মঙ্গলবার, ৩০ অক্টোবর ২০১২, ১৫ কার্তিক ১৪১৯
যুক্তরাষ্ট্র জামায়াতকে মডারেট দল মনে করলে সন্ত্রাস যাবে না
স্টেট ডিপার্টমেন্টে বৈঠকে শাহরিয়ার কবির
এনা, নিউইয়র্ক থেকে ॥ স্টেট ডিপার্টমেন্টের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘ এক বৈঠকে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নির্বাহী প্রেসিডেন্ট, লেখক-সাংবাদিক-চলচ্চিত্রকার শাহরিয়ার কবির জানালেন, 'একাত্তরের ঘাতকদের বিচার সুসম্পন্ন করা গেলেই বাংলাদেশ চিরতরে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক থেকে মুক্ত হবে। কারণ, একাত্তরের ঘাতক এবং তাদের নেতৃত্বাধীন দল 'জামায়াতে ইসলামী' হচ্ছে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের হোতা এবং তাদের নেটওয়ার্কের লোকজনই আলকায়েদা ও তালেবান সৃষ্টি করছে।' শাহরিয়ার কবির স্পষ্টভাবে স্টেট ডিপার্টমেন্টকে আরও জানিয়েছেন, 'যুক্তরাষ্ট্র যতদিন পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর মতো একটি মৌলবাদী দলকে মডারেট-গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে বিবেচনা করবে ততদিন পর্যন্ত সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে তারা সফল হতে পারবে না। কারণ, জামায়াতীরা এখন কৌশলগত কারণে গণতন্ত্রের কথা বললেও তারা কখনই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। জামায়াতীরা হচ্ছে সাম্প্রদায়িক শক্তির প্রতিভু।'
একাত্তরের ঘাতকদের বিচার নিয়ে আন্তর্জাতিক কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থার উদ্বেগ প্রসঙ্গে শাহরিয়ার কবির উল্লেখ করেছেন, 'বহুদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে এবং হচ্ছে। জাতিসংঘের একটি আদালতও সক্রিয় রয়েছে। সে সব বিচার হচ্ছে আন্তর্জাতিক আইন অথবা ঐ সব দেশের বিধি অনুযায়ী। বাংলাদেশেও সেভাবেই সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতার সঙ্গে বিচার হচ্ছে যার বড় প্রমাণ হলো অভিযুক্তদের আপীলের সুযোগ। অন্য কোথাও আপীলের সুযোগ নেই।' শাহরিয়ার কবির বৈঠক শেষে এনাকে আরও জানান, '২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোট যদি আবার বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয় তাহলে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ আবারও জঙ্গীবাদের শক্ত ঘাঁটিতে পরিণত হবার আশঙ্কা রয়েছে।'
২৬ অক্টোবর স্থানীয় সময় দুপুরে (বাংলাদেশ সময় ঈদের দিন ভোর রাত) ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঐ বৈঠক শেষে শাহরিয়ার কবির আরও জানান, 'কক্সবাজারের রামুতে গত ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর বৌদ্ধ পল্লীতে যে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে তার মূল পরিকল্পনাকারী হচ্ছে জামায়াতীরা। তাদের সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিচ্ছিন্ন একটি অংশ যোগ দিয়েছে। শুধু তাই নয়, এটা নানাভাবে প্রমাণিত সত্য যে, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোট যখন ক্ষমতায় ছিল তখন সরকারের সহায়তায়, প্রধানত জামায়াতে ইসলামীর প্রত্যক্ষ মদদে সারাদেশে শতাধিক জঙ্গী মৌলবাদী সংগঠন এবং ৫ শতাধিক ইসলামিক এনজিওর অভ্যুদয় ঘটেছে, যাদের অধিকাংশের তৎপরতা হচ্ছে কক্সবাজার ও পার্বত্য চট্টগ্রামকে কেন্দ্র করে। বিভিন্ন সময়ে এসব এলাকা থেকে গ্রেফতারকৃত জঙ্গীরা কবুল করেছেÑ বার্মার আরাকানের সঙ্গে কক্সবাজারসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের একটি অংশকে যুক্ত করে তারা একটি স্বাধীন ইসলামী রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে চায়। সে সময় আমরা অনুসন্ধান করে জেনেছি বাংলাদেশ-বার্মা সীমান্তে 'আরএসও'সহ রোহিঙ্গাদের ১৭টি জঙ্গী মৌলবাদী সংগঠন বিভিন্ন ধরনের জঙ্গী তৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে, যাদের অধিকাংশই জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে যুক্ত।' শাহরিয়ার কবির স্টেট ডিপার্টমেন্টকে সুনির্দিষ্টভাবে অবহিত করেছেন যে, 'বর্তমান সরকারের আমলেও বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা কোন কোন এলাকায় নির্যাতিত হচ্ছেন। তবে সে সব ঘটনা অস্বীকার না করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে।' শাহরিয়ার কবির জানান, 'দুঃখজনক হলেও সত্য, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর অকথ্য নির্যাতনের ঘটনাবলী সে সময়ের বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার স্বীকারই করেনি। এর ফলে আক্রমণকারীরা উৎসাহ পেয়েছে আরও হামলায়।' গত ১৭ অক্টোবর নিউইয়র্কে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক উড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত বাংলাদেশী নাফিজ প্রসঙ্গে শাহরিয়ার কবির স্টেট ডিপার্টমেন্টকে জানিয়েছেন যে, 'নাফিসেরা হচ্ছেন পরিস্থিতির শিকার। জামায়াতে ইসলামী বিভিন্ন ছদ্মনামে বাংলাদেশের তরুণ সমাজের মগজধোলাই করছে এবং তাদের ইসলামিক সন্ত্রাসী হিসেবে পরিণত করছে। নাফিসের গডফাদার হচ্ছে বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামী। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সমাপ্ত করার মাধ্যমেই জামায়াতে ইসলামীতে ধর্মীয় উগ্রবাদী ধ্যান-ধারণার নেতৃত্ব নিশ্চিহ্ন করা সম্ভব এবং তাহলেই চলমান আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ সফল হবে।' বৈঠকে অংশ নেন স্টেট ডিপার্টমেন্টে দক্ষিণ এশিয়া ব্যুরো অব ডেমোক্র্যাসি, হিউম্যান রাইটস এ্যান্ড লেবার বিষয়ক পলিসি ডিরেক্টর বিদিশা বিশ্বাস, ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন্স অফিসার নিদা এম আনসারী, বাংলাদেশ ডেস্কের রাজনীতি ও অর্থনৈতিক বিষয়ক অফিসার আরতি স্রফ, বাংলাদেশ ডেস্কের অফিসার বেন বেরি (ইবহ ইধৎৎু) এবং সাই কুচাইভোয়েটা।
শাহরিয়ার কবিরের এ বৈঠকের সমন্বয় করেন যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সেক্রেটারি ও যুক্তরাষ্ট্রস্থ বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের আন্তর্জাতিক সমন্বয়কারী শিতাংশু গুহ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি স্বীকৃকি বড়ুয়া, সত্যানন্দ ভিক্ষু এবং উপতিষ্য চাকমা।
বৈঠক প্রসঙ্গে শীতাংশ গুহ এনাকে বলেন, 'ইতোপূর্বে আরও বৈঠকে অংশ নিয়েছি। কিন্তু এবারের বৈঠকে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মনোযোগ ছিল অনেক বেশি। তারা রামু পরিস্থিতি নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন বলেই মনে হয়েছে।' একই ইস্যুতে এর আগে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনে ব্যাপক প্রভাব রয়েছে এমন দুটি থিঙ্কট্যাঙ্কের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও মিলিত হয়েছেন শাহরিয়ার কবির। সেগুলো হচ্ছে ব্রুকিংস ইনস্টিটিউট এবং আটলান্টিক কাউন্সিল। এ দুটি থিঙ্কট্যাঙ্ক যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনকে পররাষ্ট্র বিষয়ক নীতি তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
২৭ অক্টোবর তিনি নর্থ ক্যারোলাইনার ডিউক ইউনিভার্সিটিতে 'বিশ্বব্যাপী ধর্মীয় মৌলবাদের উত্থান' শীর্ষক এক আলোচনায় বক্তব্য রাখেন। এতে নতুন প্রজন্মের আমেরিকান এবং বাংলাদেশী বংশোদ্ভূতরাও বিপুলভাবে অংশ নেন। এ সময় ইসলাম ধর্মের নামে দেশে দেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের আলোকে শাহরিয়ার কবিরের নির্মিত একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। এ কর্মসূচীর সার্বিক সমন্বয় করেন সেখানকার নর্থ ক্যারোলাইনা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির স্কুল অব বিজনেসের অর্থনীতি বিষয়ক সহযোগী অধ্যাপক ড. এবিএম নাসির।
এদিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ২৮ অক্টোবর রবিবার সন্ধ্যায় (বাংলাদেশ সময় সোমবার সকাল) নিউইয়র্ক সিটির এস্টোরিয়ায় ক্লাব সনমে শাহরিয়ার কবিরের সঙ্গে প্রবাসীদের মতবিনিময় অনুষ্ঠানটি বুধবার নাগাদ স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
একাত্তরের ঘাতকদের বিচার নিয়ে আন্তর্জাতিক কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থার উদ্বেগ প্রসঙ্গে শাহরিয়ার কবির উল্লেখ করেছেন, 'বহুদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে এবং হচ্ছে। জাতিসংঘের একটি আদালতও সক্রিয় রয়েছে। সে সব বিচার হচ্ছে আন্তর্জাতিক আইন অথবা ঐ সব দেশের বিধি অনুযায়ী। বাংলাদেশেও সেভাবেই সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতার সঙ্গে বিচার হচ্ছে যার বড় প্রমাণ হলো অভিযুক্তদের আপীলের সুযোগ। অন্য কোথাও আপীলের সুযোগ নেই।' শাহরিয়ার কবির বৈঠক শেষে এনাকে আরও জানান, '২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোট যদি আবার বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয় তাহলে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ আবারও জঙ্গীবাদের শক্ত ঘাঁটিতে পরিণত হবার আশঙ্কা রয়েছে।'
২৬ অক্টোবর স্থানীয় সময় দুপুরে (বাংলাদেশ সময় ঈদের দিন ভোর রাত) ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঐ বৈঠক শেষে শাহরিয়ার কবির আরও জানান, 'কক্সবাজারের রামুতে গত ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর বৌদ্ধ পল্লীতে যে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে তার মূল পরিকল্পনাকারী হচ্ছে জামায়াতীরা। তাদের সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিচ্ছিন্ন একটি অংশ যোগ দিয়েছে। শুধু তাই নয়, এটা নানাভাবে প্রমাণিত সত্য যে, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোট যখন ক্ষমতায় ছিল তখন সরকারের সহায়তায়, প্রধানত জামায়াতে ইসলামীর প্রত্যক্ষ মদদে সারাদেশে শতাধিক জঙ্গী মৌলবাদী সংগঠন এবং ৫ শতাধিক ইসলামিক এনজিওর অভ্যুদয় ঘটেছে, যাদের অধিকাংশের তৎপরতা হচ্ছে কক্সবাজার ও পার্বত্য চট্টগ্রামকে কেন্দ্র করে। বিভিন্ন সময়ে এসব এলাকা থেকে গ্রেফতারকৃত জঙ্গীরা কবুল করেছেÑ বার্মার আরাকানের সঙ্গে কক্সবাজারসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের একটি অংশকে যুক্ত করে তারা একটি স্বাধীন ইসলামী রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে চায়। সে সময় আমরা অনুসন্ধান করে জেনেছি বাংলাদেশ-বার্মা সীমান্তে 'আরএসও'সহ রোহিঙ্গাদের ১৭টি জঙ্গী মৌলবাদী সংগঠন বিভিন্ন ধরনের জঙ্গী তৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে, যাদের অধিকাংশই জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে যুক্ত।' শাহরিয়ার কবির স্টেট ডিপার্টমেন্টকে সুনির্দিষ্টভাবে অবহিত করেছেন যে, 'বর্তমান সরকারের আমলেও বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা কোন কোন এলাকায় নির্যাতিত হচ্ছেন। তবে সে সব ঘটনা অস্বীকার না করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে।' শাহরিয়ার কবির জানান, 'দুঃখজনক হলেও সত্য, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর অকথ্য নির্যাতনের ঘটনাবলী সে সময়ের বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার স্বীকারই করেনি। এর ফলে আক্রমণকারীরা উৎসাহ পেয়েছে আরও হামলায়।' গত ১৭ অক্টোবর নিউইয়র্কে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক উড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত বাংলাদেশী নাফিজ প্রসঙ্গে শাহরিয়ার কবির স্টেট ডিপার্টমেন্টকে জানিয়েছেন যে, 'নাফিসেরা হচ্ছেন পরিস্থিতির শিকার। জামায়াতে ইসলামী বিভিন্ন ছদ্মনামে বাংলাদেশের তরুণ সমাজের মগজধোলাই করছে এবং তাদের ইসলামিক সন্ত্রাসী হিসেবে পরিণত করছে। নাফিসের গডফাদার হচ্ছে বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামী। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সমাপ্ত করার মাধ্যমেই জামায়াতে ইসলামীতে ধর্মীয় উগ্রবাদী ধ্যান-ধারণার নেতৃত্ব নিশ্চিহ্ন করা সম্ভব এবং তাহলেই চলমান আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ সফল হবে।' বৈঠকে অংশ নেন স্টেট ডিপার্টমেন্টে দক্ষিণ এশিয়া ব্যুরো অব ডেমোক্র্যাসি, হিউম্যান রাইটস এ্যান্ড লেবার বিষয়ক পলিসি ডিরেক্টর বিদিশা বিশ্বাস, ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন্স অফিসার নিদা এম আনসারী, বাংলাদেশ ডেস্কের রাজনীতি ও অর্থনৈতিক বিষয়ক অফিসার আরতি স্রফ, বাংলাদেশ ডেস্কের অফিসার বেন বেরি (ইবহ ইধৎৎু) এবং সাই কুচাইভোয়েটা।
শাহরিয়ার কবিরের এ বৈঠকের সমন্বয় করেন যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সেক্রেটারি ও যুক্তরাষ্ট্রস্থ বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের আন্তর্জাতিক সমন্বয়কারী শিতাংশু গুহ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি স্বীকৃকি বড়ুয়া, সত্যানন্দ ভিক্ষু এবং উপতিষ্য চাকমা।
বৈঠক প্রসঙ্গে শীতাংশ গুহ এনাকে বলেন, 'ইতোপূর্বে আরও বৈঠকে অংশ নিয়েছি। কিন্তু এবারের বৈঠকে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মনোযোগ ছিল অনেক বেশি। তারা রামু পরিস্থিতি নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন বলেই মনে হয়েছে।' একই ইস্যুতে এর আগে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনে ব্যাপক প্রভাব রয়েছে এমন দুটি থিঙ্কট্যাঙ্কের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও মিলিত হয়েছেন শাহরিয়ার কবির। সেগুলো হচ্ছে ব্রুকিংস ইনস্টিটিউট এবং আটলান্টিক কাউন্সিল। এ দুটি থিঙ্কট্যাঙ্ক যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনকে পররাষ্ট্র বিষয়ক নীতি তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
২৭ অক্টোবর তিনি নর্থ ক্যারোলাইনার ডিউক ইউনিভার্সিটিতে 'বিশ্বব্যাপী ধর্মীয় মৌলবাদের উত্থান' শীর্ষক এক আলোচনায় বক্তব্য রাখেন। এতে নতুন প্রজন্মের আমেরিকান এবং বাংলাদেশী বংশোদ্ভূতরাও বিপুলভাবে অংশ নেন। এ সময় ইসলাম ধর্মের নামে দেশে দেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের আলোকে শাহরিয়ার কবিরের নির্মিত একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। এ কর্মসূচীর সার্বিক সমন্বয় করেন সেখানকার নর্থ ক্যারোলাইনা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির স্কুল অব বিজনেসের অর্থনীতি বিষয়ক সহযোগী অধ্যাপক ড. এবিএম নাসির।
এদিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ২৮ অক্টোবর রবিবার সন্ধ্যায় (বাংলাদেশ সময় সোমবার সকাল) নিউইয়র্ক সিটির এস্টোরিয়ায় ক্লাব সনমে শাহরিয়ার কবিরের সঙ্গে প্রবাসীদের মতবিনিময় অনুষ্ঠানটি বুধবার নাগাদ স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার, ৩০ অক্টোবর ২০১২, ১৫ কার্তিক ১৪১৯
মুক্তিযোদ্ধাদের খতমের শপথ দেন মুজাহিদ: শাহরিয়ার কবির
__._,_.___