এটি আশঙ্কার বিষয় যে মিডিয়া মানুষকে আজকাল বিভ্রান্ত করছে। কোন কোন বিষয়ে তারা এমন ধারণার সৃষ্টি করেছে যা সত্যের বিপরীত। বালখিল্যতাতো আছেই। যে দিন হুমায়ূন আহমেদের মরদেহ এলো বাংলাদেশে, সেদিন সকালে শুনি একটি চ্যানেলের একজন রিপোর্টার বলছেন, এই যে এমেরিটাস বিমান আসছে। সে আজ ধন্য, কারণ সে বহন করছে হুমায়ূন আহমেদের মরদেহ। কী বলব! যাক, পুরনো বিষয়ে ফিরে যাই।
কয়েকদিন আগে ফলাও করে প্রত্যেক পত্রিকায় ছাপা হলো পাকিস্তানের এক জেনারেল খাদিম হুসাইন রাজা একটি বই লিখেছেন ১৯৭১ সাল সম্পর্কে। সেখানে এমন সব তথ্য আছে যার জন্য বলেছিলেন মৃত্যুর পর তা প্রকাশ করতে। টিক্কা ও নিয়াজীর দুটি উদ্ধৃতি ব্যবহার করে সংবাদে জানানো হয়েছে এরাই ছিলেন কালপ্রিট, খাদিম ছিলেন বিপরীত। বাঙালীর প্রতি ছিলেন সমব্যথী। ইঙ্গিতটা এমনই। তার বইয়ে গণহত্যা যারা চালিয়েছে তাদের অনেকের নাম আছে ইত্যাদি।
সংবাদটি পড়ে কৌতূহল হলো, আমি ২১ জন পাকিস্তানী জেনারেলের আত্মজীবনীর ওপর ভিত্তি করে পাকিস্তানী জেনারেলদের মন নামে একটি বই লিখেছি [সময় প্রকাশন ৯৯, ২০১০] সেখানে খাদিম সম্পর্কে কাউকে খুব একটা উচ্চবাচ্য করতে শুনিনি। তার পাকিস্তানী জেনারেল বাঙালী ও বাংলাদেশ সম্পর্কে ভাল মন্তব্য করবেন তা হতেই পারে না। এরা হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে কাপুরুষ সেনাবাহিনী, পৃথিবীর অন্যতম ধর্ষক সেনাবাহিনী। ১৯৫৮ সাল থেকে তারা নিরস্ত্রদের বিরুদ্ধে শুধু লড়াই করে হত্যা করেছে। আর সশস্ত্রদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তেমন সুবিধা করতে পারেনি। নিরস্ত্র অসহায় বাঙালী বালিকা, নারীদের ধর্ষণ করেছে। অবশেষে বাঙালীদের কাছে হাঁটু গেড়ে বসার পর নিজেদের দেশে খানিকটা মাতব্বরী করতে পারছে। ভাবলাম পৃথিবীর খবর কি খুব অসত্য হবে, অনেক অর্থের বিনিময়ে ১২৬ পৃষ্ঠার বইটি যোগাড় করেছি এবং পড়ে হতাশ হয়েছি। গুণেমানে আগে প্রকাশিত ২১টি বই থেকে এটি খাটো তো বটে, বাঙালীদের সপক্ষে কোন বক্তব্য নেই, নতুন এক-দুটি তথ্য আছে, যা না জানলে ক্ষতি বৃদ্ধি নেই।
খাদিমের বইটি প্রকাশিত হয়েছে তাঁর মৃত্যুর ১৩ বছর পর। প্রকাশ করেছে করাচীর অক্সফোর্ড। মূল বই ১১১ পাতার দাম ৬৯৫ পাকিস্তানী টাকা। এই বইটির বিজ্ঞাপনের দরকার ছিল। মিডিয়া সেই বিজ্ঞাপন বইটিকে দিয়েছে যে কারণে আমরা অনেকেই আগ্রহান্বিত হয়েছিলাম। আসলে আমরা বার বার ভুলে যাই একজন পাকি জেনারেল অন্তিমে পাকি জেনারেলই। তার আনুগত্য প্রধানত পাঞ্জাব আর পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর প্রতি, তার দেশের প্রতিও নয়। পৃথিবীতে এ রকম বাহিনী খুব বিরল, যাদের দেশের প্রতি কোন ভালবাসা নেই, কমিটমেন্ট নেই, তবে আছে নিজ দেশ দখলের তীব্র বাসনা।
১৯৬৮ সালে ব্রিগেডিয়ার খাদিম হুসাইন রাজা আর্মি ওয়ার কোর্সে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। প্রশিক্ষণরত এই ব্যাচটি কোর্সের একটি অংশ হিসেবে ঢাকায় আসে। খাদিম ঢাকায় এসেই 'ঐক্যবদ্ধ পাকিস্তানের' দুটি অংশের মধ্যে পার্থক্য দেখে অবাক হন। কারণ কী? বাঙালীরা সামগ্রিকভাবে পশ্চিম পাকিস্তানীদের সমলোচনা করছে বিশেষভাবে পাঞ্জাবীদের। বিহারীদের প্রতিও তাদের মনোভাব একই রকম। তাদের দেখা হতো বিদেশী উৎখাতকারী রূপে যারা প্রতিটি ক্ষেত্রে বাঙালীদের চেয়ে এগিয়ে আছে। তিনি শুনেছেন পাঞ্জাবী আর বিহারীদের 'শালা পাঞ্জাবী' আর 'শালা বিহারী' বলা হয়। তিনি লিখেছেন, উর্দুর বিরুদ্ধে সেন্টিমেন্ট এত প্রবল যে খালি বাংলায় সাইনবোর্ড লাগানো হয়। ইংরেজী আর উর্দুতে লেখা সাইনবোর্ড লাগাতে দেয়া হয় না। বাঙালী দোকানদাররা পর্যন্ত পশ্চিমা খরিদ্দারদের পাত্তা দেয় না। খাদিম লিখেছিলেন, পরিবেশ এত অবান্ধব যে নিজ দেশেই পরবাসী মনে হচ্ছিল এবং পশ্চিম পাকিস্তানী হিসেবে অনাহূত।
জেনারেল মিঠ্টা ও অন্যদের ভাষ্যও একই রকম। ১৯৬৮ সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা চলছে তখন একজন পাকিস্তানী ব্রিগেডিয়ারকে বন্ধু ভাবার কোন কারণ নেই। বিহারীদের সঙ্গে বাঙালীদের কোন প্রতিযোগিতা ছিল না। তাদের উচ্চপদে বসিয়ে দেয়া হতো। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বলি। আমার বাবা চট্টগ্রাম বন্দরে চাকরি করতেন। প্রশাসনে তিনিই ছিলেন তখন একমাত্র সর্বোচ্চ ডিগ্রীধারী, কিন্তু উপসচিব। আর সচিব ছিলেন মোহাজের অবাঙালী, ম্যাট্রিক পাস। তা বাঙালীদের পাঞ্জাবীদের প্রতি ক্ষোভ থাকবে না কি ভালবাসা থাকবে?'
পাঞ্জাবীদের প্রতি বাঙালীদের কেন বালুচীদেরও ক্ষোভ ছিল, সিন্ধিদেরও, পাকিস্তানী জেনারেলদের লেখায়ও তা প্রতিফলিত। যেমন, মেজর জেনারেল তোজাম্মেল হুসাইন মালিকের কথা ধরা যাক, ১৯৯১ সালে প্রকাশিত হয় তার 'ফ্রি স্টোরি অব মাই স্ট্রাগল।' এটি নিয়ে পত্রিকা রিপোর্ট করলেও মানানসই হতো। তিনি ছিলেন বালুচ। তাঁর বইটি পাকি জেনারেলদের লেখা বইগুলোর মধ্যে সবক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। আরেক বালুচ জেনারেল মোহাম্মদ মুসার কথাও আলোচনা করা যেতে পারে। ১৯৮৪ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর বই 'জোয়ান টু জেনারেল।' আইয়ুব খানের সময় তিনি ছিলেন পাকিস্তানী বাহিনীর সেনাপতি। পাঞ্জাবী জেনারেল কেএম আরিফ। তার বইয়ের নাম 'খাকি শ্যাডোজ।' ২০০২ সালে প্রকাশিত।
তোজাম্মেল হোসেন মালিকের বইটি শুধু সর্বক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী মনে হয়েছে। মালিক গোঁড়া মুসলমান, শরিয়ত মেনে চলেন। কিন্তু আশ্চর্য যে, আগাগোড়া বইটিতে তিনি সামরিকবাহিনীর সমালোচনা করেছেন। পাকিস্তান যে কারণে ভাঙল তা তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন এবং তাতে সফলও হয়েছেন [একজন সৈনিকের পক্ষে যতটা সম্ভব]। তাঁর বইটি গুরুত্বপূর্ণ এ কারণে যে, জেনারেলদের মধ্যে তিনিই একমাত্র ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সম্মুখ লড়াইয়ে অংশ নিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশ, বাঙালী বা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অযথা কোন বিদ্বেষ নেই।
বাঙালীদের হাতে ধরা পড়ার পর মুক্তিবাহিনী তাকে বালুচী দেখে হত্যা করেনি। মুক্তিযুদ্ধের সময় মনে আছে, অবরুদ্ধ বাংলাদেশ, বাঙালীরা বালুচীদের অন্য চোখে দেখতেন। ভাবতেন, তারা অপেক্ষাকৃত দয়ালু। ঘৃণাটা পাকিস্তান তো বটেই, আরও নির্দিষ্টভাবে পাঞ্জাবীদের প্রতি ছিল। বালুচীদের দেখা হতো বাঙালীদের মতো যারা দলিত। হয়তো, বালুচীরাও সেভাবে দেখতেন। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে, জেনারেল গুল হাসানের জন্মও তো কোয়েটায় কিন্তু তাঁর অবস্থান একেবারে বিপরীতে। আবার ১৯৭১ সম্পর্কিত জেনারেল মুসার বিবরণ মালিকের কাছাকাছি। জেনারেল মুসাও ছিলেন বালুচী। রাজনীতিবিদদের সমালোচনা তিনি পাঞ্জাবীদের মতো করেননি। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিচার করলে আবার বলতে হবে, গুল হাসান বালুচীদের মধ্যে ব্যতিক্রমী বা বালুচিস্তানে জন্ম হলেও আগাগোড়া তার কেটেছে পাঞ্জাবে। আসলে যে প্রশ্নটি করতে চাই, তা হলো, সব রচয়িতাকে কি অন্তিমে জাতীয়তা প্রভাবিত করে? ইতিহাস?
এ ক্ষেত্রে দুটি উদাহরণ দিয়ে শেষ করব। আইয়ুব খানের সময় পাকিস্তানের সেনাপ্রধান হন জেনারেল মোহাম্মদ মুসা। সাধারণ সৈনিক থেকে তিনি জেনারেল ও সেনাপ্রধান হয়েছিলেন। পূর্ব পাকিস্তানেও জিওসি হিসেবে কাজ করেছেন। তারপর জেনারেল ইয়াহিয়া সেনাপ্রধান হন। মুসা, ইয়াহিয়াকে রেকমেন্ড করেননি। আইয়ুব করে ছিলেন। ইন্টারেস্টিং হলো, ইয়াহিয়াই আইয়ুবকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। অন্যদিকে, ভুট্টো জেনারেল জিয়াকে সেনাপ্রধান করেছিলেন। জিয়াই তাকে ফাঁসি দিয়েছিলেন। ১৯৬৬ সালে মুসা অবসর গ্রহণ করেন। তার সঙ্গে পরবর্তীকালে ঘটনাবলীর কোন সম্পর্ক ছিল না।
তার আত্মজীবনীতে তিনি লিখেছেন, আওয়ামী লীগকে সরকার গঠন করতে দেয়া উচিত ছিল। তাছাড়া, সরকার তো আওয়ামী লীগের ছয় দফার ব্যাপারে কোন আপত্তি করেনি এবং তারা সেই প্রোগ্রামের ভিত্তিতেই জয়লাভ করেছে। সুতরাং তাদের অধিকার ছিল ক্ষমতায় যাওয়ার। তার মতে, শাসকচক্র আসলে এ ধরনের নির্বাচনী ফল আশা করেনি। সুতরাং, যারা করার, তা না করে In their distrubed and confused state of mind...the. resorted to political manipulations.
মুসা একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। ইয়াহিয়াকে যখন আইয়ুব ঠিক করেছিলেন তখন মুসা জানিয়েছিলেন, ইয়াহিয়া ভুট্টোর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ, এ পরিপ্রেক্ষিতে তাকে সেনাপ্রধান না করাই উচিত। এটি ১৯৬৬ সালের কথা। মুসা আরও জানিয়েছে, ভুট্টো যখন শুনলেন ইয়াহিয়া সেনাপ্রধান হচ্ছেন, তখন তিনি অত্যন্ত খুশি হয়েছিলেন। এ থেকে অনুমান করা যায়, ভুট্টো-ইয়াহিয়ার বন্ধুত্ব অনেক পুরনো এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা তারা একত্রে পরিকল্পিতভাবে করেছিলেন।
জেনারেল মুসা পরামর্শ দিয়েছেন, সেনাবাহিনীকে রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে। কারণ, তা তার কাজও নয় এবং সে জন্য তার কোন প্রশিক্ষণও নেই। ১৯৭১ সাল থেকে তিনি সবাইকে সবক নিতে বলেছেন "Neither God nor history forgives those who do not learn from past mistakes and repeat them.
অন্যদিকে জেনারেল আরিফের কথা ধরা যাক। জেনারেল জিয়াউল হকের আমলে তিনি ছিলেন সেনাপ্রধান। ১৯৭১ ও সামরিক শাসন প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি চিরাচরিত প্রথায় সেই রাজনীতিবিদদেরই দোষারোপ করেছেন। পাকিস্তান ভাঙ্গার জন্য শেখ মুজিবুর রহমানের 'বিশ্বাসঘাতকতা', ভুট্টোর উচ্চাশা ও ভারতের ষড়যন্ত্রকে দায়ী করেছেন। লক্ষ্য করুন 'বিশ্বাসঘাতক' ও 'উচ্চাশা' শব্দটির মধ্যে তফাৎ আকাশপাতাল। তার ভাষায় "In the final analysis pakistan's internal mismanagemant, the treachery of Sheikh Mujibur Rahman, the Overambitiousness of Mr. Bhutto and the inept leadership of General Yahyah Khan contributed to converting East Pakistan into Bangladesh, no less than the covert and overt aggression committed by India.
১৯৬৯ সালে খাদিমকে মেজর জেনারেল পদে প্রমোশন দিয়ে ১০৭ ব্রিগেডের অধিনায়ক করে পাঠানো হয়। এর সদর ছিল যশোর। একই সঙ্গে তিনি খুলনা ডিভিশনের উপসামরিক আইন প্রশাসকও নিযুক্ত হন। যশোরে এসে তিনি কী দেখবেন? পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে এর দীর্ঘ সীমানা এবং সীমান্তে পারাপার প্রায় খোলাখুলি হচ্ছে। খুলনা থেকে কলকাতা ৪০ মাইল দূরে, এখানে ২০ ভাগ হিন্দু। এবং অনুপ্রবেশ অপতৎপরতা, ধ্বংসাত্মক কাজে এটি আদর্শ পরিবেশের সৃষ্টি করেছিল শত্রু ভারতের জন্য। খুলনায় শ্রমিকদের বেশ বড়সড় সমাবেশ ছিল যারা অসন্তোষে টগবগ করে ফুটছিল। সংখ্যালঘু হিন্দু, আত্মগোপনকারী কমিউনিস্ট এবং আওয়ামী লীগের মিলিট্যান্টদের টাকা দিয়ে হিন্দু ভারত অপতৎপরতা চালাতে পারত। কারণ, সীমান্তের ওপার থেকে তারা সবরকম সাহায্য পেত।
প্রথম ছয় পাতার মধ্যেই খাদিম হিন্দু এবং আওয়ামী লীগারদের নিয়ে এসেছেন তার পূর্বসূরিদের মতো। এখন পাঠক বন্ধু, ১৯৬৯ সালে কি খোলা ছিল খুলনা-বনগাঁ সীমান্ত? ১৯৬৯ সালে বাংলাদেশে ইংরেজী-উর্দু-সাইনবোর্ড ছিল না এটিও কি সত্য? ১৯৬৯ সালে সবুর খানের মতো দুর্বৃত্ত বেঁচে থাকতে হিন্দুদের পক্ষে সম্ভব ছিল ওপার থেকে সাহায্য নিয়ে সাবোটাজ করা? কিন্তু খাদিম তো পাকিস্তানী। এই ফ্রেমের বাইরে তো চিন্তা করা তার পক্ষে সম্ভব নয়।
খাদিম আফসোসের সঙ্গে জানাচ্ছেন, সামরিক আইন কর্তৃপক্ষ থেকে নির্দেশ ছিল, শেখ মুজিবকে কিছু করা যাবে না। এই সুযোগে তিনি 'শালা পাঞ্জাবী', 'শালা বিহারী' ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করতে লাগলেন। আর সবুর খানের মতো মুসলিম লীগ নেতাদের চুপ করে থাকতে হচ্ছিল। সেনাবাহিনীর মধ্যেও বাঙালী সৈনিক অফিসারদের মুজিবের বক্তৃতা-বিবৃতি প্রভাবিত করছিল। খাদিম আফসোস করে লিখেছেন, মুজিবের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের ঐক্যের পক্ষে একটি পাবলিক মিটিং করার সাহসও ছিল না কোন নেতার। তারপর দেখুন খাদিম কী বলছেন
মুজিব যে সব মিথ্যা প্রচার করছিলেন তা নাকচ করার মতো কোন পাবলিক ফিগার ছিল না। শেখ মুজিব মিথ্যা সংখ্যাতত্ত্ব দিয়ে বলছেন, পূর্ব পাকিস্তানের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা পশ্চিম পাকিস্তানে ব্যয় করা হচ্ছে। এমন কী কেন্দ্র থেকেও কোন প্রতিবাদ করা হচ্ছিল না। লেফট রাইট করা খাদিম বোঝেননি সত্যের প্রতিবাদ করার ক্ষমতা কেন্দ্রের ছিল না। (ক্রমশ)