মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০১৩, ২৮ ফাল্গুন ১৪১৯
শাহবাগ আন্দোলন দাবি আদায়ের উৎকৃষ্ট উদাহরণ ॥ মজেনা
কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সহিংসতা ও সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনাকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক ও বেদনাদায়ক বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজেনা। শাহবাগে তরুণদের গণজাগরণ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারকে সমর্থন করে তিনি বলেছেন, যে কোন প্রতিবাদ হওয়া উচিত শান্তিপূর্ণ। তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যার দ্রুত সমাধানের ওপর জোর দেন।
সোমবার সকালে আমেরিকান সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। সংবাদ সম্মেলনে তিনি যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবিতে শাহবাগে জেগে ওঠা গণজাগরণের প্রশংসা করে বলেন, দাবি আদায়ের উৎকৃষ্ট উদাহরণ শাহবাগ আন্দোলন। তিন সপ্তাহ পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে শনিবার ঢাকায় ফিরেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। সংবাদ সম্মেলনে তিনি শাহবাগ আন্দোলন, চলমান সহিংসতা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধের বিচার, জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধের দাবি এবং আগামী নির্বাচন নিয়ে তার সরকারের অবস্থান তুলে ধরেন। উপস্থিত ছিলেন সেন্টারের পরিচালক ভিরাজ লাবেইলি ও প্রেস কর্মকর্তা ক্যালি ম্যাককার্থী।
উল্লেখ্য, এর আগেও মজেনা শাহবাগের আন্দোলনের প্রতি তাঁর সমর্থনের কথা তুলে ধরেছেন। কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন রায় প্রত্যাখ্যান করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গত ৫ ফেব্রুয়ারি শাহবাগে তরুণরা এক অভূতপূর্ব স্বতঃস্ফূর্ত অহিংস আন্দোলন গড়ে তোলে। এতে সমর্থন জানিয়ে লাখো লাখো মানুষ সমবেত হন শাহবাগে। শাহবাগের ওই জাগরণ এখন ছড়িয়ে গেছে দেশজুড়ে। সর্বশেষ গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায়কে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী জামায়াত-শিবির তা-ব শুরু করে। এতে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির সমর্থন দেশব্যাপী সহিংসতাকে আরও উস্কে দিয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। সরকারী প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। পুলিশ ও সাধারণ মানুষ হত্যা করা হচ্ছে।
তবে দেশব্যাপী জামায়াতী তা-বে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হলেও আল-জাজিরার মতো আন্তর্জাতিক কয়েকটি গণমাধ্যম শুরু থেকেই জামায়াতের পক্ষ অবস্থান করে যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরোধিতা করে আসছে। জামায়াতের ঢালা মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের লবিং আন্তর্জাতিক কয়েকটি গণমাধ্যমকে তাদের পক্ষে টানতে সহায়তা করেছে। আরেক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ইকোনমিস্টের অবস্থান এখনও স্পষ্ট নয়। কখনও তারা শাহবাগকে সমর্থন করছে, আবার কখনও যুদ্ধাপরাধের বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ বলছে। এমন অবস্থায় যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে জনদাবি ও জামায়াতের সহিংসতার তথ্য ও ভিডিওচিত্র বিশ্বব্যাপী বৈদেশিক মিশনের মাধ্যমে প্রচার করার উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। গত বৃহস্পতিবার এক বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বিষয়টি নিয়ে বিদেশী কূটনীতিকদের অবহিতও করেছেন। এ অবস্থায় পরাক্রমশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্র, যে দেশটি একাত্তরে পাকিস্তানের পক্ষে কাজ করেছিল, সেদেশটির শাহবাগ আন্দোলন ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে সমর্থন স্পষ্ট করলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজেনা। তিনি যুদ্ধাপরাধের বিচারে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন রয়েছে বলে জানালেন। আর সাম্প্রতিক সহিংসতাকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের কথাও তুলে ধরলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মজেনা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে তিনি পুরো সময়টা ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক নিয়ে কাজ করেছেন। দুদেশের সম্পর্ক নিয়ে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশী-আমেরিকানদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁর মতে, অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে বর্তমানে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ভাল। তিনি এই সহযোগিতার সম্পর্ককে আরও গভীর ও দৃঢ় করতে কাজ করছেন বলে জানান।
তিনি জানান, বাংলাদেশী-আমেরিকানদের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা তাঁর কাছে বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বিশেষ করে শাহবাগ আন্দোলন নিয়ে জানতে চেয়েছেন। তিনি তাদের অবহিত করেছেন যে, মানুষের শান্তিপূর্ণ উপায়ে মত প্রকাশের একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে শাহবাগের আন্দোলন।
দেশব্যাপী সহিংসতা চালানোর কারণে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করা বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কী ভাবছে প্রশ্ন করা হলে মজেনা বলেন, এটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কারণ জামায়াত একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। সংসদেও তাদের সদস্য রয়েছেন। তাই বাইরের লোক হিসেবে এ বিষয়ে আমার কোন মন্তব্য করা উচিত নয়। তবে সহিংসতার পথ পরিহার করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সহিংসতা মত প্রকাশের কোন মাধ্যম হতে পারে না। সাধারণ মানুষের প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষতি করা ভয়াবহ বিষয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সংঘাতমূলক রাজনীতি এখনও অব্যাহত। সহিংসতা সমাধানের পথ নয়। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারকে অব্যাহতভাবে প্রয়াস চালিয়ে যেতে হবে। একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের উপায় খুঁজে নিতে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনায় বসতে হবে।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, আগামী ২৭ ও ২৮ মে ঢাকা-ওয়াশিংটন অংশীদারিত্ব সংলাপ এবং শীঘ্রই দুদেশের মধ্যে নিরাপত্তা সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। তিনি আরও জানান, বাংলাদেশে শীগ্রই এফবিআইয়ের স্থায়ী কার্যালয় হবে। মজেনা বলেন, দেশে এফবিআই কর্মকর্তারা কয়েকমাসের জন্য আসেন। তিনি কর্মকর্তাদের ২-৩ বছরের জন্য এদেশে নিয়োগ দেয়ার সুপারিশ করেছেন বলেও জানান।
সোমবার সকালে আমেরিকান সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। সংবাদ সম্মেলনে তিনি যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবিতে শাহবাগে জেগে ওঠা গণজাগরণের প্রশংসা করে বলেন, দাবি আদায়ের উৎকৃষ্ট উদাহরণ শাহবাগ আন্দোলন। তিন সপ্তাহ পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে শনিবার ঢাকায় ফিরেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। সংবাদ সম্মেলনে তিনি শাহবাগ আন্দোলন, চলমান সহিংসতা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধের বিচার, জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধের দাবি এবং আগামী নির্বাচন নিয়ে তার সরকারের অবস্থান তুলে ধরেন। উপস্থিত ছিলেন সেন্টারের পরিচালক ভিরাজ লাবেইলি ও প্রেস কর্মকর্তা ক্যালি ম্যাককার্থী।
উল্লেখ্য, এর আগেও মজেনা শাহবাগের আন্দোলনের প্রতি তাঁর সমর্থনের কথা তুলে ধরেছেন। কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন রায় প্রত্যাখ্যান করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গত ৫ ফেব্রুয়ারি শাহবাগে তরুণরা এক অভূতপূর্ব স্বতঃস্ফূর্ত অহিংস আন্দোলন গড়ে তোলে। এতে সমর্থন জানিয়ে লাখো লাখো মানুষ সমবেত হন শাহবাগে। শাহবাগের ওই জাগরণ এখন ছড়িয়ে গেছে দেশজুড়ে। সর্বশেষ গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায়কে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী জামায়াত-শিবির তা-ব শুরু করে। এতে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির সমর্থন দেশব্যাপী সহিংসতাকে আরও উস্কে দিয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। সরকারী প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। পুলিশ ও সাধারণ মানুষ হত্যা করা হচ্ছে।
তবে দেশব্যাপী জামায়াতী তা-বে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হলেও আল-জাজিরার মতো আন্তর্জাতিক কয়েকটি গণমাধ্যম শুরু থেকেই জামায়াতের পক্ষ অবস্থান করে যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরোধিতা করে আসছে। জামায়াতের ঢালা মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের লবিং আন্তর্জাতিক কয়েকটি গণমাধ্যমকে তাদের পক্ষে টানতে সহায়তা করেছে। আরেক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ইকোনমিস্টের অবস্থান এখনও স্পষ্ট নয়। কখনও তারা শাহবাগকে সমর্থন করছে, আবার কখনও যুদ্ধাপরাধের বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ বলছে। এমন অবস্থায় যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে জনদাবি ও জামায়াতের সহিংসতার তথ্য ও ভিডিওচিত্র বিশ্বব্যাপী বৈদেশিক মিশনের মাধ্যমে প্রচার করার উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। গত বৃহস্পতিবার এক বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বিষয়টি নিয়ে বিদেশী কূটনীতিকদের অবহিতও করেছেন। এ অবস্থায় পরাক্রমশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্র, যে দেশটি একাত্তরে পাকিস্তানের পক্ষে কাজ করেছিল, সেদেশটির শাহবাগ আন্দোলন ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে সমর্থন স্পষ্ট করলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজেনা। তিনি যুদ্ধাপরাধের বিচারে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন রয়েছে বলে জানালেন। আর সাম্প্রতিক সহিংসতাকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের কথাও তুলে ধরলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মজেনা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে তিনি পুরো সময়টা ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক নিয়ে কাজ করেছেন। দুদেশের সম্পর্ক নিয়ে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশী-আমেরিকানদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁর মতে, অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে বর্তমানে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ভাল। তিনি এই সহযোগিতার সম্পর্ককে আরও গভীর ও দৃঢ় করতে কাজ করছেন বলে জানান।
তিনি জানান, বাংলাদেশী-আমেরিকানদের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা তাঁর কাছে বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বিশেষ করে শাহবাগ আন্দোলন নিয়ে জানতে চেয়েছেন। তিনি তাদের অবহিত করেছেন যে, মানুষের শান্তিপূর্ণ উপায়ে মত প্রকাশের একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে শাহবাগের আন্দোলন।
দেশব্যাপী সহিংসতা চালানোর কারণে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করা বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কী ভাবছে প্রশ্ন করা হলে মজেনা বলেন, এটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কারণ জামায়াত একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। সংসদেও তাদের সদস্য রয়েছেন। তাই বাইরের লোক হিসেবে এ বিষয়ে আমার কোন মন্তব্য করা উচিত নয়। তবে সহিংসতার পথ পরিহার করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সহিংসতা মত প্রকাশের কোন মাধ্যম হতে পারে না। সাধারণ মানুষের প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষতি করা ভয়াবহ বিষয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সংঘাতমূলক রাজনীতি এখনও অব্যাহত। সহিংসতা সমাধানের পথ নয়। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারকে অব্যাহতভাবে প্রয়াস চালিয়ে যেতে হবে। একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের উপায় খুঁজে নিতে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনায় বসতে হবে।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, আগামী ২৭ ও ২৮ মে ঢাকা-ওয়াশিংটন অংশীদারিত্ব সংলাপ এবং শীঘ্রই দুদেশের মধ্যে নিরাপত্তা সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। তিনি আরও জানান, বাংলাদেশে শীগ্রই এফবিআইয়ের স্থায়ী কার্যালয় হবে। মজেনা বলেন, দেশে এফবিআই কর্মকর্তারা কয়েকমাসের জন্য আসেন। তিনি কর্মকর্তাদের ২-৩ বছরের জন্য এদেশে নিয়োগ দেয়ার সুপারিশ করেছেন বলেও জানান।
মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০১৩, ২৮ ফাল্গুন ১৪১৯
__._,_.___