BNP-JAMAAT are clueless , aimless and very soon will be homeless !!!
প্রস্তাব প্রত্যাহার করে বিএনপি জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছে
আর আলোচনার সুযোগ নেই ॥ প্রধানমন্ত্রী
বিশেষ প্রতিনিধি ॥ সংসদে দেয়া মুলতবি প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নিয়ে বিএনপি আলোচনার সব দরজা বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নিয়ে বিএনপি জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সরকারের দেয়া আলোচনার প্রস্তাব বার বার প্রত্যাহার করে বিএনপি আলোচনার সব রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। আর আলোচনার সুযোগ নেই। সে রাস্তা তারাই বন্ধ করে দিয়েছে।
ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী সংঘাতের পথ পরিহার করে বিরোধী দলকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সংবিধান অনুযায়ীই আগামী নির্বাচন হবে। এর কোন ব্যত্যয় হবে না। অন্তত একবার এ গণতান্ত্রিক ধারা সূচনা করতে হবে। অতীতে কোন সরকারের অধীনে এত সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়নি। সব নির্বাচনই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
বিরোধী দলের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আলোচনার প্রস্তাব দেই আর ওনি (খালেদা জিয়া) আমাকে পাল্টা আল্টিমেটাম দেন। বলেন আমি নাকি পালানোর পথ খুঁজে পাব না! বিরোধীদলীয় নেতাকে বলি এখন পালাবার পথ কাকে খুঁজতে হবে? তিনি বলেন, বিএনপি সংসদে তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে কথা বলতে মুলতবি প্রস্তাব দিলেন। যদিও কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী এ বিষয়ে মুলতবি আলোচনা হয় না। তবুও আমরা কার্যোপদেষ্টা কমিটিতে বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করতে রাজি হলাম। স্পীকার দিনের কার্যসূচীতে তা ঠাঁই দিলেন। পরে শুনলাম তাঁরা মুলতবি প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এখন আলোচনার সব দরজা তাঁরা নিজেরা বন্ধ করে দিয়েছে।
আলোচনাসভায় প্রধানমন্ত্রী সংসদে উত্থাপিত মহাজোট সরকারের বাজেট নিয়ে সমালোচকদের জবাব দেন। তিনি বলেন, প্রতিবার বাজেট হলেই একশ্রেণীর সমালোচক বলেন এ বাজেট আমরা বাস্তবায়ন করতে পারব না। কিন্তু আমরা প্রতিটি বাজেটের ৯২-৯৩ ভাগ বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। যে বাজেট আমরা দিয়েছি তাও বাস্তবায়ন করার ক্ষমতা আমাদের রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, কেউ কেউ সমালোচনা করে বলেন এটা রাজস্ব আদায়নির্ভর বাজেট। আমি বলি রাজস্ব আদায় বাজেটই তো আমরা দিয়েছি। আর কত বিদেশী সাহায্যনির্ভর বাজেট দেব। আমাদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। বাংলাদেশ যত দরিদ্র থাকবে তাদের (একশ্রেণীর সমালোচক) তত সুবিধা হবে। কনসালট্যান্সি (পরামর্শ) করে খেতে পারবে। আমরা চাই বাংলাদেশ আত্মমর্যাদা নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। রাষ্ট্রপতি ছাড়া সবাইকে ট্যাক্সের আওতায় আনা হয়েছে।
গণমাধ্যম তার স্বাধীনতার অপব্যবহার করছে অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাইতিতে দুর্ভিক্ষে একজন সুইসাইড (আত্মহত্যা) করেছে। পবিত্র কাবা শরিফের গিলাফ পরিবর্তনের ছবি এক যুদ্ধাপরাধীর পক্ষে মানববন্ধন বলে বাংলাদেশে প্রচার করেছে। যারা ধর্ম নিয়ে এ ধরনের অপপ্রচার করেছে তাদের ছাড়া হবে না।
বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীব ইতিহাসে এত কোরান এক সঙ্গে কখনও পোড়ানো হয়নি, যা বিএনপি-জামায়াত করেছে। ইসলামের নামে তারা মসজিদে আগুন দিয়েছে। এখন উদোর পি-ি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে। এরা কী না পারে? তিনি বলেন, গত ৫ মে হেফাজতের কর্মসূচীতে কোন লাশ পড়েনি। বরং তারা পুলিশ হত্যা করেছে। সেটা নিয়েও তারা মিথ্যাচার করেছে।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১/১১ তে ষড়যন্ত্র হয়েছিল। অনেক খ্যাতিমান ও জ্ঞানী-গুণী মানুষ সে সরকারের উপদেষ্টা হলেন। এক সেট (দল) আসে, আরেক সেট যায়। কিন্তু কেউ নির্বাচন করতে পারেনি। জ্ঞানী-গুণী ও সংস্কারপন্থীদের নিয়ে কিংস পার্টি গঠন করা হয়েছিল। সংবিধান প্রণেতার দাবিদার ফতোয়া দিলেন, রোজ কিয়ামত পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকতে পারবে। তাদের মুখে এখন অন্য সুর।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে বার বার ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। প্রশ্ন করি তখন তারা ২ বছরে দেশের কী উন্নয়ন করেছিল? তখন তো বিরোধী দলের আন্দোলনও ছিল না। আর্মি ব্যাকড (সামরিক সমর্থিত সরকার) ঠেক দিয়ে রেখেছিল। এখন যাঁরা বড় বড় কথা বলেন তখন কী করেছিলেন? এখন গ্রামে বসে প্রবাসে স্কাইপিতে লোকজন কথা বলে। ইউনিয়নে তথ্য সেবা চালু হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক সেবা চালু হয়েছে। লাখ লাখ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেয়া হয়েছে। এসব কী তাঁদের চোখে পড়ে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সেভাবে নির্বাচন হবে। ব্রিটেন, কানাডা ও জাপানে যদি এভাবে নির্বাচন বৈধ হয়, তাহলে বাংলাদেশে বৈধ হবে না কেন? নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি সরকারের আলোচনার আহ্বানে সাড়া না দেয়ায় সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপির জন্মই তাদের আজন্ম পাপ। তাদের জন্ম স্বৈরাচারের গর্ভে। তারা গণতান্ত্রিক দল নয়। তাই তারা আলোচনায় বিশ্বাসী নয়। তিনি বলেন, আলোচনার কথা আর কত বলব? প্রধানমন্ত্রীসহ আমাদের শতবার আলোচনার আহ্বানে তারা সাড়া দেয়নি। তারা যেটা চায়- দুধ, ভাত, কলা খালেদা জিয়ার সামনে নিয়ে খেতে দিতে হবে। ক্ষমতা কী খাওয়ানো যায়?
মধ্যরাতের টকশোর বক্তাদের সমালোচনা করে আশরাফ বলেন, কথা বলেই যাঁরা জীবিকা নির্বাহ করেন, তাঁদের ওপর দেশের জনগণের আস্থা নেই। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, কেন যে এতগুলো টেলিভিশনের লাইসেন্স দিলাম? এত টকশো? ইউরোপ-আমেরিকাতেও এত টকশো হয় না। এসব টকশোর বক্তাদের ইতিহাসটা কী? সবই ব্যর্থতার ইতিহাস। তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন- একটা নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে পারেনি। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের কথা বলায় শেখ হাসিনাকে জেলে যেতে হয়েছে। আকবরকে (আকবর আলি খান) তো জেলে যেতে হয়নি। তাঁদের তো একদিনও বিচারিক আদালতে হাজিরা দিতে হয়নি।
এ সময় সাংবিধানিকভাবে আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৯৯৬ সালে খালেদা জিয়া একদলীয় নির্বাচন করে রাতারাতি সংবিধান সংশোধন করে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছিল। আমরা যদি করি এ ধরনের পরিস্থিতি হবে না। আমরা সবাইকে নিয়ে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করব। আওয়ামী লীগ কোনদিন বাংলাদেশের মানুষের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলবে না। সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, নূহ-উল-আলম লেনিন, মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হারুন অর রশীদ, হাবিবুর রহমান সিরাজ, সিমিন হোসেন রিমি, এম এ আজিজ, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, আমিনুল ইসলাম আমিন, আসাদুজ্জামান খান কামাল।
ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী সংঘাতের পথ পরিহার করে বিরোধী দলকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সংবিধান অনুযায়ীই আগামী নির্বাচন হবে। এর কোন ব্যত্যয় হবে না। অন্তত একবার এ গণতান্ত্রিক ধারা সূচনা করতে হবে। অতীতে কোন সরকারের অধীনে এত সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়নি। সব নির্বাচনই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
বিরোধী দলের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আলোচনার প্রস্তাব দেই আর ওনি (খালেদা জিয়া) আমাকে পাল্টা আল্টিমেটাম দেন। বলেন আমি নাকি পালানোর পথ খুঁজে পাব না! বিরোধীদলীয় নেতাকে বলি এখন পালাবার পথ কাকে খুঁজতে হবে? তিনি বলেন, বিএনপি সংসদে তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে কথা বলতে মুলতবি প্রস্তাব দিলেন। যদিও কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী এ বিষয়ে মুলতবি আলোচনা হয় না। তবুও আমরা কার্যোপদেষ্টা কমিটিতে বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করতে রাজি হলাম। স্পীকার দিনের কার্যসূচীতে তা ঠাঁই দিলেন। পরে শুনলাম তাঁরা মুলতবি প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এখন আলোচনার সব দরজা তাঁরা নিজেরা বন্ধ করে দিয়েছে।
আলোচনাসভায় প্রধানমন্ত্রী সংসদে উত্থাপিত মহাজোট সরকারের বাজেট নিয়ে সমালোচকদের জবাব দেন। তিনি বলেন, প্রতিবার বাজেট হলেই একশ্রেণীর সমালোচক বলেন এ বাজেট আমরা বাস্তবায়ন করতে পারব না। কিন্তু আমরা প্রতিটি বাজেটের ৯২-৯৩ ভাগ বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। যে বাজেট আমরা দিয়েছি তাও বাস্তবায়ন করার ক্ষমতা আমাদের রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, কেউ কেউ সমালোচনা করে বলেন এটা রাজস্ব আদায়নির্ভর বাজেট। আমি বলি রাজস্ব আদায় বাজেটই তো আমরা দিয়েছি। আর কত বিদেশী সাহায্যনির্ভর বাজেট দেব। আমাদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। বাংলাদেশ যত দরিদ্র থাকবে তাদের (একশ্রেণীর সমালোচক) তত সুবিধা হবে। কনসালট্যান্সি (পরামর্শ) করে খেতে পারবে। আমরা চাই বাংলাদেশ আত্মমর্যাদা নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। রাষ্ট্রপতি ছাড়া সবাইকে ট্যাক্সের আওতায় আনা হয়েছে।
গণমাধ্যম তার স্বাধীনতার অপব্যবহার করছে অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাইতিতে দুর্ভিক্ষে একজন সুইসাইড (আত্মহত্যা) করেছে। পবিত্র কাবা শরিফের গিলাফ পরিবর্তনের ছবি এক যুদ্ধাপরাধীর পক্ষে মানববন্ধন বলে বাংলাদেশে প্রচার করেছে। যারা ধর্ম নিয়ে এ ধরনের অপপ্রচার করেছে তাদের ছাড়া হবে না।
বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীব ইতিহাসে এত কোরান এক সঙ্গে কখনও পোড়ানো হয়নি, যা বিএনপি-জামায়াত করেছে। ইসলামের নামে তারা মসজিদে আগুন দিয়েছে। এখন উদোর পি-ি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে। এরা কী না পারে? তিনি বলেন, গত ৫ মে হেফাজতের কর্মসূচীতে কোন লাশ পড়েনি। বরং তারা পুলিশ হত্যা করেছে। সেটা নিয়েও তারা মিথ্যাচার করেছে।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১/১১ তে ষড়যন্ত্র হয়েছিল। অনেক খ্যাতিমান ও জ্ঞানী-গুণী মানুষ সে সরকারের উপদেষ্টা হলেন। এক সেট (দল) আসে, আরেক সেট যায়। কিন্তু কেউ নির্বাচন করতে পারেনি। জ্ঞানী-গুণী ও সংস্কারপন্থীদের নিয়ে কিংস পার্টি গঠন করা হয়েছিল। সংবিধান প্রণেতার দাবিদার ফতোয়া দিলেন, রোজ কিয়ামত পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকতে পারবে। তাদের মুখে এখন অন্য সুর।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে বার বার ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। প্রশ্ন করি তখন তারা ২ বছরে দেশের কী উন্নয়ন করেছিল? তখন তো বিরোধী দলের আন্দোলনও ছিল না। আর্মি ব্যাকড (সামরিক সমর্থিত সরকার) ঠেক দিয়ে রেখেছিল। এখন যাঁরা বড় বড় কথা বলেন তখন কী করেছিলেন? এখন গ্রামে বসে প্রবাসে স্কাইপিতে লোকজন কথা বলে। ইউনিয়নে তথ্য সেবা চালু হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক সেবা চালু হয়েছে। লাখ লাখ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেয়া হয়েছে। এসব কী তাঁদের চোখে পড়ে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সেভাবে নির্বাচন হবে। ব্রিটেন, কানাডা ও জাপানে যদি এভাবে নির্বাচন বৈধ হয়, তাহলে বাংলাদেশে বৈধ হবে না কেন? নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি সরকারের আলোচনার আহ্বানে সাড়া না দেয়ায় সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপির জন্মই তাদের আজন্ম পাপ। তাদের জন্ম স্বৈরাচারের গর্ভে। তারা গণতান্ত্রিক দল নয়। তাই তারা আলোচনায় বিশ্বাসী নয়। তিনি বলেন, আলোচনার কথা আর কত বলব? প্রধানমন্ত্রীসহ আমাদের শতবার আলোচনার আহ্বানে তারা সাড়া দেয়নি। তারা যেটা চায়- দুধ, ভাত, কলা খালেদা জিয়ার সামনে নিয়ে খেতে দিতে হবে। ক্ষমতা কী খাওয়ানো যায়?
মধ্যরাতের টকশোর বক্তাদের সমালোচনা করে আশরাফ বলেন, কথা বলেই যাঁরা জীবিকা নির্বাহ করেন, তাঁদের ওপর দেশের জনগণের আস্থা নেই। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, কেন যে এতগুলো টেলিভিশনের লাইসেন্স দিলাম? এত টকশো? ইউরোপ-আমেরিকাতেও এত টকশো হয় না। এসব টকশোর বক্তাদের ইতিহাসটা কী? সবই ব্যর্থতার ইতিহাস। তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন- একটা নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে পারেনি। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের কথা বলায় শেখ হাসিনাকে জেলে যেতে হয়েছে। আকবরকে (আকবর আলি খান) তো জেলে যেতে হয়নি। তাঁদের তো একদিনও বিচারিক আদালতে হাজিরা দিতে হয়নি।
এ সময় সাংবিধানিকভাবে আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৯৯৬ সালে খালেদা জিয়া একদলীয় নির্বাচন করে রাতারাতি সংবিধান সংশোধন করে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছিল। আমরা যদি করি এ ধরনের পরিস্থিতি হবে না। আমরা সবাইকে নিয়ে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করব। আওয়ামী লীগ কোনদিন বাংলাদেশের মানুষের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলবে না। সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, নূহ-উল-আলম লেনিন, মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হারুন অর রশীদ, হাবিবুর রহমান সিরাজ, সিমিন হোসেন রিমি, এম এ আজিজ, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, আমিনুল ইসলাম আমিন, আসাদুজ্জামান খান কামাল।
__._,_.___