BNP এর মূল শক্তি - ছাত্রদল কমিটিতে স্থান পেয়েছে - হত্যা মামলার আসামি, অছাত্র, প্রবাসী, ড্রাইভার, কাজের ছেলে, ভাঙ্গাড়ির দোকানদার, বয়স্ক (অনেকেই চল্লিশার্ধ), বিবাহিত, সন্তানের জনক, চিহ্নিত বেঈমান, চাকরিচ্যুত, ব্যবসায়ী ও এমনকি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা!
যোগ্য, ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের বাদ দিয়ে অর্থের বিনিময়ে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটিতে অনেক পদ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে সংগঠনের পদবঞ্চিত নেতারা। স্বজনপ্রীতি ও অর্থবাণিজ্যের মাধ্যমে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেয়েছে --
· অছাত্র,
· গাড়ির ড্রাইভার
· বাড়ির কাজের ছেলে,
· হত্যা মামলার আসামি,
· চিহ্নিত বেঈমানদের
· ভাঙ্গাড়ির দোকানদার ও এমনকি
· সাবেক ছাত্রলীগ নেতা
এবং ছাত্রদলের কমিটিতে বাদ যায়নি -
· প্রবাসী
· বয়স্ক (অনেকেই চল্লিশার্ধ),
· বিবাহিত, সন্তানের জনক (হাই স্কুল পড়ুয়া ছাত্রের বাবাও)
· চাকরিচ্যুত,
· সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরতরা ও এমনকি
· বিসিএস ক্যাডারভুক্তরাও
হত্যা মামলার আসামি ছাত্রদলের কমিটিতে স্থান পেয়েছেন:
· নতুন কমিটিতে বুয়েট ছাত্র সনি হত্যার আসামি (পাঁচ বছর জেলও খেটেছেন) নিয়াজ মাখদুম মাসুম বিল্লাহ,
· জহুরুল হক হল ছাত্রদল নেতা খোকন হত্যার আসামি শোয়েব, ওই ঘটনার রেশ ধরে তৎকালীন কেন্দ্রীয় কমিটিও ভেঙে দেয়া হয়েছিল
· জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজল দেবনাথ হত্যা মামলার আসামি ইমরান হোসেন
এমনকি চিহ্নিত বেঈমানদেরও ছাত্রদলের কমিটিতে পদ পদবি দেয়া হয়েছে:
· ওই সময়ে বেগম খালেদা জিয়া গ্রেফতার হওয়ার পর মুক্তিযোদ্ধা জিয়ারউর রহমান হলে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি ভাংচুর করেছিল এমন কয়েকজনকে কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা হয়েছে।
· তারেক রহমান গ্রেফতার হওয়ার পর যার নেতৃত্বে মধুর কেন্টিনে মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছিল তাকেও দেয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদ।
· শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের কমিটিতে নেতৃত্বর বয়স সীমা বেধে দেন। প্রথমে ১৯৯৫ সালে ৩১ বছর এবং পরে ২০০৫ এর পর থেকে ২৯ বছর -
· প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধন্তেই প্রত্যক্ষ ভোটে ছাত্রলীগের কমিটি নির্বাচন
· প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধন্তেই ছাত্রলীগের কমিটিতে শীর্ষ নেতৃত্ব নিয়মিত ছাত্রদের হাতে উঠল। তবে এতে কমিটি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সংগঠনটির অনেক ত্যাগী নেতা নেতৃত্ববঞ্চিত হলেন।
· যে কারণে ছাত্রলীগের বিশেষত্ব হল কোন বিবাহিত, ক্যাডার, চাঁদাবাজ, বা গুরুতর কোন অভিযোগে অভিযুক্ত কেউ কখনও শীর্ষ নেতৃত্বে নির্বাচিত হয়নি।
তবে, শেখ হাসিনার এই যুগান্তকারী, সাহসী ও দূরদর্শী মুলুক সিদ্ধান্তে -
- প্রথমে ১৯৯৫ সালে ৩১ বছর এবং
- পরে ২০০৫ এর পর থেকে ২৯ বছর - ছাত্রলীগের নেতা হওয়ার সর্বোচ্চ বয়স সীমা বেধে দেওয়ায়,
- বিবাহিত,
- সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত
- ক্যাডার,
- চাঁদাবাজ, বা
- গুরুতর কোন অভিযোগে অভিযুক্ত কাউকে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বে মনোনয়ন না দেওয়া এবং
- প্রত্যক্ষ ভোটে ছাত্রলীগের কমিটি নির্বাচন
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন ও দেশের সবচেয়ে পুরনো ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অনেক পুরানো (বয়স্ক) ত্যাগী নেতা নেতৃত্ববঞ্চিত হলেন এবং সংগঠনিক ভাবে ছাত্রলীগ কিছুটা দুর্বল হলেও - ছাত্রলীগের নেতৃত্বে যে গুণগত উত্কর্ষতা ও পরিবর্তন হয়েছে এবং হবে - তা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার সৈনিক বিনির্মাণে বিরাট ভুমিকা রাখবে!
তারপরেও যারা বলে-
Awami লীগ-শেখ হাসিনার এবং BNP-জামাত-খালেদার মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নাই -
দুজনই 'প্রায়' সমান -
দুই দলই মোটা-মোটি 'প্রায়' এক---
তাদের
বেড়ে উঠায়, তাদের বিকাশে, তাদের জ্ঞানে, তাদের চিন্তা-চেতনায় -চরিত্রে, তাদের সততায় - নৈতিকতায়, তাদের রুচিতে - সর্বোপরি তাদের মাথায়- ব্যাপক সমস্যা আছে, ভেজাল আছে - এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
ছাত্রদল কমিটিতে প্রবাসী, ড্রাইভার, কাজের ছেলে, ভাঙ্গাড়ির দোকানদার - পদবঞ্চিতদের অভিযোগ
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=15&dd=2013-06-09&ni=138217
গত ১০-১১ জুলাই, ২০১১ সালে কাউন্সিলে নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশের সবচেয়ে পুরনো ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম। পাশাপাশি ঘোষণা করা হয়েছে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটিও।
দেশে বিদেশে বাঙ্গালীরা এবং বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ গুনুমুগ্ধ ভক্ত গন
সুখে থাকুন, ভালো থাকুন এবং নিরাপদে থাকুন
জয় বাংলা , জয় বঙ্গবন্ধু
শুভেচ্ছান্তে
Engr. Shafiqur Rahman Anu
__._,_.___