আলোচনায় অংশ নিয়ে অগ্নিকন্যাখ্যাত কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, বিরোধী দল কোন সৃষ্টি বা জনকল্যাণে কিছু করতে পারে না, পারে শুধু লুণ্ঠন, অর্থপাচার, ধ্বংসাত্মক কর্মকা- ও রাষ্ট্রের সম্পদ বিনষ্ট করতে। ঋণনির্ভর অর্থনীতির ধারক-বাহকরা দেশ আত্মনির্ভর হোক এটা চায় না। তিনি বলেন, দেশের কিছু টাকা-পয়সার মালিক আছেন যারা সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ভোলপাল্টিয়ে ক্ষমতাসীন সরকারের সঙ্গে সুপার গ্লু'র মতো আটকে থাকার চেষ্টা করে- এটা এদেশের নিদারুণ বাস্তবতা।
তিনি বিরোধী দলের তত্ত্বাবধায়ক দাবি নাকচ করে দিয়ে বলেন, সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে থেকেই নির্বাচন কমিশন আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত করবে। বর্তমান নির্বাচিত সরকার আরেকটি নির্বাচিত সরকারের ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। মিথ্যা কথা বলে কখনও ইসলাম কায়েম হয় না, সাময়িকভাবে জনগণকে বিভ্রান্ত করা সম্ভব হয়। কিন্তু সত্য একদিন প্রতিষ্ঠিত হবেই। তিনি বলেন, যারা সন্ত্রাসকে উৎসাহিত, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করতে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে হেফাজতে ইসলাম। এরা '৭৫-পরবর্তী অসাংবিধানিক ধারাকে উৎসাহিত করতে চায়। হেফাজত কেন ৫ মে'র সমাবেশের নামে তা-বলীলা চালালেন? এম কে আনোয়ারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিবেকহীন ব্যক্তিদের নিয়েই বিএনপির সৃষ্টি। ধর্মের নামে মানুষ হত্যা ও দেশের সম্পদ লুণ্ঠন ছাড়া বিএনপি-জামায়াত আর দেশের মানুষকে আর কিছুই দিতে পারেনি।
সরকারী দলের আরেক সিনিয়র সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বিরোধী দলের সমালোচনা করে বলেন, গত ৪ মে বিএনপির মহাসমাবেশ এবং পরদিন হেফাজতের কর্মসূচীর নামে সরকার উৎখাতের গভীর ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। রাজনীতিকে রাজনীতি দিয়ে মোকাবেলা করতে হবে, রাজনীতিকে সন্ত্রাস দিয়ে কেউ মোকাবেলা করতে চাইলে তাদের পতন অবশ্যম্ভাবী। তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, হেফাজতকে উৎখাতে একটি গুলিও খরচ করতে হয়নি। এ অভিযানে একটি মানুষও মারা যায়নি। নিহত একটি মানুষের নাম দিতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। মিথ্যার একটা শেষ আছে। দেশের মানুষ এই মিথ্যাবাদীদের দাতভাঙ্গা জবাব দেবে।
বিরোধী দলের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, আগামীতে তত্ত্বাবধায়ক আসলে রাজনীতিবিদসহ দেশের মানুষ নির্যাতিত হবে না তার গ্যারান্ট্রি কী? আগামী নির্বাচন সাংবিধানিক অনুযায়ীই হবে। পৃথিবীর সব গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সেভাবেই নির্বাচন হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হবে শেখ হাসিনা, সেই সরকারে বিরোধী দল অংশীদারিত্ব চাইলে তা দিতে আমরা রাজি। কথা দিচ্ছি- অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে অবশ্যই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। নির্বাচনে কারচুপির কোন সুযোগ নেই। জনগণ যে রায় দেবে তা আমরা মাথা পেতে নেবে। তবে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করে বিরোধী দল যদি কোন অপশক্তিকে আনার ষড়যন্ত্র থাকে, দেশের জনগণ তা মেনে নেবে না। বর্তমান সরকার মাগুরা বা ফালু মার্কা কোন নির্বাচন করেনি। কোন অনির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা দেয়ার আর চেষ্টা করবেন না।
মহাজোটে শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, বিরোধী দল রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে তারা বাজেট বাস্তবায়নকে রুখে দিতে চায়। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে ব্যর্থ হয়ে সারাদেশে ধ্বংসাত্মক কর্মকা- চালাচ্ছে। আশা করেছিলাম, এই তা-বলীলার বিরোধিতা করবেন। কিন্তু সিঙ্গাপুর থেকে ফিরে এসে উল্টো ধ্বংসাত্মক কর্মকা-কে প্রকাশ্য সমর্থন দিলেন। বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে এখন হেফাজতে জামায়াতে ইসলাম যোগ দিয়েছে।
তিনি বলেন, হেফাজতকে কোন প্রশ্রয় দেয়ার অর্থই হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের ভিত্তিভূমিকে নস্যাত করে দেয়া। চারটি নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে তারা নিশ্চিত হয়েছে তারা ক্ষমতায় এসে গেছে। আগামী নির্বাচনে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক ধারা বজায় থাকবে, জনগণ এ পক্ষেই ভোট দেবে। বিএনপি-জামায়াত-হেফাজতের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী ঐক্যের বিরুদ্ধে অসাম্প্রদায়িক-গণতান্ত্রিক শক্তিকে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। নির্বাচন কমিশনের হাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সব গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় তুলে দিয়ে শক্তিশালী করি। তত্ত্বাবধায়ক নয়, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অগ্রযাত্রাকে ধরে রাখতে হবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকারকে আবারও বিজয়ী করতে হবে।
তিনি বিরোধী দলের তত্ত্বাবধায়ক দাবি নাকচ করে দিয়ে বলেন, সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে থেকেই নির্বাচন কমিশন আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত করবে। বর্তমান নির্বাচিত সরকার আরেকটি নির্বাচিত সরকারের ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। মিথ্যা কথা বলে কখনও ইসলাম কায়েম হয় না, সাময়িকভাবে জনগণকে বিভ্রান্ত করা সম্ভব হয়। কিন্তু সত্য একদিন প্রতিষ্ঠিত হবেই। তিনি বলেন, যারা সন্ত্রাসকে উৎসাহিত, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করতে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে হেফাজতে ইসলাম। এরা '৭৫-পরবর্তী অসাংবিধানিক ধারাকে উৎসাহিত করতে চায়। হেফাজত কেন ৫ মে'র সমাবেশের নামে তা-বলীলা চালালেন? এম কে আনোয়ারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিবেকহীন ব্যক্তিদের নিয়েই বিএনপির সৃষ্টি। ধর্মের নামে মানুষ হত্যা ও দেশের সম্পদ লুণ্ঠন ছাড়া বিএনপি-জামায়াত আর দেশের মানুষকে আর কিছুই দিতে পারেনি।
সরকারী দলের আরেক সিনিয়র সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বিরোধী দলের সমালোচনা করে বলেন, গত ৪ মে বিএনপির মহাসমাবেশ এবং পরদিন হেফাজতের কর্মসূচীর নামে সরকার উৎখাতের গভীর ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। রাজনীতিকে রাজনীতি দিয়ে মোকাবেলা করতে হবে, রাজনীতিকে সন্ত্রাস দিয়ে কেউ মোকাবেলা করতে চাইলে তাদের পতন অবশ্যম্ভাবী। তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, হেফাজতকে উৎখাতে একটি গুলিও খরচ করতে হয়নি। এ অভিযানে একটি মানুষও মারা যায়নি। নিহত একটি মানুষের নাম দিতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। মিথ্যার একটা শেষ আছে। দেশের মানুষ এই মিথ্যাবাদীদের দাতভাঙ্গা জবাব দেবে।
বিরোধী দলের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, আগামীতে তত্ত্বাবধায়ক আসলে রাজনীতিবিদসহ দেশের মানুষ নির্যাতিত হবে না তার গ্যারান্ট্রি কী? আগামী নির্বাচন সাংবিধানিক অনুযায়ীই হবে। পৃথিবীর সব গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সেভাবেই নির্বাচন হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হবে শেখ হাসিনা, সেই সরকারে বিরোধী দল অংশীদারিত্ব চাইলে তা দিতে আমরা রাজি। কথা দিচ্ছি- অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে অবশ্যই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। নির্বাচনে কারচুপির কোন সুযোগ নেই। জনগণ যে রায় দেবে তা আমরা মাথা পেতে নেবে। তবে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করে বিরোধী দল যদি কোন অপশক্তিকে আনার ষড়যন্ত্র থাকে, দেশের জনগণ তা মেনে নেবে না। বর্তমান সরকার মাগুরা বা ফালু মার্কা কোন নির্বাচন করেনি। কোন অনির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা দেয়ার আর চেষ্টা করবেন না।
মহাজোটে শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, বিরোধী দল রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে তারা বাজেট বাস্তবায়নকে রুখে দিতে চায়। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে ব্যর্থ হয়ে সারাদেশে ধ্বংসাত্মক কর্মকা- চালাচ্ছে। আশা করেছিলাম, এই তা-বলীলার বিরোধিতা করবেন। কিন্তু সিঙ্গাপুর থেকে ফিরে এসে উল্টো ধ্বংসাত্মক কর্মকা-কে প্রকাশ্য সমর্থন দিলেন। বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে এখন হেফাজতে জামায়াতে ইসলাম যোগ দিয়েছে।
তিনি বলেন, হেফাজতকে কোন প্রশ্রয় দেয়ার অর্থই হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের ভিত্তিভূমিকে নস্যাত করে দেয়া। চারটি নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে তারা নিশ্চিত হয়েছে তারা ক্ষমতায় এসে গেছে। আগামী নির্বাচনে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক ধারা বজায় থাকবে, জনগণ এ পক্ষেই ভোট দেবে। বিএনপি-জামায়াত-হেফাজতের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী ঐক্যের বিরুদ্ধে অসাম্প্রদায়িক-গণতান্ত্রিক শক্তিকে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। নির্বাচন কমিশনের হাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সব গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় তুলে দিয়ে শক্তিশালী করি। তত্ত্বাবধায়ক নয়, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অগ্রযাত্রাকে ধরে রাখতে হবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকারকে আবারও বিজয়ী করতে হবে।
__._,_.___