বিএনপি ক্ষমতায় এলে সব কমিউনিটি ক্লিনিক গুঁড়িয়ে দেব-
হুমকি ময়মনসিংহ ধোবাউড়া স্বাস্থ্য সহকারীর ॥ শাস্তি দাবিতে সিভিল সার্জনকে লিখিত অভিযোগ
নিখিল মানখিন ॥ 'বিএনপি ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে এলাকার সব কমিউনিটি ক্লিনিক গুঁড়িয়ে দেব। আর কর্মীদের গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়া হবে।' এমন হুমকি দিলেন ময়মনসিংহের ধোবাউড়া থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী মাহবুব আলম (বাবুল)। তিনি থানা বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত আছেন। থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাসিক সমন্বয় সভা শেষে কর্মকর্তা ও কর্মচারীর প্রতি আঙ্গুল উঁচিয়ে তিনি এমন হুমকি দেন। এর আগেও বহুবার তিনি বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশ্যে এমন হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সর্বশেষ ঘটনায় ধোবাউড়া এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। মাহবুব আলমের দৃষ্টান্তমূলক শান্তি চেয়ে জেলা সিভিল সার্জন বরাবর ইতোমধ্যে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। প্রধান থানা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং উপজেলা চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত অভিযোগনামার আলোকে মাহবুব আলমকে শাস্তিমূলক হিসেবে অন্যত্র বদলিও করা হয়েছে। কিন্তু সরকার দলীয় নেতাদের কাছে তদ্বির করে মাহবুব আলম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা থেকে রেহাই পাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বিরুদ্ধে আনীত সব ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মাহবুব আলম।
মাহবুব আলমের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করে ময়মনসিংহ জেলা সিভিল সার্জন ডা. সঞ্জীব কুমার চক্রবর্তী বৃহস্পতিবার জনকণ্ঠকে জানান, এ ধরনের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য সহকারী মাহবুব আলমকে নান্দাইল থানায় বদলি করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন সম্পন্ন হলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান সিভিল সার্জন ডা. সঞ্জীব কুমার চক্রবর্তী।
বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)-এর মহাসচিব অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান জনকণ্ঠকে জানান, ধোবাউড়া থানা বিএনপি নেতা মাহবুব আলমের হুমকিতে গণমানুষের সফল স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম ধ্বংস করার স্পষ্ট ষড়যন্ত্র ফুটে উঠেছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের সুফল ভোগ করছেন দেশের মানুষ। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১৭ কোটির বেশি মানুষ এসব কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে সেবা পেয়েছেন। ক্লিনিকগুলোতে চিকিৎসাসেবা দেয়ার পাশাপাশি রোগী প্রতিরোধের বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হয়ে থাকে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন দেশের সব এলাকায় কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে পল্লী এলাকার হতদরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠী সেবা পাচ্ছেন এবং উত্তরোত্তর সেবা গ্রহণকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমন জনমুখী প্রকল্প ধ্বংসকারীদের চাকরি করার কোন অধিকার নেই। আর ষড়যন্ত্রকারীদের সরকার দলীয় যেসব চিকিৎসক নেতা সহযোগিতা করবেন, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান বিএমএ মহাসচিব।
ধোবাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ আব্দুল খালেক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জনকণ্ঠকে জানান, মাহবুব আলমের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে জেলা সিভিল সার্জন বরাবর ইতোমধ্যে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। তাতে আমার ও উপজেলা চেয়ারম্যানসহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৬০ কর্মচারীর স্বাক্ষর রয়েছে। অভিযোগনামার আলোকে মাহবুব আলমকে শাস্তিমূলক হিসেবে অন্যত্র বদলিও করা হয়েছে। অভিযোগনামার কিছু অংশ উল্লেখ করে তিনি জানান, গত ১৪ আগস্ট ময়মনসিংহের ধোবাউড়া থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভাকক্ষে যথানিয়মে মাসিক সমন্বয় সভা শুরু হয়। সভায় মাহবুব আলমকে তাঁর দায়িত্ব অবহেলা করার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেয়া হলে তিনি উত্তেজিত হয়ে অশ্রাব্য গালিগালাজ করতে থাকেন। আর সভা শেষে সকলের সামনে তিনি কমিউনিটি ক্লিনিক গুঁড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেন বলে জানান ডা. মোঃ আব্দুল খালেক।
এদিকে তাঁর বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে স্বাস্থ্য সহকারী মাহবুব আলম বৃহস্পতিবার জনকণ্ঠকে জানান, চাকরিতে যোগদানের আগে আমি বিএনপি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম। আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরাই এমন মিথ্যা অভিযোগ তুলে আমাকে হয়রানি করার চেষ্টা করছেন। থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন কর্মচারী হয়ে আমি কখনও এমন কথা উচ্চারণ করতে পারি না। অন্যত্র বদলি করানোর কারণ আমাকে এখন পর্যন্ত জানানো হয়নি। আত্মপক্ষ সমর্থন করার কোন সুযোগ দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন মাহবুব আলম।
মাহবুব আলমের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করে ময়মনসিংহ জেলা সিভিল সার্জন ডা. সঞ্জীব কুমার চক্রবর্তী বৃহস্পতিবার জনকণ্ঠকে জানান, এ ধরনের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য সহকারী মাহবুব আলমকে নান্দাইল থানায় বদলি করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন সম্পন্ন হলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান সিভিল সার্জন ডা. সঞ্জীব কুমার চক্রবর্তী।
বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)-এর মহাসচিব অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান জনকণ্ঠকে জানান, ধোবাউড়া থানা বিএনপি নেতা মাহবুব আলমের হুমকিতে গণমানুষের সফল স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম ধ্বংস করার স্পষ্ট ষড়যন্ত্র ফুটে উঠেছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের সুফল ভোগ করছেন দেশের মানুষ। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১৭ কোটির বেশি মানুষ এসব কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে সেবা পেয়েছেন। ক্লিনিকগুলোতে চিকিৎসাসেবা দেয়ার পাশাপাশি রোগী প্রতিরোধের বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হয়ে থাকে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন দেশের সব এলাকায় কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে পল্লী এলাকার হতদরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠী সেবা পাচ্ছেন এবং উত্তরোত্তর সেবা গ্রহণকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমন জনমুখী প্রকল্প ধ্বংসকারীদের চাকরি করার কোন অধিকার নেই। আর ষড়যন্ত্রকারীদের সরকার দলীয় যেসব চিকিৎসক নেতা সহযোগিতা করবেন, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান বিএমএ মহাসচিব।
ধোবাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ আব্দুল খালেক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জনকণ্ঠকে জানান, মাহবুব আলমের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে জেলা সিভিল সার্জন বরাবর ইতোমধ্যে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। তাতে আমার ও উপজেলা চেয়ারম্যানসহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৬০ কর্মচারীর স্বাক্ষর রয়েছে। অভিযোগনামার আলোকে মাহবুব আলমকে শাস্তিমূলক হিসেবে অন্যত্র বদলিও করা হয়েছে। অভিযোগনামার কিছু অংশ উল্লেখ করে তিনি জানান, গত ১৪ আগস্ট ময়মনসিংহের ধোবাউড়া থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভাকক্ষে যথানিয়মে মাসিক সমন্বয় সভা শুরু হয়। সভায় মাহবুব আলমকে তাঁর দায়িত্ব অবহেলা করার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেয়া হলে তিনি উত্তেজিত হয়ে অশ্রাব্য গালিগালাজ করতে থাকেন। আর সভা শেষে সকলের সামনে তিনি কমিউনিটি ক্লিনিক গুঁড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেন বলে জানান ডা. মোঃ আব্দুল খালেক।
এদিকে তাঁর বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে স্বাস্থ্য সহকারী মাহবুব আলম বৃহস্পতিবার জনকণ্ঠকে জানান, চাকরিতে যোগদানের আগে আমি বিএনপি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম। আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরাই এমন মিথ্যা অভিযোগ তুলে আমাকে হয়রানি করার চেষ্টা করছেন। থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন কর্মচারী হয়ে আমি কখনও এমন কথা উচ্চারণ করতে পারি না। অন্যত্র বদলি করানোর কারণ আমাকে এখন পর্যন্ত জানানো হয়নি। আত্মপক্ষ সমর্থন করার কোন সুযোগ দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন মাহবুব আলম।
__._,_.___