পাকিস্তানী সেনা ও তাদের দোসরদের লোমহর্ষক গণহত্যা-ধর্ষন ও মানবতাবিরোধী অপরাধের চিত্র! চাক্ষুস স্বাক্ষীর জবানবন্দি থেকে সংগৃহিত!
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : অষ্টম খন্ড
------------------------------------------------
মিটফোর্ডের সকল লাশ ট্রাকে তুলে আমরা ধলপুরের ময়লা ডিপোতে নিয়ে গিয়ে বিরাট গর্তের মধ্যে ঢেলে দিলাম। দেখলাম বিরাট বিরাট গর্তের মধ্যে সুইপার ও ডোমেরা রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে নিয়ে আশা লাশ ট্রাক থেকে গর্তের মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। যে সমস্ত যুবতী মেয়েদের লাশ গর্তের মধ্যে ফেলে দেওয়া হলো তার কোনো লাশের দেহেই আমি কোনো আবরণ দেখি নাই। তাদের পবিত্র দেহ দেখেছি ক্ষতবিক্ষত, তাদের যোনিপথ পিছন দিকসহ আঘাতে বীভৎস হয়ে আছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : অষ্টম খন্ড
------------------------------------------------
মিটফোর্ডের সকল লাশ ট্রাকে তুলে আমরা ধলপুরের ময়লা ডিপোতে নিয়ে গিয়ে বিরাট গর্তের মধ্যে ঢেলে দিলাম। দেখলাম বিরাট বিরাট গর্তের মধ্যে সুইপার ও ডোমেরা রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে নিয়ে আশা লাশ ট্রাক থেকে গর্তের মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। যে সমস্ত যুবতী মেয়েদের লাশ গর্তের মধ্যে ফেলে দেওয়া হলো তার কোনো লাশের দেহেই আমি কোনো আবরণ দেখি নাই। তাদের পবিত্র দেহ দেখেছি ক্ষতবিক্ষত, তাদের যোনিপথ পিছন দিকসহ আঘাতে বীভৎস হয়ে আছে।
ট্রাক থেকে নেমে আমরা শাখারীবাজারের প্রতিটি ঘরে ঘরে প্রবেশ করলাম দেখলাম মানুষের লাশ, নারী-পুরুষ, যুবক-যুবতী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, বালক-বালিকা, কিশোর-শিশুর বীভৎস লাশ, চারিদিকে ইমারতসমূহ ভেঙ্গে পড়ে আছে, মেয়েদের অধিকাংশ লাশ আমি সম্পূর্ণ উলঙ্গ দেখলাম, দেখলাম তাদের বুক থেকে স্তন তুলে নেওয়া হয়েছে। কারও কারও যোনিপথে লাঠি ঢুকানো আছে। বহু পোড়া, ভষ্ম লাশ দেখেছি। পাঞ্জাবী সেনারা পাষণ্ডের মত লাফাতে লাফাতে গুলি বর্ষণ করছিল, বিহারী জনতা
শাখারীবাজারের প্রতিটি ঘরে প্রবেশ করে মূল্যবান আসবাবপত্র, সোনাদানা লুণ্ঠন করে নিয়ে যাচ্ছিল। আমরা অবিরাম গুলি বর্ষণের মুখে প্রাণের ভয়ে দুই ট্রাক লাশ তুলে লাশ তোলার জন্য সেদিন আর শাখারীবাজারে প্রবেশ করার সাহস পাই নাই।
আমি মিলব্যারাক ঘাটে পৌরসভার ট্রাক নিয়ে পৌরসভার ট্রাক নিয়ে গিয়ে দেখলাম নদীর ঘাটে অসংখ্য মানুষের লাশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। প্রতিটি লাশের চোখ বাঁধা, হাত বাঁধা, শক্ত করে পিছন দিক থেকে। প্রতিটি লাশের মুখমন্ডল এসিডে জ্বলে বিকৃত ও বিকট হয়ে আছে। লাশের কোনো দলকে দেখলাম মেশিনগানের গুলিতে বুক ও পিঠ ঝাঁজড়া হয়ে আছে, অনেক লাশ দেখলাম বেটন ও বেয়নেটের আঘাতে বীভৎস হয়ে আছে, কারো মাথা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে মগজ বের হয়ে আছে, কারও কাটা হৃৎপিণ্ড বের হয়ে আছে। নদীর পাড়ে ছয়জন রূপসী যুবতীর বীভৎস ক্ষতবিক্ষত, উলঙ্গ লাশ দেখলাম। চোখ বাঁধা, হাত-পা শক্ত করে বাঁধা প্রতিটি লাশ গুলির আঘাতে ঝাঁজড়া, মুখমন্ডল, বক্ষ ও যোনিপথ রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত ও বীভৎস দেখলাম।
আমি মিলব্যারাক ঘাটে পৌরসভার ট্রাক নিয়ে পৌরসভার ট্রাক নিয়ে গিয়ে দেখলাম নদীর ঘাটে অসংখ্য মানুষের লাশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। প্রতিটি লাশের চোখ বাঁধা, হাত বাঁধা, শক্ত করে পিছন দিক থেকে। প্রতিটি লাশের মুখমন্ডল এসিডে জ্বলে বিকৃত ও বিকট হয়ে আছে। লাশের কোনো দলকে দেখলাম মেশিনগানের গুলিতে বুক ও পিঠ ঝাঁজড়া হয়ে আছে, অনেক লাশ দেখলাম বেটন ও বেয়নেটের আঘাতে বীভৎস হয়ে আছে, কারো মাথা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে মগজ বের হয়ে আছে, কারও কাটা হৃৎপিণ্ড বের হয়ে আছে। নদীর পাড়ে ছয়জন রূপসী যুবতীর বীভৎস ক্ষতবিক্ষত, উলঙ্গ লাশ দেখলাম। চোখ বাঁধা, হাত-পা শক্ত করে বাঁধা প্রতিটি লাশ গুলির আঘাতে ঝাঁজড়া, মুখমন্ডল, বক্ষ ও যোনিপথ রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত ও বীভৎস দেখলাম।
সব লাশ তুলে দিয়ে একপাশে একটা লম্বা টেবিলের উপর চাদর টেনে উঠিয়ে দেখলাম একটি ষোড়শী যুবতীর উলঙ্গ লাশ – লাশের বক্ষ, যোনিপথ ক্ষতবিক্ষত, কোমরের পিছনের মাংস কেটে তুলে নেওয়া হয়েছে, বুকের স্তন থেতলে গেছে, কোমর পর্যন্ত লম্বা কালো চুল, হরিণের মত মায়াময় চোখ দেখে আমার চোখ বেয়ে পানি পড়তে থাকল, আমি কিছুতেই পানি আটকে রাখতে পারলাম না। আমি আমার সুপারভাইজারের ভয়াল এবং ভয়ঙ্কর কর্কশ গর্জনের মুখে সেই পবিত্র দেহ অত্যন্ত যত্ন সম্ভ্রমের সাথে ট্রাকে তুলে দিলাম।
মানুষের পচা গন্ধে আমার পাকস্থলি বের হতে চাচ্ছিল। পরেরদিন আমি আর লাশ তুলতে যাই নাই, যেতে পারি নাই। সারাদিন ভাত খেতে পারি নাই, ঘৃণায় কোনোকিছু স্পর্শ করতে পারি নাই।
-----------------------
নামঃ পরদেশী ডোম,
পিতার নামঃ ছোটন ডোম,
সুইপার, সরকারী পশু হাসপাতাল
২৫ মার্চ, ঢাকা পৌরসভার চেয়ারম্যান মেজর সালামত আলি খান শূর-এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইদ্রিস-এর নেতৃত্বে তিনটি গ্রুপে ভাগ করে লাশ সংগ্রহ করা হয়। তারপর সে সকল লাশ ধলপুর ময়লা ডিপোতে ফেলা হয়। পরদেশী তেমন একটি গ্রুপের সাথে কর্মরত ছিলো।
-------------------------------------
ছবি ৭১এ পাকিদের নৃসংশতার অন্যস্থানের একটি ছবি !
-----------------------
নামঃ পরদেশী ডোম,
পিতার নামঃ ছোটন ডোম,
সুইপার, সরকারী পশু হাসপাতাল
২৫ মার্চ, ঢাকা পৌরসভার চেয়ারম্যান মেজর সালামত আলি খান শূর-এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইদ্রিস-এর নেতৃত্বে তিনটি গ্রুপে ভাগ করে লাশ সংগ্রহ করা হয়। তারপর সে সকল লাশ ধলপুর ময়লা ডিপোতে ফেলা হয়। পরদেশী তেমন একটি গ্রুপের সাথে কর্মরত ছিলো।
-------------------------------------
ছবি ৭১এ পাকিদের নৃসংশতার অন্যস্থানের একটি ছবি !
__._,_.___