নিজামীর মৃত্যুদন্ড বহাল রেখে আপিল বিভাগের দেয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
ঢাকা : জামায়াতের আমীর মতিউর রহমান নিজামীকে মৃত্যুদন্ড বহাল রেখে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের দেয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে।রায় প্রদানকারী বিচারপতিদের স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে এ রায় আজ প্রকাশ করা হয়। সুপ্রিমকোর্টের ওয়েভসাইটেও নিজামীর পূর্ণাঙ্গ রায় আপলোড করা হচ্ছে।প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ গত ৬ জানুয়ারি জনাকীর্ণ আদালতে জামায়াতের এ শীর্ষ নেতার বিষয়ে রায়ের সংক্ষিপ্ত অংশ প্রকাশ করে। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম তার প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের বলেন, 'যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামীর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। কাল থেকে ১৫ দিনের মধ্যে আসামী পক্ষ রিভিউ দায়ের না করলে মৃত্যুদন্ড কার্যকরে আর কোন বাধা থাকবে না।'তিনি বলেন, নিজামী মুক্তিযুদ্ধকালীন সর্বপাকিস্তানের ছাত্র সংঘের নেতা ছিলেন। ওই সময়ে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র সংঘের সভাপতি ছিলেন মুজাহিদ ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মীর কাসেম আলী। ছাত্র সংঘের নেতৃবৃন্দ ও সদস্যদের নিয়েই পাক সহযোগী বাহিনী হিসেবে আল-বদর বাহিনী গঠিত হয়েছিল।
এটর্নি জেনারেল বলেন, নিজামী, মুজাহিদ ও মীর কাসেম তিনজনই ছিলেন আল-বদর কমান্ডার। নবচেয়ে বড় কমান্ডার ছিলেন নিজামী।মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছিল। সে মামলার শুনানি শেষে ৬ জানুয়ারি সংক্ষিপ্ত রায় প্রকাশ করা হয়।এর আগে গত ৮ ডিসেম্বর নিজামীর আপিল মামলায় একাদশতম দিনের মতো শুনানি হয়। এ আপিল মামলার শুনানি গত বছর ৯ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ৮ ডিসেম্বর শেষ হয়। ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আসা এটি ষষ্ঠ মামলা, যার চূড়ান্ত রায় হল। এর আগে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আনা আরো ৫টি মামলা আপিলে নিস্পত্তি হয়েছে।
বাংলাদেশের মন্ত্রিপরিষদে দায়িত্ব পালনকারী তৃতীয় কোন মন্ত্রী ৭১'এ সংগঠিত মানবতাবতাবিরোধী অপরাধে সর্বোচ্চ দন্ড পেয়েছে। এর আগে সাবেক মন্ত্রী জামায়ায়াতের আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও বিএনপি'র সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছে।২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর রায় ঘোষণা করে ট্রাইব্যুনাল। এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ২৩ নভেম্বর আপিল দায়ের করেন তিনি। ৬ হাজার ২৫২ পৃষ্ঠার ডকুমেন্ট পেশ করে তাতে ১৬৮টি কারণ উল্লেখ করে দন্ড থেকে খালাস চেয়ে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় 'এডভোকেট অন রেকর্ড' জয়নুল আবেদীন তুহিন এ আপিলটি দাখিল করেন। ১২১ পৃষ্ঠায় মূল আপিল আবেদনের সঙ্গে ৬ হাজার ২৫২ পৃষ্ঠার নথিপত্র দাখিল করা হয়েছে। মূল আপিলে ১৬৮ টি 'গ্রাউন্ড' পেশ করে দন্ড থেকে খালাস চাওয়া হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালে এ মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) আব্দুর রাজ্জাক খানসহ প্রসিকিউশনের পক্ষে মোট ২৬ জন এ মামলায় সাক্ষ্য দেন। নিজামীর পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দেন তার ছেলে মো. নাজিবুর রহমানসহ মোট ৪জন।২০১০ সালের ২৯ জুন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের একটি মামলায় মতিউর রহমান নিজামীকে গ্রেফতার করার পর একই বছরের ২ আগস্ট তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম তার প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের বলেন, 'যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামীর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। কাল থেকে ১৫ দিনের মধ্যে আসামী পক্ষ রিভিউ দায়ের না করলে মৃত্যুদন্ড কার্যকরে আর কোন বাধা থাকবে না।'তিনি বলেন, নিজামী মুক্তিযুদ্ধকালীন সর্বপাকিস্তানের ছাত্র সংঘের নেতা ছিলেন। ওই সময়ে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র সংঘের সভাপতি ছিলেন মুজাহিদ ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মীর কাসেম আলী। ছাত্র সংঘের নেতৃবৃন্দ ও সদস্যদের নিয়েই পাক সহযোগী বাহিনী হিসেবে আল-বদর বাহিনী গঠিত হয়েছিল।
এটর্নি জেনারেল বলেন, নিজামী, মুজাহিদ ও মীর কাসেম তিনজনই ছিলেন আল-বদর কমান্ডার। নবচেয়ে বড় কমান্ডার ছিলেন নিজামী।মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছিল। সে মামলার শুনানি শেষে ৬ জানুয়ারি সংক্ষিপ্ত রায় প্রকাশ করা হয়।এর আগে গত ৮ ডিসেম্বর নিজামীর আপিল মামলায় একাদশতম দিনের মতো শুনানি হয়। এ আপিল মামলার শুনানি গত বছর ৯ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ৮ ডিসেম্বর শেষ হয়। ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আসা এটি ষষ্ঠ মামলা, যার চূড়ান্ত রায় হল। এর আগে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আনা আরো ৫টি মামলা আপিলে নিস্পত্তি হয়েছে।
বাংলাদেশের মন্ত্রিপরিষদে দায়িত্ব পালনকারী তৃতীয় কোন মন্ত্রী ৭১'এ সংগঠিত মানবতাবতাবিরোধী অপরাধে সর্বোচ্চ দন্ড পেয়েছে। এর আগে সাবেক মন্ত্রী জামায়ায়াতের আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও বিএনপি'র সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছে।২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর রায় ঘোষণা করে ট্রাইব্যুনাল। এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ২৩ নভেম্বর আপিল দায়ের করেন তিনি। ৬ হাজার ২৫২ পৃষ্ঠার ডকুমেন্ট পেশ করে তাতে ১৬৮টি কারণ উল্লেখ করে দন্ড থেকে খালাস চেয়ে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় 'এডভোকেট অন রেকর্ড' জয়নুল আবেদীন তুহিন এ আপিলটি দাখিল করেন। ১২১ পৃষ্ঠায় মূল আপিল আবেদনের সঙ্গে ৬ হাজার ২৫২ পৃষ্ঠার নথিপত্র দাখিল করা হয়েছে। মূল আপিলে ১৬৮ টি 'গ্রাউন্ড' পেশ করে দন্ড থেকে খালাস চাওয়া হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালে এ মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) আব্দুর রাজ্জাক খানসহ প্রসিকিউশনের পক্ষে মোট ২৬ জন এ মামলায় সাক্ষ্য দেন। নিজামীর পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দেন তার ছেলে মো. নাজিবুর রহমানসহ মোট ৪জন।২০১০ সালের ২৯ জুন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের একটি মামলায় মতিউর রহমান নিজামীকে গ্রেফতার করার পর একই বছরের ২ আগস্ট তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
মীর কাসেমের ফাঁসির রায় বহাল | আদালত | The Daily Ittefaq
আলোচিত মীর কাসেমের চূড়ান্ত রায় মঙ্গলবার
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 2016-03-07 22:19:15.0 BdST Updated: 2016-03-08 00:49:34.0 BdST
আলবদর নেতার ফাঁসি কার্যকর
ট্রাইব্যুনালে ফাঁসির রায়: আপিল বিভাগে বিচারাধীন
মতিউর রহমান নিজামী
জামায়াতের আমির
মুজাহিদ
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল
মুহাম্মদ আবদুস সুবহান
জামায়াতের নায়েবে আমির
আজহারুল
জামায়াতের সহ. সেক্রেটারি জেনারেল
মীর কাসেম
জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য
সাকা চৌধুরী
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য
সৈয়দ মো. কায়সার
জাতীয় পার্টির নেতা
মোবারক হোসেন
সাবেক আ.লীগ নেতা
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/501568/
আলবদর-নেতার-ফাঁসি-কার্যকর
বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০১৪, ২৮ কার্তিক ১৪২১
Avgv‡`i mgq.Kg : 03/11/2014
http://www.amadershomoys.com/newsite/2014/11/03/136903.htm#.VFfOmjTF8-0
Source: উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
__._,_.___