Banner Advertiser

Thursday, January 30, 2014

[mukto-mona] [মুক্তমনা বাংলা ব্লগ] 'মেরি কুরির রেডিয়াম ভালোবাসা - পর্ব ২'

মুক্তমনা বাংলা ব্লগ has posted a new item,
'মেরি কুরির রেডিয়াম ভালোবাসা -
পর্ব ২'



[পর্ব ১]

তরুণ - জোরাভস্কি পরিবারের বড়
ছেলে কাজিমির - ওয়ার্‌শ
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের
ছাত্র। জোরাভস্কিদের তিন
ছেলের মধ্যে দু'জন ওয়ার্‌শ
ইউনিভার্সিটিতে অন্যজন
বোর্ডিং স্কুলে। ছুটিতে
বাড়িতে এসে মারিয়ার সাথে পরিচয়
হলো কাজিমিরের।

কয়েক দিনের মধ্যেই মারিয়াকে
ভালো লেগে গেলো কাজিমিরের।
মারিয়ার সাথে কথা বলতে বলতে,
ঘোড়ায় চড়তে চড়তে, সাইকেল চালাতে
চালাতে, পারিবারিক বলড্যান্সে
নাচতে নাচতে মারিয়ার [...]

You may view the latest post at
http://mukto-mona.com/bangla_blog/?p=39506

You received this e-mail because you asked to be notified when new updates are
posted.

Best regards,
মুক্তমনা বাংলা ব্লগ ।



------------------------------------

****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration:
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
-Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190Yahoo Groups Links

<*> To visit your group on the web, go to:
http://groups.yahoo.com/group/mukto-mona/

<*> Your email settings:
Individual Email | Traditional

<*> To change settings online go to:
http://groups.yahoo.com/group/mukto-mona/join
(Yahoo! ID required)

<*> To change settings via email:
mukto-mona-digest@yahoogroups.com
mukto-mona-fullfeatured@yahoogroups.com

<*> To unsubscribe from this group, send an email to:
mukto-mona-unsubscribe@yahoogroups.com

<*> Your use of Yahoo Groups is subject to:
http://info.yahoo.com/legal/us/yahoo/utos/terms/

[mukto-mona] ১০ ট্রাক অস্ত্র আটক মামলার রায় - প্রথম আলো




নিজামী-বাবরসহ ১৪ জনের ফাঁসি

সেই বাবর আর এই বাবর




লুত্ফুজ্জামান বাবর

আদালতের পর্যবেক্ষণ

শুনেও নীরব ছিলেন খালেদা জিয়া

শাস্তি নির্ধারণে গুরুত্ব পায় চার জনের সাক্ষ্য

১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার পর্যবেক্ষণে বিচারক

নীরব ছিলেন খালেদা, হাওয়া ভবন সম্পৃক্ত



Lutfozzaman Babar being taken back to Chittagong Central Jail in a prison van after the court pronounces his death sentence on Thursday. 
Photo: suman babu/ bdnews24.com


__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

Re: [mukto-mona] একজন উস্কানি বেগমের হতাশা, ক্ষোভ, যন্ত্রণা ও ক্রোধ - ১




Let me try to explain again. Just because some countries hold election does not mean they have democracy. Iran holds election; Pakistan holds election, but there is no human rights for religious minorities there.
 
My argument was against American notion that - by forcing elections they can bring democracy around the world. They can't seem to understand - without building secular political environment for democratic system, the election is meaningless.
 
Today, I saw great news from Thailand; people have been demonstrating peacefully for weeks (unlike Bangladesh), and they have paralyzed a popular government, just elected recently by overwhelming majority.

Please see the link below:

http://finance.yahoo.com/news/thai-government-forced-beg-access-162828437.html.
 
Thai people took to the street because of allegations of corruption against some of the government officials. Popular Government resigned; parliament dissolved. Country is now run by an interim government, headed by the recently elected Prime Minister. She declared for a new election. This is real democracy in practice. Do you think – we have such environment in Bangladesh?
 
Instead, this is the story for Bangladesh. If BNP cannot win again in the next election, they will attack religious minorities for the defeat; blame vote rigging, and march on the street and burn everything around them. They will surely stay away from the Parliament again, as they did in the past.  
 
Again, if BNP wins, Awami-League will blame vote rigging, and stay away from Parliament. Is this how American leaders want to solve political problems in Bangladesh by holding another election now?
 
 
Jiten Roy


On Thursday, January 30, 2014 5:43 PM, QR <qrahman@netscape.net> wrote:
 
democracy cannot survive among vastly ignorant religious people;


>>>>>>>> Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman thought we were ready for democracy. He fought for it and I happen to agree with his analogy. Right now we do not have democratic culture in our country and that does NOT mean people of Bangladesh cannot protect democracy.

India has been more religious riots (Not just attacks but killings) than most countries of the world but it is still holding up to it's democratic heritage. Even traditional non-democratic state like Pakistan recently peacefully transferred power (Borrowing our care taker model) and walking steadily towards democracy. So why can't we do the same?

We are passing difficult times and almost all nations go through tough times but that does not mean we have to sacrifice our democratic values.  



Democracy needs a vast secular mass; that environment needs to be created first.

>>>>>>> It is already there.


Anyway, Khaleda Zia is shedding her crocodile tears; religious minorities cannot trust her at all. She has revealed her own image in 2001.

>>>>>>>>> Let our minority population decide for themselves. They do not need a "Leader of freedom fighter" (Who actually chose not to fight the Pak army) and a Hindu who left Bangladesh long time ago speak for them. If Khaleda Zia fails (Which she has in the past), it will be her loss.

I do not feel religion or secularism should be forced unto people. Let the secular parties win the hearts of people with dedication and honesty. Let the religious parties try their best to win hearts of people. This is the democratic system and despite some flaws, it is the best system out there.

Shalom!


-----Original Message-----
From: Jiten Roy <jnrsr53@yahoo.com>
To: mukto-mona <mukto-mona@yahoogroups.com>
Sent: Wed, Jan 29, 2014 6:45 pm
Subject: Re: [mukto-mona] একজন উস্কানি বেগমের হতাশা, ক্ষোভ, যন্ত্রণা ও ক্রোধ - ১

 
Politicians are not intellectually smart people, because smart people do not go to politics anywhere in the world. Therefore, do not think so highly of European and American politicians; for proof look at their policies in Middle East, Afghanistan, Africa, etc.

American politicians always talk about promoting democracy around the world. They think - solution to every problem in the world is democracy. They do not understand that - democracy cannot survive among vastly ignorant religious people; democracy there will only establish religious autocracy that easily; the proof is Egypt.

Democracy needs a vast secular mass; that environment needs to be created first. I do not think these foreigners understand that at all; if they did, they could not support BNP/Jamat in Bangladesh.

Anyway, Khaleda Zia is shedding her crocodile tears; religious minorities cannot trust her at all. She has revealed her own image in 2001.
 
Jiten Roy


On Wednesday, January 29, 2014 6:51 PM, SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com> wrote:
 
বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০১৪, ১৬ মাঘ ১৪২

একজন উস্কানি বেগমের হতাশা, ক্ষোভ, যন্ত্রণা ও ক্রোধ
মুনতাসীর মামুন
পরিস্থিতির এত নাটকীয় পরিবর্তন হবে তা নির্বাচনের দিনও ভাবা যায়নি। আমরা যাঁরা আশঙ্কা করছিলাম, নির্বাচনের পরদিন থেকে আবার জ্বালাও পোড়াও শুরু হবে, তা হয়নি। মুখ রক্ষার জন্য ১৮ দল অবরোধ হরতাল ডেকেছিল তারপর তারা ভুলে গিয়েছিল। এখন দেশের পরিস্থিতি ঠিক আগের মতো। অর্থাৎ, অবরোধ হরতালের আগে যে অবস্থা ছিল। এত দ্রুত পরিস্থিতির উন্নতি হবে এটি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের কল্পনায়ও ছিল কিনা সন্দেহ। 
বিএনপি-জামায়াত এবং ১৬ দল বা একত্রে ১৮ দল কখনও ভাবেনি নির্বাচন হবে। প্রতিদিন মানুষ পুড়িয়ে কুপিয়ে একটি ত্রাসের রাজত্ব তারা তৈরি করতে পেরেছিল। আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতরা বার বার হুমকি দিচ্ছিলেন। আমেরিকা ইউরোপ যেখানে জামায়াতের পক্ষে ছিল সেখানে নির্বাচন হওয়াই ছিল কষ্টকর। যাক, নির্বাচন হলো। বিএনপি-জামায়াতের ও সুশীল বাটপাড়দের মুখপাত্র প্রধান প্রধান [দুইবার প্রধান ব্যবহার নিশ্চয় ব্যাকরণ শুদ্ধ নয় তবুও গুরুত্ব বোঝাবার জন্য দুবার শব্দটি ব্যবহার করা হলো] পত্রিকা ও চ্যানেলগুলো এই কথাই বোঝাতে চাইল ৫ ভাগের বেশি ভোট পড়বে না। ভোট পড়েছে ৪০ ভাগ। বিষয়টি তাদের হতাশ করেছে। ভাবা হয়েছিল। ঠিক আছে নির্বাচন হয়েছে, যাক সংবিধান রক্ষা হয়েছে, আবার নির্বাচন ঘোষণা করা হবে। তা' না হয়ে মন্ত্রিসভা হলো। ফেসবুক বা সাধারণ মানুষ মনে করেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজেনা বিএনপির স্থায়ী কমিটির বহিস্থ সদস্য। এতদিন এসব রাষ্ট্রদূত ছোট ছোট দেশে বড় বড় ভূমিকা রেখেছেন। এখানেও বিএনপি-জামায়াত সে কারণে তার ওপর ভরসা রেখেছিল। যে কারণে, নির্বাচনের পর পর দুদিন বোধহয় তিনি বললেন, যা হওয়ার হয়ে গেছে এখন নতুন নির্বাচন নিয়ে কথা হোক। কিন্তু সরকারী দলের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, কিসের নির্বাচন? সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর। সেটি শেষ হোক। মজেনা এসব দেখেশুনে স্তব্ধ হয়ে গেছেন। তাঁর ভাষায় বলতে গেলে বলতে হয়, আমেরিকার মটো এক টি ডেশ-কে এভাবে ট্রিট করা বেঠিক। এ গ্রেডের রাষ্ট্রদূত হলে মজেনা জানতেন, পৃথিবীর বহুদেশ এখন আর আমেরিকাকে ওইভাবে ট্রিট করতে চায় না। 
মজেনা স্তব্ধ হওয়ার পর আমেরিকার দুটি উপনিবেশ, একটিও বলা যায়, ইংল্যান্ড ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনও বার বার নির্বাচনের কথা বলছে। বিশেষ করে যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত গিবসন খানিকটা বাড়াবাড়িই করছেন। আসলে, তাঁর বোধহয় ধারণা তিনি রাষ্ট্রের ভাইসরয় হিসেবে বাংলাদেশে এসেছেন। বাংলাদেশ এখনও একটি উপনিবেশ। আবার আমেরিকা তাঁদের উপনিবেশ ছিল এক সময়। কিন্তু তাঁদের সম্পর্কটা এখন মনিব-ভৃত্যের। সেই জ্বালা থেকে বোধহয় গিবসন ভাবতে চাচ্ছেন, এখনও এই দেশটা তাঁদের উপনিবেশ। অবশ্য স্বদেশ রায় এর একটা ভাল ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন ব্রিটিশদের একটা গুণ আছে তাঁরা কোন বিষয় নিয়ে খুব বিশদ কাজ করে। আবার তাঁদের আরও একটি গুণ আছে তাঁদের কেউ কেউ কোন বিষয়ের গভীরে যান না। তাঁদের জীবনটা কেটে যায় ফুটবল আর ক্রিকেট নিয়ে। যে কারণে ইউরোপের অনেক দেশে একটি রসাত্মক কথা চালু আছে, ব্রিটিশ কেউ পিএইচডি করলে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, আপনার সাবজেক্ট ফুটবল বা ক্রিকেট নয় তো? ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের সাম্প্রতিক কিছু কথাবার্তা কিন্তু ওই ফুটবল ক্রিকেট নিয়ে কাটানো ব্যক্তির মতোই মনে হচ্ছে। তিনি বলছেন, এখনই আলোচনা শুরু করুন? তাঁকে প্রশ্ন করতে হয়, কার সঙ্গে আলোচনা করবে? এবং আলোচনার বিষয় কি? [জনকণ্ঠ ২৩.১.২০১৪]
ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত হানাও একই ধাঁচের কথাবার্তা বলছিলেন। এখন অবশ্য, দাপট খানিকটা কমেছে। এরা মন্ত্রীদের সঙ্গে প্রতিদিন দেখা করছেন। জানি না কোন মন্ত্রীর সাহস হবে কিনা বলতে যে, দেশটা এখন আর ইউরোপের উপনিবেশ নয়। আমাদের সাংবাদিকরা হয়ত জানেন না, ইউরোপ আমেরিকা বাংলাদেশে কখনও বি গ্রেডের রাষ্ট্রদূতও পাঠায় না। সি গ্রেড নিয়ে সাংবাদিকরা যা মাতামাতি করেন এ গ্রেডের রাষ্ট্রদূতের সামনে দাঁড়ালে বোধহয় তাঁদের হাত-পা কাঁপবে। পৃথিবীতে বাংলাদেশের সাংবাদিকরাই একমাত্র সি গ্রেডের রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে এতো মাতামাতি করেন। এবং তা দেখে এসব রাষ্ট্রদূত নিজেদের নিজ দেশের নীতিনির্ধারক মনে করেন। অবাক হব না, এসব রাষ্ট্রদূতদের অনেককে যদি টার্ম ফুরোবার আগেই ডেকে নেয়া হয়। কারণ, তাঁরা সব বিভ্রান্তিকর সংবাদ পাঠিয়েছেন নিজ নিজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। সন্ত্রাসী, তালেবানী দল। গ্রুপগুলোকে তাঁরা গণতন্ত্রে জোর জবরদস্তিমূলক অন্তর্ভুক্ত করে তাঁদের পরিচ্ছন্ন ইমেজ তৈরি করতে চেয়েছেন। এতে নিশ্চয় লেনদেন থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্বার্থরক্ষার ব্যাপার আছে। অনুমান করে নিতে পারি, নিজেদের জিঘাংসা চরিতার্থ করতে এরা ১৮ দলকে আবার জ্বালাও পোড়াওর রাজনীতি আনার প্ররোচনা যোগাবেন। 
এসব দেখেশুনেই খালেদা জিয়ার পাগল পাগল লাগছে। আরও পাঁচ বছর ক্ষমতার বাইরে! তাহলে একযুগ ক্ষমতার বাইরে থাকতে হয়। তাঁর জ্যেষ্ঠ রাজনীতিকদের বয়স তখন আশির কাছাকাছি হবে। তিনি নিজেও হাঁটবেন আশির পথে। ছেলেকেও ক্ষমতায় বসাতে পারবেন না অথচ নিশ্চিত ছিলেন তাঁকে ক্ষমতায় বসাতে পারবেন। আরও পাঁচ বছর শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে হবে, তাঁর বক্তৃতা শুনতে হবে। আসলে এই চিন্তাটাই তাঁকে শারীরিকভাবে অবসন্ন এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে ফেলছে। না'হলে ২০ জানুয়ারি সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে এ ধরনের বক্তৃতা দিলেন কিভাবে?
তার বক্তৃতার সম্পূর্ণ বিবরণ যথাযথভাবে অধিকাংশ পত্রিকায়ই নেই। তবে, বিভিন্ন পত্রিকা পড়ে নির্যাসটুকু পাওয়া যায়। এ নির্যাস বলে দেয় তার পুরনো বক্তব্যের সঙ্গে নতুন এই বক্তব্যের তেমন অমিল নেই। মনে হয় কেউ ভাঙ্গা একটা রেকর্ড বার বার বাজাবার চেষ্টা করছে। বক্তৃতায় কয়েকটি বিষয়ের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেছেন। 

১. হিন্দুদের ওপর আক্রমণ 

খালেদা বলেছেন, 'সংখ্যালঘুদের ওপর সরকার পরিকল্পিতভাবে হামলা করছে। এ হামলার সঙ্গে সরকারী দলের লোকজন জড়িত... যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে' (সংগ্রাম, ২১.১.১৪) 'নির্বাচনে মানুষের সমর্থন না পেয়ে ব্যর্থতা ঢাকতেই সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে, হিন্দু ভাইদের বাড়িঘরে হামলা করছে, তাদের ওপর নির্যাতন করছে, বাড়িঘর, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে হামলা করছে, দখল করছে। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার দায়-দায়িত্ব সরকারের।' [যায় যায় দিন ২১.১.১৪]
হিন্দুদের তিনি ভাই বলাতে হাসি পাচ্ছে। গয়েশ্বর-নিতাইকে তিনি ভাই-বেরাদর যা বলুন আপত্তি নেই, কিন্তু হিন্দুরা তার ভাই এ কথা, তার ভাষায় কোন শিশু ও গাপলও বিশ্বাস করবে না। বিএনপির রাজনীতির মূলই হলো পুরনো দ্বিজাতি তত্ত্ব যা জিয়াউর রহমান প্রবর্তন করেছিলেন। এ তত্ত্বে হিন্দুরা থাকবে, তবে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে থাকবে। হিন্দুদের জন্য তার সমবেদনা, মাছের মায়ের কান্নার মতো, হিন্দুদের জন্য অপমানজনকও। 
এখানে আরেকটি বিষয় উল্লেখ্য। ডেইলি স্টার ২১ তারিখে খালেদার বক্তৃতার ওপর একটি প্রতিবেদন ছেপেছিল। বিএনপির পক্ষ থেকে এর একটি প্রতিবাদও ছাপা হয় ২৪ তারিখে। স্টার হিন্দুদের সম্পর্কে তার বক্তব্য নিয়ে মন্তব্য করেছিল। বিএনপির প্রতিবাদলিপিতে স্টার উল্লিখিত সব মন্তব্যের প্রতিবাদ জানালেও হিন্দুদের সম্পর্কে স্টারের সমালোচনার কোন প্রতিবাদ জানানো হয়নি। 
খালেদা জিয়ার সময় থেকে এ পর্যন্ত যতগুলো নির্বাচন হয়েছে তার প্রত্যেকটিতে নির্বাচনের আগে পরে সহিংসতা ঘটেছে। এই সহিংসতাকে স্রেফ নির্বাচনী সহিংসতা বলা ঠিক হবে না। এর একটি প্যাটার্ন আছে যার ভিত্তি জাতিগত বিদ্বেষ। গয়েশ্বর-নিতাই বা এরকম আরও যারা বিএনপি করে খালেদারা তাদের ঠিক হিন্দু মনে করেন কিনা সন্দেহ। তবে, ইংরেজীতে কী বলে যেন 'প্লুরাটি'র খাতিরে দু'একজন হিন্দু প্রয়োজনে টাকা দিয়ে রাখতে হয়। রাখাও হয়েছে। 
বিএনপি-জামায়াতের ইতিহাস হচ্ছে সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দু দলনের ইতিহাসে। এর উদ্দেশ্য দুটি- এথনিক ক্লিনজিং এবং সম্পত্তি দখল। এথনিক ক্লিনজিংয়ের অর্থ এ দেশ হিন্দুশূন্য করা। কারণ, তারা মনে করে হিন্দুরা থাকবে হিন্দুস্থান বা ভারতে, মুসলমানরা পাকিস্তান ও আগের পূর্ব পাকিস্তানে। সম্পত্তি দখলে অবশ্য শুধু জামায়াত বিএনপি নয়, আওয়ামী লীগ ও অন্য দলও জড়িত। রাজনৈতিক দলের সদস্য হওয়া মানেই আজকাল কিছুর দখল নেয়া। তবে এথনিক ক্লিনজিংয়ের ওপরও জোর দেয়া হয় বেশি। শাহরিয়ার কবির ২০০৫ সালে লিখেছিলেন হিন্দুশূন্য করার কারণ '১. আওয়ামী লীগের ভোট কমবে এবং ২. বাংলাদেশকে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মনোলিথিক মুসলিম রাষ্ট্র বানানো সহজ হবে।' 
১৯৯২ সালে, বিএনপির তৎকালীন নেতা সাংবাদিক গিয়াস কামাল চৌধুরীর ভোয়াতে প্রেরিত এক খবরের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকায় হিন্দুদের ওপর আক্রমণ শুরু হয়। বিএনপি প্রভাবান্বিত লতিফুর রহমান প্রধান উপদেষ্টা থাকার সময়ই তার সরকার বিএনপির জেতার পথ সুগম করার জন্য হিন্দু দলন শুরু করে। খালেদা নিজামী সেটিকে কী মাত্রায় নিয়ে যায় তার একটি উদাহরণ দিচ্ছি। ২০০১ সালের অক্টোবর থেকে ২০০২ সালের ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ২৮৪ জন নারী ধর্ষিত ও ৪৬ জনকে অপহরণ করা হয়। ৩৮,৫২১টি পরিবারকে বাস্তুচ্যুত করা হয়। হত্যা করা হয় ৩৮ জন, হুমকি দেয়া হয় ৮০৬ জনকে। নির্যাতন করা হয় ২২৬১ জন পুরুষ ও ১৪৯৬ জন নারীকে। বাড়িঘর ও ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে ২৮০০ হামলা হয়। আগুন দেয়া হয় ১৮৬৩টি স্থান/বাড়ি/ দোকান/স্থাপনার। ১০১টি মন্দিরে হামলা হয়। চাঁদা ও টাকা দেয়া হয় ১,৯২,৪৭,৫০০ টাকা। লুট করা হয় ৩,৪৯,৮৫,০০০ টাকা। বিবস্ত্র করা হয় ১৮ জন নারীকে। 
[জাতীয় পত্রিকা থেকে সংকলন] খালেদা জিয়া যদি মাছের মা না হতেন তাহলে প্রথম বছরে সেই হিন্দু বিধবার আর্তি শুনে নিজে এসব পশুগুলোকে শেকলে বেঁধে রাখতেন। ঘটনাটি ছিল এরকম। একটি গ্রাম। নিশুতি রাত। খালেদার সোনার ছেলেরা এক গরিব হিন্দু বিধবার বাড়ি ঘিরে ফেলেছে। বিধবা টের পেয়ে লণ্ঠন হাতে কপাট খুলে মিনতি করে বললেন, বাবারা আমার মেয়েটা ছোট, তোমরা একজন করে আসো। বিধবার মেয়েটার বয়স ছিল ১৩ কী ১৪।
গত দুই বছর ক্রমাগত হিন্দুরা আক্রান্ত হচ্ছেন, এখনও। তিনি বক্তৃতায় বললেন, 'সংখ্যালঘুদের ওপর আওয়ামী লীগের লোকেরাই হামলা করছে।' এখানেই হিন্দুদের নিয়ে বিএনপির তামাশার শেষ নয়। এ বিষয়ে তারা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তারা দিনাজপুরে আড়াই ঘণ্টা কাটিয়ে একটি তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করে ঘোষণা করেছে, ঘটনাগুলো সাম্প্রদায়িক নয়, রাজনৈতিক। প্রশ্ন নির্বাচন তো শেষ তা'হলে এখনও কেন জামায়াত-বিএনপি হিন্দুদের আক্রমণ করছে? আমাদের অনুমান খালেদা ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশে হিন্দু জনসংখ্যা ০ থেকে ১ ভাগের বেশি রাখা হবে না। গয়েশ্বর-নিতাইদেরও বাপ বাপ করে চলে যেতে হবে। (চলবে)
বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০১৪, ১৬ মাঘ ১৪২
Also Read:
বাংলাদেশের মাটি থেকে বিদায় -  
খালেদা জিয়া বিএনপি জামায়াত সবাইকে বিদায় বাংলাদেশের মাটি থেকে।
বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০১৪, ১৬ মাঘ ১৪২







__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] জহির রায়হান হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ




শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০১৪, ১৮ মাঘ ১৪২
জহির রায়হান হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ
স্টাফ রিপোর্টার ॥ শহীদ বুদ্ধিজীবী জহির রায়হানের হত্যা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন এক প্রত্যক্ষদর্শী। মুক্তিযুদ্ধের সময় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের ১২ নম্বর প্লাটুনের ল্যান্স নায়েক আমির হোসেন জানিয়েছেন, মিরপুরে জহির রায়হানকে কয়েক বিহারী আঘাতের পরে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার একটি টেলিভিশন চ্যানেলের বিশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। 
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানার দৌলতপুরের বাসিন্দা আমির হোসেন জানান, জহির রায়হান তিন পুলিশ অফিসার, দু'জন এক্সারভেশন কর্মকর্তা ও পুলিশের অতিরিক্ত এসপি লোদীর সঙ্গে কথা বলছিলেন। সে সময় বিহারীরা তাঁর দেহে আঘাত করলে একটি পানির ট্যাঙ্কের পাশে তিনি হাঁটু গেড়ে বসেছিলেন। এ সময় তাঁর পিঠের কাপড় ছিল রক্তমাখা। তিনি পরেছিলেন ছাই রঙের একটি প্যান্ট। এছাড়া তিনি পরেছিলেন একটি সাদা ফুল শার্ট। আর শার্টের ওপর ছিল ঘিয়ে রঙের হাফহাতা সোয়েটার। তারপর তাঁকে কয়েক বিহারী টেনে-হিঁচড়ে পানির টাঙ্কের পশ্চিম দিকে নিয়ে যায়। তবে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়, সেটা তিনি জানেন না।
আমির হোসেন বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে আইনজীবী সহকারী হিসেবে কর্মরত। তিনি জানান, ১৯৭১ সালে মিরপুরে ৪০ থেকে ৪৫ পুলিশকেও হত্যা করা হয়েছিল। ৩১ জানুয়ারি মিরপুর মুক্ত হয়। 
তবে জহির রায়হান অন্তর্ধান হন ৩০ জানুয়ারি। খ্যাতিমান ঔপন্যাসিক ও চলচ্চিত্রের প্রবাদপুরুষ জহির রায়হান ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি তাঁর নিখোঁজ ভাই শহীদুল্লাহ কায়সারকে খুঁজতে শুরু করেন, যিনি স্বাধীনতার ঠিক আগমুহূর্তে বাহিনীর হাতে অপহৃত হয়েছিলেন। জহির রায়হান ভাইয়ের সন্ধানে মিরপুরে যান এবং সেখান থেকে আর ফিরে আসেননি। মিরপুর ছিল ঢাকা থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত বিহারী অধ্যুষিত এলাকা এবং এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে যে, সেদিন বিহারীরা ও ছদ্মবেশী পাকিস্তানী সৈন্যরা বাংলাদেশীদের ওপর গুলি চালালে তিনি নিহত হন।
১৯৩৫ সালের ১৯ আগস্ট বর্তমান ফেনী জেলার মজুপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন জহির রায়হান। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর তিনি তাঁর পরিবারের সঙ্গে কলকাতা হতে বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) স্থানান্তরিত হন। তিনি ১৯৫৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে বাংলায় স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। 
১৯৫০ সালে তিনি যুগের আলো পত্রিকায় সাংবাদিক হিসেবে কাজ করা শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি খাপছাড়া, যান্ত্রিক, সিনেমা ইত্যাদি পত্রিকাতেও কাজ করেন। ১৯৫৬ সালে তিনি সম্পাদক হিসেবে প্রবাহ পত্রিকায় যোগ দেন। ১৯৫৫ সালে তার প্রথম গল্পগ্রন্থ 'সূর্যগ্রহণ' প্রকাশিত হয়।
চলচ্চিত্র জগতে তাঁর পদার্পণ ১৯৫৭ সালে, 'জাগ হুয়া সাবেরা' ছবিতে সহকারী হিসেবে কাজ করার মাধ্যমে। তিনি সালাউদ্দীনের ছবি 'যে নদী মরু পথেতে'ও সহকারী হিসেবে কাজ করেন। প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক এহতেশাম তাঁকে 'এ দেশ তোমার আমার'-এ কাজ করার আমন্ত্রণ জানান। জহির রায়হান এ ছবির নামসঙ্গীত রচনা করেছিলেন।
১৯৬০ সালে তিনি রুপালি জগতে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন 'কখনো আসেনি' চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। ১৯৬৪ সালে তিনি পাকিস্তানের প্রথম রঙিন চলচ্চিত্র 'সঙ্গম' নির্মাণ করেন এবং পরের বছর তাঁর প্রথম সিনেমাস্কোপ চলচ্চিত্র 'বাহানা' মুক্তি দেন।
জহির রায়হান ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন এবং ২১ ফেব্রুয়ারির ঐতিহাসিক আমতলা সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। ভাষা আন্দোলন তাঁর ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল, যার ছাপ দেখতে পাওয়া যায় তাঁর বিখ্যাত চলচ্চিত্র 'জীবন থেকে নেওয়া'তে। তিনি ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি কলকাতায় চলে যান এবং সেখানে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে প্রচারাভিযান ও তথ্যচিত্র নির্মাণ শুরু করেন।
কলকাতায় তাঁর নির্মিত চলচ্চিত্র 'জীবন থেকে নেওয়া'র বেশ কয়েকটি প্রদর্শনী হয় এবং চলচ্চিত্রটি দেখে সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, তপন সিনহা এবং ঋত্বিক ঘটক প্রমুখ ভূয়সী প্রশংসা করেন। সে সময়ে তিনি চরম অর্থনৈতিক দৈন্যের মধ্যে থাকা সত্ত্বেও তাঁর চলচ্চিত্র প্রদর্শনী হতে প্রাপ্ত সমুদয় অর্থ তিনি মুক্তিযোদ্ধা তহবিলে দান করে দেন। সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য আদমজী সাহিত্য পুরস্কার ও বাংলা একাডেমী পুরস্কার পান তিনি।
প্রকাশ: RbKÉ,  শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০১৪, ১৮ মাঘ ১৪২


জহির রায়হান
Zahir Raihan
Johir raihan.jpg
Zahir Raihan
BornAugust 19, 1935
FeniNoakhaliBritish India(present-day Bangladesh)
Occupationfilmmakernovelistwriter
EducationBA (Bengali)
Alma materDhaka University
Notable award(s)Bangla Academy Award (1972)
Spouse(s)Sumita Devi (1961-1968)
Shuchonda (1968-1971)
Relative(s)Shahidullah Kaiser (brother)




__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] ম্যাডামের আম ও ছালা দুটোই গেল



শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০১৪, ১৮ মাঘ ১৪২
ম্যাডামের আম ও ছালা দুটোই গেল
শাহজাহান মিয়া 
গত ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার আশকারা ও ছত্রছায়ায় দেশ ও স্বাধীনতাবিরোধী একটি চিহ্নিত কুচক্রী মহল সরকার দেশে ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছে বলে চিৎকার করে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছে। শুধু সাইনবোর্ডধারী লোকবলহীন দু'একটি রাজনৈতিক দলের ভাবসাব দেখানো গায়ে মানেনা আপনি মোড়ল ধরনের নেতাও এই অপপ্রচারে শামিল হয়েছেন। নিরপেক্ষতার ধ্বজাধারী সুশীল সমাজের লোক বলে পরিচিত কিছু মুখচেনা লোকও এর সঙ্গে সুর মিলিয়ে পরিবেশ গরম করে তুলতে চাইছেন। পত্রিকায় ছবি ছাপানো ও টিভির পর্দায় চেহারা দেখাতে উন্মুখ সুবিধাবাদী চরিত্রের এই লোকগুলো একবারও বলছেন না যে নবম সংসদের বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ধনুকভাঙ্গা পণ করে বসেছিলেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার জন্য। কারণ, বেগম জিয়ার পরম পেয়ারের পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই'র পরামর্শ মোতাবেক এদেশে তার বিশ্বস্ত দোসর জামায়াতে ইসলামকে নিয়ে নির্বাচন বানচাল করে দেশের পরিস্থিতি ঘোলাটে করে টালমাটাল অবস্থার সৃষ্টি করাই ছিল তার মূল উদ্দেশ্য। নির্বাচনে অংশগ্রহণে বিরত থেকে নির্বাচনের পূর্বে খালেদা জিয়ার কিছু বেসামাল মন্তব্য ও বক্তব্যও তার স্বাক্ষর বহন করে। ইপ্সিত লক্ষ্য হাসিলে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াতের জঙ্গী ক্যাডারদের নানারূপ হিংস্র তৎপরতা ও প্রচ- সশস্ত্র বাধাবিঘœ উপেক্ষা করে গত ৫ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর দেশের মানুষের মধ্যে শেষ পর্যন্ত স্বস্তি ফিরে আসে। স্বাধীনতা বিরোধীচক্র দশম সংসদ নির্বাচন বানচালের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে ১৮ দলীয় জোটের ক্যাডারদের সন্ত্রাসী হামলার মুখে নির্বাচন অনুষ্ঠান ছিল একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন সরকার ইস্পাত-কঠিন দৃঢ়তার মাধ্যমে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছে। কারণ, স্বাধীনতাকামী বাঙালীদের দশম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের কঠিন দিনগুলোর কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছিল। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াত জোটের সন্ত্রাসীদের মূল লক্ষ্য ছিল এদেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের নাম-নিশানা মুছে ফেলা। তাই তারা হরতাল-অবরোধের নামে হত্যা-অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের মতো নানা জঘণ্য সন্ত্রাসী কর্মকা- চালিয়ে নির্বাচন ভ-ুল করার ঘৃণ্য খেলায় মেতে উঠেছিল। সর্বত্র একটি ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করতে ককটেল ও পেট্রোল বোমা মেরে নিরীহ শিশু-মহিলা-বৃদ্ধসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষের মূল্যবান জীবন কেড়ে নেয়ার উন্মত্ত মহোৎসবে মেতে উঠেছিল। নির্বাচনকালে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসের ফলে সারাদেশে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও আনসারসহ মোট ২২ জন প্রাণ হারান। কিন্তু দেশপ্রেমিক বীর বাঙালী ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে তাদের নাগরিক অধিকারের প্রকাশ ঘটিয়েছিল। 
জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসী তা-ব ও হিংস্র্রতার কারণে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম হয়েছিল বটে। কিন্তু এদেশের সাধারণ মানুষের বুঝতে আর কিছু বাকি ছিল না, একাত্তরের পরাজিত শক্তি জামায়াতে ইসলামী ও তাদের দোসররা মুক্তিযুদ্ধে তাদের পরাজয়ের প্রতিশোধ ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকাতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল। এখনও তারা মাঠে সক্রিয় রয়েছে তাদের ঘৃণ্য উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে। জামায়াত-শিবির এবং ১৮ দলীয় জোটভুক্ত কিছু দলের ক্যাডার ও সশস্ত্র কর্মীরা এতটাই হিংস্র হয়ে উঠেছিল যে গত প্রায় দু'টি মাসই মনে হয়েছে যে, দেশে স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের সঙ্গে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির যুদ্ধ চলছে। বাঙালী জাতি যেন একাত্তরে ফিরে গিয়েছিল। এ যেন স্বাধীনতাকামী গণমানুষের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার শত্রুদের যুদ্ধ ঘোষণা। একাত্তরের বাঙালীর অকুতোভয় দামাল ছেলেরা যেমন দুর্বার হয়ে হানাদার পাকিস্তানী বাহিনীকে মোকাবেলা করে তাদের শুধু পরাজিতই করেনি, একেবারে পর্যুদস্ত করে আত্মসমর্পণে বাধ্য করেছিল, তেমনি বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষ পাকিস্তানীদের ঘৃণ্য আদর্শের দোসর ও তাদের এদেশীয় দালাল ও তস্য দালালদের এবারও মোকাবেলা করেছে এবং তা অব্যাহত রাখার দৃঢ়তা প্রদর্শন করে চলেছে। একাত্তরে যেমন নিকট প্রতিবেশী ভারত আমাদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছিল এবারও তারা এদেশের ন্যায় যুদ্ধে নৈতিক সমর্থনদানে পিছিয়ে নেই। 
বর্তমান এ যুদ্ধে একটি অপূর্ব মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। নানা অপপ্রচার ও অপপ্রয়াসের মধ্যেও এবারও শুধু ভারতই এগিয়ে আসেনি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকের মতো রাশিয়াও আবার এগিয়ে এসেছে। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর ১২ জানুয়ারি গঠিত নতুন সরকারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে রাশিয়া। দেশের একজন সচেতন নাগরিক, বিশেষ করে একজন মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত সবকিছু এখনও চোখের সামনে ছবির মতো ভাসছে। বাঙালী জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ এদেশের স্বাধীনতাকামী কোন মানুষের পক্ষেই সেই ঐতিহাসিক দিনগুলোর কথা ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়। ভারত ও তখনকার সোভিয়েত ইউনিয়নসহ আরও বেশ কিছু পূর্ব ইউরোপীয় দেশ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অত্যন্ত প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছিল। এদেশের মানুষ অবশ্যই ভুলে যায়নি যে আমেরিকা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে কিভাবে দাঁড়িয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তৎকালীন পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীকে অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে এদেশে গণহত্যা ও তাদের ঘৃণ্য আগ্রাসনের নগ্ন সহযোগী হয়েছিল। দেশের জনগণ নিশ্চয়ই ভুলে যাননি যে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে এবং বেগম জিয়ার সাধের পাকিস্তানের পক্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার সপ্তম নৌবহরের পারমাণবিক যুদ্ধ জাহাজ ইউএস এন্টারপ্রাইজ আমাদের বঙ্গোপসাগরে পাঠিয়ে এ দেশের মুক্তিকামী মানুষের বিজয়কে ঠেকাতে চেয়েছিল। কিন্তু পারেনি। নিদারুণভাবে ব্যর্থ হয়েছিল। চীনও অত্যন্ত সক্রিয়ভাবে পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছিল। একাত্তরের ডিসেম্বরের শুরুতেই রণাঙ্গন ও কূটনৈতিক ফ্রন্টÑ উভয় ফ্রন্টেই পাকিস্তানীরা বেধড়ক মার খেয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছিল। পাকিস্তানের সব কূটকৌশলই ব্যর্থ হচ্ছিল। হানাদার পাকিস্তানীরা বিশ্ব রাজনীতিতে ক্রমশ বন্ধুহীন হয়ে পড়েছিল। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ ঠেকাতে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব উত্থাপন করে। নিরাপত্তা পরিষদের ১৪ সদস্যের মধ্যে বাংলাদেশের বড় বন্ধু সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং পোল্যান্ড প্রস্তাবের বিপক্ষে দাঁড়ায়। কিন্তু ১০টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট প্রদান করে। যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স ভোটদানে বিরত থাকে। প্রস্তাবটি ঠেকানোর জন্য সেভিয়েত ইউনিয়ন অবশেষে তার ভেটো শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে একটি ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করে। যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের এক মহান নেতা মাও সে তুংয়ের চীনের মুখে চুনকালি পড়ে। 
দেশে কোন গুরুতর রাজনৈতিক সমস্যা দেখা দিলে বিদেশী কূটনীতিকদের মুখাপেক্ষী হওয়া আমাদের অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ মানসিকতা আমাদের দেশের জন্য যে কতটা সম্মানহানিকর তা বোধহয় আমরা এখনও বুঝে উঠতে পারিনি। 
নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে নির্বাচন বানচালে বদ্ধপরিকর বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া নির্বাচনের আগে আলোচনায় বসার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া না দিয়ে নানা অজুহাত দেখিয়ে ও তালবাহানা করে নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তেই অটল থাকেন। শুরু থেকেই বিএনপি তার ঘনিষ্ঠ মিত্র জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে আলাপ-আলোচনার পথ পরিহার করে আসছিল। তত্ত্ব¡াবধায়ক সরকারের দাবিতে অনেক আগে থেকেই ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপে লিপ্ত ছিল। তাই তারা প্রধানমন্ত্রীর উদাত্ত আহ্বানে কোনরূপ গুরুত্ব দেয়ার প্রয়োজন মনে করেনি। তারা ন্যক্কারজনক বাঁকাপথ ধরেছিল। একদিকে তারা বোমাবাজি করে নিরীহ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে আর অন্যদিকে আবার আলোচনার নামে বিদেশী কূটনৈতিকদের দ্বারস্থ হয়েছে। নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি নেত্রী ঢাকায় নিযুক্ত ৩৪টি দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। কিন্তু কূটনীতিকরা সহিংসতা ও নাশকতা পরিহারের জন্য বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। 
খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ১৮দলীয় বিরোধী জোট আশা করেছিল সরকার নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারলেও তাদের ভাষায় এই 'ভোটারবিহীন নির্বাচন' অনুষ্ঠানের পর গঠিত নতুন সরকারকে বিদেশী সরকার সমর্থন বা অভিন্দন বার্তা পাঠাবে না। কিন্তু বিরোধীদলকে চরম হতাশায় ডুবিয়ে রাশিয়া, চীন, ভারত, বেলারুশ, ভিয়েতনাম, শ্রীলংকা ও নেপালসহ দুই ডজনেরও বেশি দেশ এ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত বাংলাদেশের নতুন সরকারকে অভিন্দন জানিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। যুক্তরাজ্যও বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা, সমৃদ্ধি ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য সহযেগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছে। 
সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে শেখ হাসিনা অপূর্ব দৃঢ়তা ও সাহসিকতার সঙ্গে নির্বাচন বানচালে বিএনপি-জামায়াতের সকল বাধাবিঘœ মোকাবেলা করে দশম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব করে তুলে নতুন সরকার গঠন করে তৃতীয়বারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। আর বিএনপি নেত্রী ম্যাডাম খালেদা জিয়া সংসদে বিরোধীদলীয় নেত্রীর পদটিও হারিয়ে এখন শুধু বিএনপির চেয়ারপার্সনই থাকলেন। তাই তাঁর হা-হুতাশের মাত্রা একটু বাড়ারই কথা। আর সেজন্যই এখন আবোল-তাবোল বকতে শুরু করেছেন। একাত্তরে পাকিস্তানী বাহিনীর তত্ত্ব¡াবধানে আরাম-আয়েশে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে দিন কাটানো খালেদা এখন হয়ত স্বপ্নে ভারতীয় বাহিনী দেখতে পান। সেজন্যই হয়ত তিনি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় ওরকম উদ্ভট মন্তব্য করতে পেরেছেন। এখন দুর্মুখেরা বলতে শুরু করেছে, নির্বাচনে না গিয়ে বিএনপির ম্যাডাম আম ও ছালা দুটোই হারালেন। 
নির্বাচনের পর ১২ জানুয়ারি গঠিত সরকার নিয়েও এক শ্রেণীর রাজনৈতিক নেতা ও বুদ্ধিজীবী প্রশ্ন তোলেন। এরা আবার নিজেদের দেশপ্রেমিক বলে দাবি করেন। তাঁরা নতুন সরকারকে ঐকমত্যের সরকার বলতে একেবারেই নারাজ। বিশেষ পরিস্থিতিতে একাধিকবার বিশ্বে ঐকমত্যের সরকার গঠনের নজির রয়েছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বিরোধীদল লেবার পার্টি থেকে উপ-প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেছিলেন। বিশ্বের এক মহান নেতা সদ্য প্রয়াত নেলসন ম্যান্ডেলার দক্ষিণ আফ্রিকায়ও আমরা এ ধরনের সরকার দেখেছি। যারা বলছে বাংলাদেশে যুদ্ধাবস্থা চলছে না, তাদের উদ্দেশেই বলছিÑ এ দেশে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি জামায়াত এবং দলটির অঘোষিত বর্তমান কা-ারি বেগম জিয়ার নেতৃত্বে যে খুনখারাবি, হত্যা-ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ চলছে এবং এখনও হচ্ছে তাকে যুদ্ধাবস্থার চেয়ে কোন অবস্থায়ই ভাল বলার উপায় নেই। নির্বাচনের পর বিএনপি-জামায়াতের মদদপ্রাপ্ত সন্ত্রাসীরা সারাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের ওপর হিংস্র হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়। নারীদের ধর্ষণ করে। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেই বলছি, এ যেন একাত্তরেরই প্রতিচ্ছবি। একাত্তরে ওরা যেভাবে গণহত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ করার পৈশাচিক খেলায় মেতে উঠেছিল, এবারও তারা তাই করেছে। অথচ বিএনপি নেত্রী বেগম জিয়া এখনও গলা ফুলিয়ে বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরকারের লোকজন হামলা চালিয়ে বিএনপি-জামায়াতের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। মিথ্যাচারেরও সীমা থাকা উচিত। দোষ দিয়ে লাভ নেই মিথ্যাচার আর ধোঁকাবাজির ওপরই বিএনপি প্রতিষ্ঠিত। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়া স্বাধীনতার শত্রু জামায়াতকে এদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করেছিলেন। বেগম জিয়া এখন তাদের কা-ারি হবেন তাতে আর অবাক হওয়ার কিছুই নেই। 
কিছু বিদেশী পত্র-পত্রিকার এদেশের নানা বিষয়ে অহেতুক নাকগলানো সম্পর্কে বিছু না বললে লেখাটি অসমাপ্ত থেকে যাবে বলে এ বিষয়ে কিছু না লিখে পারছি না। সম্প্রতি ব্রিটিশ প্রভাবশালী সাময়িকী 'দ্য ইকোনমিস্ট' ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল দৈনিক 'দ্য নিউইয়র্ক টাইমস' পত্রিকা বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক খবর ছাপতে গিয়ে কিছু ন্যক্কারজনক কা- ঘটিয়েছে। প্রভাবিত হয়ে এই পত্রিকা দু'টি বছর দুয়েক আগে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করেছিল। ২০১১ সালের ২৮ নবেম্বর ও ২ ডিসেম্বর চার দিনের ব্যবধানে এই পত্রিকায় দু'টি দারুণ তথ্যবহুল ও চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল। 'যুদ্ধাপরাধী বিচার বানচালের চেষ্টা, ঢালা হচ্ছে কেটি কোটি টাকা' শিরোনামে ২০১১ সালের ২৮ নবেম্বর এবং 'কথা বলছে ২৫ মিলিয়ন ডলার, আমেরিকান লবিস্ট ফার্ম ও জামায়াত নেতার মধ্যে চুক্তি' শিরোনামে ২০১১ সালের ২ ডিসেম্বর প্রকাশিত প্রতিবেদন দু'টি এদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষের মধ্যে দারুণ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। অর্থ নামক অব্যর্থ অস্ত্রটি ব্যবহার করে জামায়াত তখন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন দু'টি পত্রিকায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠাতে সমর্থ হয়েছিল। নিউইয়র্ক টাইমস লিখেছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের নামে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের আগুন চরিতার্থ করতে জামায়াতে ইসলামীর পাঁচজন শীর্ষ নেতাকে মৃত্যুদ- দেয়ার পাঁয়তারা চলছে। 'দ্য ইকোনমিস্ট' লিখেছিল, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের নামে বাংলাদেশের বড় ইসলামিক দলটির শীর্ষ নেতাদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে ফায়দা লোটার চেষ্টা চলছে। টাকার বিনিময়ে সাংবাদিকতার নীতিমালা ধর্ষণ করে এসব পত্রিকা আবার সাংবাদিকদের নৈতিকতা সমুন্নত রাখার ছবক দেয়ার দুঃসাহস দেখায়। এবারও বাংলাদেশ সম্পর্কে এ দু'টি পত্রিকাসহ কিছু বিদেশী পত্রিকার ভূমিকা খুবই ন্যক্কারজনক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিতর্কিত প্রায় সবাইকে নতুন মন্ত্রিসভার বাইরে রেখে প্রশংসিত হয়েছেন। সবারই প্রত্যাশা, মন্ত্রিসভার সদস্যরা সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাস ও সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার কথা বলেছেন। সন্ত্রাসীরা দেশের শত্রু সে বিবেচনায়ই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। 'দেশী-বিদেশী কোন চাপের কাছে মাথানত নয়' প্রধানমন্ত্রীর এমন প্রত্যয়ী ঘোষণাও প্রশংসার দাবিদার। কৃষি, শিক্ষা ও বিদ্যুতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিগত মহাজোট সরকারের সাফল্য অনেক। এ সাফল্য সব ক্ষেত্রেই ছড়িয়ে দিতে হবে। পোশাক শিল্পের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে। তাহলে দেশের জনগণ খুবই খুশি হবেন। কারণ, পুরো পাঁচটি বছরই ক্ষমতায় থাকতে হবে। 

লেখক : সাংবাদিক
প্রকাশ : শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০১৪, ১৮ মাঘ ১৪২



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___