Banner Advertiser

Saturday, March 29, 2014

[mukto-mona] Re: [FutureOfBangladesh] RE: প্রথম রাষ্ট্রপতি বিতর্ক : শেখ হাসিনার ভাষায় ‘অর্বাচিনের’ বিকৃত ইতিহাস




Great :-)

From: Farida Majid <farida_majid@hotmail.com>
To: Shahadat Hussaini <shahadathussaini@hotmail.com>; "nabdc@googlegroups.com" <nabdc@googlegroups.com>; Alochona Alochona <alochona@yahoogroups.com>; Sayeda Haq <sayedahaq@yahoo.com>; mokto mona <mukto-mona@yahoogroups.com>; saokot hossain <saokot_nccbl@yahoo.com>; Farzana Ahmed <farzana.ahmed48@yahoo.com>; neawamileague NE <neawamileague@gmail.com>; Mohiuddin Anwar <mohiuddin@netzero.net>; "farahmina@gmail.com" <farahmina@gmail.com>
Sent: Friday, March 28, 2014 3:09:22 PM
Subject: [FutureOfBangladesh] RE: প্রথম রাষ্ট্রপতি বিতর্ক : শেখ হাসিনার ভাষায় 'অর্বাচিনের' বিকৃত ইতিহাস

 
তারেক মিয়ার জন্য : অজয় দাশগুপ্ত  তারেক ওরে তারেক  তুই বারেক ফিরে চা কথায় বলে নাচে অধিক ছাগলের তিন ছা  ইতিহাসটা মাপার জন্য  চাই যে মেধার ফিতা মূর্খ তোকে মানুষ করে যায়নি যে তোর পিতা  অভাগা দেশ হারিয়েছে  আগেই অভিভাবক বঙ্গদেশে বাঘের ছালে ঘোরে যে মেষ শাবক   তারা এখন অন্তরালে বলছে যারা সাচ্চা নিত্য দিন ই   ফুটে বেরোয় রাজাকারের বাচ্চা  পালিয়ে গিয়েও গেলনা তোর মানসিক র্দূমতি খোয়াব দেখিস জিয়া ছিল প্রথম রাষ্ট্রপতি  যত ই বলি খুনী তাকে যত ই তার দোষ থাক তোর গালেতে চড় কষাতো থাকলে বেঁচে মোশতাক  তার আসন ও ছিনিয়ে নিবি এমন মনের  জ্বালায় ফাঁসীর কাঠে ঝুলিয়ে দিত তোরে যে ঐ হালায়  দেশ থেকে তু ই দূর হয়েছিস করিস না আর রা আস্তাকুড়ে ও ঠাঁই হবেনা জাহান্নামে যা
তারেক মিয়ার জন্য : অজয় দাশগুপ্ত


তারেক ওরে তারেক তুই বারেক ফিরে চা
কথায় বলে নাচে অধিক ছাগলের তিন ছা
ইতিহাসটা মাপার জন্য চাই যে মেধার ফিতা
মূর্খ তোকে মানুষ করে যায়নি যে তোর পিতা


অভাগা দেশ হারিয়েছে আগেই অভিভাবক
বঙ্গদেশে বাঘের ছালে ঘোরে যে মেষ শাবক
তারা এখন অন্তরালে বলছে যারা সাচ্চা
নিত্য দিন ই ফুটে বেরোয় রাজাকারের বাচ্চা
পালিয়ে গিয়েও গেলনা তোর মানসিক র্দূমতি
খোয়াব দেখিস জিয়া ছিল প্রথম রাষ্ট্রপতি


যত ই বলি খুনী তাকে যত ই তার দোষ থাক
তোর গালেতে চড় কষাতো থাকলে বেঁচে মোশতাক
তার আসন ও ছিনিয়ে নিবি এমন মনের জ্বালায়
ফাঁসীর কাঠে ঝুলিয়ে দিত তোরে যে ঐ হালায়
দেশ থেকে তু ই দূর হয়েছিস করিস না আর রা
আস্তাকুড়ে ও ঠাঁই হবেনা জাহান্নামে যা


From: shahadathussaini@hotmail.com
To: nabdc@googlegroups.com; alochona@yahoogroups.com; sayedahaq@yahoo.com; mukto-mona@yahoogroups.com; chottala@yahoogroups.com; bangladesh-progressives@googlegroups.com; saokot_nccbl@yahoo.com; farzana.ahmed48@yahoo.com; neawamileague@gmail.com; mohiuddin@netzero.net; farahmina@gmail.com; farida_majid@hotmail.com
Subject: প্রথম রাষ্ট্রপতি বিতর্ক : শেখ হাসিনার ভাষায় 'অর্বাচিনের' বিকৃত ইতিহাস
Date: Fri, 28 Mar 2014 14:45:49 -0400

প্রথম রাষ্ট্রপতি বিতর্ক : শেখ হাসিনার ভাষায় 'অর্বাচিনের' বিকৃত ইতিহাস

অলিউল্লাহ নোমান
alt
লন্ডনে নতুন আলোচনা এখন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। বিএনপি, আওয়ামী লীগ সবার মাঝে নতুন আলোচনায় বিষয় এটি। এমনকি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় এমন ব্যক্তিরাও এই আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন। এই আলোচনা এবং বিতর্কে জড়িয়েছেন বাংলাদেশের বড় দুই রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতানেত্রীরাও। ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন জবরদস্তির নির্বাচনে গঠিত সরকার প্রধান শেখ হাসিনা এবং ১৯ দলীয় জোট প্রধান বেগম খালেদা জিয়া এখন এই বিতর্কের অংশ। যার যার অবস্থান থেকে দুই নেত্রী বক্তব্য দিচ্ছেন। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হানিফ বিতর্কটির সূত্রপাতকারী বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন।
যে জায়গায় যাই, যার সঙ্গেই দেখা হয় প্রশ্ন একটাই প্রশ্ন—বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি কে ছিলেন। বিএনপির রাজনীতি করেন এমন অনেকেও প্রশ্ন করেন বিষয়টি নিয়ে। তাদের প্রশ্নের ধরন দেখে মনে হয় অনেকটা দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়েছে বিএনপি নেতাকর্মীদেরও। তাদের কাছে আমি পাল্টা একটি প্রশ্ন রাখি। প্রবাসী সরকার গঠন হয়েছিল ১০ এপ্রিল। মুজিবনগরে শপথ অনুষ্ঠান হয় ১৭ এপ্রিল। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার পর থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত ১৪টি দিন রাষ্ট্রপতি আসলে কে ছিলেন! স্বাধীনতা ঘোষণার পর একটি দেশ রাষ্ট্রপতিবিহীন থাকতে পারে না। তখন কারো কাছে কোনো উত্তর পাওয়া যায় না।
আমি আসলে মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি। তবে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে জানার আগ্রহ রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, প্রেক্ষাপট জানারও চেষ্টা করি। নিজের মধ্যেও নানা প্রশ্ন জাগে। মুক্তিযুদ্ধ শুরুর প্রেক্ষাপট নিয়ে নিজেকে প্রশ্ন করি। ২৫ মার্চ রাতে তত্কালীন ইয়াহিয়া সরকারের অনুগত সামরিক বাহিনী আক্রমণ করেছিল। সেদিন আক্রমণ না করে যদি শেখ মুজিবকে রাত ১২টায় জানানো হতো দাবি মেনে নেয়া হলো। ইয়াহিয়া খানের পক্ষ থেকে বার্তা আসল শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হবেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ীদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে। তাহলে চিত্রটা কেমন হতো! তাহলে কি মুক্তিযুদ্ধ শুরু হতো!
শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেফতার না হয়ে যদি সেদিন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতেন তাহলে, কি আজকের বাংলাদেশ আমরা পেতাম! পাকিস্তান সামরিক বাহিনীতে কর্মরত তত্কালীন মেজর জিয়াউর রহমান যদি 'উই রিভোল্ট' বলে নিজের ঊর্ধ্বতন সামরিক অফিসারদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ না করতেন, তাদের গ্রেফতার না করে যদি জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রতি শপথে অনড় থাকতেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যদি স্বাধীনতার ঘোষণা না দিতেন তাহলে কি দাঁড়াতো! এই প্রশ্নগুলো আমার সামনে বার বার জাগে।
ইতিহাস অনুসন্ধানে দেখা যায়, জিয়াউর রহমান দু'বার স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। জিয়াউর রহমানের প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণাটি এখনো জীবন্ত রয়েছে। তিনি নিজেকে হেড অব দি স্টেট হিসাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এরপর আবার আরেকটি ঘোষণা দেন। যেখানে বলা হয় অন বিহাফ অব গ্রেট ন্যাশনাল লিডার শেখ মুজিবুর রহমান। দ্বিতীয়বারের ঘোষণায় কিন্তু বলা হয়নি হেড অব দি স্ট্যাট শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে। বলা হয়েছে গ্রেট ন্যাশনাল লিডার শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে। জিয়াউর রহমান নিজেকে হেড অব দি স্টেট বলে ঘোষিত প্রথম ঘোষণাটি কিন্তু প্রত্যাহার করা হয়নি। ইতিহাসের একটি কঠিন মুহূর্তের এই জায়গাটুকু ব্যাখ্যা এবং বিশ্লেষণের দাবি রাখে।
গত ২৫ মার্চ লন্ডনের ম্যানরপার্কে রিজেন্সি অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপস্থিত থাকার সুযোগ হয়েছিল আমার। এই আলোচনা সভায় তারেক রহমান প্রথম রাষ্ট্রপতির প্রসঙ্গটি নিয়ে বক্তব্য রাখেন। তার বক্তব্যে ইতিহাসের অনুসন্ধান ছিল। তিনি সেদিন রাজনৈতিক বক্তব্য দেননি। মুক্তিযুদ্ধ শুরুর প্রেক্ষাপট এবং তত্কালীন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছেন। বিশেষ করে দৈনিক ইত্তেফাকের কিছু সংবাদের প্রতি দৃষ্টিপাত করেন। ইত্তেফাক তখনো আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিল। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ইত্তেফাকের অবস্থান ছিল স্পষ্ট। বর্তমানেও ইত্তেফাকের মালিক এবং সম্পাদক আনোয়ার হোসন মঞ্জু আওয়ামী লীগের পক্ষে। শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।
ইত্তেফাকে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ, ২৬ মার্চ এবং ২৭ মার্চ প্রকাশিত সংবাদ শিরোনামগুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন তারেক রহমান। এসব সংবাদ শিরোনাম এবং সংবাদগুলোতে প্রকাশিত তথ্য শেখ মুজিবুর রহমান তত্কালীন শাসক গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা এবং আপসের চেষ্টার বিষয়গুলো স্পষ্ট করে। আওয়ামী লীগ দাবি করে ৭ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। তারেক রহমানের বক্তব্যে প্রশ্ন রাখা হয়েছে, ৭ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা করা হলে এই আপসের চেষ্টা কেন। ৭ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা করে থাকলে তত্কালীন ইয়াহিয়া সরকারের কাছে শেখ মুজিবুর রহমান বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করেন কোন যুক্তিতে। তারেক রমানের যুক্তি হচ্ছে ৭ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা হয়ে থাকলে ৮ মার্চ থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশ পরিচালিত হওয়ার কথা। নতুবা যুদ্ধ শুরু হবে। এই দুইটার কোনটাই হলো না। বরং শেখ মুজিবুর রহমানকে দেখা গেল তত্কালীন সামরিক সরকারের কাছে বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করছেন এবং সিরিজ আলোচনা চালিয়ে গেছেন।
আমরা আশা করেছিলাম তারেক রহমানের এই বক্তব্যের জবাব দেয়া হবে দালিলিক প্রমাণ উপস্থাপনের মাধ্যমে। বুধবার আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার একটি বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তারেক রহমান যেভাবে তথ্য প্রমাণ উপস্থাপনের মাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছেন শেখ হাসিনা সেটার ধারে কাছেও নেই। পুরনো সেই চর্বিত চর্বনই দেখা যায় শেখ হাসিনার বক্তব্যে। শেখ হাসিনা বললেন, 'কিছু অর্বাচিন ইতিহাস বিকৃত করছে'। তারেক রহমানকে ইঙ্গিত করেই তিনি 'অর্বাচিন' শব্দটি ব্যবহার করেছেন।
শেখ হাসিনার বক্তব্য অনুযায়ী ধরে নিলাম তারেক রহমান ইতিহাস বিকৃত করে বক্তব্য রেখেছেন। কারণ তারেক রহমান তখন ছোট শিশু ছিলেন। মায়ের সঙ্গে বন্দি ছিলেন। তত্কালীন গণমাধ্যমই হবে তার ইতিহাস জানার মূল সূত্র।
শেখ হাসিনাও তখন পাকিস্তান বাহিনীর পাহারায় মায়ের সঙ্গে নিরাপদে ছিলেন। তবে বয়সে অনেক বড় ছিলেন। তারেক রহমানের মাতৃতুল্য বয়স হলো শেখ হাসিনার। একটি দলের সভানেত্রীর কাছ থেকে তারেক রহমানের দালিলিক প্রমাণের বিপরীতে দালিলিক প্রমাণ দেখার অপেক্ষায় ছিলাম। তারেক রহমান ইতিহাস বিকৃত করে বক্তব্য দিয়ে থাকলে সঠিক তথ্য দেখার অপেক্ষায় ছিলাম আমরা। কিন্তু শেখ হাসিনার বক্তব্যে কোন তথ্য দেখতে পেলাম না। তারেক রহমানের সেদিনের বক্তব্যের একটি শব্দও তথ্যের বাইরে ছিল না। কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য দেননি তারেক রহমান। কিছু তথ্য উপস্থাপন করেছেন। তথ্যের জবাব তথ্য দিয়ে হওয়া উচিত।
তত্কালীন আওয়ামী লীগ এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের পত্রিকার শিরোনাম এবং প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে আলোচনা করেছেন তারেক রহমান। শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা হচ্ছে রাজনৈতিক ফাঁকা বুলি নয়, এরকম তথ্য প্রমাণ দিয়ে সঠিক ইতিহাস জানান। তারেক রহমানের উপস্থাপিত বিকৃত ইতিহাসের বিপরীতে দালিলিক প্রমাণ সহ সঠিক ইতিহাস দেখতে চাই।
এখানে আরেকটি বিষয় বলে রাখা ভালো। তারেক রহমান তত্কালীন ইত্তেফাকে প্রকাশিত তথ্য উপস্থান যদি বিকৃত হয় সেটারও আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ রয়েছে। হয় ইত্তেফাক তখন বিকৃত তথ্যের ভিত্তিতে সংবাদ পরিবেশন করেছে। নতুবা তারেক রহমান ইত্তেফাকের কোন তথ্য বিকৃত উপস্থাপন করেছেন। তারেক রহমান ইত্তেফাকের তথ্য বিকৃত করে থাকলে শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ইত্তেফাকের মালিক। ইত্তেফাকের তথ্য বিকৃত করে উপস্থাপনের অভিযোগে তিনি চাইলে তারেক রহামেরন বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হানিফ হাইকোর্ট দেখালেন। কথায় কথায় আওয়ামী লীগ নেতানেত্রীরা হাইকোর্ট দেখান। মুক্তিযুদ্ধ হাইকোর্টের রায়ের মাধ্যমে আসেনি। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রয়েছে। ঘটনা প্রবাহের সাক্ষী হলো তত্কালীন গণমাধ্যম। তত্কালীন গণমাধ্যমে উঠে আসা ঘটনা প্রবাহ ইতিহাসের সাক্ষী। সেই সাক্ষ্য প্রমাণের আলোকে সঠিক ইতিহাস জানতে চাই আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছে। তারেক রহমান মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের পত্রিকা ইত্তেফাকের সাক্ষ্য প্রমাণ দেখিয়েছেন। আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি আমাদের হাইকোর্ট দেখিয়ে লাভ নেই। সঠিক ইতিহাস দেখান। আমরা তখন তারেক রহমানের উপস্থাপিত ইত্তেফাকের বিকৃত তথ্য প্রমাণে বিশ্বাস করবো না। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে যেই পত্রিকার তথ্য প্রমান উপস্থাপন করা হবে সেটাতে বিশ্বাস করবো।
লেখক : দৈনিক আমার দেশ-এর বিশেষ প্রতিনিধি, বর্তমানে যুক্তরাজ্যে নির্বাসিত।




__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] [মুক্তমনা বাংলা ব্লগ] 'স্বপ্নভঙ্গের ইতিকথা '

মুক্তমনা বাংলা ব্লগ has posted a new item,
'স্বপ্নভঙ্গের ইতিকথা '

[...]

You may view the latest post at
http://mukto-mona.com/bangla_blog/?p=40674

You received this e-mail because you asked to be notified when new updates are
posted.

Best regards,
মুক্তমনা বাংলা ব্লগ ।



------------------------------------

****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration:
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
-Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190Yahoo Groups Links

<*> To visit your group on the web, go to:
http://groups.yahoo.com/group/mukto-mona/

<*> Your email settings:
Individual Email | Traditional

<*> To change settings online go to:
http://groups.yahoo.com/group/mukto-mona/join
(Yahoo! ID required)

<*> To change settings via email:
mukto-mona-digest@yahoogroups.com
mukto-mona-fullfeatured@yahoogroups.com

<*> To unsubscribe from this group, send an email to:
mukto-mona-unsubscribe@yahoogroups.com

<*> Your use of Yahoo Groups is subject to:
https://info.yahoo.com/legal/us/yahoo/utos/terms/

Re: [mukto-mona] খালেদা-তারেকের উদ্ভট তত্ত্বে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড়

Khaleda Zia and her gong lost their senses; otherwise they would not resort to such falsehood. What Zia has been or did in his lifetime is a part of our history now. There is no good reason to try to rewrite that history. But Khaleda Zia and her gong are deliberately introducing a controversy now. What's the reason? The reason is to divert attention away from something very important happening all over Bangladesh, which is – people are being energized by the spirit of the liberation struggle. I have been advising Awami League to do so since 2008; finally they have started this campaign. Young genrations are being introduced to that spirit. The success of Awami League depends on the success of this campaign.

BNP is now in a fix, and they want to divert attention away from the liberation struggle as quickly as possible. BNP leadership has very little contribution towards that endeavor. Many of them opposed the creation of Bangladesh. That's the reason behind the creation of this controversy at this time. Probably BNP leaders are laughing in private; they know it's nothing but falsehood. Nonetheless, it has generated tremendous attention in the media. If people are smart - they will reject this falsehood and ask – show us the contribution of BNP leadership towards Bangladesh.

Khaleda Zia said today – country is being run by a foreign country, meaning India. She is again creating an imaginary enemy of Bangladesh in the national psyche. This is the good old West Pakistani politics. Pakistan did not do so well turning a neighboring country into enemy, and Bangladesh will not also. My disappointment is that - there are so many people in Bangladesh, who still support the idiocy that – a person (or country) can prosper with an enemy as neighbor. Bangladesh needs to establish a good relationship with Myanmar also. People should demand that Khaleda Zia should not turn neighbor into enemy; that's not in the interest of Bangladesh. It will only hamper progress and prosperity.

Jiten Roy


--------------------------------------------
On Sat, 3/29/14, SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com> wrote:

Subject: [mukto-mona] খালেদা-তারেকের উদ্ভট তত্ত্বে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড়
To: mukto-mona@yahoogroups.com
Date: Saturday, March 29, 2014, 3:55 PM
















 









রবিবার, ৩০
মার্চ ২০১৪, ১৬ চৈত্র
১৪২০

খালেদা-তারেকের
উদ্ভট তত্ত্বে
দেশব্যাপী সমালোচনার
ঝড়
বিশেষ
প্রতিনিধি ॥
স্বাধীনতার ৪৩ বছর
খালেদা জিয়া-তারেক
রহমানের নতুন 'উদ্ভট
তত্ত্ব ও তথ্য'
দেশব্যাপী সমালোচনার
ঝড় উঠেছে।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস
বিকৃতি, সংবিধান লঙ্ঘন
এবং সর্বোচ্চ আদালতের
রায় অবমাননা করে
রাষ্ট্রদ্রোহীমূলক
বক্তব্যের জন্য দ্রুত
তাঁদের দুজনকে
গ্রেফতার করে বিচারের
আওতায় আনার দাবিতে
সোচ্চার হয়ে উঠেছে
মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের
শক্তিরা। একই সঙ্গে
সাবেক বিরোধীদলীয়
নেত্রী খালেদা জিয়াকে
জাতির সামনে নিঃশর্ত
ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান
জানিয়েছেন তাঁরা। 

বুদ্ধিজীবী,
রাজনীতিক ও স্বাধীনতার
সপক্ষের বিভিন্ন সংগঠন
থেকে এমন দাবি জানিয়ে
বলা হয়, 'মা-ছেলে
বেসামাল হয়ে উদ্ভট
তত্ত্ব দিচ্ছেন।
জিয়াউর রহমান ক্ষমতায়
ছিলেন সাড়ে পাঁচ বছর,
খালেদা জিয়া ছিলেন ১০
বছরের বেশি। এই দীর্ঘ
সময়ে বিএনপির কোন
নেতা-নেত্রী কিংবা
সমর্থক বুদ্ধিজীবীরাও
দাবি করেননি যে জিয়াউর
রহমান বাংলাদেশের
প্রথম রাষ্ট্রপতি
ছিলেন। এখন
খালেদা-তারেকের এমন
উদ্ভট আবিষ্কার ও নতুন
তত্ত্ব রাষ্ট্রদ্রোহী,
সংবিধান পরিপন্থী এবং
ষড়যন্ত্রমূলক। এ জন্য
তাঁদের বিরুদ্ধে
আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে
গ্রেফতার করা
প্রয়োজন। 

অবিলম্বে
খালেদা জিয়াকে এমন
ইতিহাস বিকৃতকারী
বক্তব্যে প্রত্যাহার
এবং জাতির সামনে ক্ষমা
প্রার্থনার দাবি
জানিয়ে শনিবার বিভিন্ন
সংগঠন ও আলোচনায় সভায়
বলা হয়, এমনকি
জীবদ্দশায় জিয়াউর
রহমানও নিজেকে কখনও
রাষ্ট্রপতি কিংবা
স্বাধীনতার ঘোষক বলে
দাবি করেননি। নিজের
লেখায় ও ঘোষণায় স্বীকার
করে গেছেন জাতির পিতা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমানই স্বাধীনতার
ঘোষণা দিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমান জনগোষ্ঠী, ভূখ-,
সংবিধান ও সরকারÑ এই
চারটি মূল শর্ত পূরণ
করেই দেশের প্রথম
রাষ্ট্রপতি হন। ১৯৭১
সালের মুজিবনগর
সরকারের রাষ্ট্রপতি
ছিলেন বঙ্গবন্ধু আর
রাষ্ট্রপতি হওয়ার
একমাত্র জনগণের
ম্যান্ডেটও ছিল তাঁর
প্রতি। তাঁরা প্রশ্ন
রেখে বলেন, একজন
রাষ্ট্রপতি কী ভাবে
'মেজর' হলেন? প্রথম
সরকারের ৪শ' টাকার
বেতনভোগী সামরিক
কর্মকর্তা কী ভাবে
রাষ্ট্রপতি হন?
ইতিহাসকে নির্বাসনে
পাঠিয়ে বা হত্যা করে
কেউ রাজনীতিতে টিকে
থাকতে পারেনি, খালেদা
জিয়া বা তারেক রহমানরাও
পারবেন না। 

মা-ছেলে
বেসামাল হয়ে উদ্ভট
তত্ত্ব 
দিচ্ছেনÑ
সুরঞ্জিত ॥ প্রবীণ
পার্লামেন্টারিয়ান,
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম
সংগঠক ও আওয়ামী লীগের
উপদেষ্টাম-লীর সদস্য
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত
এমপি তাঁর
প্রতিক্রিয়ায় বলেন,
রাজনীতি করতে কিছু তো
জ্ঞান-গরিমা থাকতে হয়,
কিন্তু খালেদা জিয়া ও
তারেক রহমানের তা নেই।
মা-ছেলে বেসামাল হয়ে
উদ্ভট তত্ত্ব দিচ্ছেন।
এরা দুজনই
রাজনীতি-মূর্খ, ইতিহাস
মূর্খ। বিশেষ করে লাখো
কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীতের
মতো সফল কর্মসূচীর মধ্য
দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার
যখন দেশ ও গোটা জাতিকে
ঐক্যবদ্ধ করার পথে
এগিয়ে চলেছে, তখন মা ও
ছেলে বেসামাল হয়ে এমন
উদ্ভট তত্ত্ব ও তথ্য
দিচ্ছেন বলেও মন্তব্য
করেন তিনি। 

বিডিনিউজকে
দেয়া সাক্ষাতকারে
প্রবীণ এই রাজনীতিক
বলেন, দেশের মানুষ তো
তাদের ভোট দিচ্ছে,
তাদের যদি আরও ভোটের
প্রয়োজন হয় তা অন্য কথা
বলেও নিয়ে নিতে পারেন।
কিন্তু এমন মূর্খতা
তাদের ভোট কমাবে,
বাড়াবে না। আমি
ইতিহাসের ছাত্র,
ইতিহাসে এমন মূর্খদের
স্থান নেই, তাই তাদের
কোন রাজনৈতিক ভবিষ্যত
আছে বলেও আমি মনে করি
না। আর ইতিহাস নিয়ে এমন
বাতুলতা আর কোথাও
দেখিনি। 

তিনি
বলেন, বাংলাদেশের
সপ্তম রাষ্ট্রপতি
প্রথম রাষ্ট্রপতি দাবি
করা হলো, একদিন হয়ত
জিয়াউর রহমানকে
শাহানশাহ দাবি করা
হবে। আর এই মূর্খদের
মুখ থেকে একদিন জিয়াকে
নবাব আলীবর্দী খাঁ দাবি
করা হয়, তাতেও আমি
বিস্মিত হব না। তিনি
বলেন, জিয়াউর রহমানকে
গ্লোরিফাই করার জন্য
তাঁর ছেলের কিংবা
স্ত্রীর কাছে
মিথ্যাচারই একমাত্র পথ
মনে হয়েছে। তারা চাইলে
অন্য অনেক কথা বলতে
পারতেন, কিন্তু সেটা
করেননি। এটা মূর্খ
রাজনীতিরই প্রকাশ।
তাদের দুই জনের এই
বক্তব্য জাতির সঙ্গে
উদ্ভট ও নির্মম
রসিকতা। 

সুরঞ্জিত
সেনগুপ্ত আরও বলেন,
জাতির কাছে ইতিহাসের এই
বিষয়টি সুস্পষ্ট থাকা
প্রয়োজন যে, বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমান
জনগোষ্ঠী, ভূখ-, সংবিধান
ও সরকারÑ এই চারটি মূল
শর্ত পূরণ করেই দেশের
প্রথম রাষ্ট্রপতি হন।
১৯৭১ সালে মুজিবনগর
সরকারের রাষ্ট্রপতি
ছিলেন বঙ্গবন্ধু। একটি
দেশে খালেদা জিয়া বা
তারেক রহমানের মতো
নেতৃত্বকে দেশে
গণতন্ত্রের
পশ্চাৎপদতা উল্লেখ করে
তিনি বলেন, গণতন্ত্র
এমন অশিক্ষিতদের
নেতৃত্বে নিয়ে আসতে
পারে, ধর্মান্ধরা পেয়ে
যেতে পারে গুরু
দায়িত্ব, জাতির জন্য তা
হবে সবচেয়ে
বিপদের। 

খালেদা-তারেককে
বিচারের আওতায় আনতে
হবেÑ ড. হাছান ॥ আওয়ামী
লীগের প্রচার ও
প্রকাশনা সম্পাদক ড.
হাছান মাহমুদ বলেন,
জিয়াউর রহমানকে
বাংলাদেশের প্রথম
রাষ্ট্রপতি বলায়
বিএনপি চেয়ারপার্সন
বেগম খালেদা জিয়া ও
তাঁর ছেলে তারেক
রহমানকে বিচারের আওতায়
আনা প্রয়োজন। 

তিনি
বলেন, 'বাংলাদেশের
সংবিধানে প্রথম
রাষ্ট্রপতি শেখ
মুজিবুর রহমান,
উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ
নজরুল ইসলাম, প্রথম
প্রধানমন্ত্রী
তাজউদ্দিন আহমেদ।
সুতরাং তাঁদের এ
বক্তব্য
রাষ্ট্রদ্রোহী,
সংবিধান পরিপন্থী ও
ষড়যন্ত্রমূলক। এ জন্য
তাঁদের বিরুদ্ধে
আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে
গ্রেফতার করা
প্রয়োজন।'

শনিবার
রাজধানীর
সেগুনবাগিচার বীর
উত্তম খাজা
নিজামুদ্দিন
মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু
একাডেমি আয়োজিত
আলোচনাসভায় বক্তব্য
রাখতে গিয়ে তিনি আরও
বলেন, জিয়াউর রহমান
মুজিবনগর সরকারের শুধু
একজন বেতনভুক্ত
কর্মচারী ছিলেন, তার
নথিপত্র আমাদের কাছে
আছে। প্রয়োজনে সেটা
প্রকাশ করব। জিয়াউর
রহমান প্রকৃতপক্ষে
স্বেচ্ছায়
মুক্তিযুদ্ধে যাননি,
বাধ্য হয়ে
মুক্তিযুদ্ধে
গেছেন। 

তিনি
বলেন, জিয়াউর রহমান
আসলে যুদ্ধ করেননি।
পাকিস্তানীদের
গুপ্তচরবৃত্তি
করেছেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময়
ব্রিগেডিয়ার বেগ
জিয়াউর রহমানকে একটি
চিঠি দিয়েছিলেন।
সেখানে লেখেন- তোমার
কাজে আমরা খুশি। তোমার
স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে
চিন্তা করো না। এই
চিঠিই প্রমাণ করে জিয়া
ছদ্মাবরণে
মুক্তিযুদ্ধ করেছেন।
এরপর তিনি সম্প্রতি
প্রকাশিত সেই চিঠি
সাংবাদিকদের
দেখান। 

আওয়ামী
লীগের এ নেতা বলেন,
জিয়াউর রহমান
জীবদ্দশায় কখনও নিজেকে
স্বাধীনতার ঘোষক কিংবা
প্রথম রাষ্ট্রপতি দাবি
করেননি। তাহলে এরা এ
ধরনের তথ্য কোথায় পেল?
যে নেত্রী নিজের
জন্মদিন চারবার বদলাতে
পারেন, তাঁদের দিয়ে যে
কোন মিথ্যাচার করা
সম্ভব। প্রকৃতপক্ষে,
বিএনপির রাজনীতি
মিথ্যাচারের ওপর
নির্ভরশীল।

সংগঠনের
সভাপতি হেমায়েত উদ্দিন
বীরবিক্রমের
সভাপতিত্বে
আলোচনাসভায় বক্তব্য
রাখেন ঢাকা মহানগর
আওয়ামী লীগের সহসভাপতি
ফয়েজ উদ্দিন মিয়া,
সাম্যবাদী দলের নেতা
হারুন চৌধুরী
প্রমুখ।

২৫১
সংস্কৃতি কর্মীর
নিন্দা ও প্রতিবাদ ॥
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক
জোটের ২৫১ সংস্কৃতি
কর্মী শনিবার এক যুক্ত
বিবৃতিতে খালেদা জিয়া ও
তারেক রহমানের
রাষ্ট্রদ্রোহীমূলক
বক্তব্যের তীব্র
নিন্দা ও প্রতিবাদ
জানিয়ে বলেছেন, সংবিধান
লঙ্ঘন ও ইতিহাস বিকৃতির
জন্য খালেদা জিয়া ও
তারেক রহমানের
বিরুদ্ধে মামলা করার
দাবি জানিয়েছেন। 

বিবৃতিতে
তাঁরা বলেন, জিয়াউর
রহমান প্রকৃত
মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না,
তিনি মুক্তিযুদ্ধে
অংশগ্রহণ করেছিলেন
পাকিস্তানের চর
হিসেবে। তাঁরা প্রশ্ন
রেখে বলেন, জিয়াউর
রহমান যদি প্রথম
রাষ্ট্রপতি ও
স্বাধীনতার ঘোষক হন তবে
একাত্তরের ১৭ এপ্রিল
মুজিবনগর সরকার গঠনের
সময় জিয়াউর রহমান কোথায়
ছিলেন? সেদিন কেন শপথ
অনুষ্ঠানে তিনি
উপস্থিত ছিলেন না। জিয়া
স্বাধীনতার ঘোষক হলে ২৭
মার্চ স্বাধীনতা দিবস
হতো, ২৬ মার্চ নয়। 

বিবৃতিতে
স্বাক্ষরদাতারা হলেন-
তারানা হালিম এমপি,
সৈয়দ হাসান ইমাম, আলী
যাকের, ফেরদৌসী
মজুমদার, এটিএম
শামসুজ্জামান, পীযুষ
বন্দোপাধ্যায়, মোবারক
আলী শিকদার, ড. ইনামুল
হক, ফাল্গুনী হামিদ,
চিত্রনায়ক রাজ্জাক,
আলমগীর, মাহমুদ কলি,
চিত্র নায়িকা দিতি,
নতুন, অরুণা বিশ্বাস,
খায়রুল আলম সবুজ,
লিয়াকত আলী লাকি, লাকী
ইমাম, লুৎফুন্নাহার
লতা, কবি রবীন্দ্র গোপ,
রোকেয়া প্রাচী, ডা.
সামন্ত লাল সেন
প্রমুখ। 

২০১
জন মুক্তিযোদ্ধার
সন্তানের নিন্দা ॥
'আমরা মুক্তিযোদ্ধার
সন্তান' সংগঠনের
কেন্দ্রীয় ও মহানগরের
২০১ জন মুক্তিযোদ্ধার
সন্তান এক যুক্ত
বিবৃতিতে খালেদা জিয়া ও
তারেক রহমানকে তাঁদের
বক্তব্যে প্রত্যাহার
করে জাতির কাছে ক্ষমা
চাওয়ার দাবি
জানিয়েছেন। তাঁরা বলেন,
সংবিধান স্বীকৃত বিষয়
নিয়ে মিথ্যাচারীদের
শাস্তির আওতায় আনা
উচিত।
মিথ্যাচারকারীদের
শাস্তির ব্যবস্থা করলে
ভবিষ্যতে কেউ আর
মিথ্যার আশ্রয় গ্রহণ
করার সাহস পাবে না। 

বাংলাদেশ
টেলিভিশন শিল্পী
সমন্বয় পরিষদ ও
বাংলাদেশ আওয়ামী
হিন্দু বৌদ্ধ
খ্রীস্টান ঐক্য লীগ
পৃথক বিবৃতিতে খালেদা
জিয়া ও তারেক রহমানের
বক্তব্যেকে
সংবিধানবিরোধী
আখ্যায়িত করে অবিলম্বে
তাঁদের দুজনকে বিচারের
আওতায় আনার দাবি
জানিয়েছে। নিন্দা ও
প্রতিবাদ জানিয়ে আরও
বিবৃতি দিয়েছে
বঙ্গবন্ধু স্মৃতি
সংরক্ষণ পরিষদ, জয়বাংলা
সাংস্কৃতিক ঐক্যজোটসহ
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়
বিশ্বাসী বিভিন্ন
সংগঠন।
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=27&dd=2014-03-30&ni=168286
প্রকাশ: রবিবার, ৩০
মার্চ ২০১৪, ১৬ চৈত্র
১৪২০

Also read:

ÔZvB
mZ¨, hv ewj‡e Zzwg!Õ


 




 

¯'vbxq
mgq : 1333
NÈv, 29 gvP© 2014

http://www.amadershomoys.com/content/2014/03/29/middle0861.htm
Also
Read:




জিয়াকে প্রথম
রাষ্ট্রপতি বলা
বিএনপির একটি অপচেষ্টা

পররাষ্ট্রমন্ত্রী

'জিয়া ক্ষমতায় থাকতে
নিজে কখনও এ দাবি
করেননি'http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=27&dd=2014-03-30&ni=168288





YouTube:
Declaration of Independence (FULL version) - Major
Zia:

https://www.youtube.com/watch?v=o3t3_5ntCXw




Declaration of
Independence (FULL version) - Major Zia |
Watch ...


► 3:09► 3:09

www.downvids.net/declaration-of-independence-full-v...

Mar 26, 2013Declaration of
Independence (FULL version) - Major Zia ... 3:02.
Declaration. 1 years ago 132 views. 5:36 ...



Declaration of
Independence (FULL version) - Major Zia - YouTube


► 3:09► 3:09

www.youtube.com/watch?v=o3t3_5ntCXw

YouTube

Apr 15, 2013 - Uploaded by alam
girDeclaration of Independence (FULL version) -
Major Zia ... Zia clarifies his timing ofdeclaration
of ..


http://www.youtube.com/watch?feature=player_embedded&v=2SzkNUvO1yU#!


http://www.youtube.com/watch?v=izd2BjXfAXY

http://www.youtube.com/watch?v=kmj_N0ZIMAo&feature=relmfu

http://www.youtube.com/watch?v=qMVe00Xcr3Q[
these videos tell the true facts and in no way,
fact changes ....]





কালের
পুরাণ


তারেক রহমানের অভিনব
'রাষ্ট্রপতিতত্ত্ব'


সোহরাব
হাসান | আপডেট:
১১:৪৩, মার্চ ২৯,
২০১৪ | প্রিন্ট
সংস্করণ




   


সোহরাব
হাসান: কবি,
সাংবাদিক।



sohrab03@dhaka.nethttp://www.prothom-alo.com/opinion/article/179385/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%95_%E0%A6%B0%E0%A6%B9%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0_%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%AC_%E2%80%98%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E2%80%99








গোয়েবলসের রেডিও এবং
বিএনপির ভাঙ্গা
রেকর্ড!

মনোয়ার
রুবেল, কন্ট্রিবিউটিং
এডিটর 
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম



http://www.banglanews24.com/beta/fullnews/bn/278247.html




জিয়াকে
প্রথম রাষ্ট্রপতি বলে
খালেদা মিথ্যাচার
করছেন:

http://www.banglanews24.com/beta/fullnews/bn/278191.html





রাষ্ট্রপতি
কীভাবে মেজর
হলেন?

http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/179290/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF_%E0%A6%95%E0%A7%80%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87_%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%9C%E0%A6%B0_%E0%A6%B9%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8


wRqv‡K
†jLv K‡b©j †e‡Mi wPwV:

http://www.amadershomoy2.com/content/2013/02/04/news0586.htm



http://www.amadershomoy2.com/content/2013/02/04/middle0391.htm



প্রশ্নবোধক
এক জিয়াউর রহমান

"জিয়া থেকে
হিটলার"


এই
বইটির তিনটি
অংশ। 

প্রথম
অংশটি-"জিয়া কেন
মুক্তিযোদ্ধা
নয়-১৭৮টি
কারণ"। 

দ্বিতীয়
অংশটি-"সংবিধান
সন্ত্রাসী
জিয়া"। 

তৃ্তীয়
অংশটি-"বইয়ের
কাঠগোড়ায়
জিয়া"


http://www.cadetcollegeblog.com/nazmul/20333





 'হিটলার থেকে
জিয়া': বিএনপি একটি
পাকিস্তানপন্থী দল
 - মিনা ফারাহ





স্বাধীনতার পক্ষ ও
বিপক্ষ শক্তিমিনা
ফারাহ         বুধবার,
৩০ জুন ২০১০, ১৬ আষাঢ়
১৪১৭






http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=16&dd=2010-06-30&ni=23956




Related:



http://minafarah.com/?p=32


 'হিটলার থেকে
জিয়া': বিএনপি একটি
পাকিস্তানপন্থী দল
 - মিনা ফারাহ





স্বাধীনতার পক্ষ
ও বিপক্ষ শক্তিমিনা
ফারাহ         বুধবার,
৩০ জুন ২০১০, ১৬ আষাঢ়
১৪১৭


http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=16&dd=2010-06-30&ni=23956




























------------------------------------

****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration:
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
-Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190Yahoo Groups Links

<*> To visit your group on the web, go to:
http://groups.yahoo.com/group/mukto-mona/

<*> Your email settings:
Individual Email | Traditional

<*> To change settings online go to:
http://groups.yahoo.com/group/mukto-mona/join
(Yahoo! ID required)

<*> To change settings via email:
mukto-mona-digest@yahoogroups.com
mukto-mona-fullfeatured@yahoogroups.com

<*> To unsubscribe from this group, send an email to:
mukto-mona-unsubscribe@yahoogroups.com

<*> Your use of Yahoo Groups is subject to:
https://info.yahoo.com/legal/us/yahoo/utos/terms/

[mukto-mona] Fw: Sindhi Advocacy Week at The Hill [1 Attachment]

[Attachment(s) from SITANGSHU GUHA included below]

  
Date: Thu, 27 Mar 2014 11:45:23 -0400
Subject: Sindhi Advocacy Week at The Hill
From: sapac.sindh@gmail.com
To:

Dear Friends,

During the week of April 7- April 11, the Sindhi American Political Action Committee (SAPAC) will be organizing meetings with members of the United States Congress to bring their attention to key issues in Sindh. 

These issues include religious intolerance, lack of educationfamine and drought conditions that are currently not being adequately addressed and the killing of Sindhi activists by government and extremists forces within Pakistan. 

Our aim is to raise awareness of these issues in the United States. 

SAPAC president, Dr.Maqbool Halepota, stated that, in light of the current events in Sindh, "Advocating in Congress is essential to improving the situation in Sindh because of America's influence. SAPAC and its interns are working diligently to attain this end, and we welcome any American supporters of Sindh to join us on The Hill."

Sindhi Advocacy Week will take place from April 7 to April 11.  Any Sindhi-Americans desiring to participate can contact us at sapac.sindh@gmail.com, and it can be arranged for you to attend a meeting with SAPAC on Capitol Hill. 

Please see attachment to this message.

Deepest Regards,
Michael Volk
SAPAC
http://www.sindhipac.org/





__._,_.___

Attachment(s) from SITANGSHU GUHA | View attachments on the web

1 of 1 File(s)



****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___

[mukto-mona] খালেদা-তারেকের উদ্ভট তত্ত্বে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড়



রবিবার, ৩০ মার্চ ২০১৪, ১৬ চৈত্র ১৪২০
খালেদা-তারেকের উদ্ভট তত্ত্বে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড়
বিশেষ প্রতিনিধি ॥ স্বাধীনতার ৪৩ বছর খালেদা জিয়া-তারেক রহমানের নতুন 'উদ্ভট তত্ত্ব ও তথ্য' দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় উঠেছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি, সংবিধান লঙ্ঘন এবং সর্বোচ্চ আদালতের রায় অবমাননা করে রাষ্ট্রদ্রোহীমূলক বক্তব্যের জন্য দ্রুত তাঁদের দুজনকে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেছে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিরা। একই সঙ্গে সাবেক বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে জাতির সামনে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। 
বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিক ও স্বাধীনতার সপক্ষের বিভিন্ন সংগঠন থেকে এমন দাবি জানিয়ে বলা হয়, 'মা-ছেলে বেসামাল হয়ে উদ্ভট তত্ত্ব দিচ্ছেন। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় ছিলেন সাড়ে পাঁচ বছর, খালেদা জিয়া ছিলেন ১০ বছরের বেশি। এই দীর্ঘ সময়ে বিএনপির কোন নেতা-নেত্রী কিংবা সমর্থক বুদ্ধিজীবীরাও দাবি করেননি যে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন। এখন খালেদা-তারেকের এমন উদ্ভট আবিষ্কার ও নতুন তত্ত্ব রাষ্ট্রদ্রোহী, সংবিধান পরিপন্থী এবং ষড়যন্ত্রমূলক। এ জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে গ্রেফতার করা প্রয়োজন। 
অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে এমন ইতিহাস বিকৃতকারী বক্তব্যে প্রত্যাহার এবং জাতির সামনে ক্ষমা প্রার্থনার দাবি জানিয়ে শনিবার বিভিন্ন সংগঠন ও আলোচনায় সভায় বলা হয়, এমনকি জীবদ্দশায় জিয়াউর রহমানও নিজেকে কখনও রাষ্ট্রপতি কিংবা স্বাধীনতার ঘোষক বলে দাবি করেননি। নিজের লেখায় ও ঘোষণায় স্বীকার করে গেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনগোষ্ঠী, ভূখ-, সংবিধান ও সরকারÑ এই চারটি মূল শর্ত পূরণ করেই দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হন। ১৯৭১ সালের মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন বঙ্গবন্ধু আর রাষ্ট্রপতি হওয়ার একমাত্র জনগণের ম্যান্ডেটও ছিল তাঁর প্রতি। তাঁরা প্রশ্ন রেখে বলেন, একজন রাষ্ট্রপতি কী ভাবে 'মেজর' হলেন? প্রথম সরকারের ৪শ' টাকার বেতনভোগী সামরিক কর্মকর্তা কী ভাবে রাষ্ট্রপতি হন? ইতিহাসকে নির্বাসনে পাঠিয়ে বা হত্যা করে কেউ রাজনীতিতে টিকে থাকতে পারেনি, খালেদা জিয়া বা তারেক রহমানরাও পারবেন না। 
মা-ছেলে বেসামাল হয়ে উদ্ভট তত্ত্ব 
দিচ্ছেনÑ সুরঞ্জিত ॥ প্রবীণ পার্লামেন্টারিয়ান, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এমপি তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, রাজনীতি করতে কিছু তো জ্ঞান-গরিমা থাকতে হয়, কিন্তু খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের তা নেই। মা-ছেলে বেসামাল হয়ে উদ্ভট তত্ত্ব দিচ্ছেন। এরা দুজনই রাজনীতি-মূর্খ, ইতিহাস মূর্খ। বিশেষ করে লাখো কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীতের মতো সফল কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার যখন দেশ ও গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার পথে এগিয়ে চলেছে, তখন মা ও ছেলে বেসামাল হয়ে এমন উদ্ভট তত্ত্ব ও তথ্য দিচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। 
বিডিনিউজকে দেয়া সাক্ষাতকারে প্রবীণ এই রাজনীতিক বলেন, দেশের মানুষ তো তাদের ভোট দিচ্ছে, তাদের যদি আরও ভোটের প্রয়োজন হয় তা অন্য কথা বলেও নিয়ে নিতে পারেন। কিন্তু এমন মূর্খতা তাদের ভোট কমাবে, বাড়াবে না। আমি ইতিহাসের ছাত্র, ইতিহাসে এমন মূর্খদের স্থান নেই, তাই তাদের কোন রাজনৈতিক ভবিষ্যত আছে বলেও আমি মনে করি না। আর ইতিহাস নিয়ে এমন বাতুলতা আর কোথাও দেখিনি। 
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সপ্তম রাষ্ট্রপতি প্রথম রাষ্ট্রপতি দাবি করা হলো, একদিন হয়ত জিয়াউর রহমানকে শাহানশাহ দাবি করা হবে। আর এই মূর্খদের মুখ থেকে একদিন জিয়াকে নবাব আলীবর্দী খাঁ দাবি করা হয়, তাতেও আমি বিস্মিত হব না। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানকে গ্লোরিফাই করার জন্য তাঁর ছেলের কিংবা স্ত্রীর কাছে মিথ্যাচারই একমাত্র পথ মনে হয়েছে। তারা চাইলে অন্য অনেক কথা বলতে পারতেন, কিন্তু সেটা করেননি। এটা মূর্খ রাজনীতিরই প্রকাশ। তাদের দুই জনের এই বক্তব্য জাতির সঙ্গে উদ্ভট ও নির্মম রসিকতা। 
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আরও বলেন, জাতির কাছে ইতিহাসের এই বিষয়টি সুস্পষ্ট থাকা প্রয়োজন যে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনগোষ্ঠী, ভূখ-, সংবিধান ও সরকারÑ এই চারটি মূল শর্ত পূরণ করেই দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হন। ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন বঙ্গবন্ধু। একটি দেশে খালেদা জিয়া বা তারেক রহমানের মতো নেতৃত্বকে দেশে গণতন্ত্রের পশ্চাৎপদতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণতন্ত্র এমন অশিক্ষিতদের নেতৃত্বে নিয়ে আসতে পারে, ধর্মান্ধরা পেয়ে যেতে পারে গুরু দায়িত্ব, জাতির জন্য তা হবে সবচেয়ে বিপদের। 
খালেদা-তারেককে বিচারের আওতায় আনতে হবেÑ ড. হাছান ॥ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি বলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও তাঁর ছেলে তারেক রহমানকে বিচারের আওতায় আনা প্রয়োজন। 
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের সংবিধানে প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান, উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ। সুতরাং তাঁদের এ বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহী, সংবিধান পরিপন্থী ও ষড়যন্ত্রমূলক। এ জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে গ্রেফতার করা প্রয়োজন।'
শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচার বীর উত্তম খাজা নিজামুদ্দিন মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান মুজিবনগর সরকারের শুধু একজন বেতনভুক্ত কর্মচারী ছিলেন, তার নথিপত্র আমাদের কাছে আছে। প্রয়োজনে সেটা প্রকাশ করব। জিয়াউর রহমান প্রকৃতপক্ষে স্বেচ্ছায় মুক্তিযুদ্ধে যাননি, বাধ্য হয়ে মুক্তিযুদ্ধে গেছেন। 
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান আসলে যুদ্ধ করেননি। পাকিস্তানীদের গুপ্তচরবৃত্তি করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্রিগেডিয়ার বেগ জিয়াউর রহমানকে একটি চিঠি দিয়েছিলেন। সেখানে লেখেন- তোমার কাজে আমরা খুশি। তোমার স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে চিন্তা করো না। এই চিঠিই প্রমাণ করে জিয়া ছদ্মাবরণে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। এরপর তিনি সম্প্রতি প্রকাশিত সেই চিঠি সাংবাদিকদের দেখান। 
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনও নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক কিংবা প্রথম রাষ্ট্রপতি দাবি করেননি। তাহলে এরা এ ধরনের তথ্য কোথায় পেল? যে নেত্রী নিজের জন্মদিন চারবার বদলাতে পারেন, তাঁদের দিয়ে যে কোন মিথ্যাচার করা সম্ভব। প্রকৃতপক্ষে, বিএনপির রাজনীতি মিথ্যাচারের ওপর নির্ভরশীল।
সংগঠনের সভাপতি হেমায়েত উদ্দিন বীরবিক্রমের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, সাম্যবাদী দলের নেতা হারুন চৌধুরী প্রমুখ।
২৫১ সংস্কৃতি কর্মীর নিন্দা ও প্রতিবাদ ॥ বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের ২৫১ সংস্কৃতি কর্মী শনিবার এক যুক্ত বিবৃতিতে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের রাষ্ট্রদ্রোহীমূলক বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, সংবিধান লঙ্ঘন ও ইতিহাস বিকৃতির জন্য খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করার দাবি জানিয়েছেন। 
বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, জিয়াউর রহমান প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না, তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন পাকিস্তানের চর হিসেবে। তাঁরা প্রশ্ন রেখে বলেন, জিয়াউর রহমান যদি প্রথম রাষ্ট্রপতি ও স্বাধীনতার ঘোষক হন তবে একাত্তরের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠনের সময় জিয়াউর রহমান কোথায় ছিলেন? সেদিন কেন শপথ অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত ছিলেন না। জিয়া স্বাধীনতার ঘোষক হলে ২৭ মার্চ স্বাধীনতা দিবস হতো, ২৬ মার্চ নয়। 
বিবৃতিতে স্বাক্ষরদাতারা হলেন- তারানা হালিম এমপি, সৈয়দ হাসান ইমাম, আলী যাকের, ফেরদৌসী মজুমদার, এটিএম শামসুজ্জামান, পীযুষ বন্দোপাধ্যায়, মোবারক আলী শিকদার, ড. ইনামুল হক, ফাল্গুনী হামিদ, চিত্রনায়ক রাজ্জাক, আলমগীর, মাহমুদ কলি, চিত্র নায়িকা দিতি, নতুন, অরুণা বিশ্বাস, খায়রুল আলম সবুজ, লিয়াকত আলী লাকি, লাকী ইমাম, লুৎফুন্নাহার লতা, কবি রবীন্দ্র গোপ, রোকেয়া প্রাচী, ডা. সামন্ত লাল সেন প্রমুখ। 
২০১ জন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের নিন্দা ॥ 'আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান' সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও মহানগরের ২০১ জন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এক যুক্ত বিবৃতিতে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে তাঁদের বক্তব্যে প্রত্যাহার করে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তাঁরা বলেন, সংবিধান স্বীকৃত বিষয় নিয়ে মিথ্যাচারীদের শাস্তির আওতায় আনা উচিত। মিথ্যাচারকারীদের শাস্তির ব্যবস্থা করলে ভবিষ্যতে কেউ আর মিথ্যার আশ্রয় গ্রহণ করার সাহস পাবে না। 
বাংলাদেশ টেলিভিশন শিল্পী সমন্বয় পরিষদ ও বাংলাদেশ আওয়ামী হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য লীগ পৃথক বিবৃতিতে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বক্তব্যেকে সংবিধানবিরোধী আখ্যায়িত করে অবিলম্বে তাঁদের দুজনকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে। নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আরও বিবৃতি দিয়েছে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ, জয়বাংলা সাংস্কৃতিক ঐক্যজোটসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বিভিন্ন সংগঠন।
প্রকাশ: রবিবার, ৩০ মার্চ ২০১৪, ১৬ চৈত্র ১৪২০

Also read:

ÔZvB mZ¨, hv ewj‡e Zzwg!Õ

 


 

¯'vbxq mgq : 1333 NÈv, 29 gvP© 2014


http://www.amadershomoys.com/content/2014/03/29/middle0861.htm
Also Read:

জিয়াকে প্রথম রাষ্ট্রপতি বলা বিএনপির একটি অপচেষ্টা ॥ পররাষ্ট্রমন্ত্রী
'জিয়া ক্ষমতায় থাকতে নিজে কখনও এ দাবি করেননি'

YouTube: Declaration of Independence (FULL version) - Major Zia:

  • Declaration of Independence (FULL version) - Major Zia | Watch ...

    www.downvids.net/declaration-of-independence-full-v...
    Mar 26, 2013
    Declaration of Independence (FULL version) - Major Zia ... 3:02. Declaration. 1 years ago 132 views. 5:36 ...
  • Declaration of Independence (FULL version) - Major Zia - YouTube

    Apr 15, 2013 - Uploaded by alam gir
    Declaration of Independence (FULL version) - Major Zia ... Zia clarifies his timing ofdeclaration of ..

  • কালের পুরাণ

    তারেক রহমানের অভিনব 'রাষ্ট্রপতিতত্ত্ব'

    সোহরাব হাসান | আপডেট: ১১:৪৩, মার্চ ২৯, ২০১৪ প্রিন্ট সংস্করণ
       

    সোহরাব হাসান: কবি, সাংবাদিক।

    sohrab03@dhaka.net

    http://www.prothom-alo.com/opinion/article/179385/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%95_%E0%A6%B0%E0%A6%B9%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0_%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%AC_%E2%80%98%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E2%80%99

    wRqv‡K †jLv K‡b©j †e‡Mi wPwV:

    প্রশ্নবোধক এক জিয়াউর রহমান

    "জিয়া থেকে হিটলার"
    এই বইটির তিনটি অংশ। 
    প্রথম অংশটি-"জিয়া কেন মুক্তিযোদ্ধা নয়-১৭৮টি কারণ"। 
    দ্বিতীয় অংশটি-"সংবিধান সন্ত্রাসী জিয়া"। 
    তৃ্তীয় অংশটি-"বইয়ের কাঠগোড়ায় জিয়া"



     'হিটলার থেকে জিয়া': বিএনপি একটি পাকিস্তানপন্থী দল  - মিনা ফারাহ

    স্বাধীনতার পক্ষ ও বিপক্ষ শক্তি
    মিনা ফারাহ         বুধবার, ৩০ জুন ২০১০, ১৬ আষাঢ় ১৪১

    logo
    Related:

     'হিটলার থেকে জিয়া': বিএনপি একটি পাকিস্তানপন্থী দল  - মিনা ফারাহ

    স্বাধীনতার পক্ষ ও বিপক্ষ শক্তি
    মিনা ফারাহ         বুধবার, ৩০ জুন ২০১০, ১৬ আষাঢ় ১৪১




    __._,_.___


    ****************************************************
    Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
    Call For Articles:

    http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

    http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

    ****************************************************

    VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

    ****************************************************

    "I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
                   -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





    __,_._,___

    [mukto-mona] Re: বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ! SHADHINOTA DIBOSHER SHUBHECHYA !



    The best time of the year and yet, new lies are being manufactured to rewrite the history that we know. What a waste!
    Have a great flowery spring!
    -SD


    2014-03-28 21:15 GMT-04:00 Bhin-Golardho <golardho@yahoo.com>:

    প্রায় অভিন্ন ভাষায়, মাইল-মাইল  ই-মেইল
    দেখার পর, একটি প্রশ্ন করি  সবিনয়ে -

    'বিজয়-দিবস'  এবং  'স্বাধীনতা-দিবস'...এর কোনটি
    কবে, লেখকদের সবাই কি নিশ্চিতভাবে জানেন ?

    শুভেচ্ছা নেবেন আমারও  -   নব-বসন্তের !

    স্পর্ধার জন্যে ক্ষমাপ্রার্থী -

    বদিউজ্জামান নাসিম
    বস্টন ।













    __._,_.___


    ****************************************************
    Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
    Call For Articles:

    http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

    http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

    ****************************************************

    VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

    ****************************************************

    "I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
                   -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





    __,_._,___

    [mukto-mona] কালের পুরাণ : তারেক রহমানের অভিনব ‘রাষ্ট্রপতিতত্ত্ব’



    কালের পুরাণ

    তারেক রহমানের অভিনব 'রাষ্ট্রপতিতত্ত্ব'

    সোহরাব হাসান | আপডেট: ১১:৪৩, মার্চ ২৯, ২০১৪ প্রিন্ট সংস্করণ
       

    ইতিহাস যাঁরা নির্মাণ করেন, তাঁরা কখনোই ইতিহাস নিয়ে বিতর্ক করেন না। করার প্রয়োজনও হয় না। ইতিহাস নিয়ে তাঁরাই অহেতুক বিতর্ক করেন, ইতিহাসে যাঁদের অবদান রাখার ন্যূনতম সামর্থ্য ও সাহস নেই।
    কথাটি মনে পড়ল বৃহস্পতিবার পত্রিকায় লন্ডনে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তৃতাটি পড়ে। সেখানে বিএনপি আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের সেমিনারে তিনি বলেছেন, 'জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ও স্বাধীনতার ঘোষক।' তাঁর দাবি, 'এটি ইতিহাসে লাল অক্ষরে লেখা আছে।'
    স্বাধীনতার ৪৩ বছর পর এটি জিয়া-তনয়ের আবিষ্কারই বটে। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় ছিলেন সাড়ে পাঁচ বছর, খালেদা জিয়া ছিলেন ১০ বছরের বেশি। এ দীর্ঘ সময়ে বিএনপির কোনো নেতা-নেত্রী কিংবা সমর্থক বুদ্ধিজীবীও দাবি করেননি যে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন। এখন তারেক রহমান বলছেন, তিনিই প্রথম রাষ্ট্রপতি। এ ব্যাপারে সম্ভবত তিনি বিএনপির আমলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রকাশিত 'সংশোধিত' ইতিহাসকে সাক্ষ্য মানবেন।
    প্রত্যুত্তরে আমরা জিয়াউর রহমান আমলের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিলপত্রকে প্রমাণ হিসেবে হাজির করছি। দলিলপত্রের তৃতীয় খণ্ডে শেখ মুজিবুর রহমানের একটি এবং জিয়াউর রহমানের দুটি ঘোষণা ছাপা হয়েছে।
    প্রথম ঘোষণায় শেখ মুজিব বলেছেন, ....'এটি আমার শেষ বার্তা হতে পারে, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যে আপনারা যেখানে এবং যে অবস্থায়ই থাকুন না কেন, দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধ চালিয়ে যান। বাংলাদেশের মাটি থেকে পাকিস্তানের শেষ সেনাটি বিদায় না হওয়া এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত যুদ্ধ করে যেতে হবে।'
    জিয়ার দ্বিতীয় ঘোষণায়ও নিজে সরকার গঠনের দাবি করেননি। এমনকি বেঁচে থাকতে তিনি নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক বলেও প্রচার করেননি। কেবল স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম উদ্যোক্তা বেলাল মোহাম্মদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, তাঁর ঘোষিত বার্তাটি যে কলমে লেখা হয়েছিল, সেটির খবর তিনি জানেন কি না।
    ২৭ মার্চ প্রচারিত ঘোষণায় জিয়া বলেছেন, 'আমি জিয়াউর রহমান, বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনীর অস্থায়ী কমান্ডার ইন চিফ, শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি। আমি আরও ঘোষণা করছি যে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা একটি স্বাধীন ও আইনানুগ সরকার গঠন করেছি, যা আইন ও সংবিধান অনুযায়ী কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।'
    জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর ২৪ বছর পর ২০০৪ সালে বিএনপি সরকার স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্রে জিয়ার একটি নতুন বার্তা যোগ করে এবং বঙ্গবন্ধুর বার্তাটি গায়েব করে দেয়। এটি নিয়ে আইনি লড়াইয়েও তাঁরা হেরে গেছেন। এখন সেই 'সংশোধিত' ইতিহাসের অস্তিত্ব নেই।
    তারেক রহমান বলেছেন, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। আর ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, ২৭ মার্চ তিনি শেখ মুজিবের নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে নিজে অস্থায়ী কমান্ডার-ইন-চিফ হিসেবে দেশবাসীকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তাঁর ঘোষণার আগে আওয়ামী লীগের নেতা এম এ হান্নানও একটি ঘোষণা দিয়েছিলেন। আর এসব ঘোষণার আগেই দেশের মানুষ যার যার অবস্থান থেকে প্রতিরোধ শুরু করেছিল। ২৫ মার্চ রাতে পিলখানায় ইপিআরের জওয়ানরা এবং রাজারবাগে পুলিশ সদস্যরা যে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন, তা কারও ঘোষণা বা নির্দেশের অপেক্ষা না করেই।
    তারেক রহমানের পর খালেদা জিয়াও ২৭ মার্চ মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে বলেছেন, 'জিয়াউর রহমানই প্রথম রাষ্ট্রপতি।' গতকাল দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া তাঁর আইনি ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন, '১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকে প্রবাসী সরকার গঠনের পূর্ব পর্যন্ত কার সরকার ছিল? দিশেহারা জাতিকে পথ প্রদর্শন করেছেন জিয়াউর রহমান, তা প্রমাণ করে সে সময় তিনি দেশের মূল ভূমিকা পালন করে দেশের রাষ্ট্রপতি হওয়া বা করা বা চালাতে হয়েছে, সে ব্যবস্থায় তিনি তা করেছেন। (প্রথম আলো অনলাইন, ২৮ মার্চ ২০১৪)
    বিএনপির এই নেতা বলতে চেয়েছেন, ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠনের আগ পর্যন্ত জিয়ার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। তার মানে তাজউদ্দীন আহমদ ও সৈয়দ নজরুল ইসলামেরা প্রবাসী সরকার গঠন করেছেন জিয়ার নেতৃত্বে এবং তাঁর নির্দেশেই। সেনাবাহিনীর প্রধান এম এ জি ওসমানী এবং অন্য সেক্টর কমান্ডাররাও যুদ্ধে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জিয়ার নির্দেশেই। অদ্ভুত ও উদ্ভট যুক্তি।
    জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হতে হলে তাঁকে একটি সরকার গঠন করতে হতো। সেটি করার ম্যান্ডেট কি তাঁর ছিল? যদি না থাকে, তাহলে তিনি কী করে প্রথম রাষ্ট্রপতি হলেন?
    কয়েক বছর আগে এই লেখকের কাছে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইতিহাসবিদ সিরাজুল ইসলাম বলেছিলেন, স্বাধীনতা তাঁরাই ঘোষণা করতে পারেন, জনগণ যাঁদের ম্যান্ডেট দিয়েছে। জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা সম্পর্কে তিনি এ-ও বলেছিলেন, আমেরিকার গৃহযুদ্ধে কর্নেল পদমর্যাদার এক সেনা কর্মকর্তা স্বাধীনতা ঘোষণা দেওয়ার কারণে তাঁকে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। কেননা, স্বাধীনতা ঘোষণার এখতিয়ার তাঁর ছিল না।
    ১৯৭০ সালের নির্বাচনে জনগণ শেখ মুজিবুর রহমানকে এবং তাঁর দল আওয়ামী লীগকে ম্যান্ডেট দিয়েছিল। কিন্তু সেই ম্যান্ডেট অনুযায়ী পাকিস্তানি সামরিক জান্তা তাঁর হাতে ক্ষমতা ছেড়ে না দেওয়ায় স্বাধীনতার বিষয়টি সামনে চলে আসে। সত্তরের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্য থেকেই একাত্তরের ১০ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের ঘোষণা আসে এবং ছয় সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠিত হয়। সেই ঘোষণাপত্রে স্বাধীনতা ঘোষণার কারণও ব্যাখ্যা করা হয়েছিল। ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন লিখেছেন, 'পৃথিবীতে দুটি দেশেরই স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র আছে। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ।'
    ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার শপথ নেয়, যার রাষ্ট্রপতি ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হন সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রী হন তাজউদ্দীন আহমদ। সেই মন্ত্রিসভার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও সেনাবাহিনীর প্রধান এম এ জি ওসমানীর অধীনে অন্যান্য সেক্টর কমান্ডারের মতো জিয়াউর রহমানও একজন সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি জিয়া ফোর্সের প্রধান হন।
    তারেক রহমানের ভাষায় লাল অক্ষরে লেখা এই ইতিহাস থেকে আমরা আরও জানতে পারি যে একাত্তরে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশে যে সরকার গঠিত হয়, তার নেতৃত্ব ও আনুগত্য মেনে নিয়েই জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।
    কেবল তারেক রহমান প্রবাসে বসে এ ঘোষণাটি দিলে তা তাঁর ব্যক্তিগত ক্ষোভের প্রকাশ হিসেবে মানা যেত। কিন্তু এক দিন পর তাঁর মা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশেও একই বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, 'আওয়ামী লীগ মুক্তিযোদ্ধার দল নয়, জিয়াউর রহমানই স্বাধীনতার ঘোষক।' তবে বিএনপির চেয়ারপারসন এটি বলেননি যে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বেই আওয়ামী লীগের নেতারা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন। সেটি তিনি বলবেন না। কেননা, বললে মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগের অবদানকে স্বীকার করা হয়। আমাদের রাজনীতিতে এখন চলছে অস্বীকারের সংস্কৃতি।
    আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছ থেকে তাৎক্ষণিক যেসব প্রতিক্রিয়া আশা করা গিয়েছিল, তার চেয়ে কম কেউ দেননি। দলের যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, তারেক রহমান যা বলেছেন, তা সংবিধান পরিপন্থী। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, খালেদা জিয়াকে ক্ষমা চাইতে হবে।
    আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দল আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় বলেছেন, তাঁরা (বিএনপি) এত দিন বলেছেন জিয়া স্বাধীনতার ঘোষক, এখন বলছেন প্রথম রাষ্ট্রপতি। ...এখন ফর্মুলা পাল্টেছে, কেউ স্বাধীনতার ঘোষণা দিলে ইয়াহিয়া খান তাঁকে গ্রেপ্তার করল না কেন? তিনি জিয়াকে নামেই মুক্তিযোদ্ধা বলে উল্লেখ করেছেন।
    প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের দুটি দিক আছে। প্রথমত, তিনি শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি বলে উল্লেখ করেছেন। এটি ঐতিহাসিক সত্য। এ সত্য কেউ মুছে ফেলতে পারবে না। অতীতে অনেকে চেষ্টা করে সফল হননি। ভবিষ্যতেও তাঁরা সফল হবেন না। কিন্তু এ-ও সত্য যে আওয়ামী লীগ একাই মুক্তিযুদ্ধ করেনি। আরও অনেক দল এমনকি দলের বাইরের মানুষ এ যুদ্ধে সক্রিয় অংশ নিয়েছেন। ইতিহাসের ভাগাভাগিতে আমরা যেন তাঁদের কথা ভুলে না যাই। আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে একটি প্রবণতা লক্ষণীয় যে তাঁরা নিজেদের ছাড়া অন্য কারও অবদান স্বীকার করতে চান না।
    প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জিয়াউর রহমান নামেই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। এর মাধ্যমে কিন্তু তিনি মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদেরই শুধু খাটো করলেন না, মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য স্বাধীনতা-পরবর্তী যে সরকার তাঁকে বীর উত্তম খেতাব দিল, তাকেও অসম্মান করলেন।
    স্বাধীনতার ৪৩ বছরে এসেও আমরা কে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক, কে প্রথম রাষ্ট্র্পতি ছিলেন এসব নিয়ে অহেতুক বিতর্ক করছি। সামনে তাকাচ্ছি না। এ দীর্ঘ সময়ে আমরা কেন শিক্ষার হার ৬০ শতাংশের ওপরে নিতে পারলাম না, কেন এখনো ২৫ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছে, কেন ৩৭ শতাংশ শিশু অপুষ্টির শিকার, সে প্রশ্ন করছি না। কেন আমাদের দেশ প্রতিবেশীদের চেয়ে প্রায় সব ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে, সে নিয়েও রাজনীতিকদের মধ্যে উদ্বেগ নেই। তাঁরা কেবল ইতিহাসে বন্দী হয়ে আছেন।
    মাত্র দুই দিন আগে আমরা স্বাধীনতা দিবসে লাখো কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গেয়ে জাতিকে অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করলাম। আর দুই দিন পরই বিভেদ ও বিদ্বেষে পরস্পরকে বিদ্ধ করে চলেছি। এই আত্মঘাতী ইতিহাস চর্চা থেকে জাতিকে রক্ষা করবে কে?

     

    সোহরাব হাসান: কবি, সাংবাদিক।
    sohrab03@dhaka.net

    http://www.prothom-alo.com/opinion/article/179385/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%95_%E0%A6%B0%E0%A6%B9%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0_%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%AC_%E2%80%98%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E2%80%99




    __._,_.___


    ****************************************************
    Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
    Call For Articles:

    http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

    http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

    ****************************************************

    VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

    ****************************************************

    "I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
                   -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





    __,_._,___