শুভেচ্ছা আবারও সবাইকে , কিছু কিছু মানুষের কাছে আমি সর্বদাই চির কৃতজ্ঞ, তাদের নাম এখানে উল্লখে না করলেই নয় , ফজলুল বারী, আমান উদ্ দৌলা , প্রবীর শিকদার, আমার খুব প্রিয় একজন মানুষ হাসান মাহমুদ ভাই, যিনি মাঝে মাঝেই আমার খবরা খবর রাখেন | আমার লেখালেখির উনুপ্রেরণা এই সব মানুষ গুলোর কাছে থেকেই আমি সব সময় পেয়ে এসেছি , বাস্তবতাকে উপলব্দি করতে পেরেছি , হাতের পাঁচটা অঙ্গুলের ফাক দিয়ে অন্য হাতের বাঁকা আঙ্গুল গুলোকে দেখতে চেষ্টা করেছি | এতো সব কিছু দেখতে গিয়ে মাঝে মাঝে উপলব্দি করতে পারিনি আমার আসলে অনেক কিছুই দেখা আর বোঝা হয়নি | যেমনটি আমি বুঝতে পারিনি বি এন পি নামক এক রাজনৈতিক দলের আসল রূপ আর তার রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি,
একটি উন্নায়ণগামী দেশ কে কেমন করে অকার্যকর আর স্থবির করে দেবার পরিকল্পনা নিয়ে একটি দল কি ভাবে দিনের পর দিন বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এক অভাবনীয় তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে তা ভাবতে গেলে আমি শিহরে উঠি | বেগম খালেদা জিয়া দায়ত্বি জ্ঞানহীন ভাবে যে ভাবে উনার বক্তব্য দিলেন তাতে মনে হলো বাংলাদেশ নামক দেশটার সাথে তিনার কোনই সম্পর্ক নেই , তা না হলে তিনি কি ভাবে এতো নিশ্চিত ভাবে বলতে পারেন আন্দোলনের করতে গেলে আরো কিছু প্রাণ যাবে তারপরও তিনি অন্দোলন চালিয়ে যাবেন | একজন অসুহ্স্থ মানসিক বিকার গ্রস্থ মানুষ ছাড়া এ রকম বক্তব্য আর কেউ দিতে পারে না , অন্দোলন মানেই কি প্রাণহানি ? সহজ সরল মানুষগুলোর ধর্মীয় অনুভূতিকে কি নির্দয় ভাবে ব্যবহার করে এই মানুষগুলোকে একটা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন তা ভাবতেই মনটা কেমন যেন কষ্টে ভরে উঠে | আমাদের দেশের সরকার এখনো ভাবছেন আর দেখছেন , দেখি না কি করে , মানুষ একের পর প্রাণ হারাচ্ছে কত মায়ের কোল খালি হচ্ছে, রাস্তার উপর ঝরে পরছে কতগুলো নিষ্পাপ প্রাণ, আমাদের রেল , বাস , রপ্তানী, ব্যবসা বাণিজ্য আজ লাটে উঠতে বসেছে, সরকার ভাবখানা এই যে , দেখি না কি করে | প্রধানমন্ত্রী গত কাল ২০১৩/০৩/১৯ রেসকোর্সে এক ভাষণ দিলেন, বুঝতে পারলাম উনি নিজেও খুব চিন্তিত, কিন্তু তারপর, বি এন পি আজ সরাসরি জামাতের পক্ষ নিয়ে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করছে, প্রত্যেকটা জেলাতে চলছে জামত শিবির আর বি এন পির তান্ডব, আমি বুঝে উঠাতে পারছি না প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকার এখনো এতো কি ভাবছেন | আজ এক মাস হতে চললো জামাতের রাজনীতি নিষিদ্ধকরণের দাবিতে বাঙালী জাতী একত্রিত ভাবে সোচ্ছার হয়ে উঠেছে , দেশাটা গোল্লায় যাচ্ছে , মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুনে মনে হলো উনি এখনো ভাবছেন দেখিনা কি করে | আমরা কি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার জন্যে অনন্তকাল অপেক্ষায় থাকবো | কম তো হলো না , দেশের ইতিহাস কে বিকৃত করতে করতে বাম থেকে ডানে নিয়ে যাব হলো, রাজাকারদের গাড়ীতে পত্পত্ করে জাতীয় পতাকা উড়লো, ৭২ এর সংবিধান কে কেটে কুটে একটা জামাতি সংবিধানে রুপান্তরিত করা হলো, ধর্মনিরপেক্ষতাকে নির্বাসনে পাঠানো হলো, সংবিধানে একটা ধর্মকে রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসাবে সংযোজিত করা হলো, রাজাকারদের পুনর্বাসিত করা হলো , ট্রাইবুনালের বিচারকরা বোমা খাবার ভয়ে উল্টা পাল্টা রায় দিতে থাকলো , তরুণ সমাজ রাস্তায় নেমে আসলো , বিরোধীদলী নেত্রী বাংলার তরুণ সমাজকে নাস্তিক বানিয়ে দিলো, ট্রাইবুনালের কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ করতে জামাত শিবির আজ মরিয়া হয়ে রাস্তা ঘটে বোমা ফাটাচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কি এখনো ভাবছেন, দেখি না কি করে ?
পরিশেষে এটাই বলবো সেই দিন আর বেশী দুরে না যে দিন আমরা ৭২ এর সংবিধান পুনর্বহালের জন্যে আর একটি পল্টন চত্তর বানাবো | বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সমুন্নত রাখতে হলে , সোনার বাংলা তৈরী করতে হলে , আমাদের মনে রাখতে হবে বাংলাদেশ একটি সমাজতান্ত্রিক গণতন্ত্র আর ধর্মনিরপেক্ষ জাতীয়তাবাদীদের দেশ , এটাই ছিলো আমাদের মুক্তি সংগ্রামের মূলমন্ত্র , এখানে ভাবাভাবির কিছু নেই | শাহবাগের তরুণ প্রজন্ম ঘুমিয়ে পরলেও আরো অনেক অনেক তরুণ তরুণী এখনো জেগে আছে, যে কোনও মুহুর্তে একটা পল্টন চত্তর হয়ে যেতে পারে | কাজেই সময় থাকতে আমাদের এখনি উপলব্ধি করতে হবে | সন্মানিত রাজনীতিবিদদের বলছি জামাত শিবির এর ভোটের প্রয়োজনে বাংলাদেশটাকে একটা রাজনীতির ফুটবল মাঠ বানাবেন না | এখন আর ভাববার সময় নাই দেখি না কি করে |
---- কিন্তু -----
__._,_.___