সনাতনধর্মাবলম্বীদেরগো-মাংস সরবরাহকারীদেরবিরুদ্ধেব্যবস্থা নিন
লেখক: ইত্তেফাক রিপোর্ট | বৃহস্পতি, ৫ জানুয়ারী ২০১২, ২২ পৌষ ১৪১৮
সিলেটের ডিসি ও এসপিকে হাইকোর্ট
সিলেটের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে খাদ্য হিসেবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের গরুর মাংস সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সেখানকার জেলা প্রশাসক, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমকে নিয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল বুধবার এ নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ওই ঘটনায় নিজেদের ভূমিকা ব্যাখ্যা করতে অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ড. সায়েলা খাতুন, সদস্য সচিব নাজমা বেগম এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে আগামী ১৬ জানুয়ারি আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে একইদিন এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। হাইকোর্টের আদেশে বলা হয়, বাংলাদেশ একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। এ দেশের সংবিধানে সকল ধর্মাবলম্বীর সমান অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। এখানে পুনর্মিলনীর মতো সার্বজনীন অনুষ্ঠানে গরুর মাংস খাওয়ানো হয়েছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা গরুর মাংস খান না। সেখানে এ ধরনের অনুষ্ঠানে মানুষকে বিভ্রান্ত করে গরুর মাংস খাওয়ানো মারাত্মক ধরনের অপরাধ। অনুষ্ঠানের আয়োজক ও খাবার পরিবেশনে দায়িত্ব পালনকারীরা এর দায় এড়াতে পারেন না।
দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৫ ডিসেম্বর সিলেটের অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ১০৮ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে খাসি ও মুরগির কথা বলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের গরুর মাংস খাওয়ানোর ঘটনা ঘটে। এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অমিত দাস গুপ্ত নামে এক আইনজীবী হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
__._,_.___