Thursday, 02 May 2013 10:12:07 PM
কোথাও নেই 'দাদা' কায়কোবাদ
বিশেষ প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
ঢাকা: সবার মুখে প্রশ্ন দাদা কোথায়? কোনো খবরেও নেই তিনি? তবে কী দাদা হারিয়ে গেলেন? এসব প্রশ্ন বিএনপির এক সময়ের ডাক সাইটে নেতা কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের ব্যাপারে। কুমিল্লার মুরাদনগরের এই সংসদ সদস্য দীর্ঘ দিন দেশে না থাকায় তার সম্পর্কে জানতে উৎসুক অনেকে।
কায়কোবাদের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, তিনি সৌদিতে আছেন। সেখানে আতরের ব্যবসা তার। খেজুরের বাগানও নাকি করেছেন। সবমিলিয়ে প্রবাসী ব্যবসায়ী হিসেবে ব্যস্ত সময় কাটছে তার। এখনই দেশে ফেরার ইচ্ছে নেই। ভয়, যদি কোনো কারণে ফেঁসে যান। ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা মামলার অভিযুক্ত আসামি তিনি। মূলত গ্রেপ্তার হয়রানি এড়াতেই তার এই প্রবাস জীবন।
তবে বিএনপির রাজনীতির দুঃসময়ে দলের পাশে থাকতে না পেরে হতাশাও কম নেই তার।মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ তার ঘনিষ্ঠদের কাছে বলেছেন,২১ আগস্টের মতো একটি মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পরও দল তাকে ভাইস চেয়ারম্যানের পদ দিয়েছে। বিএনপি এ মুহূর্তে কিছুটা নেতৃত্ব সংকটে পড়েছে। অথচ দলের একজন সংসদ সদস্য হয়েও কিছুই করতে পারছেন না তিনি। তবে দেশে রাজনৈতিক অনুকূল পরিবেশ ফিরে এলে দেশে ফিরবেন কায়কোবাদ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১১/১-র রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের ভরাডুবি হলেও কুমিল্লার মুরাদনগর থেকে বিজয়ী হন কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ। আগামী সংসদ নির্বাচনেও অংশ নেয়ার ইচ্ছে আছে তার। কিন্তু এলাকায় নিজ দলে যেমন তার প্রতিদ্বন্দ্বী আছেন; তেমনি দলের বাইরেও আছেন শক্ত প্রতিপক্ষ। কুমিল্লার ওই আসনে বিএনপিতে তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার নাম আলোচনায় আছে। আওয়ামী লীগে তার প্রতিপক্ষ এফবিসিআই'র সাবেক সভাপতি ইউসূফ আব্দুল্লাহ হারুনের অবস্থান এলাকায় খারাপ না। এছাড়া সর্বশেষ নির্বাচনে কায়কোবাদের বিপরীতে আওয়ামী লীগের হয়ে লড়েছিলেন জাহাঙ্গীর আলম সরকার। পরাজয়ের গ্লানি ঘোচাতে এবারও মাঠে নামতে পারেন তিনি। তাই আগামী নির্বাচনের লড়াইয়ে কায়কোবাদ কতটুকু ধোপে টিকবেন তা নিয়ে ইতিমধ্যে মুরাদনগরে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
২০০১ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের সময় মুরাদনগর থেকে বাইরে ছিলেন শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ।পরে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলা মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পর দেশ ছাড়েন কায়কোবাদ। গ্রেপ্তার এড়াতে পরে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার সুযোগ পাননি তিনি। সর্বশেষ নির্বাচনে অংশ নিতে ফের দেশে ফেরেন কায়কোবাদ। ওই নির্বাচনে নিজে জয় পেলেও বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট আর ক্ষমতায় আসতে পারেনি। পরে প্রতিকূল পরিবেশ এড়াতে ফের বিদেশে পাড়ি জমান কায়কোবাদ।
(ঢাকাটাইমস/ ২ মে/ এইচএফ/ ২২.১১ঘ.)
__._,_.___