একাত্তরে মুজাহিদ পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতা করতেন'
নিজস্ব প্রতিবেদক | তারিখ: ০৬-১২-২০১২
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে গতকাল বুধবার জবানবন্দি দিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের অষ্টম সাক্ষী মীর লুৎফর রহমান। জবানবন্দিতে তিনি বলেন, একাত্তরে মুজাহিদ পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতা করতেন।
বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীর, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও মো. শাহিনুর ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ মীর লুৎফর রহমানের জবানবন্দি নেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মোকলেছুর রহমান। মুজাহিদ এ সময় আসামির কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন।
জবানবন্দিতে মীর লুৎফর রহমান (৫৮) বলেন, তাঁর বাড়ি ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার ঝিলটুলিতে। মুক্তিযুদ্ধকালে তিনি নবম শ্রেণীতে পড়তেন। একাত্তরে ফরিদপুরের মুজিব সড়কে (তৎকালীন জিন্নাহ অ্যাভিনিউ) তাঁদের একটি বৈদ্যুতিক ও সাইকেলের যন্ত্রাংশের দোকান ছিল। যেদিন ফরিদপুরে পাকিস্তানি সেনারা যায়, সেদিন পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে আলবদর, রাজাকার বাহিনীর লোকজন তাঁদের দোকান লুট ও অগ্নিসংযোগ করে। মুজাহিদ, আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকার, কালু বিহারি প্রমুখ পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতা করতেন।
রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী বলেন, একাত্তরে মুজাহিদ ইসলামী ছাত্রসংঘের (জামায়াতের তৎকালীন ছাত্রসংগঠন) নেতা ছিলেন। সে সময় তাঁকে একটি জিপে করে ফরিদপুর শহরে ঘোরাফেরা করতে দেখেছেন। তিনি তলোয়ার হাতে ভিলেনের মতো চলাফেরা করতেন। তিনি প্রায়ই ফরিদপুর থেকে ঢাকায় যেতেন। ফরিদপুর সার্কিট হাউসে গিয়ে তিনি কাকে কাকে ধরতে হবে, তা নিয়ে পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে পরামর্শ করতেন। তাঁর সঙ্গে বাচ্চু রাজাকারকে দেখা যেত।
মীর লুৎফর বলেন, তাঁর বাড়ি থেকে ১০০-১৫০ গজ দূরে মুন্নুদের বাড়ি। মুজাহিদ ও রাজাকাররা ওই বাড়ি তল্লাশি করে মুন্নুকে না পেয়ে তাঁর ভাই নান্নুকে ধরে নিয়ে যায়। নান্নুকে পরে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে তিনি শুনেছেন।
জবানবন্দি শেষে লুৎফরকে জেরা শুরু করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী মুন্সী আহসান কবীর। আজ বৃহস্পতিবার আসামিপক্ষ তাঁকে আবার জেরা করবে।
মাস্টারমাইন্ড ছিলেন গোলাম আযম
নিজস্ব প্রতিবেদক | তারিখ: ১১-০৯-২০১২
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ গতকাল মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্য দিতে যান সুলতানা কামাল
ছবি: প্রথম আলো
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমের বিরুদ্ধে আজ মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো জবানবন্দি দিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের তৃতীয় সাক্ষী সুলতানা কামাল।
জবানবন্দিতে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত এবং বেতারে প্রচারিত সংবাদ থেকে জানা যায়, আলবদর, আলশামস ও রাজাকার বাহিনী পাকিস্তানি সেনাদের বিভিন্ন কৌশলে সমর্থন ও সহায়তা দিয়েছে। আর এই সমর্থন ও সহযোগিতার 'মাস্টারমাইন্ড' ছিলেন জামায়াতের শীর্ষ নেতা গোলাম আযম।
বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ প্রায় এক ঘণ্টা জবানবন্দি দেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল। এরপর তাঁকে
জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী মিজানুল ইসলাম। কাল বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আবার তাঁকে জেরা করবেন।
জবানবন্দির সময় গোলাম আযম আসামির কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। গতকাল সোমবার থেকে সুলতানা কামাল ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দেওয়া শুরু করেছিলেন। সুলতানা কামাল বলেন, ১৯৭১ সালের ২৩ ও ৩১ আগস্ট লাহোর ও হায়দরাবাদে গোলাম আযম নিজে উপস্থিত থেকে পাকিস্তানি সেনাদের কর্মকাণ্ডে সমর্থন দিয়েছেন এবং মুক্তিবাহিনীর বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছেন। এ সময় তিনি মুক্তিবাহিনীকে নির্মূল করারও আহ্বান জানান।
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-09-11/news/288426
সুলতানা কামালের জবানবন্দী
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=15&dd=2012-09-11&ni=108832
বুদ্ধিজীবী হত্যা; ২৫ মার্চ থেকে ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১ - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
http://www.somewhereinblog.net/blog/onujibblog/28882040
৭১-এর যুদ্ধাপরাধ ও জামায়াতে ইসলামী
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:৪৬
|