Banner Advertiser

Tuesday, May 7, 2013

[mukto-mona] Fw: [KHABOR] গাছ খেকো হেফাজত!

These are IBLISH SHOYTAN in disguise of Hifajot !!!

----- Forwarded Message -----
From: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>
To: Khobor <khabor@yahoogroups.com>; notun Bangladesh <notun_bangladesh@yahoogroups.com>; chottala@yahoogroups.com
Sent: Monday, May 6, 2013 4:43 PM
Subject: [KHABOR] গাছ খেকো হেফাজত!

 

গাছ খেকো হেফাজত!


ইসমাইল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: এক দিন আগেও যে গাছগুলো নগরবাসীকে তপ্ত রোদের হাত থেকে রক্ষা করত, দিত শীতল বাতাস, জীবনদায়ী অক্সিজেন দিয়ে শুষে নিত বিষাক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড; সে গাছগুলো এখন নিজেরাই প্রাণহীন, নিথর।

কোনো দুর্যোগ নয়, গাছগুলোর প্রাণ নিয়েছে হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা। রোববার হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা রাজধানীজুড়ে যে তাণ্ডব চালিয়েছে তারই জ্বলজ্বলে সাক্ষ্য হয়ে আছে ডাল-পালাহীন শত শত গাছের গোড়া। 

মতিঝিল থেকে যে দিকেই চোখ যায় সড়ক দ্বীপ ও সড়কের পাশে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা গাছের গোড়াগুলো প্রকাশ করছে হেফাজতের নৃশংসতা। এদের গাছ খেকো ছাড়া আর কি বলা যায়!

ঢাকা অবরোধের দিন দুপুর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত রাজধানীজুড়ে তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলাম ও জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। 

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের আশেপাশে বইয়ের দোকানে পবিত্র কোরান শরীফ পোড়ানো থেকে ফুটপাতের ক্ষুদে দোকানদারদের মালামাল যেমন পুড়িয়েছে, তেমন রেহাই পায়নি ব্যাংক-বিমা, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা-প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো।

এত সবের মাঝেও প্রকৃতির সজীবতাকে বিলীন করেছে তারা। 

মতিঝিল থেকে পল্টন, ইত্তেফাক মোড়, আরামবাগ, কাকরাইল, নাইটেঙ্গেলসহ আশেপাশের এলাকার সড়কের ডিভাইডার ও সড়কের পাশে যে গাছগুলো লাগানো হয়েছিল সেগুলো নির্বচারে কেটেছে হেফাজত ও জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা।

মেহেগনি, কড়ই, কদম, পাকড়সহ সৌন্দর্যবর্ধক বিভিন্ন গাছ কেটে ফেলে কদর্যভাবে সড়কে ব্যারিকেড তৈরি করে তারা হামলা চালিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপর। 

পরিবেশবিদরা বলছেন, রাজধানী ঢাকায় প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণকারী এ গাছগুলো কেটে ফেলায় পরিবেশের উপরও এর বিরূপ প্রভাব পড়বে। 

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক ডা. আব্দুল মতিন বাংলানিউজকে বলেন, "গাছ, মাটি ও পানি- এ তিনটি সিঙ্ক কার্বন-ডাই-অক্সাইড শুষে নেয়। নগরীর কলকারখানা, চুলা, যানবাহন থেকে নির্গত কার্বন-ডাই-অক্সাইড শুষে নেওয়ার ক্ষেত্রে গাছগুলোর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। ব্যস্ততম এলাকায় গাছগুলো না থাকায় ওই এলাকার কার্বন-ডাই-অক্সাইড বেড়ে যাবে।" 

প্রকৃতির সঙ্গে রাজনৈতিক সহিংসতা পরিহার করা উচিত মন্তব্য করে এই পরিবেশবিদ বলেন, "গাছ কেটে ফেলায় সৌন্দর্যবর্ধন ও ছায়া সৃষ্টি করে নগরবাসীর শীতল হওয়ার পথটিও রুদ্ধ হলো।"

কেটে ফেলা গাছসহ তাণ্ডব-সহিংসতার চিহ্ন মুছে ফেলতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) কর্মীরা রোববার গভীর রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত কাজ করেছে। 

রাজধানীতে এমনিতেই গাছের সংখ্যা কম জানিয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, "গাছগুলো কেটে ফেলায় রাজধানীর সবুজের উপর আঘাত করা হলো।  সিটি করপোরেশন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে হবে।"

রাস্তার পাশে ও সড়ক দ্বীপে থাকা গাছের অবশিষ্টাংশ দেখে মনে হবে প্রশিক্ষিত হাতে গাছগুলো কেটে ফেলা হয়েছে। কোনো কোনোটি অর্ধেক অংশ কেটে ফেলা হয়েছে যাতে সামান্য বাতাসেই পড়ে যায়। এ বিষয়টি ধরা পড়েছে অপসারণের সময়ই।

'গাছের উপর হেফাজত, জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের এত আক্রোশ কেন' প্রশ্ন রেখে সোমাবার সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, "যান্ত্রিক করাত ও কুড়াল দিয়ে অসংখ্য গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।"
    
ডিএসসিসি'র পক্ষ থেকে জানানো হয়, গাছ কেটে ফেলাসহ সড়কের ডিভাইডার তুলে ফেলা ও ট্রাফিক সিগন্যাল সিস্টেম ও ল্যাম্পপোস্টসহ বেশ কিছু স্থাপনা ভাঙচুরে পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতি করেছে হেফাজতের কর্মীরা। 

ডিএসসিসি'র প্রশাসক নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ৩০টি বড় গাছসহ একশ'র  বেশি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।

ক্ষতির বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।  

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বিক্ষিপ্ত সহিংসতা ও ধ্বংসাত্মক ঘটনার তদন্ত পূর্বক হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

কিছুদিন আগে যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লা ও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায়কে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী তাণ্ডব চালায় জামায়‍াত-শিবির।  সেসময়ও সারা দেশে কেটে ফেলা হয় অসংখ্য গাছ।