'আমরাই বা কম কিসে?'
যুবদল নেতার অস্ত্রবাজি
তারিখ: ০৫-১১-২০১২
যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির কারারুদ্ধ সভাপতির মুক্তির দাবিতে সভা করা অন্যায় নয়। গতকাল রোববারের প্রথম আলোর প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত আলোকচিত্রে দেখা যাচ্ছে, কয়েকজন মিলে পড়ে থাকা একজনকে লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছে, আর তার পাশেই হাতে পিস্তল আর চোখে সানগ্লাস পরে দাঁড়িয়ে আছেন যুবদলের স্থানীয় সহসভাপতি পান্না মোল্লা। গত শনিবার সেখানে উভয় পক্ষ যে সশস্ত্র সংঘাতে লিপ্ত হয়, পান্না মোল্লা সেই সংঘাতের একজন অন্যতম সেনাপতি বটে। সেই সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন চারজন। নেতার হাতে পিস্তল, কর্মীরা গুলিবিদ্ধ, গণতন্ত্রের নামে সন্ত্রাস—এই কি রাজনীতি? বিরোধী দলে থাকা অবস্থাতেই যাঁরা এমন সশস্ত্র ও সহিংস, ক্ষমতায় গেলে তাঁরা কী করবেন, তা সহজেই অনুমেয়।
দেশময় ছাত্রলীগ আর যুবলীগের কর্মীদের সশস্ত্র দাপটের অভ্যস্ত ছবির পাশে যুবদল নেতার সশস্ত্র পদচারণ সমানে সমান বলে উপেক্ষা করা যায় না। দল তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেবে, তা দেখার অপেক্ষা না করে পুলিশেরই উচিত ব্যবস্থা নেওয়া। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেই খালাস যে পরিস্থিতি এখন শান্ত। সংঘাত, অস্ত্রবাজি, গুলিবিদ্ধ হওয়া ইত্যাদির পরের 'শান্ত পরিস্থিতি' তো হত্যাপুরীর শান্তি!
রাজনীতির শাসন মানে যদি অস্ত্রের শাসন হয় এবং সরকারি দল আর বিরোধী দল যদি এ বিষয়ে সমানে সমান হয়, তা হলে দেশের মানুষ কোথায় ভরসা রাখবে? আমরা সরকারি ও বিরোধী উভয় দলের সশস্ত্র ক্যাডারদের কঠোর শাস্তি চাই। চাই দল তাদের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখুক। সর্বোপরি, রাজনীতিকে প্রকৃত রাজনীতিবিদদের হাতে ফিরিয়ে দিতে না পারলে এসব বর্বর সন্ত্রাসীর হাতেই রাজনীতি জিম্মি হয়ে থাকবে। সেটা আর চলতে দেওয়া যায় না।
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-11-05/news/302726
ঢাকা, সোমবার ,৫ নভেম্বর ২০১২, ২১ কার্তিক ১৪১৯, ১৯ জিলহজ ১৪৩৩
নারায়ণগঞ্জে যুবদলের সংঘর্ষে আহত ১৫ |
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি | তারিখ: ০৩-১১-২০১২
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পাগলা নন্দলালপুর এলাকায় আজ শনিবার যুবদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে চারজন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের মুক্তির দাবিতে জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক একরামুল কবীর ওরফে মামুনের পক্ষ আজ বিকেলে নন্দলালপুর এলাকায় সমাবেশের আয়োজন করে। একই দাবিতে ওই জায়গার আধা কিলোমিটার দূরে ফতুল্লার নয়ামাটি এলাকায় থানা যুবদলের সভাপতি শহিদুল্লাহ ওরফে টিটুর পক্ষ আরেকটি সমাবেশের আয়োজন করে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রের ভাষ্যমতে, ফতুল্লা থানা যুবদলের সভাপতি শহিদুল্লাহর পক্ষ বিকেলে সমাবেশ শেষে একটি মিছিল নিয়ে নন্দলালপুর এলাকায় পৌঁছালে একরামুল কবীরের পক্ষ তাঁদের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় শাহ আলম, নূর ইসলাম, আল আমীন ও মাসুম গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত অন্যদের নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সংঘর্ষের সময় ঘটনাস্থলে সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি পান্না মোল্লাকে পিস্তল হাতে দেখা যায়। তিনি একরামুল কবীরের পক্ষের বলে জানা গেছে।
শহিদুল্লাহর দাবি, তাঁদের মিছিল নন্দলালপুর এলাকায় পৌঁছালে একরামুল কবীরের পক্ষ তাঁদের ওপর হামলা চালায় ও গুলিবর্ষণ করে। এতে তাঁদের চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
একরামুল কবীর বলেন, দুপুরে শহিদুল্লাহর পক্ষের লোকজন দুটি মাইক্রোবাস ও বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলযোগে এসে তাঁদের সমাবেশের জন্য রাখা কয়েকটি চেয়ার ও মাইক ভাঙচুর করে। বিকেলে তাঁদের সমাবেশ চলাকালে ওই পক্ষের ৩০-৪০ জন তাঁদের সমাবেশস্থলে এসে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং একপর্যায়ে সমাবেশ লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তখন সমাবেশে আসা নেতা-কর্মীরা ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মতিন বলেন, 'গুলিবর্ষণ হওয়ার কথা শুনেছি। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-11-03/news/302506
তারিখ: ০৩-১১-২০১২
ফতুল্লায় যুবদলের দু'গ্রুপে সংঘর্ষ, চার গুলিবিদ্ধসহ আহত ১৫:
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=15&dd=2012-11-04&ni=114325
__._,_.___