Banner Advertiser

Monday, September 11, 2017

[mukto-mona] Re: {PFC-Friends} Re: India and Myanmar conspiring against Bangladesh on Rohinga issue:ø 0;োহিঙ্গা ইস 09;যুকে ‘সন্ত্&# 2480;াসী’ রূপ দিচ ;্ছে ভারত ও ম 495;য়ানমার



Nomoshker, Dada!

Questions not bad, but should be based on our/your minimum good will/supportive attitude!
ZA


On Monday, September 11, 2017 8:57 PM, Sitangshu Guha <guhasb@gmail.com> wrote:


লুঙ্গি বার্মা থেকে এসেছে? রোহিঙ্গাদের সমর্থনে আমরা কি লুঙ্গি পরা ছেড়ে দেবো?

2017-09-11 21:18 GMT-04:00 Sitangshu Guha <guhasb@gmail.com>:
Saudi population density, 15 per square kilometer, Turkey: 99, Iran: 48 and Qatar 187; India 387. Does Bangladesh with a population density of 1,115 people per square kilometer bear some divine responsibility to admit refugees when Islamic Ummah just happily ignores them? 

2017-09-11 17:56 GMT-04:00 Sitangshu Guha <guhasb@gmail.com>:
On 25 August 2017, ARSA attacked 30+ military & police bases, killing a dozen army, >2 dozens police and about 70 civilians, totaling 100+? What we would do if our police and military were killed like that? ARSA is a terrorist organization and for its brutal action civilian Rohingas are suffering! Support the refugees, but not the criminals and terrorists? 

On Mon, Sep 11, 2017 at 5:19 PM Mohiuddin Anwar <mohiuddin@netzero.net> wrote:

রোহিঙ্গা ইস্যুকে 'সন্ত্রাসী' রূপ দিচ্ছে ভারত ও মিয়ানমার

 
11 Sep, 2017
 
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর দমন অভিযান চালানোর জন্য সারা বিশ্বে যখন মিয়ানমার সরকার ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় বয়ে যাচ্ছে, তখন অং সাং সু চি'র পাশে দাঁড়িয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চাতুর্যপূর্ণ বাক্যে এই সংকটের একটি 'সন্ত্রাসী' রূপ দেয়ার প্রচেষ্টায় নেমেছেন।
অনেকটা উদ্দেশ্যমূলকভাবে ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে ইয়াঙ্গুনের সংবাদ মাধ্যমে একটি খবর প্রকাশিত হয়। এতে রাখাইন রাজ্যের সর্বশেষ সহিংসতার পেছনে পাকিস্তান ও চরমপন্থী গ্রুপ আইএসআইএস'র হাত থাকার ব্যাপারে ইংগিত করা হয়েছে। এই সহিংসতার কারণে আবারো বাংলাদেশ অভিমুখে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুর স্রোত তৈরি হয়েছে। পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক এবং যে দেশটি তার কাছে জঙ্গিবিমান বিক্রি করছে সেই চীন যখন মিয়ানমারের ঘনিষ্ঠ মিত্র, তখন ইসলামাবাদ কেন রাখাইনে নাক গলাবে তা বুঝা কঠিন। মিয়ানমারে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে পাকিস্তানের উপকার হবে, কোন যুক্তি তা বলে না।
মোদি ইতোমধ্যে আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারিটি আর্মি (এআরএসএ)'কে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছেন। ভারতের এই উদ্যোগের কারণে 'সন্ত্রাসবাদের' আড়ালে রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন থেকে আন্তর্জাতিক মনোযোগ ঘুরিয়ে দেয়া মিয়ানমারের জন্য সহজ হবে। একই সঙ্গে, ইতোমধ্যে সন্ত্রাসি হুমকির মধ্যে ঘুরপাক খেতে থাকা প্রতিবেশী বাংলাদেশের মনেও ভীতি সৃষ্টি হবে এবং দেশটিকে ভারত-মিয়ানমার অক্ষের মধ্যে টেনে আনা যাবে।
রাখাইন মুসলমানদের গায়ে একবার 'সন্ত্রাসী' লেবেল এঁটে দেয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে যে কোন দমন অভিযান চালানো সহজ হবে। এমন পরিস্থিতিতে মানবাধিকার সংগঠনগুলো পিছু হটতে বাধ্য হবে। বর্তমান বিশ্বে কেউ সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে পরিচিত হতে চায় না। আর এই সুযোগে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে সহায়তা ও সহযোগিতা করবে ভারত। তারা বেশ চাতুর্যের সঙ্গে এই দৃষ্টিকোণটি বেছে নিয়েছে। ফলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে পশ্চিমা বিশ্বের যে ঘৃণামিশ্রিত ক্ষোভ তা ঠাণ্ডা করা ভারতের জন্য সহজ হবে। এর ফলে পশ্চিমারা 'বিদ্রোহী' রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর নৃশংসতা অগ্রাহ্য করা শুরু করবে।
আসলে, মোদি এক ঢিলে বহু পাখি মারতে চান। মিয়ানমারে চীনের প্রভাব ঠেকিয়ে ভারতের প্রবেশের পথ তৈরি করা তার আসল লক্ষ্য। চীনের আর্থিক সামর্থ্যরে সঙ্গে পাল্লা দিতে ব্যর্থ হয়ে ভারত এখন স্বল্প খরচে বিপুল বাগাড়ম্বরপূর্ণ উদ্যোগের পথে হাটছে। ইতোমধ্যে বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠা বৌদ্ধ দেশটিকে খুশি করতে মুসলিম-বিরোধি ঘুঁটি চেলেছেন মোদি। তিনি মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রতি সমর্থন দিয়ে নিজ দেশে বিপুল মুসলিম জনগোষ্ঠীর মনোভাব উপেক্ষা করার পথ বেছে নিয়েছেন। (ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মুসলিম জনগোষ্ঠীর অধিকারী) রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন উপযুক্ত মনোযোগ আকর্ষণে ব্যর্থ হয়েছে।
রাজধানী নেপাইথো'তে সু চির সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে সহযোগিতা, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শক্তিশালী করা ও "চরমপন্থী সহিংসতা" নিয়ে পারস্পরিক উদ্বেগকে স্বীকৃতি দানের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
আর সু চি বলেন, "মিয়ানমার সম্প্রতিক সময়ে যে সন্ত্রাসের হুমকি মোকাবেলা করছে তার বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেয়ার জন্য আমি ভারতকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। সন্ত্রাসবাদ আমাদের দেশে এবং প্রতিবেশি দেশগুলোতে যেন শেঁকড় গাড়তে না পারে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে তা নিশ্চিত করতে পারি।" সু চির এই বক্তব্য যে ভারত ও বাংলাদেশকে এক কাতারে নিয়ে আসার প্রচেষ্টা তা স্পষ্ট।
হিন্দিতে দেয়া বক্তব্যে মোদি বলেন যে, তিনি মিয়ানমারে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সু চি'র প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। মোদি ইচ্ছে করেই রাখাইন রাজ্যে মুসলিম রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে নিশ্চুপ থাকেন।
সংবাদ সম্মেলনে মোদি বলেন, "রাখাইন রাজ্যে চরমপন্থী সহিংসতা ও নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা যেভাবে নিরাপরাধ মানুষের জীবনের ওপর প্রভাব ফেলছে তাতে আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে সমানভাবে উদ্বিগ্ন।
বড় ছেলেরা কাঁদে না!
মিয়ানমারে মুসলিম রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে খুব একটা ভালোবাসা নেই। দেশটির বেশিরভাগ অংশের মতো ইয়াংগুনেও এটা যেন স্বাভাবিক একটি কাজ। বিভিন্ন মার্কেট ও জনসমাগমস্থলে তরুণরা, কেউ বা গিটার বাজিয়ে, চাঁদা তুলছে। (সাম্প্রতিক ঘটনায় রাখাইনে যেসব বৌদ্ধ বাস্তুচ্যুত হয়েছে তাদের সাহায্যার্থে, রেহিঙ্গাদের জন্য নয়)। দেশের বাকি অংশ একেবারে স্বাভাবিক।
এর একটি কারণ হতে পারে, রাখাইন রাজ্যটি মিয়ানমারের এক প্রান্তে, ইয়াঙ্গুন বা নেপাইথো থেকে যেকোন বিচারে বাংলাদেশের খুব কাছে। সেখানে মিডিয়ার প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকা আরেকটি কারণ হতে পারে। সেখানে এআরএসএ'র হাতে বৌদ্ধরা নির্যাতিত হচ্ছে বলে সরকারি ভাষ্যই জনগণ শুধু জানতে পারছে। মিয়ানমারে ইন্টারনেট সুবিধা তেমন নেই। দেশের এক তৃতীয়াংশ এলাকায় বিদ্যুৎ নেই, জনগণের দুই-তৃতীয়াংশই বিদ্যুৎ সুবিধা পায় না। ফলে টিভি বা অন্য সংবাদ মাধ্যম বেশিরভাগ জনগণের আওতার বাইরে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, সংখ্যাগুরু বৌদ্ধরা মুসলমানদের খুব উঁচু দৃষ্টিতে দেখে না। বার্মার মূল ভূখণ্ডের বেশিরভাগ মুসলমান (এরা রোহিঙ্গা নয়) মুসলিম নামের চেয়ে কোন বার্মিজ নাম গ্রহণেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। তার ওপর সম্প্রতি ধর্মান্ধ বৌদ্ধ সংগঠনগুলোর উত্থান ঘটেছে। বৌদ্ধদের আধ্যাত্মিক নেতা অশিন বিরাথু মিয়ানমারে মুসলিম বিরোধী '৯৬৯ আন্দোলন'-এ নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
মিয়ানমারকে নিয়ন্ত্রণ করছে কে?
সেনাবাহিনী এখনো দেশটির সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাজনৈতিক শক্তি। ২০০৮ সালের সংবিধানে সেনাবাহিনীকে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ দেয়া হয়েছে: সীমান্ত-সংশ্লিষ্ট বিষয়, স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা। ১৮ মাস আগে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে প্রথমবারের মতো সু চি'র ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি নিরংকুশ বিজয় লাভ করলেও দেশটির গণতন্ত্রে উত্তরণের অবস্থা এখনো নাজুক। দুর্নীতি থেকে জাতিগত সহিসংতা – নানা ইস্যুর কারণে গণতন্ত্রের পথটিও বেশ বন্ধুর। সু চি'কে কোন রকম ছাড় দেয়ার মনোভাব সেনাবাহিনীর নেই। তাই সু চি নোবেল পুরস্কার পেলেও তার ভাবমূর্তি তুলে ধরার মতো কোন ডাক টিকিটও মিয়ানমারে ছাড়া হয়নি (যদিও অনেক দেশের ডাক বিভাগ সু চি'র ছবি সম্বলিত ডাক টিকিট প্রকাশ করেছে)। সাধারণত নোবেল বিজয়ীদের কাজের স্বীকৃতি হিসেবে এ কাজটি করা হয় (বাংলাদেশে প্রফেসর ইউনুস, ভারতে মাদার তেরেসাকে নিয়ে ডাক টিকিট ছাড়া হয়েছে)।
দেশ পরিচালনায় সুচি'র অনভিজ্ঞতা আরো একটি সমস্যা। এত বছর ধরে পশ্চিমারা তাকে 'প্রশ্রয়' দিয়ে শেষ পর্যন্ত আজকের অবস্থানে বসালেও এখন তার পাশে নেই। মানবাধিকার ইস্যুতে পশ্চিমাদের সঙ্গে সংযোগ সেতুটি ভেঙ্গে দিয়েছেন সু চি। যা তাকে ক্রমেই চীনের দিকে ঠেলে দেয়। তবে, দিগন্তে ওৎ পেতে থাকা ভারত দ্রুত এগিয়ে আসে। সু চি'র সঙ্গে এক অনির্ধারিত মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেন মোদি, নিজের কাধটিকে মিয়ানমার নেত্রীর দিকে এগিয়ে দেন। মোদি'র এ সফর বাণিজ্য ও সামরিক বন্ধন সম্প্রসারণের লক্ষ্যে তার 'এ্যাক্ট ইস্ট' নীতির অংশ। একই সঙ্গে লক্ষ্য চীনের প্রভাব কমানো।
সুযোগের সদ্ব্যবহার করলেন মোদি
মোদি নিজেকে একজন 'সময়ের বন্ধু' হিসেবে প্রমাণের চেষ্টা করছেন। ১৯৮৬ সালে ফেলোশিপ গবেষণার জন্য সু চি যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন তার মূলের একটি কপি মোদি সফরকালে সু চিকে উপহার দেন। এক টুইট বার্তায় মোদি বলেন, "১৯৮৬ সালের মে'তে শিমলায় আইআইএএস (ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব অ্যাডভান্স স্টাডি)-তে যে গবেষণা প্রস্তাব জমা দিয়েছিলেন তার মূল কপির বিশেষভাবে তৈরি একটি নকল দাও অং সাং সুচি'কে উপহার দিয়েছি। এই গবেষণা প্রস্তাবের শিরোনাম ছিলো 'ঔপনিবেশিক শাসনামলে বার্মা ও ভারতীয় বুদ্ধিজীবী সমাজের বেড়ে ওঠা ও উন্নয়ন: একটি তুলনামূলক গবেষণা।" ভারতের সঙ্গে সু চি'র সঙ্গে যে নিবিড় সংযোগ রয়েছে তা কাজে লাগাতে চান মোদি। সু চি নয়াদিল্লি'র লেডি শ্রী রাম কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী। ১৯৬৪ সালে এই কলেজ থেকে তিনি স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর প্রভাব 'খর্ব' করতে মোদি মন্ত্র
সু চি মরিয়া হয়ে নিজেকে সেনাবাহিনীর প্রভাব থেকে মুক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সাংবিধানিক 'বাধা' এবং সমাজের ওপর সেনাবাহিনীর গভীর প্রভাব বিবেচনা করা হলে ওই কাজটি খুবই কঠিন। এদিকে ভারতীয় সেনাবাহিনী মিয়ানমারকে কমান্ডো ও গোয়েন্দা প্রশিক্ষণ প্রদান শুরু করেছে। গণতান্ত্রিক পরিবেশে কাজ করা ভারতীয় সেনাবাহিনী মিয়ানমারের ওপর 'ভালো প্রভাব' বিস্তার করতে পারে। ভারত ইতোমধ্যে 'জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী প্রশিক্ষণ' শুরু করেছে। গত আগস্ট থেকে মিয়ানমারের রাজধানীতে ভারত ও মিয়ানমার সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে এই প্রশিক্ষণ সহযোগিতা কর্মসূচি চলছে। এটা অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে সেনাবাহিনী'র প্রভাব 'হালকা' করে আনায় সহায়ক হতে পারে। এই প্রশিক্ষণ বিনিময় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রতি বছর দুটি করে 'মোবাইল ট্রেনিং টিম' সেখানে পাঠাবে। পাঁচ বছর এই কর্মসূচি চলবে।
ভারত সু চি সরকারকে বোঝাতে চাচ্ছে যে মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে অধিকতর পেশাদার হতে হবে এবং জাতিংসংঘ শান্তিরক্ষা কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ বিশ্বব্যাপী তাদের ভাবমূর্তি উন্নত করবে। একটি জটিল দেশের পেছনে ছোটা এবং সামরিক কাজের চেয়ে রাজনীতিতে বেশি জড়িত হওয়ার বদলে ওই ধরনের কার্যক্রমে দেশটির সেনাবাহিনীকে আগ্রহী করে তোলার এটা একটি পথ। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও অনেকটা এরকম ঘটেছে।
এভাবে মিয়ানমারের সাগাইংয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর বিদ্রোহীদের ঘাঁটিগুলো নির্মূলসহ আরো অনেক উদ্দেশ্য হাসিল করতে পারে ভারত। বাংলাদেশের মতো একই উপায়ে ভারত এখানেও সেনাবাহিনী'কে নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে সু চি'কে সহায়তা করতে পারে।
এদিকে, গুরুতর প্রভাব এড়াতে মিয়ানমার সরকার অভ্যন্তরীণ বাস্তচ্যুতদের জন্য পাঁচটি শরণার্থী শিবির খোলার কথা ভাবছে। এটা তাদেরকে 'বিব্রতকর' অবস্থা থেকে কিছুটা হলেও বাঁচাবে এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়ার সমালোচনার মুখে কিছুটা আড়াল দেবে। বাংলাদেশের উখিয়ায় বন বিভাগ নতুন করে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয়ের জন্য ২০০০ একর বনভূমি বরাদ্দ করেছে। বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ের জন্য মিয়ানমারের অভ্যন্তরে একটি 'ফ্রি জোন' তৈরির জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে, মিয়ানমার সরকার ও তার ঘনিষ্ঠ মিত্র ভারত কৌশলে অসহায় রোহিঙ্গাদের নিপীড়িত মানবগোষ্ঠী হিসেবে ভাবমূর্তিটি বদলে সহিংস বিদ্রোহীগোষ্ঠী হিসেবে তুলে ধরতে চাচ্ছে। এ যেন আফগানিস্তান ও কাশ্মিরের দৃশ্যপটের উত্থান, যেখানে স্বাধীনতাকামী আন্দোলনগুলোর গায়ে একটি করে 'সন্ত্রাসী তকমা' এঁটে দেয়া হচ্ছে। এটা ভাগ্যের নির্মম পরিহাস হলেও রোহিঙ্গারা কিন্তু স্বাধীনতা চাচ্ছে না। তারা শুধু এমন একটি দেশে নিরাপদে ও নাগরিক হিসেবে থাকতে চায় যেখানে শত শত বছর, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তাদের পূর্বপুরুষরা বসবাস করেছে।
উৎসঃ   সাউথ এশিয়ান মনিটর
 

 

--
Sitanggshu Guha



--
Sitanggshu Guha
--
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "PFC-Friends" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to pfc-friends+unsubscribe@ googlegroups.com.
For more options, visit https://groups.google.com/d/ optout.



--
Sitanggshu Guha
--
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "PFC-Friends" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to pfc-friends+unsubscribe@googlegroups.com.
For more options, visit https://groups.google.com/d/optout.




__._,_.___

Posted by: zainul abedin <zainul321@yahoo.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] RE: Reality - মা মরেছে গুলিতে, কান্না থামছে না রোহিঙ্গা শিশুর [ভিডিও]






__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

Re: [mukto-mona] Re: Why Modi is silent on Muanmar's genocide ?



Bangladesh is a small country having 170 million people. It can barely feed it's current population. It will be almost impossible for Bangladesh  to take responsibility of 250,000 refuges. How about asking all Muslim countries to absorb these refugees. This is the time Muslims can display Ummah-feelings in reality. How come no one is asking for that? Instead, I see Muslims are playing politics with these refugees.  

2017-09-09 11:57 GMT-04:00 Khoniker Othithee khoniker.othithee@yahoo.com [mukto-mona] <mukto-mona@yahoogroups.com>:
 

Well, before last indian election, US and probably most of the western countries had modi as persona no grata. When that change, Modi didn't miss any oppurtunity to visit if their schedule permit for India. And when there he jumped on to hug anybody he thought important. That kind of somersault is not common in politics, but to dismiss a humantarian concern on that accout is shallow.

I know, some think arayan god cannot do wrong, just like others who think of arab sheik cant be wrong, unless it is too close for comfort. But these purported arayan bunch either emigrated from from azarbazian, armenia, kurdistan or Iran; but not from any shorgo. Yazadi religion from kurdistan has so much in common with ancient hindu cultutre that some hindu think their belief came from there.Gentiticaly indian dont share as much with Yazadi. Geniticali azadi has more in common with palestanian and european.

Presecution of Yazadi by IS is same as the presececution of Rohiga in Myanmar. When one is making light of the plight of any such group has amiss in their notion of humanity.
-------------------------------------------
On Fri, 9/8/17, DeEldar <shahdeeldar@gmail.com> wrote:

Subject: Re: Why Modi is silent on Muanmar's genocide ?
To: "mukto-mona@yahoogroups.com" <mukto-mona@yahoogroups.com>, "bangladesh-progressives googlegroups" <bangladesh-progressives@googlegroups.com>
Cc: "Mohiuddin Anwar" <mohiuddin@netzero.net>, "Hindu_Bangladesh@yahoogroups.com" <Hindu_Bangladesh@yahoogroups.com>, "BHBCUC USA" <unitycouncilusa@gmail.com>, "Farida Majid" <farida_majid@hotmail.com>, "Shojib.wazed@gmail.com" <Shojib.wazed@gmail.com>, "khabor24@gmail.com" <khabor24@gmail.com>, "anis.ahmed@netzero.net" <anis.ahmed@netzero.net>, "akhtergolam@gmail.com" <akhtergolam@gmail.com>, "pfc-friends@googlegroups.com" <pfc-friends@googlegroups.com>, "Khobor Yahoo" <khabor@yahoogroups.com>, "liaquat707@me.com" <liaquat707@me.com>, "sheikhhasina@hotmail.com" <sheikhhasina@hotmail.com>, "Rezaul Karim" <rezaulkarim617@gmail.com>, "banglarnari@yahoogroups" <banglarnari@yahoogroups.com>, "Ranu Chowdhury" <ranu51@hotmail.com>, "Khoniker Othithee" <khoniker.othithee@yahoo.com>, "farahmina@gmail.com" <farahmina@gmail.com>, "HFM Dr. Dipu Moni" <dr.dipumoni@gmail.com>, "6064@yahoogroups.com" <6064@yahoogroups.com>, "Razzak Syed" <amsmel@aol.com>, "shahanara.rahman@yahoo.com" <shahanara.rahman@yahoo.com>, taslimanasreen@gmail.com, "obaidul.quader@gmail.com" <obaidul.quader@gmail.com>, "helala7@yahoo.com" <helala7@yahoo.com>, "Akm Rahman" <71GDNCBoston@gmail.com>, wthikana@gmail.com, "Bangla-Women@yahoogroups.com" <Bangla-Women@yahoogroups.com>, "asm_rob@hotmail.com" <asm_rob@hotmail.com>, unitycouncilusa@yahoogroups.com, awamileague@yahoogroups.com, "faithcomilla@gmail.com" <faithcomilla@gmail.com>, khandker.saleque@gmail.com, "Khandker" <khandaker.a.mansur@census.gov>, news.banglareport@gmail.com, "wthikana@aol.com" <wthikana@aol.com>, "smargoob@yahoo.com" <smargoob@yahoo.com>, "abdul_momen@hotmail.com" <abdul_momen@hotmail.com>, "nurunnabi@gmail.com" <nurunnabi@gmail.com>, "thikana@mindspring.com" <thikana@mindspring.com>, "Liaquat Khan" <liaquat707@gmail.com>, "<rajakhan33@hotmail.com>" <rajakhan33@hotmail.com>, "quazi nuruzzaman" <quazinuru@yahoo.com>, "Suhas Barua" <suhasboston@gmail.com>, "Shahid Mahmud" <shouvikerbaba@gmail.com>, "BHBCOP" <bhbcop@dhaka.net>, drM.Mdrmohsinali@yahoo.com, "tamannak2013@gmail.com" <tamannak2013@gmail.com>, "Bamandas Basu" <bamandas_basu@yahoo.com>, "bipul kamal" <bipulnahar@yahoo.com>, jafar224cu@gmail.com, "S akhter" <sakhter1015@gmail.com>, "faruhchowdhury@gmail.com" <faruhchowdhury@gmail.com>, "ovimot@yahoogroups.com" <ovimot@yahoogroups.com>, "farukhchowdhury@gmail.com" <farukhchowdhury@gmail.com>, "Shahadat Hussaini" <shahadathussaini@hotmail.com>, "Rakhal Bandho" <rakhalbandho@gmail.com>, "osmangani@gmail.com" <osmangani@gmail.com>, "mohibul.ezdanikhan@posten.se" <mohibul.ezdanikhan@posten.se>, "Lokman Hossain" <lokhossain@yahoo.com>, "Bhin-Golardho" <golardho@yahoo.com>, "Abid Bahar" <abid.bahar@gmail.com>, "Isha Khan" <bd_mailer@yahoo.com>, "mohibullah@adamscenter.us" <mohibullah@adamscenter.us>, "Abid Bahar" <abidbahar@gmail.com>, "bhbcune" <bhbcucne@gmail.com>, farah_haq_quazi@yahoo.com, "Seraju Islam Sabuj" <serajul7@gmail.com>, "pothik2302@yahoo.com" <pothik2302@yahoo.com>, "Manik Mia" <manik195709@yahoo.com>, "Abu Kamal" <azad_abukamal@yahoo.com>, "Mashud Haque" <haquemashud95@gmail.com>, mo.gani@hotmail.com, "hakikul chowdhury" <bapsnewsagency@yahoo.com>, "Isha Khan" <bdmailer@gmail.com>, "Zoglul Husain" <zoglul@hotmail.co.uk>, "NewEngland Awami League" <bishawdipta@yahoo.com>, "Bazlul Bazlul" <bazlul@yahoo.com>, "nabdc@googlegroups.com" <nabdc@googlegroups.com>, akabir60@yahoo.com, "nfbnews@gononet.com" <nfbnews@gononet.com>, "Dr.Gholam Mostofa" <mostofadrgholam@gmail.com>, "Rashed Anam" <rashedanam@yahoo.com>, "bnp.newengland@yahoo.com" <bnp.newengland@yahoo.com>, "Abid Bahar" <postcardfromcanada@gmail.com>, "Muazzam Kazi" <kazi4986@yahoo.com>, "Firoze Khan" <khanboston@gmail.com>, gondomurkho@yahoo.com, "Borakh Bash" <borakhbash@gmail.com>, "unb_news@yahoo.com Bangabandhu Parishad USA Unbnews@yahoo.com uttorpurbo@gmail.com vividgraphics08@yahoo.com Weekly Ajkal wazidmir@hotmail.com md islam md islam weeklybanglee@gmail.com wthikana@aol.com darpan Mahfuz ajkal Banglapatrika Taher bangalee weeklybangladesh@mindspring.com momin 27 Najmul Ahsan janmobhumi@verizon.net Akhand Hakikul Islam news@khabor.com news.editor@bdnews24.com news@amadershomoy.com news@dailSharif Uddin" <news.editor@bdnews24.com>, "bachchuhaq13" <bachchuhaq13@yahoo.com>, "neawamileague@gmail.com" <neawamileague@gmail.com>, "jalal khan" <jukhan@gmail.com>, "Priyatosh Dey" <pdey247@gmail.com>, "guhasb@gmail.com" <guhasb@gmail.com>
Date: Friday, September 8, 2017, 5:48 PM

Did not US
and UK Muslims lobby to keep Modi out from US and UK few
years back? Why do you need him now? I have not seen any of
your posts that ever praised Indians for anything except
calling them all kind of dirty names? What makes you think
that you can hate Indians but they should fulfill your
Islamic wish by promoting another Islamic state within
Myanmar? Just few weeks ago when Indians and Chinese were
facing each other right at the Bhutan border, you people
wanted Chinese to crush Indians and fulfill your jihadi
wishes against infidel Indians. Why is China silent about
Rohingas? Is not China the all weather friend of Muslim
Pakistan? What about Pakistan? Why not take some darker
skinned Rohingas in their Pak land and provide them shelter?
Indians are opting for their national interests and that may
not be compatible yours. The world is not black and white as
you may think.

There is
huge world apathy of accepting Muslim refugees. Nobody wants
them. Do you know why? For a Muslim, Islam comes first and
his adopted infidel country comes very last. Do you think
people have not figured this out yet?

2017-09-08 16:20 GMT-04:00
Mohiuddin Anwar <mohiuddin@netzero.net>:
My
Comment: If anything happens againbst muslims, Modiji become
happier. Even he supports Muslim massacre in Myanmar because
of his idiological anti-muslim thoght. when Israel kills
Palestinians Modiji also becomes happy.  Anti-Muslim
Myanmar and anti-Muslim India imports military equipments
from Israel just to use against the muslims.
 
 





মিয়ানমার
সফর
রোহিঙ্গা
নিয়ে মোদী চুপ কেন?
নতুন
বার্তা ডেস্ক

দিল্লি: ভারতের
প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র মোদী রাখাইনে
রোহিঙ্গা নির্যাতনের
মধ্যে মিয়ানমার সফর
করলেও, রোহিঙ্গা
নির্যাতন নিয়ে একটি
কথাও বলেননি৷ বরং
মিয়ানমারের সঙ্গে থেকে
'জঙ্গি-সন্ত্রাস'
প্রতিরোধে সমর্থন
দিয়েছেন৷ এর নেপথ্যে কী
আছে?

মোদীর
এই সফর নিয়ে যাঁরা আশা
করে বসেছিলেন যে তিনি
রোহিঙ্গা নির্যাতন
নিয়ে কিছু একটা বলবেন,
তাঁরা আশাহত হয়েছেন৷
তাঁরা মোদীর এই 'চুপ
থাকার কূটনীতি' নিয়ে
এখন হিসেব করছেন৷ সেই
হিসেবে দেখা যাচ্ছে –
প্রধানত অর্থনীতি,
ভূ-রাজনীতি এবং দলীয়
নীতির কারণেই মোদী
রোহিঙ্গাদের নিয়ে কোনো
আগ্রহ দেখাননি৷ বরং
মোদীর কাছে গুরুত্ব
পেয়েছে দেশের
অভ্যন্তরীণ স্বার্থ৷


 
বিশ্লেষকরা বলছেন,
রোহিঙ্গা নয়, মিয়ানমার
এখন ভারতের কাছে নানা
কারণে গুরুত্বপূর্ণ৷
তাই মিয়ানমারকে না
চটিয়ে এই সফরে দেশটিকে
আরো কাছে টানতে তৎপর
ছিলেন মোদী৷ তিনি
মিয়ানমারের
ডি-ফ্যাক্টো নেত্রী অং
সান সু চির সঙ্গে বৈঠক
করেছেন৷ ইয়াঙ্গুনের
কালীমন্দিরে গেছেন,
পুজোও দিয়েছেন৷
 
 
ভারত নাকি এখন
ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড
– ত্রিদেশীয় হাইওয়ে
প্রকল্প নিয়ে স্বপ্ন
দেখছে৷ আর তার জন্য
প্রথম যাকে লাগবে, সেই
দেশটি হলো মিয়ানমার৷
আসিয়ান জোটের দেশগুলোর
সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য
বাড়াতেও প্রথম যাকে
ভারতের দরকার, সে
দেশটিও হলো মিয়ানমার৷
বিসটেক জোটেও ভারতের
সহযোগী মিয়ানমার৷ তাই
'কানেকটিভিটি' এবং
ব্যবসা-বাণিজ্যে
মিয়ানমার ভারতের জন্য
খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷
বলা বাহুল্য,
মিয়ানমারের সঙ্গে
চীনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক
এখন ভারতের মাথাব্যথার
কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷
মিয়ানমারে  কায়াখফু
বন্দর তৈরি করে দিচ্ছে
চীন৷ এছাড়া দু'দেশের
মধ্যে গ্যাস লাইন
বসানোর কাজও চলছে৷
 
অন্যদিকে মিয়ানমারের
রাখাইন রাজ্য দিয়ে ভারত
প্রায় ৫০ কোটি ডলার খরচ
করে 'কালাদান
মাল্টি-মোডাল
ট্রান্সপোর্ট
প্রোজেক্ট'-এর কাজ
করছে৷ এই ট্রান্সপোর্ট
প্রজেক্ট ভারতের
উত্তর-পূর্বাঞ্চল আর
বঙ্গোপসাগরের মধ্যে
সরাসরি সংযোগ গড়ে
তুলবে৷ ভারতের টার্গেট
– বাংলাদেশ যদি কখনো
ভারতকে ট্রানজিট দিতে
অস্বীকার করে, তাহলে
মিয়ানমারের মধ্য দিয়েই
হবে ট্রানজিট৷
ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের
শিক্ষক ড. শান্তনু
মজুমদার ডয়চে ভেলেকে
বলেন, ''মিয়ানমারকে
চটানোর কোনো কারণ নেই
ভারতের৷ তারা চীনের
কারণে মিয়ানমারকে
সঙ্গে নিয়ে ভারসাম্য
রক্ষা করতে চায়৷
বঙ্গোপসাগরে ভারতের বড়
স্বার্থ আছে৷ আর
ব্যবসা-বাণিজ্যের
জন্যও মিয়ানমার ভারতের
কাছে
গুরুত্বপূর্ণ৷''
তিনি বলেন,
''মিয়ানমার দীর্ঘদিন
ধরেই চীনের প্রভাব বলয়ে
আছে৷ ভারত চাইছে সেই
প্রভাবটা হালকা করে
দিতে৷ ভারতের কাছে
ভূ-রাজনৈতিকভাবে
মিয়ানমার
গুরুত্বপূর্ণ৷
বাংলাদেশেরও গুরুত্ব
আছে৷ তবে তা মিয়ানমারকে
বাদ দিয়ে নয়৷ তাই
মিয়ানমার নিয়ে
বাংলাদেশের কোনো
প্রত্যাশা আছে কিনা,
মোদী সেটা মাথায় রাখার
প্রয়োজন মনে
করেননি৷''
অধ্যাপক মজুমদার মনে
করেন, ''বিজেপির নীতির
সঙ্গেও চমৎকার মিলে
গেছে মোদীর এই আচরণ৷
বিজেপি একটি
সাম্প্রদায়িক দল৷ তাই
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা
মুসলমান নির্যাতন নিয়ে
মোদীর কথা না বলাটাই
স্বাভাবিক৷''
অন্যদিকে ভারতের
ইকনমিক টাইমস-এর
ডিপ্লোম্যাটিক এডিটর
দীপাঞ্জন রায় চৌধুরী
ডয়চে ভেলেকে বলেন,
''মিয়ানমার সফরে
নরেন্দ্র মোদী
রোহিঙ্গাদের নিয়ে কথা
বলেছেন৷ তবে কথাগুলো
তিনি ভিন্নভাবে
বলেছেন৷''
দীপাঞ্জন রায়
চৌধুরীর কথায়,
''ভারত-মিয়ানমারের যৌথ
সমঝোতা স্মারকটা দেখলে
বোঝা যায় যে ভারত
রোহিঙ্গাদের কথা একটু
ঘুরিয়ে বলেছে৷ কারণ
বাংলাদেশ যেভাবে দেখবে
ভারতের কাছে বিষয়টি
সেরকম হবে, সেটা আশা করা
যায় না৷
ভারত বলেছে, রাখাইনে
রোহিঙ্গাদের
আর্থ-সামাজিক অবস্থার
উন্নতি কীভাবে করা যায়
যাতে 'মাইগ্রেশন' না
হয়৷ এ নিয়ে যৌথভাবে
কিছু কাজ করার কথাও
হয়েছে৷ তাই উনি (মোদী) যে
রোহিঙ্গাদের নিয়ে কোনো
কথা বলেননি, এটা বলা
ভুল৷''
আরেক প্রশ্নের জবাবে
তিনি বলেন, ''কালাদান
মাল্টি-মোডাল প্রজেক্ট,
ত্রিদেশীয় হাইওয়ে,
ভারতের উত্তর-পূর্বের
সঙ্গে মিয়ানমারে আরো
একটি যোগাযোগ প্রকল্প
রয়েছে৷ এগুলো ২০২১
সালের মধ্যে শেষ করার
তাগিদ আছে৷ এই সরে এ
ব্যাপারে সিদ্ধান্তও
হয়েছে৷''
ভারতের বিশ্লেষকরা
বলছেন, ''বঙ্গোপসাগর
ছাড়াও মিয়ানমারের
সঙ্গে ভারতের ১৬৪৩
কিলোমিটার স্থল
সীমান্ত আছে৷ এই
সীমান্ত অরুণাচল
প্রদেশ, নাগাল্যান্ড,
মণিপুর ও মিজোরাম – এই
চারটি রাজ্য জুড়ে, যার
অন্য প্রান্তের গহীন
জঙ্গলে ভারতের
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের
অনেক জঙ্গি গোষ্ঠীরই
ঘাঁটি রয়েছে৷ তাই
মিয়ানমারের সহযোগিতা
ভারতের প্রয়োজন৷''
সংবাদমাধ্যম
নতুন
বার্তা/কেকেআর
 











__._,_.___

Posted by: Dristy Pat <dristypat5@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] Rohingya's bloods on Bangladesh govt's hands




In the Rohingya ethnic cleansing serials,  in this episode, kids, babies, women and thousands of Rohingya have been mass-killed ! The hundreds of thousands of Rohingya were uprooted from their birth land and made baggers  and refugees overnights !! 

Bangladesh government's lack of strong positions and lack of effective actions  for the safeguard of Rohingya people and for the preventions of spill over effects on Bangladesh, have made it possible for Burma to commit such atrocities with impunity !!! 
 
This has not happened all of a sudden. This has been happening over and over again for years and have intensified in last 7/8 years while Bangladesh government  slept at the wheel paying only lip service.  Whenever Hindus are persecuted anywhere in the world, India speaks up vociferously and rightfully. Whenever Christians are targeted, US/EU take actions, rightfully.  But no such actions were offered by Bangladesh thus far.    

But since Bangladesh govt has not had any strong position on Burma, coupled will threat of repercussion  such as  filing cases in ICC, calling for sanction on Burma in all international institutions,  Burma was left to continue its policy of ethnic cleansing , causing  havoc in Bangladesh as the affects of such atrocities are mostly born out by Bangladesh, not to mention the responsibility for the humanity for these Rohingya people to  whom Chittagong shares cultural and linguistic similarity  .  

Had Bangladesh stood up from the beginning, to protect our own interests and to protect the Rohingya people in Burma for the sake of humanity,  Burma would NOT HAD FREE REIGN to commit atrocities.  Had Bangladesh took Burma to ICC or UNHRC and asked for sanction, building of world opinion in collaboration with  the internationals human rights organizations, Burma would have not continued such mass genocide !! 

Since Burma virtually had no real oppositions against its policy of ethnic cleansing, it had no qualm in committing such crime against humanity.  

In that sense, Bangladesh shrinking from its commitment of standing up for Rohingya  and protection of the interests of Bangladesh, Bangladesh has had its share of the blames for allowing such atrocities. Had Bangladesh took a strong position on Burna and not beholden to order from India, may be these many Rohingya not been killed in wholesale manner. 

বছরের পর বছর এই বাকশালী সরকার বিশ্বের বড় বড় দেশের   কাঁধে দায় চাপিয়ে, দোষ চাপিয়েই  সাড়া !! যেন তাদের দায় আমাদের সমস্যা সমাধান করা !! একই ভাবে ভাঙ্গা রেকর্ড কূটনৈতিকভাবে সমাধান করবে বলে যায় বছরের পর বছর !! আর অন্যদিকে প্রতিবছর রোহিংগাদের গণ হত্যা করেই চলছে বর্মা ! রোহিংগারা স্রোতের মতো প্রতি বছর  বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছে প্রতি বছর !! এবারও সরকারের একই "কূটনীতিক ভাবে সমাধানের  " ভাঙ্গা রেকর্ড বাজাচ্ছে !!

Please watch the video and see how we have collectively failed the these kids and for the loss of their innocence  and childhood. https://www.facebook.com/newbasherkella/videos/1576958979058727/
  

-RA



__._,_.___

Posted by: rashed Anam <rashedanam1971@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] নীলনকশায় রোহিঙ্গা নিধন




নীলনকশায় রোহিঙ্গা নিধন

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অসমাপ্ত কাজটি এখন করছি : মিয়ানমারের সেনাপ্রধান

মেহেদী হাসান   

১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০



নীলনকশায় রোহিঙ্গা নিধন

১৯৯২ সালে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সই হওয়া দ্বিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার সমাজের সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা দুই লাখ ৩৬ হাজার ৫৯৯ জন রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নিলেও ২০০৫ সাল থেকে তা পুরোপুরি বন্ধ রেখেছে। এরপর থেকে মিয়ানমার রাখাইন রাজ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করে, নির্যাতন-হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ঠেলে দিচ্ছে।

যুক্তরাজ্যের দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে মিয়ানমারে চলমান ঘটনাবলিকে 'গণহত্যা' হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। এই গণহত্যার নীলনকশা বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে বেশ আগে থেকেই। এখানে 'রোহিঙ্গা' ও 'মুসলমান' দুটি ইস্যুই গুরুত্ব পেয়েছে। ১৯৬২ সালে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর জান্তা সরকার জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেতে ধর্মকে ব্যবহার শুরু করে। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদেরই তখন মিয়ানমারের প্রকৃত নাগরিক হিসেবে প্রচার করা হয়।

১৯৭৪ সালে রোহিঙ্গাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে 'বিদেশি' হিসেবে অভিহিত করা হয়। এর পর জান্তা সরকারের দমন-পীড়নে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। ১৯৮২ সালে মিয়ানমার যে বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন প্রণয়ন করে তাতে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়।

এ বছরের শুরুর দিকে মিয়ানমারের বিশেষ দূতের ঢাকা সফরের সময় বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া লাখ লাখ রোহিঙ্গার বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছিল সরকার। এর প্রতিক্রিয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করে মিয়ানমারের দূত বলেছিলেন, এ সংখ্যা মাত্র দুই হাজার হতে পারে। বাংলাদেশ তাত্ক্ষণিকভাবেই পরিস্থিতি দেখতে মিয়ানমারের দূতকে কক্সবাজার যাওয়ার অনুরোধ জানালে তিনি বলেছিলেন, তাঁর ঢাকার বাইরে যাওয়ার অনুমতি নেই।

রাখাইন রাজ্যের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমান জনগোষ্ঠীকে নাগরিক বলেই স্বীকার করে না মিয়ানমার সরকার। ১৯৮২ সালের বিতর্কিত এক আইনে তাদের নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সেই থেকে তাদের 'বেঙ্গলি' (বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে অনুপ্রবেশকারী) তকমা দিয়ে মিয়ানমার থেকে বিতাড়নের চেষ্টা চলছে।

গত ২৫ আগস্ট থেকে নতুন মাত্রায় গণহত্যা ও জাতিগত নিধনের মধ্যে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা দাবি করেছে, তাদের অনতিবিলম্বে মিয়ানমার ছাড়তে বলা হয়েছে। এমনকি মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনে মাইক দিয়ে এ নির্দেশনা প্রচার করেছে।

একই সময় মিয়ানমার বলেছে, যারা মিয়ানমার ছেড়ে যাচ্ছে তারা নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে না পারলে ফিরতে পারবে না। রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়নে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি বলেছেন, তাঁর সরকার নাগরিকদের রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।

এর প্রতিক্রিয়ায় কুইন মারি ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের ইন্টারন্যাশনাল স্টেট ক্রাইম ইনিশিয়েটিভের (আইএসসিআই) পরিচালক অধ্যাপক পেনি গ্রিন বলেছেন, সু চি খুব ভালোভাবেই জানেন যে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেয়নি।

মিয়ানমার যে রোহিঙ্গাদের ওপর 'প্রতিশোধ' নিচ্ছে তা দেশটির সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং লিংয়ের বক্তব্যেই স্পষ্ট। তিনি সম্প্রতি বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অসমাপ্ত কাজটিই এখন করছে মিয়ানমার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তৎকালীন আরাকানের (বর্তমানে রাখাইন রাজ্য) রাখাইন সম্প্রদায় নািস সমর্থক জাপানিদের পক্ষ নিলেও রোহিঙ্গারা ছিল মিত্র বাহিনীর পক্ষে। ২০১৫ সালের জুন মাসে যুক্তরাজ্যের খ্যাতনামা ম্যাগাজিন দ্য ইকোনমিস্টে প্রকাশিত এক বিশ্লেষণধর্মী নিবন্ধে বর্তমান বিশ্বে রোহিঙ্গাদের সবচেয়ে নিপীড়িত গোষ্ঠী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল। সেখানে আরো বলা হয়েছিল, মিয়ানমারের সংখ্যালঘু মুসলমান জনগোষ্ঠীর ওপর কোনো হামলার বিচার হয় না। তাদের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে, বসতি থেকে তাড়ানো হচ্ছে। পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে।

২০১২ সালে রোহিঙ্গাদের ওপর রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে ব্যাপক নির্যাতন-নিপীড়নের পটভূমিতে ওই নিবন্ধে সে সময় দুই শতাধিক রোহিঙ্গা মুসলমানকে হত্যার কথাও স্থান পেয়েছে। কুইন মারি ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের ইন্টারন্যাশনাল স্টেট ক্রাইম ইনিশিয়েটিভের গবেষকদের মতে, তখন ওই সহিংসতার আয়োজন করা হয়েছিল। রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর হামলার জন্য অন্যদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছিল এবং তাদের সঙ্গে ছুরি রাখতে বলা হয়েছিল। এ জন্য তাদের বিনা মূল্যে খাবার দেওয়া হয়েছে। মুসলমানবিরোধী আবহে রাখাইনে বৌদ্ধ ভিক্ষু ও রাজনীতিকরা তাদের ধর্ম ও জাতি রক্ষায় মুসলমান রোহিঙ্গা জনসংখ্যার সম্প্রসারণ ঠেকাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। নির্বাচনে পরাজয় এড়াতে তখন সরকার এটি করেছিল।

আইএসসিআইয়ের পরিচালক অধ্যাপক পেনি গ্রিন ২০১২ সালে রোহিঙ্গাদের ওপর হামলাকে 'গণহত্যার প্রক্রিয়া' হিসেবেই অভিহিত করেছিলেন। ঐতিহাসিকভাবে বিভিন্ন দেশে গণহত্যার প্রক্রিয়া শুরু হয় কোনো জনগোষ্ঠীর ওপর কলঙ্কলেপন, হয়রানির মাত্রা বৃদ্ধি, বিচ্ছিন্নকরণ এবং ধারাবাহিকভাবে নাগরিক অধিকারগুলো থেকে এক এক করে বঞ্চিত করার মধ্য দিয়ে। সেই ধাপগুলো সম্পন্ন করার পরই গণহত্যার শেষ ধাপটি কার্যকর করা হয়।

২০১৫ সালেই পেনি গ্রিন বলেছেন, গণহত্যার পথের পাঁচটি ধাপের মধ্যে চারটি ধাপ মিয়ানমার বেশ আগেই সম্পন্ন করেছে। শেষ ধাপটি মিয়ানমারের পক্ষে করা অসম্ভব নয়। ২০১২ সালে রোহিঙ্গাদের নির্বিচারে হত্যার কোনো বিচার হয়নি।

২০১২ সালের পর গত বছর অক্টোবর মাস থেকে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে নতুন করে হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন-নিপীড়ন শুরু হলে জাতিসংঘ একে মানবতাবিরোধী অপরাধ বলে আশঙ্কা করেছিল। সে সময় অভিযোগগুলো তদন্তে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ আন্তর্জাতিক তদন্ত দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলেও মিয়ানমার সেই দলকে দেশটিতে ঢুকতে দেয়নি।

গত ২৫ আগস্টের পর মিয়ানমার এক হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গাকে হত্যা করেছে বলে জাতিসংঘ আশঙ্কা করছে। রোহিঙ্গা সংগঠনগুলোর তথ্যানুযায়ী, এ সংখ্যা তিন থেকে ১০ হাজার হতে পারে। কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, মিয়ানমার একজন রোহিঙ্গাকেও দেশটিতে রাখতে চায় না। তাই তাদের হত্যা, নির্যাতন ও বিতাড়নের পথ বেছে নিয়েছে। পর্যায়ক্রমে তা বাস্তবায়ন করছে।

রোহিঙ্গাদের ওপর ধারাবাহিকভাবে জাতিগত নির্মূল অভিযান চললেও তা মানতে নারাজ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য সরকার। তাদের মুখপাত্র ২০১৩ সালে বলেছেন, রোহিঙ্গারা তো জাতিগোষ্ঠীই নয়। তাহলে তা জাতিগত নির্মূল হয় কিভাবে?

রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের জাতিগত নিধনযজ্ঞ চালানোর অভিযোগ তুলেছে বিশ্বের অনেক মানবাধিকার সংস্থা। ব্রাসেলসভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ গত ৫ সেপ্টেম্বর 'বুড্ডিজম অ্যান্ড স্টেট পাওয়ার ইন মিয়ানমার' শীর্ষক প্রতিবেদনে মিয়ানমার সমাজে উগ্র বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদের উত্থান, রাষ্ট্রীয় নীতিতে হস্তক্ষেপ, মুসলমানবিরোধী বক্তব্যের কথা স্থান পেয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'আল ইয়াকিন' বা 'আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি' (আরসা) মিয়ানমার সরকার ঘোষিত একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। গত আগস্ট মাসে আরসার হামলা রাখাইনে নতুন করে সংকট সৃষ্টি করেছে। একে ব্যবহার করে কট্টর বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদীরা সারা দেশে তাদের এজেন্ডা প্রচার করছে। বর্তমান সংকট মুসলমানবিরোধী মনোভাবকে আরো উসকে দিয়েছে। এর ফলে দেশটিতে আরো সাম্প্রদায়িক সংঘাতের আশঙ্কা আছে, যা দেশটির অগ্রযাত্রাকেও সংকটে ফেলতে পারে।

২০১১ সাল থেকে মিয়ানমার যখন রাজনৈতিক উদারীকরণের দিকে যাত্রা শুরু করে, তখনই সেখানে উগ্র বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদের উত্থান ঘটে। সবচেয়ে প্রভাবশালী জাতীয়তাবাদী সংগঠন হলো 'অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য প্রটেকশন অব রেস অ্যান্ড রিলিজিয়ন', বার্মিজ ভাষায় যার সংক্ষিপ্ত নাম 'মাবাথা'। বৌদ্ধ ভিক্ষুদের নিয়ে গড়া এ সংগঠনের মূল লক্ষ্য মিয়ানমারে তাদের জাতি ও ধর্ম রক্ষা করা। সরকার এ গোষ্ঠীকে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করলেও কার্যত তেমন ফল আসেনি।

ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের মতে, মিয়ানমার সরকার মাবাথার বৈশিষ্ট্য ও জনসমর্থন বুঝতে ভুল করেছে। ওই সংগঠনটি ইসলামবিরোধী বা রাজনৈতিক লক্ষ্য বেশি প্রচার না করে বৌদ্ধ ধর্ম রক্ষার বিষয়টিই গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। মাবাথার অনেক ভিক্ষু চরম মুসলমানবিরোধী মনোভাব নিয়ে ধর্ম ও জাতি রক্ষার নামে সহিংসতায় উসকানি দিয়ে থাকে। এর ফলে আগামীতে মিয়ানমারে মুসলমানবিরোধী আরো সহিংসতার আশঙ্কা রয়েছে।  

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে রাখাইন রাজ্যে ক্ষোভের কারণ তারা তাদের বিদেশি হিসেবে গণ্য করে। আবার ধর্মীয় পরিচয়ে তারা মুসলমান। ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের বৌদ্ধ সমাজের জন্য হুমকি মনে করা হয়। মিয়ানমারের বৃহত্তর সমাজের জোরালো বিশ্বাস, রাখাইন রাজ্যের বৌদ্ধরা যদি তাদের দেশের পশ্চিম সীমান্ত রক্ষা না করত তাহলে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ 'বেঙ্গলি'দের চাপে মিয়ানমার তথা বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ পুরো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অনেক আগেই মুসলমান হয়ে যেত। এটি বিশ্বাসযোগ্য হোক আর নাই হোক, বাস্তবতা হলো—রোহিঙ্গা মুসলমানদের নাগরিকত্ব ও অন্যান্য অধিকার না দেওয়ার পক্ষেই দেশটিতে গণদাবি আছে। মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ছাড়া অন্য জনগোষ্ঠীর মুসলমানদের ব্যাপারেও দিন দিন এ ধারণা জন্মাচ্ছে। তাদেরও মিয়ানমারে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে দেখা হচ্ছে। এ কারণে ২০১৫ সালের নির্বাচনে মিয়ানমারে বড় রাজনৈতিক দলগুলো একজনও মুসলমান প্রার্থী দেয়নি। পুরো মিয়ানমারেই মুসলমান ভোটারদের বেশির ভাগ ভোট দেওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের ওই প্রতিবেদনেই বলা হয়েছে, মিয়ানমারে মুসলমানদের ওই সমাজের ক্যান্সার হিসেবে গণ্য করা হয়। মাবাথার ব্যাপক চাপে ২০১৫ সালের মে থেকে আগস্ট মাসের মধ্যে মিয়ানমারে চারটি আইন প্রণয়ন করা হয়। সেগুলো মুসলমানদের বিশেষ করে রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা মুসলমানদের দিকে দৃষ্টি দিয়েই করা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।

আইন চারটির মধ্যে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইনের আওতায় কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারকে উদ্যোগ নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। বৌদ্ধধর্মাবলম্বী নারীদের বিশেষ বিয়ে আইন দ্বারা বৌদ্ধ নয় এমন কোনো পুরুষকে বিয়ে করার ক্ষেত্রে অনুমতি নেওয়ার দীর্ঘ প্রক্রিয়া অনুসরণ করার কথা বলা হয়েছে। ধর্মবিশ্বাস পরিবর্তন আইনে আগ্রহী ব্যক্তিদের ন্যূনতম ১৮ বছর বয়সী হওয়া, ধর্ম পরিবর্তন ও নিবন্ধন বোর্ডের মুখোমুখি হয়ে সাক্ষাৎকার প্রদানসহ বেশ কিছু প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। এ ছাড়া বহু বিয়ে আইন দ্বারা এ ধরনের চর্চা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু মুসলমানদের চলমান বর্বরতায় শঙ্কিত হয়ে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে গত সপ্তাহে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে নজিরবিহীনভাবে একটি চিঠি দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকরা তাঁকে রাখাইনে জাতিগত নিধন বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। মহাসচিব গুতেরেস উত্তর দিয়েছেন, 'আমরা ঝুঁকিতে আছি। আমি আশা করি, এমন পরিস্থিতি হবে না। '

কিন্তু এর পরও মিয়ানমার থেকে জাতিগত নিধনযজ্ঞের দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে রোহিঙ্গারা দলে দলে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছে। তাদের কাছ থেকে রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের যে বর্ণনা মিলছে তা অবিশ্বাস্য ও ভয়াবহ।

http://www.kalerkantho.com/print-edition/first-page/2017/09/11/541301

সোমবার । ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ । ২৭ ভাদ্র ১৪২৪। ১৯ জিলহজ ১৪৩৮।


আরো খবর



__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

Newer Posts Older Posts Home