Banner Advertiser

Thursday, January 29, 2015

[mukto-mona] অবরোধ, হরতাল এবং হত্যার নাম গণতন্ত্র নয়



দেশের কথা দশের কথা
অবরোধ, হরতাল এবং হত্যার নাম গণতন্ত্র নয়
মো. মইনুল ইসলাম
আবার নতুন করে বিএনপি দেশব্যাপী অবরোধ-হরতাল শুরু করেছে। ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার নামে তাদের এ আন্দোলনের আসল শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর দেখলে দেখা যাবে নিরীহ সাধারণ মানুষ পুড়ছে, আহত হচ্ছে এবং মারা যাচ্ছে। মেডিকেল কলেজের হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে অগি্নদগ্ধ মানুষের উপচেপড়া ভিড়। জায়গা সংকুলান হচ্ছে না। আহতদের আর্তনাদে ভারি হচ্ছে পরিবেশ। একেবারে ঠা-া মাথায় নির্দোষ-নিরাপরাধ মানুষকে আহত এবং নিহত করা হচ্ছে। আর এসবই করা হচ্ছে গণতন্ত্রের নামে। বরিশালে মারা গেছে অন্ধ মায়ের একমাত্র উপার্জনক্ষম সন্তান। ট্রাকের হেলপার এই ছেলের মাকে বেগম জিয়া কিভাবে ক্ষতিপূরণ করবেন? তাছাড়া জীবনের মূল্য কি অর্থ দিয়ে পরিশোধ করা যায়? গেল রোববারে বাসযাত্রী ইডেন কলেজের তিন ছাত্রীকে পোড়ানো হলো। ফুটন্ত ফুলের মতো তিন কিশোরীকে পোড়ানোর মধ্যে পৈশাচিকতা ছাড়া গণতন্ত্রের নামগন্ধও নেই। এমন আরেকটি ঘটনা ঘটেছে নারায়ণগঞ্জে। শিশুসহ চিকিৎসক দম্পতিকে সেখানে পোড়ানো হয়েছে চলন্ত বাসে অগি্নসংযোগ করে। ৪-১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৫ দিনে এ ধ্বংসযজ্ঞে নিহত হয়েছে ২৭ জন। যানবাহন ধ্বংস হয়েছে ৫৯৭টি। রেলে নাশকতার ঘটেছে ৪ দফা। পেট্রলবোমা, ককটেল এবং রেললাইন উপড়ানোসহ নানা পৈশাচিক কর্মকা-ের আয়োজক হয়ে দাঁড়িয়েছে বিএনপি এবং বেগম জিয়া।

বিগত কিছুদিন ধরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে তারা যা করছেন, তা আসলে দেশের সরকার এবং মানুষের বিরুদ্ধে এক ধরনের স্বল্পমাত্রায় গেরিলা যুদ্ধ। যারা নিরীহ-নিরপরাধ মানুষের জীবন হরণের জন্য এমন নিষ্ঠুর ধ্বংসযজ্ঞের অবতারণা করে তাদের মুখে গণতন্ত্র ও জনগণের কথা শোনা, আর ভূতের মুখে রাম নাম শোনা একই কথা। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা এই ধ্বংসযজ্ঞের ব্যাপারে বিএনপির শীর্ষ নেতা-নেত্রীদের কোন নিন্দা বা বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানাতে দেখা গেল না। তেমনি দেখা গেল না আহত-নিহতদের প্রতি সামান্য সমবেদনা জানাতে। গেল সোমবারের প্রেস ব্রিফিংয়ে উল্টো খালেদা জিয়াকে বলতে দেখা গেল, নাশকতা ও মানুষ পুড়িয়ে মারার জন্য সরকার দায়ী। এত গেল বিরোধী দলের চরম নিষ্ঠুরতা এবং নির্জলা মিথ্যাচারের কাহিনী। অন্যদিকে সরকারের ব্যাপারেও মানুষের অভিযোগ আছে। যে কোন সরকারের অন্যতম দায়িত্ব এবং কর্তব্য হলো নাগরিকের জীবন এবং সম্পদের নিরাপত্তা বিধান। চলমান এ মহাসন্ত্রাস দমনে তাদের প্রয়াস যথেষ্ট শক্তিশালী এবং কার্যকর মনে হচ্ছে না। কিছুদিন আগে আইনমন্ত্রী হরতাল নিষিদ্ধ করার বিষয়টি বিবেচনা করার কথা বলায় সাধারণ মানুষ আশান্বিত হয়েছিল। এরপর এ ব্যাপারে আর কোন উদ্যোগ বা অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। অথচ হরতাল-অবরোধ শুধু জীবন ও সম্পদ ধ্বংসকারী নয়, এগুলো নাগরিকের সাংবিধানিক এবং মানবিক অধিকারেরও পরিপন্থী, যা অবিলম্বে নিষিদ্ধ করার পক্ষে দেশের মানুষ।

দেশব্যাপী এ নাশকতা, নৃশংসতা, নৈরাজ্য এবং নরহত্যা করা হচ্ছে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার নামে, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণের স্বাভাবিক জীবন বিপর্যস্ত করা এবং দেশব্যাপী ধ্বংসলীলা অনুষ্ঠানের অধিকার খালেদা জিয়া ও তার দলকে কেউ দেয়নি। অবরোধ এবং হত্যার মাধ্যমে তারা কি ধরনের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায় তা আমাদের বোধগম্য নয়। তবে এটা সত্য যে, দেশে এখন পর্যন্ত একটি সঠিক নির্বাচনী ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি, যেমনটা প্রতিবেশী দেশ ভারতে গড়ে উঠেছে। কারণ দেশটির সাম্প্রতিক নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষের পরাজয় এবং বিরোধী দলের সিরিসেনার বিজয় তাই প্রমাণ করে। কিন্তু বাংলাদেশে আমরা যা দেখছি, তা হলো একটি গুরুতর ত্রুটিপূর্ণ এবং দুর্বল নির্বাচনী ব্যবস্থা। সব সময়ই ক্ষমতাসীনরা নিজেদের স্বার্থে নির্বাচনী ব্যবস্থা সাজায়। শুধু নির্দলীয় নিরপেক্ষ লোকদের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলোই সঠিক ও গ্রহণযোগ্য হয়। তবে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে দুর্বল এবং দলীয় স্বার্থে ব্যবহারের ব্যাপারে বিএনপির রেকর্ডের তুলনা হয় না। এর কয়েকটি উদাহরণ হলো মাগুরার কালো নির্বাচন এবং ঢাকা-১ এ ফালুর নির্বাচন। সর্বশেষ ২০০৬-এর শেষে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আজিজ, বিচারপতি কেএম হাসান এবং সর্বশেষ রাষ্ট্রপতি ইয়াজুদ্দিনকে দিয়ে নির্বাচনের নামে যে মহাজালিয়াতির প্রচেষ্টা বিএনপি করেছিল, তা মানুষ ভুলে যাবে না।

এটাও বলা দরকার, একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিটি প্রথম আওয়ামী লীগের কাছ থেকেই আসে। সেটা সম্ভবত বিএনপি সরকারের সময়ে মাগুরার কালো নির্বাচনের কারণে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেই দাবিটি তোলা হয়। পরে এটা দেশবাসীরও ব্যাপক সমর্থন লাভ করে। তখন বিএনপির জবাব ছিল, পাগল এবং শিশু ছাড়া দেশে কেউ নিরপেক্ষ নয়। এখন সেই বিএনপিই অবাধ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাচ্ছেন। এই যে ভোল পাল্টানো, সুবিধামতো সত্য এবং মিথ্যা এবং নির্বাচনকে শুধুমাত্র ক্ষমতায় আরোহণের জন্য একটি অস্থায়ী সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহারের প্রবণতা আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর মনে বাসা বেঁধেছে, তা দীর্ঘ মেয়াদে দেশে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য আশাব্যঞ্জক নয়। নির্বাচনী ব্যবস্থাটিই যেখানে নড়বড়ে, সেখানে গণতন্ত্রের জন্য অত্যাবশ্যকীয় আইনের শাসন ও সুশাসন যে দুর্বল হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই নেতা-নেত্রীরা মুখে যতই গণতন্ত্রের কথা বলুক মানুষ তাতে আস্থা রাখতে পারে না। সম্প্রতি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের এক গবেষণায় তাই দেশের গণতন্ত্র নয়, দলতন্ত্রে বিকাশ হচ্ছে বলে দাবি করেছে। দেশে রাজনৈতিক অগ্রগতির বড় বাধা হচ্ছে একচ্ছত্র দলতন্ত্র বলেও তাদের অভিমত (প্রথম আলো ২০-১২-১৪)।

৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে সব দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত একটি প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন বলা যাবে না। তাই বলা যাবে না সঠিকও। তবে যে নির্বাচনে সরকারি দলের প্রস্তাবিত ১০ জনের একটি নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকারে অংশগ্রহণের প্রস্তাব বিএনপি নাকচ করে দিল কেন? অথবা জাতিসংঘের দূত তারানকোর সর্বশেষ সমঝোতা প্রস্তাবে রাজি হয়েও শুধু তারেকের আপত্তিতে তারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াল কেন, সেটাও আমাদের বোধগম্য নয়। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার পর তাতে কারচুপি এবং জাল-জালিয়াতি ঘটে থাকলে, তা তারা জনগণের কাছে তুলে ধরতে পারত। ফলে তাদের প্রতি মানুষের সহানুভূতি এবং সমর্থন বাড়ত।

বক্ষমান নিবন্ধটি লেখার মধ্যেই আজ সন্ধ্যায় (১৯-১-৫) টিভিতে খালেদা জিয়ার প্রেস ব্রিফিংটি দেখলাম। তাতে দুটো বিষয় বিশেষভাবে লক্ষণীয় মনে হলো। এক. জেদ এবং দ্বিতীয় মিথ্যাচার। অবরোধ অব্যাহত রাখার ঘোষণা তার জেদের (ঔদ্ধত্য বলা যায়) বহিঃপ্রকাশ। আর এর সঙ্গে 'শান্তিপূর্ণ' শব্দটি যোগ করার মাধ্যমে তার ধোঁকাবাজি এবং মিথ্যাচারের প্রমাণও পাওয়া গেল। চলমান অবরোধ-হরতালে দেশবাসীর জীবনে যে মহাঅশান্তির সৃষ্টি হয়েছে তা যদি শান্তিপূর্ণ হয়, তাহলে অশান্তি এবং দুর্যোগ আমরা কাকে বলব? ২০১৩ সালে তাদের অবরোধ ও হরতালে ১৯৬ জন মানুষ প্রাণ হারায়। প্রায় হাজারখানেক যানবাহন ধ্বংস হয়। আর এবার সেই তথাকথিত শান্তিপূর্ণ অস্ত্রটি প্রয়োগের ফলে বিগত ১৪-১৫ দিনে ২৬ জন মানুষ মারা গেছে এবং ধ্বংস হয়েছে অসংখ্য যানবাহন। তাই 'শান্তিপূর্ণ' শব্দটি যোগ করে নির্দোষ এবং পবিত্রতার ভান করা হলো জনগণের সঙ্গে এক ধরনের নিষ্ঠুর কৌতুক মাত্র। উপরোক্ত প্রেস ব্রিফিংয়ের আরেকটি কৌতুক হলো চলমান নাশকতা এবং পুড়িয়ে মারার ঘটনাবলি সরকারের ষড়যন্ত্র'। মিথ্যাচার কাকে বলে!

এর মধ্যে ২৯ জানুয়ারি জিয়া অরফানেজও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের মামলার তারিখ। এ পর্যন্ত মামলার ৫১টি তারিখ পড়েছে। তার মধ্যে ৪৬ বার তিনি অনুপস্থিত থেকেছেন। নিরাপত্তার অভাব অথবা বিচারকের প্রতি অনাস্থার অজুহাতে এতবার অনুপস্থিতির ফলে বন্ধুদের কেউ কেউ মনে করে 'ডাল মে কুচ কাল হায়'। তার দুর্বলতা আছে। নিজের নৈতিক দুর্বলতা থাকলেই সৎসাহসের অভাব ঘটে। পরিশেষে বলতে হয়, মানুষের স্বাভাবিক জীবনকে বানচাল করে, মানুষ মেরে এবং সহিংসতার তা-ব সৃষ্টি করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায় না। পৈশাচিক এ তা-বের কোন শেষ দেখা যাচ্ছে না। সারাদেশ এর নিন্দায় সোচ্চার। সেদিকে বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। রাজনীতি এবং গণতন্ত্রের নামে এ নব্য সন্ত্রাসবাদী শক্তি জয়ী হলে জাতির ভাগ্যে দুঃখ আছে।

লেখক : অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
- See more at: http://www.thedailysangbad.com/index.php?ref=MjBfMDFfMzBfMTVfMl8yM18xXzE3MzE4NA==#sthash.tFIwKtXr.dpuf



01252015_11_PEOPLE_BURNING 
Yeasin Kabir Joy's photo.
কি বলে সান্তনা দেবো???
কি আমার অপরাধ? আমি কার ক্ষেতের ধান খেয়েছি? আমার জীবনের কেন এমন পরিনতি! কেউ কি জবাব দেবেন? আমি যদি হতাম আপনার ছোট ভাই! তখন আপনি কি বলতেন? জবাব চাই!!!





__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] কোকো কাহিনি! যাঁরা জানেন না



হাসান ফেরদৌস : আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুতে যে রকম মাতম দেখছি, তাতে রীতিমতো আঁতকে উঠেছি। কোনো পত্রিকায় দেখিনি কেউ দুই লাইন লিখে ব্যাখ্যা করেছেন যে তিনি মালয়েশিয়ায় পড়ে ছিলেন কেন? কী অসুখে কোকো মারা গেলেন, তারও কোনো বিবরণ পড়িনি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এই ছেলে যে আইন থেকে পালিয়ে বাঁচার জন্য মালয়েশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছিলেন, কেউ সে কথা ঘুণাক্ষরেও উল্লেখ করেনি। তাঁর নামে জেলে ঢোকানোর হুকুমনামা ছিল; কই, সে কথাও কেউ সবিস্তারে জানায়নি। সত্য লুকানোর এ কাজে বিরোধী জোট আগ্রহী হবে তা বুঝি, কিন্তু দেশের পত্রপত্রিকার এতে কী স্বার্থ, তা তো আমার মাথায় আসে না।

01272015_04_KHALEDA_ZIA

যাঁরা জানেন না, তাঁদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি, কোকো রহমান সম্ভবত বাংলাদেশের একমাত্র ব্যবসায়ী-রাজনীতিক, যাঁর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার নিজ গরজে আদালতে মামলা করেছে এবং সেই মামলার বিবরণ সবিস্তারে সবাইকে জানিয়েছে। অভিযোগ, তহবিল তছরুপ। মার্কিন বিচার বিভাগের করা অভিযোগ অনুযায়ী, সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রায় ৩০ লাখ ডলার হাতিয়ে নিয়েছেন কোকো। ২০০৯ সালে করা এই মামলায় বলা হয়েছে, জার্মানির সিমেন্স এজি ও চীনের চায়না হার্বার ইঞ্জিনিয়ারিং নামে দুটি বিদেশি কোম্পানির কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে কোকো তাঁর মায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের কাজ এ দুই কোম্পানিকে জুটিয়ে দিয়েছেন। চায়না হার্বারের জন্য যে কাজ তিনি জুটিয়ে দেন, সেটি ছিল চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন জেটি নির্মাণ। অন্যদিকে, সিমেন্স জুটিয়েছিল মোবাইল টেলিফোনের একটি ব্যবসা।

তারা যে ঘুষের মাধ্যমে সরকারি কাজ জোটানোর চেষ্টা করেছে, সে কথা সিমেন্স এজি ও তার বাংলাদেশি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান স্বীকার করে সব দায়ভার মেনে নিয়েছে। মার্কিন বিচার বিভাগের কাছে তারা স্বীকার করে যে ২০০১ সালের মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত তারা মোট ৫৩ লাখ ১৯ হাজার ৮৩৯ মার্কিন ডলার ঘুষ দিয়েছে। এই ঘুষের টাকা প্রথমে জমা পড়ে একটি মার্কিন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। পরে সেখান থেকে তা পাচার হয়ে যায় সিঙ্গাপুরে কোকোর অ্যাকাউন্টে। যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুসারে ঘুষ দিয়ে দেশে বা বিদেশে কাজ আদায়ের চেষ্টা অবৈধ। এই মর্মে একটি আন্তর্জাতিক আইনও রয়েছে। টাকাটা যেহেতু মার্কিন ব্যাংকের মাধ্যমে পাচার হয়েছে, ফলে তা মার্কিন এখতিয়ারের অন্তর্ভুক্ত। সে কারণেই মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এই টাকা পাচারের ঘটনাটি তদন্ত করে। এই মামলার পুরো বিবরণ যাঁরা পড়তে আগ্রহী, তাঁরা দয়া করে মার্কিন বিচার বিভাগের নিম্নলিখিত ওয়েবসাইট ভ্রমণ করুন: (http://www.justice.gov/archive/opa/pr/2008/December/08-crm-1105.html)

বলাবাহুল্য, বুদ্ধি করে টাকাটা যদি মোনাকো, সুইজারল্যান্ড বা সাইপ্রাসের কোনো ব্যাংকের মাধ্যমে পাচার হতো, কোকো হয়তো বিপদে পড়তেন না। বাংলাদেশ বা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের কোকোরা এভাবে নিজেদের গরিব দেশ থেকে বছরে প্রায় এক হাজার কোটি ডলার বিদেশের ব্যাংকে পাচার করে থাকেন। এই হিসাব আমার মনগড়া নয়, বিশ্বব্যাংকের। কোকোর পাচার করা টাকার কিয়দংশ পরে বাংলাদেশ সরকার সিঙ্গাপুর সরকারের সহায়তায় উদ্ধারে সক্ষম হয়। উদ্ধারকৃত অর্থের মোট পরিমাণ ২৬ লাখ ৬১ হাজার ৭০ ডলার। কোকোর বিরুদ্ধে মামলা শুরু হয়েছিল সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বিশেষ আদালত কোকোকে তাঁর অনুপস্থিতিতে ছয় বছরের জেলসহ তাঁর পাচার করা ২০ কোটি টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেন। এই মামলা যখন আদালতে ওঠে, বিএনপির তরফ থেকে যথারীতি বলা হয়েছিল, এ সবই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই তাঁর বিরুদ্ধে কেন মামলা করবে, আর সিঙ্গাপুরই বা কেন অন্যের পাচার করা টাকা বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে, তার কোনো ব্যাখ্যা দলের কর্তাব্যক্তিরা দেশের মানুষের জ্ঞাতার্থে হাজির করেননি।

01272015_05_KHALEDA_ZIA

বাংলাদেশের বিশেষ আদালত যদিও কোকোকে দেশে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছিলেন, সরকার যে সেই চেষ্টা আন্তরিকভাবে করেছে, তারও কোনো প্রমাণ নেই। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তাদের অনুমতি নিয়েই কোকো চিকিৎসার নামে প্রথমে আসেন থাইল্যান্ডে। অনুমান করি, পাচার করা টাকা ফেরত দেওয়ার পরও তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বিস্তর রেস্ত/ জমা ছিল। থাইল্যান্ডে তাঁকে যে জামাই আদরে বিনা মূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়েছে, সে কথা মনে হয় না। থাইল্যান্ড থেকে মালয়েশিয়ায়। বউ-বাচ্চা নিয়ে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সে দেশে তিনি বহাল তবিয়তেই ছিলেন। মোটেও লুকিয়ে-ছাপিয়ে থাকেননি। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মাঝেমধ্যে খোঁজখবর নিয়ে তাঁর তবিয়তের সর্বশেষ বুলেটিন দেশবাসীকে জানিয়েছেন।

এ তো গেল হাতেনাতে ধরা পড়া এক অপরাধ। কোকোর অন্য কম প্রকাশিত ও প্রচারিত অপরাধ ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে ঘিরে। এই ভদ্রলোক জীবনে পেশাদারি ক্রিকেট খেলেননি, কিন্তু ক্রিকেট ব্যাপারটা যে টাকা বানানোর একটা কারখানা, তিনি সেটা বেশ ভালো বুঝতে পেরেছিলেন। মায়ের দোয়া নিয়ে তিনি এই বোর্ডের অবৈতনিক উপদেষ্টার পদটি অলংকৃত করেন এবং পরে সেই বোর্ডের 'ডেভেলপমেন্ট কমিটি'র প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। যে কয়েক বছর কোকো ও তাঁর বান্ধবেরা এখানে ছড়ি ঘোরানোর সুযোগ পান, সে সময় ক্রিকেট বোর্ড হয়ে উঠেছিল তাঁদের খাস তালুক।এহেন কোকোর মৃত্যুর পর ঢাকায় তাঁর জানাজায় মানুষের ঢল নেমেছে। পত্রিকায় ও টিভির পর্দায় সেই ঢল দেখেছি আমি। একজন প্রমাণিত অর্থ পাচারকারী ও জেল পলাতক আসামি, তাঁকে মহানায়কের সম্মানে চিরবিদায় জানাচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ। মৃত মানুষের নামে নাকি মন্দ বলতে নেই। কিন্তু সত্য কীভাবে লুকিয়ে রাখা যেতে পারে, সে বুদ্ধি তো আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে আসছে না।

বস্তুত, কোকোর এই মহানায়কসুলভ সম্মানে বিস্মিত হওয়ার কিছুই নেই। দুর্নীতিকে আমরা বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির একটি আবশ্যকীয় অনুষঙ্গ হিসেবে মেনে নিয়েছি। আমরা ধরেই নিয়েছি, যাঁরা ক্ষমতায় বসেন, তাঁরা ও তাঁদের বশংবদেরা ইচ্ছেমতো গৌরী সেনের মাল পকেটে ঢালবেন, আমরা দেশের মানুষ স্মিত হেসে তা দেখেও না দেখার ভান করব। নির্বাচনের সময় এলে সেই তস্করদেরই ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসাব।
কথায় বলে, যেমন দেশ তেমন তার নেতা। আমার তবু ভাবতে ইচ্ছা করে, এমন একটা সময় আসবে, যখন চোরকে আমরা জেলে ঢোকাব, মসনদে বসাব না। যত দিন তা না হচ্ছে, আত্মমর্যাদাসম্পন্ন জাতি হিসেবে বিশ্বসভায় আমাদের স্থান মিলবে না।

হাসান ফেরদৌস: যুক্তরাষ্ট্র ।

Source: http://khabor.com/archives/42890




__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

Re: [mukto-mona] Saraswati Puja at Bangladesh Parliament



"Majority must be granted" is a bad motto when the majority does not understand/recognize the human/citizenship rights of individual citizens. For example, each citizen has a right to see that the parliament premise respects him as much as it respects any other citizen of the country. In other words, if one's religion is to be celebrated there, then each individual's religion has a right to be celebrated there.
 
To talk a bit harshly, where the Muslims are in the majority in the world, they are not ready for democracy; because they have not learned how to respect the non-Muslims.
 
SuBain
 
=============================================
 


On Thursday, January 29, 2015 6:23 PM, "Mohammad Mushrafi mushrafi@hotmail.com [mukto-mona]" <mukto-mona@yahoogroups.com> wrote:


 
With due respect to all religions,  the parliament is the temple of democracy.  The majority must be granted.  If have any doubt, then put to the litmus test of current or any issue.  do a survey, online, on TV or any kind. The democratic decision will come out.
 
The secularism, the spirituality, the religiosity , the mysticism the liberalism all are high sounding catch words indeed and all those exist in human society for long time.. But real life comes first, the day to day life practices comes first, the norms of lives in any society comes first. The ever evolving social changes comes on its own pace. A political decision in the parliament, a constitutional amendment does not change those norms over night.  
 

To: mukto-mona@yahoogroups.com
From: mukto-mona@yahoogroups.com
Date: Thu, 29 Jan 2015 03:23:10 +0000
Subject: Re: [mukto-mona] Saraswati Puja at Bangladesh Parliament

 
Secularism means equal treatment for all religions, which can be achieved - 1) by showing indifference to all religions, or 2) giving equal treatment to all religions. Bangladesh won't be able to meet condition 1 ever; so, the best we can expect is equal treatment of all religions.
Jiten Roy


From: "Sukhamaya Bain subain1@yahoo.com [mukto-mona]" <mukto-mona@yahoogroups.com>
To: mukto-mona@yahoogroups.com
Sent: Wednesday, January 28, 2015 8:08 PM
Subject: Re: [mukto-mona] Saraswati Puja at Bangladesh Parliament

 
True, secularism is to discourage all religions; and I never suggested that by allowing Saraswati Puja at the parliament premises Bangladesh was promoting secularism. What I suggested was that by allowing that event there, Bangladesh would be showing respect for the Hindu citizens of that country, much like what it has been doing to an extent for the Christians and overwhelmingly for the Muslims. Of course, one can paraphrase Shah Deelder's words like "why do the Hindus need respect?"
 
In any case, Bangladesh is not secular. The way madrassas and mosques have been growing there, the country is going in the backward direction from secularism. One way to make some improvements wound be to encourage the Muslims to think that the non-Muslims are also part of Bangladesh.
 
Sukhamaya Bain
 
===================================================


On Wednesday, January 28, 2015 2:56 AM, "Kamal Das kamalctgu@gmail.com [mukto-mona]" <mukto-mona@yahoogroups.com> wrote:


 
Secularism is not to encourage all religions. It is to discourage them all.

Sent from my iPad

On Jan 28, 2015, at 8:08 AM, "Shah Deeldar shahdeeldar@yahoo.com [mukto-mona]" <mukto-mona@yahoogroups.com> wrote:

 
This was an odd idea to begin with and as expected it failed to materialize for very obvious reasons. Look, anything that promotes Hindu,Budhist or Christian traditions would be unpalatable for many Bangladeshis.This is not new. I am not sure why Hindu members even bother to propose such event at the parliament? How that makes Bangladesh more secular and tolerant? Do these people live in the bubble?
-SD


On Tuesday, January 27, 2015 8:04 PM, "Sukhamaya Bain subain1@yahoo.com [mukto-mona]" <mukto-mona@yahoogroups.com> wrote:


 
 

{Postscript from the Author (January 27, 2015): It is a great disappointment that in spite of the initial consent by the Prime Minister and approval by the Speaker, there was actually no Saraswati Puja at the Bangladesh Parliament. I am not sure why the big leaders' approvals were not implemented. But there is no doubt that this reneging pleases and supports the Islamic/Muslim hate-mongers of Bangladesh.}











__._,_.___

Posted by: Sukhamaya Bain <subain1@yahoo.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] খোলাচোখে : কোকো কাহিনি



'Prothom Alo

খোলাচোখে

কোকো কাহিনি

হাসান ফেরদৌস | আপডেট:  | প্রিন্ট সংস্করণ

ike
   

আরাফাত রহমান কোকোর জন্য মায়ের শোকআরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুতে যে রকম মাতম দেখছি, তাতে রীতিমতো আঁতকে উঠেছি। কোনো পত্রিকায় দেখিনি কেউ দুই লাইন লিখে ব্যাখ্যা করেছেন যে তিনি মালয়েশিয়ায় পড়ে ছিলেন কেন? কী অসুখে কোকো মারা গেলেন, তারও কোনো বিবরণ পড়িনি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এই ছেলে যে আইন থেকে পালিয়ে বাঁচার জন্য মালয়েশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছিলেন, কেউ সে কথা ঘুণাক্ষরেও উল্লেখ করেনি। তাঁর নামে জেলে ঢোকানোর হুকুমনামা ছিল; কই, সে কথাও কেউ সবিস্তারে জানায়নি।
সত্য লুকানোর এ কাজে বিরোধী জোট আগ্রহী হবে তা বুঝি, কিন্তু দেশের পত্রপত্রিকার এতে কী স্বার্থ, তা তো আমার মাথায় আসে না।
যাঁরা জানেন না, তাঁদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি, কোকো রহমান সম্ভবত বাংলাদেশের একমাত্র ব্যবসায়ী-রাজনীতিক, যাঁর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার নিজ গরজে আদালতে মামলা করেছে এবং সেই মামলার বিবরণ সবিস্তারে সবাইকে জানিয়েছে। অভিযোগ, তহবিল তছরুপ। মার্কিন বিচার বিভাগের করা অভিযোগ অনুযায়ী, সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রায় ৩০ লাখ ডলার হাতিয়ে নিয়েছেন কোকো। ২০০৯ সালে করা এই মামলায় বলা হয়েছে, জার্মানির সিমেন্স এজি ও চীনের চায়না হার্বার ইঞ্জিনিয়ারিং নামে দুটি বিদেশি কোম্পানির কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে কোকো তাঁর মায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের কাজ এ দুই কোম্পানিকে জুটিয়ে দিয়েছেন। চায়না হার্বারের জন্য যে কাজ তিনি জুটিয়ে দেন, সেটি ছিল চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন জেটি নির্মাণ। অন্যদিকে, সিমেন্স জুটিয়েছিল মোবাইল টেলিফোনের একটি ব্যবসা।
তারা যে ঘুষের মাধ্যমে সরকারি কাজ জোটানোর চেষ্টা করেছে, সে কথা সিমেন্স এজি ও তার বাংলাদেশি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান স্বীকার করে সব দায়ভার মেনে নিয়েছে। মার্কিন বিচার বিভাগের কাছে তারা স্বীকার করে যে ২০০১ সালের মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত তারা মোট ৫৩ লাখ ১৯ হাজার ৮৩৯ মার্কিন ডলার ঘুষ দিয়েছে। এই ঘুষের টাকা প্রথমে জমা পড়ে একটি মার্কিন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। পরে সেখান থেকে তা পাচার হয়ে যায় সিঙ্গাপুরে কোকোর অ্যাকাউন্টে। যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুসারে ঘুষ দিয়ে দেশে বা বিদেশে কাজ আদায়ের চেষ্টা অবৈধ। এই মর্মে একটি আন্তর্জাতিক আইনও রয়েছে। টাকাটা যেহেতু মার্কিন ব্যাংকের মাধ্যমে পাচার হয়েছে, ফলে তা মার্কিন এখতিয়ারের অন্তর্ভুক্ত। সে কারণেই মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এই টাকা পাচারের ঘটনাটি তদন্ত করে।

এই মামলার পুরো বিবরণ যাঁরা পড়তে আগ্রহী, তাঁরা দয়া করে মার্কিন বিচার বিভাগের নিম্নলিখিত ওয়েবসাইট ভ্রমণ করুন:

 (http://www.justice.gov/archive/opa/pr/2008/December/08-crm-1105.html)

বলাবাহুল্য, বুদ্ধি করে টাকাটা যদি মোনাকো, সুইজারল্যান্ড বা সাইপ্রাসের কোনো ব্যাংকের মাধ্যমে পাচার হতো, কোকো হয়তো বিপদে পড়তেন না। বাংলাদেশ বা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের কোকোরা এভাবে নিজেদের গরিব দেশ থেকে বছরে প্রায় এক হাজার কোটি ডলার বিদেশের ব্যাংকে পাচার করে থাকেন। এই হিসাব আমার মনগড়া নয়, বিশ্বব্যাংকের।
কোকোর পাচার করা টাকার কিয়দংশ পরে বাংলাদেশ সরকার সিঙ্গাপুর সরকারের সহায়তায় উদ্ধারে সক্ষম হয়। উদ্ধারকৃত অর্থের মোট পরিমাণ ২৬ লাখ ৬১ হাজার ৭০ ডলার। কোকোর বিরুদ্ধে মামলা শুরু হয়েছিল সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বিশেষ আদালত কোকোকে তাঁর অনুপস্থিতিতে ছয় বছরের জেলসহ তাঁর পাচার করা ২০ কোটি টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেন। এই মামলা যখন আদালতে ওঠে, বিএনপির তরফ থেকে যথারীতি বলা হয়েছিল, এ সবই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই তাঁর বিরুদ্ধে কেন মামলা করবে, আর সিঙ্গাপুরই বা কেন অন্যের পাচার করা টাকা বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে, তার কোনো ব্যাখ্যা দলের কর্তাব্যক্তিরা দেশের মানুষের জ্ঞাতার্থে হাজির করেননি।
বাংলাদেশের বিশেষ আদালত যদিও কোকোকে দেশে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছিলেন, সরকার যে সেই চেষ্টা আন্তরিকভাবে করেছে, তারও কোনো প্রমাণ নেই। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তাদের অনুমতি নিয়েই কোকো চিকিৎসার নামে প্রথমে আসেন থাইল্যান্ডে। অনুমান করি, পাচার করা টাকা ফেরত দেওয়ার পরও তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বিস্তর রেস্ত/ জমা ছিল। থাইল্যান্ডে তাঁকে যে জামাই আদরে বিনা মূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়েছে, সে কথা মনে হয় না। থাইল্যান্ড থেকে মালয়েশিয়ায়। বউ-বাচ্চা নিয়ে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সে দেশে তিনি বহাল তবিয়তেই ছিলেন। মোটেও লুকিয়ে-ছাপিয়ে থাকেননি। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মাঝেমধ্যে খোঁজখবর নিয়ে তাঁর তবিয়তের সর্বশেষ বুলেটিন দেশবাসীকে জানিয়েছেন।
এ তো গেল হাতেনাতে ধরা পড়া এক অপরাধ। কোকোর অন্য কম প্রকাশিত ও প্রচারিত অপরাধ ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে ঘিরে। এই ভদ্রলোক জীবনে পেশাদারি ক্রিকেট খেলেননি, কিন্তু ক্রিকেট ব্যাপারটা যে টাকা বানানোর একটা কারখানা, তিনি সেটা বেশ ভালো বুঝতে পেরেছিলেন। মায়ের দোয়া নিয়ে তিনি এই বোর্ডের অবৈতনিক উপদেষ্টার পদটি অলংকৃত করেন এবং পরে সেই বোর্ডের 'ডেভেলপমেন্ট কমিটি'র প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। যে কয়েক বছর কোকো ও তাঁর বান্ধবেরা এখানে ছড়ি ঘোরানোর সুযোগ পান, সে সময় ক্রিকেট বোর্ড হয়ে উঠেছিল তাঁদের খাস তালুক।
এহেন কোকোর মৃত্যুর পর ঢাকায় তাঁর জানাজায় মানুষের ঢল নেমেছে। পত্রিকায় ও টিভির পর্দায় সেই ঢল দেখেছি আমি। একজন প্রমাণিত অর্থ পাচারকারী ও জেল পলাতক আসামি, তাঁকে মহানায়কের সম্মানে চিরবিদায় জানাচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ। মৃত মানুষের নামে নাকি মন্দ বলতে নেই। কিন্তু সত্য কীভাবে লুকিয়ে রাখা যেতে পারে, সে বুদ্ধি তো আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে আসছে না।
বস্তুত, কোকোর এই মহানায়কসুলভ সম্মানে বিস্মিত হওয়ার কিছুই নেই। দুর্নীতিকে আমরা বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির একটি আবশ্যকীয় অনুষঙ্গ হিসেবে মেনে নিয়েছি। আমরা ধরেই নিয়েছি, যাঁরা ক্ষমতায় বসেন, তাঁরা ও তাঁদের বশংবদেরা ইচ্ছেমতো গৌরী সেনের মাল পকেটে ঢালবেন, আমরা দেশের মানুষ স্মিত হেসে তা দেখেও না দেখার ভান করব। নির্বাচনের সময় এলে সেই তস্করদেরই ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসাব।
কথায় বলে, যেমন দেশ তেমন তার নেতা। আমার তবু ভাবতে ইচ্ছা করে, এমন একটা সময় আসবে, যখন চোরকে আমরা জেলে ঢোকাব, মসনদে বসাব না। যত দিন তা না হচ্ছে, আত্মমর্যাদাসম্পন্ন জাতি হিসেবে বিশ্বসভায় আমাদের স্থান মিলবে না।
হাসান ফেরদৌস: যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি।

প্রসঙ্গ:






Coco's Crruption Justified (সততার সার্টিফিকেটে হাসির খোরাক  !!!!!):
Coco was harassed because he was Zia's son: Khaleda
Memory Lane:

অর্থ পাচারকারীর নাম আরাফাত রহমান কোকো  



সিঙ্গাপুর থেকে কোকোর ঘুষের আরও অর্থ ফেরত

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: ০৪:৪৮, আগস্ট ২৮, ২০১৩ প্রিন্ট সংস্করণ
দুদক তৃতীয় দফায় ফিরিয়ে আনল সাত কোটি ৪৩ লাখ ৬৯ হাজার ৪১৫ টাকা, এই অর্থের ১০ শতাংশ দেওয়া হবে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ফেরদৌস আহমেদ খানের প্রতিষ্ঠানকেদুদক তৃতীয় দফায় ফিরিয়ে আনল সাত কোটি ৪৩ লাখ ৬৯ হাজার ৪১৫ টাকা, এই অর্থের ১০ শতাংশ দেওয়া হবে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ফেরদৌস আহমেদ খানের প্রতিষ্ঠানকে
























মুদ্রা পাচার মামলা: মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ২০০৫ সালে কোকো রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য ঘুষ নেন। আবার চট্টগ্রাম বন্দরে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণের ক্ষেত্রে অর্থ গ্রহণ করেন। পুরো অর্থই সিঙ্গাপুরে লেনদেন হয়। এ ঘটনায় দুদকের উপপরিচালক আবু সাঈদ বাদী হয়ে ২০০৯ সালের ১৭ মার্চ আরাফাত রহমান ও সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী আকবর হোসেনের ছেলে ইকবাল হোসেনকে আসামি করে কাফরুল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেন। এরপর সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসনামলে ২০১১ সালের ২৩ জুন মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধে আদালত কোকোর ছয় বছরের কারাদণ্ডসহ ৩৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা জরিমানার রায় দেন এবং একই সঙ্গে বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে ফেরত আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
 

PREVIOUS:

It may be mentioned here, a payment of bribe received  by Mr. Arafat RahmaKoko
 from Siemens A. G (a Multinational company head quartered in Germany)  to the tune of the
11.66 crore taka now frozen by the Singapore government by the order of US Federal court in
 New York.
 
Koko Kahini:
Uttora Conspricy:
'Secret' meet of admin big wigs at ex-energy adviser's office"
 
Koko's corruption on FBI website:

The FBI in its link http://www.fbi.gov/washingtondc/press-releases/2009/wfo010909.htm put the detail story of the bribery as the US Department of Justice sought to recover approximately three million dollars from the foreign bribe payments deposited to Koko's joint account in Singapore.

 
 

Koko Kahini :Laundried Black Money confiscated in Singapore !!!

Related:




বৃহস্পতিবার, ২২ নভেম্বর ২০১২, ৮ অগ্রহায়ন ১৪১9

ক্ষমতায় যেতে বেগম জিয়ার আকুতি নিয়ে নানা প্রশ্ন
তারেককে সততার সার্টিফিকেটে হাসির খোরাক
মোয়াজ্জেমুল হক ॥ বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার আকুতি, 'আরেকবার সুযোগ দিন, দেশের চেহারা পাল্টে দেব' যদি না পারি তাহলে যে শাস্তি দেয়া হবে তা মাথা পেতে নেব। তিনি আরও বলেছেন, দেশ থেকে দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও জঙ্গী দূর করব। ধর্মের ভেদাভেদ করব না। শুধু ঢাকা নয়, পুরো দেশের চেহারা পাল্টে দেব। মুসলমানদের ওপর প্রতিনিয়ত হামলা হচ্ছে। দাড়ি-টুপিওয়ালা লোক দেখলে হয় জামায়াত শিবির, নয় হরকত-উল-জিহাদ, তালেবান ইত্যাদি বলে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ওপর আঘাত করা হচ্ছে। বিএনপি সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদে বিশ্বাস করে . .


আরেকবার সুযোগ দিন .....

Memory Lane:









Koko Kahini: FBI on Foreign Bribe Payments:

US Department of Justice Seeks to Recover Approximately $3 Million in Illegal Proceeds from Foreign Bribe Payments:





__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___