Banner Advertiser

Friday, May 22, 2015

[mukto-mona] পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য,মানবিক কারণেই পাবলিক টয়লেট তৈরীতে বিশেষ পদক্ষেপ জরুরী



পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য,মানবিক কারণেই  পাবলিক টয়লেট তৈরীতে বিশেষ পদক্ষেপ জরুরী

মানুষ জনসমাগমের স্থানে বা প্রকাশ্য স্থানে বসে-শুয়ে থাকতে পারে, অবস্থান করতে পারে; কিন্তু ইস্তিঞ্জা করতে পারে না। কিন্তু এমন একটি অতীব জরুরী বিষয়ে গণতন্ত্রের বিধানে কোনো গুরুত্ব নেই। অথচ যত্রতত্র ইস্তিঞ্জা করায় পবিত্রতা নষ্ট হয়। 'পবিত্রতা' সম্মানিত ঈমান উনার অঙ্গ। তাই একটি আদর্শ শহরে পর্যাপ্ত সংখ্যক পাবলিক টয়লেট বা হাম্মামখানা থাকা জরুরী।
পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য,মানবিক কারণেই সরকারকে পাবলিক টয়লেট বিষয়ে বিশেষ পদক্ষেপ জরুরীজানা গেছে, রাজধানীতে অবস্থানকারী হাজার হাজার ভাসমান মানুষ সন্ধ্যার পর থেকে রাতে ইস্তিঞ্জা করে থাকে। রাজধানীর রাস্তা, ফুটপাত ও খোলা স্থানে অবস্থানকারী, ভাসমান মানুষ, ফকির, পাগল, ভবঘুরে, কুলি-মজুর, রিকশাচালকদের অনেকেই রাতের আঁধারে খোলা স্থানে এ কাজটি করছে। রাজধানীর যেসব এলাকায় ভাসমান ও ছিন্নমূল মানুষের চাপ বেশি, সেসব এলাকায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকা, খোলা স্থানে ইস্তিঞ্জা করায় পরিবেশ নষ্ট হওয়া ও পবিত্রতা নষ্ট হওয়া সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সচেতনতার অভাব এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও অবহেলার কারণে এ ঘটনা ঘটছে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর এক কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষের ৫০ শতাংশই থাকে বিভিন্ন বস্তিতে। সম্প্রতি জাতীয় সংসদে উত্থাপিত এক প্রশ্নের জবাবে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম জানিয়েছে, বর্তমানে ঢাকা শহরে বস্তির সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার ৭২০টি। বস্তিবাসীর সংখ্যা প্রায় ৬০ লাখ। এছাড়া রাস্তাঘাটে চলা ভাসমান মানুষের সংখ্যাও কম নয়। এদের যেমন নেই নাগরিক অধিকার, তেমনি নেই পর্যাপ্ত ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট। এই ৬০ লাখেরও বেশি মানুষের জীবন-জীবিকা ও অধিকার নির্বোধ রাষ্ট্রযন্ত্রের বিবেচনায় থাকে না। নদীভাঙন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, কর্মসংস্থানের অভাব, গ্রামে চরম দারিদ্র্যের সাথে সংগ্রাম করে হাজার হাজার মানুষ শহরে এসে কেউ বস্তিবাসী, ছিন্নমূল ও ভাসমান মানুষে পরিণত হচ্ছে।
ঢাকাসহ সারাদেশে পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা এত কম যে, এগুলোর অবস্থান কারো তেমন একটা চোখে পড়ে না। ইউনিসেফের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১১ সালে দেশের মোট জনসংখ্যার ২৮ ভাগ নগরীতে বাস করছে, যা ৪ কোটি ১৭ লাখ। বর্তমানে এ সংখ্যা ৫ কোটি ছাড়িয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট বিভাগীয় শহরসহ গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে বসবাসরত কয়েক কোটি নাগরিকের ব্যবহারের জন্য সর্বমোট মাত্র ১৭৩টি পাবলিক টয়লেট রয়েছে, যা অবিশ্বাস্য বটে। তাছাড়া এগুলোর বেশিরভাগই ব্যবহারের অযোগ্য। কাগজে-কলমে ১৭৩ পাবলিক টয়লেট থাকলেও অনেকগুলোই বাস্তবে চোখে পড়ে না। ক্ষমতাবানরা দখল করে টয়লেট ভেঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করছে- এমন নজিরও কম নয়। অনেক টয়লেট পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তাছাড়া স্থান থাকা সত্ত্বেও নতুন কোনো পাবলিক টয়লেট স্থাপনে সরকারের তেমন কোনো আগ্রহও দেখা যায় না। স্বাধীনতা পরবর্তী কোনো সরকারই পাবলিক টয়লেট সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসেনি। প্রতিনিয়ত এ অবস্থার অবনতি ঘটছে।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, ঢাকার সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মোট ৬৯টি পাবলিক টয়লেট রয়েছে। সে হিসেবে প্রায় পৌনে দুই লাখ মানুষের জন্য গড়ে একটি করে শৌচাগার রয়েছে। যার মধ্যে পাঁচটি মোটামুটি ব্যবহার উপযোগী। দুটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে, দশটি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে, দশটিতে কোনো সেবা নেই। এরপরে টয়লেটে মেয়েদের এখন আর আলাদা ব্যবস্থা নেই। ৫০ ভাগ টয়লেটে নিয়মিত পানি থাকে না। ৭০ ভাগে প্রয়োজনীয় আলোর ব্যবস্থা নেই।
নোংরা ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে টার্মিনালগুলোর পাবলিক টয়লেট কেউ ব্যবহার করতে চায় না। তাছাড়া পরিবহন সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের দখল, টয়লেট এলাকায় গাড়ির ধোঁয়াসহ নানা প্রতিবন্ধকতায় টয়লেটে যাওয়াই কঠিন। বিশেষ করে মহিলা ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছে টার্মিনালে টয়লেট ব্যবহারে।
তবে টয়লেটের অবস্থা যত খারাপই হোক না কেন, ইজারাদাররা টাকা নেয়ার ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। বরং তারা সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত রেটের চেয়েও বেশি টাকা আদায় করে।
নিয়ম অনুযায়ী বড় ইস্তিঞ্জার জন্য ৩ টাকা এবং ছোট ইস্তিঞ্জার জন্য ২ টাকা করে আদায় করার কথা। কিন্তু আদায় করা হচ্ছে গড়ে ৫ টাকা করে।
এর সঙ্গে হাত-মুখ ধুলে আরো দুই টাকাসহ মোট দিতে হয় ৭ টাকা। এটা সাধারণ মানুষদের জন্য অনেক বড় যুলুম হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য এবং অর্থনীতির উপর নেতিবাচক প্রভাব রোধে পাবলিক টয়লেট বিষয়ে বিশেষ পদক্ষেপ জরুরী। যেমন- পাবলিক টয়লেট বিষয়ক সুষ্ঠু নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা, প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মার্কেট, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ঐতিহ্যবাহী স্থান, বাস-রেল-লঞ্চ টার্মিনাল, হাসপাতাল পাবলিক হল, সভাস্থল, গোরস্থান, অস্থায়ী বাজার ইত্যাদি স্থানে পর্যাপ্ত পরিমাণে স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেটের ব্যবস্থা করা। এছাড়া রেল, নৌ ও অন্যান্য পরিবহনের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নত করা, সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে গণসচেতনতা বৃদ্ধিকল্পে বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে পাবলিক টয়লেট ব্যবহার বিষয়ে প্রচারণা বৃদ্ধি ও প্রতিটি জেলা শহরের জনসংখ্যা অনুপাতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পাবলিক টয়লেট উপযুক্ত স্থানে স্থাপন করা, প্রতিটি টয়লেটে পানি, সাবান, তোয়ালে, টয়লেট টিস্যু/ক্লথ ইত্যাদির পর্যাপ্ত পরিমাণ নিশ্চিত করাসহ অন্যান্য অস্থায়ী স্থানে যেখানে জনসমাগম বেশি সেখানে 'মোবাইল টয়লেট'-এর ব্যবস্থা করা। পাবলিক টয়লেট নোংরা, অপরিচ্ছন্ন এবং অন্যান্য সুবিধা না থাকার প্রেক্ষিতে ইজারা বাতিল বা শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বর্তমান কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের দাবিদার গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার- এ বিষয়টি সম্পর্কে জাহেল (তথা অজ্ঞ ও উদাসীন) থাকলেও সম্মানিত ইসলামী খিলাফতে কিন্তু ঠিকই এর বিশেষ নজির রয়ে গেছে। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দ্বিতীয় খলীফা, আমীরুল মু'মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ'যম আলাইহিস সালাম উনার খিলাফতকালে ছোট সুফতাত শহরে মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন ৩৬টি। কিন্তু হাম্মামখানা নির্মাণ করেছিলেন ১১৭০টি। সুবহানাল্লাহ!
ঢাকা শহরে মসজিদগুলোর ইস্তিঞ্জাখানা কেবল নামাযের সময় খোলা হয়। যা সাধারণের হাজত পূরণে বাধা। মানবিক কারণেই সরকারকে এ সমস্যা সমাধানে সক্রিয় হতে হবে।


__._,_.___

Posted by: Abdullah Haider <monrosu1@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] Fw: PICTURE TELLS THE TRUTH --Part 2 !!!!!





On Friday, May 22, 2015 11:18 PM, Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com> wrote:



ছবিটি ভালো করে দেখুন। এটি সিরিয়া ,ইরাক বা আফগানিস্তানে কোনো আত্মঘাতি বোমা আক্রমনের চিত্র নয়। খোদ আমাদের ঢাকা শহরের ছবি এটি ! ২০০৪ সালের ২১ শে আগস্ট আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দ্যেশে এক পৈশাচিক গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল তত্কালীন বিএনপি সরকার। মহিলানেত্রী আই ভি রহমান সহ ২৪ টি তরতাজা প্রাণ অকালে ঝরে যায় 'সেই কালো দিনে' ! সেই দিন কোথায় ছিল মানবতা কমিশন , কোথায় ছিল সুশীল সমাজ ? আজ খালেদা জিয়ার সমাবেশে যদি এই ধরনের হামলা হতো , খালেদা জিয়ার কানের পর্দা যদি ফেঁটে যেতো , তা হলে জননেত্রী আর আওয়ামী লীগ সরকারের 'মন্ডুপাত' করত বিশ্ব মানবতা কমিশন , সুশীল সমাজ আর তাদের তল্পিবাহক মিডিয়া গ্রুপ।
Muhammad Ali Manik's photo.





__._,_.___

Posted by: Muhammad Ali <man1k195709@yahoo.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] বিএনপির হঠাৎ ভারতপ্রীতি!



বিএনপির হঠাৎ ভারতপ্রীতি!

তারিখ: ২৩/০৫/২০১৫
  • মুহম্মদ শফিকুর রহমান

ভারতের বিজেপি সরকারের প্রধান শ্রী নরেন্দ্রনাথ মোদির বাংলাদেশ সফরকে বিএনপি স্বাগত জানাবে বলে খবর হয়েছে। আগামী মাসের প্রথমদিকে শ্রী মোদির বাংলাদেশ সফর করার কথা। বিএনপির এ সিদ্ধান্তকে বোধোদয় বলব না মতিভ্রম বলব, নাকি চক্রান্ত বলব? যে বিএনপি এতদিন ভারতবিরোধী কার্ড খেলে বাংলাদেশের একশ্রেণীর 'খারাপ মানুষ'কে দলে টেনেছে, তাদের ভোট নিয়ে সরকার গঠন করেছে, সেই বিএনপির মুখে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানো ভূতের মুখে রাম নামই বলতে হবে। এতে দলটির ভারতবিরোধী হম্বিতম্বি ভাব আর থাকল না। একটি রাজনৈতিক দল যত দীর্ঘায়ু হবে ততই অভিজ্ঞতার আলোকে সকল প্রকার পশ্চাদপদতা ঝেড়ে ফেলতে ফেলতে আধুনিক ভবিষ্যতের দিকে যাবে এটাই স্বাভাবিক অথচ দলটির জন্ম থেকে গত সাড়ে তিন দশক ধরে এক জায়গায়ই দাঁড়িয়ে আছে, আদর্শিকভাবে স্ববিরোধিতার আবর্তে আটকা পড়ে আছে। গণতন্ত্র আধুনিক সমৃদ্ধ রাষ্ট্র ব্যবস্থার অন্যতম প্রধান নীতি, যাতে কুশিক্ষা কূপম-ূকতার কোন স্থান নেই অথচ দলটি প্রথমদিন থেকেই (জিয়ার আমল থেকে) পবিত্র ধর্মের নামে রাজনীতি করে চলেছে। দলটির গঠনতন্ত্রের 'লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য' (Objectives and aim) সম্পর্ক হয়েছে 'এমন একটি সুস্থ পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে যাতে করে সাধারণ মানুষের মনে গণতন্ত্রের শেকড় গ্রথিত হয় (To create such a healthy environment where democracy will each the mind of the common people) দলটির গণতন্ত্রের কথা ঠিক ভারত বিরোধিতার মতোই স্ববিরোধী। এই যেমন দলের প্রধানের পদবি হলো চেয়ারপার্সন (Chairperson), এটি বিদেশী ভাষা এবং এই পদবির ব্যবহার কোনভাবেই common people বা সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা নয়, বরং 'চেয়ারপার্সন' বলে দলীয় প্রধানকে সাধারণ মানুষ থেকে ধরাছোঁয়ার বাইরে রাখা হয়েছে। আবার ডাকা হয় 'ম্যাডাম' বলে, যা তাঁকে 'মনিব' এবং জনগণকে 'চাকরের' পর্যায়ে ঠেলে দেয়া হয়েছে। চেয়ারপার্সনের ক্ষমতাও অসীম। Chairperson পার্টির প্রধান নির্বাহী এবং তিনি দলের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ, মনিটর এবং সমন্বয় সাধন করবেন। এ লক্ষ্যে দলের জাতীয় কাউন্সিল, স্থায়ী কমিটিসহ সকল কমিটির ওপর একচ্ছত্র ক্ষমতা ভোগ করেন এবং ঐ সব কমিটি ইচ্ছে করলে ভেঙ্গে দিতে পারেন বা যে কারও বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারেন। (The chairperson as the chief executive of the party and for this will have full authority over national council, standing committee, executive committee ... if necessary can take punitive measures against the members of the above committee... if necessary can cancel national council, national standing committee... ).
পার্টি গঠনতন্ত্রের এই কথাগুলো এ জন্যে উল্লেখ করলাম যে, একদিকে গণতন্ত্রের কথা বলব অথচ দলীয় প্রধানকে দ মুে র কর্তা বানানো হবে, দুটো এক সঙ্গে চলতে পারে না। ভারতবিরোধিতার কথা বলবে আবার 'তলে তলে ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ করবে, এটি মোনাফেকী ছাড়া কিছুই নয়। মানুষকে ধারণা দেয়া হবে বিএনপি একটি ভারতবিরোধী দল অথচ বাস্তবতা হলো সম্পূর্ণ বিপরীত। জন্মলগ্ন থেকে এভাবে বিএনপি ভেতরে যাই থাকুক ওপরে ওপরে ভারত বিরোধিতার একটা ভ-ামি করে আসছে। বস্তুত সুযোগ পাচ্ছে না বলে অর্থাৎ ভারতের শাসকদলগুলো ওদের বিশ্বাস করে না বলেই মান বাঁচাতে বিরোধী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। যেমন একটি উদাহরণ দিচ্ছি খালেদা জিয়া একবার ভারতে সরকারী সফর শেষে দেশে ফিরলে বিমানবন্দরে সাংবাদিকরা 'গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি' সম্পর্কে কোন আলোচনা হয়েছে কিনা প্রশ্ন করলে উত্তরে তিনি বলেছিলেন, 'ওহ আমি তো ভুলেই গেছিলাম।' শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করে ক্ষমতায় আসার পর ভারতের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ৩৩ হাজার কিউসেক পানির নিশ্চয়তাসহ ৩০ বছরমেয়াদী গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি করেন এবং ৩০ বছর পার হলে অটোমেটিক মেয়াদ বৃদ্ধি পাবেÑ খালেদা জিয়া এই চুক্তিকে বললেন 'নতজানু চুক্তি' এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিকিয়ে দেয়া হয়েছে। একইভাবে শেখ হাসিনা যখন ১৯৮৭ সালে 'পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি' করলেন, তখন খালেদা জিয়া বললেন, এই চুক্তির ফলে ফেনী পর্যন্ত ভারত হয়ে যাবে। 
কথাগুলো এ জন্যে বললাম যে, এই দলটি মূলত পাকিস্তানের অর্থে-অস্ত্রে লালিত রাজনৈতিক সংগঠন। আর তাই মুখে যত গণতন্ত্রী বা জাতীয়তাবাদী বলে দাবি করুক ভেতরে ভেতরে কিন্তু চরম সাম্প্রদায়িক এবং জঙ্গী। যে কারণে পাকিস্তানের নির্দেশে একাত্তরের রাজাকার-আলবদর তথা জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে খালেদা জিয়ার এতটুকু খারাপ লাগে না। তার দল তো গঠিতই হয়েছে রাজাকার-আলবদরদের নিয়ে। দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াই তো মুসলিম লীগ-ভাসানী ন্যাপকে কোমা থেকে তুলে এনে প্রাণ দিয়েছিলেন। শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী, আলিম-মান্নানকে মন্ত্রী বানিয়েছিলেন, গোলাম আযমকে পাকিস্তান থেকে এনে আবার জামায়াতী রাজনীতি চাঙ্গা করার ব্যবস্থা করে গেছেন। খালেদা সেই পথেই চলছেন। জিয়া ২৫ মার্চও পাকিস্তানী সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাসে নিয়োজিত ছিলেন, যে অস্ত্র আনা হয়েছিল বাঙালীদের মারার জন্য। আর খালেদা তো যুদ্ধের ৯ মাস আরাম-আয়েশে ক্যান্টনমেন্টে কাটিয়েছেন। তাই তো খালেদা তাঁর স্বামী থেকে একধাপ এগিয়ে হিজবুল মুজাহিদীন, হিযবুত তাহ্রীর, হেফাজত, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম ইত্যাদি বানাবেন এতে অবাক হওয়ার কী আছে? দেশে এই জঙ্গীদের পৃষ্ঠপোষকতা দেবে, নাশকতা করার জন্য ভারতে পাঠাবেন, আবার প্রকাশ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে স্বাগত জানাবেন, এই হিপোক্রেসিই তো বিএনপির নীতি। এটাই বিএনপি, এটাই খালেদা জিয়া। 
এভাবে দলটির মোনাফেকির অনেক উদাহরণ দেয়া যাবে। লেখার কলেবরও বেড়ে যাবে। তাই আমার ব্যক্তিগত একটি অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে চাই। বঙ্গবন্ধুকন্যা আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যিনি বর্তমান বিশ্ব নেতৃত্বের প্রথম কাতারে উঠে এসেছেন, তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের সকল সূচকে বিস্ময়কর উত্থান ঘটেছে বলে পশ্চিমা দুনিয়াও অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে, সেই তিনিই আমাকে সাংবাদিকতা জগত থেকে তুলে নিয়ে ২০০১ সালের অক্টোবরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দিয়ে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামান। নির্বাচনী প্রচারে সবচে' কার্যকর প্রক্রিয়া হচ্ছে উঠোন বৈঠক। এমনি এক বড় বাড়িতে অর্থাৎ অনেক ভোটের এক বাড়িতে উঠোন বৈঠকে আমি নারীদের দরজার আড়াল থেকে প্রশ্ন করার (যদি থাকে) জন্য আহ্বান জানাই। তখন নারীদের পক্ষ থেকে কয়েকটি প্রশ্ন করা হয়, সে সময় খালেদা জিয়া তাঁর নির্বাচনী প্রচারে সারাদেশে চষে বেড়াচ্ছিলেন। আমি সে সবের উত্তর এভাবে দেই, যেমন- 
প্রশ্ন : আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে বাংলাদেশ ভারত হয়ে যাবে?
উত্তর : ১৯৯৬-২০০১ এই ৫ বছর আওয়ামী লীগ আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল, বাংলাদেশ কি ভারত হয়ে গেছে? হয়নি অর্থাৎ খালেদা জিয়া মিথ্যে বলছেন। 
প্রশ্ন : আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে মসজিদে তালা পড়বে, আজানের বদলে উলুধ্বনি হবে...?
উত্তর : ঐ ৫ বছর কি মসজিদে তালা পড়েছিল? কোথাও, কোন মসজিদে কি আজানের বদলে উলুধ্বনি পড়েছে? পড়েনি। অতএব, এটিও খালেদা জিয়ার মিথ্যা প্রচার। 
বস্তুত জিয়া ছিল মিলিটারি সৈনিক, বন্দুকের নলের জোরে ক্যু করে ক্ষমতায় এসে তারপর গড়হবু রং হড় ঢ়ৎড়নষবস বলে টাকা ছিটিয়ে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ব্যবহার করে বিএনপি নামক এই খিচুড়ি বানিয়েছিলেন। জিয়া নিহত হওয়ার পর বিচারপতি সাত্তার চেয়ারম্যান এবং খালেদা জিয়া ভাইস-চেয়ারপার্সন হন। লক্ষ্য শেখ হাসিনার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দাঁড় করানো। শিক্ষার পরিধি মাধ্যমিক না পেরুলেও জেনারেলের স্ত্রী ম্যাডাম তো, তাতেই চলবে। কিন্তু বাদ সাধলেন বিচারপতি সাত্তার। তিনি কিছুতেই পদ ছাড়ছিলেন না। তারপর একদিন মেজর জেনারেল মাজেদুল হক ও কর্নেল জাফর ইমাম দুই মিলিটারি সাত্তার সাহেবের ধানমি র বাড়িতে গিয়ে অস্ত্র উঁচিয়ে তাঁকে পদত্যাগে বাধ্য করান। খালেদা হয়ে যান চেয়ারপার্সন অর্থাৎ খালেদাও জিয়ার মতো মিলিটারি ক্যুর মাধ্যমেই দলীয় ক্ষমতার শীর্ষে আরোহণ করেছিলেন। একশ্রেণীর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাংবাদিক, অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধে অবদানহীন সুশীল বা বুদ্ধির ফেরিওয়ালারা আহা বেশ বেশ বলে ওই সব অপকর্ম সমর্থন করেছেন, এখনও এমাজউদ্দিন, শাহিদুজ্জামান, বদি মজুমদার, আসিফ নজরুলরা করে চলেছেন। তাও সুশীল সমাজ বা ঈরারষ ঝড়পরঃরু নাম দিয়ে। এদের সম্পর্কে দেশের প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. আবুল বারাকাত একটি 'কম দামের বড় কাগজে' বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছেন। এরপর আর কিছু বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। 
বিএনপি যে দেশপ্রেমবিবর্জিত এবং হিপোক্র্যাট একটি দল তার প্রমাণ এরা '৭৫-পরবর্তী ৪০ বছর ধরে 'মুজিব-ইন্দিরা' স্থলসীমান্ত চুক্তিকে (খইঅ)' 'গোলামির চুক্তি' বলে আসছিল। আজ যখন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কংগ্রেস আমল থেকে শুরু করে বর্তমান ভারতের বিজেপি সরকারের সঙ্গে বিশেষ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্রনাথ মোদির সঙ্গে আলোচনা করে স্থলসীমানা চুক্তিকে ভারতের লোকসভা ও রাজ্যসভা উভয় পার্লামেন্টে সর্বসম্মতভাবে অনুমোদন করিয়ে আনলেন, যা সেই পাকিস্তান আমল থেকে আমাদের জন্য এক অমীমাংসিত সমস্যা হয়ে আসছিল। বিগত ৬ দশকেরও অধিককাল ধরে যা মুজিব-ইন্দিরা চুক্তির ধারাবাহিকতায় সমাধানের চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত এবং আগামী মাসে মোদির বাংলাদেশ সফরকালে সমাপ্ত হবে, তখন বিএনপি স্বাগত জানাচ্ছে নরেন্দ্র মোদিকে। বাংলাদেশ সরকার বা প্রধানমন্ত্রীর নামও নিচ্ছে না। নেবে কেমন করে, কোন্ মুখে, গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি, পার্বত্য শান্তি চুক্তি, সমুদ্র বিজয় বা সমুদ্র সীমানা নির্ধারণ হয়ে গেল এবং এখন হচ্ছে স্থল সীমানার (খইঅ) সমাধান, সবই হচ্ছে শেখ হাসিনার সাহসী, দূরদর্শী নেতৃত্ব ও কূটনীতির সাফল্য হিসেবে। এখন তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তিও সমাধানের পথে অথচ জিয়া বা খালেদা এমন একটি অর্জনও কি দেখাতে পারবেন, সবই তো লবডংকা। সুন্দর চেহারা দিয়ে সব জয় করা যায় না, মেধা লাগে। কাজেই শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাবেন কোন্ মুখে? মোদির দল কংগ্রেসের প্রতিদ্বন্দ্বী, ভারতবিরোধী নয়, এটা খালেদার মেধা দিয়ে জানার কথা নয় বলে মোদির নির্বাচনের ফল প্রকাশের প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগেই তাঁকে অভিনন্দন জানালেন, পলিটিক্যাল খিচুড়ি বিএনপি আর রাজাকার-আলবদর, জামায়াত-শিবির নেতারা দিল্লী দৌড়ালেন, ভাবলেন এবার বন্ধু পাওয়া গেছে, আওয়ামী লীগকে শায়েস্তা করা যাবে, কিন্তু নির্বোধরা জানে না, সোনিয়া-মোদির কাছে ভারতের স্বার্থ সবার আগে। তাই তারা জানে প্রতিবেশী কার সঙ্গে কী আচরণ করতে হবে? মোদিও আমাদের প্রধানমন্ত্রীর মতো ইউনিভার্সিটি এডুকেটেড। তাঁরা কি ভুলে গেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী বাংলাদেশ সফরে এলে তার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় নিয়ে খালেদা তা বাতিল করে দিয়েছিলেন, মোদি কি ভুলে গেছেন, খালেদা ভারতের পূর্বাঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কিভাবে ক্ষমতায় থাকতে পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন, ক্ষমতায় না থেকেও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বলছেন 'স্বাধীনতা সংগ্রামী', মোদি কি ভুলে গেছেন ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালানের কথা, ভুলে কি গেছেন পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান বিস্ফোরণ বা মুম্বাইর বিস্ফোরণের কথা, ঐ সব নাশকতাকারীকে জিয়া খালেদাই তৈরি করে পাঠিয়েছিল। দেশের অভ্যন্তরেও খালেদা ও তাঁর দল এবং জোট কিভাবে হেফাজতসহ ধর্ম ব্যবসায়ীদের লালন-পালন করছেন। কেন খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে বিরোধিতা করেন, কেন এবং কারা রাজীব হায়দার, ওয়াশিকুর রহমান বাবু, অভিজিত রায় ও অনন্ত বিজয় দাশকে হত্যা করে চলেছে।
বাঙালী সার্বজনীন উৎসব পহেলা বৈশাখে রমনার বটমূলে ছায়ানটের অনুষ্ঠানে (এক কলামে ভুলক্রমে বলেছিলাম উদীচীর অনুষ্ঠানে, দুঃখিত) বোমা হামলা চালায়, কী জঘন্যভাবে হিন্দু সম্প্রদায়সহ সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে তাদের দেশত্যাগে বাধ্য করছে, এ সবই করছে পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই প্রেসক্রিপশনে, অর্থে-অস্ত্রে, এসব মোদিরও অজানা নয়। তারপরও বলতে হয়, মোদির বাংলাদেশ সফরকে স্বাগত জানানোর পেছনে, দলটির ইতিহাস বলে, খালেদার যে 'ডিপ-রুটেড' দুরভিসন্ধি থাকতে পারে তা উড়িয়ে দেয়ার নয়। তবে স্বস্তির বিষয় হলো দুই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি যথার্থ অর্থেই সচেতন।

ঢাকা, ২২ মে ২০১৫
লেখক : ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক

http://www.dailyjanakantha.com/?p=details&csl=122657




__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] Re: Khaledanama 3



Lets speak the truth! Yes, only the truth! These Bangladeshis are fortune seekers, who want to migrate somewhere else except Bangladesh for a better life. Why would they want to be rescued by Bangladeshi navy? They want either US or Malaysia to rescue them and start paying in green dollars. That is their mentality. Please do not distort the facts. Many Bangladeshis are also faking as Rohingas and had been caught red-handed.



2015-05-22 8:33 GMT-04:00 Muazzam Kazi <kazi4986@yahoo.com>:
Nearly 3,000 Rohingya and Bangladeshi migrants have been rescued or swum to shore in recent days in Indonesia, Malaysia and Thailand, after a Thai crackdown on long-established human-trafficking routes threw the illicit trade into chaos.
They have long been boarding rickety boats to cross the Bay of Bengal, normally headed for relatively affluent, Muslim-majority Malaysia, and have in recent years been joined by Bangladeshis seeking to escape grinding poverty.
 
We never talk about them; they are poor Bangladeshi, who cares about them. Why Bangladeshi government did not rescue these poor Bangladeshi? Is it the spirit of our liberation war? Shame on us as a nation, who does not care about its citizens.  
 
 
 


From: Mohiuddin Anwar <mohiuddin@netzero.net>
To: bachchuhaq13@yahoo.com
Cc: bangladeshiamericans@googlegroups.com; bishawdipta@yahoo.com; bangladesh-progressives@googlegroups.com; shahdeeldar@gmail.com; borakhbash@gmail.com; golardho@yahoo.com; quazinuru@yahoo.com; smahmood20@yahoo.com; projonmochottar@gmail.com; shahadathussaini@hotmail.com; 71gdncboston@gmail.com; saokot_nccbl@yahoo.com; mostofadrgholam@gmail.com; bdmailer@gmail.com; rezaulkarim617@gmail.com; aleem53@yahoo.com; farida_majid@hotmail.com; mo.gani@hotmail.com; heuddin@gmail.com; naheedsitara1@gmail.com; khanboston@gmail.com; nislam@gmail.com; suhasboston@gmail.com; pfc-friends@googlegroups.com; bazlul@yahoo.com; md.uddin@comcast.net; kazi4986@yahoo.com; anowarboston@yahoo.com; omtajul@yahoo.com; farahmina@gmail.com; pothik2302@yahoo.com; bapsnewsagency@yahoo.com; shahadathusaini@hotmail.com; shahdeeldar@yahoo.com; abdul_momen@hotmail.com; osmangani@gmail.com; americanbangladeshi@googlegroups.com; mukto-mona@yahoogroups.com; neawamileague@gmail.com; tamannak2013@gmail.com; bipulnahar@yahoo.com; rakhalbandho@gmail.com; lokhossain@yahoo.com; iqbalyousuf1@yahoo.com; farukhchowdhury@gmail.com
Sent: Friday, May 22, 2015 7:44 AM
Subject: Re: Khaledanama 3

I wish Hasinanama will be written by the same writer..

---------- Original Message ----------
From: Nurul Bachchu <bachchuhaq13@yahoo.com>
To: Bangladeshi Americans <bangladeshiamericans@googlegroups.com>,  NewEngland Awami League <bishawdipta@yahoo.com>,  Bangladesh-progressives Googlegroups <bangladesh-progressives@googlegroups.com>,  Shah DeEldar <shahdeeldar@gmail.com>,  Borakh Bash <borakhbash@gmail.com>,  Bhin-Golardho Naseem <golardho@yahoo.com>,  Quazi Nuruzzaman <quazinuru@yahoo.com>,  Smahmood20 <smahmood20@yahoo.com>,  Gonojagoron Moncho <projonmochottar@gmail.com>,  Shahadat Hussaini <shahadathussaini@hotmail.com>,  Akm Rahman <71gdncboston@gmail.com>,  Saokot Hossain <saokot_nccbl@yahoo.com>,  "Dr.Gholam Mostofa" <mostofadrgholam@gmail.com>,  Isha Khan <bdmailer@gmail.com>,  Rezaul Karim <rezaulkarim617@gmail.com>,  "M. Aleem" <aleem53@yahoo.com>,  Farida Majid <farida_majid@hotmail.com>,  Osman Gani <mo.gani@hotmail.com>, Helal Uddin <heuddin@gmail.com>,  Nahid Sitara <naheedsitara1@gmail.com>,  Firoze Khan <khanboston@gmail.com>, Nazrul Islam <nislam@gmail.com>,  Suhas Barua <suhasboston@gmail.com>,  Zainul Abedin' via PFC-Friends <pfc-friends@googlegroups.com>,  Bazlul Wahab <bazlul@yahoo.com>,  "Md. N. Uddin" <md.uddin@comcast.net>,  Muazzam Kazi <kazi4986@yahoo.com>,  Anowar Hossain <anowarboston@yahoo.com>,  Mohiuddin Anwar <mohiuddin@netzero.net>,  Omtajul Haq <omtajul@yahoo.com>, Mina Farah <farahmina@gmail.com>,  Ojana Pothik <pothik2302@yahoo.com>,  Hakikul Chowdhury <bapsnewsagency@yahoo.com>,  Shahadat Hussaini <shahadathusaini@hotmail.com>,  Shah DeEldar <shahdeeldar@yahoo.com>,  Abdul Momen <abdul_momen@hotmail.com>,  Osman Gani <osmangani@gmail.com>,  Americanbangladeshi <americanbangladeshi@googlegroups.com>,  Mokto Mona <mukto-mona@yahoogroups.com>,  NewEngland Awami League <neawamileague@gmail.com>,  Tamanna Karim <tamannak2013@gmail.com>,  Bipul Kamal <bipulnahar@yahoo.com>,  Rakhal Bandho <rakhalbandho@gmail.com>,  Lokman Hossain <lokhossain@yahoo.com>,  Iqbal Yusuf <iqbalyousuf1@yahoo.com>,  Farukh Chowdhury <farukhchowdhury@gmail.com>
Subject: Khaledanama 3
Date: Fri, 22 May 2015 04:00:11 +0000 (UTC)

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া
Decrease font Enlarge font
 
ঢাকা: ঢাকা সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাক্ষাৎ করা সহজ হবে না। একে তো বিদেশি কোনো সরকার বা রাষ্ট্র প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতের রাষ্ট্রীয় প্রটোকল এখন খালেদা জিয়ার নেই, তারওপর এ সাক্ষাতের ব্যাপারে সরকারও ইতিবাচক নয়।

তাই বিষয়টি নির্ভর করছে ভারতের সিদ্ধান্তের উপর। তবে এ ব্যাপারে ভারত আগ্রহ নাও দেখাতে পারে। কারণ এর আগে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে সাক্ষ‍াতের কথা বলেও সাক্ষাৎ করেননি খালেদা জিয়া। এ বিষয়টিকে ভারত সহজভাবে নেয়নি। তাছাড়া গত জানুয়ারিতে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর মিথ্যা ফোনের বিষয়টিও রয়েছে। 

আগামী ৬ জুন দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। এই সময় নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগে থেকেই তৎপরতা শুরু করেছেন বলে জানিয়েছে দলীয় সূত্র। 
 
বিষয়টি সম্পর্কে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা ও মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে সরকারের মনোভাবের কথা জানতে চাইলে বাংলানিউজকে তারা বলেন, বিষয়টি ভারতের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে। মোদি সাক্ষাৎ দিতে চাইলে দিতে পারেন, সেটা তাদের বিষয়। তবে খালেদা জিয়ার অবস্থান ও পূর্বের ঘটনাগুলোর প্রেক্ষাপটে ইতিবাচক সিদ্ধান্তের সম্ভাবনা কম।

গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর কোনো কোনো দেশের রাষ্ট্রদূত এবং মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধি ঢাকায় সফরে এলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার বিষয় নিয়েও সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে বিরক্তি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মন্ত্রীদের কেউ কেউ বলেছিলেন, বিদেশি কূটনীতিক যারা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন এবং এক একটি মন্তব্য করেন তাদের মনে রাখা উচিত- তিনি এখন আর বিরোধী দলের নেতা নন, সংসদেও নেই।

এদিকে মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা ও মন্ত্রীর মতে, বিএনপি এখন আর বিরোধী দলে নেই। খালেদা জিয়া বিরোধী দলের নেতাও নন। এমনকি সংসদে দলের কোনো প্রতিনিধিত্বও নেই। বিদেশি কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা সরকার ও রাষ্ট্র প্রধান সরকারি সফরে এলে তার সঙ্গে খালেদা জিয়ার দেখা করা কোনো প্রটোকলের মধ্যে পড়ে না। নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে খালেদা জিয়া সাক্ষাৎ করতে পারবেন কি না সেটা ভারতের উপর নির্ভর করবে। 

এর আগে ২০১৩ সালে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রবণ মুখার্জি যখন আসেন তখন তার সঙ্গে তৎকালীন বিরোধী দলের নেতা খালেদা জিয়ার দেখা করার কর্মসূচি ছিলো। কিন্তু শেষ মুহূর্তে প্রণব মুখার্জির সঙ্গে খালেদা জিয়া দেখা করেননি। এটা করে খালেদা জিয়া তাকে চরম অসম্মান করেছেন।শুধু তাই নয়, প্রণব মুখার্জির সফরের সময় বিএনপি হরতাল দিয়েছিলো। প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্রের প্রধান সফরে এলে তার প্রতি ন্যূনতম কোনো সৌজন্য দেখিয়ে হরতাল প্রত্যাহার করেনি।
 
সরকার সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, প্রবণ মুখার্জির সঙ্গে দেখা না করার ওই বিষয়টিকে ভালভাবে নেয়নি ভারত। প্রবণ মুখার্জি কংগ্রেস নেতা ও ওই দলটি মনোনীত রাষ্ট্রপতি হলেও সেখানকার সব রাজনৈতিক দল তাকে ভারতের রাষ্ট্রপতি হিসেবেই দেখে। বিজেপিও এর ব্যতিক্রম নয়। তাছাড়া গত জানুয়ারিতে বিজেপি প্রধান অমিত শাহ খালেদা জিয়াকে ফোন করেছিলেন বলে বিএনপি প্রচার করে। পরে অমিত শাহ নিজেই মিডিয়াকে জানান, খালেদা জিয়াকে ফোন করেননি তিনি। এ বিষয়টি তার জন্য বিব্রতকর ছিলো।

এদিকে এ সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের সাক্ষাতের উদ্দেশ্য তো আসলে সৌজন্য দেখানো নয়। গত বছর বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর বিএনপি মনে করেছিলো এইবার আওয়ামী লীগকে সরকার থেকে নেমে যেতে হবে। এর পর জুনে নতুন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ঢাকায় আসেন। সুষমার সফরের সময় তার সঙ্গে দেখা করেন খালেদা জিয়া। ওই সময় খালেদা জিয়া ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের বিষয় সুষমা স্বরাজের কাছে তুলে ধরেন। সুষমা স্বরাজ অবশ্য সরাসরি জানিয়ে দেন, বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশের জনগণ।  

নরেন্দ্র মোদির সফরের সময় তার সঙ্গে খালেদা জিয়ার সাক্ষাতের সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, এটা ভারতের বিষয়, নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে খালেদা জিয়ার সাক্ষাৎ হবে কিনা সেটা ভারত ঠিক করবে। এ ব্যাপারে সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। তবে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে সাক্ষাতের কথা বলে সাক্ষাৎ না করে তাকে চরম অসম্মান করেছেন খালেদা জিয়া। তখনও সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করেনি। সাক্ষাতের কথা বলে সাক্ষাত না করার চেয়ে অসম্মান তো আর কিছু হতে পারে না। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, এটা ভারতের বিষয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী চাইলে দেখা করতে পারেন। তবে এর আগে ভারতের রাষ্ট্রপতি যখন এসেছিলেন তার সঙ্গে খালেদা জিয়া দেখা করতে চেয়েও দেখা না করে তাকে অসম্মান করেছেন। অমিত শাহর মিথ্যা ফোনকলের খবর প্রচার করেছেন। এখন আবার সেই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কিভাবে দেখা করতে চান! 
 


____________________________________________________________
Forget the iPhone 6
1 little-known Apple supplier holds wealth-changing growth potential.
fool.com





__._,_.___

Posted by: Shah DeEldar <shahdeeldar@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] মুক্তমনায় লেখাটি প্রকাশের জন্য অনুরোধ করছি।



উঠ ছুড়ি তোর বিয়ে!

কবীর নয়ন


মেয়েটির বয়স ১৬ হল। চোখে হাজারো স্বপ্ন, বিশ্ব জয়ের, আকাশ ছোঁয়ার। মনে কৈশোরের চপলতা, অনাবিল আনন্দ।  নিজের মতো করে দুনিয়াটাকে চিনে নিতে, সাজিয়ে নিতে চায় সে। নিজের পড়ালেখা, এগিয়ে চলা নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত। এমন সময়, "উঠ ছুড়ি তোর বিয়ে"। একবার ভাবুন তো...

 

সরকার বাংলাদেশে বর্তমানে প্রচলিত বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের (The Child Marriage Restraint Act, 1929) বদলে নতুন আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ বছর বলা হলেও বাবা-মা বা আদালতের সম্মতি সাপেক্ষে তা ১৬ বছর করা হচ্ছে। নতুন আইনে ১৬ বছরের মেয়ের বিয়ের জন্য 'বিশেষ প্রয়োজন' বা 'যুক্তিসঙ্গত কারণ'-এর কথা উল্লেখ থাকলেও এর অপব্যবহারই যে বেশি হবে তা বুঝতে কষ্ট হওয়ার কথা নয়। বাংলাদেশে যেখানে অহরহ মা-বাবাই বাল্যবিয়ের আয়োজন করে, সেখানে তাঁদেরকে এই সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা দেয়া মানে অবিবেচনাপ্রসূতভাবে বাল্যবিয়ে আয়োজনকারীদের হাতে একটি মোক্ষম অস্ত্র তুলে দেয়া।

 

অন্যদিকে ব্যবহারিক ক্ষেত্রে আদালত এবং আইন-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মানসিকতার বিষয়টিও জড়িত। আদালতে এডভোকেট, পাবলিক প্রসিকিউটরসহ সবাই যে নারীর বিষয়ে সচেতন, তা নয়। সাধারণ ভাবে বিয়ের বয়স ১৮ রেখে আদালতকে ১৬ বছরে বিয়ের অনুমতি প্রদানের দায়িত্ব দেয়া মানে আদালতকেই আইনের ব্যত্যয় ঘটানোর দায়িত্ব দেয়া। একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টি পরিষ্কার হয়; ধরা যাক ১৬ বছর বয়সের একটি মেয়ে 'পালিয়ে' আদালতে এসে বিয়ের অনুমতি চাইল, আদালত তখন কি করবেন? আইন রক্ষার্থে আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে 'পালিয়ে যাওয়া'-কে 'বিশেষ প্রয়োজন' বা 'যুক্তিসংগত কারণ' হিসেবে বিবেচনা করে বিয়ের অনুমতি দেবেন?

 

আদালতে বিয়ের অনুমতি নিতে হলে নিশ্চয়ই একটি মামলা করতে হবে, কিন্তু প্রশ্ন হল সেই মামলার বাদী কে হবে? ১৮ বছর বয়স না হলে অর্থাৎ সাবালকত্ব না থাকলে কেউ সরাসরি মামলা করতে পারে না, আইনগত অভিভাবকের মাধ্যমে মামলা দায়ের করতে হয়। তার মানে হল, ঘুরেফিরে ক্ষমতাটি বাল্যবিয়ে আয়োজনকারীদের হাতেই থেকে যাচ্ছে। বাংলাদেশে ১৬ বছর বয়সী কয়জন মেয়ের সাহস হবে অভিভাবকদের হুকুমের বাইরে গিয়ে বিয়েতে আপত্তি জানানোর? আরেকটি গুরুতর সমস্যা হল, এই মামলার বিবাদী কাকে করা হবে? যে বাল্যবিয়েতে বাধা দিবে তাকে?

 

একটি আইন শতভাগ জনগণকে  মানতে কখনোই বাধ্য করা যায় না, কিন্তু আইন সমাজে একটি মানদণ্ড তৈরি করে দেয়। প্রায় ১০০ বছর ধরে এদেশে মেয়েদের বিয়ের আইনানুগ বয়স ১৮ বছর। এখন এটি একটি মানদণ্ডে পরিণত হয়েছে। মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার কমানো, মেয়েদের প্রজনন স্বাস্থ্যের উন্নতি, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষার হার বৃদ্ধি, নারীশিক্ষাকে উৎসাহ প্রদান, নারীর ক্ষমতায়ন, সামাজিক ন্যায়বিচার ও নারীর সমঅধিকার ইত্যাদি অনেক সামাজিক সূচকের প্রতি লক্ষ্য রেখে আইনে বিয়ের বয়স নির্ধারণ করা হয়েছিল। একে সামনে রেখে সরকারী-বেসরকারী অগণিত উন্নয়নকর্মী, অধিকারকর্মী ও নারীআন্দোলনকর্মীর শতবছরের অক্লান্ত পরিশ্রমে যখন দেশের সামাজিক সূচকগুলোতে অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হচ্ছে, তখন মেয়েদের বিয়ের বয়সের প্রতিষ্ঠিত যৌক্তিক মানদণ্ড থেকে পিছু হটা সমাজে অবশ্যই একটি খারাপ ইংগিত দেবে।

 

জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ, বাংলাদেশের শিশু নীতি এবং শিশু আইন সহ অনেক আইনে ১৮ বছরের কম বয়স্ক প্রত্যেককে শিশু বলা হয়েছে। সাবালকত্ব অর্জনের জন্য ন্যুনতম বয়স ১৮ বছর করার প্রধান কারণ হল তার আগে কোনও ব্যক্তির সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্ণ সক্ষমতা ও পরিপক্বতা আসে না। বাংলাদেশে সাবালক না হলে কোন ব্যক্তি ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে না। সাবালক না হলে কোন ব্যক্তি চুক্তি করতে পারে না কারণ তা না হলে চুক্তিতে তার সম্মতির কোন মূল্য নেই। বিয়ে একধরণের সামাজিক চুক্তি এবং এতে স্বাধীন সম্মতি একটি অপরিহার্য উপাদান। এক্ষেত্রে পক্ষদ্বয়ের সাবালকত্বকে এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই কারন একজন নাবালকের সম্মতিকে আইনে কখনই স্বাধীন সম্মতি হিসেবে গণ্য করা হয় না।

 

বাবা-মায়ের কিংবা আদালতের সিদ্ধান্তে মেয়েদের ১৬ বছরে বিয়ের আইন করলে এই ইংগিতই দেয়া হয় যে, মেয়েদের নিজের বিয়ের সিদ্ধান্ত নিজে নেয়ার অধিকারকে সরকার সমর্থন করে না। বিয়ের মতো জীবনের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত একজনের উপর জোর করে চাপিয়ে দেয়ার প্রথা যেখানে বিলোপ করা জরুরী, সেখানে এধরনের পশ্চাৎপদ আইন করে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের বলপূর্বক বিয়ে দেয়ার মধ্যযুগীয় পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতাকে উৎসাহিত করার কোনও মানে  হয় না। এদেশের মৌলবাদী গোষ্ঠী এতে ভীষণভাবে উৎসাহিত হবে কারণ তাদের লক্ষ্যই হচ্ছে নারীদের পশ্চাৎপদ করে রেখে অধিকারবঞ্চিত করা। কমবয়সী এবং অপরিপক্ব মেয়েকে বিয়ে দিলে মানসিকভাবে গুড়িয়ে দিয়ে তাকে আজীবন শোষণ করা সহজ হয়। তাকে পরমুখাপেক্ষী, ভীতু, অক্ষম এবং অসম্পূর্ণ একটি মানুষে পরিণত করা সহজ হয়। তার শিক্ষা অর্জনের পথ রুদ্ধ করে সত্যিকারের মানুষ হয়ে ওঠা সহসাই বন্ধ করা যায়। একটি নিরঙ্কুশ পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করে দেশকে মধ্যযুগীয় অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেয়া সহজ হয়। তাই নারীবিদ্বেষী, নারীশিক্ষা বিরোধী, পুরুষতান্ত্রিক মৌলবাদী গোষ্ঠী বরাবর বাল্যবিয়ের পক্ষে অবস্থান নেয়।

Ataullah Nurul Kabir
Staff Lawyer
Litigation Unit
Ain o Salish Kendra (ASK)
7/17, Block-B, Lalmatia, Dhaka-1207
Bangladesh.
Mob: +8801722968837


__._,_.___

Posted by: Ataullah Nurul Kabir <anknayan@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona]





ট্যাঁবুর সুচনা ও বর্তমানে আমরা

লেখক :  গৌরব

সময়টা হল ১৭৭০ সন। বিখ্যাত নাবিক ও অভিযাত্রী কাপ্তান জেমস কুক তার নতুন পৃথিবী খুজে বের করার তৃতীয় অভিযাত্রায় বের হয়েছেন। এই বারের যাত্রা দক্ষিন সাগরে। ঘুরতে ঘুরতে তিনি তার জাহাজের বহর নিয়ে এসে পৌঁছালেন ফিজি দ্বীপপুঞ্জে। সেখানে তিনি জাহাজ থামালেন টোঙ্গা দ্বীপে। তো নতুন জায়গায় গেলে সেখানের লোকদের সাথে আগে খাতির করাই নিয়ম। কুক সাহেব দ্বীপের অদিবাসিদের সর্দারকে ডাকলেন খানাপিনার জন্য। সর্দার আসলো তার সাথে দেখা করতে। কিন্তু কুক সাহেবের সাথে তার ভোজ করার কোন ইচ্ছে দেখা গেল না। কুক মহাশয় যতই সর্দারকে খানা খাওয়াইতে নিতে চায় সর্দার ততই এক জায়গায় গ্যাঁট হয়ে দাড়িয়ে থাকে। তো অনেক পেড়াপিড়ির পর কুক হাল ছেড়ে দিয়ে সর্দারকে আলাপ করার জন্য বসতে বললেন। এইখানে ও সর্দার নারাজি। সে ঠায় দাড়িয়ে থাকলো কুকের সামনে। কুক আর তাকে বেশী ঘাঁটালেন না। সর্দারের সাথে দাড়িয়েই কথাবার্তা বলতে লাগলেন। কথাবার্তার ভিতর কুক শুনতে পেলেন একটি নতুন শব্দ, "টাফু"। সর্দার নতুন যা কিছু দেখে বলে উঠে টাফু। যেমন কুক তাকে কম্পাস দিতে গেলে তিনি এক লাফে দশ হাত পিছনে গিয়ে বলতে লাগলেন টাফু  টাফু।

সাথে সাথে ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে গেল মুহূর্তটি। আধুনিক সমাজের সংস্পর্শে এলো একটি নতুন শব্দ। সেটি হল ট্যাঁবু। টোঙ্গা দ্বীপের অধিবাসিদের মাঝে 'ব' এর উচ্চারণ ছিল না। তাই তারা বলতো টাফু। কুক তার খাতায় লিখে গিয়েছেন টাবু। সেই দ্বীপে যা কিছু ভীতিকর, নিষিদ্ধ ছিল তাকেই ট্যাঁবু বলা হত। সর্দার কুক এর সাথে খেতে বসেননি কারণ সেদিন তারা একটি মৃত ব্যক্তির সৎকার করেছিলেন। যারা সৎকার কাজের সাথে জড়িত থাকে তারা কয়েক সপ্তাহ না খেয়ে থাকতো। মৃত ব্যক্তির শান্তির জন্য তারা এটি করতো। আর বিদেশিদের সামনে কখনো বসতে নেই এই ছিল তাদের সামাজিক রীতি। উভয়ই ছিল ট্যাঁবু।


আপনার আমার মনের ভিতরে গেঁথে আছে কিছু ভীতি। সেই ভীতির কারনে আমরা পালন করছি কিছু রীতি অথবা দূরে থাকছি কিছু বিষয় থেকে। আপনি নিজেও জানেন না কি কারনে এই ভীতি সঞ্চিত হয়েছে আপনার মাঝে। বরং ধরে নেন এটাই স্বাভাবিক কারণ সেই ভীতিকর বিষয়গুলো নিয়ে আপনি শিক্ষা পাননি, পেয়েছেন কিছু বিধি-নিষেধ। জন্মের পর থেকে আপনার কৌতূহলকে ঘিরে ফেলা হয়েছে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে। পরবর্তীতে সেই বেড়া ডিঙ্গানোর সাহস আর আপনি করতে পারেননি। জন্ম নিয়েছে চক্ষু লজ্জার, কে কি মনে করে! এই ভয়, লজ্জা, বিধি নিষেধ যা কিছু আপনার আমার মাঝে, জেনে রাখুন তা সবই ট্যাঁবু।


মৃতের আত্মার জন্য কয়েক সপ্তাহ না খেয়ে থাকা। হাসি আসছে নিশ্চয়ই। চিন্তা করছেন এই বোগাস চিন্তা কিভাবে মানুষের মাথায় আসে। জেনে রাখুন ওই সর্দার পরবর্তীতে কাপ্তান কুককে বলেছিলেন বোকা গর্দভ। কারণ আর কিছুই নয়। কুক তাকে খ্রিষ্টীয় পদ্ধতিতে সৎকার কিভাবে করা হয় বলেছিলেন। অন্যের ট্যাঁবু আপনার কাছে হাস্যকর, ঠিক তেমনি আপনারটি অন্যের কাছে। কারণ এখনো ট্যাঁবুর বিশ্বজনীন কোন রুপ পাওয়া যায়নি। যদিও প্রখ্যাত মনোবিজ্ঞানী ও লেখক ফ্রয়েদ বলেছেন শুধু মাত্র দুটো আচরণ বিশ্বজনীন ট্যাঁবু। একটি হল INCEST অর্থাৎ নিজ পরিবারের ভিতরে শারীরিক সম্পর্ক। আর একটি হল PATRICIDE অর্থাৎ নিজ পরিবারের কাওকে খুন করা মানে নিজের মা বাবা ভাই বোনকে। অবাক হচ্ছেন নাকি যে এই রকম ঘৃণ্য কাজ নিষিদ্ধ হওয়াই স্বাভাবিক, সেখানে ট্যাঁবু এর যোগসূত্র কোথায়। দয়া করে একটু চিন্তা করুন INCEST সম্পর্ক ছাড়া মানব প্রজাতির বংশবৃদ্ধি ছিল অসম্ভব। আর বর্তমানে একে দেখা হয় অস্বাভাবিক হিসেবে। নিজ পরিবারের মাঝে রক্তের সম্পর্ককে বিশেষ দৃষ্টিতে দেখা হয়। সুতরাং খুনকে মানুষ স্বাভাবিক হিসেবে নিলেও নিজ পরিবারের সদস্যদের খুনকে দেখা হয় অস্বাভাবিক ভাবে। ধারনা করা হয় পারিবারিক মমতা ও ভালবাসাকে অতিক্রান্ত করে তাদের খুন করতে সক্ষম হওয়াটা স্বাভাবিক নয়। কিন্তু চিন্তা করলে দেখা যায় প্রতিটি খুন ও ধংসের সূচনা কিন্তু মানুষ তার রক্তের সম্পর্কের মানুষকে দিয়েই শুরু করেছে। কারণ আত্মহত্যার চেয়ে খুনের সূচনা আগে। প্রথম খুন যদি অস্বাভাবিক না হয় তাহলে বর্তমানে কেন এটি স্বাভাবিক হবে না ! এই জন্যই একে ধরে নেয়া হচ্ছে ট্যাঁবু হিসেবে।


আসুন আমাদের সমাজের দিকে চোখ দেয়া যাক। কি হচ্ছে আমাদের বর্তমান সমাজে ? সমাজ ভেদে ট্যাঁবু বদলায়। এই সমাজের ট্যাঁবু গুলো মূলত -


যৌন সম্পর্ক  :  এই বিষয়ে আলোচনা শুরুই হবে ছি ছি দিয়ে। এটি কারো নিকট নিষিদ্ধ ও রসালো, কারো নিকট দরকারি, আবার কারো নিকট স্বপ্ন। তবে এই সমাজের চোখে কিন্তু ব্যাপারটা দেখেও দেখি না, করলেও করি না, জানলেও জানি না। শুধু এই একটি ট্যাঁবুর  জন্য যৌন শিক্ষার প্রচলন অনেক ক্ষেত্রেই অসম্ভব। আমাদের যৌন শিক্ষা শুরু হয় রুপকথার মাধ্যমে। আমরা কেও চাঁদের বুড়ির কোলে, কেও ফুল হয়ে, কেও গাছ হয়ে জন্ম নি। পরিবার থেকে যৌন শিক্ষা আমাদের দেশে একটি ভয়াবহ ব্যাপার। অন্য দিকে আগে সমাজে কাজ করতো অশিক্ষা। কনডম ও পিলের ব্যাবহার শিখাইতে গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের মার খাওয়া কিনবা ফতোয়া দিয়ে কোন পরিবারে তালাকের ঘটনার অভাব নেই। এখন সমাজে কাজ করছে কুশিক্ষা। ছেলেদের যৌন শিক্ষা এখনো বাসা থেকে নয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেও নয়, হচ্ছে অন্যের মুখে শুনে, পর্ণগ্রাফি দেখে। তার কাছে বিষয়টা হয়ে দাঁড়াচ্ছে মাংসের ক্ষুদা। নারী পুরুষের একটি স্বাভাবিক সম্পর্ক সেখানে অনুপস্থিত। যৌন সম্পর্ক প্রকাশ্যে না হোক, যৌন শিক্ষা প্রকাশ্যে হওয়া উচিৎ।

ধর্ম :  
"চিত্রা নদীর পারে" সিনেমাটি গড়ে উঠেছিল দেশভাগ পরবর্তী ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে। এর একটি দৃশ্য ছিল, নায়িকা চরিত্রে আফসানা মিমি ও পাঁশের মুসলমান বাড়ির এক ছোট বোন আলাপ করছে, " জানিস দিদি, আমরা ছোটবেলায় কি মনে করতাম? আমরা ভাবতাম লাল পিপড়াগুলো খারাপ কারণ ওরা কামড়ায়। তাই ওরা হিন্দু। আর কাল পিঁপড়াগুলো ভাল। তাই ওরা মুসলমান।" এই রকম কোন চিন্তা কি ছিল আপনাদের মনে ছোটবেলায় ? ভেবে দেখুন অনেকের থাকার কথা। আমরা ভাল, ওরা খারাপ; আমরা শ্রেষ্ঠ, ওরা নিকৃষ্ট; আমরাই সত্য, ওরা মিথ্যা। ছোটবেলা থেকেই আমাদের ধর্মীয় অনুভুতি জাগ্রত করা হয় এই রকমের চিন্তায়। আমরা ধার্মিক হয় জন্মসূত্রে। বুঝে ধর্ম মেনে নেয়ার সুযোগ আমাদের থাকে না। বোঝার ক্ষমতা জন্ম নেয়ার আগেই আমদের মাঝে জন্ম দিয়ে ফেলা হয় এই রকম ট্যাঁবু। নিজ ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব আমাদের অন্য ধর্মকে প্রশ্ন করতে মজা দেয় কিন্তু নিজ ধর্মকে প্রশ্ন করতে গিয়েও আমরা নিজের অনুভুতিকে অস্বীকার করি।

লিঙ্গ :  
এই ট্যাঁবু আবার দুই রকম। এক, নিজ লিঙ্গের শ্রেষ্ঠত্ব। দুই, অস্বাভাবিক লিঙ্গ। একটা সময় জানতাম লিঙ্গ দুই প্রকার। পুং লিঙ্গ আর স্ত্রী লিঙ্গ। তৃতীয় লিঙ্গ থাকতে পারে জানা ছিল না। কারণ কেও জানায়নি। তৃতীয় লিঙ্গের ওরা মানুষ নাকি মানুষ সাদৃশ্য কোন প্রাণী বুঝতে সময় লেগেছে। পুরুষ শ্রেষ্ঠ এই ভাবনা চলে আসছে আদিকাল থেকে। তবে বেশ বড় ধাক্কাও খেয়েছে এই চিন্তাধারা। কঠিন শারীরিক কাজ ছেলেদের। মেয়েদের স্থান নেই সেখানে। একটা সময় নারী পুরুষ শিকার করতো এক সাথে, চাষবাস করতো এক সাথে, ঘর বানাতো এক সাথে। কেন হুট করে পুরুষ শ্রেষ্ঠ মাতম উঠলো কে জানে ! আপনি চিন্তা করুন একজন মাটিকাটা শ্রমিককে। কি ভেসে উঠেছে আপনার সামনে ? একজন পুরুষ শ্রমিক। কেন একজন নারী শ্রমিক এর চেহারা ভেসে উঠলো না ! কারণ আমাদের মাঝে কাজ করছে পুরুষ শ্রেষ্ঠ ট্যাঁবু।
যেখানে দুই লিঙ্গের সমতা হচ্ছে না সেখানে তৃতীয় পক্ষ আর কি সুবিধা করতে পারবে। কেন হিজড়ারা ঘৃণার শিকার হবে ! হ্যাঁ, তারা জোর করে টাকা তুলে, রাস্তাঘাটে হয়রানি করে। ভেবেছেন কি আপনার পরিবারে একজন তৃতীয় লিঙ্গের কেও জন্মালে কি করতেন। তাকে লেখাপড়া করাতেন কি? সমাজে তার অবস্থান গড়তে সাহায্য করতেন কি? পরিবারে কি তাকে আশ্রয় দিতেন? নাকি সবায় যা করে তাই করতেন, অন্য হিজড়াদের কাছে দিয়ে দিতেন তাকে। সে জন্ম নিয়েছে মরতে নয়, বাঁচতে। হ্যাঁ তারা দোকানে চাঁদা তুলবে, ভাংচুর করবে। মানুষ হিসেবে বাঁচতে দিচ্ছে না। জানোয়ার হিসেবে বাঁচবে। এই সমাজের মানুষরূপী জানোয়ারের থেকে জানোয়াররুপী মানুষ ভাল। 


বর্ণ :  সাদা চামড়ার প্রতি আমাদের দুর্বলটা একটু বেশীই বলা যায়। ছোট ছোট বাচ্চাদের ও কে কত ফর্সা সেটা নিয়ে বেশ প্রতিযোগিতা করতে দেখা যায়। এই মানসিকতা তারা পাচ্ছে কার থেকে? বর্ণ শ্রেষ্ঠত্ব তাদের মাথায় ঢুকলো কিভাবে? জী, সকল শিক্ষার মত এই শিক্ষাও শুরু হয় পরিবার থেকে। পরিবারে বাবা মা নিজেরা বিচার করে কে ফর্সা, কে কাল। যে বেশী ফর্সা তাকেই আখ্যায়িত করে সুন্দর হিসেবে। 

চামড়া সাদা হলেই আমাদের কাছে রীতিমতো পূজনীয় হয়ে যায়। প্রায় সময় বিদেশের কিছু ট্যাঁব্লয়েদ পত্রিকা বাংলাদেশের নানা ইস্যু নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে আর আমাদের প্রধান দৈনিক গুলো সেই পত্রিকাগুলকেই আবার কোট করে খবর ছাপে। কেও কেও তুমুল আলোচনার ফাকে সেই পত্রিকাগুলর রেফারেন্স দেয়। বিদেশে ওই পত্রিকাগুলো কেও টয়লেট টিস্যু হিসেবেও ব্যাবহার করে না। হিসাব করলে তাদের মান আমাদের দেশের চটি পত্রিকাগুলর মতই। কিন্তু তারপর ও মাতামাতি। কারণ সাদা চামড়ার মানুষের পত্রিকা বলে কথা।



__._,_.___

Posted by: Gourab Chakma <g.chakmax@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

Newer Posts Older Posts Home