আরবের নারীরা প্রবেশ করছেন শ্রমবাজারে
ইয়েমেনের মেয়েদের সমাজে একটি নির্দিষ্ট ভূমিকা রয়েছে, আর তা হলো বাড়িতে থেকে সংসার ও সন্তানের দেখাশোনা করা। দেশটির মাত্র ৩ শতাংশ নারী কর্মজীবী। শুধু ইয়েমেন নয়, আরব দেশগুলোর সর্বত্রই পেশাক্ষেত্রে পুরুষের আধিপত্য লক্ষণীয়। বিশ্ব ব্যাংকের এক সমীক্ষায় জানা গেছে, সৌদি আরবের ১২ শতাংশ মেয়ে পেশাজীবী। তবে সে তুলনায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের অবস্থা ভালো। দেশটির মেয়েদের মধ্যে অর্ধেকই কর্মজীবী। সমগ্র আরব জগতে মাত্র এক-তৃতীয়াংশ নারীর নিজস্ব উপার্জন রয়েছে, যেখানে ইউরোপীয় ইউনিয়নে ৬২ শতাংশ মেয়ে অর্থ উপার্জন করে থাকেন। তবে আশার কথা হচ্ছে আরব বিশ্বে কর্মজীবী নারীর সংখ্যা বাড়ছে। অধিকহারে নারীরা প্রবেশ করছে শ্রম বাজারে। আরব ইন্টারন্যাশনাল উইমেন ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা হাইফা ফাহোউম আল কাইলানি এই প্রসঙ্গে বলেন, এই অবস্থা থেকে এখন বের হয়ে আসতে হবে আরবের মেয়েদের। তার ভাষায়, ''আরব বিশ্ব অর্থনৈতিক ও সামাজিক দিক দিয়ে এগিয়ে যেতে পারবে না, যদি জনসংখ্যার অর্ধেককেই বাইরে রাখা হয়। বিশাল এই জনসম্পদের অপচয় রোধ করতে হবে।" বাহরাইনের নারী ব্যবসায়ী আফনান রাসিদ আল জায়ানি বলেন, তার দেশ সুশিক্ষিত ও সক্রিয় নারী কর্মীর ওপর নির্ভরশীল। বাহরাইনের জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি অভিবাসী। অর্থাত্ প্রকৃত বাহরাইনিরা স্বদেশেই সংখ্যালঘু। কর্মক্ষেত্রেও বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। কর্মজীবীদের মাত্র ২৩ শতাংশ বাহরাইনি। সুতরাং অর্জিত অর্থের এক বিরাট অংশই বাইরে চলে যায়। পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আসা শ্রমিকরা তাদের আয়ের একটা বড় অংশই স্বদেশে পাঠিয়ে দেন। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এই ধরনের ক্ষতি কমিয়ে আনার জন্য বাহরাইনের মেয়েদেরও শ্রমবাজারে ঢুকতে হবে। এখন ৮ শতাংশ বাহরাইনি মেয়ে পরিবারের বাইরে কাজ করে অর্থ উপার্জন করেন। মেয়েরা আরো বেশি করে কর্মজগতে প্রবেশ করলে দেশের অর্থ দেশেই থাকবে। এছাড়া বাহরাইনিদের জীবনযাত্রার মানও উন্নত হবে। উন্নত হবে শিক্ষার মান, বৃদ্ধি পাবে ছেলে-মেয়েদের কাজের সুযোগ-সুবিধা। তাই বলা যায়, মেয়েদের পেশার জগতে আসাটা রাষ্ট্রীয় অর্থব্যবস্থার জন্যই বেশি জরুরি, মনে করেন আল জায়ানি। একই মত পোষণ করেন গাবি ক্রাতোচভিল। আরবের প্রভাবশালী মেয়েদের নিয়ে একটি বই লিখেছেন এই ইসলামবিদ। তার মতে, রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যবস্থাকে সচল করতে হলে অন্যান্য দিকেও দৃষ্টি দিতে হবে। শুধু তেল, গ্যাস ও কাঁচামালের দিকে নয়। আর মেয়েদের অংশগ্রহণ করা ছাড়া অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয়।
গাবি গাবি ক্রাতোচভিল লক্ষ্য করেছেন, আরব বিশ্বের মেয়েরা আর পিছিয়ে থাকতে চাইছেন না। কর্মজগতে ঢোকার জন্য তারা এখন ভালোভাবে সজ্জিত হচ্ছেন। ''যেসব মেয়ে শীর্ষ পদে আসতে পেরেছেন কিংবা নিজস্ব ব্যবসা গড়ে তুলেছেন, তারা দৃঢ় প্রত্যয়ের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছেন", বলেন এই ইসলামবিদ। কর্মক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সর্বদা তারা প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। ম্যানেজমেন্টে নতুন নতুন কলাকৌশল শিখতে উদগ্রীব তারা। ক্রাতোচভিলের ভাষায়, ''জার্মানির তুলনায়, শীর্ষপদের জন্য প্রস্তুতিমূলক সেমিনারে যোগ দিতে আরব মেয়েদের উত্সাহ-উদ্দীপনা চোখে পড়ার মতো।" বাহরাইনে মেয়েদের কর্মজগতে সম্পৃক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে সেই ১৯২৮ সালে। এখন একে আরো চাঙা করে তুলতে হবে। ভূগর্ভস্থ তেল ও গ্যাস কয়েক বছরের মধ্যে ফুরিয়ে যাবে। আর তাই শ্রমবাজারকে উন্মুক্ত করতে হবে। অনেক মেয়ে লেখাপড়ার জন্য বিদেশে যান। দেশে ফিরে এক সফল ক্যারিয়ার গড়ে তোলেন। কিন্তু এই সাফল্যই যথেষ্ট নয়। ''আমরা আরো মেয়েকে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ও শীর্ষপদগুলোতে দেখতে চাই", বলেন হাইফা ফাহোউম আল কাইলানি।
গাবি গাবি ক্রাতোচভিল লক্ষ্য করেছেন, আরব বিশ্বের মেয়েরা আর পিছিয়ে থাকতে চাইছেন না। কর্মজগতে ঢোকার জন্য তারা এখন ভালোভাবে সজ্জিত হচ্ছেন। ''যেসব মেয়ে শীর্ষ পদে আসতে পেরেছেন কিংবা নিজস্ব ব্যবসা গড়ে তুলেছেন, তারা দৃঢ় প্রত্যয়ের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছেন", বলেন এই ইসলামবিদ। কর্মক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সর্বদা তারা প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। ম্যানেজমেন্টে নতুন নতুন কলাকৌশল শিখতে উদগ্রীব তারা। ক্রাতোচভিলের ভাষায়, ''জার্মানির তুলনায়, শীর্ষপদের জন্য প্রস্তুতিমূলক সেমিনারে যোগ দিতে আরব মেয়েদের উত্সাহ-উদ্দীপনা চোখে পড়ার মতো।" বাহরাইনে মেয়েদের কর্মজগতে সম্পৃক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে সেই ১৯২৮ সালে। এখন একে আরো চাঙা করে তুলতে হবে। ভূগর্ভস্থ তেল ও গ্যাস কয়েক বছরের মধ্যে ফুরিয়ে যাবে। আর তাই শ্রমবাজারকে উন্মুক্ত করতে হবে। অনেক মেয়ে লেখাপড়ার জন্য বিদেশে যান। দেশে ফিরে এক সফল ক্যারিয়ার গড়ে তোলেন। কিন্তু এই সাফল্যই যথেষ্ট নয়। ''আমরা আরো মেয়েকে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ও শীর্ষপদগুলোতে দেখতে চাই", বলেন হাইফা ফাহোউম আল কাইলানি।
Proverb: All roads lead to Rome.
There are many different routes to the same goal.
Some people learn by doing. Others have to be taught. In the long run, all roads lead to Rome:
One world, one dream .....
__._,_.___