হেফাজত চলে গেছে, রেখে গেছে বিধ্বস্ত ঢাকা
জনকণ্ঠ রিপোর্ট ॥ হেফাজতের তাণ্ডবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম, গুলিস্তানের গোলাপশাহ্ মাজার, পল্টন, মতিঝিল, বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ পুরো এলাকা এখনও পরিত্যক্ত রণক্ষেত্র। তারা বায়তুল মোকাররম মসজিদে আগুন ধরিয়ে দেয়। শত শত পবিত্র কোরান শরীফ, জায়নামাজ, হাদীস ও অসংখ্য আলেম-ওলামার লিখিত ইসলামী বই পুড়িয়ে দিয়েছে। তারা জবাই করার উদ্যোগ নেয় বায়তুল মোকাররমের মোয়াজিন মাসুদুর রহমানকে। গত তিরিশ বছর ঢাকাবাসী যাঁর সুমধুর আজানের ধ্বনি শুনছে। বায়তুল মোকাররম মার্কেটের যেসব দোকানের ভাড়া দিয়ে মসজিদের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকা- এবং মসজিদে চাকরিরত মানুষের বেতনভাতাদি দেয়া হয়, সেসব দোকানপাট পর্যন্ত জ্বালিয়ে দিয়েছে। পুড়িয়ে দিয়েছে অন্তত ৭ শতাধিক দোকানপাট। আর ভাংচুর করেছে অন্তত অর্ধশত ভবনে। তা-বে পথে বসতে হয়েছে অসংখ্য ফুটপাথের দোকানি ও তাঁর পরিবারকে। আর সর্বস্বান্ত হয়ে পুরোপুরি বেকার হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। এদের আর্তনাদ আর আহাজারিতে মতিঝিল, বায়তুল মোকাররমসহ আশপাশের এলাকার বাতাস যেন ভারী হয়ে আছে। ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি, যারা শত শত পবিত্র কোরান শরীফ পুড়িয়ে দিতে পারে, জায়নামাজে আগুন ধরিয়ে দিতে পারে আর এমন নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে তারা ইসলামের হেফাজতকারী নয়, তারা হলো ধ্বংসকারী। তাদের বিচার হতেই হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, বিরোধীদলীয় নেতা বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উস্কানিমূলক বক্তব্যের কারণেই হেফাজতে ইসলাম আর জামায়াত-শিবির মিলে এমন তা-ব চালিয়েছে। পুরো তা-ব পরিচালিত হয়েছে সদ্য বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি টেলিভিশন চ্যানেলের কার্যালয় থেকে। হেফাজতীদের তা-বে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কয়েক হাজার কোটি টাকা।
দেখা গেল পুরানা পল্টনের কালভার্ট রোডের মাঝখানের ডিভাইডারে থাকা অন্তত ৫০টি গাছ কেটে ফেলেছে তারা। এসব গাছ কুড়াল ও করাত দিয়ে কাটা হয়েছে। এসব গাছ ফেলা হয়েছে রাস্তার ওপর। অনেকটা যুদ্ধক্ষেত্রে যেমনটা করা হয়। আশপাশের প্রতিটি ভবনের দরজা জানালার কাঁচ ভাঙ্গা। পুরানা পল্টন মোড়ের ৩ নম্বর কমরেড মণি সিংহ স্মৃতি ট্রাস্টের চারতলা ভবনটি শ্রীহীন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তার সামনের কোন কাঁচ নেই। প্রতিটি কাঁচ ভাঙ্গা। পাশের মুক্তি ভবনটি দাঁড়িয়ে আছে কঙ্কালসার হয়ে। ভবনের সামনে থাকা বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির অফিসের সাইনবোর্ডটিই শুধু কোনমতে টিকে আছে। ভবনের আর কিছুই টিকে নেই। ভবনের গা-জুড়ে শুধু কালি আর কালি। সারা গায়ে যেন কালিমা লেপন করে দাঁড়িয়ে আছে লজ্জায়।
দেখা গেল পুরানা পল্টনের কালভার্ট রোডের মাঝখানের ডিভাইডারে থাকা অন্তত ৫০টি গাছ কেটে ফেলেছে তারা। এসব গাছ কুড়াল ও করাত দিয়ে কাটা হয়েছে। এসব গাছ ফেলা হয়েছে রাস্তার ওপর। অনেকটা যুদ্ধক্ষেত্রে যেমনটা করা হয়। আশপাশের প্রতিটি ভবনের দরজা জানালার কাঁচ ভাঙ্গা। পুরানা পল্টন মোড়ের ৩ নম্বর কমরেড মণি সিংহ স্মৃতি ট্রাস্টের চারতলা ভবনটি শ্রীহীন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তার সামনের কোন কাঁচ নেই। প্রতিটি কাঁচ ভাঙ্গা। পাশের মুক্তি ভবনটি দাঁড়িয়ে আছে কঙ্কালসার হয়ে। ভবনের সামনে থাকা বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির অফিসের সাইনবোর্ডটিই শুধু কোনমতে টিকে আছে। ভবনের আর কিছুই টিকে নেই। ভবনের গা-জুড়ে শুধু কালি আর কালি। সারা গায়ে যেন কালিমা লেপন করে দাঁড়িয়ে আছে লজ্জায়।
__._,_.___