিন্তু সব কথার মূল কথা, বাঙালীদের দমনের জন্য হানাদার পাকিস্তানী বাহিনী ও তার সহযোগী রাজাকার, শান্তি কমিটির সদস্য, আলবদর, আলশামস (অধিকাংশ জামায়াতই ইসলামী ও মুসলিম লীগের সদস্য এবং অবাঙালী) দুটি অস্ত্র ব্যবহার করেছেÑ হত্যা, গণহত্যা ও ধর্ষণ। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয় এবং অনেক গবেষকও মনে করেন ধর্ষণে পাকিস্তানীদের সমকক্ষ কেউ নয়। '৭১-এ এদেশের নারীদের ওপর যৌন নির্যাতনের ব্যাপকতা এককযুদ্ধ ও সময়ের হিসেবে পৃথিবীতেও সংঘটিত সকল যৌন নির্যাতনের শীর্ষে পাকিস্তানীরা যে বাঙালীদের দমন করার জন্য পূর্বপরিকল্পিতভাবে গণহত্যা ও ধর্ষণ করেছিল তা তাদের বিভিন্ন অসতর্ক মন্তব্য ও নথিপত্র পর্যালোচনা করলে বোঝা যায়। কোন পাকিস্তানী জেনারেল বা নীতি-নির্ধারক বিষয়টি সরাসরি স্বীকার করেননি, তাতে কিছু আসে যায় না বরং তারা যে মিথ্যাবাদী সেটি প্রমাণিত হয়। তবে বিভিন্ন জনের সাক্ষাতকার বিশ্লেষণ করলে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এখানে ধর্ষণের বিষয়টি পর্যালোচনা করা যাক।
২৫ মার্চ রাতে (১৯৭১) 'অপারেশন সার্চলাইট' কার্যকর করেন মেজর জেনারেল খাদিম হুসাইন রাজা। অপারেশন সার্চলাইট পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি ও রাও ফরমান আলী। সম্প্রতি ১৯৭১ সাল নিয়ে লেখা খাদিমের আত্মস্মৃতি প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে তিনি দুটি ঘটনার উল্লেখ করেছেন।
১০ এপ্রিল একটি সভায় জেনারেল নিয়াজি উপস্থিত। সেখানে তিনি অকথ্য ভাষায় বাঙালীদের গালিগালাজ করতে লাগলেন এবং একপর্যায়ে উর্দুতে বললেন, 'ম্যায় ইস হারামজাদি কওম কী নাসাল বদল দুন গা। ইয়ে মুঝে কীয়া সামঝতি হ্যায়।' (তারা আমাকে চেনে না। আমি এ হারামজাদা জাতির চেহারা বদলে দেব।)
পরের দিন খাদিম ঢাকা ছেড়ে যাবেন। নিয়াজিকে ব্রিফ করবেন। নিয়াজি তাকে এসে বললেন, 'ইয়ার, লড়াই কী ফিকার নাহি করো, উইতো হাম কার লাই গে। আভিতো মুঝে বেংগালি গার্ল ফ্রেন্ডস কা ফোন নাম্বার দে দো' (দোস্ত, যুদ্ধ নিয়ে মাথা ঘমিয়ো না। এখন বরং তোমার বাঙালী বান্ধবীদের ফোন নাম্বারগুলি আমাকে দাও।)
এর চারদিন পরই নিয়াজি একটি গোপন চিঠি পাঠান সব কমান্ডারদের কাছে। চিঠির মূল বিষয় ছিল সৈন্যদের মধ্যে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, বিভিন্ন জায়গায় লুট ও খুন চলছে কোন কারণ ছাড়া। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন জায়গা থেকে ধর্ষণের খবর আসছে এমনকি পশ্চিম পাকিস্তানীরা রেহাই পাচ্ছে না। ১২ এপ্রিল, দুজন পশ্চিম পাকিস্তানী মহিলা ধর্ষিত হয়েছেন এবং আরও দুজনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। লুটের মাল পাঠানো হচ্ছে পশ্চিম পাকিস্তানে। নিয়াজি লিখেছেন, তার সন্দেহ অফিসাররাও ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত। এসব কার্যকলাপ সৈন্যদের দক্ষতা কমিয়ে দেয়। শুধু তাই নয়, এক সময় তাদের মহিলারাও আক্রান্ত হতে পারেন।
তার ভাষায় : It is not uncommon in history, when a battle has been lost because troops were over indulgent in loot and rape'
সতর্ক করে দিয়ে কমান্ডারদের তিনি জানিয়েছেন, কেউ যদি এ ধরনের কার্যকলাপে লিপ্ত হয় তাকে কঠোর শাস্তি দেয়া হবে।
নিয়াজির চিঠি বিভ্রান্তির সৃষ্টি করতে পারে। এ পরিপ্রেক্ষিতে যে, যিনি নিজের ধর্ষণে আগ্রহী তিনি আবার এ চিঠি লিখেছেন কীভাবে? কারণ একটিই। লুট ও ধর্ষণ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, সৈন্যদের শৃঙ্খলা আর থাকছিল না। সে জন্যই এ চিঠি । কিন্তু তিনি নিজে বাঙালীদের চেহারা বদলে দেয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করেছেন। গোপন এক প্রতিবেদনে দেখা যায় তিনি লিখেছিলেন আরও হত্যা চালাতে হবে।
There must be more killing, more mopping up and more witch huntingপাকিস্তানের হায়দ্রাবাদ থেকে মেজর আফজাল খান সকিব যশোরে কর্মরত তার বন্ধু সেনা অফিসার ইকরামকে লিখেছিলেন-
'প্রিয় বন্ধু ইকরাম
...আমি এ খবরে অবাক হই যে, রশিদ বাঙালী বাঘিনীদের পোষ মানিয়েছে।' তাদের পরবর্তী প্রজন্মকে অবশ্যই পরিবর্তন করা প্রয়োজন।... হয়ত যেকোন দিন তুমি ফজল বা আমাকে ওখানে খুঁজে পাবে। এ সময়ের মধ্যে তুমি সাবধানে সেখানে কিছু বন্য কুকুরীকে পোষ মানাবার পরিকল্পনা করো। তুমি কি অজানা আতঙ্কের সঙ্গে প্রতিদিন তোমার বিছানা, চেয়ার টেবিল এবং ড্রয়ার পরীক্ষা করো? যদি না করো তাহলে এখন থেকেই তোমার তা করা উচিত। তোমার ভৃত্য ইত্যাদি থেকে সাবধান থেকো যদি তারা ওই এলাকার হয়ে থাকে। খাদ্য গ্রহণের আগে তোমার খাবার বিড়াল ইত্যাদিকে দিয়ে আগে খাইয়ে পরীক্ষা করে নেবে। যখন হোটেল ইত্যাদি পরিদর্শনে যাবে তখন তোমার অবশ্যই সন্দিগ্ধ থাকা উচিত। আমি নিরুৎসাহিত করছি না। স্মারণ করিয়ে দিচ্ছি মাত্র।...

তোমার প্রিয়
সাকিব
১৯৭১ সালে যারা নীতি নির্ধারণের সঙ্গে জড়িত ছিলেন সে রকম অনেক পাকিস্তানীর সঙ্গে আলাপ করেছি। এর বাইরে সাংবাদিক, বামপন্থী রাজনীতিবিদদের সঙ্গেও আলাপ হয়েছে। এদের মধ্যে একজন হলেন এমএ নকভী। তিনি ছিলেন পাকিস্তানের প্রখ্যাত কলামিস্ট। তাঁকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে নকভী অকম্পিত স্বরে বললেস, 'পাকিস্তানী বাহিনী ছিল বিশৃৃঙ্খল, লুটেরা বাহিনী, এরা লুট করেছে। ধর্ষণ থেকে শুরু করে সব রকমের অপরাধ করেছে। এ সেনাবাহিনী কত বোধহীন ছিল তার প্রমাণ জেনারেল টিক্কা খানের ঢাকা থেকে ফেরার পর সাংবাদিকরা যখন লুট ও হত্যা নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন তখন তিনি বলেছিলেন ধর্ষণের সংখ্যাটি অতিরঞ্জিত। মাত্র তিন হাজার মহিলা ধর্ষিত হয়েছে।' ক্রোধে নকভীর গলার স্বর কাঁপছিল। টিক্কা, ইয়াহিয়া, নিয়াজি, ভুট্টো সবাই এর সঙ্গে যুক্ত।' তিনি আরও বলেছিলেন, নিজ দেশের সৈন্য যদি নিজ দেশের একজন নারীকেও ধর্ষণ করে তাহলেও সেটি জঘন্য এক অপরাধ।
পাকিস্তানী এ নীতির কথা বলেছিলেন বিখ্যাত ভারতীয় ঔপন্যাসিক মূলক রাজ আনন্দ। ১৯৭২ সালে তিনি যা বলেছিলেন, তাঁর মূল কথা হলো 'নতুন একটি জাতি সৃষ্টির জন্য পশ্চিম পাকিস্তানীরা এ নীতি গ্রহণ করেছিল।'
[Rapes were so systematic and pervasive that they had to be conscius Army policy. Planned by the West Pakistanis in a deliberate effort to create a new race or to dilute Bengali nationalism.]
যুদ্ধোত্তর পুনর্বাসনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ডা. ডেভিস যার কথা পরে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করেছি। এক সাক্ষাতকারে তিনি জানিয়েছিলেনÑ
'প্রশ্ন : তারা নারী ধর্ষণের ব্যাপারটা কীভাবে জায়েজ করার চেষ্টা করেছে?
জেফ্রি : ওরে বাপস! তাদের ওপর টিক্কা খানের এক প্রকার আদেশ বা নির্দেশই ছিল যে, একজন সাচ্চা মুসলমান তার বাবা ছাড়া আর সবার সঙ্গেই লড়াই করবে। কাজেই তাদের যা করতে হবে তাহলো যতটা পারা যায় বেশিসংখ্যক বাঙালী নারীকে গর্ভবতী করা। এটাই ছিল তাদের কাজের পেছনের তত্ত্ব।' 
আমরা যেসব কেস স্টাডিগুলোর বর্ণনা করেছি তাতে এ বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়। দেখা যাবে, ধর্ষণগুলোর একটা প্যাটার্ন আছে। তবে যে বিষয়টি স্পষ্ট, তাহলো পাকিস্তানের দমন নীতির একটি হাতিয়ার ছিল ১. ধর্ষণ ২. ধর্ষণের মাধ্যমে 'নতুন জাতির সৃষ্টি' যাতে বাঙালী জাতীয়তাবাদ আর মাথাচাড়া দিয়ে না ওঠে; ৩. কলোনির অধস্তন মানুষ হিসেবে যেনতেন ব্যবহার। যেন মানুষ মানুষ নয়, সামগ্রী মাত্র; ৪. জৈব আকাক্সক্ষা মেটানোর রাস্তা এবং এক রকম প্রতিশোধ স্পৃহা যা প্রথম ও দ্বিতীয়টির সম্পূরক। (চলবে)
বৃহস্পতিবার, ৩১ জানুয়ারী ২০১৩, ১৮ মাঘ ১৪১



১৯৭১: বীরাঙ্গনা অধ্যায়

ক্যাটাগরী: 

***
"একাত্তরে মা-বোনদের সম্ভ্রম নষ্টকারী, হত্যাকারী সেইসব ঘৃণিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই"
***