Banner Advertiser

Wednesday, March 16, 2016

[mukto-mona] Haunting Photos Of A 15-Year-Old Forced To Marry A Man Twice Her Age in Bangladesh !



Haunting Photos Of A 15-Year-Old Forced To Marry A Man Twice Her Age

Refinery 29 UK 
By KAELYN FORDE16 hours ago


Photojournalist Allison Joyce was on assignment for Getty Images in her home of Bangladesh last summer when she passed a huge wedding tent being set up alongside the road. Curious what was going on, she asked a passerby who told her the wedding was set for the next day, and thousands of guests had been invited. But the detail that struck Joyce was the fact that the bride was only in the sixth grade. The next day, Nasoin Akhter would be married off to a man twice her age. Joyce returned the next morning with her camera, and was welcomed into the ceremony.

"Photographing her wedding was obviously sad," Joyce told Refinery29 of Akhter's big day. "She didn't seem like she was under any misconceptions about what was happening to her. She was quiet and withdrawn the entire day, even when surrounded by her friends." 

"In a lot of ways, it felt familiar, like the weddings I attended in the U.S.: Guests were dressed to the nines; happy couples mingled around; children were dancing in the streets to pop music. Everyone was celebrating this forced marriage of a 15-year-old girl to a 32-year-old man. To most of them, the sight wasn't an unusual one," Joyce said. "Most of the women in these communities are also married around the same age or younger." 

Although child marriage was officially outlawed there in 1929, Bangladesh has one of the highest rates in the world. An estimated 65% of girls are married before the age of 18. Of those, 29% are married before the age of 15, according to UNICEF. And while Bangladesh's female prime minister pledged to end child marriage by 2041, many are concerned by proposals to lower the official age from 18 to 16 in "special circumstances." (It's worth noting that, in some states, Americans can get married before the age of 18 with parental consent.)

Child marriage is incredibly harmful for girls — threatening both their health and education. Most young brides must drop out of school after their wedding, and many suffer violence and sexual abuse at the hands of their often much-older husbands. Early pregnancy puts girls at a higher risk for complications and death during childbirth, according to nonprofitGirls Not Brides.

By documenting Nasoin's wedding, Joyce hopes to raise awareness and push for change.

"Photography is a universal language and an incredibly powerful tool to affect change. It's one thing to read the statistics and know that things like child marriage are happening somewhere in the world, but seeing the frightened face of a child on her wedding day, personally that's what moves me, and I think most people, the most," Joyce said. 

Ahead, Joyce shares her powerful photographs with Refinery29. 

Editor's note: Captions were provided by Joyce and have been edited for length and clarity. 
View gallery.

On her wedding day, August 20, 2015, 15-year-old Nasoin looks out of a dressing room at a beauty parlour in Manikganj, Bangladesh.

Nasoin stands in the doorway of a neighbour's home on the day of her wedding. While poverty is often the reason families marry off their girls, Joyce said she was surprised that 
"[the bride's] father is a very wealthy man, with multiple two-story houses. Hundreds of chickens and cows were slaughtered for the wedding dinner, and thousands of guests were invited.

.

Nasoin is bathed on her wedding day.

Nasoin has her makeup done before her wedding ceremony.

Nasoin poses for a photo after her makeup is done.

Nasoin has her wedding sari wrapped around her.

.

Nasoin sits with relatives while posing for photos on her wedding day.

She is consoled by a friend.


She poses for video of her wedding day.


The groom, 32-year-old Mohammad Hasamur Rahman, arrives to the wedding venue on the day that he will marry 15-year-old Nasoin.


Mohammad poses for photographs with his new bride.

Rahman stands on a bed above his young bride

Wedding guests dance and celebrate at Mohammad and Nasoin's wedding.

After the wedding, Nasoin is led by relatives to a car that will take her to her new home.

For more information on how to help end child marriage around the world, visit nonprofit organisations Girls Not Brides and Too Young To Wed.

http://news.yahoo.com/haunting-photos-child-brides-wedding-130000484.html

http://l3.yimg.com/bt/api/res/1.2/AP0qR_c4c_uDN_tNApjElg--/YXBwaWQ9eW5ld3NfbGVnbztxPTg1/http://media.zenfs.com/en-GB/homerun/refinery_29_uk_109/c12166868f77e00285327c25a25b1529










                                                     
                                                              


__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] স্মৃতির পাতায় জাতির পিতা





স্মৃতির পাতায় জাতির পিতা

প্রকাশিত : ১৭ মার্চ ২০১৬
  • তোফায়েল আহমেদ

আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৭তম জন্মদিন। যে নেতার জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না সেই নেতার শুভ জন্মদিনে সমগ্র জাতি আজ কৃতজ্ঞচিত্তে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করছে। বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবনব্যাপী একটিই সাধনা করেছেন, আর তা হচ্ছে বাংলা ও বাঙালীর মুক্তির জন্য নিজেকে উৎসর্গ করা। তাঁর এই সাধনার শুরু ১৯৪৮ থেকে। '৪৭-এ দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র পাকিস্তান সৃষ্টির পরপরই তিনি উপলব্ধি করেছিলেন এই রাষ্ট্র কাঠামোর মধ্যে আমরা বাঙালীরা নির্যাতিত-নিষ্পেষিত হব। তাই '৪৮-এর জানুয়ারির ৪ তারিখে গঠন করেছিলেন ছাত্রলীগ এবং '৪৯-এর জুনের ২৩ তারিখে আওয়ামী লীগ। সেই থেকে ধাপে ধাপে প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। আমরা আজ বিস্মৃত হয়েছি ভাষা আন্দোলনের প্রথম পর্ব '৪৮-এর মার্চের ১১ তারিখটি। '৫২-এর পূর্বে '৪৮-এর মার্চ মাসের ১১ তারিখটি 'ভাষা দিবস' হিসেবে পালিত হতো। আর এই পর্বের ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু স্বয়ং।

প্রতিবছর যখন ১৭ মার্চ আসে বঙ্গবন্ধুকে ঘিরে কত কথা কত স্মৃতি মনের চারপাশে ভিড় করে। এমন মহামানবের সান্নিধ্য কেঁদেও আর পাব না কোনদিন, এমনটা ভাবলেই চোখ ভিজে যায়। মনে পড়ে '৭১-এর রক্তঝরা মার্চের ১৭ তারিখের কথা। সেদিন ছিল বঙ্গবন্ধুর ৫২তম জন্মদিন। সারাদেশে অসহযোগ আন্দোলন চলছে তখন। ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে আলোচনা শেষে তখনকার প্রেসিডেন্ট ভবন অর্থাৎ পুরাতন গণভবন সুগন্ধা থেকে দুপুরে যখন তিনি ধানম-ি ৩২ নম্বরের বাসভবনে ফিরে এলেন তখন বিদেশী সাংবাদিকদের সঙ্গে ঘরোয়া আলোচনাকালে একজন সাংবাদিক বঙ্গবন্ধুকে প্রশ্ন করেন, '৫২তম জন্মদিনে আপনার সবচাইতে বড় ও পবিত্র কামনা কী?' উত্তরে বঞ্চিত বাঙালীর অবিসংবাদিত নেতা স্বভাবসিদ্ধ কণ্ঠে বলেছিলেন, 'জনগণের সার্বিক মুক্তি।' এরপর সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জ্ঞাপনকালে তিনি ব্যথাভারাতুর কণ্ঠে বেদনার্ত স্বরে বলেছিলেন, 'আমি জন্মদিন পালন করি না-আমার জন্মদিনে মোমের বাতি জ্বালি না, কেকও কাটি না। এদেশে মানুষের নিরাপত্তা নাই। আপনারা আমাদের জনগণের অবস্থা জানেন। অন্যের খেয়ালে যে কোন মুহূর্তে তাদের মৃত্যু হতে পারে। আমি জনগণেরই একজন, আমার জন্মদিনই কি, আর মৃত্যুদিনই কি? আমার জনগণের জন্য আমার জীবন ও মৃত্যু। আমি তো আমার জীবন জনগণের জন্য উৎসর্গ করেছি।' কত বিশাল হৃদয়ের মহৎ মনের অধিকারী মানুষ ছিলেন তিনি। নিজের সবকিছুই তিনি জনগণের জন্য উৎসর্গ করেছিলেন। অতি সাধারণ জীবন ছিল তাঁর। রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন হয়েও সরকারী বাসভবনে থাকতেন না। নিরাভরণ, ছিমছাম আর আটপৌরে ৩২ নম্বরের বাড়িটিতেই আমৃত্যু থেকেছেন। ধানম-িতে যখন প্লট বরাদ্দ দেয়া হয় তখন ভালো একটি প্লট নেয়ার জন্য সবার শত অনুরোধ সত্ত্বেও বলেছিলেন, 'আগে সবাইকে দাও, তারপর যদি থাকে তখন দেখা যাবে।'

বঙ্গবন্ধুর সফরসঙ্গী হিসেবে সারাদেশসহ বিশে^র বহু দেশ সফর করেছি। তিনি অন্তরে যা বিশ^াস করতেন দেশের মানুষকে তা-ই বলতেন। একবার যা অঙ্গীকার করতেন জীবন দিয়ে হলেও তা বাস্তবায়ন করতেন। এজন্যই দেশের মানুষ তাঁকে বিশ^াস করত। শুধু দেশের মানুষ নয়, বিশে^র রাষ্ট্রনায়কগণ বঙ্গবন্ধুকে অপরিসীম শ্রদ্ধার চোখে দেখতেন। যেখানেই গিয়েছেন মানুষ তাঁকে আপন করে নিয়েছে। সেই সময়ের সব বরেণ্য নেতা, বিশেষ করে সোভিয়েত ইউনিয়নের রাষ্ট্রপ্রধান নিকোলাই পোদগর্নি, প্রধানমন্ত্রী আলেক্সেই কোসিগিন, সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক লিওনিদ ইলিচ ব্রেজনেভ, যুগোসøাভিয়ার রাষ্ট্রনায়ক মার্শাল জোসেফ ব্রোজ টিটো, ভারতের রাষ্ট্রপ্রধান শ্রী ভিভি গিরি এবং প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী, জার্মান চ্যান্সেলর হেলমুট স্মিথ, কানাডার প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে ট্রুডো, আলজিরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান হুয়ারে বুমেদীন, তাঞ্জানিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান জুলিয়াস নায়ারে, গ্রেট ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ, কিউবার রাষ্ট্রপ্রধান ফিদেল ক্যাস্ট্রো, মালয়েশিয়ার টিংকু আবদুর রহমান, জাম্বিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান কেনেথ কাউন্ডা-প্রত্যেকেই বঙ্গবন্ধুকে অশেষ শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেছেন। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে শেষ সফর করেছি জ্যামাইকার কিংস্টনে। কাছ থেকে দেখেছি বিশ^ নেতৃবৃন্দ কতটা সম্মান করতেন বঙ্গবন্ধুকে। বিশেষভাবে মনে পড়ে '৭৪-এর ২৫ সেপ্টেম্বরের কথা। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন। বঙ্গবন্ধুকে প্রথমেই অনুরোধ করা হয়েছিল 'মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি ইংরেজীতে বক্তৃতা করবেন।' কিন্তু প্রিয় মাতৃভাষা বাংলার প্রতি সুগভীর দরদ ও মমত্ববোধ থেকে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, 'আমি মাতৃভাষা বাংলায় বক্তৃতা করতে চাই।' পিনপতন নিস্তব্ধতার মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ৪৫ মিনিট বক্তৃতার শেষে সভাপতি নিজেই যখন দাঁড়িয়ে করতালি দিচ্ছেন, তখন স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়ক ও প্রতিনিধি দলের সদস্যবৃন্দ বিপুলভাবে করতালি দিয়ে আলিঙ্গন করে অভিনন্দিত করেছেন বঙ্গবন্ধুকে। অভাবনীয় সেই দৃশ্য। নিজ চোখে না দেখলে লিখে বোঝানো সম্ভবপর নয়। বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিশ্ব নেতৃবৃন্দের ছিল গভীর শ্রদ্ধা। আন্তর্জাতিক রাজনীতির হিমালয়সম উচ্চতায় আসীন ছিলেন তিনি। আমার মনে পড়ে, অধিবেশনে আগত বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি দলের সদস্যগণ আমাদের কাছে এসে বলেছিলেন, 'সত্যিই তোমরা গর্বিত জাতি। তোমরা এমন এক নেতার জন্ম দিয়েছো, যিনি শুধুমাত্র বাংলাদেশের নেতা নন, এশিয়ার নেতা নন, তিনি সমগ্র বিশ্বের নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নেতা।'

মনে পড়ে '৭০-এ বরিশাল-পটুয়াখালী-ভোলা অঞ্চলে নির্বাচনী সফরের কথা। ২৪ ফেব্রুয়ারি ছিল ভোলায় নির্বাচনী জনসভা। এদিন ভোলার ইতিহাসে সর্ববৃহৎ গণসমাবেশে বঙ্গবন্ধু আমাকে আমি যা না তার চেয়ে অনেক বড় করে তুলে ধরে তিনি তাঁর বক্তৃতা দিয়েছিলেন। এবং বঙ্গবন্ধু নেতা-কর্মীদের এভাবেই সম্বোধন করতেন। যখন যে এলাকায় যেতেন তখন সে এলাকার সংগঠক বা নেতা-কর্মীকে মহিমান্বিত করে বক্তব্য রাখতেন। নিজে কর্মী থেকে সংগঠক হয়েছেন, সংগঠক থেকে নেতা হয়েছেন, নেতা থেকে জাতীয় নেতা এবং পরিশেষে জাতীয় নেতা থেকে জাতির জনক হয়েছেন। আর এটি সম্ভবপর হয়েছে অসংখ্য কর্মীকে তিনি নেতা বানিয়েছেন, অসংখ্য নেতাকে স্থানীয় পর্যায় থেকে টেনে তুলে উন্নীত করেছিলেন জাতীয় নেতায়। ফলে সারা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ তৃণমূল পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে বহু চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজও বঙ্গবন্ধুর চেতনা ধারণ করেই টিকে আছে।

'৭১-এর জানুয়ারির ৩ তারিখের কথা। ঐতিহাসিক রেসকোর্স (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ময়দানে '৭০-এর নির্বাচনে নির্বাচিত জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। শপথ গ্রহণ করাবেন স্বয়ং বঙ্গবন্ধু। সেদিন বক্তৃতায় তিনি বলেছিলেন, '৬ দফা ও ১১ দফা আজ আমার নয়, আমার দলেরও নয়। এ আজ বাংলার জনগণের সম্পত্তিতে পরিণত হয়েছে। কেউ যদি এর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে তবে বাংলার মানুষ তাকে জ্যান্ত সমাধিস্থ করবে। এমনকি আমি যদি করি আমাকেও।' জনগণের জন্যই ছিল তাঁর রাজনীতি ও কর্মসূচী। তিনি তাঁর বক্তৃতায় সেদিন আরও বলেছিলেন, 'আমাকে মোনেম খান কাবু করতে পারেনি, এমনকি আইয়ুব খানও পারেনি-কিন্তু আমাকে দুর্বল করে দিয়েছে আপনাদের এই অকুণ্ঠ ভালোবাসা। আপনারা দোয়া করবেন যেন আপনাদের এই ভালোবাসার মর্যাদা দিতে পারি।' বাংলার মানুষের প্রতি ভালোবাসার মর্যাদা তিনি রক্ত দিয়ে পরিশোধ করে গেছেন। কবিগুরুর ভাষায়, 'আমৃত্যু দুঃখের তপস্যা এ জীবন, সত্যের দারুণ মূল্য লাভ করিবারে, মৃত্যুতে সকল দেনা শোধ করে দিতে।'

বঙ্গবন্ধুর কথা এবং বক্তৃতায় প্রায় সময়ই উদ্ধৃত হতো রবীন্দ্র-নজরুল-সুকান্ত-জীবনানন্দের কবিতার চরণ। এত সাবলীল আর প্রাসঙ্গিকতায় তিনি কবিতা আবৃত্তি করতেন মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনতে হতো। মনে পড়ে '৭১-এর রক্তঝরা মধ্য মার্চের কথা। যখন ইয়াহিয়ার সঙ্গে আলোচনা চলছে তখন বিদেশী সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে নজরুলের কবিতা থেকে তরজমা করে বলতেন, ও পধহ ংসরষব বাবহ রহ যবষষ; কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা থেকে বলতেন, 'চারিদিকে নাগিনীরা ফেলিতেছে বিষাক্ত নিঃশ্বাস, শান্তির ললিত বাণী শুনাইবে ব্যর্থ পরিহাস।' সে সময় অগ্নিঝরা মার্চে একদিকে চলছে আলোচনার নামে ইয়াহিয়ার প্রহসন, অন্যদিকে যুদ্ধ প্রস্তুতি। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে আমরা প্রতিদিন ঐক্যবদ্ধ হচ্ছি। সারাদেশে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোলার কাজ পূর্ণোদ্যমে এগিয়ে চলেছে। এমতাবস্থায়, রবীন্দ্রনাথ-নজরুল ছিল নেতার অভয় মন্ত্র। এই মার্চেই টঙ্গীতে পাক সেনাবাহিনীর গুলিতে বহু শ্রমিক হতাহত হয়। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের এক বিশাল মিছিল ভয়াল গর্জনে সমবেত হয় বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে। উত্তেজিত শ্রমিক শ্রেণীর উদ্দেশে বক্তৃতাদান শেষে বিদ্রোহী কবিকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, 'বিদ্রোহী রণক্লান্ত, আমি সেইদিন হবো শান্ত, যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দনরোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়গ কৃপাণ ভীম রণভূমে রণিবে না...।' ২৫ মার্চের থমথমে দিনটিতে গণহত্যা শুরুর প্রাক্কালে সাংবাদিক সাক্ষাতকারে বিষাদাচ্ছন্ন স্বরে বলেছিলেন, 'আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে এই বাংলায়...।' আশ্চর্যরকম অবলীলায় পরিস্থিতি-পরিবেশের সঙ্গে যুক্ত করে মৃত্যুঞ্জয়ী শক্তি নিয়ে তিনি এইসব কাব্যাংশ উচ্চারণ করে যেতেন। বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবনের প্রতিটি ধাপেই বাঙালীর সার্বিক মুক্তির জয়গান গেয়েছেন। তিনি তো সব সময় বলতেন, এমনকি দু'দুবার মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েও তিনি বলেছেন, 'ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার সময় আমি বলব, আমি বাঙালী, বাংলা আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা।' যে বাংলার স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন, যে বাংলার জন্য তিনি যৌবনের অধিকাংশ সময় কারাগারে কাটিয়েছেন, ফাঁসির মঞ্চে গেয়েছেন বাঙালীর জয়গান, সেই বাংলা ও বাঙালীর জন্য তাঁর ভালোবাসা ছিল অপরিসীম। সমুদ্র বা মহাসমুদ্রের গভীরতা পরিমাপ করা সম্ভব; কিন্তু বাংলা ও বাঙালীর জন্য বঙ্গবন্ধুর হৃদয়ের যে দরদ, যে ভালোবাসা তার গভীরতা অপরিমেয়।

নিজের জন্য কিছুই চাইতেন না। অপরের দুঃখ-কষ্টের প্রতি অপরিসীম দরদ তাঁকে সর্বদাই আবেগাপ্লুত করত। একবার এক জনসভায় তিনি বলেছিলেন, 'একজন মানুষ আর কী চাইতে পারে-আমি যখন ভাবি দূরে এক জনশূন্য পথের ধারে আধো আলো-ছায়ায় এক লোক লণ্ঠন হাতে দাঁড়িয়ে আছে শুধু আমাকে এক নজর দেখবে বলে, তখন মনে হয়, একজন মানুষের পক্ষে আর কী চাওয়া-পাওয়ার থাকতে পারে।' নিরন্ন-হতদরিদ্র-মেহনতি মানুষের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ছিল প্রগাঢ় ভালোবাসা। তা প্রতিফলিত হয়েছে, অভিব্যক্ত হয়েছে তাঁর প্রতিটি কর্মে এবং চিন্তায়। '৭৩-এর ৯ সেপ্টেম্বর, আলজিরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্সে অনুষ্ঠিত জোটনিরপেক্ষ সম্মেলনে বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, 'বিশ্ব আজ দু'ভাগে বিভক্তÑ শোষক আর শোষিত; আমি শোষিতের পক্ষে।'

'৭৫-এর জানুয়ারির ১১ তারিখের কথা আমার স্মৃতির মণিকোঠায় এখনও জ্বলজ্বল করে। হৃদয়ের গভীর থেকে উঠে আসে দীর্ঘশ্বাস। এদিন বাংলাদেশ সামরিক একাডেমিতে প্রথম শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠানে বিদায়ী ক্যাডেটদের উদ্দেশে এক মর্মস্পর্শী বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, '...আমি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে একথা বলছি না, তোমাদের জাতির পিতা হিসাবে আদেশ দিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী অনেক হবেন, অনেক আসবেন, প্রেসিডেন্টও অনেক হবেন, অনেক আসবেন। কিন্তু জাতির পিতা একবারই হন, দু'বার হন না। জাতির পিতা হিসাবেই যে আমি তোমাদের ভালোবাসি, তা তোমরা জানো। আমি তোমাদের আবার বলছি, তোমরা সৎপথে থাকবে, মাতৃভূমিকে ভালোবাসবে। মনে রেখো তোমাদের মধ্যে যেন পাকিস্তানী মনোভাব না আসে। তোমরা পাকিস্তানের সৈনিক নও, বাংলাদেশের সৈনিক। তোমরা হবে আমাদের জনগণের বাহিনী।' দীর্ঘ ২৩ বছর পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর স্বৈরতান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রামের অভিজ্ঞতা থেকে জাতির জনক যে শিক্ষা অর্জন করেছিলেন সেই চেতনায় স্বাধীন বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে তিনি 'জনগণের বাহিনী' বলে উল্লেখ করেছিলেন। বক্তৃতায় তিনি বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর অভিপ্রায় ব্যক্ত করে সেনা সদস্যদের আদর্শবান হওয়ার, সৎপথে থাকার অঙ্গীকার করে দৃঢ়তার সঙ্গে স্নেহার্দ্র কণ্ঠে কবি জীবনানন্দ দাশের জননী কবি কুসুমকুমারী দাশের কবিতা থেকে উদ্ধৃত করেছিলেন, 'মুখে হাসি বুকে বল তেজে ভরা মন, মানুষ হইতে হবে মানুষ যখন।'

অতুলনীয় সংগঠক ছিলেন বঙ্গবন্ধু। দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রত্যেককে দেখতেন নিজ পরিবারের সদস্যের মতো। প্রতিটি নেতা-কর্মীর বিপদ-আপদে তিনি তাদের পাশে দাঁড়াতেন পরম হিতৈষীর মতো। মমতা মাখানো সাংগঠনিক প্রয়াস নিয়ে কর্মীদের হৃদয় জয় করে নেয়ার ব্যতিক্রমী এক ক্ষমতা ছিল তাঁর। '৭২-এর ১৪ এপ্রিল, আমি তখন গ্যাস্ট্রিক-আলসারে আক্রান্ত হয়ে হলিফ্যামিলিতে চিকিৎসাধীন। আমার পাকস্থলীতে নালী-ঘায়ের অপারেশন হয়েছে। বঙ্গবন্ধু আমাকে দেখতে এসেছেন। সস্নেহে আমার হাত ধরে, পরম মমতায় কপালে হাত বুলিয়ে আদর করে আমার খোঁজ-খবর নিয়েছিলেন। আমার একমাত্র কন্যা মুন্নী যখন ২য় শ্রেণীতে পড়ে তখন টিভিতে ওর অনুষ্ঠান দেখে ওকে স্নেহাশীষ জানিয়েছিলেন। অপরিসীম ভালোবাসা ছিল শিশুদের প্রতি। ছবি তুলতে ভালোবাসতেন। ফটোগ্রাফার অনেকেই প্রশ্ন করতেন, 'বঙ্গবন্ধু, আপনি এত ছবি তোলেন কেন?' বলতেন, 'ভবিষ্যতের মানুষ যারা, ওরা বড় হয়ে দেখবে কেমন ছিল ওদের নেতা।' বঙ্গবন্ধু যখন গণভবনে যেতেন, সামনে পেছনে দু'টি গাড়ি থাকত। রাস্তায় ট্রাফিক সিগন্যাল পড়লে আমাদের গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ত। তখন এ রকম স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল বাতি ছিল না। একদিনের কথা খুব মনে পড়ে। একবার আমাদের গাড়ি সিগন্যালে দাঁড়ানো হঠাৎ একটি শিশু কত বয়স হবে সাত কি আট, গাড়ির কাছে এসে বঙ্গবন্ধুকে উদ্দেশ করে বলছে, 'সøামুআলাইকুম, মুজিব সাহেব!' তৎক্ষণাৎ বঙ্গবন্ধু শিশুটির হাত ধরে আদর করলেন, ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন। আমি পাশে বসে দেখছি একজন রাষ্ট্রনায়কের শিশুদের প্রতি কী অপার ভালোবাসা, কী অপূর্ব মমত্ববোধ! আর এজন্যই আমরা জাতির পিতার জন্মদিনটিকে 'জাতীয় শিশু দিবস' হিসেবে পালন করি।

বঙ্গবন্ধু ছিলেন পরশ পাথরের মতো। তাঁর পুণ্য হস্তের ছোঁয়ায় আমরা সকলেই গোটা বাঙালী জাতি নিরস্ত্র থেকে সশস্ত্র হয়েছিলাম; অচেতন থেকে সচেতনতার এমন পর্যায়ে উন্নীত হয়েছিলাম যে, আমরা স্বপ্ন দেখতাম শোষণমুক্ত সমাজ গঠনের। দীর্ঘ নয় মাস চৌদ্দ দিন কারাবাসের পর পাকিস্তানের জিন্দানখানা থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করে '৭২-এর ১০ জানুয়ারি রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যান) সর্বকালের সর্ববৃহৎ ঐতিহাসিক গণমহাসমুদ্রে তিনি বলেছিলেন, 'সাত কোটি সন্তানেরে হে মুগ্ধ জননী, রেখেছো বাঙালী করে মানুষ করোনি।' অশ্রুসিক্ত নয়নে উচ্চকিত হয়েছিলেন এই বলে যে, 'কবিগুরু, তুমি এসে দেখে যাও, তোমার বাঙালী আজ মানুষ হয়েছে, তুমি ভুল প্রমাণিত হয়েছো, তোমার কথা আজ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে...।'

বঙ্গবন্ধুর একান্ত সান্নিধ্যে থেকে দেখেছি তাঁর কৃতজ্ঞতাবোধ, বিনয়, মানুষের প্রতি প্রগাঢ় ভালোবাসা। আকাশের মতো উদার ছিল তাঁর হৃদয়। জ্যোতির্ময় ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন তিনি। স্বদেশ কিংবা বিদেশে সমসাময়িক নেতা বা রাষ্ট্রনায়কদের তাঁর তেজোময় ব্যক্তিত্বের ছটায় সম্মোহিত করার, উদ্দীপ্ত করার এক আশ্চর্য ক্ষমতা ছিল বঙ্গবন্ধুর। বীরত্ব, সাহস ও তেজস্বতার স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে তিনি ছিলেন ভাস্বর। তাঁর কাছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ছিল ন্যায়সঙ্গত। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব হিসেবে তাঁর একটা তহবিল থাকত আমার কাছে। এই তহবিল থেকে বঙ্গবন্ধু বিভিন্নজনকে সাহায্য-সহায়তা করতেন। এর মধ্যে দলীয় নেতা-কর্মী ছাড়াও বিরোধী দলের প্রতিপক্ষীয় লোকজনও ছিলেন। কিন্তু শর্ত ছিল যাদের অর্থ সাহায্য দেয়া হচ্ছে তাদের নাম-ঠিকানা গোপন রাখতে হবে, প্রকাশ করা যাবে না। বঙ্গবন্ধু কখনোই মানুষের মনে আঘাত দিয়ে কথা বলতেন না। তাঁর রাজনৈতিক বক্তব্য ছিল মার্জিত, কখনোই রাজনৈতিক বক্তব্যে ব্যক্তিগত বিষয়কে প্রাধান্য দিতেন না। বঙ্গবন্ধুর সময়ানুবর্তিতা, নিয়মানুবর্তিতা ছিল অসাধারণ। সময়ের এক চুল হেরফের হতো না, ঘড়ি ধরে অনুষ্ঠানাদিতে যেতেন। দলের নেতা-কর্মী সকলের প্রতি ছিল গভীর মমত্ববোধ। তাদের কাজের মর্যাদা দিতেন, ভালোবেসে বুকে টেনে নিতেন। অফুরন্ত প্রাণশক্তির অধিকারী বঙ্গবন্ধুর সাংগঠনিক দক্ষতা ছিল অপরিসীম। এক মুহূর্তে মানুষকে আপন করে নেয়ার অবিশ্বাস্য ক্ষমতা ছিল তাঁর। নীতির প্রশ্নে ছিলেন অটল। '৭৪-এ দলের কাউন্সিলে দলীয় পদ ত্যাগ করে সভাপতির পদটি ছেড়ে দিয়েছিলেন। তদস্থলে আসীন হয়েছিলেন শ্রদ্ধাভাজন জননেতা শহীদ কামারুজ্জামান সাহেব। আবার '৫৭-এ করেছিলেন বিপরীত কাজটি অর্থাৎ মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দলীয় পদে বহাল করেছিলেন নিজেকে। সময়ের চাহিদা অনুযায়ী নিজস্ব অবস্থান কোথায় হওয়া উচিত সেটি যেমন বুঝতেন, তেমনিভাবে কে কোথায় যোগ্যতর আসনে অধিষ্ঠিত হবেন তাঁকে সে জায়গাটিতে বসিয়ে দিতে ভুল করতেন না। বজ্রকণ্ঠের অধিকারী বঙ্গবন্ধু ছিলেন অতুলনীয় বাগ্মী। আর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য ছিল বক্তৃতায় বিভিন্ন কবির কবিতা থেকে উদ্ধৃতি চয়ন, যা আমি আগেই উল্লেখ করেছি। যেজন্য তাঁকে অভিহিত করা হয়েছিল 'রাজনীতির কবি' হিসেবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গুণবাচক বৈশিষ্ট্যের কথা বলে শেষ করা যাবে না। আমার পরম সৌভাগ্য হয়েছিল ইতিহাসের এই মহামানবের একান্ত সান্নিধ্যে আসার। আমার জীবন ধন্য। বঙ্গবন্ধু ছিলেন পরশ পাথরের মতো।

লেখক : আওয়ামী লীগ নেতা, সংসদ সদস্য, বাণিজ্যমন্ত্রী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।

tofailahmed69@gmail.com

- See more at: https://www.dailyjanakantha.com/details/article/179388/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE#sthash.Lyt6vP2j.dpuf










__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] AL Govt. is To Serve Poor Peoples .



The government has undertaken a plan to rehabilitate around 2.80 lakh poor by providing them with homes under various housing programmes in the next three years.
It was told in a meeting held at Prime Minister Office (PMO) here on Tuesday for reviewing the implementation process, progress and future action plan of the housing programmes initiated for poor by the government of Sheikh Hasina.
The government has undertaken a plan to rehabilitate around 2.80 lakh poor by providing them with homes under various housing programmes in the next three years. ...
albd.org



__._,_.___

Posted by: Muhammad Ali <man1k195709@yahoo.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] কারাগারে নিজামীর মৃত্যু পরোয়ানা




কারাগারে নিজামীর মৃত্যু পরোয়ানা


আমাদের সময়.কম
15.03.2016

nizami-3-1-400x254নিজস্ব প্রতিবেদক : মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত জামায়াতের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যু পরোয়ানা জারি করার পর মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টায় তা কারাগারে পৌঁছায়। মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে এ মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন বিচারিক আদালত। পরোয়ানায় স্বাক্ষর করেছেন বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার উল হক এবং বিচারিক প্যানেলের দুই সদস্য বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী।
আইন অনুসারে নিজামীর আপিল মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়সহ লাল সালুতে মোড়ানো এ পরোয়ানা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠান। বিষয়টি জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার মো. শহীদুল আলম ঝিনুক।
এ পরোয়ানার ভিত্তিতে দেশের শীর্ষ এই দুই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি কার্যকরে পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু করবে কারা কর্তৃপক্ষ।
এর আগে রাত সাতটার দিকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ থেকে ট্রাইব্যুনালে পৌঁছে পূর্ণাঙ্গ রায়টি। রায়ের অনুলিপিসহ অন্য কাগজপত্র পাঠান সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম। সেগুলো নিয়ে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারের কাছে পৌঁছে দেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার জেনারেল অরুনাভ চক্রবর্তী।
বিকেলে ১৫৩ পৃষ্ঠার এ পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাসহ আপিল মামলার রায় প্রদানকারী চার বিচারপতি রায়ে স্বাক্ষরের পর তা প্রকাশিত হয় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে। অন্য বিচারপতিরা হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। পূর্ণাঙ্গ রায়টি লিখেছেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা।
পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে রিভিউ আবেদন করতে ১৫ দিনের সময় পাবেন আসামিপক্ষ। বুধবার থেকে এ ১৫ দিনের ক্ষণ গননা শুরু হবে। এ সময়ের মধ্যে কেউ রিভিউ আবেদন না করলে আইন অনুসারে দ- কার্যকর প্রক্রিয়া শুরু করবে সরকার।
অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, রিভিউ হলে রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত থাকবে। রিভিউ খারিজ হলে মৃত্যুদ- কার্যকর প্রক্রিয়া ফের শুরু হবে। সেক্ষেত্রে সর্বশেষ সুযোগ হিসেবে রাষ্ট্রপতির কাছে অপরাধ স্বীকার করে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারবেন আসামি। প্রাণভিক্ষার আবেদন না করলে কিংবা আবেদন করার পর নাকচ হয়ে গেলে চূড়ান্ত ভাবে ফাঁসি কার্যকর করা হবে।
গত ৬ জানুয়ারি দেশের এই শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার সংক্ষিপ্ত আকারে চূড়ান্ত রায় দেন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ। রায়ে বুদ্ধিজীবী হত্যাসহ একাত্তরে গণহত্যা ও ধর্ষণের দায়ে আলবদর বাহিনীর শীর্ষনেতা নিজামীকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ-াদেশ বহাল রাখেন সর্বোচ্চ আদালত। একইসঙ্গে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে করা তার আপিল আবেদন আংশিক খারিজ করে দেন।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের নিখিল পাকিস্তানের সভাপতি হিসেবে পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী কিলিং স্কোয়াড আলবদর বাহিনীর সর্বোচ্চ নেতা ছিলেন নিজামী। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা ছাড়াও সুপিরিয়র রেসপন্সিবিলিটি (ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়) হিসেবে আলবদর বাহিনী ও ছাত্রসংঘের অপরাধের দায়ও তার বিরুদ্ধে প্রমাণিত হয়েছে রায়ে।
নিজামীকে বুদ্ধিজীবী হত্যাকা- এবং হত্যা-গণহত্যা ও ধর্ষণসহ সুপিরিয়র রেসপন্সিবিলিটির (ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়) প্রমাণিত ৮টি মানবতাবিরোধী অপরাধের মধ্যে ৪টিতে ফাঁসি ও ৪টিতে যাবজ্জীবন কারাদ-াদেশ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে ৩টিতে ফাঁসি ও ২টিতে যাবজ্জীবন কারাদ-াদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। অন্য তিনটিতে চূড়ান্ত রায়ে দ- থেকে খালাস পেয়েছেন নিজামী, যার মধ্যে একটিতে ফাঁসি ও দু'টিতে যাবজ্জীবন কারাদ-াদেশ ছিল ট্রাইব্যুনালের রায়ে।
ট্রাইব্যুনালে নিজামীর বিরুদ্ধে মোট ১৬টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে ৮টি অর্থাৎ ১, ২, ৩, ৪, ৬, ৭, ৮ ও ১৬ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছিল ট্রাইব্যুনালের রায়ে।
প্রমাণিত চারটি অর্থাৎ সাঁথিয়া উপজেলার বাউশগাড়িসহ দু'টি গ্রামে প্রায় সাড়ে ৪০০ মানুষকে গণহত্যা ও প্রায় ৩০-৪০ জন নারীকে ধর্ষণ (২ নম্বর অভিযোগ), করমজা গ্রামে ১০ জনকে গণহত্যা, একজনকে ধর্ষণসহ বাড়ি-ঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ (৪ নম্বর অভিযোগ), ধুলাউড়ি গ্রামে ৫২ জনকে গণহত্যা (৬ নম্বর অভিযোগ) এবং বুদ্ধিজীবী হত্যাকা- ও সুপিরিয়র রেসপন্সিবিলিটির (১৬ নম্বর অভিযোগ) দায়ে নিজামীকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছিল।
এর মধ্যে ৪ নম্বর অভিযোগের দায় থেকে নিজামীকে খালাস দিয়ে বাকি তিনটিতে ফাঁসি বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
অন্য চারটি অর্থাৎ পাবনা জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাওলানা কছিমুদ্দিন হত্যা (১ নম্বর অভিযোগ), মোহাম্মদপুরের ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে পাকিস্তানি সেনা, রাজাকার ও আলবদর বাহিনীর ক্যাম্পে নিয়মিত যাতায়াত ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ষড়যন্ত্র (৩ নম্বর অভিযোগ), বৃশালিখা গ্রামের সোহরাব আলী হত্যা (৭ নম্বর অভিযোগ) এবং রুমী, বদি, জালালসহ সাত গেরিলা যোদ্ধা হত্যার প্ররোচনার (৮ নম্বর অভিযোগ) দায়ে তাকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল।
এর মধ্যে ১ ও ৩ নম্বর অভিযোগের দায় থেকে চূড়ান্ত রায়ে খালাস পেয়েছেন নিজামী। বাকি দু'টিতে তার যাবজ্জীবন কারাদ-াদেশ বহাল রয়েছে।
এ নিয়ে বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে ফাঁসির তৃতীয় চূড়ান্ত পূর্ণাঙ্গ রায় দিলেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। যার মধ্যে একাত্তরের আলবদর প্রধান ইসলামী ছাত্রসংঘের পূর্ব পাকিস্তান প্রধান আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে। অন্য একটি রায়ে ফাঁসির দ-প্রাপ্ত বুদ্ধিজীবী হত্যার দুই ঘাতক জামায়াত নেতা আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মাঈনুদ্দিন পলাতক থাকায় কাদের দ- কার্যকর করা যায়নি।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি আনোয়ারুল হক ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ-াদেশ দেন নিজামীকে।
এ রায়ের বিরুদ্ধে ২৩ নভেম্বর আপিল করেন নিজামী। ছয় হাজার ২শ' ৫২ পৃষ্ঠার আপিলে মোট ১শ' ৬৮টি কারণ দেখিয়ে ফাঁসির আদেশ বাতিল করে খালাস চেয়েছিলেন তিনি। তবে সর্বোচ্চ সাজা হওয়ায় আপিল করেননি রাষ্ট্রপক্ষ।

http://www.amadershomoys.com/unicode/2016/03/15/83044.htm#.Vui-r9IrJSM




নিজামীর মৃত্যুদন্ড বহাল রেখে আপিল বিভাগের দেয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

ওই সময়ে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র সংঘের সভাপতি ছিলেন মুজাহিদ ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মীর কাসেম আলী। ছাত্র সংঘের নেতৃবৃন্দ ও সদস্যদের নিয়েই পাক সহযোগী বাহিনী হিসেবে আল-বদর বাহিনী গঠিত হয়েছিল। ...........


......... নিজামী, মুজাহিদ ও মীর কাসেম তিনজনই ছিলেন আল-বদর কমান্ডার। নবচেয়ে বড় কমান্ডার ছিলেন নিজামী। .......

http://khabor.com/archives/78503


মীর কাসেমের ফাঁসির রায় বহাল | আদালত | The Daily Ittefaq

আলোচিত মীর কাসেমের চূড়ান্ত রায় মঙ্গলবার  

  জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক  বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

Published: 2016-03-07 22:19:15.0 BdST Updated: 2016-03-08 00:49:34.0 BdST

http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article1116117.bdnews

আলবদর নেতার ফাঁসি কার্যকর

বিশেষ প্রতিনিধি | আপডেট: ০৩:৩৩, এপ্রিল ১২, ২০১৫ | প্রিন্ট সংস্করণ

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে কামারুজ্জামানের বিচার

ট্রাইব্যুনালে ফাঁসির রায়: আপিল বিভাগে বিচারাধীন
মতিউর রহমান নিজামী
জামায়াতের আমির
মুজাহিদ
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল
মুহাম্মদ আবদুস সুবহান
জামায়াতের নায়েবে আমির
আজহারুল 
জামায়াতের সহ. সেক্রেটারি জেনারেল
মীর কাসেম 
জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য
সাকা চৌধুরী
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য
সৈয়দ মো. কায়সার
জাতীয় পার্টির নেতা
মোবারক হোসেন
সাবেক আ.লীগ নেতা

http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/501568/

আলবদর-নেতার-ফাঁসি-কার্যকর

Prothom Alo             বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০১৪, ২৮ কার্তিক ১৪২১

জনরোষের মুখে কোণঠাসা ॥ জামায়াত পালাচ্ছে
শিবিরের সঙ্গে মতবিরোধে কর্মসূচী সফল হচ্ছে না ॥ পাশে নেই জোটবন্ধু বিএনপি

প্রকাশ :  বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০১৪, ২৮ কার্তিক ১৪২১
Read more at:
যুক্তরাষ্ট্রে সাড়ে ২৩ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছেন মীর কাসেম
সাবেদ সাথী, নিউ ইয়র্ক থেকে
Logo

  • Jamaate Islami is জামাত-ই-মুনাফেক!!!
  • একের পর এক রায় মনোবল ভেঙ্গে পড়েছে জামায়াতের
  • Pig msK‡U RvgvqvZ : †Kv_vI †bB †KD!
  •  
  • গোলাম আযম : ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ভূমিকা

  • Source: উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে







  • __._,_.___

    Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


    ****************************************************
    Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
    Call For Articles:

    http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

    http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

    ****************************************************

    VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

    ****************************************************

    "I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
                   -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





    __,_._,___