Banner Advertiser

Sunday, August 31, 2014

[mukto-mona] দুবাইয়ে বাংলাদেশী নারী শ্রমিক বিক্রি - সিরাজুস সালেকিন | ১ সেপ্টেম্বর ২০১৪, সোমবার, ১০:১৩



দুবাইয়ে বাংলাদেশী নারী শ্রমিক বিক্রি

সিরাজুস সালেকিন | ১ সেপ্টেম্বর ২০১৪, সোমবার, ১০:১৩
দুবাইয়ে চাকরিরত মিনারা বেগম (৪০) নামের এক নারী শ্রমিকের খোঁজ পাচ্ছে না তার পরিবার। পরিবারের দাবি, দুবাইয়ে চাকরি  দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মমতাজ নামে এক বিউটি পার্লার ব্যবসায়ীর কাছে তাকে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। এ বছরের মার্চ মাসে তিনি চাকরির ভিসা নিয়ে দুবাই যান। এরপর গত দেড় মাস থেকে মিনারার সঙ্গে পরিবারের কোন যোগাযোগ নেই। এদিকে মেয়ের সন্ধান চেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বেশ কয়েকটি দপ্তরে আবেদন করেছেন মিনারার পিতা আবুল কাশেম। মিনারার গ্রামের বাড়ি ভোলার লালমোহন উপজেলার চর ভুতাবাজার। 
দুবাই পৌঁছে মিনারা তার পিতা আবুল কাশেমকে ফোনে জানান যে, তাকে সেতারার বোন নাজমা এয়ারপোর্টে রিসিভ করেছেন। এরপর তাকে মমতাজ নামে এক মহিলার বিউটি পার্লারে কাজ দেয়া হয়েছে। মমতাজ ও নাজমা এক সঙ্গে ব্যবসা করেন। মিনারা আরও জানান, ঈদুল ফিতরের আগে ৫০ হাজার এবং ঈদুল আজহার আগে তিনি বাড়িতে দেড় লাখ টাকা পাঠাবেন। কিন্তু ঈদুল ফিতরের আগে মমতাজ মিনারাকে জানিয়ে দেন, নাজমার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে তাকে কিনে নেয়া হয়েছে। পাঁচ লাখ টাকা শোধ না হওয়া পর্যন্ত তার বেতন দেয়া হবে না। এ ঘটনার পর থেকে মিনারার আর কোন খোঁজ মিলেনি। এ ব্যাপারে দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল করিম ভূঁইয়া মানবজমিনকে বলেন, গত মার্চ মাসে মিনারা বেগম নামে এক মহিলা দুবাই যেতে না পেরে সেতারার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। সে সময় দু'জনের উপস্থিতিতে বিষয়টি সমাধান করা হয়। এরপর আমাকে কেউ কিছু জানায়নি। আবুল কাশেম জানান, ২০১৪ সালের বছরের ২১শে মার্চ চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে রাত নয়টার ফ্লাইটে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন মিনারা। সেখানে তার ভগ্নিপতি তাকে বিদায় জানান। মাস দেড়েক আগে মিনারার স্বামী লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাদের একমাত্র মেয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে। আবুল কাশেম আশঙ্কা করছেন, বেতনের টাকা পরিশোধকে কেন্দ্র করে মিনারাকে মেরে ফেলা হতে পারে। কিংবা তাকে জেলে আটকে রাখা হতে পারে। এ অবস্থায় আবুল কাশেম মেয়ের সন্ধান চেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জনশক্তি ব্যুরো, দুর্নীতি দমন কমিশন, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর চিঠি দিয়েছেন। এছাড়া বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা নামে একটি বেসরকারি সংস্থার কাছে আইনি সহায়তা চেয়েছেন। সেতারা বেগমের সঙ্গে গতকাল মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ম্যাসেজ পার্লারে চাকরি দিয়ে মিনারাকে দুবাই পাঠিয়েছিলাম। সেখানে আমার বোনের কাছে সে থাকতো। পরবর্তীকালে সে অন্যত্র পালিয়ে যায়। আমরা তার সম্পর্কে কিছুই জানি না।
আবুল কাশেম জানান, তার বড় মেয়ে মিনারা পুরান ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতো। এ বছরের শুরুতে তাকে দুবাইয়ে পাঠানোর জন্য দোহারের জয়পাড়া গ্রামের সেতারা বেগম ১ লাখ ১০ হাজার টাকা নেয়। এরপর তাকে দুবাইয়ে পাঠানোর কথা বলে বিমানে করে দিল্লি পাঠায়। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় দিল্লি পুলিশ দু'দিন আটক রেখে বাংলাদেশে ফেরত পাঠায় তাকে। বাংলাদেশ পুলিশের হেফাজত থেকে সেতারা বেগম আবার তাকে দোহারে নিয়ে আসে। সেখানে সেতারা ও তার মেয়ে পারভীন আকতার মিলে মিনারাকে মারধর করে ও মেরে ফেলার হুমকি দেয়। নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে মিনারা বেগম দোহার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং ৯৪৭) করে। থানার এএসআই রফিক এর পরদিন সেতারা ও মিনারাকে থানায় ডেকে নেন। থানায় বিষয়টি মীমাংসা না হওয়ায় মিনারা দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল করিম ভূঁইয়ার কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার হস্তক্ষেপে সেতারা বেগম বৈধ ভিসায় মিনারাকে দুবাইয়ে পাঠাতে রাজি হয়। সেতারা বেগম প্রতিশ্রুতি দেয়, দুবাইয়ে যাওয়ার পর মিনারা ম্যাসেজ পার্লারে কাজ করবে। সে সপ্তাহে অন্তত একদিন বাসায় ফোনে কথা বলবে।
Also Read:

দুবাইয়ে বাংলাদেশী নারীদের দিয়ে দেহ ব্যবসা করাচ্ছে

 Aug 11, 2014    অপরাধ  0

প্রবাসী নারী শ্রমিক নির্যাতন প্রকাশ : ০৯ জুলাই, ২০১৪

'ভাই আমারে দ্রুত দেশে নিয়া যা না হলে আমি লাশ হয়ে যাব' 
দুবাইয়ে এক বাংলাদেশী নারী যৌনকর্মীকে হত্যা এবং কিছু কথা

০৭ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:২১ |

 দুবাইয়ে মানবিক বিপর্যয়ে কয়েক হাজার বাংলাদেশী শ্রমিক
পানির ট্যাঙ্কে পাকিদের বিষ!



__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] জিয়া-ডালিম ও ১৫ আগস্ট লে. কর্নেল (অব) ডালিমের বয়ান - ১০



সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ১৭ ভাদ্র ১৪২১
জিয়া-ডালিম ও ১৫ আগস্ট লে. কর্নেল (অব) ডালিমের বয়ান - 
মুনতাসীর মামুন
(৩১ আগস্টের পর)
স্বার্থসিদ্ধির জন্য মানুষ উন্মাদ হয়ে উঠলে কত কিছু যে বলে তার একটি উদাহরণ ডালিম। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পর্কে তিনি লিখেছেন-
"যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ভারতের স্বার্থেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। দালাল আইন প্রত্যাহার এবং হাজার হাজার রাজাকার, আলবদর ও শান্তি কমিটির সাধারণ সদস্যদের সাধারণ ক্ষমা প্রদর্শন শেখ মুজিবের মহানুভবতা বলে প্রচার করা হলেও আসলে দেশপ্রেমিকদের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ হিসেবে এদের দাঁড় করানোর জন্যই ক্ষমা প্রদর্শন করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে ধর্ম ব্যবসায়ীদের রাজনীতিতে পুনর্বাসন এবং সরকারী গুরুত্বপূর্ণ পদে তাদের বহাল করার জন্য শেখ মুজিবুর রহমানই দায়ী। দেশপ্রেমিকতায় অভিযুক্ত, হত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণ ও বুদ্ধিজীবী নিধনের সাথে জড়িত অপরাধীদের দেশের প্রচলিত আইনে বিচার না করে তাদের ক্ষমা ধৃষ্টতা দেখিয়েছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান, জনগণের প্রত্যাশা দলাদলি দিয়ে।" [পৃ. ৪০৬]
এ রকম ডাহা মিথ্যার জবাব কী হবে জানি না। সত্য ঘটনা হলো এই-মুক্তিযুদ্ধের সময়, রাজাকার আল বদর, আল শামস এবং অন্যান্য স্বাধীনতাবিরোধীর সংগঠন যে শুধু পাকিস্তানী বাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতা করেছিল তা নয়, তারা গণহত্যা, ধর্ষণ, লুট এবং অন্যান্য সমাজবিরোধী কাজেও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিল এবং এটা খুবই স্বাভাবিক যে, সকল যুদ্ধ শেষে তাদের ওপর প্রতিশোধ নেয়া হবে। কিন্তু দেখা গেল, যুদ্ধশেষে অনেকে ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য অনেকের বিরুদ্ধে ভুয়া অভিযোগ এনেছে, অনেকে শাস্তির ব্যাপারটা নিজের হাতে তুলে নিয়েছে। এসব অভিঘাত সৃষ্টি করল আইনশৃঙ্খল পরিস্থিতির ওপর। সরকার অবশ্য চেয়েছে পাকিস্তানী দালালদের বিরুদ্ধে ত্বরিত ব্যবস্থা নিতে। ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারির সরকার ঘোষণা করে 'বাংলাদেশ দালাল (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল) অধ্যাদেশ, ১৯৭২।' এ আইনে, শািস্তর মেয়াদ ছিল দুবছর থেকে মৃত্যুদ- পর্যন্ত। এ ধরনের আইনের প্রয়োজন ছিল, শুধু তাই নয়, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন ছিল এর যথাযথ প্রয়োগ। ২৮ মার্চ সারাদেশে দালাল বিচারের জন্য গঠন করা হলো ৩৭টি ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু এ আইনে একটি ফাঁক ছিল। ৭ম ধারায় বলা হয়েছিল- "থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি যদি কোন অপরাধকে অপরাধ না বলেন তবে অন্য কারও কথা বিশ্বাস করা হবে না। অন্য কারও অভিযোগের ভিত্তিতে বিচার হবে না ট্রাইব্যুনালে। অন্য কোন আদালতেও মামলা দায়ের করা হবে না।" ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এই অধ্যাদেশবলে অভিযুক্ত করা হয়েছিল ৩৭,৪৭১ জনকে। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর শেখ মুজিব সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন।
১৯৭১-৭২ সালের পত্রিকা ওল্টালে প্রায় প্রতিদিন চোখে পড়বে দালাল আলবদরের গ্রেফতারের এবং তাদের বিচারের খবর। দেখা যাবে বিচারে অনেককে কারাদ-, এমনকী মৃত্যুদ-ও দেয়া হচ্ছে।
সরকারীভাবে ২৫.১২.১৯৭১ সালে জানানো হয়, [প্রতিবেদন অনুযায়ী] ২৫ মার্চের পর নির্দোষ মানুষের ওপর অমানুষিক অত্যাচারের জন্য দায়ীদের বিচার করা হবে। ১৯৭২ সালের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ৪১ হাজার দালালকে গ্রেফতার করা হয়েছে, চার্জশীট দাখিল করা হয়েছে ১৬ হাজারের বিরুদ্ধে, মুক্তি পেয়েছে ৫০০০ জন এবং মামলা দায়ের করা হয়েছে ৩০০ জনের বিরুদ্ধে । এখানে মনে রাখা দরকার সে বিপর্যস্ত সময়ে, যেখানে ছিল বিচার ও আনুষাঙ্গিক ব্যবস্থার অভাব, সেখানে কয়েক মাসের মধ্যে ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা ও ১৬ হাজারের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করা সামান্য বিষয় নয়।
১৯৭২ সাল থেকেই দালাল আইন বাতিলের আবেদন/দাবি জানানো হয়। ৫.১২.১৯৭২ সালের প্রতিবেদন অনুসারে, ভাসানী বলেছেন- "দালাল আইন বাতিল না করলে আন্দোলন করব।" (দৈ, বাংলা) ৫.২.১৯৭৩ সালে "দালাল আইনে অভিযুক্তদের ক্ষমা করার জন্য অলি আহাদ আহ্বান জানান।" ২.১.১৯৭৩ তারিখে "দালাল আইন" অপপ্রয়োগ বন্ধ করার জন্য ন্যাপ (মো.) দাবি জানায়।
১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি 'দালাল আইন (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল) আদেশ জারি করেন। ৬ ফেব্রুয়ারি, ১ জুন ও ২৯ আগস্ট ১৯৭২ সালে তিন দফা সংশোধনীর পর তা চূড়ান্ত হয়। এ আইনের অধীনে ৩৭ হাজারের বেশি জনকে গ্রেফতার করা হয় যা আগে উল্লেখ করেছি। সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর পর ১৯৭৩ সালের ২০ জুলাই সংসদে পাস হয় 'আন্তর্জাতিক অপরাধসমূহ (ট্রাইব্যুনাল) আইন ১৯৭৩। [মুনতাসীর মামুন, মুক্তিযুদ্ধ সমগ্র, ১ম খ-, সুবর্ণ, ২০১০]
বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমার পরও কারাগারে পূর্বোল্লিখিত অপরাধসমূহের জন্য ১১ হাজারেরও বেশি লোক আটক ছিল। জেনারেল জিয়া ক্ষমতায় এসে ১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর দালাল আইন বাতিল করেন। সবাই ছাড়া পেয়ে যায়। জামায়াত, মুসলিম লীগের ওপর হতে নিষেধাজ্ঞা উঠে যায়। পকিস্তানপন্থী স্বাধীনতাবিরোধীরা শুধু সমাজে প্রতিষ্ঠিত নয়, রাজনৈতিক অধিকার লাভ করে।
আওয়ামী লীগের অত্যাচারের বিরুদ্ধে তারা যে কত ন্যায়পরায়ণ ছিলেন তা বোঝাতেই ঘর্মাক্ত হয়েছেন ডালিম। আওয়ামী লীগ বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এ কারণে সেনাবাহিনী ব্যবহারের দরকার পড়ে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার চোরাচালান দমনে সেনাবাহিনীকে নামানো হয়। ১৯৭২ সালে আত্রাইয়ে টিপু বিশ্বাসরা নাশকতামূলক কাজ শুরু করলে সেনাবাহিনী নামানো হয়। বঙ্গবন্ধু ডালিমের ভাষায় 'তার প্রিয়' সাফায়াত জামিলকে নির্দেশ দেন এদের নির্মূল করার। জামিলের স্টাফ অফিসার ক্যাপ্টেন নূর "এই অন্যায় তৎপরতার বিরোধিতা করে জামিলকে বোঝাবার চেষ্টা করেন।" "শেখ সাহেবের প্রতি তার অন্ধ আনুগত্য থাকলেও এভাবে ব্যক্তি স্বার্থে নিষ্ঠুরের মতো ছেলেমেয়েদের মেরে ফেলা অন্যায় এবং অযৌক্তিক। এ ধরনের পাশবিকতার জন্য নিজের বিবেকের কাছেই তিনি একদিন দায়ী হয়ে পড়বেন।" [ পৃ.৪৫৬]
উল্লেখ্য, এই নূর বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে অন্তিমে খুন করেছিলেন। সে কাজটি তার কাছে পাশবিক মনে হয়নি।
এরপর কর্নেল জিয়াউদ্দিনের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি মুজিব আমলের বিরোধিতা করে সাপ্তাহিক হলিডেতে একটি প্রবন্ধ লেখেন যা তিনি করতে পারেন না। বঙ্গবন্ধু কতটা সহিষ্ণু ছিলেন বোঝা যায় যে, তাৎক্ষণিকভাবে তাকে বরখাস্ত না করে ডেকে পাঠান। এখানে ডালিম অপর একটি গল্প ফেঁদেছেন। শেখ মুজিব জিয়াউদ্দিনকে ক্ষমা চাইতে বলেন। কিন্তু ক্ষমা না চেয়ে তিনি বলেন, "আপনি ঠিকই বলেছেন যে, চাকরিতে থাকাকালীন অবস্থায় এ ধরনের লেখা ছাপানো অন্যায়। তাই আমি কমিশনে ইস্তফা দিয়েই আমার নিবন্ধ ছেপেছি।" "এভাবেই সেদিন শার্দুল সন্তান কর্নেল জিয়াউদ্দিন শেখ মুজিবকে স্তম্ভিত করে দিয়ে গণভবন থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। তার বেরিয়ে আসার পর শফিউল্লাকে শেখ মুজিব অনুরোধ করেছিলেন জিয়াউদ্দিনকে বোঝানোর জন্য। হেডকোয়াটার্সে ফিরে এসে জেনারেল শফিউল্লাহ ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ প্রমুখ অনেকেই কর্নেল জিয়াউদ্দিনকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন। জিয়াউদ্দিন তাদের চুপ করিয়ে দিয়েছিলেন তার শাণিত জবাব দিয়ে। তিনি বলেছিলেন, নিজের আত্মার সাথে বেইমানি করতে পারবেন না সামান্য চাকরির লোভে। তা ছাড়া তাদের মতো মেরুদ-হীন কমান্ডারদের অধীনে একই সংগঠনে তাদের অধীনস্থ হয়ে চাকরি করে তিনি তার আত্মসম্মান খোয়াতে রাজি নন।" [পৃ. ৪১০]
ডালিম এভাবে বিরাট এক 'শার্দুল' হিসেবে জিয়াউদ্দিনকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছেন এবং বোঝাতে চেয়েছেন আওয়ামী লীগের সময় কী দুঃসময় ছিল। কিন্তু একটি বিষয় বোধগম্য হলো না। কমিশনে ইস্তফা দিয়ে জিয়াউদ্দিন কিভাবে চাকরি করছিলেন? আর জিয়াউদ্দিন ইস্তফা দিলেন, স্বয়ং সেনাপ্রধান জানলেন না, ভারি গোলমেলে ব্যাপার! যা হোক, ডালিম লিখেছেন, এর পর কর্নেল তাহেরকে সরিয়ে দেয়া হয়। তিনি গড়ে ফেলেন গণবাহিনী। " সেনাবাহিনী থেকে তাকে বের করে দেবার পরও আমাদের যোগসূত্র ছিন্ন হয়নি কখনো।" জানিয়েছেন ডালিম, "আমরা আমাদের স্বস্ব অবস্থানে থেকে একই লক্ষ্যে কাজ করে যেতে থাকি।" [পৃ.৪১০] প্রশ্ন জাগে, তাহলে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিষয়টি কি তাহের জানতেন?
ডালিম লিখেছেন, "১৯৭৩ সালের এপ্রিল মাসে দেশের এক নাজুক পরিস্থিতে দিশেহারা মুজিব সরকার নেহায়েত অনন্যোপায় হয়ে আবার সেনাবাহিনীকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং দুষ্কৃতিকারী দমন করে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি সাধনের জন্য তলব করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।" [পৃ. ৪১৩] দুষ্কৃতকারী কাউকে ছাড় দেয়া হবে না-এ মর্মে তিনি কড়া নির্দেশ দেন। সেনাবাহিনীও এই নির্দেশ পেয়ে উৎসাহিত হয়ে ওঠে। বিভিন্ন এলাকায় সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে প্রধান আওয়ামী লীগ কর্মীরা ধরা পড়ে। প্রভাবশালী মহল থেকে চাপ সৃষ্টি করা হয় গ্রেফতারকৃতদের ছেড়ে দেয়ার জন্য। এ পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্টি হয় নাজুক পরিস্থিতির। স্বয়ং বঙ্গবন্ধু চাপ সৃষ্টি করেন। শফিউল্লাহ, কর্ণেল হুদা, ডালিমকে বঙ্গবন্ধু ডেকে পাঠান। তোফায়েল আহমদও ছিলেন সেখানে। আটককৃতদের ছেড়ে দেবার কথা বলেন বঙ্গবন্ধু। ডালিম জানান এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। "আমার জবাব শুনে কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে জেনারেল শফিউল্লাহকে উদ্দেশ করে তিনি বলে উঠলেন, "বাজান! কিছু একটা কর নইলে দেশে আওয়ামী লীগ একদম শেষ হইয়া যাইবো।" [পৃ. ৪১৬] শফিউল্লাহ বিচলিত হয়ে বললেন, কিছু একটা করা যাবে। ডালিমকে খেয়ে যেতে বলে, বঙ্গবন্ধু আলোচনা করেন। এর পর শেখ কামাল এসে উপস্থিত। তিনি ডালিমকে বললেন, "বস দিলেন তো আওয়ামী লীগ শেষ কইরা। কাজটা ভাল করেন নাই।" [পৃ.৪১৮] ডালিম বাসায় ফিরে এসে তার পিতাকে সব খুলে বলেন, তার পিতাও শেখ মুজিব সম্পর্কে কটু মন্তব্য করেন। পরে গ্রেফতারকৃতদের ছেড়ে দেয়া হয়। ফলে, ডালিমের মতে, সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙ্গে পড়ে।
৮.
'সামরিক বাহিনীকে দলীয়করণের প্রচেষ্টা' আলোচিত হয়েছে অষ্টাদশ অধ্যায়ে। এখানে মূলত জিয়াউর রহমানকে সরানোর চেষ্টা, ডালিমের সঙ্গে গাজী গোলাম মোস্তফার বিরোধ, ডালিমসহ নয়জনকে সেনাবাহিনী থেকে অপসারণের বিষয় বিস্তারিতভাবে আলোচিত হয়েছে।
একদিন নূর ডালিমকে ফোন করে জানালেন, জিয়াকে সামরিক এ্যাটাচে করে বার্মায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে, সে বিষয়ে আলাপ করতে জিয়া তাকে ডেকে পাঠিয়েছেন। (চলবে)

প্রকাশ : সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ১৭ ভাদ্র ১৪২১

জিয়া-ডালিম ও ১৫ আগস্ট লে. কর্নেল (অব) ডালিমের বয়ান - ১
মুনতাসীর মামুন
প্রকাশ : বুধবার, ২০ আগষ্ট ২০১৪, ৫ ভাদ্র ১৪২১
জিয়া-ডালিম ও ১৫ আগস্ট লে. কর্নেল (অব) ডালিমের বয়ান - ২                   
মুনতাসীর মামুন
প্রকাশ : শুক্রবার, ২২ আগষ্ট ২০১৪, ৭ ভাদ্র ১৪২১

জিয়া-ডালিম ও ১৫ আগস্ট লে. কর্নেল (অব) ডালিমের বয়ান -৩ 
মুনতাসীর মামুন
প্রকাশ : শনিবার, ২৩ আগষ্ট ২০১৪, ৮ ভাদ্র ১৪২১

জিয়া-ডালিম ও ১৫ আগস্ট লে. কর্নেল (অব) ডালিমের বয়ান - ৪ 
মুনতাসীর মামুন
 প্রকাশ : রবিবার, ২৪ আগষ্ট ২০১৪, ৯ ভাদ্র ১৪২১

সোমবার, ২৫ আগষ্ট ২০১৪, ১০ ভাদ্র ১৪২১

জিয়া-ডালিম ও ১৫ আগস্ট লে. কর্নেল (অব) ডালিমের বয়ান - ৫ 
মুনতাসীর মামুন
প্রকাশ :  সোমবার, ২৫ আগষ্ট ২০১৪, ১০ ভাদ্র ১৪২১
 
জিয়া-ডালিম ও ১৫ আগস্ট লে. কর্নেল (অব) ডালিমের বয়ান -  
মুনতাসীর মামুন
(২৫ আগস্টের পর)
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ২৬ আগষ্ট ২০১৪, ১১ ভাদ্র ১৪২১
জিয়া-ডালিম ও ১৫ আগস্ট লে. কর্নেল (অব) ডালিমের বয়ান - 
মুনতাসীর মামুন
প্রকাশ : বুধবার, ২৭ আগষ্ট ২০১৪, ১২ ভাদ্র ১৪২১
 
শুক্রবার, ২৯ আগষ্ট ২০১৪, ১৪ ভাদ্র ১৪২১
জিয়া-ডালিম ও ১৫ আগস্ট লে. কর্নেল (অব) ডালিমের বয়ান -  
মুনতাসীর মামুন
(২৮ আগস্টের পর)    
প্রকাশ : শুক্রবার, ২৯ আগষ্ট ২০১৪, ১৪ ভাদ্র ১৪২১
রবিবার, ৩১ আগষ্ট ২০১৪, ১৬ ভাদ্র ১৪২১
জিয়া-ডালিম ও ১৫ আগস্ট লে. কর্নেল (অব) ডালিমের বয়ান  ৯     
মুনতাসীর মামুন

http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=16&dd=2014-08-31&ni=183836
প্রকাশ : রবিবার, ৩১ আগষ্ট ২০১৪, ১৬ ভাদ্র ১৪২১

†hfv‡e †mbvcÖavb n‡jb †Rbv‡ij wRqv

Zia passively involved - The Daily Star

  1. Mar 15, 2011 - Zia decided to kill Taher as he wanted to appease the army officers ... was passively involved in the assassination of Bangabandhu Sheikh ...
  2. Video:

http://www.youtube.com/watch?v=dglIcOQtYUk

The killer duo Rashid and Farook tells Anthony Mascarenhas in an interview why they killed Mujib and the role of Zia and Mustaq and how they featured in their plan. The interview was taken in 1976 in London

ফিরে দেখা পঁচাত্তর: মুজিব হত্যা, খুনি মেজররা ও আমাদের দ্বিচারিতা

সোহরাব হাসান: কবি, সাংবাদিক।
sohrabo3@dhaka.net







__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] ৩৬ বছরে সবচেয়ে নাজুক বিএনপি - প্রথম আলো



এ পরিস্থিতির জন্য এক-এগারোকে দায়ী করলেন জমির উদ্দিন সরকার

৩৬ বছরে সবচেয়ে নাজুক বিএনপি

সেলিম জাহিদ | আপডেট: প্রিন্ট সংস্করণ

গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর 'গণতন্ত্রের জন্য অভিযাত্রা' কর্মসূচির দিনে গুলশানের বাসায় অবরুদ্ধ খালেদা জিয়া। বিএনপির সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে পুলিশি বাধার মুখে সেদিনের কর্মসূচি পালন করতে না পারাকে অনেকেই দলটির নাজুক অবস্থার প্রতিফলন বলে মনে করেন l ফাইল ছবিবিএনপি এখন তার ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন, এমনটিই মনে করছেন দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। বাংলাদেশের দুই প্রধান দলের একটি বিএনপির ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রাক্কালে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে দলটির সক্রিয় এবং সাবেক নেতা-কর্মীদের কয়েকজন এবং বিশ্লেষকদের কাছে দলটির বর্তমান অবস্থার মূল্যায়ন জানতে চাওয়া হলে তাঁরা এসব কথা বলেন। 
১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বিভিন্ন রাজনৈতিক মত ও পথের অনুসারীদের এক মঞ্চে এনে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন। তবে, দলটির ৩৬ বছরের ইতিহাসে প্রায় ৩২ বছর ধরে সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন বর্তমান চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা বলছেন, জন্মের তিন যুগের মাথায় এসে দলটি বহুমতের সম্মিলন ঘটানোর সামর্থ্য তো হারিয়েছেই, উপরন্তু দলের ঐক্য বা অভ্যন্তরীণ সংহতি এখন বড় ধরনের প্রশ্নের মুখে। বিশেষ করে, এক-এগারোর পর বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃত্বে মতের অমিল, পরস্পর সন্দেহ ও দ্বন্দ্ব এমন পর্যায়ে ঠেকেছে যে দলটি সাংগঠনিকভাবে চরম নাজুক অবস্থায় পড়েছে।
এ অবস্থার জন্য অবশ্য এক-এগারোর সময় দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা ও নিপীড়নকে দায়ী করেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ও স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এক-এগারোর সময় বিএনপির ওপর অপারেশন চালিয়ে আওয়ামী লীগকে যেভাবে ক্ষমতায় বসানো হলো এবং বিএনপির নেতৃস্থানীয় নেতা-কর্মীদের এমনভাবে যন্ত্রণা দিল যে দলটি আগের মতো আর শক্তভাবে থাকতে পারল না।
৩৬ বছরের মাথায় এসে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতার মূল্যায়ন হচ্ছে, দেশ পরিচালনায় এবং ছোট্ট এ ভূখণ্ডকে মর্যাদার আসনে নিতে জিয়াউর রহমান যতটা কার্যকরি ও দূরদর্শী ছিলেন, বিএনপি পরের দুই দফায় সে রকম কার্যকর উদ্যোগ ছিল না।
তবে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা ও স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম দাবি করেন, বিএনপি এখনো বহুমতের সম্মিলনের মৌলিক অবস্থান হারায়নি। কিছু কিছু নেতা ব্যক্তিস্বার্থে এর থেকে দূরে সরে গেলেও দলের তৃণমূল এখনো এ চেতনা ধারণ করে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থান-পাল্টা অভ্যুত্থানের এক পটভূমিতে ৭ নভেম্বর ক্ষমতার কেন্দ্রে চলে আসেন জিয়াউর রহমান। প্রথমে তিনি ১৯ দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) নামে বিভিন্ন দল ও গোষ্ঠীর একটি সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম প্রতিষ্ঠা করেন, যা পরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপিতে রূপান্তরিত হয়। 
বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ৪৩ বছরে বেশিবার নির্বাচনে জিতে সবচেয়ে বেশি সময় রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল এ দলটি। হিসাবে দেখা যায়, এখন এই দলটিই টানা প্রায় আট বছর ক্ষমতার বাইরে আছে। সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচন বর্জন করে বিএনপিসহ তৎকালীন ১৮-দলীয় জোট নির্বাচন প্রতিহতের আন্দোলনে নামে। নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ হয়ে দলটির ভেতরে এখন প্রায় নির্জীব অবস্থা। বিএনপির উচ্চপর্যায় থেকে আন্দোলনে নামার নতুন নতুন দিন-তারিখ ঘোষণা করে হাঁকডাক ছাড়া হলেও কর্মসূচি দেওয়া যায়নি। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া শত শত মামলার খড়্গ। সব মিলিয়ে নেতা-কর্মীরা ছন্নছাড়া হয়ে পড়েছেন।
অবশ্য এ বিষয়ে তরিকুল ইসলামের মূল্যায়ন ভিন্ন। তিনি বলেন, বিএনপি একটি সমর্থকনির্ভর দল। দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হাজার-লাখো মানুষের সমাবেশ হয়। যখনই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্মসূচি পালন করতে দেয় না, বা সরকারের পেটুয়া বাহিনী অত্যাচার চালায়, তখন সমর্থকেরা সরকারি সন্ত্রাস অনেক ক্ষেত্রে মোকাবিলা করতে পারেন না।
বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী ও দলের নীতিনির্ধারকেরা জাতীয়তাবাদী দল প্রতিষ্ঠার সময় বাংলাদেশের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক পটভূমি সামনে আনেন। তাঁদের মতে, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার সময় দেশের অর্থনীতিসহ সব ক্ষেত্রে ছিল বিশৃঙ্খলা। রাজনীতিতেও একধরনের শূন্যতা বিরাজ করছিল। বিশেষ করে স্বাধীনতা-উত্তর দেশের আইনশৃঙ্খলার অবনতি, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস, দুর্ভিক্ষ, সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধ, একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপটে জাতীয়তাবাদী দর্শনের ভিত্তিতে বিএনপি প্রতিষ্ঠা হয়। জিয়াউর রহমান সৎ ও নিষ্ঠাবান ব্যক্তিদের নিয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে একটি রোল মডেল দাঁড় করান।
১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে এক ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে জিয়াউর রহমান নিহত হলে দলটি প্রথমবারের মতো নেতৃত্বের সংকটে পড়ে। তৎকালীন উপ-রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তার সাময়িক সময়ের জন্য সরকার ও দলের হাল ধরলেও ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ জেনারেল এরশাদের সামরিক অভ্যুত্থানে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন। বিচারপতি সাত্তারের ক্ষমতাচ্যুতির পর বিএনপি প্রকৃত অর্থেই অস্তিত্ব-সংকটের মুখে পড়ে। মওদুদ আহমদসহ বিএনপির অনেক নেতাই জেনারেল এরশাদের সরকারে যোগ দেন। দলের সেই সংকটকালে ১৯৮৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বিএনপির হাল ধরেন খালেদা জিয়া। বিএনপির নেতারা বলছেন, জিয়ার উত্তরসূরি হিসেবে খালেদা জিয়াও সমান্তরালভাবে জনপ্রিয়। তবে নেতারা স্বীকার করেন, বিএনপির কাছে মানুষের যে প্রত্যাশা, দলটি সেগুলোর কিছুটা পূরণ করতে পারলেও, কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা পারা যায়নি।
জেনারেল এরশাদের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপসহীন ভূমিকা দলটিকে ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করে। এরপর ২০০১ সালে আবারও ক্ষমতায় আসে দলটি। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এর মধ্য দিয়ে বিএনপির গায়ে সেনা ছাউনির সমর্থননির্ভরতার যে অভিযোগ লেগেছিল, তা থেকে দলটি কিছুটা বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়। এ সময়ট মাঠের আন্দোলন-সংগ্রামে বিএনপির মূল শক্তি ছিল ছাত্রদল ও যুবদল। ৩৬ বছর পর সে ছাত্রদল এখন নির্জীব। ছাত্রত্ব আছে, আবার নেতৃত্ব দেওয়ার মতো উপযুক্ত—এমন নেতাই খুঁজে পাচ্ছেন না বিএনপির চেয়ারপারসন। আর যুবদল কার্যকারিতা হারিয়ে এখন দলের অন্য সংগঠনে বিলীন হওয়ার পর্যায়ে ঠেকেছে। আবার মূল দলের ঢাকা মহানগর কমিটি নিয়ে নতুন করে অস্বস্তিতে পড়েছেন বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। মির্জা আব্বাস ও হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের নেতৃত্বে কমিটি ঘোষণা দেওয়ার পর নেতৃত্বের পুরোনো দ্বন্দ্ব নতুন আঙ্গিকে জেগে উঠেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, 'জিয়াউর রহমানের একটি দর্শন ও দূরদৃষ্টি ছিল। জীবদ্দশায় তিনি দলের নীতিনির্ধারণী সভায় বলতেন, কোনো সমস্যা হলে জনগণের কাছে যেতে হবে। আমার মনে হয়, জনসম্পৃক্ততার এ জায়গাটায় বিএনপির একটা ফাঁক আছে।'
নেতৃত্বের নতুন কেন্দ্র: প্রতিষ্ঠার তিন যুগের মাথায় এসে পরিবর্তন এসেছে বিএনপির নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায়। এত দিন দলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও দলীয় কর্মসূচি আবর্তিত ছিল মূলত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কেন্দ্র করে। তিনি প্রায় ৩২ বছর দলীয় প্রধানের পদে আছেন। হালে দলটির নেতৃত্ব দ্বি-কেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে আরও নিবিড়ভাবে যুক্ত হয়েছেন লন্ডনে বসবাসকারী দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি ১৯৯৭ সালে বগুড়া জেলা বিএনপির সদস্যপদ নিয়ে রাজনীতিতে যুক্ত হন। মাঝে ছিলেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব, এখন তিনি সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান। দলে তরুণ নেতাদের একটি বড় অংশ তারেক রহমানকে ঘিরে সক্রিয়। এ অবস্থায় বিগত আমলে 'হাওয়া ভবনের' কথা মনে করে দলের প্রবীণ ও জ্যেষ্ঠ নেতাদের কেউ কেউ অস্বস্তিতে আছেন, আবার অনেকে দুর্ভাবনায় পড়েছেন।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, আওয়ামী লীগের মতো একটি প্রাচীন দল যখন গণতন্ত্রের চর্চা থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকে, তখন অন্য দলগুলোর মতো এই দুষ্টচক্র থেকে বিএনপিও বের হতে পারছে না। এটা একটা বাস্তবতা।
বিএনপির উচ্চপর্যায়ের নেতাদের অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ, দলের কমিটি গঠন, দল থেকে কাউকে বহিষ্কার বা তিরস্কার করা—সব সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত করেন খালেদা জিয়া। তিন বছর অন্তত দলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল, ছয় মাস অন্তর নির্বাহী কমিটির সভা হওয়ার কথা। কিন্তু ২০০৯ সালের পর কাউন্সিল হয়নি, নির্বাহী কমিটির সর্বশেষ সভা হয়েছে ২০১২ সালের জুলাই মাসে। ২০১১ সালের ১৬ মার্চ বিএনপির মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সম্মেলন না হওয়ায় এ পদে পরিবর্তনও আসছে না, আবার মির্জা ফখরুল ইসলামও ভারমুক্ত হতে পারছেন না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক সদস্য বলেন, দলের কেন্দ্রীয় পর্যায়ে কিছু ক্ষেত্রে গণতন্ত্রের চর্চা আছে, অনেক ক্ষেত্রে নেই। আবার মাঠপর্যায়ে কেন্দ্র থেকে বেশি আছে। তাঁরা মনে করেন, দলের গণতন্ত্র চর্চার জন্য সব পর্যায়ে নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করা দরকার।
অবশ্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে দলের এক অনুষ্ঠানে বলেন, প্রতিষ্ঠার ৩৬ বছরে বিএনপির ওপর একের পর আঘাত এসেছে। এক-এগারোর সময় বিএনপিকে ভাঙার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। কিন্তু খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি ধ্বংসস্তূপ থেকে ফিনিক্স পাখির মতো ঘুরে দাঁড়িয়েছে। খালেদা জিয়ার দৃঢ়তা আর তারেক রহমানের অনুপ্রেরণায় বিএনপি সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে বলে তিনি দাবি করেন।

৩৬-বছরে-সবচেয়ে-নাজুক-বিএনপি



__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] Please read, you will like it



Bhorer Kagoj, 1st Sept 2014:

http://www.bkagoj1.com/new/blog/2014/09/01/194049.php

সংখ্যালঘুর সমস্যা তখনই সমাধান সম্ভব, যখন সংখ্যাগুরুরা এগিয়ে আসবেন

 

এআইজি প্রলয় জোয়ার্দ্দার-কে নিয়ে ইনকিলাবের 'রম্যরচনা' লেখার বিষয়বস্তু নয়, কিন্তু ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয় কিভাবে বাংলাদেশে প্রত্যক্ষপরোক্ষ বা মনস্তাত্ত্বিকভাবে  সংখ্যালঘুরা অত্যাচারিত হয়ে থাকে। প্রলয়ের ওপর যা ঘটেছে সেটা মনস্তাত্ত্বিক অত্যাচার। এর তীব্রতা কেবল ভুক্তভুগিই জানেন। কবি শামসুর রাহমানের ওপর মৌলবাদী হামলার পর এক সাংবাদিক সন্মেলনে তিনি বলেছিলেন, "হামলা হয়েছে মাদ্রাসা থেকে" এবং তিনি দাবি করেন, "মাদ্রাসাগুলো বন্ধ করে দেয়া উচিত" একইসময়ে নিউইয়র্কে ওই হামলার প্রতিবাদে এক সভায় আমি বলি, "কবি শামসুর রাহমান তার ওপর হামলার জন্যে মাদ্রাসাকে দায়ী করে বাংলাদেশে মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থা বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন" পরদিন একটি বাংলা সাপ্তাহিক ফলাও করে ছাপে, "শিতাংশু গুহ বাংলাদেশে সকল মাদ্রাসা মসজিদ বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন।" ব্যস, এরপর তিনমাস, নিউইয়র্কের তাবৎ সাম্প্রদায়িক কাগজগুলো শিতাংশু' চৌদ্দগুষ্টি উদ্দার করে। আমেরিকায় থেকেও ঐসময় আমি যে প্রেসার অনুভব করেছিলাম, তা ভেবে প্রলয়ের জন্যে সহানুভুতি জানাই। তখন এক সভায় আমার বন্ধু বনলতা সেনের দেশ নাটোরের : মহসীন আলী বলেছিলেন, 'বাংলাদেশ হলে ঘটনায় এতদিনে শিতাংশু' বাড়িঘর মৌলবাদীদের আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যেতো।' : মহসীন আলী, : নূরন নবী বা ফরাসত আলী এবং সাপ্তাহিক ঠিকানা সেদিন সামনে এগিয়ে এসেছিলো এবং আমরা পেরেছিলাম মৌলবাদের দাতভাঙ্গা জবাব দিতে। আমার বিশ্বাস প্রলয়ের বিরুদ্বে অন্যায়ের প্রতিবাদে পরোক্ষভাবে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী এগিয়ে এসেছেন, তাই এযাত্রায় প্রলয় রক্ষা পেয়েছেন।  আমার এসব কথা বলার অর্থ হলো, সংখ্যালঘুর সমস্যা তখনই সমাধান সম্ভব, যখন সংখ্যাগুরুরা এগিয়ে আসবেন। এই আমেরিকায় কালোদের সমস্যাও সমাধান হয়েছিলো যখন সাদারা এগিয়ে এসেছিলো।

 

'সংখ্যালঘু' তত্বে অনেকেই বিশ্বাস করেন না। বক্তৃতা-বিবৃতিতে তা তারা ফলাও করে বলতেও পছন্দ করেন। প্রশ্ন হলো, প্রলয় হিন্দু না হলে কি তার ওপর নির্যাতন হতো? আমেরিকায় আমি 'সংখ্যালঘু' তত্বে বিশ্বাস করিনা, কিন্তু বাংলাদেশে করি। কথাটা এভাবে বলা ঠিক হলোনা, বলা উচিত, রাষ্ট্র আমায় স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেআমি হিন্দু, মুসলমান নই। রাষ্ট্রের যদি ধর্ম থাকে, তাহলে অন্যরা সংখ্যালঘু হবেই। যুদ্ধাপরাধী দেলোয়ার হোসেন সাইদী বহুবার বলেছেন, 'বাংলাদেশে হিন্দুরা জামাই আদরে আছেন।' জিয়া-এরশাদ-খালেদা বহুবার বলেছেন, 'বাংলাদেশে চমৎকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিরাজমান।' আসলেই কি তাই? হিন্দুরা কি তা বলে? তাই যদি হয়, তাহলে কি করে সংখ্যালঘু জনসংখ্যা ৪৪ বছরে প্রায় ২০% থেকে %- চলে এলো?  যাকগে ওসব কথা। এইতো সেদিন সচিবালয়ে হিন্দু কর্মকর্তাদের একটি তালিকা প্রকাশ পেলো, সাথে লেখা হলো কিভাবে হিন্দুরা বাংলাদেশ দখল করে ফেলছে! ওই তালিকায় সাড়ে ৪শ' ওপর হিন্দুর  নাম আছে। ৩জন সচিবের পরই আছে স্বপন সাহার নাম। সদ্য তিনি ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দুতাবাসে প্রেস মিনিস্টারের চাকুরীর মেয়াদ শেষে দেশে ফিরেছেন। পদমর্যাদায় ওটি ছিলো যুগ্ন-সচিব মর্যাদার, স্বপন সাহা চাকুরী করতেন বিএসএস-, রিটায়ারের পর চুক্তিভিত্তিতে ওয়াশিংটনে নিয়োগ পান, তিনি কিভাবে ওই তালিকার শীর্ষে স্থান পেলেন তা আমার বোধগম্য নয়, কারণ তিনি কখনই সচিবালয়ে ক্যাডারভিত্তিক চাকুরিতে ছিলেননা। তবু মৌলবাদীরা তার নামটি ব্যবহার করেছেন, কারণ তিনি হিন্দু! এটাই প্রচ্ছন্ন সাম্প্রদায়িকতা এবং স্বপন সাহা বা প্রলয় জোয়ার্দ্দার নিজেদের অজান্তে কোন অপরাধ না করেই শুধুমাত্র হিন্দু হবার কারণে 'ভিকটিম' যারা সচিবালয়ের ভুলভ্রান্তিভরা ওই লিস্টটি ছাপিয়েছেন তারা কিন্তু বলেননি হিন্দুদের ওই সংখ্যাটি কত শতাংশ এবং না বলার কারণটি হলো, ওই সংখ্যাটি -%-এর বেশি নয়! তারা প্রায়শ: পুলিশ বা মিলিটারিতে /১জন উচচপদস্থ কর্মকর্তার দৃষ্টান্ত দিয়ে 'গেল গেল' রব তুলেন, কিন্তু কখনই ঐসব বাহিনীতে বা এমনকি বিজিবি-তে কত শতাংশ হিন্দু আছেন তা বলেন না, কেননা ঐসব বাহিনীতে হিন্দুরা 'ভাসুর'; ভাসুরের নাম নিতে মানা।

 

ইনকিলাবের স্টোরী বা সেক্রেটারিয়েটের ওই তালিকাতে হিন্দুদের মোটামুটি পাইকারীভাবে ভারতের দালাল এবং ''-এর এজেন্ট হিসাবে চিত্রায়িত করা হয়েছে। আসলেই কি বাংলাদেশের হিন্দুরা সব ভারতের দালাল? ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্বের সময়কার কথা। আমরা তখন সবে স্কুলে পড়ি। একদিন সকালে শুনি শহরের প্রভাবশালী প্রায় সব হিন্দুকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। কারণ ওরা ভারতের দালালই শুধু নয়, সম্ভবত: 'চর' আরো শুনলাম, রাতে ওরা বাড়ীতে আলো জ্বালিয়ে রাখে যাতে ভারতীয় বিমান মনুষ্য বসতি বুঝে বোমাবর্ষণের সুযোগ পায়। তখন অবশ্য বুঝিনি যে, বাড়িতে বাতি জ্বালিয়ে রাখলে তো বোমা আগে তার মাথাতেই পড়বে। মফস্বল শহরের ঐসব হিন্দুর ভারতের দালাল হবার যোগ্যতা ছিলো কিনা জানিনা, তবে নাম যেহেতু হিন্দু, ভারতের দালাল না হয়েই পারেনা। উপাধি হিন্দুর জন্মসুত্রে পাওয়া। এমনকি দিনমজুর, যার নুন আনতে পান্তা ফুরায়, সেও ভারতের দালাল, কারণ তার নাম হিন্দু। মেজর জেনারেল (অব:) সি আর দত্ত, বীরউত্তম, যিনি পয়ষট্টিতে ভারতের বিরুদ্বে যুদ্ব করে খ্যাতি অর্জন করেছেন তিনিও অসংখ্যবার 'ভারতের দালাল' হিসাবে আখ্যায়িত হয়েছেন, শুধুমাত্র নামের জন্যে। মুসলমানদের কষ্ট করে ভারতের দালাল হতে হয়। কিন্তু হিন্দুরা কোন কষ্ট না করেই আপনাআপনি ভারতের দালাল। জন্মই তার আজন্ম পাপ, সরাসরি ভারতের দালাল। মুসলমানরা ভারতের দালাল থেকে পাকিস্তানের দালাল হতে পারেন, অনেকে হয়েছেনও; কিন্তু হিন্দুর কপালে 'তকমা' এমনভাবে সাঁটা যে থেকে মুক্তি নেই। এমনকি চীনপন্থী উগ্র বাম হিন্দুদের জন্যেও একথা সমভাবে প্রযোজ্য। 'কাদম্বিনী মরিয়া প্রমান করেছে সে মরে নাই'-কিন্তু বাংলাদেশের হিন্দুরা মরিয়াও প্রমান করতে পারবে না যে তারা ভারতের দালাল নয়। এযুগে অবশ্য ভারতের দালালের সাথে ''-এর এজেন্ট শব্দটাও যুক্ত হয়েছে। বলা যায়, এটা প্রমোশন

 

এটা হয়তো সত্য সাধারনত: হিন্দুরা ভারতকে পছন্দ করে  এর কারণ কিভারতে হিন্দুর সংখ্যাধিক্য? না, সেটা কারণ নয়। আসল কারণ হলো অধিকাংশ মুসলমানরা ভারতকে অপছন্দ করে, তাই হিন্দুরা পছন্দ করে। বেশিদিনের কথা নয়, উপমহাদেশের মানুষ সবাই ভারতীয় ছিলো; মুসলমানরা পাকিস্তান নিয়ে ভারতীয় পরিচয় ভুলতে সচেষ্ট হয়। হিন্দুরা হয়ে যায়, 'না ঘরকা না ঘাটকা।' পাকিস্তান তাদের চায়না; ভারত তাদের দেশনা। এটা হতোনা যদি পাকিস্তান বা পরে বাংলাদেশ হিন্দুদের জন্যে বসবাসযোগ্য হতো। পাকিস্তান সরকারিভাবে অমুসলমানদের জন্যে ছিলোনা। বাংলাদেশ সরকারিভাবে এখনো সেকথা না বললেও কার্যত একই। সরকার হয় উদাসীন অথবা বিপক্ষে। ৯২-এর দাঙ্গা বা ২০০১-এর সংখ্যালঘু নির্যাতনে সরকার জড়িত। এমনকি বর্তমান সরকার মুখে সম্প্রীতির কথা বলা ছাড়া সংখ্যালঘু স্বার্থ সংরক্ষণে তেমন কোন পদক্ষেপই নেয়নি। পার্বত্য শান্তিচুক্তি বা শত্রু সম্পত্তি নিস্পত্তি আইনের প্রসঙ্গে বলা যায়, 'ওগুলো আইওয়াস' পার্বত্য চুক্তিতে পাহাড়ে শান্তি আসেনি; বা  শত্রু সম্পত্তি নিস্পত্তি আইনে হিন্দুরা লাভবান হবেনা।

 

বাংলাদেশে আজও হিন্দু নির্যাতন দৈনন্দিন ঘটনা এবং প্রায়শ: বলা হয়, এটা তোমাদের দেশনা, 'গো টু ইন্ডিয়া' মনে আছে ৬৯- মোটামুটি ভালো রেজাল্ট করলে আমার ডাক্তারী পড়ার সম্ভবনা দেখা দেয়। বাবা তখন বলেন: 'অতদিন পাকিস্তানে থাকা যাবেনা।' বাংলাদেশে হিন্দু বাবাদের মানসিক অবস্থান কি খুব বেশি পরিবর্তন হয়েছে? এই প্রবাসেও দেখি হিন্দুরা কেউ ছেলেমেয়ে নিয়ে দেশে ফিরে যাবার কথা চিন্তা করেনা। অবশ্য মুসলমানরাও করেনা; যদিও কারন ভিন্ন। হিন্দুরা ভাবে আমরা যে সাম্প্রদায়িক সমস্যা ফেস করেছি, আমাদের ছেলেমেয়েরা তা যেন ফেস না করে। আসলে বাংলাদেশ সরকার হিন্দুদের জন্যে কিছু করার প্রয়োজন বোধ করেনা। ভারতও  কখনো এনিয়ে কথা বলেনি। ক্রিস্টানরা আক্রান্ত হলে উন্নত দেশগুলো কথা বলে; বৌদ্বরা অত্যাচারিত হলে জাপান-শ্রীলংকা চাপ দেয়; যেমন রামুর ঘটনার পর সরকার সব বৌদ্ব্মন্দির পুন:নির্মান করে দিয়েছেন। কিন্তু হিন্দুর জন্যে কেউ নাই। ভারত সরব হলেও হিন্দু নির্যাতন কমতো! প্রশ্ন উঠতে পারে, বাইরের চাপের প্রসঙ্গ আসছে কেনচাপ ছাড়া কি আমরা কিছু করি? আমাদের তো গোড়ায় গলদ আছে। আমরা নিজের দেশের নাগরিকদের রক্ষা করিনা। তাদের ঝেটিয়ে বিদায় করতে পারলে বাচি!

 

সুতরং, দোষ প্রলয় বা 'যত দোষ নন্দ ঘোষ' হিন্দুর নয়। অথবা হিন্দু মাত্রই ভারতের দালাল নয়। রাষ্ট্র হিন্দুদের দ্বিতীয় শ্রেনীর নাগরিক বানালে বা অস্তিত্ব অস্বীকার করলে, তাদের পরমুখাপেক্ষী হওয়া ছাড়া (যদিও তাতে লাভ হয়নাউপায় কি? নিজের দেশে যারা পরবাসী তারা কি নিয়ে বাচবে? সংখ্যাগুরুরা তত্ব না বুঝলে সমস্যা প্রতিনিয়ত বাড়বে এবং তা বাড়তে বাড়তে নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যেতে পারে।

 

শিতাংশু গুহ, কলাম লেখক

নিউইয়র্ক, ১লা সেপ্টেম্বর ২০১৪



__._,_.___

Posted by: Sitangshu Guha <guhasb@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___