মহেশপুরের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি ভাস্কর্য
ভেঙে দেওয়ার পর এক মাসেও মামলা হয়নি
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ | তারিখ: ২৭-০৩-২০১৩
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র স্মৃতি ভাস্কর্যটি এক মাস আগে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা ভেঙে দেন। এখনো পর্যন্ত পৌর কর্তৃপক্ষ তা সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি। গতকাল তোলা
ছবি প্রথম আলো
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র স্মৃতি ভাস্কর্যটি নির্মাণ করে পৌরসভার বিগত পরিষদ। এক মাস আগে সেই ভাস্কর্যটি ভেঙে দেন জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা। এখন পর্যন্ত ভাস্কর্যটি সংস্কার করার উদ্যোগ নেয়নি বর্তমান পৌর কর্তৃপক্ষ। এমনকি পৌর কর্তৃপক্ষ কোনো মামলাও করেনি।
পৌর কর্তৃপক্ষের এই নীরবতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা। তাঁরা এটি দ্রুত সংস্কার করার পাশাপাশি ভাস্কর্য ভাঙার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানান, মহেশপুরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পৌরসভার সাবেক মেয়র সাংসদ শফিকুল আজম খান শহরের বাসস্ট্যান্ড মোড়ে একটি স্মৃতি ভাস্কর্য নির্মাণ করেন। আট লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১০ সালে ভাস্কর্যটির নির্মাণকাজ শেষ হয়।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি হরতাল চলাকালে মহেশপুর শহরে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা মিছিল বের করেন। একপর্যায়ে মিছিলকারীরা ওই ভাস্কর্যটি ভেঙে দেন। আজও সেটি শহরের প্রাণকেন্দ্রে ভাঙা অবস্থায়ই দাঁড়িয়ে রয়েছে। মহেশপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এম এ আসাদ অভিযোগ করেন, বর্তমান পৌর মেয়র বিএনপির স্থানীয় নেতা হওয়ায় তিনি ভাঙা ভাস্কর্যটি সংস্কারের উদ্যোগ নিচ্ছেন না।
এ ব্যাপারে পৌরসভার মেয়র ও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান জানান, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা তাঁদের কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় একটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় ভাস্কর্য ভাঙার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। যে কারণে তাঁরা পৃথক মামলা করেননি। ভাস্কর্যটি সংস্কারের জন্য দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
তবে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার নুরুল ইসলাম বলেন, কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় তাঁরা যে মামলা করেছেন, তাতে ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনার উল্লেখ নেই। ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনায় পৌরসভা কর্তৃপক্ষের মামলা করা উচিত ছিল।
http://prothom-alo.com/detail/date/2013-03-27/news/339835
__._,_.___