Banner Advertiser

Sunday, December 30, 2012

[mukto-mona] Fw: এ দেশে ধর্ষিতার পাশে দাঁড়াবে কে?

What's going on in Bangladesh? I know many will now say - cover all women head-to-toe and put them back inside the house. I say open the society and let women free. When will the society learn that rape-victims do not commit crime; crime is committed by rapists. If women rape-victims do not get justice from a women Prime Minister, we have a long way to go. Jiten Roy

--- On Sun, 12/30/12, SyedAslam <syed.aslam3@gmail.com> wrote:


From: SyedAslam <syed.aslam3@gmail.com>
Subject: এ দেশে ধর্ষিতার পাশে দাঁড়াবে কে?
To: "Khobor" <khabor@yahoogroups.com>, "notun Bangladesh" <notun_bangladesh@yahoogroups.com>, chottala@yahoogroups.com
Date: Sunday, December 30, 2012, 5:56 PM

এ দেশে ধর্ষিতার পাশে দাঁড়াবে কে?

'ভারতের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে হবে'
নাহিদ তন্ময়/শামীমা মিতু
১০ ডিসেম্বর, সকাল ৭টা। টাঙ্গাইলের রসুলপুর এলাকার রেললাইনে অচেতন অবস্থায় পড়ে ছিল ১৫ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রী। স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তির পর জানা গেল, তাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। এর পর কেটে গেছে ২০ দিন। হাসপাতালে এখনও মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে সে। এ অবস্থায় মা ছাড়া তার পাশে দাঁড়ায়নি কেউ-ই। ঘটনার জন্য মেয়েটিকে দায়ী করে নির্মম নির্যাতনের পর বাসা থেকে
তাড়িয়ে দিয়েছেন তার বাবা। এলাকার প্রভাবশালীরাও খারাপ মেয়ে আখ্যা দিয়ে তাকে সমাজচ্যুতির ঘোষণা দিয়েছেন। সে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে গেলেও প্রকাশ্যে ঘুরছে ধর্ষণকারীরা। ব্যবস্থা নেয়নি থানা পুলিশও। 
মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের নয়াদিলি্লতে যাত্রীবাহী বাসে গণধর্ষণের শিকার হন এক মেডিকেল ছাত্রী। টানা ১০ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে হার মানেন এ 'ভারতকন্যা'। তার এ মর্মান্তিক মৃত্যুর পর ক্ষোভে উত্তাল ভারত। দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তির রায় না হওয়া পর্যন্ত অনশনের ঘোষণা দিয়েছে তার পরিবার। ঘটনার প্রতিবাদে সরকার থেকে শুরু করে বিরোধী দল_ সবাই এক কাতারে। মেয়েটির মরদেহ গ্রহণ করতে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ছুটে যান এয়ারপোর্টে।
নির্যাতিত এ ভারতকন্যার পাশে দেশ এবং পরিবার দাঁড়ালেও বাংলাদেশে এ চিত্র উল্টো। এখানে নারী নির্যাতনের প্রতিবাদ সাম্প্রতিক সময়ে খুব একটা চোখে পড়ে না। সচেতন মহলের মতে, ভারতের ঘটনা থেকে অবশ্যই শিক্ষা নিতে হবে বাংলাদেশকে। সব নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। 
জানা গেছে, গত ৬ ডিসেম্বর টাঙ্গাইলের মেয়েটিকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে একটি বাসায় ৪ দিন আটকে রেখে গণধর্ষণ করে ৬-৭ যুবক। এর পরই মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ফেলে যায় রেললাইনে। প্রথমে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু লোকচক্ষুর ভয়ে তাকে বাসায় নিয়ে যান মা। তখনই বাদ সাধেন বাবা। মেয়েটি এবং তার মাকে শারীরিক নির্যাতন করে বাসা থেকে তাড়িয়ে দেন। নিরুপায় মা মেয়েকে নিয়ে আবার হাসপাতালে হাজির হন। এলাকার প্রভাবশালীরা মেয়েটির মাকে জানিয়ে দিয়েছেন, 'চরিত্রহীন' মেয়েকে নিয়ে তিনি গ্রামে প্রবেশ করতে পারবেন না। 
এই মেয়েটির মতো বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত অনেকেই ধর্ষণের শিকার হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়লেও কেউই তাদের পাশে দাঁড়ায় না। এমনকি পরিবারগুলোও চায় ঘটনাটি আড়াল করতে। নারী নেত্রীদের মতে, বাংলাদেশে কোনো নারী ধর্ষণের শিকার হলে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের ভয় এবং সামাজিকভাবে হেয় হওয়ার ভয়ে পরিবারই তথ্য গোপন করতে চায়। আবার কিছু ক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মেতে ওঠে ধর্ষণের শিকার নারীর চরিত্র হননে। আর মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার করা হয় এসব তথ্য। বাদ যায় না নির্যাতিতার নাম-ঠিকানাও। মানবাধিকারকর্মী, সমাজবিজ্ঞানী ও আইনজীবীরা বলছেন, আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা এবং সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা গেলেই ধর্ষণের ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তবে সবার আগে ধর্ষিতাকে হয়রানি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তারা। 
জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক সালমা আলী সমকালকে বলেন, আমাদের সমাজে ধর্ষিতার দুর্ভোগের অন্ত থাকে না। ধর্ষণের মতো বর্বর সহিংসতার শিকার হয়ে আরও নির্মম পরিস্থিতিতে পড়েন তারা বিচার চাইতে গিয়ে। ধর্ষণ প্রমাণের নামে মেয়েটিকে দ্বিতীয়বার ধর্ষণ করা হয়। হাসপাতাল থেকে কোর্ট_ প্রতিটি স্তরে সে বারবার ধর্ষিত হয়। তা ছাড়া মামলার দীর্ঘসূত্রতার কারণে অনেকে হাল ছেড়ে দেন। ধর্ষণসহ সব নারী নির্যাতন মামলার দ্রুত বিচার সম্পন্ন হওয়া উচিত মন্তব্য করে তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারি থাকলে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না। একই সঙ্গে থাকতে হবে সম্মিলিত প্রতিবাদ-প্রতিরোধ। 
পত্রিকার পাতা খুললে প্রতিদিনই চোখে পড়ে এক একটি লোমহর্ষক ঘটনা। এক বছরের শিশু থেকে বৃদ্ধা পর্যন্ত কেউই রেহাই পায় না নরপশুদের পৈশাচিক তাণ্ডব থেকে। 
চলতি বছরের ১ এপ্রিল রাজধানীর কাফরুল থানাধীন ইব্রাহিমপুরে ২ বছর ৪ মাস বয়সী এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। ১ আগস্ট লৌহজংয়ে ধর্ষণের শিকার হয় এক বাক প্রতিবন্ধী। ওই দিনই ধর্ষিতার পরিবারকে হুমকি-ধমকি দিয়ে থানায় বসেই ঘটনার রফা করেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। ২৭ সেপ্টেম্বর রামগড়ে পৈশাচিকভাবে গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় ধর্ষণ করা হয় ১২ বছরের এক শিশুকে। ২১ জুন মিরসরাইয়ে ৬ বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। ২ জুন রাজধানীর হাতিরপুলে নাহার প্লাজার ১৩ তলায় ১৭ বছর বয়সী এক তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। তার ২৬ টুকরো লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল। যা ছিল ২০১২ সালের নারী নির্যাতনের মধ্যে আলোচিত ঘটনাগুলোর অন্যতম। 
এমন হাজারো পৈশাচিক ঘটনা চোখে পড়ে প্রতিদিন প্রকাশিত সংবাদ মাধ্যমগুলোতে। জাতীয় মহিলা পরিষদের তথ্যানুযায়ী, ২০১২ সালের নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ৭১১ জন নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে গণধর্ষনের শিকার হয়েছেন ১১৯ জন। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৮৯ জনকে। মহিলা পরিষদ বলছে, এ পরিসংখ্যান বিভিন্ন সংবাদপত্র থেকে সংগৃহীত। পত্রিকায় পাতায় খুব কম ঘটনাই উঠে আসে। ফরেনসিক পরীক্ষার ঝামেলা, আলামত সংগ্রহ এবং অভিযুক্তকে পুলিশের কাছে উপস্থিত হতে বাধ্য করায় অনেকেই লোকলজ্জায় ঘটনা এড়িয়ে যেতে চান। পত্রিকার পাতা থেকে কিছুটা আঁচ করা যায় বাস্তবে এ চিত্র কতটা ভয়াবহ! ধর্ষণের শিকার হলেও বেশির ভাগ নারী বিচার চাইতে যান না। যেসব নারী বিচার চাইতে যান, তাদের পুলিশ, প্রশাসন, সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ে যথেষ্ট হেনস্তা হতে হয়। 
মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়েশা খানম সমকালকে বলেন, 'ধর্ষণ অপরাধ সারাবিশ্বেই ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। দিলি্লর ঘটনার প্রতিবাদে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে যেভাবে মানুষ রাস্তায় নেমেছে; তাতে সরকার ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে। ভারতের রাজনৈতিক দলগুলো, তাদের নেতানেত্রী সবাই এ ঘটনার বিপক্ষে দাঁড়িয়েছেন; বিচার দাবি করেছেন। এটাই আমাদের জন্য বড় শিক্ষা। আমরাও যদি সবাই মিলে ধষণ নামক বর্বরতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে পারি, তবেই জাতি এ অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে।'
পুলিশ সদর দফতরের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ২০১২ সালে ৩ সহস্রাধিক নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বছরের প্রথম ৬ মাসে সারাদেশে ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক হাজার ৮৬৯ জন। এদের মধ্যে ১৩ জনকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে। পরিচয় নিশ্চিহ্ন করতে পুড়িয়ে মারার মতো পৈশাচিক ঘটনাও রয়েছে। ২০১২ সালে সবচেয়ে বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে রাজধানীতে। মানবাধিকার সংগঠন অধিকার-এর তথ্যানুযায়ী, ২০১২ সালে ৯ শতাধিক ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ২০১১ সালে এ সংখ্যা ছিল ৭১১। ধর্ষণ ছাড়াও নারী নির্যাতনের ভয়াবহ তথ্য পাওয়া যায় পুলিশ সদর দফতরের পরিসংখ্যানে। তাদের তথ্যানুযায়ী, ২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ১০ হাজার ২৯ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ২০১১ সালে এর সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৩৪৪। 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন সমকালকে বলেন, দিলি্লর ঘটনায় দলমত নির্বিশেষে সবাই প্রতিবাদী। আমাদের দেশে এমনটা হয় না। উল্টো রাজনৈতিক শক্তি থানাকে প্রভাবিত করে, ভিকটিমের বাবা-মাকে প্রভাবিত করে ঘটনা চাপা দিতে চায়। রাষ্ট্র যদি ধর্ষিতার পক্ষে না দাঁড়ায়, আইন যদি তার কলুষতা থেকে মুক্ত হতে না পারে, তাহলে সমাজে এ ধরনের ঘটনা বাড়বেই। প্রশাসনকে অবশ্যই ধর্ষিতার পাশে শক্তভাবে দাঁড়াতে হবে। পাশাপাশি জনগণকে এ ব্যাপারে সচেতন ও সোচ্চার হতে হবে। যে কোনো ধর্ষণের ঘটনার পর মিডিয়ায় সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল হওয়া প্রয়োজন_ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ধর্ষিতা নয়, ধর্ষকের ছবি বড় করে ছাপিয়ে তাকে সামাজিকভাবে বর্জন করা উচিত। 
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সহ-সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ধর্ষণের মামলা বিচার করার জন্য আদালতে ক্যামেরা ট্রায়ালের কথা বলা থাকলেও নারী ভিকটিমদের ক্ষেত্রে এটি ঘটছে না। নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে বিভিন্ন ধরনের আইন থাকলেও তার যথাযথ প্রয়োগ হচ্ছে না।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৯৫ সালে দিনাজপুরে ইয়াসমিন ধর্ষণের পর প্রতিবাদের ঝড় ওঠে সারাদেশে। আন্দোলনের মুখে অপরাধীদের গ্রেফতার এবং শাস্তি নিশ্চিত করে প্রশাসন। এর পর ১৯৯৮ সালে শিশু তানিয়া ধর্ষণের ঘটনারও প্রতিবাদ হয়েছিল। কিছুদিন আলোচনায় থেকে তা আড়ালে চলে যায়। এর পর ধর্ষণের আর কোনো ঘটনায় জোরালো প্রতিবাদ হয়নি।
বাঁচানো গেল না 'ভারতকন্যা'কে
'ধর্ষকদের ফাঁসি চাই'

http://www.samakal.com.bd/details.php?news=13&action=main&option=single&news_id=317506&pub_no=1273


















পাহাড়ে আদিবাসী নারীদের নিরাপত্তা কে দেবে?

ধর্ষিত ও উপেক্ষিত


আদিবাসী নারীর নিরাপত্তাহীনতা - প্রথম আলো

2 দিন আগে – আগের সংবাদ পরের সংবাদ». তুমা চিং মারমার মা মাজেই প্রু মারমা (মাঝে) নারী অধিকার কর্মী ও শিক্ষার্থীদের কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন. তুমা চিং মারমা (১৫) রাঙামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার কলমপতি ইউনিয়নের বড়ডলুপাড়ার দরিদ্র পরিবারের কিশোরী। সে কাউখালী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।

তুমা চিং মারমার হত্যাকারীদের বিচারের দাবি - প্রথম আলো

5 দিন আগে – রাঙামাটির কাউখালী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী তুমা চিং মারমার ধর্ষণ ও হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে গতকাল সোমবার কাউখালী উপজেলা সদরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্ট কউন্সিলের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচিতে নিহত তুমা চিং মারমার সহপাঠী ও চট্টগ্রাম ...

Justifying Rape – Blaming the Victim:

 '.............However we agree that indecent dress for women is a cause and this should be avoided. ....."
How these can happen ???

Woman in Saudi Arabia raped en route to pray

www.bikyamasr.com/.../woman-in-saudi-arabia-raped-en-route-to-pr...
Oct 2, 2012 – CAIRO: An Arab woman in Saudi Arabia was reportedly raped in the holy city of Mecca last week as she was heading to the Grand Mosque for ...
  1. Reports on Egyptian woman raped in Saudi Arabia false, claims ...

    Oct 18, 2012 – Assistant Foreign Minister for Consular Affairs Ali al-Eshairy has denied reports that an Egyptian woman was brutally gang raped in Saudi ...

Re: [mukto-mona] Questions of God and Eternity



Assumption becomes faith when it is considered as truth, without any evidence. Scientists often assume (hypothesize) something, then investigate about its validity or truth. If they fail to validate, and yet believe in it, that becomes a faith.

 

There is another kind of assumption, in which a model is assumed which helps explain some unknown phenomena. If someone thinks that the model is the truth, and asks others to accept it - it becomes his faith. God and eternity are such phenomenological models to explain some unknowns. A scientist can assume these concepts if they help him understand those unknowns. Models can be physical structures or mathematical expressions. Therefore, if models have physical structures, they can be understood in a physical sense, as the concept of Gods and Goddesses in idols.

 

Fear of eternity/unknown is always with us. Such fears keep us in line. Some people can easily overcome fear of eternity or unknown, and can do certain things that most others can't imagine.

 

Jiten Roy

 
--- On Sun, 12/30/12, Subimal Chakrabarty <subimal@yahoo.com> wrote:

From: Subimal Chakrabarty <subimal@yahoo.com>
Subject: Re: [mukto-mona] About communalism and non communalism--please see my writeup as lot peole accuse Islamists of communalism--please circulate
To: "mukto-mona@yahoogroups.com" <mukto-mona@yahoogroups.com>
Date: Sunday, December 30, 2012, 9:13 AM

 
Fear of Unknown eternity? My humble question: Can a scientist believe in eternity in the physical sense? What is this fear about? Is it about any punishment that you may have to face? If this is so, then what are the remedies? Good works? Don't all these boil down to a concept of faith? 

Sent from my iPhone

On Dec 28, 2012, at 6:31 PM, Jiten Roy <jnrsr53@yahoo.com> wrote:

 

I don't know if my belief in God is circumstantial or what; it could be due to the fear of unknown eternity also. But, one thing I know for sure – I have no fear of God, if you are asking about that. I try to do everything right; that's all. Some people believe in almighty God, yet always claim to be victims of aggression from others. 

 

Anyway, I don't dwell on the existence of God or its form, because I find the concept as a very powerful psychological sanctuary. The existence of God is less important when it's a conceptual entity. So, I leave it alone, and do not feel the need to abandon the idea of God. Instead, I feel strongly that - we should abandon the concept of religion altogether, which is nothing but exploitation of the image of God to serve the petty interests of religion-peddlers on this earth.  

 

It's also not about which scientist believes in what; they are as clueless about God as any one of us. It's really a matter of personal choice. Many people do not need the concept of God, that's fine - as long as they do the right things. 


Jiten Roy



--- On Fri, 12/28/12, Subimal Chakrabarty <subimal@yahoo.com> wrote:

From: Subimal Chakrabarty <subimal@yahoo.com>
Subject: Re: [mukto-mona] About communalism and non communalism--please see my writeup as lot peole accuse Islamists of communalism--please circulate
To: "mukto-mona@yahoogroups.com" <mukto-mona@yahoogroups.com>
Date: Friday, December 28, 2012, 11:06 AM

 
Thanks. Virtually I don't see any difference between your "prayer" and a non-believer's "wish" for some thing. Fear factor probably is absent in your belief, I suppose. You would know better. 

Any way, recently Higgs (predictor of the so called God particle/Goddam particle or technically called Higgs-Boson), despite he himself being a non-believer has called Richard Dawkins a fundamentalist. Dawkins himself has said that an evangelical and he himself can be matched, but the former would not revise his belief in theological theories in creationism while he will do so with the new scientific and experimental evidences. 

The other day we saw the results of a survey according to which many great scientists have admitted to be believers. It is hard if not impossible to overcome the belief that has been in our psyche for centuries. Are yourself not a victim of this? 

Interestingly the Nobel Laureate physicist who coined the term "God particle" preferred the name "Goddam particle" but the latter was not acceptable to the publisher of the book he wrote. 

Sent from my iPhone

On Dec 26, 2012, at 6:22 PM, Jiten Roy <jnrsr53@yahoo.com> wrote:

 
" How do you use your God? Meditate on  Him? If yes, how? Any rituals? And why do you need it any way? Do you pray? And if yes, what are your prayers? I mean what do you pray for?"

I use God whenever I need it for psychological support. I do not pray without specific need, and there is no special language or verse for prayer. 

Someone was about to die of lung cancer. When the news spread, people arranged a mass-prayer session in the a temple. They asked me to join the prayer, and I did. About 200 people gathered in the temple. Everybody was praying for his recovery from this dreadful disease. I was hoping that at least someone in the crowd will be able to draw the attention of God through his/her prayer, and a miracle will occur. Two days later, I heard the news of his death. 

 

In my view - prayer is for psychological help only. Those who attended prayer felt that they have done something for that person at the time of his need; that helped them console themselves after his death.

 

Jiten Roy



--- On Wed, 12/26/12, Subimal Chakrabarty <subimal@yahoo.com> wrote:

From: Subimal Chakrabarty <subimal@yahoo.com>
Subject: Re: [mukto-mona] About communalism and non communalism--please see my writeup as lot peole accuse Islamists of communalism--please circulate
To: "mukto-mona@yahoogroups.com" <mukto-mona@yahoogroups.com>
Date: Wednesday, December 26, 2012, 9:04 AM

 
By the word "creed" Jung may have meant what is commonly known as "organized religion". Even those who belong to an organized religion may have quite different images or ideas of God. My father and mother, for example, had different constructs of God. While my father's connection to a God was mostly mystical and spiritual, my mother's one was a mixture of mysticism and prayers for some mundane benefits. 
May I ask you some personal questions? How do you use your God? Meditate on  Him? If yes, how? Any rituals? And why do you need it any way? Do you pray? And if yes, what are your prayers? I mean what do you pray for? 
I know even atheists pray or wish for things. 
Sent from my iPhone

On Dec 25, 2012, at 11:10 AM, Jiten Roy <jnrsr53@yahoo.com> wrote:

 
"But how do you distinguish this customized God from a God, for example, a specific religion? And why should one prefer a customized God to a God that he has acquired through social training?"
 
Well, I said make your own God because - the image of God that comes through the social training comes with a baggage, called religion. And, religions are divisive phenomena, to all in our societies, but not God, at least to most people.
 
Jiten Roy

 

 

--- On Tue, 12/25/12, subimal chakrabarty <subimal@yahoo.com> wrote:

From: subimal chakrabarty <subimal@yahoo.com>
Subject: Re: [mukto-mona] About communalism and non communalism--please see my writeup as lot peole accuse Islamists of communalism--please circulate
To: "mukto-mona@yahoogroups.com" <mukto-mona@yahoogroups.com>
Date: Tuesday, December 25, 2012, 10:44 AM

 
So you are saying that religions and all the related rituals, etc. are man made. I agree. Is God man made or no? Are there not many Gods like religions? Yes, you have given the answer already: create your own God. But how do you distinguish this customized God from a God, for example, a specific religion? And why should one prefer a customized God to a God that he has acquired through social training? 
Now let me talk about Jung. I do not think Jung had a conventional Christian God. Despite the risk involved in providing isolated quotes, I will make some quotes from Jung whenever I will deem it necessary. Jung distinguishes clearly between "creed" and "religion". "A creed gives expression to a definite colletive belief, whereas the word religion expresses a subjective relationship to a certain metaphysical, extramundane factors." "----- the meaning and purpose of religion lie in the relationship of the individual to God (Christianity, Judaism, Islam) or to the path of salvation and liberation (Buddhism)." Looks like he is O.K with a religion with God or without God. But he is advocate of infinite freedom of an individual. He does not seem to approve of the intervention of the state (example, a communist state) or a creed (example, represented by a church) in the world of an individual.
My comments are based on my understanding of the content of a 113-page small but not necessarily an easy book by Jung (ideas came when he was 83.) This seems to be a wonderful book although we may not agree with him on every assertion he made.
    

From: Jiten Roy <jnrsr53@yahoo.com>
To: mukto-mona@yahoogroups.com
Sent: Sunday, December 23, 2012 5:15 PM
Subject: Re: [mukto-mona] About communalism and non communalism--please see my writeup as lot peole accuse Islamists of communalism--please circulate
 


__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] 'জনস্বার্থ কোনটা? জামায়াতের স্বার্থ নাকি ৪১ বছর ধরে জাতির সূর্য সন্তানের বিচার দাবির স্বার্থ!'-শাহরিয়ার কবির



'জনস্বার্থ কোনটা? জামায়াতের স্বার্থ নাকি ৪১ বছর ধরে জাতির সূর্য সন্তানের বিচার দাবির স্বার্থ!'-শাহরিয়ার কবির  

শাহরিয়ার কবির। ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। বরণ্যে সাংবাদিক, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও লেখক। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মাটিতে সংঘটিত মানব ইতিহাসের অন্যতম বর্বর হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে গত চারদশকে নানাভাবে সংগ্রাম করছেন। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাদের দীর্ঘ আন্দোলন বাস্তবে রূপ পাবার পথে হাঁটতে শুরু করে। কিন্তু কন্টকময় সেই পথে ষড়যন্ত্রের বীজ বিছিয়ে রাখা বিশ্বমানবতার শত্রুরা আজো সক্রিয়। যে কারণে যুদ্ধাপরাধের বিচারকে কেন্দ্র করে নানাভাবে বিঘœ তৈরির কাজ চলছেই। সাম্প্রতিক আলোচিত বিচারপতির স্কাইপি কথোপকথন এবং বিচারের ভবিষ্যৎ নিয়ে সাপ্তাহিক মুখোমুখি হয় বিশিষ্ট এই যুদ্ধাপরাধ বিশেষজ্ঞের। ইতোমধ্যে তিনি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিয়েছেন। নানাভাবে সহযোগিতা করছেন ট্রাইব্যুনালকে।
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাহরাম খান

সাপ্তাহিক : মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কার্যক্রম নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আন্তরিকতার অভাব না থাকলেও অভিজ্ঞতা ও দৃষ্টিভঙ্গিগত সমস্যার বিষয়ে আপনাদের অনেক আগে থেকেই অভিযোগ ছিল। বর্তমান সময়ে এসে কি সেই আশঙ্কাই প্রতিফলিত হচ্ছে?
শাহরিয়ার কবির : দীর্ঘ চল্লিশ বছর পর একটি অপরাধের বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথম দিকেই এর একটি বড় রকমের চ্যালেঞ্জ ছিল। কারণ গত চল্লিশ বছরে বেশিরভাগ সময়ে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অভিযুক্তদের সহযোগিতা করেছে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ দলিল নষ্ট করেছে। এমনকি বধ্যভূমি পর্যন্ত নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছে। তাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল যে, চল্লিশ বছর পর সাক্ষী প্রমাণগুলো যথাযথভাবে সংগ্রহ করা।
আরেকটা বিষয় হচ্ছে যে আইনে ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে, এই আইনে পূর্বে কোনো সময় আমাদের দেশে বিচারকাজ হয়নি। এটা কিন্তু প্রচলিত ফৌজদারি আইন নয়, সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের একটা আইন। এখানে পৃথিবী বিখ্যাত যুদ্ধাপরাধ বিচারের নূরেমবার্গ, টোকিও, ম্যানিলা ইত্যাদি দেশে যেসব আইন- নীতিমালা অনুসরণ করা হয়েছে সেগুলো থেকেও দিকনির্দেশনা নেয়া হয়েছে। ফলে প্রথমদিকে আমাদের আইনজীবীরা কিছুটা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। তবে দুই বছরের অভিজ্ঞতায় তারা অনেক বিষয় কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছেন। তারপরও বলব ট্রাইব্যুনালে আইনজীবীর সংখ্যা পর্যাপ্ত নয়। আরও দক্ষতাসম্পন্ন আইনজীবী নিয়োগ দেয়া প্রয়োজন। অনেক রকমের এখনো ঘাটতি আছে।
সাপ্তাহিক : কি ধরনের ঘাটতি আপনি অনুভব করছেন....
শাহরিয়ার কবির : যেমন ধরুন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। স্কাইপি কথোপকথন যে ফাঁস হলো এটাই তো প্রমাণ করে যে ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তা কত ঝুঁকিপূর্ণ। বিচার সংশ্লিষ্ট সবার নিরাপত্তা গোয়েন্দা নজরদারিতে থাকা দরকার। বিচারক, আইনজীবী, কর্মকর্তা সবার ক্ষেত্রেই এটা নিশ্চিত করতে হবে। স্কাইপির বিষয়টাকেও তো একটা আক্রমণ হিসেবে গণ্য করা যায়। এটা রীতিমতো সাইবার ক্রাইম। পর্যাপ্ত গোয়েন্দা কার্যক্রম থাকলেও এ সমস্যাটা হতো না।
সাপ্তাহিক : দক্ষ বিচারক বা প্রসিকিউটর নিয়োগের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নাম অনেক আগে থেকেই আলোচিত হয়ে আসছিল। কিন্তু তাদের নিয়োগ করা হচ্ছে না...
শাহরিয়ার কবির : বর্তমানে যে আইনে বিচার চলছে এর অন্যতম প্রণেতা ড. কামাল হোসেন। মুক্তিযুদ্ধের পরপর বুদ্ধিজীবী হত্যার যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় সেই তদন্ত কমিটির সদস্য ছিলেন ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম। গত ৪১ বছর যাবৎ তারা বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করছেন। ট্রাইব্যুনাল গঠন হওয়ার অনেক আগে থেকেই তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে আসছিলাম আমরা। আমরা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি করেছি ১৯৯২ সালে। গত ২১ বছরে তাদের অনেক সহযোগিতা আমরা পেয়েছি। আইনমন্ত্রী একবার বললেন বর্তমানে যিনি প্রধান কৌঁসুলি আছেন সেখানে আমিরুল ইসলাম, ড. কামাল হোসেনের মতো ব্যক্তিরা কাজ করবেন কি না সেটা একটা বিষয়। আমরা বলেছি একটা উপদেষ্টা পরিষদ করেন। কারণ সব মামলাই হয়ত আপিল হবে সেখানে তাদের সহযোগিতা নিতে পারবেন। প্রয়োজনে তারা কোর্টে দাঁড়াবেন।
সাপ্তাহিক : অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের প্রসিকিউশনে যুক্ত করা হলে কি বিচার কাজ আরও দ্রুততার সঙ্গে চলত বলে আপনার মনে হয়?
শাহরিয়ার কবির : অবশ্যই। কারণ এখন যারা প্রসিকিউশনে আছেন তারা ট্রায়াল এরর-এর মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন জায়গায় তারা ঠেকছেন, তারপর শিখছেন। কিন্তু আমাদের তো এমন অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বিশেষজ্ঞ আছেন যারা আগে থেকেই বিষয়গুলো খুব ভালো জানেন। এসব বিষয়ে আমরা বিচার শুরু হওয়ার এক বছর আগেই বলেছি, প্রধানমন্ত্রীকেও তালিকা দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী সব কিছু দেখেন না। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কাজ করেছে। আইনমন্ত্রী ও তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়টা ভালো জানেন।
সাপ্তাহিক : স্কাইপি নিয়ে বিতর্কে যে বিষয়টা বড় হয়ে দেখা দিচ্ছে সেটা হচ্ছে একজন বিচারপতি বিচারাধীন বিষয় নিয়ে এভাবে কথা বলতে পারেন কি না?
শাহরিয়ার কবির : একজন বিচারক তার পরামর্শের ক্ষেত্রে কোনো আইনগত বাধায় আটকা থাকে না। সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের একটি বিচার হচ্ছে। বিচারক এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ প্রবাসী জিয়াউদ্দিন সাহেবের সহযোগিতা চেয়েছেন। এতে আমি দোষের কিছু দেখি না। কিন্তু জিয়াউদ্দিন সাহেব কিছু বিষয়ে জানতে চেয়েছেন এবং মন্তব্য করেছেন। সেই বিষয়গুলো নিজামুল হকের পক্ষ থেকে স্বাগত জানানো উচিত হয়নি বলে মনে করি। তেমনিভাবে যারা বিচারকের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ভেঙেছে তাদের বিষয়ে তদন্ত করতে ট্রাইব্যুনাল সরকারকে বলেছে। আমরা বলেছি অত্যন্ত উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। আমাদের অনেক আইটি বিশেষজ্ঞ আছেন তারা নিশ্চয়ই বিষয়টি আবিষ্কার করতে পারবেন। ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তা আরও বাড়াতে হবে। মাত্র একটা নাকি দুটা ক্যামেরা আছে ট্রাইব্যুনালে। এতবড় জায়গায় মানুষের আসা যাওয়ার কত রাস্তা আছে, সব নজরদারিতে রাখতে হবে। গোয়েন্দা নজরে ঢেকে ফেলতে হবে পুরো ট্রাইব্যুনালকে। রাস্তার পাশে যদি বোমাভর্তি গাড়ি রেখে যাওয়া হয় পুরো বিল্ডিং উড়ে যাবে। আমি আশঙ্কা করছি ভবিষ্যতে আরও বড় ধরনের হামলা হতে পারে। সেই জায়গায় আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
সাপ্তাহিক : এটাকে অনেকে ব্যর্থতা হিসেবে অভিহিত করছেন...
শাহরিয়ার কবির : নিঃসন্দেহে এটা নিরাপত্তাজনিত ব্যর্থতা। এ ব্যর্থতা স্বীকার করেই আগামী দিনে আরও দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে। কারণ জোরদার গোয়েন্দা তৎপরতা থাকলে এই ষড়যন্ত্র অবশ্যই ধরা পড়ত।
সাপ্তাহিক : আপনি বলছেন ব্যক্তিগত কথোপকথন হ্যাক করা বেআইনি। কিন্তু সংশ্লিষ্ট বিচারকের কথোপকথনে কি জনস্বার্থের বিষয়টা জড়িত নয়?
শাহরিয়ার কবির : জনস্বার্থ কোনটা? আমাদের আগে সেই বিষয়টা নিশ্চিত করতে হবে। জামায়াতের স্বার্থ নাকি ৪১ বছর ধরে জাতির সূর্য সন্তানের বিচার দাবির স্বার্থ! এখানে নিরপেক্ষতার কোনো সুযোগ নেই। পক্ষ দুটোই। যারা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে তারা। আরেকটা হচ্ছে যারা ২০০৮ সালে বর্তমান সরকারের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অঙ্গীকারের সমর্থনে সমর্থন দিয়েছেন। আমি অনেক টকশোতে জনস্বার্থের মাতম করতে দেখছি। কিন্তু জনস্বার্থটা আরও বুঝতে হবে। এখানে ট্রাইব্যুনালপ্রধান দায়িত্ব নিয়ে পদত্যাগ করে বিচার কাজকে আরও স্বচ্ছ করেছেন। ঠিক তেমনি এ কথোপকথনে জড়িত থাকা জিয়াউদ্দিনের বিষয়টাও দেখতে হবে। কারণ তার সঙ্গে কথা বলা বা পরামর্শ নেয়া মানে ডিকটেক্ট করা নয়। ট্রাইব্যুনালকে সহযোগিতা তো আমরাও করছি। বিচার শুরু হওয়ার আগেই জাতীয় আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের কাছে থাকা সমস্ত দলিল ডকুমেন্ট দুটি বড় বাক্সে করে ট্রাইব্যুনালকে দিয়েছি। ট্রাইব্যুনালের নানা প্রয়োজনে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে চাপ দিচ্ছি। কিন্তু বিচারক কীভাবে বিচার করবেন সেটা আমরা বলে দিতে পারি না। জিয়াউদ্দিন সাহেব তেমন কিছু কথা বলেছেন। তাই এগুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশেষ করে জিয়াউদ্দিনের সঙ্গে নিজামুল হক সাহেবের যোগাযোগ কে করিয়ে দিয়েছেন সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। তিনি কীভাবে এ বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন এগুলো বিস্তারিত জানতে হবে।
সাপ্তাহিক : ট্রাইব্যুনাল প্রয়োজনীয় সহযোগিতা তো আইনিভাবেই নিতে পারতেন। দেশি-বিদেশি যে কাউকে ডাকতে পারতেন....
শাহরিয়ার কবির : আমরা এখনো জানি না ট্রাইব্যুনালের সঙ্গে জিয়াউদ্দিনের সম্পর্ক কি। এটা আইনমন্ত্রী বা সরকার ভালো বলতে পারবেন। তাই এ বিষয়টা আগে খোলাসা হওয়া দরকার। কারণ ট্রাইব্যুনালের বিচারকরা জিয়াউদ্দিনের চেয়ে অনেক দক্ষ বলে আমি মনে করি। তারপরও সংশ্লিষ্ট কারও অভিমত একজন বিচারক নিতে পারেন। কিন্তু রায় তো বিচারক নিজে দেবেন। এতে প্রভাবিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
সাপ্তাহিক : কিন্তু প্রথম থেকেই বিচার কাজের পর্যালোচনা করা হয়েছিল। তারা কি একটা হাতিয়ার পেয়ে গেল না?
শাহরিয়ার কবির : যারা এসব প্রশ্ন তুলছে তাদের ৯৯ ভাগ নির্জলা মিথ্যা। বাকি একভাগের আধাভাগ অর্ধসত্য। এসব মানুষের কোনো ভিত্তি আছে? পৃথিবীর ইতিহাসে যারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে তাদের কারো বিচার কি সেই অপরাধীদের পছন্দ অনুযায়ী হয়েছে? যদি বাংলাদেশ স্বাধীন না হতো তাহলে যারা যুদ্ধে জড়িত হয়েছিল তাদের তো বিচার করা হতো। সেই বিচার কি এত দেরিতে হতো? এগুলো তো আমাদের বুঝতে হবে। তাই এ বিচার নিয়ে স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রশ্নের কোনো জায়গা নেই।
সাপ্তাহিক : পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে কথোপকথন প্রকাশে হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। এতে কী জনগণের মধ্যে আরও বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে! অনেকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার কথাটিও বলছেনÑ
শাহরিয়ার কবির : আমি মনে করি আরও অনেক আগেই রুল জারি করে পত্রিকায় কথোপকথন ছাপানো বন্ধ করা দরকার ছিল। আমাদের ঠিক করতে হবে আমরা কার প্রত্যাশা দেখব। গুটিকয়েক খুনির নাকি ৩০ লাখ শহীদ পরিবারের তথা গোটা জাতির ৪১ বছরের অপেক্ষার্থীদের। যারা আত্মস্বীকৃত খুনি, '৭১ সালে জামায়াতিদের মুখপাত্র সংগ্রাম পত্রিকা দেখলেই বুঝা যায় তারা কীভাবে আলবদর বাহিনী তৈরি করেছে। স্বচ্ছতা, মানদণ্ড ইত্যাদির প্রশ্নগুলো হয়। স্বচ্ছতার মানদণ্ড কি? এর কি কোনো সর্বজন স্বীকৃতি কাঠামো আছে যে এভাবে কর, এটা সঠিক। তবে প্রথম যুদ্ধাপরাধের বিচার হিসেবে নূরেমবার্গ ট্রাইব্যুনালকে অনেকে উদাহরণ মনে করেন। অথচ আমাদের ট্রাইব্যুনালের মান নূরেমবার্গ থেকে অনেক বেশি আপডেটেড। নূরেমবার্গে রায়ের আপিলের সুযোগ ছিল না, আসামি পক্ষের উকিলরা অপ্রাসঙ্গিক বিষয় আনলেই তাদেরকে কঠোরভাবে বাধা দেয়া হতো। এগুলোই সত্য। ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম ঘেঁটে দেখুন। অথচ আমাদের এখানে আপিলের সুযোগ থাকছে। আসামিদের জামিনের সুযোগ, প্যারেলে জামিনের সুযোগ দেয়া হচ্ছে। তারপরও যারা প্রশ্ন তোলেন তাদের উদ্দেশ্য দেখতে হবে। 
সাপ্তাহিক : আপনি নিজেও সাক্ষী দিয়েছেন। অভিজ্ঞতা কি?
শাহরিয়ার কবির : আমি একজন বিশেষজ্ঞ সাক্ষী। অথচ আসামি পক্ষ নয়দিন যাবৎ আমাকে যেভাবে জেরা করেছেন তা আমার কাছে শাস্তির মতো মনে হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল স্বচ্ছতার স্বার্থে কিছু বলেননি। আমি নিজে অনেক সময় বাধা দিয়েছি যে, আমাকে এভাবে জেরা করতে পারেন না। তাই এই বিচারকাজ নিয়ে সচেতনভাবে কথা বলা উচিত বলে মনে করি। কারণ ভবিষ্যতে বিশ্বের কোনো জায়গায় যদি যুদ্ধাপরাধের বিচার করা হয় তাহলে আমাদের ট্রাইব্যুনালকে অনুসরণ করতে হবে।
সাপ্তাহিক : আন্তর্জাতিকভাবে বিচার কাজের বর্তমান অবস্থা নিয়ে নেতিবাচক প্রচার হওয়ার কথা বলছেন অনেকে...
শাহরিয়ার কবির : এটা বিচার শুরু হওয়ার আগে থেকেই জোরেশোরে চলছে। আমি প্রায় সময় বিদেশি বিভিন্ন সভা-সেমিনার ও ব্যক্তিগতভাবে বলি যে, আমাদের দেশে একটি যুদ্ধ হয়েছিল। যুদ্ধে যারা অংশগ্রহণ করেছিল তারা সবাই বাংলাদেশি। অর্থাৎ যে ত্রিশ লাখ শহীদ আত্মত্যাগ করেছেন তারাও বাংলাদেশি, যারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন তারাও বাংলাদেশি। তাদের বিচার করার জন্য আমাদের দেশীয় আইন আছে। সেই আইন অনুযায়ী বিচার হচ্ছে। এখানে বাইরের কোনো দেশের নাক গলানোর সুযোগ নেই।
আমরা কম্বোডিয়ার মতো কোনো হাইব্রিড আদালত করিনি। আমাদের দেশীয় আদালতে আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচার করছি। এটা আমাদের গর্বের বিষয়। অনেকে ভুল  করে বলেন এটা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। এটা আমাদের দেশীয় আদালত।
সৌদি আরবে যখন প্রকাশ্যে মাথা কাটা হয়, গুয়েন্তেনামোতে আমেরিকা যখন ক্যামেরা ট্রায়াল করে সেখানে আন্তর্জাতিক বিবেক কাজ করে না! আন্তর্জাতিক বিবেক কাজ করে ৩০ লাখ শহীদের হত্যার বিচারের সময়?
অথচ এই বিচারে আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনে যেসব সুযোগ দেয়া হচ্ছে তা অত্যন্ত উঁচুমানের। বিএনপির মতো দলও বিচারের স্বচ্ছতা নিয়ে কথা বলে। যখন জিয়াউর রহমান জেলখানার ভেতরে কর্নেল তাহেরসহ ২ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মারে তখন স্বচ্ছতা কোথায় ছিল?
সাপ্তাহিক :  বিচার কাজের সময় কি একটু বেশি লাগছে?
শাহরিয়ার কবির : খুব বেশি সময় লাগছে বলা যাবে না। কারণ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে গিয়েই আসামিদের অনেক বেশি সুযোগ দেয়া হচ্ছে। তবে সরকার পক্ষের কাজের গাফিলতির কারণে কিছু সময় ক্ষেপণ হয়েছে। প্রথম থেকে আমাদের দাবি অনুযায়ী দক্ষ জনবল ও পর্যাপ্ত রসদ যোগান দিলে আরও তাড়াতাড়ি কাজ শেষ হতো। তারপরও যাদের বিরুদ্ধে বিচার চলছে তাদেরটা আগামী ২০১৩ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার মতো বলে মনে হয়।
সাপ্তাহিক : বিজয়ের মাসে জামায়াত-শিবিরীয় তাণ্ডবে দেশবাসী হতবাক। পুলিশও অনেকটা পিছু হটেছে...
শাহরিয়ার কবির : এখানে দুটো বিষয় আছে। একটা হলো জামায়াতের লোক  পুলিশেও আছে। অন্যদিকে জামায়াত কিছু লাশ চেয়েছিল। যাতে তারা জাতীয় আন্তর্জাতিকভাবে বোঝাতে পারে যে, দেখ আমাদের সবদিক দিয়ে নির্যাতন করছে। এদিক দিয়ে পুলিশ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। বিচার শুরুর আগে থেকেই বলে আসছিলাম জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে। দলের শীর্ষ নেতারা গ্রেপ্তার হবেন, বিচারের সম্মুখীন হবেন আর তাদের দল বসে থাকবে বিষয়টা তো এরকম নয়। নাৎসি পার্টি করা এখনও নিষেধ। তেমনিভাবে নেতাদের সঙ্গে সংগঠনও নিষিদ্ধ করতে হবে। না হয় যেসব হামলা করেছে তার চেয়েও ভয়ঙ্কর হামলা করতে পারে জামায়াত। এই বিষয়টা মাথায় নিয়ে কাজ করা উচিত বলে আমি মনে করি। 
সাপ্তাহিক : জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে সচেতন মহলেই ভিন্ন মত দেখা যায়...
শাহরিয়ার কবির : আমেরিকা বলেছে জামায়াত মডারেট ইসলামিক দল। তাদের নিষিদ্ধ করলে জঙ্গিপনা বাড়বে। তখন তাদের ওপর নজরদারি রাখা কঠিন হবে। এসব কথা শুনে আমাদের অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
গত অক্টোবর মাসে আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে আমার দীর্ঘ কথা হয়েছে। আমি তাদের বলেছি, জামায়াতের জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা আমরা যতটুকু জানি তার চেয়ে বেশি জানো তোমরা। তাদের আস্তিনের নিচে আরও একশোর বেশি জঙ্গি সংগঠন আছে। যাদের এখনও মাঠে নামানো হয়নি। তারা ভবিষ্যতে আরও বিশৃঙ্খলা করবে। তাই জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আমাদের সংবিধানের ৩৮ ধারা মোতাবেক যদি কোনো দল জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতার কাজে লিপ্ত থাকে তাহলে তাদের নিষিদ্ধ করতে হবে। জামায়াত '৭১ সালে গণহত্যায় লিপ্ত একটি দল। এরপর আর কি প্রমাণ প্রয়োজন হয় একে নিষিদ্ধ করতে?
সাপ্তাহিক : জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে আইনগত বিষয়টা যদি বলেন...
শাহরিয়ার কবির : সংবিধানের কথা তো বললাম। এটাকেই আইনগতভাবে সবচেয়ে বড়ভাবে উপস্থাপন করা যায়, কারণ সংবিধান আমাদের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় আইন। আরেকটা বিষয় হচ্ছে যারা যেসব সংগঠন থেকে অপরাধ করেছে সেইসব সংগঠন এত বড় গণহত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েও বাংলাদেশের মাটিতে জীবিত থাকবে তা কি করে হয়? কিছুদিন আগে একটি সেমিনারে শহীদ ড. আলীম চৌধুরীর কন্যা শম্পা চৌধুরী প্রশ্ন রাখেন আমার বাবাকে আলবদর বাহিনীর মান্নান বাসা থেকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল। মান্নান এখন জীবিত নেই। কিন্তু সংগঠনের বিচার করতে সমস্যা কোথায়?
স্বাধীনতাযুদ্ধে যারা প্রাণ উৎসর্গ করেছেন তাদের পরিবারকে যদি হত্যাকারীদের বিষয়ে জিজ্ঞেস করেন তাহলে হয়ত এক শতাংশ নির্দিষ্ট করে বলতে পারবে খুনিদের কথা বাকি ৯৯ শতাংশ বলবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী, জামায়াত, আলবদর, আল শামস, রাজাকারÑ এসব বাহিনীর কথা। তাই এগুলোর বিচার হতে হবে। না হয় শহীদ পরিবার বলতেই পারে আমরা সুষ্ঠু বিচার পাচ্ছি না।
সাপ্তাহিক : নাৎসিদের যেমন নিষিদ্ধ করা হয়েছিল...
শাহরিয়ার কবির : নূরেমবার্গ ট্রাইব্যুনালে প্রথমে ২১ জন নাৎসি যুদ্ধাপরাধীর পাশাপাশি নাৎসিদের ৭টি সংগঠনের বিচার করা হয়েছিল। 
একই সঙ্গে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল নাৎসি দলকে। আমরা অদ্ভুত এক নিয়মে কাজ করছি। নেতাদের বিচারের আওতায় নিচ্ছি আর অন্যদিকে সংগঠন তার সর্বশক্তি দিয়ে এই বিচার নস্যাৎ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা শত শত কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে। মীর কাসেম আলী বিখ্যাত লবি প্রতিষ্ঠান ক্যাসিডি অ্যাসোসিয়েটসকে ২৫ মিলিয়ন ডলার দিয়ে এসেছে। এই খোঁজ কি সরকার রেখেছে? বিলাতের বিখ্যাত ব্যারিস্টার টবি ক্যাডম্যান সাঈদীর আইনজীবী হিসেবে বিশ্বব্যাপী নানা কথা বলছেন। উনি কি বিনা টাকায় এসব করছেন? এসব টাকা কোত্থেকে আসল। কীভাবে যাচ্ছে এসব বিষয় জানতে হবে। বিচারকাজ নির্বিঘœ করতে হলে এসবের বিকল্প নেই। জামায়াতের মতো এমন একটি ফ্যাসিস্ট, ঘাতক দলকে কোনোমতেই ছাড় দেয়া যায় না। অনেকে গৃহযুদ্ধের কথা বলছেন। আরে জামায়াত তো ইতোমধ্যে গৃহযুদ্ধের উস্কানি দিচ্ছে। তাদের মাঠে ছেড়ে দিয়ে কিছুই করতে পারবেন না।
সাপ্তাহিক : সংগঠনের বিচার কীভাবে সম্ভব?
শাহরিয়ার কবির : সংগঠন হিসেবে যখন জামায়াতের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হবে তখন আদালতে যদি প্রমাণ হয় যে তারা নিষিদ্ধ হওয়ার মতো দল তখন তারা নিষিদ্ধ হয়ে যাবে।
সাপ্তাহিক : নিষিদ্ধ হলে লাভ কি হবে?
শাহরিয়ার কবির : এখন তারা যেসব গণতান্ত্রিক সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে সেগুলো পাবে না। নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবে না। মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারবে না। তাদের যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো আছে সেগুলো সরকারের অধীনে চলে যাবে। ফলে তাদের অনেক কাজের লিংক বন্ধ হয়ে যাবে। নেটওয়ার্ক দুর্বল হয়ে যাবে। যারা আশঙ্কা করছেন যে নিষিদ্ধ করলে কি না কি হয়। আমার কথা হচ্ছে জামায়াতের যেসব জঙ্গি-মিলিটারি উইং আছে সেগুলো নিষিদ্ধ করলেও সক্রিয় হবে, না করলেও হবে। যার কিছুটা রূপ আমরা রাজপথে দেখতেও পাচ্ছি। তাই জামায়াতের মতো দলকে নিষিদ্ধ করতে এত চিন্তার দরকার নেই।

সাপ্তাহিক : কিন্তু আমেরিকার মতো শক্তিশালী দেশ বলছে জামায়াত মডারেট ইসলামী দল। এতে কি কোনো প্রভাব পড়বে না?
শাহরিয়ার কবির : ১৯৭১ সালের যুদ্ধেও আমেরিকা তাদের প্রভাব রাখতে চেয়েছিল। আমরা আমেরিকার কথা মানলে তখন বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। এখনও আমেরিকা তার মতো করে রাজনৈতিক স্বার্থে জামায়াতকে মডারেট ইসলামী দল বলছে। তাই আমেরিকার কথা শুনলে আমরা বিচারকাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব না। আমাদের বিচার বিভাগ একটি স্বাধীনসত্তায় পৌঁছেছে। প্রতিটি দেশ তার বিচারিক কাজ স্বাধীনভাবে পালন করবে। এখানে কারো হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমেরিকা কি বলছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, কারণ আমরা তো ঈর্ষাকাতর হয়ে আবেগের বিচার করছি না। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। এমনকি সবচেয়ে বড় সাক্ষী হচ্ছে জামায়াতেরই মুখপত্র দৈনিক সংগ্রাম। সেখানে যুদ্ধকালীন সময়ে তারা কোন কোন বাহিনী গঠন করেছে এবং পাকিস্তানিদের কীভাবে সহযোগিতা করেছে তার বিবরণ আছে।
সাপ্তাহিক : ধারণা করা হয় জামায়াতকে নিষিদ্ধ করলে আওয়ামী লীগ ক্ষতিগ্রস্ত হবে সবচেয়ে বেশি। কারণ জামায়াতের ভোট যাবে আওয়ামী লীগের বিরোধী শিবিরে
শাহরিয়ার কবির : কে লাভবান হবেন আর কে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন সেই চিন্তা করে যদি আমি আমার আদর্শ, লক্ষ্য, দেশপ্রেম, দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দেই তাহলে তো হবে না। হ্যাঁ, এটা ঠিক যে জামায়াত নিষিদ্ধ হলে এদের সমর্থন বিএনপির পক্ষে যাবে। কিন্তু বিএনপিকে ঠিক করতে হবে তারা এদের ঠাঁই দিবেন কিনা। কারণ বিএনপিরও তো একটা সাংগঠনিক নেটওয়ার্ক আছে। তারা যদি জামায়াতের রাজনীতিকে অনুসরণ করে তবে সেটা লাভজনক হবে বলে আমার মনে হয় না। কারণ তৃণমূল নেতাকর্মীরা এসব মেনে নেবেন না। অন্যদিকে জামায়াতের মতো একটি ঘৃণ্য দলের দায়িত্ব কে নিতে চাইবে? আমার মনে হয় বিএনপি যদি তাদের গ্রহণ করে তাহলে তাদেরই বেশি ক্ষতি হবে। জামায়াতের জনসমর্থনই বা কত ভাগ? ওদের মতো টাকা এবং ক্যাডার থাকলে এরকম ৫-৬ ভাগ জনসমর্থন যে কেউ কিনে নিতে পারে।
সাপ্তাহিক : বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হবে কীভাবে?
শাহরিয়ার কবির : জামায়াতের দায় তো তখন বিএনপিকে নিতে হবে। মানুষের চেতনাগত জায়গায় এটা আঘাত হানবে। ফলে বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ বিএনপি নেতারা দাবি করেন তাদের বহু নেতা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। এটা তো সত্য এবং বিএনপি মুক্তিয্দ্ধুকে ওউন করে। তাই তারা যদি জামায়াতের নেতাকর্মীদের গ্রহণ করে তাহলে বিএনপিই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এটাই স্বাভাবিক, এতে মুক্তিযুদ্ধকে প্রকারান্তরে অস্বীকার করা হবে। যারা বলেন আওয়ামী লীগের ক্ষতি হয়ে যাবে তারা কিসের ভিত্তিতে বলেন আমি বুঝি না।
সাপ্তাহিক : বিচার শুরুর আগে থেকেই আপনারা জনগণের কাছে এই বিচারের বিষয়টি নিয়ে সচেতনতা তৈরিতে জোর দিয়েছিলেন। সেই সচেতনতা কি তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন?
শাহরিয়ার কবির : অনেক বেশি মানুষ এখন এই বিষয়ে সচেতন। এইদিক থেকে অনেক বড় অর্জন হয়েছে বলে আমি মনে করি। গ্রামের একটি রেল স্টেশন থেকে শুরু করে জাতিসংঘের সদর দপ্তরের সামনে, ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে বাংলাদেশিরা যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজের জন্য  জমায়েত হচ্ছে সেসব কার্যক্রম সেটাই প্রমাণ করে। দেশের অনেক জায়গার সমাবেশে আমাকে ডাকে। কোনটা রেখে কোনটাতে যাই। মানুষের এই যে জেগে ওঠা এটা অত্যন্ত ইতিবাচক। এখন দরকার সরকারের পক্ষ থেকে এর একটি সাংগঠনিক রূপ দেয়া। যেমনÑ একজন গ্রামের মানুষ একটি সমাবেশে যোগ দিতে গিয়ে পকেটের টাকা খরচ করার সামর্থ্য নেই। কিন্তু এখানে যদি আওয়ামী লীগ, কমিউনিস্ট পার্টির মতো দলগুলো এগিয়ে আসে তাহলে সেটা সম্ভব। জামায়াতের লোকেরা এসব কাজে শত শত কোটি টাকা খরচ করছে। অথচ আমাদের সাধারণ নাগরিকের যারা আন্তরিকতার সঙ্গে নিজেদের উদ্যোগে আন্দোলন-প্রতিবাদ করছে তাদের সঙ্গে সরকার ন্যূনতম যোগাযোগ রাখছে কিনা সন্দেহ আছে।
সাপ্তাহিক : এত সমর্থনের পরও কি হরতালের দরকার ছিল?
শাহরিয়ার কবির : হরতাল গণতান্ত্রিক অধিকার হিসেবে আমি অসমর্থন করি না। কিন্তু এটা হচ্ছে আন্দোলনের শেষ অস্ত্র। আমি জানি না হরতাল পালনের জন্য যেসব পূর্ব কার্যক্রম-প্রস্তুতি তথা জনগণকে সম্পৃক্ত করার কাজগুলো ঠিকমতো হয়েছে কিনা। তবে মূল বিষয় দেখতে হবে, যে যুক্তিতে হরতাল আহ্বান করা হয়েছে সেটি সমর্থনযোগ্য কিনা। আমি মনে করি বামদলগুলো যে কারণে হরতাল ডেকেছে তা অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত। একই সঙ্গে ইসলামী দলগুলো যে হরতাল ডেকেছে সেখানেও যদি তারা মানুষকে বুঝাতে সক্ষম হয় যে তাদের যুক্তি অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য তাহলে তাদের হরতালকেও অসমর্থন করা যায় না। তবে হরতালের কারণে সৃষ্ট সমস্যাগুলো নিয়ে আমাদের সচেতন থাকা প্রয়োজন। কারণ ওইদিন দেখলাম তৈরি পোশাক শিল্পে অর্ডারের পরিমাণ কমছে আগামী দিনে রাজনৈতিক অস্থিরতার আশঙ্কার কারণে। আমি মনে করি না হরতালের ফলোআপ হরতাল হতে হবে। শহীদ জননী জাহানারা ইমাম জীবিত অবস্থায় দেড় যুগে আমরা মাত্র দুটি হরতাল দিয়েছি। তাছাড়া ২০০৮ সালে মহাজোট সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের পক্ষে দুই তৃতীয়াংশেরও বেশি মানুষ যখন তাদের ম্যান্ডেট দিয়েছে তখন নতুন করে সমর্থন দেখার দরকার নেই। দরকার এ জনমতকে সাংগঠনিকভাবে কাজে লাগানো এবং বিচারকাজ দ্রুততার সঙ্গে শেষ করা

http://www.shaptahik.com/v2/?DetailsId=7625





__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

Re: [mukto-mona] Learning from animals



It boils down to our hardwired genes and their phenotypes (level of expressions), which are dependent on environmental conditions and cues. We, humans are rather living in an incubator than in real world. Everybody is well fed and got equal rights. Our life styles are little anomalous than other animals but we are also within the same invisible realm of  evolutionary force that has ruled the life for many millions of years. Evolution is rather a slow on going process, which is totally blind and unforgiving. Your society might be great, law abiding and God fearing and yet, a small bug can wipe out your society from the face of the earth. 

As you say, there is societal pressure for humans to behave but there are times when all these rules and niceties are thrown aside and you witness a horrible crime like gang rape or many other horrible crimes. The point is nothing is set in the stone. There are societal traits and there are plenty of violators of those traits. These traits are basically arbitrary and imposed on us for greater good of society. The force of evolution does not give a damn hoot about these traits/niceties.

Punishment is probably the latest addition to our human society. We know that not all are equally punished for equal crimes. If you are more muscular than others, who would dare to punish you? So, rules are not exactly followed in our human societies. We can call ourselves relatively civilized or uncivilized as we please. Ironically, our hardwired genes have not changed that much from the time of dog eating dog days of the past.

There is no place for a good-natured tiger in the jungle. It would become some other animals' food if it does not use it's hunting power and sharp teeth. It too got some societal traits but its primitive instincts that make or break for its longterm evolutionary survival.

With the best evolutionary regards,
-SD

   

 
"All great truths begin as blasphemies." GBS

From: Subimal Chakrabarty <subimal@yahoo.com>
To: "mukto-mona@yahoogroups.com" <mukto-mona@yahoogroups.com>
Sent: Sunday, December 30, 2012 9:02 AM
Subject: Re: [mukto-mona] Learning from animals

 
Pretty interesting. Is the evolution of these animal traits not shaped or at least affected by social rules or is this evolution independent of societal influences? I guess society teaches us to harness our primitive instincts and that makes a human a better animal or the so called rational animal. 

Manik Bandyopadhyay has written stories depicting the bestiality of humans. "Sarisrip" (reptiles) is one of them. All the characters in the story behave like low level animals and their behavior seems to be so natural. Here lies the power of the writer. "Pragoitihasik" is another one which is pretty well known. 

Besides lust, greed, and rewards, there are other human motivators also. Broadly speaking punishment is another one. Modern motivation theories are pretty illuminating. 

Sent from my iPhone

On Dec 29, 2012, at 9:09 AM, Shah Deeldar <shahdeeldar@yahoo.com> wrote:

 
We too belong to the animal kingdom. There are plenty of animal traits that are already embedded in our brain that follow the rules of evolution rather than social rules and its constrains. No matter how much a society pushes us for a "correct" behavior, we have not evolved qualitatively any better animal than what we were five thousands years ago or further deeper in the past. Lust, greed  and rewards, what drive us to work and perform. If these primitive drives are gone from our behavior, we will cease to exist.
-SD


 
"All great truths begin as blasphemies." GBS

From: Sudhir-Architect <ar_sudhirkumar@yahoo.com>
To:
Sent: Friday, December 28, 2012 6:20 PM
Subject: [mukto-mona] Learning from animals

 

Learning from animals


Tirukkural stands out for its simplicity in conveying valuable messages. The examples Tiruvalluvar gives are ones we can easily comprehend and can relate to. He points to animal behaviour and characteristics to emphasise certain points, said R. Narayanan in a discourse on how Tiruvalluvar uses examples from the animal kingdom to buttress his arguments.

Gambling addiction

Gambling is like an intoxicant. One who gambles gets addicted to the habit, because he is pleased with the occasional wins. He forgets the many losses, but the wins are what he remembers. He should keep in mind the fact that he might win some money in a game of gambling, but what he loses is far greater.

The rare win draws him just as the worm that is hooked to the end of a fishing rod draws the unwary fish, says Tirukkural. The fish bites the bait and is pulled up and loses its life. A desire to feast on a juicy worm spells disaster for the fish. In the same way, a pleasure like gambling entices a man and sends him hurtling to his doom.
Regarding love, Tirukkural says that just as the Sun scorches a creature that has no bones, so does Dharma destroy the one who has a heart bereft of love. In order to be successful, every action must be performed at the right time.

One should know when to do something and when not to. A crow can win in a fight against an owl during daytime. But the owl, being a nocturnal bird, can see well than the crow at night.

So it would be foolish of a crow to take on an owl during night. We must know our opponent's weaknesses and strengths. A crocodile kills easily in water, but it is not so strong on land. So we should know on what kind of turf a person can be challenged without harm to us.

When a crow finds something to eat, it calls out to other crows and shares its food with them. This is something we should learn from the crow- the act of sharing what we have with others. The moment it senses trouble, the tortoise draws its four limbs and its head into its shell, and is thus saved. If we learn to control our five senses, then we too will be saved, says Tirukkural.

http://www.thehindu.com/life-and-style/religion/article3907880.ece#.UFnE4qGPlb0.email

Thanks & Regards,


Sudhir Srinivasan
B.Arch, MSc.CPM, Dip.ID, Dip.CAD, Dip.PM, Dip.LD
| Architect |






__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[mukto-mona] এ দেশে ধর্ষিতার পাশে দাঁড়াবে কে?



এ দেশে ধর্ষিতার পাশে দাঁড়াবে কে?

'ভারতের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে হবে'
নাহিদ তন্ময়/শামীমা মিতু
১০ ডিসেম্বর, সকাল ৭টা। টাঙ্গাইলের রসুলপুর এলাকার রেললাইনে অচেতন অবস্থায় পড়ে ছিল ১৫ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রী। স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তির পর জানা গেল, তাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। এর পর কেটে গেছে ২০ দিন। হাসপাতালে এখনও মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে সে। এ অবস্থায় মা ছাড়া তার পাশে দাঁড়ায়নি কেউ-ই। ঘটনার জন্য মেয়েটিকে দায়ী করে নির্মম নির্যাতনের পর বাসা থেকে
তাড়িয়ে দিয়েছেন তার বাবা। এলাকার প্রভাবশালীরাও খারাপ মেয়ে আখ্যা দিয়ে তাকে সমাজচ্যুতির ঘোষণা দিয়েছেন। সে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে গেলেও প্রকাশ্যে ঘুরছে ধর্ষণকারীরা। ব্যবস্থা নেয়নি থানা পুলিশও। 
মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের নয়াদিলি্লতে যাত্রীবাহী বাসে গণধর্ষণের শিকার হন এক মেডিকেল ছাত্রী। টানা ১০ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে হার মানেন এ 'ভারতকন্যা'। তার এ মর্মান্তিক মৃত্যুর পর ক্ষোভে উত্তাল ভারত। দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তির রায় না হওয়া পর্যন্ত অনশনের ঘোষণা দিয়েছে তার পরিবার। ঘটনার প্রতিবাদে সরকার থেকে শুরু করে বিরোধী দল_ সবাই এক কাতারে। মেয়েটির মরদেহ গ্রহণ করতে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ছুটে যান এয়ারপোর্টে।
নির্যাতিত এ ভারতকন্যার পাশে দেশ এবং পরিবার দাঁড়ালেও বাংলাদেশে এ চিত্র উল্টো। এখানে নারী নির্যাতনের প্রতিবাদ সাম্প্রতিক সময়ে খুব একটা চোখে পড়ে না। সচেতন মহলের মতে, ভারতের ঘটনা থেকে অবশ্যই শিক্ষা নিতে হবে বাংলাদেশকে। সব নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। 
জানা গেছে, গত ৬ ডিসেম্বর টাঙ্গাইলের মেয়েটিকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে একটি বাসায় ৪ দিন আটকে রেখে গণধর্ষণ করে ৬-৭ যুবক। এর পরই মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ফেলে যায় রেললাইনে। প্রথমে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু লোকচক্ষুর ভয়ে তাকে বাসায় নিয়ে যান মা। তখনই বাদ সাধেন বাবা। মেয়েটি এবং তার মাকে শারীরিক নির্যাতন করে বাসা থেকে তাড়িয়ে দেন। নিরুপায় মা মেয়েকে নিয়ে আবার হাসপাতালে হাজির হন। এলাকার প্রভাবশালীরা মেয়েটির মাকে জানিয়ে দিয়েছেন, 'চরিত্রহীন' মেয়েকে নিয়ে তিনি গ্রামে প্রবেশ করতে পারবেন না। 
এই মেয়েটির মতো বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত অনেকেই ধর্ষণের শিকার হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়লেও কেউই তাদের পাশে দাঁড়ায় না। এমনকি পরিবারগুলোও চায় ঘটনাটি আড়াল করতে। নারী নেত্রীদের মতে, বাংলাদেশে কোনো নারী ধর্ষণের শিকার হলে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের ভয় এবং সামাজিকভাবে হেয় হওয়ার ভয়ে পরিবারই তথ্য গোপন করতে চায়। আবার কিছু ক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মেতে ওঠে ধর্ষণের শিকার নারীর চরিত্র হননে। আর মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার করা হয় এসব তথ্য। বাদ যায় না নির্যাতিতার নাম-ঠিকানাও। মানবাধিকারকর্মী, সমাজবিজ্ঞানী ও আইনজীবীরা বলছেন, আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা এবং সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা গেলেই ধর্ষণের ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তবে সবার আগে ধর্ষিতাকে হয়রানি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তারা। 
জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক সালমা আলী সমকালকে বলেন, আমাদের সমাজে ধর্ষিতার দুর্ভোগের অন্ত থাকে না। ধর্ষণের মতো বর্বর সহিংসতার শিকার হয়ে আরও নির্মম পরিস্থিতিতে পড়েন তারা বিচার চাইতে গিয়ে। ধর্ষণ প্রমাণের নামে মেয়েটিকে দ্বিতীয়বার ধর্ষণ করা হয়। হাসপাতাল থেকে কোর্ট_ প্রতিটি স্তরে সে বারবার ধর্ষিত হয়। তা ছাড়া মামলার দীর্ঘসূত্রতার কারণে অনেকে হাল ছেড়ে দেন। ধর্ষণসহ সব নারী নির্যাতন মামলার দ্রুত বিচার সম্পন্ন হওয়া উচিত মন্তব্য করে তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারি থাকলে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না। একই সঙ্গে থাকতে হবে সম্মিলিত প্রতিবাদ-প্রতিরোধ। 
পত্রিকার পাতা খুললে প্রতিদিনই চোখে পড়ে এক একটি লোমহর্ষক ঘটনা। এক বছরের শিশু থেকে বৃদ্ধা পর্যন্ত কেউই রেহাই পায় না নরপশুদের পৈশাচিক তাণ্ডব থেকে। 
চলতি বছরের ১ এপ্রিল রাজধানীর কাফরুল থানাধীন ইব্রাহিমপুরে ২ বছর ৪ মাস বয়সী এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। ১ আগস্ট লৌহজংয়ে ধর্ষণের শিকার হয় এক বাক প্রতিবন্ধী। ওই দিনই ধর্ষিতার পরিবারকে হুমকি-ধমকি দিয়ে থানায় বসেই ঘটনার রফা করেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। ২৭ সেপ্টেম্বর রামগড়ে পৈশাচিকভাবে গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় ধর্ষণ করা হয় ১২ বছরের এক শিশুকে। ২১ জুন মিরসরাইয়ে ৬ বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। ২ জুন রাজধানীর হাতিরপুলে নাহার প্লাজার ১৩ তলায় ১৭ বছর বয়সী এক তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। তার ২৬ টুকরো লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল। যা ছিল ২০১২ সালের নারী নির্যাতনের মধ্যে আলোচিত ঘটনাগুলোর অন্যতম। 
এমন হাজারো পৈশাচিক ঘটনা চোখে পড়ে প্রতিদিন প্রকাশিত সংবাদ মাধ্যমগুলোতে। জাতীয় মহিলা পরিষদের তথ্যানুযায়ী, ২০১২ সালের নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ৭১১ জন নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে গণধর্ষনের শিকার হয়েছেন ১১৯ জন। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৮৯ জনকে। মহিলা পরিষদ বলছে, এ পরিসংখ্যান বিভিন্ন সংবাদপত্র থেকে সংগৃহীত। পত্রিকায় পাতায় খুব কম ঘটনাই উঠে আসে। ফরেনসিক পরীক্ষার ঝামেলা, আলামত সংগ্রহ এবং অভিযুক্তকে পুলিশের কাছে উপস্থিত হতে বাধ্য করায় অনেকেই লোকলজ্জায় ঘটনা এড়িয়ে যেতে চান। পত্রিকার পাতা থেকে কিছুটা আঁচ করা যায় বাস্তবে এ চিত্র কতটা ভয়াবহ! ধর্ষণের শিকার হলেও বেশির ভাগ নারী বিচার চাইতে যান না। যেসব নারী বিচার চাইতে যান, তাদের পুলিশ, প্রশাসন, সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ে যথেষ্ট হেনস্তা হতে হয়। 
মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়েশা খানম সমকালকে বলেন, 'ধর্ষণ অপরাধ সারাবিশ্বেই ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। দিলি্লর ঘটনার প্রতিবাদে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে যেভাবে মানুষ রাস্তায় নেমেছে; তাতে সরকার ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে। ভারতের রাজনৈতিক দলগুলো, তাদের নেতানেত্রী সবাই এ ঘটনার বিপক্ষে দাঁড়িয়েছেন; বিচার দাবি করেছেন। এটাই আমাদের জন্য বড় শিক্ষা। আমরাও যদি সবাই মিলে ধষণ নামক বর্বরতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে পারি, তবেই জাতি এ অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে।'
পুলিশ সদর দফতরের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ২০১২ সালে ৩ সহস্রাধিক নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বছরের প্রথম ৬ মাসে সারাদেশে ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক হাজার ৮৬৯ জন। এদের মধ্যে ১৩ জনকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে। পরিচয় নিশ্চিহ্ন করতে পুড়িয়ে মারার মতো পৈশাচিক ঘটনাও রয়েছে। ২০১২ সালে সবচেয়ে বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে রাজধানীতে। মানবাধিকার সংগঠন অধিকার-এর তথ্যানুযায়ী, ২০১২ সালে ৯ শতাধিক ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ২০১১ সালে এ সংখ্যা ছিল ৭১১। ধর্ষণ ছাড়াও নারী নির্যাতনের ভয়াবহ তথ্য পাওয়া যায় পুলিশ সদর দফতরের পরিসংখ্যানে। তাদের তথ্যানুযায়ী, ২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ১০ হাজার ২৯ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ২০১১ সালে এর সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৩৪৪। 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন সমকালকে বলেন, দিলি্লর ঘটনায় দলমত নির্বিশেষে সবাই প্রতিবাদী। আমাদের দেশে এমনটা হয় না। উল্টো রাজনৈতিক শক্তি থানাকে প্রভাবিত করে, ভিকটিমের বাবা-মাকে প্রভাবিত করে ঘটনা চাপা দিতে চায়। রাষ্ট্র যদি ধর্ষিতার পক্ষে না দাঁড়ায়, আইন যদি তার কলুষতা থেকে মুক্ত হতে না পারে, তাহলে সমাজে এ ধরনের ঘটনা বাড়বেই। প্রশাসনকে অবশ্যই ধর্ষিতার পাশে শক্তভাবে দাঁড়াতে হবে। পাশাপাশি জনগণকে এ ব্যাপারে সচেতন ও সোচ্চার হতে হবে। যে কোনো ধর্ষণের ঘটনার পর মিডিয়ায় সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল হওয়া প্রয়োজন_ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ধর্ষিতা নয়, ধর্ষকের ছবি বড় করে ছাপিয়ে তাকে সামাজিকভাবে বর্জন করা উচিত। 
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সহ-সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ধর্ষণের মামলা বিচার করার জন্য আদালতে ক্যামেরা ট্রায়ালের কথা বলা থাকলেও নারী ভিকটিমদের ক্ষেত্রে এটি ঘটছে না। নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে বিভিন্ন ধরনের আইন থাকলেও তার যথাযথ প্রয়োগ হচ্ছে না।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৯৫ সালে দিনাজপুরে ইয়াসমিন ধর্ষণের পর প্রতিবাদের ঝড় ওঠে সারাদেশে। আন্দোলনের মুখে অপরাধীদের গ্রেফতার এবং শাস্তি নিশ্চিত করে প্রশাসন। এর পর ১৯৯৮ সালে শিশু তানিয়া ধর্ষণের ঘটনারও প্রতিবাদ হয়েছিল। কিছুদিন আলোচনায় থেকে তা আড়ালে চলে যায়। এর পর ধর্ষণের আর কোনো ঘটনায় জোরালো প্রতিবাদ হয়নি।
বাঁচানো গেল না 'ভারতকন্যা'কে
'ধর্ষকদের ফাঁসি চাই'

http://www.samakal.com.bd/details.php?news=13&action=main&option=single&news_id=317506&pub_no=1273


















পাহাড়ে আদিবাসী নারীদের নিরাপত্তা কে দেবে?

ধর্ষিত ও উপেক্ষিত


আদিবাসী নারীর নিরাপত্তাহীনতা - প্রথম আলো

2 দিন আগে – আগের সংবাদ পরের সংবাদ». তুমা চিং মারমার মা মাজেই প্রু মারমা (মাঝে) নারী অধিকার কর্মী ও শিক্ষার্থীদের কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন. তুমা চিং মারমা (১৫) রাঙামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার কলমপতি ইউনিয়নের বড়ডলুপাড়ার দরিদ্র পরিবারের কিশোরী। সে কাউখালী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।

তুমা চিং মারমার হত্যাকারীদের বিচারের দাবি - প্রথম আলো

5 দিন আগে – রাঙামাটির কাউখালী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী তুমা চিং মারমার ধর্ষণ ও হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে গতকাল সোমবার কাউখালী উপজেলা সদরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্ট কউন্সিলের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচিতে নিহত তুমা চিং মারমার সহপাঠী ও চট্টগ্রাম ...

Justifying Rape – Blaming the Victim:

 '.............However we agree that indecent dress for women is a cause and this should be avoided. ....."
How these can happen ???

Woman in Saudi Arabia raped en route to pray

www.bikyamasr.com/.../woman-in-saudi-arabia-raped-en-route-to-pr...
Oct 2, 2012 – CAIRO: An Arab woman in Saudi Arabia was reportedly raped in the holy city of Mecca last week as she was heading to the Grand Mosque for ...
  1. Reports on Egyptian woman raped in Saudi Arabia false, claims ...

    Oct 18, 2012 – Assistant Foreign Minister for Consular Affairs Ali al-Eshairy has denied reports that an Egyptian woman was brutally gang raped in Saudi ...



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___