That's true ! She was bad influence for our Cricket team . The match was under control until she arrived !!
খালেদাকে হাসিনা- কাকে উৎসাহ দিতে মাঠে গিয়েছিলেন
বুধবার, ২৮ মার্চ ২০১২ স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলের নেতা বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেছেন, এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলায় কাকে উৎসাহ দিতে তিনি মাঠে গিয়েছিলেন? জীবনে তো তাকে খেলার মাঠে দেখিনি। এদিন তিনি এত ক্রিকেটপ্রেমী হলেন কিভাবে? তিনি বলেন, খেলায় তো আমরা জিতেই গিয়েছিলাম। মাত্র দুই রানের জন্য জিততে পারিনি। অনেকে বলে তিনি যদি মাঠে না যেতেন...। গতকাল স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার হয়েছে, বিচারের রায় বাস্তবায়ন করা হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে, এই বিচার হবে এবং বাস্তবায়ন হবে। এই বিচার হয়তো প্রজন্মের পর প্রজন্ম চলবে। স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিদের দালাল এবং দোসররা যাতে আর ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্য সজাগ থাকতে দেশবাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন তিনি। আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজ, সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ও সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী বক্তব্য দেন। অতীতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এত দিন ইতিহাস বিকৃতি করা হলেও এখন সত্য ইতিহাস বেরিয়ে আসছে। সত্য কেউ চাপা দিতে পারে না। নতুন প্রজন্ম ও যুব সমাজ এখন সত্য ইতিহাস জানতে পারছে। তিনি বলেন, এ কারণেই দেশের মানুষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে এত সোচ্চার। প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন। কিন্তু '৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা বিরোধীদের পুনর্বাসন শুরু করেন। তাদের তিনি বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দেন। এ ক্ষেত্রে এরশাদও কম যাননি। তিনিও খুনি ফারুককে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করানো ও দল গঠনে সহায়তা করেন। কিন্তু আমরা ক্ষমতায় এসে খুনিদের বিচার করেছি। এখন যু্দ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে। সরকার খেলাধুলা, শিক্ষা ও সংস্কৃতি চর্চায় গুরুত্ব দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা যাতে নৈতিক শিক্ষা লাভ করতে পারে সেজন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সরকার ক্ষমতার আসার পর আমরা দেশের মানুষের জন্য সম্মান বয়ে এনেছি। মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা জয় করেছি। ২০১৪ সালে জনগণের ভোটে আমরা আবারও ক্ষমতায় আসতে পারলে ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা মামলায় জয়ী হতে পারবো। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী '৭৫ সালের হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে বলেন, সেদিনের ঘটনা যদি না ঘটতো তাহলে বাংলাদেশ আরও ২০ বছর আগেই উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে অধিষ্ঠিত হতো। যারা পরাজিত শক্তির উৎকোচ খায়, তাদের হাতে ক্ষমতা ছিল বলেই দেশ সামনের দিকে এগোয়নি। দেশের প্রতি মানুষের প্রতি আমাদের যে দায়িত্ব ও দরদ আছে তাদের তো সেটা নেই। আলোচনা সভায় সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, বিশ্বের কোন দেশে স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনীতি করার অধিকার নেই। আমরাও তাই করেছিলাম। আমাদের নেত্রী অত্যন্ত উদার হয়ে তাদের সুযোগ দিয়েছেন। যুদ্ধাপরাধীদের কেউ বাঁচাতে পারবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে আগে ঠিক করতে হবে তিনি নিজেকে বাঁচাবেন না জামায়াতকে বাঁচাবেন। আর সবাইকে মনে রাখতে হবে একটি দেশের স্বাধীনতার দু'টি ইতিহাস হতে পারে না। থাকতে পারে না। শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক বললেও তিনি নয় নম্বর ঘোষক। এর আগে আওয়ামী লীগ নেতা এমএ হান্নান স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন। আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, '৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বরের পর দেশে আর দুই পক্ষ থাকতে পারে না। যারা এখন দেশে দুই পক্ষের কথা বলে তারা পাকিস্তানের প্রেতাত্মা। তারা শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদ যেই হোক তারা দেশদ্রোহী। তাদের নির্মূল করাই আজকের স্বাধীনতা দিবসের অঙ্গীকার। দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা নিজেরা ঐক্যবদ্ধ না থাকলে '৭৫-পরবর্তী অবস্থার চেয়ে ভাল কিছু আশা করতে পারি না। সর্বশেষ আপডেট বুধবার, ২৮ মার্চ ২০১২ ০২:৪৮ |
এই সংবাদ সম্পর্কে আপনার মতামত দিন
__._,_.___